আইন-আদালত
তনির শোরুম খুলে দিলো ভোক্তা অধিদপ্তর
![তনির শোরুম খুলে দিলো ভোক্তা অধিদপ্তর প্লেসমেন্ট](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/06/tony.jpg)
উচ্চ আদালতের নির্দেশের পর আলোচিত পোশাক বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান ‘সানভীস বাই তনি’র শোরুম খুলে দেওয়া হয়েছে। বুধবার (১২ জুন) সকাল ১০টার দিকে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক বিকাশ চন্দ্র দাসের নেতৃত্বে একটি টিম পুলিশ প্লাজায় গিয়ে শোরুম খুলে দেন।
এর আগে সোমবার (১০ জুন) তনির শোরুম খুলে দেওয়ার আদেশ দেন উচ্চ আদালতের বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলনের বেঞ্চ। তবে মঙ্গলবার (১১ জুন) দুপুর পর্যন্ত শোরুম খুলতে দেননি জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক জব্বার মণ্ডল। ফলে মঙ্গলবার দুপুরে তনির আইনজীবীরা আদালতে যান। পরে ২৪ ঘণ্টার সময় বেঁধে দেন আদালত।
মঙ্গলবার আদালতের নির্দেশের পর আজ (বুধবার) সকাল ১০টায় তনির শোরুম খুলে দেওয়া হবে বলে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছিল জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
উল্লেখ্য, গত ১২ মে সানভীসের প্রধান শোরুমে অভিযান চালিয়ে সেটি সিলগালা করে দেন সহকারী পরিচালক জব্বার মণ্ডলের নেতৃত্বে একটি টিম। পরে ১৪ মে সানভীসকে দুটি অপরাধের দায়ে ৫০ হাজার ও দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। কিন্তু শোরুম খুলে না দেওয়ায় উচ্চ আদালতে যান তনি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
![](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2023/02/Logo_OS_250_72.webp)
আইন-আদালত
এনবিআর সচিব ফয়সালসহ ১৪ জনের ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ
![এনবিআর সচিব ফয়সালসহ ১৪ জনের ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ প্লেসমেন্ট](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/06/NBR-faysal.jpg)
আয়কর বিভাগের (ট্যাক্স লিগ্যাল ও এনফোর্সমেন্ট) প্রথম সচিব কাজী আবু মাহমুদ ফয়সালের নামে-বেনামে থাকা সব স্থাবর সম্পত্তি ক্রোক ও ব্যাংক হিসাব ফ্রিজের (অবরুদ্ধ) আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালত এ আদেশ দেন।
দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কাজী আবু মাহমুদ ফয়সালসহ ১৪ জনের ৮৭টি ব্যাংক হিসাবে থাকা ছয় কোটি ৯৬ লাখ টাকা ফ্রিজ করেছেন আদালত। পাশাপাশি ফয়সালসহ সাতজনের নামে থাকা ১৫টি সঞ্চয়পত্রে থাকা দুই কোটি ৫৫ লাখ টাকা অবরুদ্ধ করা হয়েছে। ফয়সালের স্ত্রী আফসানাসহ চারজনের নামে থাকা স্থাবর সম্পদ জব্দ করা হয়েছে।
এদিন দুদকের সহকারী পরিচালক ও অনুসন্ধানকারী টিমের সদস্য মোস্তাফিজ রাজস্বের কাজী আবু মাহমুদ ফয়সাল, তার স্ত্রী আফসানা জেসমিন এবং তাদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট অন্যান্য ব্যক্তিগণের নামে স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তর, বিক্রয় বা মালিকানাসত্ব বদল রোধে তাদের ব্যাংক হিসাব, ব্যাংকে রক্ষিত সঞ্চয়পত্র ও নন ব্যাংকিং ফাইনান্সিয়াল প্রতিষ্ঠানের আমানতসমূহ থেকে অর্থ উত্তোলন অবরুদ্ধ এবং স্থাবর সম্পদ জব্দের আবেদন করেন।
পরে দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মোশাররফ হোসেন কাজল শুনানি করেন। শুনানি শেষে আদালত ব্যাংক হিসাব, সঞ্চয়পত্র ফ্রিজ ও স্থাবর সম্পদ ক্রোকের আদেশ দেন।
আবেদনে বলা হয়েছে, কাজী আবু মাহমুদ ফয়সাল তার নিজ নামে ও তার স্ত্রী আফসানা জেসমিনের নামে জলসিড়ি আবাসন প্রকল্পে মোট দুই কোটি ৩৫ লাখ ৬৫ হাজার টাকা পরিশোধ করে ৫ কাঠার প্লট ক্রয় করেছিলেন। অনুসন্ধান চলাকালীন জলসিড়ি আবাসন প্রকল্পের প্লট বিক্রয় করেছেন। দুর্নীতি দমন কমিশন হতে অনুসন্ধান শুরুর পর থেকে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিগণ অপরাধলব্ধ সম্পদ বিক্রি করার চেষ্টা করছেন মর্মে বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়। অপরাধলব্ধ আয়ের মাধ্যমে অর্জিত বর্ণিত সম্পদ/সম্পত্তির বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে তা বেহাত হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বিধায় রাষ্ট্র ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
আবেদনে আরও বলা হয়েছে, অপরাধলব্ধ আয়ের মাধ্যমে অর্জিত সম্পদ মানিলন্ডারিং আইনের ১৪ ধারা মতে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি কাজী আবু মাহমুদ ফয়সাল তার স্ত্রী আফসানা জেসমিন এবং তাদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট অন্যান্য ব্যক্তিগণের নামে নিম্নবর্ণিত স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তর, বিক্রয় বা মালিকানাসত্ব বদল রোধের নিমিত্ত ব্যাংক হিসাব, ব্যাংকে রক্ষিত সঞ্চয়পত্র ও নন ব্যাংকিং ফাইনান্সিয়াল প্রতিষ্ঠানের আমানতসমূহ থেকে অর্থ উত্তোলন অবরুদ্ধ এবং স্থাবর সম্পদ জব্দ করা জরুরি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
বেনজীর পরিবারের ফ্ল্যাট-প্লটসহ জমির তত্ত্বাবধায়ক নিয়োগ
![বেনজীর পরিবারের ফ্ল্যাট-প্লটসহ জমির তত্ত্বাবধায়ক নিয়োগ প্লেসমেন্ট](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/06/benjir.jpg)
পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ ও তার স্ত্রী জীশান মীর্জার নামে থাকা ঢাকায় আটটি ফ্ল্যাট, উত্তরা আবাসিক এলাকায় তিন কাঠার একটি প্লট, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ছয় কাঠা করে চারটি প্লট ও বান্দরবানে ২৫ একর জমির রক্ষণাবেক্ষণের জন্য রিসিভার নিয়োগের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন এ আদেশ দেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুসন্ধানকারী টিমের প্রধান উপ-পরিচালক মো. হাফিজুল ইসলাম এ সম্পত্তিতে রিসিভার নিয়োগের আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক সেই আবেদন মঞ্জুর করে আদেশ দেন।
দুদকের প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, রিসিভার নিয়োগ হওয়া সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে, বেনজীরের স্ত্রী জীশান মীর্জার নামে আদাবর পিসি কালচার হাউজিংয়ে থাকা ছয়টি ফ্ল্যাট, বাড্ডায় ১৪ তলা বিশিষ্ট রূপায়ন মিলেনিয়াম স্কয়ার বিল্ডিংয়ে কার পার্কিংসহ দুটি অফিস স্পেস, উত্তরা আবাসিক এলাকায় তিন কাঠার একটি প্লট, রূপগঞ্জের সাভানা ইকো রিসোর্টে ছয় কাঠা করে চারটি প্লট এবং বান্দরবান সদরে ২৫ একর জমি।
এর আগে ১২ জুন এসব সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ দেন আদালত।
এর আগে দুই দফায় ২৩ ও ২৬ মে দুই দফায় বেনজীর, তার স্ত্রী ও তিন কন্যার নামে থাকা প্রায় ৬১২ বিঘা সম্পত্তি ও গুলশানের চারটি ফ্ল্যাট ক্রোক ও বেশ কিছু ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করার আদেশ দেন আদালত।
৬ জুন এসব সম্পত্তি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য রিসিভার নিয়োগের আদেশ দেন আদালত।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
আনার হত্যা: ফয়সাল ও মোস্তাফিজুর ৬ দিনের রিমান্ডে
![আনার হত্যা: ফয়সাল ও মোস্তাফিজুর ৬ দিনের রিমান্ডে প্লেসমেন্ট](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/06/MP-anar-2.jpg)
ঝিনাইদহ-৪ আসানের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যা মামলায় গ্রেফতার ফয়সাল আলী ও মোস্তাফিজুর রহমানের ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) তাদের আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাদের দশ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সহকারী কমিশনার মাহফুজুর রহমান। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আতাউল্লাহ তাদের ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গতকাল বুধবার মামলার পলাতক এ দুই আসামিকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের একটি দল। এদিন দুপুর থেকে হেলিকপ্টারে খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে ডিবি।
বাড়ি থেকে বেরোনোর পাঁচদিন পর ১৮ মে বরাহনগর থানায় আনোয়ারুল আজীম নিখোঁজের বিষয়ে একটি জিডি করেন বন্ধু গোপাল বিশ্বাস। এরপরও খোঁজ মেলেনি তিনবারের এই সংসদ সদস্যের। ২২ মে হঠাৎ খবর ছড়ায়, কলকাতার পার্শ্ববর্তী নিউটাউন এলাকায় সঞ্জীবা গার্ডেনস নামে একটি আবাসিক ভবনের বিইউ ৫৬ নম্বর রুমে আনোয়ারুল আজীম খুন হয়েছেন। ঘরের ভেতর পাওয়া গেছে রক্তের ছাপ। তবে ঘরে মেলেনি মরদেহ।
এ ঘটনায় ২২ মে ঢাকার শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেন তার মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন।
মামলার এজাহারে এমপির মেয়ে ডরিন উল্লেখ করেন, ৯ মে রাত ৮টার দিকে আমার বাবা মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের সংসদ সদস্য ভবনের বাসা থেকে গ্রামের বাড়ি ঝিনাইদহে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হন। ১১ মে ৪টা ৪৫ মিনিটে বাবার সঙ্গে মোবাইলে ভিডিও কলে কথা বললে বাবার কথাবার্তায় কিছুটা অসংলগ্ন মনে হয়। এরপর বাবার মোবাইলফোনে একাধিকবার ফোন দিলে বন্ধ পাই। ১৩ মে আমার বাবার ভারতীয় নম্বর থেকে হোয়াটসঅ্যাপে একটি মেসেজ আসে। মেসেজে লেখা ছিল ‘আমি হঠাৎ করে দিল্লি যাচ্ছি, আমার সঙ্গে ভিআইপি আছে। আমাকে ফোন দেওয়ার দরকার নেই। পরে ফোন দেবো’।
এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, আমরা বিভিন্ন জায়গায় বাবার খোঁজখবর করতে থাকি। কোনো সন্ধান না পেয়ে বাবার বন্ধু গোপাল বিশ্বাস কলকাতার বরাহনগর পুলিশ স্টেশনে সাধারণ ডায়েরি করেন। বাবাকে খোঁজাখুঁজি অব্যাহত রাখি। পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানতে পারি অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে বাবাকে অপহরণ করে। বাবাকে সম্ভাব্য সব স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও পাইনি।
এছাড়াও আরও কয়েকটি মেসেজ আসে। মেসেজগুলো বাবার মোবাইল ফোন ব্যবহার করে অপহরণকারীরা করে থাকতে পারে, এজাহারে উল্লেখ করেন ডরিন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
ব্লু-কাণ্ডে আগাম জামিন পেলেন রাফসান
![ব্লু-কাণ্ডে আগাম জামিন পেলেন রাফসান প্লেসমেন্ট](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/06/rafsan-the-choto-bhai1.jpg)
অনুমোদনহীন ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস ব্লু বিক্রির মামলায় রাফসান দ্য ছোটভাই খ্যাত ইফতেখার রাফসানকে ৮ সপ্তাহের আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বুধবার বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রাফসানের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শাহ মঞ্জরুল হক, ব্যারিস্টার এম হারুনুর রশিদ।
এর আগে ১৩ জুন ‘রাফসান দ্য ছোট ভাই’ নামে পরিচিত কনটেন্ট নির্মাতা ইফতেখার রাফসানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ঢাকার একটি আদালত। কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়াই ‘ব্লু ড্রিংকস’ নামে একটি পানীয় বাজারজাত করার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে এ মামলা হয়।
ঢাকার বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতের বিচারক আলাউল আকবর তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের খাদ্য পরিদর্শক কামরুল ইসলাম ‘ব্লু ড্রিংকস’ বাজারজাত করার অভিযোগে সম্প্রতি ইফতেখার রাফসানের বিরুদ্ধে ঢাকার বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতে মামলাটি করেছিলেন।
বাংলাদেশে জনপ্রিয় কনটেন্ট নির্মাতাদের মধ্যে অন্যতম ‘রাফসান দ্য ছোট ভাই’। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার লাখ লাখ অনুসারী রয়েছে। সম্প্রতি একটি বিষয় ঘিরে তাকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত কনটেন্টের আয়ের অর্থ দিয়ে তিনি একটি গাড়ি কিনে মা-বাবাকে উপহার দিয়েছিলেন। এ নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে নানা আলোচনা হয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
দেশের সব হাসপাতালে অ্যান্টিভেনম সরবরাহ চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ
![দেশের সব হাসপাতালে অ্যান্টিভেনম সরবরাহ চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ প্লেসমেন্ট](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/06/high-court.jpg)
রাসেলস ভাইপার সাপের ছোবলে মৃত্যু প্রতিরোধে দেশের প্রতিটি হাসপাতাল-ক্লিনিক-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পর্যাপ্ত অ্যান্টিভেনম সরবরাহ চেয়ে আইনি (লিগ্যাল) নোটিশ পাঠানো হয়েছে। একইসঙ্গে দক্ষ চিকিৎসক ও দেশের অভ্যন্তরে পরিবেশ উপযোগী এ জাতীয় ভ্যাকসিন উৎপাদনের পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সরকারকে আগামী ৭ দিনের মধ্যে পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৫ জুন) জনস্বার্থে সরকারের সংশ্লিষ্টদের প্রতি এই নোটিশ পাঠিয়েছেন সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী মো. বাহাউদ্দিন আল ইমরান।
নোটিশে বলা হয়, সম্প্রতি দেশের বেশ কিছু জেলায় রাসেলস ভাইপার সাপ নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের কারণে বিষয়টি নিয়ে দেশবাসী উদ্বেগ প্রকাশ করছেন। অনেকে প্রচার করছেন যে, বিষাক্ত সাপটি কামড় দিলে মানুষের দ্রুত মৃত্যু হয়। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, রাসেলস ভাইপার সাপ মেরে ফেলার প্রচারণাও চালাচ্ছেন অনেকে। ‘রাসেলস ভাইপার খুব দ্রুত বংশ বিস্তার করে। ফলে সহসা গ্রামাঞ্চলে এই সাপের আধিক্য মানুষের জন্য হুমকি তৈরি করবে’-বলে ব্যাপক প্রচারণা রয়েছে।
ফলে এ নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মতামত ব্যাপক হারে প্রচারের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। ‘স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, বিষের বিরুদ্ধে কার্যকর বা বিষ নিষ্ক্রিয় করতে পারে এমন উপাদানকে অ্যান্টিভেনম বলা হয়। সাপের কামড় বা দংশনের পরে দ্রুত অ্যান্টিভেনম ইনজেকশন দিলে, অ্যান্টিভেনমের অ্যান্টিবডিগুলি বিষকে নিষ্ক্রিয় করে। যার ফলে আক্রান্ত্র ব্যক্তির জীবন বা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বেঁচে যায়।’
‘দেশের হাসপাতালগুলোতে পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন নেই’ গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে উল্লেখ করে নোটিশে বলা হয়েছে, নোটিশ প্রাপ্তির সাতদিনের মধ্যে সারাদেশের হাসপাতাল, ক্লিনিক ও স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোতে পর্যাপ্ত অ্যান্টিভেনম ভ্যাকসিন সংরক্ষণ, ভ্যাকসিন প্রদানকারী চিকিৎসকদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে উন্নত প্রশিক্ষণ, সাপের বিষের প্রতিরোধক ভ্যাকসিন উৎপাদনে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করা হলো। অন্যথায় এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় প্রতিকার চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হবে।
এ বিষয়ে আইনজীবী বাহাউদ্দিন ইমরান জানান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ সচিব, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে রেজিস্ট্রিযোগে নোটিশটি পাঠানো হয়েছে।
কাফি