জাতীয়
শিশুশ্রম নিরসনে প্রত্যেককে আরও সচেতন হতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, শিশুদের স্বাভাবিক বিকাশ ও শিক্ষার সুযোগ নিশ্চিত করাসহ শিশুশ্রম নিরসনে প্রত্যেকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে আরও সচেষ্ট হতে হবে।
বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষ্যে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, শিশুশ্রম নিরসনে একযোগে কাজ করার এখনই সময়। এসডিজি ৮.৭ অর্জনে শিশুশ্রমের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্বাস করতেন আজকের শিশুরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ, শিশুরাই তার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলবে। এই ভাবনা থেকেই জাতিসংঘ শিশু সনদের ১৫ বছর আগে ১৯৭৪ সালে তিনি জাতীয় শিশু নীতি প্রণয়ন করেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের শিশু, নারী ও অনগ্রসর অংশসহ প্রতিটি মানুষের জীবনমান উন্নয়ন, কর্মের স্থিতিশীলতা, শ্রমজীবী মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং শ্রমজীবী মানুষের কল্যাণ ও অধিকার সংরক্ষণকে বিশেষ গুরুত্ব দেন। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ ১৯৭২ সালে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থাতে (আইএলও) যোগ দেয়। শিশু শিক্ষার বিকাশ নিশ্চিত করতে তিনি প্রাথমিক শিক্ষাকে জাতীয়করণ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের সংবিধানে শিশুসহ সব নাগরিকের মৌলিক অধিকারকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। সংবিধানের ২৮(৪) অনুচ্ছেদে নারী, শিশু ও সমাজের অনগ্রসর অংশের অগ্রগতির জন্য বিশেষ বিধান প্রণয়নের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের সংবিধান ও জাতির পিতার আদর্শ অনুসরণ করে আওয়ামী লীগ সরকার বাংলাদেশে শিশু শ্রম প্রতিরোধে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করেছে।
তিনি বলেন, শ্রমজীবী শিশুদের ঝুঁকিপূর্ণ কাজ থেকে প্রত্যাহারের লক্ষ্যে আমরা ‘জাতীয় শিশুশ্রম নিরসন নীতি-২০১০’ প্রণয়ন করেছি। এ নীতি বাস্তবায়নে জাতীয় শিশুশ্রম কল্যাণ পরিষদ, উপজেলা শিশুশ্রম পরিবীক্ষণ কমিটি, জেলা শিশুশ্রম পরিবীক্ষণ কমিটি এবং বিভাগীয় শিশুশ্রম কল্যাণ পরিষদ গঠন করা হয়েছে। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় শিশুদের জন্য ৪৩টি কাজকে ঝুঁকিপূর্ণ কাজ হিসেবে চিহ্নিত করে তা গেজেট আকারে প্রকাশ করেছে।
সরকার প্রধান বলেন, এ পর্যন্ত ১ লাখ ৯০ হাজার শিশুকে ঝুঁকিপূর্ণ কাজ থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। আইএলও কনভেনশন অনুযায়ী শিশুশ্রম নিরসনের লক্ষ্যে ২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘শিশুশ্রম নিরসন ও পুনর্বাসন প্রকল্প’ নামে মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে, যা এ বছর শেষ হবে। গৃহকর্মে শিশুশ্রম নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে প্রণয়ন করা হয়েছে ‘গৃহকর্মী সুরক্ষা ও কল্যাণ নীতি-২০১৫’।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্য অনুযায়ী আমরা দেশকে সব ধরনের শিশুশ্রম থেকে মুক্ত করার লক্ষ্যে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা ২০২১-২৫ প্রণয়ন করেছি এবং এটি বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, আমাদের সরকার ‘জাতীয় শিশুনীতি-২০১১’, ‘শিশু আইন-২০১৩’, ‘বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন-২০১৭’ প্রণয়ন করেছে। এ ছাড়া সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের পুনর্বাসন এবং বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের বিকাশে কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের বছরের শুরুতে বিনামূল্যে নতুন বই প্রদান করা হচ্ছে। প্রায় শতভাগ শিশু আজ স্কুলে যাচ্ছে।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা শিশু ও তাদের পরিবারের সহায়তায় বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। এর মধ্যে রয়েছে শিশু সুরক্ষা ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণ, শিশু সংবেদনশীল সামাজিক সুরক্ষা নীতি প্রণয়ন এবং পারিবারিক আয় বৃদ্ধির মাধ্যমে সমাজভিত্তিক শিশু সুরক্ষা ব্যবস্থাকে উন্নত করা।
তিনি আরও বলেন, এ ছাড়া শিশুশ্রম নিরসনে আমরা বেসরকারি খাতগুলোকে সম্পৃক্ত করেছি। সহিংসতা ও শোষণ থেকে শিশুদের সুরক্ষা সম্পর্কে নিয়োগদাতাদের প্রশিক্ষিত করার বিষয়টিতে আমরা অগ্রাধিকার দিয়েছি।

জাতীয়
বিমানবন্দরে আটকে দেওয়া হলো লতিফ সিদ্দিকীর ভাইকে

ব্যাংককে যাওয়ার সময় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আটকে দেওয়া হয়েছে সাবেক সংসদ সদস্য লতিফ সিদ্দিকী ও বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর ছোট ভাই টাঙ্গাইলের কালিহাতি উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান এসএম সিদ্দিকীকে। এ সময় তার স্ত্রীও তার সঙ্গে ছিলেন।
শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকালে বিমানবন্দরে আটকে দেওয়া হয় তাকে।
সূত্র জানায়, এসএম সিদ্দিকী একটি এয়ারলাইন্সে সকাল ১০টার ফ্লাইটে স্ত্রীসহ ব্যাংকক যাওয়ার উদ্দেশ্যে বিমানবন্দরে এসেছিলেন। ইমিগ্রেশনে এলে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা থাকায় ইমিগ্রেশন থেকে তাকে ফেরত পাঠানো হয়।
গত সপ্তাহে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘৭১ মঞ্চ’ নামে একটি নতুন প্ল্যাটফর্ম আয়োজিত গোল টেবিল বৈঠক থেকে সাবেক সংসদ সদস্য লতিফ সিদ্দিকীকে আটক করা হয়। পরে তাকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।
জাতীয়
আফগানিস্তানে ১১ টন ত্রাণ পাঠালো বাংলাদেশ

আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলে ৬ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্প আঘাত এনেছে। এ ঘটনায় কমপক্ষে ২ হাজার ২০৫ জন নিহত ও ৩ হাজার ৬৪০ জন আহত এবং ৮ হাজারের বেশি ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আফগানিস্তানে সংঘঠিত ভূমিকম্পের ফলে খাদ্য, পানি ও বাসস্থান এবং জরুরি চিকিৎসার অভাবে মানবিক বিপর্যয়ের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এ অবস্থায় দুর্যোগ মোকাবিলায় আফগান জনগণের জরুরি মানবিক সহায়তা পাঠিয়েছে বাংলাদেশ।
শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে আইএসপিআর।
আইএসপিআর জানায়, আজ সকাল ৮টায় বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি পরিবহন বিমান জরুরি ত্রাণ সামগ্রীসহ আফগানিস্তানের কাবুলের উদ্দেশ্যে রওনা করে। ১১ দশমিক ২২৭ টন ত্রাণ সহায়তার মধ্যে রয়েছে তাঁবু, কম্বল, শীতবস্ত্র, খাবার পানি, শুকনো খাবার, কাপড়, বিস্কুট, মিল্ক পাউডার, নুডুলস এবং ঔষধ। এসব ত্রাণ সামগ্রী হস্তান্তর শেষে বিমান বাহিনীর পরিবহন বিমানটি আজই বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করবে।
সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের অপারেশন্স ও পরিকল্পনা পরিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আলীমুল আমীন বিমানটি বাংলাদেশ ত্যাগের পূর্বে প্রেস ব্রিফিং করেন। এ সময় সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ ও বিমান বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
জাতীয়
ভুয়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি, সতর্ক করলো স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

উপজেলা পর্যায়ে ভুয়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ছড়িয়ে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করছে এক প্রতারক চক্র। বিষয়টি নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে সতর্ক করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) ডা. এ বি এম আবু হানিফ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই সতর্কতা জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্প্রতি ‘উপজেলা মা ও শিশু কমিউনিটি স্বাস্থ্য কেন্দ্র, গণস্বাস্থ্য প্রকল্প ২০২৫’ নাম ব্যবহার করে ভুয়া প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি মহাখালী, ঢাকা’র ঠিকানা দেখিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য পরিদর্শক, ইউনিট অফিসার ও স্বাস্থ্য সহকারী পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। এ জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালকের (প্রশাসন) নাম ও স্বাক্ষর জাল করে দরখাস্ত আহ্বান করা হয়েছে এবং বিজ্ঞপ্তিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, উল্লিখিত প্রতিষ্ঠান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আওতাধীন বা নিয়ন্ত্রণাধীন নয়। প্রতারণামূলক উদ্দেশ্যে একটি অসাধু মহল এ ধরনের ভুয়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে থাকে।
সাধারণ মানুষকে এসব বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞপ্তি থেকে সতর্ক থাকতে অনুরোধ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। পাশাপাশি, জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে হস্তান্তরের আহ্বান জানানো হয়েছে।
জাতীয়
যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে ৩০ বাংলাদেশিকে

উন্নত জীবনের খোঁজে হাজারো মাইল পাড়ি দিয়েছিলেন তারা। বুকে ছিল নতুন করে জীবন শুরুর স্বপ্ন, চোখে ছিল উজ্জ্বল ভবিষ্যতের আশা। কিন্তু সেই স্বপ্ন পূর্ণ হলো না। অবশেষে, এক বেদনাদায়ক প্রত্যাবর্তন হলো তাদের। এবার ফিরল ৩০ জন বাংলাদেশি।
বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১১টায় ৩০ জনের একটি দল হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফিরে আসে। তাদের মধ্যে ২৯ জন পুরুষ এবং একজন নারী।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান আরও জোরদার করা হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় এই ৩০ জন বাংলাদেশি সহ বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের ফেরত পাঠানো হচ্ছে। এই নিয়ে এ পর্যন্ত তিন ধাপে মোট ১৮৭ জন প্রবাসী দেশে ফিরে এসেছেন।
যে সময় এই অভিবাসীরা নিঃশব্দে নিজ দেশে ফিরছিলেন, তখন তাদের চোখ ও নীরবতা যেন অনেক কথাই বলছিল। তারা কোনো গণমাধ্যমের সামনে কথা বলতে রাজি হননি, সম্ভবত তাদের ভাঙা স্বপ্নের গল্পগুলো সবার সামনে তুলে ধরার মতো মানসিক অবস্থা তাদের ছিল না।
এই ঘটনাগুলো অভিবাসন প্রত্যাশীদের জন্য এক কঠিন বাস্তবতা তুলে ধরে: উন্নত জীবনের সন্ধানে যাত্রা যতটা সহজ মনে হয়, তার চেয়েও বেশি কঠিন হলো সেই পথে টিকে থাকা।
জাতীয়
নুরের ওপর হামলার ঘটনায় তদন্ত কমিশন গঠন

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের ওপর হামলা ও গুরুতর আঘাতের ঘটনা তদন্তে তদন্ত কমিশন গঠন করেছে সরকার। তিন সদস্যের এ কমিশনের সভাপতি সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মো. আলী রেজা।
বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এ কমিশন গঠনের তথ্য জানানো হয়েছে।
কমিটিতে সদস্য হিসেবে আরও রয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ও সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার।
কমিটিকে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য এক মাস বা ৩০ কার্যদিবস সময় দেওয়া হয়েছে।
এ কমিশন গত ২৯ আগস্ট নুরুল হক নুরের ওপর হামলা এবং গুরুতর আঘাতের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত এবং উল্লিখিত ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে সুপারিশ করবে।
এছাড়া ভবিষ্যতে এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা প্রতিরোধে করণীয় বিষয়ে সুপারিশও দেবে এ কমিশন।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, তদন্ত কমিশনকে সাচিবিক সহায়তাসহ সব ধরনের সহায়তা, প্রয়োজনীয় ব্যয় দেবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এছাড়া কমিশনকে সহায়তার উদ্দেশ্যে প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োজিত যে কোনো ব্যক্তিকে দায়িত্ব দিতে পারবে মন্ত্রণালয়।