পুঁজিবাজার
বিআইসিএমের প্রথম বার্ষিক পুঁজিবাজার গবেষণা সম্মেলন
বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ক্যাপিটাল মার্কেট (বিআইসিএম) কর্তৃক আয়োজিত বিআইসিএমের প্রথম বার্ষিক পুঁজিবাজার গবেষণা সম্মেলন ২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার (৫ জুন) সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় ঢাকার লা মেরিডিয়ান হোটেলে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
গবেষণা সম্মেলনের সমাপনী অধিবেশনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব মো. আবদুর রহমান খান। সমাপনী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম। এসময় স্বাগত বক্তব্য দেন বিআইসিএমের নির্বাহী প্রেসিডেন্ট ড. মোহাম্মদ তারেক।
আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব মো. আবদুর রহমান খান বলেন, যাদের দীর্ঘ মেয়াদে অর্থ প্রয়োজন তারা অর্থ নেয়ার জন্য ব্যাংকে না গিয়ে শেয়ারবাজারে আসবে, আর যারা বিনিয়োগ করবে তারা অন্য যায়গায় যে রিটার্ন পেত তার চেয়ে ভালো রিটার্ন পাবে।
তিনি আরো বলেন, বিআইসিএম পুঁজিবাজারের উপর বিভিন্ন ধরনের গবেষণা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে সময় সাপেক্ষ হলেও মানসম্পন্ন গবেষণা পরিচালনার উপর জোর দেয়ার ব্যাপারে দিকনির্দেশনা দেন তিনি।
সভাপতির বক্তব্যে বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, আমরা বিদেশি বই পড়ে শিক্ষার্থীদের পড়িয়ে থাকি এবং সে অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করে থাকি। তাই বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে গবেষণা করা প্রয়োজন এবং সেই গবেষণালব্ধ ফলাফল বিভিন্ন পর্যায়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
তিনি আরো বলেন, শুরু থেকে বিআইসিএম পুঁজিবাজারের উপর শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল। বর্তমানে গবেষণা কার্যক্রমে জোরদান করা হচ্ছে। যার অংশ হিসেবে নিয়মিত জার্নাল বের হচ্ছে। বর্তমানে জার্নাল সম্পাদনা বোর্ডে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও দেশি-বিদেশী বিভিন্ন স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও গবেষক রয়েছেন। সুতরাং গবেষণার মান উন্নত হলে উক্ত গবেষণা হতে প্রাপ্ত ফলাফল থেকে পরবর্তী নির্দেশনা পাওয়া যাবে। তাই তিনি গবেষণা কার্যক্রম আরো বাড়ানোর উপর গুরুত্বারোপ করেন।
এর আগে সকাল সাড়ে ১১ টায় গবেষণা সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এর কমিশনার মোহাম্মদ মোহসীন চৌধুরী ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. নাহিদ হোসেন। বিআইসিএমের সহকারী অধ্যাপক ও গবেষণা সেমিনারের সমন্বয়ক কাশফীয়া শারমিনের উপস্থাপনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ইন্সটিটিউটের নির্বাহী প্রেসিডেন্ট ড. মোহাম্মদ তারেক।
উদ্বোধনী সেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, বালাদেশের মতো উদীয়মান অর্থনীতির পুঁজিবাজারে নানান প্রতিবন্ধকতা দেখা দেয়। যার মধ্যে অন্যতম হলো বাজারে অংশগ্রহণকারী তথা বিনিয়োগকারীদের মধ্যে সঠিক জ্ঞানের স্বল্পতা, তারল্য সংকট, ভালো কোম্পানি তালিকাভুক্ত না হওয়া ইত্যাদি। উক্ত প্রতিবন্ধকতা মোকাবেলায় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। পাশাপাশি সংশ্লিষ্টদের প্রশিক্ষিত করণে এবং বিনিয়োগকারীদের জ্ঞান বৃদ্ধিতে বিআইসিএম প্রশিক্ষণ ও গবেষণা কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। এ ধরনের গবেষণা কার্যক্রমে বাজারে স্থিতিশীলতা আনয়নে সহায়ক ভূমিকা রাখবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএসইসির কমিশনার মোহাম্মদ মোহসীন চৌধুরী বলেন, এই সম্মেলনটি বিআইসিএমের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক, কারণ আমরা প্রথম বারের মতো পুঁজিবাজার বিষয়ক গবেষণা কার্যক্রম নিয়ে ধারণা বিনিময় করার জন্য একত্রিত হয়েছি। আমাদের মূল লক্ষ্য দেশের আর্থিক বাজারের উন্নয়নে সহায়ক কার্যক্রমকে তরান্বিত করা।
আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. নাহিদ হোসেন বলেন, পুঁজিবাজারের উন্নয়নে সঠিক ও সময়োপযোগী জ্ঞান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পুঁজিবাজারের উপর গবেষণাধর্মী এ ধরনের আয়োজন সরকারি অর্থায়নে পরিচালিত বিআইসিএম এর সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে।
তিনি বলেন, বিআইসিএম এর একটি সমৃদ্ধ গবেষণা টিম রয়েছে। যাদের গবেষণা লব্ধ জ্ঞান একটি স্থিতিশীল পুঁজিবাজার গঠনে সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারে। একইসাথে একটি গবেষণা আর্কাইভ গঠনে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
বিআইসিএমের নির্বাহী প্রেসিডেন্ট ড. মোহাম্মদ তারেক বলেন, বিআইসিএম দেশের পুঁজিবাজারকে সমৃদ্ধ করার লক্ষ্যে গবেষণা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে আজ বিআইসিএমের প্রথম বার্ষিক পুঁজিবাজার গবেষণা সম্মেলন আয়োজন করা হয়েছে।
তিনি জানান, আজকের এই গবেষণা সম্মেলনের জন্য দেশ-বিদেশের বিভিন্ন স্থান হতে ৪৪টি প্রবন্ধ জমা পড়েছে। সম্মেলনে উপস্থাপনের জন্য এর মধ্য থেকে সেরা ১০টি প্রবন্ধ বাছাই করা হয়েছে। এ ধরনের গবেষণা সম্মেলন দেশের পুঁজিবাজারকে আরো বেশি সমৃদ্ধ করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
দুপুর ২টায় গবেষণা সম্মেলনের প্রথম সেশন অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক ড. এম সাদিকুল ইসলাম। বিকাল সাড়ে ৫টায় গবেষণা সম্মেলনের দ্বিতীয় সেশন অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন শান্তা এসেট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডের ভাইস চেয়ারম্যান আরিফ খান।
সম্মেলনে উপস্থাপিত মোট ১০টি প্রবন্ধ থেকে প্রথম সেরা গবেষণা উপস্থাপনা পুরস্কার পান নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. নূরুল কবির ও ২য় সেরা গবেষণা উপস্থাপনা পুরস্কার পান হামদর্দ বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের প্রভাষক ইমরান খান।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে বিআইসিএম কর্তৃক প্রকাশিত ‘জার্নাল অব ফাইন্যান্সিয়াল মার্কেটস অ্যান্ড গভন্যান্স’ এ প্রকাশিত প্রবন্ধগুলো থেকে সেরা প্রবন্ধ পুরস্কার প্রদান করা হয়। প্রথম ভলিউম থেকে পুরস্কারপ্রাপ্ত হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকিং ও বিমা বিভাগের অধ্যাপক ড. রাদ মুজিব লালন ও ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার তানভীর মাহমুদ এবং দ্বিতীয় ভলিউম থেকে পুরস্কারপ্রাপ্ত হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহমুদ ওসমান ইমাম ও বিআইসিএমের সহকারী অধ্যাপক ফয়সাল আহমেদ খান। বিআইসিএমের গবেষণা কার্যক্রমকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি) এ পুরস্কারের অর্থায়ন করে।
অনুষ্ঠানে অন্যাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএসইসির কমিশনার ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ ও কমিশনার ড. রুমানা ইসলাম, ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ডের (সিএমএসএফ) চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ লিমিটেডের (ডিএসই) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হাফিজ মো:.হাসান বাবু, আইসিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সুবর্ন বড়ুয়া প্রমূখ।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
মূলধন হারালো ১২ হাজার কোটি টাকা, সূচক কমলো ১৫৭ পয়েন্ট
দেশের পুঁজিবাজারে চলতি সপ্তাহে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে লেনদেন হয়েছে। এতে সপ্তাহ ব্যবধানে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন কমেছে প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকা। ডিএসইর সাপ্তাহিক হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
তথ্য মতে, সপ্তাহ ব্যবধানে ডিএসইর বাজার মূলধন কমেছে ১ দশমিক ৭৭ শতাংশ বা ১১ হাজার ৯৫৯ কোটি টাকা। চলতি সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৬২ হাজার ৭১৯ কোটি টাকা। এর আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে এ মূলধন ছিল ৬ লাখ ৭৪ হাজার ৬৭৮ কোটি টাকা।
চলতি সপ্তাহে কমেছে ডিএসইর সবকটি সূচকও। প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১৫৭ দশমিক ৭৫ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৯৫ শতাংশ। এছাড়া ডিএসই-৩০ সূচক কমেছে ৬৭ দশমিক ৩৬ পয়েন্ট বা ৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ। আর ডিএসইএস সূচক কমেছে ৩৭ দশমিক ৯৬ পয়েন্ট বা ৩ দশমিক ১৯ শতাংশ।
সূচকের পতনের পাশাপাশি ডিএসইতে কমেছে লেনদেনের পরিমাণও। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৩২৯ কোটি ২ লাখ টাকা। এর আগের সপ্তাহে মোট লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ৭৭০ কোটি ১০ লাখ টাকা। এক সপ্তাহে লেনদেন কমেছে ৪৪১ কোটি ৮ লাখ টাকা।
এদিকে, প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন কমেছে ৮৮ কোটি ২২ লাখ টাকা বা ১৫ দশমিক ৯২ শতাংশ। চলতি সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৪৬৫ কোটি ৮০ লাখ টাকা। এর আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছিল ৫৫৪ কোটি ২ লাখ টাকা।
সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে ৩৮২টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ৭২ টি কোম্পানির, কমেছে ২৮৭টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
লোকসান বেড়েছে ৯ গুণ, লভ্যাংশ দেবে না জিএসপি ফাইন্যান্স
গত ৩০ জুন, ২০২৪ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য লভ্যাংশ সংক্রান্ত তথ্য ঘোষণা করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠান জিএসপি ফাইন্যান্স লিমিটেড। আলোচ্য বছরের জন্য কোম্পানিটির বিনিয়োগকারীদের কোনো লভ্যাংশ দেওয়া হবে না।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে সর্বশেষ হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর লভ্যাংশ সংক্রান্ত এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, সর্বশেষ বছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ৯ টাকা ৭৬ পয়সা লোকসান হয়েছে। আগের বছর শেয়ার প্রতি ১ টাকা ০৬ পয়সা লোকসান হয়েছিল। তাতে কোম্পানিটির লোকসান ৯ গুণের বেশি বেড়েছে।
গত ৩০ জুন, ২০২৪ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ১৮ টাকা ০৫ পয়সা।
লভ্যাংশ সংক্রান্ত তথ্য অনুমোদনে আগামী ২৯ ডিসেম্বর কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ১২ ডিসেম্বর।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
জনতা ইন্স্যুরেন্সের আয় বেড়েছে ৭৬ শতাংশ
গত ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ তারিখে সমাপ্ত তৃতীয় প্রান্তিকের (জুলাই’২৪-সেপ্টেম্বর’২৪) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বীমা খাতের প্রতিষ্ঠান জনতা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর তা প্রকাশ করা হয়। কোম্পানি সূত্রে সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩০ পয়সা। গত বছর একই সময়ে কোম্পানিটির আয় হয়েছিল ১৭ পয়সা। অর্থাৎ আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় কোম্পানিটির আয় বেড়েছে ৭৬ শতাংশ।
হিসাববছরের প্রথম তিন প্রান্তিক মিলিয়ে তথা ৯ মাসে (জানুয়ারি’২৪-সেপ্টেম্বর’২৪) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৪৮ পয়সা। গত বছরের একই সময়ে তা ১ টাকা ৩১ পয়সা ছিল।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য ছিল ১৫ টাকা ১৯ পয়সা।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
সিলকো ফার্মার আয় বেড়েছে ৫৪ শতাংশ
গত ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ তারিখে সমাপ্ত প্রথম প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি সিলকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর তা প্রকাশ করা হয়।
কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৭ পয়সা। গত বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি ১১ পয়সা আয় হয়েছিল। অর্থাৎ আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় কোম্পানিটির আয় বেড়েছে ৫৪ শতাংশ।
সমাপ্ত প্রথম প্রান্তিক শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ২২ টাকা ৮৪ পয়সা।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
লোকসানে এনার্জিপ্যাক, দেবে না লভ্যাংশ
গত ৩০ জুন, ২০২৪ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য লভ্যাংশ সংক্রান্ত তথ্য ঘোষণা করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন পিএলসি। আলোচ্য বছরের জন্য কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের কোন লভ্যাংশ দেবে না।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর লভ্যাংশ সংক্রান্ত এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ৫ টাকা ১৮ পয়সা। আগের বছর শেয়ার প্রতি ৭৫ পয়সা আয় হয়েছিল।
গত ৩০ জুন, ২০২৪ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছর শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য ছিল ৩৭ টাকা ৪৫ পয়সা।
লভ্যাংশ সংক্রান্ত তথ্য অনুমোদনের জন্য আগামী ২২ ডিসেম্বর কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ১৫ ডিসেম্বর।
এমআই