অর্থনীতি
দাম কমছে যেসব পণ্যের
![দাম কমছে যেসব পণ্যের ফু-ওয়াং](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/06/bedget.jpg)
২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। এবারের বাজেটে বেশ কিছু পণ্যের আমদানিতে শুল্ক কমানো হয়েছে। এতে এসব পণ্যের দাম কমছে।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় জাতীয় সংসদে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে এ বাজেট উপস্থাপন শুরু করেন অর্থমন্ত্রী।
টানা চতুর্থ মেয়াদে গঠিত বর্তমান সরকারের এটি প্রথম বাজেট এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের ২১তম বাজেট। পাশাপাশি বর্তমান অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর এটি প্রথম বাজেট।
প্রস্তাবিত বাজেটে দাম কমছে যেসব পণ্যের:
বাজেটে প্যাকেটজাত গুঁড়া দুধ আমদানিতে ২০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার করা হয়েছে। ফলে বাজারে গুঁড়া দুধের দাম কমছে। এ ছাড়া চকলেট আমদানিতে শুল্ক ২৫ শতাংশ কমছে। ফলে দাম কমছে চকলেটের। ল্যাপটপ আমদানিতে ভ্যাট প্রত্যাহার করা হচ্ছে। এতে সবমিলিয়ে পণ্যটিতে ৩১ শতাংশের পরিবর্তে ২০ দশমিক ৫০ শুল্ক-কর দিতে হবে। ফলে কমবে ল্যাপটপের দাম।
কার্পেট তৈরির প্রধান কাঁচামাল পলিপ্রোপাইলিন ইয়ার্ন আমদানির শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে। এতে দেশে তৈরি কার্পেটের দাম কমছে। অ্যাভিয়েশন খাতের উত্তরণে ইঞ্জিন-প্রপেলার আমদানিতে কমছে মূসক। ফলে উড়োজাহাজ রক্ষণাবেক্ষণে কমবে খরচ। দেশে তৈরি মোটরসাইকেলের সিকেডি ইঞ্জিনের পার্টসের আমদানি শুল্ক কমছে। এতে দেশে তৈরি মোটরসাইকেলের দাম কমবে।
রড, বার ও অ্যাঙ্গেল তৈরির কাঁচামাল ম্যাঙ্গানিজ আমদানিতে শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে। এতে লোহাজাতীয় পণ্যের দাম কমছে। বাসাবাড়িতে ব্যবহৃত সুইচ-সকেটের দাম কমছে। কারণ দেশে উৎপাদিত সুইচ-সকেট, হোল্ডার উৎপাদনে ব্যবহৃত কাঁচামালের আমদানি শুল্ক কমানো হয়েছে। ইলেকট্রিক মোটর উৎপাদনে ব্যবহৃত যন্ত্রাংশ আমদানিতে রেয়াতি সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। এ কারণে ইলেকট্রিক মোটরের দাম কমছে।
কাঁচামালের ওপর আমদানি শুল্ক কমানোয় দাম কমছে ডায়ালাইসিসের জন্য ব্যবহৃত উপকরণ ডায়ালাইসিস ফিল্টারের। সার্কিটের ওপর আমদানি শুল্ক ৯ শতাংশ কমছে। এতে কমছে ডায়ালাইসিসের খরচ। স্পাইনাল সিরিঞ্জ ও ডেঙ্গু কিটে রেয়াতি সুবিধা থাকায় এ পণ্য দুটির দামও কমছে।
‘সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অঙ্গীকার’- এবারের বাজেটের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য বাজেটের আকার চূড়ান্ত করা হয়েছে ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা, যা চলতি বাজেটের তুলনায় ৪ দশমিক ৬ শতাংশ বেশি।
চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা বাজেট ঘোষণা করেছিল সরকার। আসন্ন বাজেটে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) ধরা হয়েছে ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরের জন্য তা ছিল ২ লাখ ৬৩ হাজার কোটি টাকা।
নতুন বাজেটে সামগ্রিক ঘাটতি ধরা হয়েছে ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে সামগ্রিক ঘাটতি ধরা হয়েছিল ২ লাখ ৮৩ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। মোট রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ লাখ ৪৫ হাজার ৪০০ কোটি টাকা, যা গত অর্থবছর ছিল ৫ লাখ কোটি টাকা।
আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে জিডিপি (মোট দেশজ উৎপাদন) প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ধরা হয়েছে ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ। টাকার অংকে এটি হতে পারে ৫৫ লাখ ৯৭ হাজার ৪১৪ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরের বাজেটে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছিল ৭ দশমিক ৫ শতাংশ। পরে তা কমিয়ে সাড়ে ৬ শতাংশ করা হয়। মূল্যস্ফীতি ৬ দশমিক ৫ শতাংশের মধ্যে আটকে রাখার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে প্রস্তাবিত বাজেটে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
![](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2023/02/Logo_OS_250_72.webp)
অর্থনীতি
বিদেশি ঋণের ৩৩৬ কোটি ডলার সুদাসল পরিশোধ
![বিদেশি ঋণের ৩৩৬ কোটি ডলার সুদাসল পরিশোধ ফু-ওয়াং](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/03/Dollar-Reserve-Remittance-1.jpg)
বিদেশি ঋণ পরিশোধের চাপ আরও বেড়েছে। গত ২০২৩-২৪ অর্থবছর বিদেশি ঋণের সুদ ও আসল দুই ক্ষেত্রেই ছাড়িয়েছে অতীতের সব রেকর্ড। মোট ৩৩৬ কোটি ডলার পরিশোধ করতে হয়েছে এ বাবদ। স্থানীয় মুদ্রায় যা ৩৭ হাজার ৩০৭ কোটি টাকা। এই অর্থ দেশের আলোচিত যোগাযোগ অবকাঠামো পদ্মা সেতু কিংবা মেট্রোরেল নির্মাণ ব্যয়ের চেয়েও অনেক বেশি। এই দুটি বড় অবকাঠামো নির্মাণে ব্যয় হয় যথাক্রমে ৩২ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা ও ৩৩ হাজার ৪৭২ কোটি টাকা।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) প্রতিবেদন থেকে বিদেশি ঋণের সুদাসল পরিশোধের সর্বশেষ তথ্য জানা গেছে। গতকাল রোববার ইআরডির ওয়েবসাইটে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়।
প্রতিবেদনে দেখা যায়, গত অর্থবছর বিদেশি ঋণের সুদ পরিশোধ ২০২২-২৩ অর্থবছরের চেয়ে বেড়েছে ৪৪ শতাংশ। মোট ১৩৫ কোটি ডলার পরিশোধ করতে হয়েছে সুদ বাবদ। আগের অর্থবছর ছিল ৯৪ কোটি ডলার। স্থানীয় মুদ্রায় সুদ পরিশোধের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৯৫৫ কোটি টাকা, যা আগের অর্থবছর ছিল ৯ হাজার ৪৫২ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে বিদেশি ঋণের সুদ বাবদ ৫ হাজার ৫০৩ কোটি টাকা বেশি পরিশোধ করতে হয়েছে।
অন্যদিকে গত বছর বিদেশি ঋণের আসল পরিশোধে ব্যয় বেড়েছে ১৬ শতাংশ। পরিশোধ করা হয়েছে ২০১ কোটি ডলার। আগের অর্থবছর এটি ছিল ১৭৩ কোটি ডলারের কম। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে বিদেশি ঋণের আসল বেড়েছে ২৮ কোটি ডলার। স্থানীয় মুদ্রায় আসল পরিশোধের পরিমাণ ২২ হাজার ৩৫২ কোটি টাকা। আগের অর্থবছর এ পরিমাণ ছিল ১৭ হাজার ৩২০ কোটি টাকা। অর্থাৎ আসল পরিশোধ বেড়েছে ৫ হাজার ৩২ কোটি টাকা।
সুদ এবং আসল মিলে গত অর্থবছরে মোট পরিশোধের পরিমাণ ছিল ৩৩৫ কোটি ৭২ লাখ ডলার। আগের অর্থবছর যা ছিল ২৬৭ কোটি ডলার। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে বিদেশি ঋণের সুদাসল বাবদ পরিশোধ বেড়েছে প্রায় ৬৯ কোটি ডলার। স্থানীয় মুদ্রায় গত বছর সুদাসল বাবদ ৩৭ হাজার ৩০৭ কোটি টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। আগের অর্থবছর যা ছিল ২৬ হাজার ৭৭২ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানেই বিদেশি ঋণের সুদাসল বাবদ ১০ হাজার ৫৩৫ কোটি টাকা বেশি পরিশোধ করতে হয়েছে।
এদিকে গত অর্থবছর উন্নয়ন সহযোগীদের প্রতিশ্রুতি এবং অর্থছাড় বেড়েছে। ইআরডির প্রতিবেদন বলছে, গত অর্থবছর অর্থ ছাড়ের পরিমাণ ছিল ৯৮৬ কোটি ডলার। আগের অর্থবছর যা ছিল ৯২১ কোটি ডলার। অর্থাৎ আগের বছরের চেয়ে ৬৫ কোটি ডলার বেশি ঋণ পাওয়া গেছে।
অন্যদিকে গত অর্থবছর নতুন ঋণের প্রতিশ্রুতি বেড়েছে ১৯২ কোটি ডলার। ১ হাজার ৭২ কোটি ডলারের প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে, যা আগের অর্থবছর ছিল ৮৮০ কোটি ডলার।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে লেনদেন-ঋণ বিতরণ বেড়েছে
![এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে লেনদেন-ঋণ বিতরণ বেড়েছে ফু-ওয়াং](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2023/01/agent-banking.webp)
ব্যাংকের সঙ্গে লেনদেন (টাকা জমা ও উত্তোলন) করতে সাধারণ মানুষকে এখন জেলা বা উপজেলা শহরে যেতে হয় না। হাতের নাগালেই পাচ্ছে এজেন্ট ব্যাংকিং, যার মাধ্যমে মিলছে এসব সুবিধা। সহজেই ব্যাংকে টাকা জমা ও উত্তোলনের সঙ্গে বিভিন্ন ব্যাংকের এজেন্ট ও আউটলেট থেকে ঋণ সুবিধাও পাচ্ছেন গ্রাহক। এতে ক্রমেই বাড়ছে এজেন্টের সংখ্যা। একই সঙ্গে বাড়ছে লেনদেন, আমানত ও ঋণ বিতরণ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের মে মাসে এজেন্টগুলোর মাধ্যমে ঋণ বিতরণ করা হয়েছে ৮৬৯ কোটি ৪০ লাখ টাকা। যা তার আগের মাস এপ্রিলে হয়েছিল ৭২২ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। সেই হিসাবে এক মাসের ব্যবধানে ঋণ বিতরণ বেড়েছে ১৪৬ কোটি ৬৫ লাখ টাকা।
শহরের চেয়ে গ্রামে এসব ঋণ বিতরণের পরিমাণ বেশি। মে মাসে শহরের এজেন্টগুলো বিতরণ করেছে ৩০৪ কোটি ৭ লাখ টাকা। গ্রামের এজেন্টগুলো বিতরণ করেছে ৫৬৫ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। সে হিসাবে মাসটিতে শহরের চেয়ে গ্রামে ঋণ বিতরণ বেশি হয়েছে ২৬০ কোটি ৮২ লাখ টাকা।
প্রতিবেদন মতে, চলতি বছরের মে মাসে এজেন্ট ব্যাংকিং মাধ্যমে মোট লেনদেন হয়েছিল ৭১ হাজার ১৩৭ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। আগের মাস এপ্রিলে এজেন্ট ব্যাংকিং সেবায় লেনদেন হয়েছিল ৬৭ হাজার ৪৫৮ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। সে হিসাবে এক মাসের ব্যবধানে লেনদেন বেড়েছে ৪ হাজার ৬৭৯ কোটি ২৮ লাখ টাকা।
এসব লেনদেনের মধ্যে শহরের তুলনায় গ্রামে লেনদেন অনেক বেশি হয়েছে। আলোচিত মে মাসে শহরের এজেন্টগুলোতে লেনদেন হয়েছে ১৬ হাজার ৩৯১ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। একই সময়ে গ্রামের এজেন্টগুলোতে লেনদেন হয়েছে ৫৫ হাজার ৭৪৬ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। সে হিসাবে শহরের চেয়ে গ্রামে লেনদেন বেশি হয়েছে ৩৯ হাজার ৩৫৫ কোটি ৪৭ লাখ টাকা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের মে মাস শেষে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে মোট আমানতের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩৭ হাজার ৮৬৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। যা তার আগের মাস এপ্রিলে ছিল ৩৬ হাজার ৯৪৬ কোটি ৩০ লাখ টাকা। অর্থাৎ এক মাসের ব্যবধানে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে আমানত বেড়েছে ৯১৭ কোটি ৫৩ লাখ টাকা।
বর্তমানে দেশের ৩১ ব্যাংকে এজেন্ট ব্যাংকিং কার্যক্রম সেবা চালু রয়েছে। মে মাস শেষে এজেন্টের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৮৮৫টি। যা তার আগের মাস এপ্রিল শেষে ছিল ১৫ হাজার ৮৪০টি। এর মধ্যে শহরের এজেন্ট ২ হাজার ৪৭৭টি এবং গ্রামে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের শাখা রয়েছে ১৩ হাজার ৪০৮টি। মে মাস শেষে এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দাঁড়িয়েছে ২১ হাজার ৪৫৫টি। এপ্রিলে আউটলেটের সংখ্যা ছিল ২১ হাজার ৫১৭টিতে। এজেন্ট ও আউটলেটের প্রায় সিংহভাগই গ্রামে।
আলোচিত মে মাস শেষে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে হিসাব সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ২৮ লাখ ২৭ হাজার ৮৮৫টি। আগের মাস এপ্রিল শেষে ছিল ২ কোটি ২৫ লাখ ৩২ হাজার ১৪৭টি। সে হিসাবে এক মাসের ব্যবধানে হিসাব সংখ্যা বেড়েছে ২ লাখ ৯৫ হাজার ৭০৪টি। এর মধ্যে শহরের হিসাবের সংখ্যা ৩১ লাখ ৭৯ হাজার ৬৪টি আর গ্রামে রয়েছে ১ কোটি ৯৬ লাখ ৪৮ হাজার ৭৯১টি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
পোশাক রপ্তানিকারকদের ৭ দিনের বন্দর ডেমারেজ মওকুফ
![পোশাক রপ্তানিকারকদের ৭ দিনের বন্দর ডেমারেজ মওকুফ ফু-ওয়াং](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/05/export.jpg)
পণ্য রপ্তানিতে সহায়তা করার জন্য তৈরি পোশাক খাতের চট্টগ্রাম বন্দরে অপেক্ষমাণ কন্টেইনারগুলোর ডেমারেজ চার্জ ৭ দিনের জন্য মওকুফের নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
রোববার (২৮ জুলাই) সচিবালয়ে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর সঙ্গে বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারিং এক্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) সভাপতি এস এম মান্নান (কচি)’র নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল সাক্ষাৎ করতে এলে প্রতিমন্ত্রী এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর দেশের অর্থনীতির চালিকাশক্তি। সম্প্রতি দেশবিরোধী কর্মকাণ্ডের সময়ে চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রম চালু ছিল। ডিজিটাল সার্ভিস/ডেটা সেন্টার দুষ্কৃতিকারীরা পুড়িয়ে দেওয়ার ফলে চট্টগ্রাম বন্দর ও কাস্টমসের সার্ভারে অনলাইন সংযোগ না থাকা/ধীরগতি থাকার কারণে তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকরা নির্দিষ্ট সময়ে পণ্য খালাস করতে সক্ষম হননি।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে বন্দর ও কাস্টমসের সার্ভার চালু হওয়ার ফলে পণ্য খালাস প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে আমদানি রপ্তানি সংক্রান্ত কার্যক্রম নিরবচ্ছিন্নভাবে সম্পাদন এবং ক্রেতার নির্ধারিত লিড টাইমের মধ্যে পণ্য রপ্তানিতে সহায়তা করার জন্য তৈরি পোশাক খাতের অপেক্ষমাণ কন্টেইনারগুলোর ডেমারেজ চার্জ সাতদিনের জন্য মওকুফের নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
প্রতিনিধি দলে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রথম সহ-সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, সিনিয়র সহ-সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম, সহ-সভাপতি রাকিবুল আলম চৌধুরী, পরিচালক আশিকুর রহমান ও পরিচালক মো. মহিউদ্দিন রুবেল।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
গ্রাহক বাড়লেও লেনদেন কমেছে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে
![গ্রাহক বাড়লেও লেনদেন কমেছে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে ফু-ওয়াং](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2023/03/mobile-banking.jpg)
গত ডিসেম্বর থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস (এমএফএস) বা মোবাইল ব্যাংকিংয়ে লেনদেন ছিল ঊর্ধ্বমুখী। তবে চলতি বছরের এপ্রিল মাসে কমে লেনদেন। পরে মে মাসে আরও কমে যায়। চলতি বছরের এপ্রিল মাসের তুলনায় মে মাসে লেনদেন কমেছে ৩ হাজার ৯৭৭ কোটি টাকা। তবে এসময়ে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে নিবন্ধিত গ্রাহক বেড়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি বছরের মে মাসে মোবাইল ব্যাংকিং সেবার মাধ্যমে মোট লেনদেন হয়েছে ১ লাখ ৪০ হাজার ৯৫২ কোটি টাকা। এর আগের মাস, এপ্রিলে এমএফএসের মাধ্যমে লেনদেন হয়েছিল ১ লাখ ৪৪ হাজার ৯২৯ কোটি টাকা। সে হিসাবে এক মাসের ব্যবধানে লেনদেন কমেছে ৩ হাজার ৯৭৭ কোটি ৪১ লাখ টাকা।
আলোচিত মে মাসে এমএফএস মাধ্যমে জমা (ক্যাশ ইন) হয়েছে ৪০ হাজার ৪৮৫ কোটি টাকা। আগের মাস এপ্রিলে এমএফএসগুলোতে জমার (ক্যাশ ইন) পরিমাণ ছিল ৪১ হাজার ৭৯৬ কোটি। সে হিসাবে এপ্রিলের তুলনায় মে মাসে জমা কমেছে ১ হাজার ৩১০ কোটি ৮১ লাখ টাকা।
মে মাসে উত্তোলন (ক্যাশ আউট) হয়েছে ৪৪ হাজার ৯৫৪ কোটি টাকা। আর আগের মাস এপ্রিলে উত্তোলন (ক্যাশ আউট) হয়েছিল ৪৬ হাজার ৯৮৭ কোটি টাকা। সেই হিসাবে এমএফএস মাধ্যমে এপ্রিলের তুলনায় মে মাসে ক্যাশ আউট কম হয়েছে ২ হাজার ৩২ কোটি টাকা।
আলোচিত মে মাসে ব্যক্তি থেকে ব্যক্তির হিসাবে লেনদেন হয়েছে ৩৬ হাজার ১৬১ কোটি টাকা যা এপ্রিলে ছিল ৩৭ হাজার ৯০৪ কোটি টাকা। সে হিসাবে এপ্রিলের তুলনায় মে মাসে লেনদেন কম হয়েছে ১ হাজার ৭৪২ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। মে মাসে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বেতন-ভাতা বাবদ বিতরণ করা হয়েছে ৪ হাজার ৫১ কোটি টাকা, পরিষেবার ৩ হাজার ১৪৩ কোটি টাকার বিল পরিশোধ করা হয়েছে।
মে মাসে মোবাইল ব্যাংকিং মাধ্যমে দেশে ৭২২ কোটি টাকার প্রবাসী আয় এসেছে। আগের মাস এপ্রিলে রেমিট্যান্স আসার পরিমাণ ছিল ৮৫৬ কোটি টাকা। সেই হিসাবে এপ্রিলের তুলনায় মে মাসে প্রবাসী আয় কমেছে ১৩৩ কোটি টাকা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, মোবাইল ব্যাংকিংয়ে নিবন্ধিত গ্রাহক বেড়েছে। ২০২৪ সালের মে মাসে নিবন্ধিত গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২২ কোটি ৯৯ লাখ ১৮ হাজার ৯১৩ টি। আর আগের মাস এপ্রিলে সংখ্যাটি ছিল ২২ কোটি ৬৫ লাখ ৫ হাজার ৫৫৩টি। সে হিসাবে এক মাসের ব্যবধানে গ্রাহক সংখ্যা বেড়েছে ৩৪ লাখ ১৩ হাজার।
তথ্যমতে, নিবন্ধিত এসব হিসাবের মধ্যে পুরুষ গ্রাহক ১৩ কোটি ৩৬ লাখ ৭৩ হাজার ৬৯৭ আর নারী ৯ কোটি ৫৮ লাখ ৮৬ হাজার ২৬ জন। এসব হিসাবের মধ্যে শহরে ১০ কোটি ৯৮ লাখ ২ হাজার ৬৫৯টি এবং গ্রামে হিসাব সংখ্যা ১২ কোটি ৮৯ লাখ ৩৬ হাজার ২৬৪টি।
দেশে বর্তমানে বিকাশ, রকেট, ইউক্যাশ, মাই ক্যাশ, শিওর ক্যাশসহ নানান নামে ১৩টির মতো ব্যাংক ও প্রতিষ্ঠান এমএফএস সেবা দিয়ে যাচ্ছে। যার মাধ্যমে শুধু অর্থ পাঠানোই নয়, অনেক নতুন সেবাও মিলছে। বর্তমানে বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানির বিল পরিশোধ, কেনাকাটার বিল পরিশোধ, বেতন-ভাতা বিতরণ ও বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোসহ (রেমিট্যান্স) বিভিন্ন সেবা দেওয়া হচ্ছে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
তিনদিন চেক ক্লিয়ারিংয়ের নতুন সময়সূচি
![তিনদিন চেক ক্লিয়ারিংয়ের নতুন সময়সূচি ফু-ওয়াং](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2023/06/bangladesh-bank-4.jpg)
কারফিউ চলাকালে ২৮, ২৯ ও ৩০ জুলাই (রবি, সোমবার ও মঙ্গলবার) ব্যাংক লেনদেনের নতুন সময়সূচি ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ তিনদিন চেক ক্লিয়ারিং হাউজের নতুন সময়সূচি চলবে।
রবিবার (২৮ জুলাই) বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেমস ডিপার্টমেন্ট থেকে এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা দিয়েছে।
নির্দেশনা অনুযায়ী, বাংলাদেশ ব্যাংকে স্থাপিত রিয়েল টাইম গ্রস সেটেলমেন্ট (আরটিজিএস), স্বয়ংক্রিয় চেক নিকাশ ঘর (বাংলাদেশ অটোমেটেড ক্লিয়ারিং হাউজ-বিএসিএইচ বা ব্যাচ) এবং বাংলাদেশ ইলেকট্রনিক ফান্ডস ট্রান্সফার নেটওয়ার্ক (বিইএফটিএন) এ তিন প্ল্যাটফর্মের কার্যক্রম নতুন সময়সূচি অনুযায়ী চলবে। এসব সেবার মাধ্যমে এক শাখা থেকে অন্য শাখায় বা অন্য ব্যাংকের গ্রাহককে অর্থ পরিশোধ ও স্বয়ংক্রিয় চেক নিষ্পত্তি করে থাকে।
বিএসিএইচ-এর মাধ্যমে হাই ভ্যালু চেক (৫ লাখ টাকার বেশি) এবং রেগুলার ভ্যালু চেক (৫ লাখ টাকার কম) নিকাশ ব্যবস্থা নিষ্পত্তি করা হয়। হাই ভ্যালুর চেক ক্লিয়ারিংয়ের জন্য বেলা ১২টার মধ্যে পাঠাতে হবে। এগুলো বেলা ২টা ১৫ মিনিটের মধ্যে নিষ্পত্তি হবে। আর যেকোনো রেগুলার ভ্যালুর চেক বেলা সাড়ে ১২টার মধ্যে ক্লিয়ারিং হাউজে পাঠাতে হবে। এসব চেক বেলা ২টা ৪৫ মিনিটের মধ্যে নিষ্পত্তি হবে।
আরটিজিএস-এর গ্রাহক লেনদেন হবে সকাল ১০টা থেকে বেলা ২টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত। আন্তঃব্যাংক ট্রান্সফার ১০টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত। বাংলাদেশ ইলেকট্রনিক ফান্ডস ট্রান্সফার নেটওয়ার্ক (বিইএফটিএন) সেবা আগের নিয়মে চলবে বলে নির্দেশনায় বলা হয়েছে।
আরেক নির্দেশনায় বলা হয়, ২৮, ২৯ ও ৩০ জুলাই সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর লেনদেন হবে। ব্যাংক খোলা থাকবে বিকেল সাড়ে তিনটা পর্যন্ত। একই সঙ্গে ব্যাংক শাখাগুলোতে সব স্বাভাবিক লেনদেন চলবে।
স্বাভাবিক সময়ে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ব্যাংকে লেনদেন চলে। আর ব্যাংকের দাপ্তরিক কার্যক্রম চলে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত।
এর আগে কারফিউ ও সাধারণ ছুটির কারণে টানা তিন দিন বন্ধের পর গত ২৪ ও ২৫ জুলাই ব্যাংকগুলোর কিছু শাখা খোলে। এসব শাখায় বেলা ১১টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত সীমিত পর্যায়ে কিছু সেবা দেওয়া হয়।