জাতীয়
বেনজীরের সাভানা ইকোপার্কে টাঙানো হলো ক্রোক বিজ্ঞপ্তি

পুলিশের সাবেক প্রধান বেনজীর আহমেদের সাভানা পার্ক নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসন। সোমবার পার্কের প্রধান ফটকে টাঙানো হয়েছে ক্রোক বিজ্ঞপ্তি।
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) গোপালগঞ্জের উপ-পরিচালক মো. মশিউর রহমান পার্কের ফটকের সামনে একটি ক্রোক বিজ্ঞপ্তি টাঙিয়ে দেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাভানা পার্কে কী কী মালামাল ক্রোক করা হয়েছে তার লিপিবদ্ধ রয়েছে।
জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশনে দায়েরকৃত মামলার স্পেশাল জজের আদেশে সাভানা ইকো রিসোর্টের যাবতীয় কৃষিজমি, পুকুর জলাশয়সহ যা আছে তার সব ক্রোক করা হয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশনের উপ-পরিচালক ও সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমির) সহযোগিতায় আমরা এই ক্রোম আদেশটি জারি করেছি। জেলা প্রশাসক হিসেবে আমি দেখতে এসেছি। যে জায়গাটায় আমি সহযোগিতা দেবো সেই জায়গাটি ঘুরে দেখলাম।
কি কি সুযোগ সুবিধা আছে তার ধারণা নিলাম। এটা শুধু ক্রোক নয় এটা রক্ষণাবেক্ষণের মাধ্যমে এই রিসোর্টকে সচল করবো। এখানে ফলগাছ, পুকুর, কটেজ ও বিভিন্ন রাইড রয়েছে। সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে কিভাবে এইসব ব্যবহার উপযোগী করা যায় এবং মানুষ এসে এখানে চিত্তবিনোদন করতে পারে সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অচিরেই এই পার্কটি চালুর উদ্যোগ নেয়া হবে।
এর আগে আদালতের নির্দেশে অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে অভিযুক্ত পুলিশের সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে গোপালগঞ্জে করা সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্কে রিসিভার নিয়োগ প্রাপ্তির পরে পার্ক পরিদর্শনে করেন গোপালগেঞ্জের জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলমের নেতৃত্বে দুদক এবং জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তাদের একটি প্রতিনিধিদল।
সোমবার দুপুরে এই প্রতিনিধি দলটি পার্কটির ভেতরে প্রবেশ করে বিভিন্ন স্থাপনা ঘুরে দেখেন। এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব)ফারহানা জাহান উপমা, দুদক গোপালগঞ্জের উপ-পরিচালক মো. মশিউর রহমান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহসিন উদ্দীন, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিজন নন্দী, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (শস্য) সনজয় কুমার কুন্ড, সহকারী কমিশনার মো. সেবগাতুল্যাহ, রোন্টি পোদ্দার, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা মৎস্য অফিসার সোহেল মো. জিল্লুর রহমান রিগানসহ সরকারি অন্যান্য দফতরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গত শুক্রবার (৭ জুন) সন্ধ্যায় গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসন এবং মাদারীপুর ও গোপালগঞ্জের দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দু’টি দল পার্কে অবস্থান নেয়।
পরে পার্কের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে বেনজীর ও তার পরিবারের মালিকানাধীন সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্কের নিয়ন্ত্রণ বুঝে নেয়। ঐদিন রাত সাড়ে ১১টার দিকে পার্কের প্রধান ফটকের সামনে মাইকিং করে নিয়ন্ত্রণ নেয়ার ঘোষণা দেন গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মিজ বাবলী শবনব। এর ফলে পরের দিন শনিবার (৮জুন) থেকে সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্ক গোপালগঞ্জ ও মাদারীপুর এই দুই জেলার জেলা প্রশাসনের নির্দেশনায় চলবে।
২০১৫ থেকে ২০২০ সালে র্যাবের মহাপরিচালক এবং ২০২০ সাল থেকে থেকে ২০২২ পর্যন্ত আইজিপি থাকাকালীন গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার বৈরাগীটোল গ্রামে প্রায় ৬২১ বিঘা জমির ওপর গড়ে তোলেন সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্ক।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয়
ধর্মীয় স্বাধীনতা লঙ্ঘনের অভিযোগে স্বরাষ্ট্র সচিব-আইজিপিকে নোটিশ

পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে রাজধানীর রমনায় অনুষ্ঠিত নিরাপত্তা মহড়ায় ধর্মীয় অবস্থানকে ‘অপরাধী’ হিসেবে উপস্থাপন করায় স্বরাষ্ট্র সচিব ও পুলিশের মহাপরিদর্শককে (আইজিপি) আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) দৈনিক আল-ইহসান পত্রিকার প্রতিবেদক মুহম্মদ আরিফুর রহমানের পক্ষে তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট শেখ রেজিস্টার্ড ডাকযোগে এ নোটিশটি পাঠান।
নোটিশে বলা হয়েছে, আরটিভির ফেসবুক পেজে সম্প্রতি প্রকাশিত একটি ভিডিওতে পুলিশ মহড়ায় কিছু ব্যক্তিকে অপরাধী হিসেবে উপস্থাপন করা হয়, যারা উচ্চস্বরে বলেন, ‘পহেলা বৈশাখ মানি না’ এবং ‘পহেলা বৈশাখ ইসলামবিদ্বেষী কাজ’। এরপর পুলিশ তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালানো এবং ধরপাকড়ের দৃশ্য প্রদর্শন করে।
নোটিশে অভিযোগ করা হয়, ‘পহেলা বৈশাখ মানি না’ — এই বক্তব্যকে অপরাধ হিসেবে উপস্থাপন করা এবং সেই কারণে তাদের ‘গুলির যোগ্য’ হিসেবে চিত্রিত করা ধর্মীয় স্বাধীনতা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার গুরুতর লঙ্ঘন।
এছাড়া, নোটিশে উল্লেখ করা হয় যে, মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) মদিনায় হিজরতের পর নওরোজ ও মেহরেগান নামক প্রাক-ইসলামী উৎসব বাতিল করে ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা নির্ধারণ করেছিলেন। এই সুন্নাহ অনুসরণ করে বহু ধর্মপ্রাণ মুসলমান পহেলা বৈশাখের মতো উৎসবে অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকেন। এটি তাদের ধর্মীয় বিশ্বাস ও চর্চার অংশ, যা বাংলাদেশের সংবিধানের ২৭, ৩১ ও ৪১ অনুচ্ছেদে নিশ্চিতকৃত মৌলিক অধিকার।
নোটিশে আরও বলা হয়েছে, পুলিশের মহড়ায় প্রদর্শিত এই আচরণ বাংলাদেশ দণ্ডবিধি, ১৮৬০-এর ধারা ২৯৫(ক)-এর আওতায় ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের শামিল।
আইনি নোটিশে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক ক্ষমা প্রার্থনা, মহড়ার পরিকল্পনায় জড়িত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের কার্যক্রম বন্ধ করার দাবি জানানো হয়েছে। অন্যথায়, উচ্চ আদালতে রিট দায়েরসহ আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
বাংলাদেশ-পাকিস্তান পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠক শুরু

ঢাকায় বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) সাড়ে সকাল ১০টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় আনুষ্ঠানিকভাবে এই বৈঠক শুরু হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন পররাষ্ট্র সচিব এম জসীম উদ্দিন। আর পাকিস্তানের পক্ষে নেতৃত্ব দিচ্ছেন দেশটির পররাষ্ট্রসচিব আমনা বালুচ।
বৈঠকে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, আঞ্চলিক নিরাপত্তা, বাণিজ্য, বিনিয়োগ, কৃষি, বিমান যোগাযোগ এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।
এছাড়া পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের দেনা পাওনা নিয়েও আলোচনা উঠতে পারে।
বৈঠকে পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দারের ঢাকা সফরসূচিও চূড়ান্ত হতে পারে। চলতি মাসের শেষের দিকে ইসহাক দার ঢাকা সফর করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
বিকেল সাড় ৫ টায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বৈঠকের বিষয়ে ব্রিফিং করবেন পররাষ্ট্র সচিব এম জসীম উদ্দিন।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব বিকেলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
তারপর প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন তিনি।
দুই দেশের পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ে যোগ দিতে বুধবার (১৬ এপ্রিল) ঢাকায় আসেন আমনা বালুচ।
২০১০ সালের নভেম্বরে ইসলামাবাদে সর্বশেষ পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠক হয়েছিল। এরপর ১৫ বছর এই বৈঠক আর হয়নি। দীর্ঘ ১৫ বছর পর পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ে বৈঠক আবার শুরু হলো।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস আজ

আজ ১৭ এপ্রিল, ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস। বাংলাদেশের স্বাধীনতাসংগ্রামের ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে তৎকালীন মেহেরপুর মহকুমার বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার শপথ গ্রহণ করে। পরে এই বৈদ্যনাথতলাকেই ঐতিহাসিক মুজিবনগর নামকরণ করা হয়।
শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি, সৈয়দ নজরুল ইসলামকে উপরাষ্ট্রপতি এবং তাজউদ্দীন আহমদকে প্রধানমন্ত্রী করে মুজিবনগর সরকার গঠন করা হয়। প্রধান সেনাপতি নিযুক্ত করা হয় এম এ জি ওসমানীকে। শেখ মুজিবুর রহমানের অনুপস্থিতিতে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামকে গার্ড অব অনার প্রদান করেন ১২ জন আনসার সদস্য।
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নিরস্ত্র বাঙালি জাতির ওপর বর্বরোচিত হামলা চালানোর পর ১০ এপ্রিল আনুষ্ঠানিকভাবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার গঠন করা হয়। মুজিবনগর সরকারের সফল নেতৃত্বে ৯ মাসের সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ স্বাধীন হয়।
উল্লেখ্য, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত বছরের ৫ আগস্ট শতাধিক তরুণ-যুবক মুজিবনগর স্মৃতি কমপ্লেক্সে ঢুকে শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভেঙে ফেলেন। ‘১৭ এপ্রিলের গার্ড অব অনার’ নামে ভাস্কর্যটিসহ অন্য ভাস্কর্যগুলোতেও ভাঙচুর চালানো হয়।
মেহেরপুরের জেলা প্রশাসক সিফাত মেহনাজ গতকাল বুধবার বলেন, এবার বড় পরিসরে মুজিবনগর দিবস পালন করা হচ্ছে না। মুজিবনগর স্মৃতি কমপ্লেক্সের ভাস্কর্যগুলো আবার নির্মাণের জন্য জেলা প্রশাসন থেকে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
বাংলাদেশ-পাকিস্তান পররাষ্ট্রসচিবদের বৈঠক আজ

এক যুগের বেশি সময় পর ঢাকায় পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠকে বসতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান। পারস্পরিক বোঝাপোড়া আর রাজনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নে উভয়পক্ষের জন্য বৈঠকটি তাৎপর্যপূর্ণ।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) সকালে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় বৈঠকটি হওয়ার কথা। যেখানে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে থাকবেন পররাষ্ট্রসচিব মো. জসীম উদ্দিন। অন্যদিকে, ঢাকা সফরররত পাকিস্তানের পররাষ্ট্রসচিব আমনা বালুচ দেশটির নেতৃত্ব দেবেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, সার্বিক দ্বিপক্ষীয় বিষয়ে আলোচনা হবে। এই প্ল্যাটফর্মে কোনো বিষয় বাদ থাকে না, সব আলোচনা হয়। অগ্রগতি কী আছে, কী করার আছে বা যায়; কী কী দেওয়ার আছে বা নেওয়া যায় সবই আলোচনায় টেবিলে থাকবে। মোটা দাগে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, কানেকটিভিটি; বিশেষ করে আকাশপথে যোগাযোগ, প্রতিরক্ষা, শিক্ষা, কৃষি, মৎস্য, সংস্কৃতি, খেলাধুলাসহ বিভিন্ন খাতে সহযোগিতার মতো বিষয়গুলো গুরুত্ব পাবে।
এছাড়া, সার্ক, ওআইসি, ডি-৮ এর মতো প্ল্যাটফর্মগুলোতে আঞ্চলিক ও বহুপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার নিয়ে আলোচনা করার সুযোগ রয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এক যুগের বেশি সময় পর দুই দেশের মধ্যে ৬ষ্ঠ পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক হতে যাচ্ছে। ২০১০ সালে সর্বশেষ ইসলামাবাদে বৈঠকে বসেছিল দুই দেশের তৎকালীন পররাষ্ট্রসচিব। এছাড়া, অর্থমন্ত্রী পর্যায়ের অর্থনৈতিক কমিশনের সর্বশেষ বৈঠক হয় ২০০৫ সালে। দীর্ঘদিনের জট খোলার পর আশা করা হচ্ছে, এবারের আলোচনায় পরবর্তী অর্থনৈতিক কমিশনের বৈঠক নিয়ে কথা হবে।
ঢাকার একটি কূটনৈতিক সূত্র বলছে, আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবে দু’দেশের সম্পর্ক দৃঢ় করার প্রস্তাব। সেই সঙ্গে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক ইস্যুতে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে সমন্বয় বাড়াতে একটি যৌথ কমিশন পুনর্বহালের বিষয়টি তুলতে পারে পাকিস্তান। এছাড়া, বাংলাদেশের দিক থেকে সাংস্কৃতিক বিনিময়ের লক্ষ্যে একটি বিশেষায়িত কর্মসূচির প্রস্তাব দেওয়া হতে পারে পাকিস্তানকে।
পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে আন্তরিক বাংলাদেশ। তবে সম্পর্কের অমীমাংসিত ইস্যুগুলো ভুলে যায়নি ঢাকা। বাংলাদেশ মনে করে, ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি বাহিনীর গণহত্যার জন্য পাকিস্তানের নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়া, যুদ্ধের জন্য ক্ষতিপূরণ, আটকে পড়া পাকিস্তানিদের প্রত্যাবাসন, সম্পদের হিস্যা, ১৯৭০ সালে অবিভক্ত পাকিস্তানের ঘূর্ণিঝড়ের সময় দেওয়া বৈদেশিক সহায়তার পাওনা পরিশোধের মতো বিষয়গুলোর সুরাহা জরুরি।
অমীমাংসিত বিষয়ের সুরাহা না করে সম্পর্ক এগিয়ে নিতে বাংলাদেশ আগ্রহী নয়। ঢাকার চাওয়া, পাকিস্তান এগিয়ে আসুক। কেননা, অমীমাংসিত বিষয়ে সুরাহা যতদিন হবে না ততদিন সামনে আসবে। এ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আরেক কর্মকর্তা বলেন, পাকিস্তানের পররাষ্ট্রসচিব বলেন বা মন্ত্রী বলেন তাদের সঙ্গে আলোচনায় অমীমাংসিত বিষয় থাকে। অমীমাংসিত ইস্যু যতদিন সুরাহা না হয়, ততদিন উঠতে থাকবে; এটাতো স্বাভাবিক। আমরা তো চাই এগুলোর সুরাহা বা মিটমাট হয়ে যাক। একটা অবস্থান নিক ওরা। সম্পর্ক সামনে আগানোর জন্য ভালো হয় যদি তারা সমস্যাগুলো মিটিয়ে ফেলে।
এই কূটনীতিক বলেন, ৫৪ বছর হয়ে গেল। কিন্তু সমস্যার সমাধানতো হচ্ছে না। এখন তারা কী চায় আলোচনা করে বলুক। নতুন কিছু তো বলুক। আনুষ্ঠানিক ক্ষমার বিষয়ে ওদের অস্বস্তি আছে, সেটাতো বোঝাই যায়। এছাড়া, আটকে পড়াদের নিয়ে যাওয়া বলেন, টাকা-পয়সা বুঝিয়ে দেওয়া বলেন তারা কমফোর্টেবল হলে আগেই সব মিটে যেত। সমস্যার সমাধান হয়ে যেত অনেক আগেই। তাদের নিশ্চই কোনো একটা কিছু আছে। দেখা যায়, আলোচনা কি আসে।
সূচি অনুযায়ী, পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠক ও মধ্যাহ্নভোজ শেষে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রসচিব পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন এবং প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।
দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের সার্বিক বিষয়ে আলোচনা করতে বুধবার ঢাকায় আসেন আমনা বালুচ। বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (দক্ষিণ এশিয়া অনুবিভাগ) ইশরাত জাহান।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
বাংলাদেশকে ৭২৪ কোটি টাকা দেবে জার্মানি

জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন প্রচেষ্টায় বাংলাদেশকে ৫২ দশমিক ৫ মিলিয়ন ইউরো (প্রায় ৭২৪ কোটি টাকা) দেবে জার্মানি। বুধবার (১৬ এপ্রিল) জার্মান দূতাবাস এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকী ও বাংলাদেশে জার্মান রাষ্ট্রদূত আচিম ট্রস্টার আজ দুই দেশের সরকারের পক্ষে এই বিষয়ে একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন। এই চুক্তির আওতায় জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজিত নগর উন্নয়ন কর্মসূচি প্রকল্পের (অষ্টম) জন্য তহবিল বিতরণ করা হবে।
২০২৪ সালের ডিসেম্বরে দুই দেশের সরকারের মধ্যে স্বাক্ষরিত বাংলাদেশ-জার্মান জলবায়ু ও উন্নয়ন অংশীদারিত্ব (সিডিপি) নিয়ে যৌথ অভিপ্রায় ঘোষণার (জেডিআই) পর এটিই প্রথম তহবিল। এই তহবিলের আওতায় প্রকল্পটি স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোতে অভিযোজন সক্ষমতা জোরদার করতে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রার মান উন্নত করে ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এই তহবিল জলবায়ু-সংবেদনশীল পরিকল্পনা ও জলবায়ু অভিযোজনের জন্য অবকাঠামো প্রকল্প বাস্তবায়নেও সহায়তা করবে।
এই তহবিল জার্মান সহযোগিতা প্রকল্পের পরিপূরণ ও ভবিষ্যতে পরবর্তী প্রকল্পগুলোর জন্যও ব্যবহার করা যেতে পারে।