খেলাধুলা
দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১১৩ রানে আটকে দিল বাংলাদেশ
![দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১১৩ রানে আটকে দিল বাংলাদেশ আইপিও](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/06/bd-vs-sa1.jpg)
ছক্কা, চার মেরে শুরুটা করলেন কুইন্টন ডি কক। কিন্তু এরপরই ঘুরে দাঁড়ালো বাংলাদেশ। তানজিম হাসান সাকিব প্রথম স্পেলে পেলেন তিন উইকেট, তাসকিনও পান উইকেটের দেখা। কিন্তু পাওয়ার প্লে শেষ হতেই হেনরিখ ক্লাসেন ও ডেভিড মিলার টেনে তোলেন প্রোটিয়াদের, আসে রানও। দুজনের জুটিতে একশ ছাড়িয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকার রান। তবে শেষ অবধি তাদের থামতে হয়েছে অল্পতেই।
সোমবার নাসাউ কাউন্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ‘ডি’ গ্রুপের ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকা। আগে ব্যাট করে ৬ উইকেট হারিয়ে ১১৩ রান করেছে প্রোটিয়ারা। বাংলাদেশের হয়ে তিন উইকেট নিয়েছেন তানজিম হাসান সাকিব।
টস হেরে প্রথম ওভার বল করতে এসে দ্বিতীয় ও তৃতীয় বলে ছক্কা ও চার হজম করেন তানজিম হাসান সাকিব। কুইন্টন ডি ককের কাছে বাউন্ডারি হজমের পরও অবশ্য মনোবল হারাননি তিনি। ওভারের শেষ বলেই পেয়ে যান উইকেটের দেখাও। অফ স্টাম্পের সামান্য বাইরে থাকা বলে এলবিডব্লিউ হন রেজা হেনরিকস।
দ্বিতীয় ওভারে আসা তাসকিন আহমেদকেও ছক্কা হাঁকান ডি কক। কিন্তু পরের ওভারে এসে তাকে ফিরিয়ে দেন তানজিম। তৃতীয় বলে ডি কককে বোল্ড করেন তিনি বেশ বাইরে থেকে অনেকটুকু ভেতরে ঢোকা বলে। ১টি চার ও ২ ছক্কায় ১১ বলে ১৮ রান করেন ডি কক।
তানজিমের পর তাসকিনও উইকেটের দেখা পান। ৮ বলে চার রান করা এইডেন মার্করামের অফ স্টাম্প ভাঙেন তাসকিন। পাওয়ার প্লের মধ্যেই বাংলাদেশকে আরও একটি উইকেট এনে দেন তানজিম। তার বাউন্সার ঠিকঠাক বুঝে উঠতে পারেননি ক্রিস্তিয়ান স্টাবস। কাভারে সামান্য এগিয়ে দাঁড়ানো সাকিব আল হাসান ক্যাচ নেন তার।
পাওয়ার প্লের ছয় ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ২৫ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ইতিহাসে এটি তাদের সর্বনিম্ন সংগ্রহ প্রথম ছয় ওভারে। কিন্তু পাওয়ার প্লের পরই প্রেক্ষাপট বদলাতে থাকে। বাংলাদেশের তিন পেসারের ওপর নির্ভরতা কমাতে বাধ্য হয়। নিয়ে আসে স্পিনারদের।
এরপরই ধীরে ধীরে পরিস্থিতি সামলে উঠতে থাকেন হেনরিখ ক্লাসেন ও ডেভিড মিলার। দুজনের জুটি বড় হতে থাকে, আসে রানও। পেসারদের বিপক্ষে কঠিন সময় কাটানো ব্যাটাররা খুঁজে পান স্বস্তি। রিশাদ হোসেন তার প্রথম দুই ওভারে দেন ২০ রান। তাকে টানা দুই বলে ছক্কা হাঁকান ক্লাসেন।
সাকিব এক ওভারে ৬ রান দেন। এর মধ্যে শান্ত বোলিংয়ে নিয়ে আসেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে। প্রথম দুই ওভারে ৭ রান দিয়ে আস্থার প্রতিদান তিনি। তার করা প্রথম বলেই ডেভিড মিলারের ক্যাচ উইকেটের পেছনে ছাড়েন লিটন দাস। বাইরের দিকে যাওয়া বলটি ধরা অবশ্য বেশ কঠিন ছিল।
এর মধ্যে জুটি বড় হতে থাকে মিলার ও ক্লাসেনের। ১৮তম ওভারে গিয়ে অবশেষে এই জুটি ভাঙেন তাসকিন আহমেদ। তার ভেতরে ঢোকা দুর্দান্ত এক বলে বোল্ড হয়ে যান ক্লাসেন। ৭৯ বলে ৭৯ রানের জুটি ভাঙে, যেটি নাসাউ কাউন্টিতে সর্বোচ্চ রানের জুটি। ৪টি চার ও ৩ ছক্কায় ৪৪ বলে ৪৬ রান করে ফেরেন ক্লাসেন।
ইনিংসের শেষ অবধি ব্যাট করতে পারেননি ডেভিড মিলারও। রিশাদের করা ১৯তম ওভারের দ্বিতীয় বলে বোল্ড হয়ে যান তিনি। এর আগে ৩৮ বলে একটি চার ও সমান ছক্কায় ২৯ রান করেন মিলার। তার বিদায়ের পর আর তেমন রান হয়নি। শেষ ওভারে চার রান দেন মোস্তাফিজ।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
![](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2023/02/Logo_OS_250_72.webp)
খেলাধুলা
অলিম্পিকের টিকিট পেলেন বাংলাদেশের ইমরানুর
![অলিম্পিকের টিকিট পেলেন বাংলাদেশের ইমরানুর আইপিও](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/Bangladeshs-fastest-man-Imranur-Rahman1.jpg)
বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনের বৃহত্তর আসর অলিম্পিকের পর্দা উঠবে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে। আগামী ২৬ জুলাই এবারের আসর শুরু হবে। এই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণের জন্য বাংলাদেশের তিনজন ক্রীড়াবিদ যোগ্যতা অর্জন করেছেন।
যেখানে রয়েছে রিকার্ভ পুরুষ ব্যক্তিগত ইভেন্টে আর্চার সাগর ইসলাম, শুটার রবিউল ইসলাম এবং সবশেষ ওয়াইল্ড কার্ড পেয়েছেন দেশের দ্রুততম মানব ইমরানুর রহমান।
সোমবার (১ জুলাই) বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন ও বাংলাদেশ অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশন এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
অলিম্পিকে সাতার ও অ্যাথলেটিক্স এই দুই ডিসিপ্লিনের ওয়াইল্ড কার্ড দুই খেলার বৈশ্বিক ফেডারেশন প্রদান করে। বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশন অলিম্পিকে বাংলাদেশের জন্য একটি কোটাই বরাদ্দ রেখেছিল। অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশন সেই কোটায় দ্রুততম মানব ইমরানুর রহমানের নামই প্রেরণ করেছিল।
ফলে ইমরান অলিম্পিকে খেলবেন বিষয়টি অনেকটাই নিশ্চিত ছিল। তবে আজ বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশন বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশন ও বিওএ’কে জানিয়েছে।
বাংলাদশে অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ও অলিম্পিক এসোসিয়েশনের অন্যতম সদস্য অ্যাডভোকেট আব্দুর রকিব মন্টু বলেন, ইমরানুর রহমান প্যারিস অলিম্পিকে ১০০ মিটার পুরুষ ইভেন্টে অংশগ্রহণ করবে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
খেলাধুলা
হার্দিকদের ১২৫ কোটি রুপি পুরস্কার দিবে বিসিসিআই
![হার্দিকদের ১২৫ কোটি রুপি পুরস্কার দিবে বিসিসিআই আইপিও](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/06/world-cup-sa-vs-ind1.jpg)
বিশ্বকাপ জেতায় ভারতীয় ক্রিকেট দলের জন্য ১২৫ কোটি রুপির পুরস্কার ঘোষণা করেছেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) সেক্রেটারি জয় শাহ। দলের ক্রিকেটার ও স্টাফদের মধ্যে এই অর্থ ভাগ করে দেওয়া হবে।
সামাজিক মাধ্যম এক্সে জয় শাহ লিখেছেন, ‘আমি আনন্দের সঙ্গে ঘোষণা করছি যে, ২০২৪ সালের টি-২০ বিশ্বকাপ জেতায় ভারতীয় ক্রিকেট দলকে ১২৫ কোটি রুপি অর্থ পুরস্কার হিসেবে দেওয়া হবে।’
এছাড়া বিবৃতি দিয়ে জয় শাহ রোহিত শর্মা ও দলের ক্রিকেটার এবং কোচিং স্টাফের প্রশংসা করেছেন, ‘রোহিত শর্মার অসাধারণ নেতৃত্বে এই দল দারুণ সংকল্প ও স্থিতিশীলতা দেখিয়েছে, বিশ্বের প্রথম দল হিসেবে টি-২০ বিশ্বকাপে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কীর্তি গড়েছে।’
তাদের এই জয় কোটি ভারতীয়দের জন্য উৎসাহের বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি, ‘দলটি অনেক প্রতিকূলতার মুখোমুখি হয়েছে এবং সমালোচকদের মুখ বন্ধ করে জবাব দিয়েছে। বিশ্বসেরাদের কাতারে নাম তুলেছে। এমন অর্জনে ভারতীয়রা গর্বিত হয়েছে।’
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
খেলাধুলা
ফ্রাঞ্চাইজি লিগ খেলার অনুমতি পেল সাকিবসহ ৭ ক্রিকেটার
![ফ্রাঞ্চাইজি লিগ খেলার অনুমতি পেল সাকিবসহ ৭ ক্রিকেটার আইপিও](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/04/Shakib-Mustafiz.jpg)
ভারতের জয়ের মাধ্যমে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসর শেষ হয়েছে গতকাল রাতেই। তবে, নাজমুল হোসেন শান্তর বাংলাদেশ দল সুপার এইট থেকে বাদ পড়ায় টাইগারদের বিশ্বকাপ শেষ হয়েছিল আরও কয়েকদিন আগেই। দ্বিপাক্ষিক সিরিজ এবং বিশ্বকাপের টানা খেলার ধকল শেষে বর্তমানে বিশ্রামে টাইগাররা। তবে সব টাইগার ক্রিকেটার এখনই বিশ্রামের সুযোগ পাচ্ছেন না।
সোমবার (১ জুলাই) থেকে শুরু হতে যাচ্ছে ৩টি বিদেশি ফ্রাঞ্চাইজি লিগ। সেখানে খেলার জন্য বাংলাদেশের ৭ ক্রিকেটার এনওসি (অনাপত্তিপত্র) পেয়েছেন।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সাকিব আল হাসান এবং মোস্তাফিজুর রহমানসহ সাত ক্রিকেটারের এনওসির মেয়াদ রয়েছে ৯ আগস্ট পর্যন্ত। ওই মাসেই পাকিস্তানে দুটি টেস্ট ম্যাচ খেলার জন্য বাংলাদেশ জাতীয় দলের সফর রয়েছে, যেখানে শান্ত ও সাকিবদের অংশগ্রহণ করতে হবে।
বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস গণমাধ্যমকে জানান, ‘অনেকে গ্লোবাল (কানাডা) টি-টোয়েন্টি খেলবে। গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি এবং শ্রীলঙ্কার ফ্রাঞ্চাইজি লিগে (এলপিএল) খেলবে চারজন। এনওসি পাওয়া ক্রিকেটারদের ১০ আগস্টের আগে রিপোর্ট করতে বলা হয়েছে।’
আগামী মাসে শ্রীলঙ্কা প্রিমিয়ার লিগ, আমেরিকান মেজর লিগ ক্রিকেট (এমএলসি) এবং কানাডার গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট রয়েছে। যেখানে সাকিব আল হাসান যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ ক্রিকেটে লস অ্যাঞ্জেলস নাইট রাইডার্সের হয়ে খেলবেন, যা শুরু হবে ৫ জুলাই।
মোস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদ এবং তাওহীদ হৃদয় ইতোমধ্যেই শ্রীলঙ্কা প্রিমিয়ার লিগে অংশ নিতে দেশ ছেড়েছেন। মোস্তাফিজ ও হৃদয় ডাম্বুলা সিক্সার্স এবং তাসকিন কলম্বো স্ট্রাইকার্সের হয়ে খেলবেন।
এ ছাড়া ২৫ জুলাই থেকে শুরু হতে যাওয়া কানাডার গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি লিগে বাংলা টাইগার্সের হয়ে খেলবেন সাকিব আল হাসান এবং শরিফুল ইসলাম। রিশাদ হোসেন টরোন্টো ন্যাশনালস এবং মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন মন্ট্রিয়েল টাইগার্সের হয়ে খেলবেন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
খেলাধুলা
অবশেষে ভারতের বিশ্বকাপ জয়
![অবশেষে ভারতের বিশ্বকাপ জয় আইপিও](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/06/world-cup-sa-vs-ind1.jpg)
মহেন্দ্র সিং ধোনি মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে নুয়ান কুলাসেকেরার বলে ছয় হাঁকাচ্ছেন, এটাই গত ১৩ বছর ধরে ভারতের ক্রিকেটে সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন হয়ে ছিল। একটা বিশ্বকাপের জন্য এরপর থেকে হন্যে হয়ে ঘুরেছে টিম ইন্ডিয়া। কিন্তু আসেনি। সাতমাস আগেই নিজেদের মাটিতে হেরেছিল ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনাল।
সেই আক্ষেপ মিটল নিজ থেকে বহুদূরের মাটিতে। ক্যারিবিয়ান দ্বীপ বার্বাডোজের কড়া রোদের নিচে আরেকবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত। ১৭ বছর আগে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম আসরের শিরোপা ঘরে তুলেছিল ম্যান ইন ব্লুরা। সেটা দিয়েই শিরোপার পথে নেমেছিল ধোনির ভারত। লম্বা অপেক্ষা শেষে আবারও সেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দিয়েই শিরোপাখরা ঘুচালো দলটা।
বার্বাডোজে উৎসবের মঞ্চ আগেই সাজিয়ে রেখেছিল ভারত। ১৭৬ রানের শক্ত সংগ্রহ তারা দাঁড় করায় ফাইনালের মঞ্চে। বল হাতে শুরুটাও ছিল চ্যাম্পিয়নদের মতোই। মাঝে কুইন্টন ডি কক আর হেনরিখ ক্লাসেন দাঁড়ালেন দেয়াল হয়ে। এমনকি দক্ষিণ আফ্রিকার জয়টাও ছিল সময়ের ব্যাপার।
কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার নামের পাশে যে লেগে আছে চোকার্স তকমা। ২৪ বলে ২৬ রানের সমীকরণটাই আর মেলানো হয়নি তাদের। আর্শদ্বীপ সিং আর জাসপ্রিত বুমরাহ একের পর এক ডট ডেলিভারিতে চাপ বাড়িয়েছেন। সঙ্গী ছিলেন হার্দিক পান্ডিয়া। স্নায়ুচাপের লড়াইয়ে জয় হলো ভারতেরই।
শেষ ওভারে দরকার ছিল ১৬ রান। হার্দিক পান্ডিয়ার ওই ওভারের প্রথম বলেই বাউন্ডারি লাইনে মিলারকে দুর্দান্ত এক ক্যাচে ফেরালেন সুর্যকুমার যাদব। দক্ষিণ আফ্রিকার ম্যাচ শেষ হয়ে গেল সেখানেই। শেষ ওভারে এলো ৮ রান। ব্যর্থ হলো হেনরিখ ক্লাসেনের ২৭ বলে ৫৪ রানের দুর্দান্ত সেই ইনিংস। ৭ রানের জয়ে বিশ্বকাপের নতুন চ্যাম্পিয়ন ভারত।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
খেলাধুলা
বিশ্বকাপ জয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার লক্ষ্য ১৭৭ রান
![বিশ্বকাপ জয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার লক্ষ্য ১৭৭ রান আইপিও](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/06/world-cup-sa-vs-ind.jpg)
এবারের বিশ্বকাপে বিরাট কোহলি এসেছিলেন আইপিএলের দুর্দান্ত ফর্মকে সঙ্গে নিয়ে। ওপেনার পজিশনটাও তাকে দেয়া হয়েছিলো সে কারণেই। কিন্তু আসরে কোহলিকে খুঁজে পাওয়া যায়নি সে অর্থে। ফাইনালের দিনে দরকার ছিল নিজেকে ফেরানোর। কোহলি ঠিকই নিজেকে ফিরে পেলেন। বড় ম্যাচের খেলোয়াড় কোহলি আবারও বোঝালেন কেন তিনিই প্রজন্মের সেরা ব্যাটার। ৫৯ বলে ৭৬ রান করে নিজের দলকে ঠিকই নিয়ে গিয়েছেন বড় স্কোরের কাছে।
ম্যাচের আগে রাহুল দ্রাবিড় বলেছিলেন এই মাঠে ১৭০ রানই যথেষ্ট। তার দল সেটা করেছে একদম ঠিকঠাকভাবে। ৩৪ রানে ৩ উইকেট হারানো ভারত শেষ পর্যন্ত গেল ১৭৬ পর্যন্ত। বিরাট কোহলির দুর্দান্ত ফিফটির সঙ্গে অক্ষর প্যাটেলের ৪৭ আর শিভাম দুবের ১৬ বলে ২৭ রান ভারতকে দিলো জয়ের শক্ত পুঁজি।
তবে বড় স্কোরের জন্য কিছুটা বাড়তি প্রশংসা পাবেন অক্ষর প্যাটেল। এবারের আসরে তিনি ছিলেন ভারতের বাজির কালো ঘোড়া। পুরো বিশ্বকাপে যখনই ভারত দল বিপদে পড়েছে, তখনই অক্ষরকে আগেভাগে নামিয়েছিলেন ভারত কোচ রাহুল দ্রাবিড়। ইনিংস মেরামতের কাজে অক্ষরের ওপরে আস্থা ছিল টিম ম্যানেজমেন্টের। সেটা আরও একবার হাজির হলো ফাইনালের মঞ্চে। আর অক্ষরও প্রমাণ করলেন নিজেকে। যার বিশ্বকাপের সেরা একাদশে থাকা নিয়েই কিছুটা প্রশ্ন ছিল, সেই অক্ষরই দলকে বাঁচালেন আরেকদফায়।
শুরুর ৫ ওভারেই ভারত হারিয়েছিল ৩ উইকেট। পাওয়ারপ্লেতে কেশব মহারাজের ওভারে দুই উইকেট। আর দুই ওভার বিরতি দিয়ে ৩ রানে ফিরলেন সূর্যকুমার যাদব। সেখানেই ভারতের ব্যাটিং ইউনিটের ভরাডুবি দেখেছিলেন অনেকে। কিন্তু বিরাট কোহলি আর অক্ষর প্যাটেল যেন ছিলেন ভিন্ন কিছু করার পরিকল্পনায়। দুজনের ব্যাট থেকে এলো ৫৪ বলে ৭২ রানের কার্যকরী এক জুটি।
বার্বাডোজে অক্ষর খেললেন মনে রাখার মতোই ঝকঝকে এক ইনিংস। কুইন্টন ডি ককের থ্রোতে রানআউট হওয়ার আগে ৩১ বলে করলেন ৪৭ রান। শিভাম দুবের জন্য মঞ্চ তৈরি করেই রেখেছিলেন এই অলরাউন্ডার। কোহলিও ততক্ষণে ছুটছিলেন ফিফটির পানে। দুবে কোহলির সঙ্গে করলেন ৩৩ বলে ৫৭ রানের জুটি। কোহলি পেলেন আসরের প্রথম ফিফটি।
ফিফটির পরেই কোহলি হলেন আরও বেশি বিধ্বংসী। ইনিংসের একটা পর্যায়ে টানা ৩৭ বল বাউন্ডারির দেখা পাননি কোহলি। ৪৮ বলে আসে তার পঞ্চাশ রান। এরপরেই খেললেন নিজের চেনা রূপে। ৫০ থেকে ৭৬ যেতে খেললেন মোটে ৮ বল। আউটও হয়েছিলেন সেই বড় শট খেলার তাগিদ থেকে। মার্কো জানসেনের বলে কাগিসো রাবাদার হাতে ক্যাচ দিয়ে থামে তার ইনিংস।
কোহলির উইকেটের পর খুব একটা বাকি ছিল না ইনিংসের। ভারতও সেটা খুব একটা কাজে লাগাতে পারেনি। ভারতের ইনিংসের শেষ ১৩ বলে আসলো ১৩ রান। ৭ উইকেট হারিয়ে শেষ পর্যন্ত ভারত পেল ১৭৬ রানের পুঁজি।
এমআই