রাজনীতি
তারেক রহমান দুর্নীতি ও দুঃশাসনের বরপুত্র: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বিএনপির দুর্নীতি-দুঃশাসনের বরপুত্র হচ্ছে তারেক রহমান। আর তাদের মুখপাত্র হচ্ছে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। চোরের মায়ের বড় গলা কথাটি তার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
মঙ্গলবার (৪ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ উন্নয়নে জননেত্রী শেখ হাসিনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আমাদের দেশে আদালত স্বাধীনভাবে কাজ করে এবং আমাদের দেশের দুর্নীতি দমন কমিশনও স্বাধীনভাবে কাজ করে। কাগজে দেখলাম মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব কারও কারও রেফারেন্স দিয়ে বলেছেন, এরাই হচ্ছে আওয়ামী লীগের শাসনের মুখ। বিএনপির দুঃশাসন একটু মনে করিয়ে দিতে চাই। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবের কাছেও একটু তুলে ধরতে চাই, আপনারা যখন ক্ষমতায় ছিলেন, বাংলাদেশ পরপর পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। চারবার এককভাবে চ্যাম্পিয়ন, আর একবার হয়েছে যুগ্মভাবে।
‘আর আপনাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের (তারেক) বিরুদ্ধে এফবিআই এসে সাক্ষ্য দিয়ে গিয়েছে। তার (তারেক) এবং তার ছোট ভাই আরাফাত রহমান কোকোর দুর্নীতির টাকা বিদেশ থেকে ফেরত আনা হয়েছে। ২১ আগস্ট হামলার কারণে এবং দুর্নীতির কারণে তার (তারেক) সাজা হয়েছে। খালেদা জিয়ারও শাস্তি হয়েছে দুর্নীতির কারণে। আপনাদের দুর্নীতি-সন্ত্রাসের মুখ হচ্ছে তারেক রহমান। বিএনপির দুর্নীতি-দুঃশাসনের বরপুত্র তারেক রহমান। আর তাদের মুখপাত্র হচ্ছে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। চোরের মায়ের বড় গলা কথাটি তার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। ’
তিনি আরও বলেন, আমরা অত্যন্ত স্বচ্ছতার সঙ্গে দেশ পরিচালনা করছি। কেউ দুর্নীতি, অন্যায়, অনিয়ম করলে বিচার হয় আমাদের দেশে। আর আপনারা যখন ক্ষমতায় ছিলেন, তখন আপনারা হাওয়া ভবন প্রতিষ্ঠা করে দুর্নীতি এবং দুঃশাসনকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছিলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নিউইয়র্কে জাতিসংঘের মহাসচিবের সঙ্গে আমার বৈঠক হয়। তিনি তখন আমাকে বললেন, তোমরা তো তোমাদের অঞ্চলে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অর্থনৈতিকভাবে সবচেয়ে এগিয়ে। কিন্তু আজকে যখন দেশ এগিয়ে যায় তখন বিএনপি-জামায়াত এবং কিছু কিছু নামধারী বিশেষজ্ঞ-বুদ্ধিজীবী পরিচয়ধারী, তারা কোনো কিছু দেখতে পায় না। তারা শুধু সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করে চলেছে। কোনো উন্নয়ন হলেই তারা সেখানে কিন্তু খোঁজে। কিছু নামধারী বুদ্ধিজীবী সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালায়।
আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বলেন, আজকে আমি আপনাদের মাধ্যমে বলবো, চোরের মায়ের এখন বড় গলা। দুর্নীতি দুঃশাসনের বরপুত্র তারেক রহমানের মহাসচিবেরও আজ বড় গলা। সুতরাং সবাইকে আজকে একটু সাবধান হতে হবে। নির্বাচনে হেরে গিয়ে এখন তারা নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। লাভ হবে না, সব ষড়যন্ত্র আমরা আল্লাহর রহমতে মোকাবিলা করেছি। ভবিষ্যতেও সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে দেশ এগিয়ে যাবে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
শেখ হাসিনার ৭৮তম জন্মদিন আজ, নেই কোনো আয়োজন
সদ্য ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৮তম জন্মদিন আজ। ১৯৪৭ সালের এই দিনে (২৮ সেপ্টেম্বর) তিনি গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন।
গত প্রায় ১৫ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকাকালে সাধারণত শেখ হাসিনা জাতিসংঘের অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্কে থাকতেন তার জন্মদিনে। সেখানেই নেতাকর্মীদের নিয়ে জন্মদিনের কেক কাটতেন।
এছাড়া থাকত নানা আয়োজন। দেশেও আওয়ামী লীগ পালন করত নানা আনুষ্ঠানিকতা। তবে এবারের জন্মদিনের চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন। নেই কোনো আনুষ্ঠানিকতা।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ভারতে আশ্রয় নেওয়া শেখ হাসিনা এখনো সেখানেই রয়েছেন। দলের নেতাকর্মীরাও বেশির পালিয়ে কিংবা আত্মগোপনে আছেন। আওয়ামী লীগ অনেকটা ছন্নছাড়া অবস্থায় রয়েছে। ফলে কোথাও আওয়ামী লীগ সভাপতির জন্মদিনের কোনো আয়োজনের খবর পাওয়া যায়নি।
শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বেগম শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের বড় সন্তান। তিনি ঢাকার আজিমপুর বালিকা বিদ্যালয় থেকে ১৯৬৫ সালে মাধ্যমিক, ১৯৬৭ সালে ইন্টারমিডিয়েট গার্লস কলেজ (বর্তমান বদরুন্নেসা কলেজ) থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাস করেন। ওই বছরেই তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে অনার্সে ভর্তি হন এবং ১৯৭৩ সালে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন।
শেখ হাসিনা ইন্টারমিডিয়েট গার্লস কলেজে পড়ার সময় ছাত্র সংসদের সহসভাপতি নির্বাচিত হন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সদস্য এবং রোকেয়া হল শাখার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
ছাত্রলীগের নেত্রী হিসেবে তিনি আইয়ুববিরোধী আন্দোলন এবং ৬ দফা আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন।১৯৬৮ সালে পরমাণু বিজ্ঞানী ড. ওয়াজেদ মিয়ার সঙ্গে শেখ হাসিনার বিয়ে হয়।
১৯৭৫ সালে সপরিবারে বঙ্গবন্ধু নিহত হওয়ার আগে ছোট বোন শেখ রেহানাসহ শেখ হাসিনা ইউরোপ যান। তিনি সেখানে অবস্থানকালে সপরিবারে বঙ্গবন্ধু নিহত হন। তাৎক্ষণিকভাবে দেশে ফেরার পরিস্থিতি না থাকায় তিনি ইউরোপ ছেড়ে স্বামী-সন্তানসহ ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয় নেন।
১৯৮১ সালের ১৩ থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে তাকে দলের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। ওই বছরেরই ১৭ মে ছয় বছরের প্রবাস জীবনের অবসান ঘটিয়ে বাংলাদেশে ফিরে আসেন তিনি।
শেখ হাসিনা ১৯৯৬, ২০০৮, ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে প্রধানমন্ত্রীর পদ দখল করে টানা চার মেয়াদ ধরে ক্ষমতায় থাকাকালে তিনি স্বৈরাচারী শাসকের খেতাব পান। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে তিনি পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
কোটা আন্দোলনে নারীদের উপর হামলাকারীদের খোঁজে সমন্বয়করা
জুলাই বিপ্লবে নারীদের ওপর হামলাকারীদের খুঁজে বের করতে নতুন বার্তা দিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা। ১৫ এবং ১৬ জুলাই কোটা সংস্কারের এক দফা দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর হামলা করেছিল ছাত্রলীগ। সে সময়ের হামলাকারীদের খুঁজতে নতুন পদক্ষেপ নেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা।
শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) হামলায় প্রতিবাদ ও হামলাকারীদের খুঁজে বের করতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এ সংক্রান্ত নতুন পোস্ট করেন সমন্বয়করা।
ইতোমধ্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ এ সংক্রান্ত নতুন পোস্ট করেন তার ফেসবুক ওয়ালে। তার ঠিক ঘণ্টাখানেক পর অন্যতম আরেক সমন্বয়ক আব্দুল কাদেরও হামলাকারীদের খুঁজে বের করতে নতুন পোস্ট দেন।
ফেসবুক পোস্টে আব্দুল কাদের লিখেছেন, শুক্র-শনি দুই দিন, নারীর উপর হামলাকারীদের সন্ধান দিন।
পোস্টটির কমেন্টে গিয়ে তিনি আরও লেখেন, শিগগিরই আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে, আপনারা তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করুন।
এদিকে, ফেসবুক পোস্টে হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে হাসনাত আব্দুল্লাহ লিখেছেন, শুক্র-শনি দুই দিন নারীদের উপর হামলাকারীদের সন্ধান দিন।
পোস্টটির কমেন্টে গিয়ে তিনি আরও লেখেন, জুলাই বিপ্লবে নারীদের উপর হামলার বিভিন্ন ঘটনা বা ছবি শেয়ার করুন আজকে। এই হ্যাশট্যাগ ও জনসংযোগ কর্মসূচি দেশব্যাপী ছড়িয়ে দিয়ে নারীদের উপর হওয়া জুলুমের প্রতিবাদ গড়ে তুলতে সহায়তা করুন।
তাদের এ ধরনের উদ্যোগকে অনেকেই প্রশংসা করছেন। অনেকে মন্তব্য করছেন- এ কাজ আরও আগে থেকে শুরু করার দরকার ছিল।
এদিকে, ১৫ জুলাই কোটা সংস্কার আন্দোলনের বিক্ষোভ সমাবেশে হামলা করেছিল ছাত্রলীগ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ভবনের সামনে ছাত্রলীগের হামলায় অন্তত ৫০ আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। আহতের সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে বলে আন্দোলনকারী কয়েকজন শিক্ষার্থী জানিয়েছেন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ চান না শিবির সভাপতি
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, আমরা ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ চাই না, আমরা যৌক্তিক সংস্কার চাই।
শুক্রবার (২৭) সকালে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার আলাউদ্দিন নগর শিক্ষা পল্লী পার্কের অডিটোরিয়ামে এক সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে আমাদের জোড়ালো আবেদন বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের প্রণীত শিক্ষা ব্যবস্থাকে পরিবর্তন করে খুব দ্রুত নতুন আলোকে শিক্ষা ব্যবস্থা প্রণয়ন করতে হবে।
এ ছাড়া, ছাত্রশিবিরের প্রতিটি কর্মীকে পড়াশোনার পাশাপাশি সুন্দর রাষ্ট্র গঠনে নিজ নিজ স্থান থেকে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- কেন্দ্রীয় জামায়াতের সূরা সদস্য ও কুষ্টিয়া জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক আবুল হাশেম, ছাত্র শিবিরের কেন্দ্রীয় শিক্ষা সম্পাদক সুহাইল।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
গণহত্যাকারীদের রাজনীতি করার অধিকার নেই: জামায়াত আমির
আওয়ামী লীগকে ইঙ্গিত করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, গণহত্যাকারীদের রাজনীতি করার অধিকার নেই। কেননা রাজনীতি করতে হবে দেশের মানুষের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করে, বাইরের কারও সাহায্য নিয়ে নয়।
শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে খুলনার সোনাডাঙ্গাস্থ আল ফারুক সোসাইটিতে আয়োজিত রুকন সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, রাজনৈতিক দলসহ সকল স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে সংস্কার ও নির্বাচনের রোডম্যাপ তৈরি করে যৌক্তিক সময়ের মধ্যে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দিয়ে সম্মানের সঙ্গে সরকারকে বিদায় নিতে হবে।
বিডিআর বিদ্রোহের নামে ৫৭ জন চৌকস সেনাসদস্য হত্যাসহ দেশের সব হত্যাকাণ্ডের বিচার এবং এর মাস্টারমাইন্ডদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়ে জামায়াতের আমির বলেন, তা না হলে আবারও জালিমদের আগমন হতে পারে, তৃতীয় শক্তির উদ্ভব হতে পারে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে যা বললেন ড. ইউনূস
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ভবিষ্যতে নিজেই নির্বাচনে অংশ নেবেন কি না, তা নিয়ে ছিল নানা আলোচনা। এবার বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন তিনি। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে অংশ নিতে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন ড. ইউনূস। অধিবেশনের ফাঁকে স্থানীয় সময় বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস আয়োজিত ‘ক্লাইমেট-ফরোয়ার্ড’ নামের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি।
অনুষ্ঠানে জলবায়ু পরিবর্তন, শেখ হাসিনাকে বিচারের মুখোমুখি করা ও নির্বাচন আয়োজনসহ বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা।
নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, গেল আগস্টে ছাত্র বিপ্লবের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে বাংলাদেশ একটি বড় অস্থিরতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।
প্রতিবেদন মতে, নির্বাচন সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে ড. ইউনূস বলেন, ‘বাংলাদেশে কবে নির্বাচন হবে এর কোনো সময়সীমা তার কাছে নেই। যেসব কমিশন গঠন করা হয়েছে, তারা আগামী মাসে তাদের সংস্কার সুপারিশ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। তারপরই বাংলাদেশ নির্বাচনের জন্য একটি তারিখ নির্ধারণ করবে।’
যদিও এর আগে, নির্বাচন কবে অনুষ্ঠিত হতে পারে সে বিষয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের সঙ্গে কথা বলেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।
প্রতিবেদনে বলা হয়, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ক্ষমতায় আসা অন্তর্বর্তী সরকারের নেয়া মূল সংস্কার কাজগুলো সম্পন্ন করতে সাহায্য করার জন্য ‘যাই হোক না কেন’ অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থন করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বাংলাদেশের সেনাপ্রধান, যাতে ‘আগামী ১৮ মাসের মধ্যে’ দেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে।
এদিকে বর্তমানে ভারতে থাকা শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণ করা উচিত কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে ড. ইউনূস বলেন, কেন উচিত নয়? যদি সে অপরাধ করে থাকে, তাকে প্রত্যর্পণ এবং বিচারের আওতায় আনা উচিত।
প্রধান উপদেষ্টার নিজের নির্বাচন করার কোনো সম্ভাবনা আছে কি না, এমন এক প্রশ্নের জবাবে ড. ইউনূস বলেন, আমাকে দেখে আপনার মনে হয় নির্বাচন করব? আমি নির্বাচন করব না।
জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে ড. ইউনূস বলেছেন, ধনী দেশগুলোর সৃষ্ট জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতির বোঝা বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোর বহন করা উচিত নয়।
তিনি আরও বলেন, ‘যেসব ধ্বংস আমাদের ওপর চাপিয়েছে (ধনীরা), তার ভার কেন আমরা বহন করব? তারা কারণ, আমরা ফলাফল।’
এমআই