অর্থনীতি
দাম কমছে যেসব পণ্যের

২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। এবারের বাজেটে বেশ কিছু পণ্যের আমদানিতে শুল্ক কমানো হয়েছে। এতে এসব পণ্যের দাম কমছে।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় জাতীয় সংসদে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে এ বাজেট উপস্থাপন শুরু করেন অর্থমন্ত্রী।
টানা চতুর্থ মেয়াদে গঠিত বর্তমান সরকারের এটি প্রথম বাজেট এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের ২১তম বাজেট। পাশাপাশি বর্তমান অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর এটি প্রথম বাজেট।
প্রস্তাবিত বাজেটে দাম কমছে যেসব পণ্যের:
বাজেটে প্যাকেটজাত গুঁড়া দুধ আমদানিতে ২০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার করা হয়েছে। ফলে বাজারে গুঁড়া দুধের দাম কমছে। এ ছাড়া চকলেট আমদানিতে শুল্ক ২৫ শতাংশ কমছে। ফলে দাম কমছে চকলেটের। ল্যাপটপ আমদানিতে ভ্যাট প্রত্যাহার করা হচ্ছে। এতে সবমিলিয়ে পণ্যটিতে ৩১ শতাংশের পরিবর্তে ২০ দশমিক ৫০ শুল্ক-কর দিতে হবে। ফলে কমবে ল্যাপটপের দাম।
কার্পেট তৈরির প্রধান কাঁচামাল পলিপ্রোপাইলিন ইয়ার্ন আমদানির শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে। এতে দেশে তৈরি কার্পেটের দাম কমছে। অ্যাভিয়েশন খাতের উত্তরণে ইঞ্জিন-প্রপেলার আমদানিতে কমছে মূসক। ফলে উড়োজাহাজ রক্ষণাবেক্ষণে কমবে খরচ। দেশে তৈরি মোটরসাইকেলের সিকেডি ইঞ্জিনের পার্টসের আমদানি শুল্ক কমছে। এতে দেশে তৈরি মোটরসাইকেলের দাম কমবে।
রড, বার ও অ্যাঙ্গেল তৈরির কাঁচামাল ম্যাঙ্গানিজ আমদানিতে শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে। এতে লোহাজাতীয় পণ্যের দাম কমছে। বাসাবাড়িতে ব্যবহৃত সুইচ-সকেটের দাম কমছে। কারণ দেশে উৎপাদিত সুইচ-সকেট, হোল্ডার উৎপাদনে ব্যবহৃত কাঁচামালের আমদানি শুল্ক কমানো হয়েছে। ইলেকট্রিক মোটর উৎপাদনে ব্যবহৃত যন্ত্রাংশ আমদানিতে রেয়াতি সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। এ কারণে ইলেকট্রিক মোটরের দাম কমছে।
কাঁচামালের ওপর আমদানি শুল্ক কমানোয় দাম কমছে ডায়ালাইসিসের জন্য ব্যবহৃত উপকরণ ডায়ালাইসিস ফিল্টারের। সার্কিটের ওপর আমদানি শুল্ক ৯ শতাংশ কমছে। এতে কমছে ডায়ালাইসিসের খরচ। স্পাইনাল সিরিঞ্জ ও ডেঙ্গু কিটে রেয়াতি সুবিধা থাকায় এ পণ্য দুটির দামও কমছে।
‘সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অঙ্গীকার’- এবারের বাজেটের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য বাজেটের আকার চূড়ান্ত করা হয়েছে ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা, যা চলতি বাজেটের তুলনায় ৪ দশমিক ৬ শতাংশ বেশি।
চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা বাজেট ঘোষণা করেছিল সরকার। আসন্ন বাজেটে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) ধরা হয়েছে ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরের জন্য তা ছিল ২ লাখ ৬৩ হাজার কোটি টাকা।
নতুন বাজেটে সামগ্রিক ঘাটতি ধরা হয়েছে ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে সামগ্রিক ঘাটতি ধরা হয়েছিল ২ লাখ ৮৩ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। মোট রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ লাখ ৪৫ হাজার ৪০০ কোটি টাকা, যা গত অর্থবছর ছিল ৫ লাখ কোটি টাকা।
আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে জিডিপি (মোট দেশজ উৎপাদন) প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ধরা হয়েছে ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ। টাকার অংকে এটি হতে পারে ৫৫ লাখ ৯৭ হাজার ৪১৪ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরের বাজেটে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছিল ৭ দশমিক ৫ শতাংশ। পরে তা কমিয়ে সাড়ে ৬ শতাংশ করা হয়। মূল্যস্ফীতি ৬ দশমিক ৫ শতাংশের মধ্যে আটকে রাখার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে প্রস্তাবিত বাজেটে।
কাফি

অর্থনীতি
বাজেট সহায়তা হিসেবে ৪০ কোটি ডলার ঋণ দিলো এআইআইবি

ক্লাইমেট রেসিলেন্স ইনক্লুসিভ ডেভেলপমেন্ট কর্মসূচির আওতায় বাংলাদেশকে ৪০ কোটি ডলার ঋণ দিয়েছে এশীয় অবকাঠামো বিনিয়োগ ব্যাংক (এআইআইবি)। দেশীয় মুদ্রায় এ অর্থের পরিমাণ ৪ হাজার ৮৮৮ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১২২.২০ টাকা ধরে)। এই ঋণ মূলত বাজেট সহায়তা হিসেবে ব্যবহার হবে।
সোমবার (২৩ জুন) বাংলাদেশ ও এআইআইবির সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মিরানা মাহরুখ এআইআইবির ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিনিয়োগ কর্মকর্তা রজত মিশ্রা ঋণ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
এ কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য হলো পরিবেশের পরিবর্তন প্রতিরোধকল্পে মজবুত ভিত্তি তৈরি। জলবায়ু নীতিমালা সংস্কারের মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষেত্রে অভিযোজন এবং প্রশমনমূলক কার্যক্রমকে আরও অগ্রসর করা। যাতে টেকসই, সহনশীল এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধির বাংলাদেশ গড়তে সহায়তা করে। গৃহীত এ ঋণ পাঁচ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ৩৫ বছরে পরিশোধযোগ্য। ঋণের সুদের হার এককালীন ০.২৫ শতাংশ পরিশোধ করা হবে।
কাফি
অর্থনীতি
লাগাতার কর্মসূচি ঘোষণা এনবিআর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যানের অপসারণসহ কয়েকটি দাবিতে লাগাতার কর্মসূচি ঘোষণা করেছে সংস্থাটির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
সোমবার (২৩ জুন) আগারগাঁওয়ের এনবিআর ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে কর্মসূচি ঘোষণা করেন তারা।
ঘোষণা অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক যাত্রীসেবা ও রপ্তানি ব্যতীত কর, কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগের সব দপ্তরে মঙ্গলবার (২৪ জুন) সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ঢাকার কর, কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগের সব দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের রাজস্ব ভবনে অবস্থান কর্মসূচি ও কলম বিরতি এবং ঢাকার বাইরে স্ব স্ব দপ্তরে অবস্থান কর্মসূচি, কলম বিরতি এবং চেয়ারম্যান ও তার দোসরদের প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করা হবে।
এ ছাড়া জারি করা প্রতিহিংসা ও নিপীড়নমূলক সব বদলি আদেশ বাতিল না হলে এবং নিপীড়নমূলক নতুন কোনো বদলির আদেশ হলে ২৫ ও ২৬ জুন দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত আন্তর্জাতিক যাত্রীসেবা ও রপ্তানি ব্যতীত কর, কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগের সব দপ্তরে কলম বিরতি, অবস্থান কর্মসূচি এবং চেয়ারম্যান ও তার দোসরদের প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, আগামী ২৭ জুনের মধ্যে বদলি আদেশ বাতিল না করা হলে এবং দেশ ও রাজস্ব ব্যবস্থাকে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টায় লিপ্ত এনবিআরের বর্তমান চেয়ারম্যানকে অপসারণ না করা হলে ২৮ জুন থেকে আন্তর্জাতিক যাত্রীসেবা ব্যতীত কর, কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগের সব দপ্তরে লাগাতার কমপ্লিট শাটডাউন চলবে।
সংবাদ সম্মেলনেএনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের সভাপতি অতিরিক্ত কমিশনার হাছান মুহম্মদ তারেক রিকাবদার ও মহাসচিব অতিরিক্ত কর কমিশনার সেহেলা সিদ্দিকা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের আহ্বানে সাড়া দিয়ে সকাল থেকে এনবিআর ভবনে কাফনের কাপড় পরে কলম বিরতি কর্মসূচি পালন করেন তারা।
এ সময় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের হাতে ‘গোলামী আইন বাতিল কর, করতে হবে’ ‘বদলির নামে প্রহসন মানি না, মানবো না’ কিংবা ‘বদলির নামে জুলুমবাজি বন্ধ করতে হবে, বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড দেখা যায়।
উল্লেখ্য, গত ১২ মে এনবিআরকে দুই ভাগ করার অধ্যাদেশ জারি করে সরকার। এর বিরোধিতা করে অবস্থান কর্মসূচি ও কলম বিরতির আন্দোলন করে এনবিআরের বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তারা। পরে আর ২৫ মে রাতে অর্থ মন্ত্রণালয় জানায়, এনবিআর বিলুপ্ত নয়, বরং এ প্রতিষ্ঠানকে ‘স্বাধীন ও বিশেষায়িত’ বিভাগের মর্যাদায় উন্নীত করা হবে। ফলে কলম বিরতির কর্মসূচি প্রত্যাহার করে এনবিআর। তবে এনবিআর চেয়ারম্যানকে অপসারণ ও চেয়ারম্যানকে অসহযোগিতা করার ঘোষণা দেয় এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ।
কাফি
অর্থনীতি
এনসিটি চালাতে ৬ মাসে ৪২ কোটি টাকা চায় চট্টগ্রাম বন্দর

বহু আলোচনা-সমালোচনার পর বেসরকারি অপারেটর সাইফ পাওয়ার টেককে বাদ দিয়ে অবশেষে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) পরিচালনা করতে চায় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। এ লক্ষ্যে আগামী ৬ মাস এনসিটি অপারেশনের জন্য ৪২ কোটি টাকা ব্যয় অনুমোদন চেয়ে মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
গত ১৯ জুন এনসিটি চট্টগ্রাম বন্দর পরিচালনার বিষয়ে অর্থনৈতিক সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদনের জন্য নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বরাবর চিঠি দেন বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এস এম মনিরুজ্জামান।
বন্দর সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের এনসিটি টার্মিনালটি বর্তমানে প্রাইভেট অপারেটরের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। আগামী ৬ জুলাই অপারেটরের কার্যাদেশের মেয়াদ শেষ হবে। উক্ত মেয়াদের পরে এনসিটি পরিচালনার বিষয়ে গত ১৮ জুন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। মন্ত্রণালয়ের ওই সভার আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে এনসিটি বন্দরের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় অপারেশনের বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়।
সিনিয়র সচিবকে দেওয়া ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, টার্মিনালটি আপাতত ৬ মাস অপারেশনের বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের ওই সভায় বিস্তারিত তথ্যাদি উপস্থাপন করা হয়। মন্ত্রণালয়ের সভার তথ্য অনুযায়ী এনসিটি টার্মিনালে বর্তমানে স্থিত কী-গ্যান্ট্রি ক্রেন (কিউজিসি), রাবার টায়ারড গ্যান্ট্রি (আরটিজি) ক্রেনসহ অন্যান্য ইক্যুইপমেন্ট পরিচালনা এবং আইটি ব্যবস্থাপনাসহ টার্মিনালটি পরিচালনায় মাসিক ৭ কোটি টাকা হারে ৬ মাসে আনুমানিক ৪২ কোটি টাকা ব্যয় হবে।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, যেহেতু এনসিটির অপারেটরের মেয়াদ আগামী ৬ জুলাই শেষ হচ্ছে, এতে বন্দরের আমদানি-রপ্তানি প্রক্রিয়া স্বাভাবিক রাখার জন্য টার্মিনালটির অপারেশন সচল রাখা অত্যাবশ্যক। উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বানের মাধ্যমে টার্মিনাল অপারেটর নিয়োগ করা সময়সাপেক্ষ, সেহেতু সরকার পাবলিক প্রকিউরমেন্ট আইন-২০০৬ এর ৬৮ ধারা অনুসারে রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজনে জনস্বার্থে ৫ কোটি টাকার ঊর্ধ্বের ক্রয়ের ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সুপারিশক্রমে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতি (ডিপিএম) প্রয়োগ করে ক্রয়কার্য সম্পন্ন করতে পদক্ষেপ নেওয়া দরকার।
চট্টগ্রাম বন্দরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) পরিচালনার দায়িত্বে থাকা বিতর্কিত অপারেটর সাইফ পাওয়ারটেককে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আগামী ৬ জুলাই প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে বন্দরের চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে। প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে আর চুক্তি নবায়ন করবে না বন্দর কর্তৃপক্ষ। সরকারের উচ্চপর্যায়ের নির্দেশনায় আপাতত নিজেদের তত্ত্বাবধানে এই টার্মিনাল অপারেট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের মুখপাত্র ও চিফ পারসোনেল অফিসার মো. নাসির উদ্দিন বলেন, এনসিটি পরিচালনায় বর্তমান অপারেটরের মেয়াদ ৬ জুলাই শেষ হবে। এরপর এনসিটির অপারেশন সচল রাখার করণীয় নির্ধারণ করতে গত ১৮ জুন মন্ত্রণালয়ে মিটিং হয়েছে। ওই মিটিংয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এনসিটি নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় অপারেশন করার বিষয়ে আলোচনা হয়।
তিনি বলেন, ‘আপাতত এনসিটি আগামী ৬ মাস বন্দর অপারেশন করবে। এজন্য ৪২ কোটি টাকা ব্যয় অনুমোদন চাওয়া হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে ওপেন টেন্ডারের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক অপারেটর নিয়োগের পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
অর্থনীতি
জ্বালানি তেলের আমদানি কর কমিয়ে ২ শতাংশ করলো সরকার

দেশের জ্বালানি খাতে কিছুটা স্বস্তি আনার লক্ষ্যে রিফাইন্ড পেট্রোলিয়াম (পরিশোধিত জ্বালানি) আমদানির ওপর আগাম কর হার সাড়ে ৭ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২ শতাংশ নির্ধারণ করেছে সরকার।
রোববার (২২ জুন) প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের চূড়ান্ত বাজেটে এই প্রস্তাব অনুমোদন পায়।
এই সিদ্ধান্তের ফলে জ্বালানি খাতে বিশেষ করে আমদানি নির্ভর পরিশোধিত জ্বালানির খরচ কিছুটা হ্রাস পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। একইসঙ্গে আমদানিকারকদের ওপর করের পূর্বব্যয় কমে আসায় জ্বালানি সরবরাহ শৃঙ্খলায় স্থিতিশীলতা বাড়বে।
বর্তমানে বিপুল পরিমাণ রিফাইন্ড পেট্রোলিয়াম পণ্য বিদেশ থেকে আমদানি করে বাংলাদেশ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সরকারের নতুন সিদ্ধান্ত দেশের শিল্প ও পরিবহন খাতেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। কারণ, জ্বালানি খরচ কমলে উৎপাদন খরচ হ্রাস পাবে এবং পরিবহন ব্যয়েও স্থিতিশীলতা আসবে।
কাফি
অর্থনীতি
১৮ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১.৮৬ বিলিয়ন ডলার

প্রবাসী আয়ের ইতিবাচক ধারা অব্যাহত রয়েছে চলতি জুন মাসেও। এই মাসের প্রথম ১৮ দিনে ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রায় ১ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন বা ১৮৬ কোটি মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ২২ হাজার ৭০০ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১২২ টাকা ধরে)। সে হিসেবে প্রতিদিন রেমিট্যান্স আসছে ১০ কোটি ৩৩ লাখ ডলার।
রবিবার (২২ জুন) বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
তথ্য বলছে, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাই থেকে জুন মাসের ১৮ তারিখ পর্যন্ত মোট ২৯ দশমিক ৩৬ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে দেশে। যা তার আগের ২০২৩-২৪ অর্থবছরের তুলনায় ২৭ দশমিক ৩ শতাংশ বেশি এসেছে। গত অর্থবছরের একই সময়ে রেমিট্যান্স এসেছিল ২৩ দশমিক শূন্য ৬ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স।
এর আগে সদ্য বিদায়ী মে মাসও দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছিল দেশে। পুরো মে মাসে এসেছিল ২৯৭ কোটি বা ২.৯৭ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স। বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২২ টাকা হিসাবে) যার পরিমাণ ছিল ৩৬ হাজার ২৩৪ কোটি টাকা। আর প্রতিদিন এসেছিল ৯ কোটি ৫৮ লাখ ডলার বা ১১৬৯ কোটি টাকা। আর দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্সে এসেছিল গত মার্চ মাসে ৩.২৯ বিলিয়ন ডলার।
২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স এসেছে, আগস্টে এসেছে ২২২ কোটি ১৩ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার, সেপ্টেম্বরে এসেছে ২৪০ কোটি ৪১ লাখ, অক্টোবরে এসেছে ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার, নভেম্বর মাসে এসেছে ২২০ কোটি ডলার, ডিসেম্বরে এসেছে ২৬৪ কোটি ডলার, জানুয়ারিতে ২১৯ কোটি ডলার এবং ফেব্রুয়ারিতে ২৫৩ কোটি ডলার, মার্চে ৩২৯ কোটি ডলার, এপ্রিলে আসে ২৭৫ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স এব সবশেষ মে মাসে এসেছে ২৯৭ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স।