আন্তর্জাতিক
নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলে বিজেপি ২৪০, কংগ্রেস ৯৯

ভারতের লোকসভা নির্বাচনের ৫৪২টি আসনে চূড়ান্ত ফল ঘোষণা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৪ জুন) মধ্যরাতে দেশটির নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ফলাফলে দেখা গেছে, ২৪০টিতে জয় পেয়েছে নরেন্দ্র মোদির ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। আর ৯৯টি আসনে জয় পেয়েছে প্রধান বিরোধীদল ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল কংগ্রেস। ফলে এবার একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানোর ঝুঁকিতে রয়েছে মোদির বিজেপি। তাই সরকার গঠনে জোটই মোদির একমাত্র ভরসা। খবর এনডিটিভি ও টাইমস অব ইন্ডিয়া।
কমিশনের ওয়েবসাইটে দেখা গেছে, বিজেপি আর কংগ্রেস ছাড়া সমাজবাদী পার্টি (এসপি) ৩৭টি, তৃণমূল কংগ্রেস ২৯টি, ডিএমকে ২২টি, তেলেগু দেশম পার্টি (টিডিপি) ১৬টি, জনতা দল (জেডি-ইউ) ১২টি, শিবসেনা (উদ্ভব) নয়টি, ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি (এনসিপিএসপি) সাতটি ও শিবসেনা (এসএইচএস) সাতটি আসনে জয় পেয়েছে। এছাড়া সাতটি আসনে জয়ের পাশাপাশি একটি আসনে এগিয়ে রয়েছে এনসিপিএসপি।
কমিশনের ওয়েবসাইটে আরও দেখা গেছে, পাঁচটি আসন পেয়েছে লোক জনশক্তি পার্টি (রাম বিলাস)। চারটি করে আসনে জয় পেয়েছে কমিউনিস্ট পার্টি অব ইন্ডিয়া (মার্ক্সিস্ট)- সিপিআই (এম), ওয়াইএসআরসিপি ও রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি)। এছাড়া আম আদমি পার্টি, ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (জেএমএম) ও ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লীগ (আইইউএমএল) তিনটি করে আসন পেয়েছে। পাশাপাশি অনেকগুলো দল দুটি করে এবং অনেকগুলো একটি করে আসন পেয়েছে।
দেশটির গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, সবশেষ নির্বাচনে মাত্র ৯৪টি আসনে জিতেছিল কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন জোট। আর কংগ্রেস এককভাবে পেয়েছিল ৫২টি আসন। অর্থাৎ এবারের নির্বাচনে বিস্ময়কর উন্নতি হয়েছে ভারতের প্রাচীনতম রাজনৈতিক দলটির। ওই নির্বাচনে বিজেপি এককভাবে ৩০৩ আসনে জয় পেয়েছিল। আর বিজেপির নেতৃত্বাধীন জোট এনডিএ ৩৫২ আসনে জয় পায়। তবে এবারের নির্বাচনে বিজেপি সবচেয়ে বেশি আসন পেলেও সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় আসন পায়নি। সেক্ষেত্রে এনডিএ জোট শরিকদের ওপর নির্ভর করতে হবে বিজেপিকে।
এমআই

আন্তর্জাতিক
মালয়েশিয়ায় ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনা, নিহত ১৫

মালয়েশিয়ার উত্তরাঞ্চলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বহনকারী বাস একটি মিনিভ্যানে ধাক্কা দিলে অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছেন বলে স্থানীয় উদ্ধারকারী সংস্থাগুলো জানিয়েছে।
সোমবার (৯ জুন) ভোররাতে থাইল্যান্ড সীমান্তের কাছে ব্যস্ত ইস্ট-ওয়েস্ট হাইওয়েতে এই দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলেই ১৩ জন মারা যান এবং হাসপাতালে নেওয়ার পর আরও ২ জনের মৃত্যু হয়। এই দুর্ঘটনায় আরও ৩১ জন আহত হয়েছেন।
পেরাক রাজ্যের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ জানায়, এ সময় বাসটি উল্টে যায় এবং মিনিভ্যানটি খাদে পড়ে যায়।
তারা আরও জানায়, কিছু যাত্রী নিজেরাই বাস থেকে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হন, কেউ কেউ বাস থেকে ছিটকে পড়েন এবং অনেকেই ভেতরে আটকে পড়েন।
উদ্ধারকর্মীরা জানান, বাসের ভেতর থেকে কয়েকজনকে বের করতে হাইড্রোলিক কাটার ব্যবহার করতে হয়েছে।
মালয়েশিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনার হার অনেক বেশি। দেশটির দ্য স্টার পত্রিকা মার্চ মাসে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছিল, মালয়েশিয়ার ব্যস্ত সড়কগুলোতে গড়ে প্রতি দুই ঘণ্টায় একজন মানুষের মৃত্যু ঘটে।
আন্তর্জাতিক
ঈদে দুবাইয়ে কমেছে স্বর্ণের দাম

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বাজারে কমেছে সোনার দাম। এর আগে, দুবাইয়ে এক গ্রাম সোনার দাম ৩৭৮ দিরহাম ছিল। সেখান থেকে তা কমে হয়েছে ৩৬৯ দশমিক ২৫ দিরহাম।
শনিবার (৭ জুন) এই তথ্য জানিয়েছে দুবাইভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজ।
গত বৃহস্পতিবারের তুলনায় প্রতি গ্রামে চার দিরহাম করে সাশ্রয় করতে পারছেন ক্রেতারা।
গালফ টাইমসকে এক ব্যবসায়ী বলেন, সবার মনে একটা কথাই ঘুরপাক খাচ্ছিল-সপ্তাহান্তে বৈশ্বিক বাজার বন্ধ হওয়ার আগেই দাম ৩৬৭ বা ৩৬৮ দিরহামে নেমে আসবে কি না।
তিনি বলেন, অতটা না কমলেও আমি মনে করছি ৩৬৯ দশমিক ৭৫ দিরহাম দামও ঈদে ক্রেতাদের স্বস্তি দেবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা মনে করি আরব আমিরাতের স্বর্ণ-অলঙ্কারের বাজার ও দোকানগুলোতে আজ ও আগামীকাল দুর্দান্ত ব্যবসা হবে। সোনার দাম ৩৭০ দিরহাম বা তারচেয়েও বেশি হলে এতটা বিক্রি হতো না।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ঈদের আগের কয়েক সপ্তাহে দুবাইর সোনার দোকানগুলোতে ক্রেতার ভিড় একেবারেই ছিল না। ৩৭০ দিরহামের ওপরে দাম থাকাই এর মূল কারণ বলে তারা উল্লেখ করেন।
কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, ক্রেতারা ঈদ উপলক্ষে মূল্যছাড়ের অপেক্ষায় ছিলেন।
তবে অনেকেই বলেন, ভবিষ্যতেও সোনার দাম গ্রামপ্রতি ৩৭০ দিরহামের ওপরে থাকলে বিক্রি কম থাকবে।
গতকাল শনিবারের মতো আজ রোববারও স্বর্ণের দোকানগুলো ব্যস্ত থাকবে বলে মনে করছেন স্বর্ণ ও অলঙ্কার বিক্রেতারা। শনিবার সন্ধ্যা নাগাদ বিক্রি বাড়তে শুরু করে। ব্যস্ত শপিং মল ও হাইপারমার্কেটের দোকানগুলোতেও সপ্তাহান্তে ক্রেতার ভিড় বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
অপরদিকে ঈদুল আজহার আগে বাংলাদেশের বাজারে স্বর্ণের দাম বেড়েছে। শুক্রবার থেকে নতুন দর কার্যকর হয়েছে।
বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির (বাজুস) সংবাদ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, শুক্রবার থেকে প্রতি ভরি বা ১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম স্বর্ণের দাম এক লাখ ৭২ হাজার টাকা হয়েছে, যা আগে ছিল এক লাখ ৬৯ হাজার টাকা।
আন্তর্জাতিক
অ্যাপ ব্যবহারকারীদের ১০ শতাংশ ছাড় দেবে জাজিরা এয়ারওয়েজ

আন্তর্জাতিক রুটে যাতায়াতকারীদের জন্য বিশেষ অফার নিয়ে এসেছে কুয়েতভিত্তিক জাজিরা এয়ারওয়েজ। প্রতিষ্ঠানটি ঘোষণা করেছে, তাদের মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করে টিকিট বুক করলে যাত্রীরা সব ফ্লাইটে ১০ শতাংশ মূল্যছাড় উপভোগ করতে পারবেন।
এই অফারটি শুধুমাত্র অ্যাপে বুকিংয়ের জন্য প্রযোজ্য এবং ব্যবহার করতে হবে নির্ধারিত প্রোমো কোড J9APP10। অফারটি চলবে ৯ জুন পর্যন্ত। তবে এই সময়ের মধ্যে টিকিট কাটলে যাত্রার সময়সীমা থাকবে ১৫ জুন থেকে ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত।
এ বিষয়ে জাজিরা এয়ারওয়েজ জানিয়েছে, তাদের অ্যাপ ব্যবহারকারী যাত্রীরা যেন আরও সহজে ও কম খরচে আন্তর্জাতিক গন্তব্যে ভ্রমণ করতে পারেন, সে লক্ষ্যেই এই মূল্যছাড়ের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। অফারটি পেতে অ্যাপটি গুগল প্লে স্টোর বা অ্যাপ স্টোর থেকে ডাউনলোড করে বুকিং সম্পন্ন করতে হবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই।
এয়ারলাইনের পক্ষ থেকে আরো জানানো হয়েছে, শর্তাবলী প্রযোজ্য এবং বিস্তারিত তথ্য জাজিরা এয়ারওয়েজের অফিসিয়াল অ্যাপে পাওয়া যাবে।
আন্তর্জাতিক
দ্রুত ডুবে যাচ্ছে বিশ্বের বৃহত্তম শহরগুলো

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বদলে যাচ্ছে পৃথিবীর আবহাওয়া ও প্রকৃতি। বৈশ্বিক উষ্ণায়নের খেসারত দিতে হচ্ছে কম-বেশি কম দেশকে। বাদ পড়ছে না উন্নত বিশ্বও। এই সমীক্ষায় বেরিয়ে এসেছে, সমুদ্রের উচ্চতা বেড়ে যাবার কারণে দ্রুত ডুবে যাচ্ছে পৃথিবীর বড় শহরগুলো।
জাকার্তার বাসিন্দা ৩৭ বছর বয়সী আর্না আজ যে ঘরে থাকেন, সেই বাড়ির জানালা এক সময় তার বুকের সমান উচ্চতায় ছিল। এখন তা হাঁটুর নিচে। বারবার বন্যা মোকাবেলা করতে গিয়ে পরিবারটিকে মেঝেতে এক মিটার পর্যন্ত কংক্রিট জমা করতে হয়েছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তার বাড়ি যেমন নিচে নামছে, তেমনি বাড়ছে পানিবন্দি জীবনের দুর্বিষহ অভিজ্ঞতা। মাঝেমধ্যে এমনও হয়েছে—নৌকায় ঘরের ভেতরে চলাফেরা করতে হয়েছে।
আর্নার শহর জাকার্তা পৃথিবীর সবচেয়ে দ্রুত ডুবে যাওয়া শহরগুলোর একটি। উত্তর জাকার্তায় তার বাড়ি এখন রাস্তার চেয়েও অনেকটা নিচু। মসজিদ, খেলার মাঠ, এমনকি পুরনো বন্দর—সবই এখন জলের নিচে।
এ একক ঘটনা নয়। নানইয়াং টেকনোলজিক্যাল ইউনিভার্সিটির এক গবেষণায় দেখা গেছে, এশিয়া, আফ্রিকা, ইউরোপ ও আমেরিকার ৪৮টি উপকূলবর্তী শহর আশঙ্কাজনক গতিতে ভূমি ধসে পড়ছে। জাতিসংঘের জনসংখ্যা উপাত্ত ব্যবহার করে বিবিসি হিসাব করেছে, এসব শহরের অন্তত ৭ কোটি ৬০ লাখ মানুষ এমন এলাকায় বসবাস করে যেখানে প্রতি বছর গড়ে এক সেন্টিমিটার বা তার চেয়েও বেশি ভূমি ধস হয়।
চীনের তিয়ানজিন শহরে ২০২৩ সালে ভূমিধসের কারণে তিন হাজার মানুষকে বহুতল ভবন থেকে সরিয়ে নেয়া হয়। এ শহরের কিছু অংশ ২০১৪ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে প্রতি বছর ১৮ দশমিক ৭ সেন্টিমিটার পর্যন্ত ডেবে গেছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর সবচেয়ে বড় কারণ হলো অতিরিক্ত মাত্রায় ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলন। এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় দ্রুত জনসংখ্যা বৃদ্ধি, নগরায়ণ এবং পানি সরবরাহ ব্যবস্থার অপ্রতুলতা এ প্রবণতা আরো তীব্র করে তুলছে। ফলে ঘন ঘন বন্যা, লবণাক্ত পানি অনুপ্রবেশ, পানির মানের অবনতি এবং কৃষিজমির ক্ষয় দেখা দিচ্ছে।
বিশেষ করে নদীবাহিত বদ্বীপ অঞ্চলে গড়ে ওঠা শহরগুলো যেমন জাকার্তা, ব্যাংকক, হো চি মিন সিটি ও সাংহাই—সবচেয়ে ঝুঁকিতে। প্রায় অর্ধেক জাকার্তা এখন সমুদ্রপৃষ্ঠের নিচে। শহরটির ভৌগোলিক অবস্থান এমন এক স্থানে, যেখানে ১৩টি নদী এসে সমুদ্রে মিশেছে।
এ সংকটের মুখে ইন্দোনেশিয়া সরকার নতুন রাজধানী ‘নুসান্তারা’ নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়েছে, যা বর্নিও দ্বীপে অবস্থিত। এখানে বিশাল জলাধার ও পানি বিশুদ্ধকরণ ব্যবস্থা তৈরি করে ভূগর্ভস্থ পানির ওপর নির্ভরতা কমানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তবে এ প্রকল্পটি সমালোচিত এর বিশাল ব্যয় (৩৪ বিলিয়ন ডলার) ও পরিবেশগত প্রভাব নিয়ে।
আফ্রিকার লাগোস শহরেও একই সমস্যা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, যখন শহরে দেয়ালগুলো উঁচু হতে থাকে, তখন ‘বোল ইফেক্ট’ তৈরি হয়, যা বৃষ্টির পানি আটকে ফেলে এবং তা সাগরে ফেরত যেতে পারে না। ফলে বন্যা বাড়ে। জাকার্তা ও হো চি মিন সিটি এরই মধ্যে পাম্পিং স্টেশন তৈরি করেছে, কিন্তু এটি মূল কারণকে সমাধান করে না।
অন্যদিকে, জাপানের টোকিও এ সংকটের কার্যকর সমাধান খুঁজে পেয়েছে। ১৯৭০-এর দশকে তারা ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলনের ওপর কড়া নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে। পানির ব্যবস্থাপনায় আধুনিক প্রযুক্তি গ্রহণ করে। এর ফলে শহরের ভূমি ধস প্রায় সম্পূর্ণরূপে নিয়ন্ত্রণে এসেছে।
জাপানের অভিজ্ঞতা দেখায়, যথাযথ পরিকল্পনা, শক্তিশালী নীতিমালা এবং সমন্বিত পানি ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সংকট মোকাবেলা সম্ভব। কিন্তু সেটি করতে হলে প্রয়োজন রাজনৈতিক সদিচ্ছা, বিনিয়োগ এবং ভবিষ্যতের প্রতি দায়বদ্ধতা। নাহলে পৃথিবীর আরো অনেক শহর ধীরে ধীরে হারিয়ে যাবে জলমগ্ন ইতিহাসে।
আন্তর্জাতিক
ঈদ উপলক্ষে ৬৪৫ কয়েদিকে ক্ষমা করে দিলেন ওমানের সুলতান

ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা উপলক্ষে ৬৪৫ জন কারাবন্দিকে ক্ষমা করেছেন মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ওমানের সুলতান হাইথাম বিন তারিক। ক্ষমাপ্রাপ্ত কারাবন্দিদের মধ্যে ওমানি নাগরিকদের পাশাপাশি বেশ কয়েকজন বিদেশি নাগরিকও আছেন।
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) সুলতানের দপ্তর থেকে দেওয়া এক বিবৃতি থেকে জানা গেছে এ তথ্য। খবর গালফ নিউজের।
মুক্তিপ্রাপ্ত কয়েদিদের মধ্যে কতজন বিদেশি নাগরিক আছেন, তা উল্লেখ করা হয়নি বিবৃতিতে। তবে, বলা হয়েছে যে এই বিদেশিদের শিগগিরই নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে।
১৯৫৫ সালে জন্ম নেওয়া হাইথাম বিন তারিক ওমানের সিংহাসনে আরোহন করেন ২০২০ সালে। তিনি একইসঙ্গে ওমানের সুলতান এবং প্রধানমন্ত্রী। সিংহাসনে আরোহনের আগে তিনি ওমানের ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
বৃহস্পতিবারের রাজকীয় বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মাননীয় সুলতান মানবিক মূল্যবোধের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তারই প্রতিফলন হলো ঈদুল আজহার আগে ৬ শতাধিক কারাবন্দির মুক্তি। এদের মধ্যে যারা বিদেশি নাগরিক, তাদের রাষ্ট্রীয় খরচে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ওমান সবসময়েই দয়া, ঐক্য এবং সামাজিক সংহতিতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়। মাননীয় সুলতান মুক্তিপ্রাপ্ত কয়েদি এবং তাদের পরিবার-পরিজনদের ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।