আন্তর্জাতিক
ভোট গণনার দিনে ভারতের শেয়ারবাজারে বড় পতন
ভারতে লোকসভা নির্বাচনে চলছে ভোট গণনা। স্থানীয় সময় সকাল আটটায় শুরু হয়েছে ভোট গণনা। প্রাথমিকভাবে পাওয়া ফলে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট এগিয়ে রয়েছে তিন শতাধিক আসনে। আর বিরোধী ‘ইন্ডিয়া’ জোট এগিয়ে দুই শতাধিক আসনে। এদিকে ভোট গণনার দিনে ভারতের শেয়ারবাজারে সূচকের ব্যাপক পতন হয়েছে বলে জানা গেছে।
স্টক একচেঞ্জের ওয়েবসাইট ঘুরে জানা যায়, বাংলাদেশ সময় সকাল ১০টা ৫০ এ দেশটির শেয়ারবাজারে এনএসই নিফটি ৫০ সূচক ৪৯১ পয়েন্ট কমেছে। এসঅ্যান্ডপি বিএসই সেনসেক্স সূচকও পতন হয়েছে ১৭৬০ পয়েন্ট। যদিও দুই দিন আগে বুথ ফেরত জরিপের ফল আসার পর শেয়ারবাজারে ব্যাপক উত্থান দেখা যায়।
প্রসঙ্গত, এপ্রিল মাসের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে দেশটির লোকসভার ৫৪৩টি আসনের নির্বাচন সাত ধাপে অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে কোনো দল বা জোটকে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে হলে কমপক্ষে ২৭২টি আসনে জিততে হবে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় নির্বাচন বলে পরিচিত এই প্রক্রিয়ায় প্রায় ১০০ কোটি মানুষ ভোটার ছিলেন, যার মধ্যে ৬৪ কোটি ২০ লাখ মানুষ ভোট দিয়েছেন বলে দেশটির নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
চীনের কাছে ৫০০ কোটি ডলার ঋণ চায় বাংলাদেশ
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পতন ঠেকাতে চীনের কাছে ৫০০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ চায় বাংলাদেশ। এ বিষয়ে দু’পক্ষের মধ্যে আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। গত মঙ্গলবার (২ জুলাই) মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এ কথা জানিয়েছেন তিনি।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর জানান, ঋণের অর্থ চীনা মুদ্রা ইউয়ানে গ্রহণ করা হবে। এই অর্থ চীন থেকে পণ্য আমদানির ব্যয় মেটাতে ব্যবহার করতে পারবে বাংলাদেশ। ঋণের আলোচনা এখনো কারিগরি পর্যায়ে রয়েছে বলে জানিয়েছেন আব্দুর রউফ তালুকদার।
চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের শক্তিশালী বাণিজ্যিক ও সামরিক সম্পর্ক রয়েছে। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক অংশীদারও চীন। তবে দেশটি থেকে বাংলাদেশের পণ্য আমদানির পরিমাণ রপ্তানির তুলনায় অন্তত ১০ গুণ বেশি। এটি দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর বাড়তি চাপ তৈরি করছে বলে মনে করা হয়। ২০২৩ সালে চীন থেকে প্রায় ১ হাজার ৬০০ কোটি ডলারের পণ্য আমদানি করেছিল বাংলাদেশ।
আব্দুর রউফ তালুকদার বলেছেন, আমরা যদি এই ঋণ পাই, এটি আমাদের দুটি উপায়ে সাহায্য করবে: আমরা ইউয়ানে কিছু চীনা পেমেন্ট নিষ্পত্তি করতে পারবো; দ্বিতীয়ত, এটি আমাদের রিজার্ভ বাড়াতে সাহায্য করবে, কারণ ইউয়ান আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) অনুমোদিত একটি রিজার্ভ মুদ্রা।
ব্লুমবার্গের খবর অনুসারে, করোনাভাইরাস মহামারির সময় থেকে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ধারাবাহিকভাবে কমছে। গার্মেন্টস পণ্যের রপ্তানি কমে যাওয়া এবং ভোগ্যপণ্যের দাম ক্রমাগত বাড়তে থাকাকে এর প্রধান কারণ বলে মনে করা হয়।
গত বছর আইএমএফের কাছ থেকে ৪৭০ কোটি ডলার ঋণপ্রাপ্তি নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। কিন্তু এরপরও রপ্তানি খাত চাপের মধ্যে রয়েছে এবং আমদানিকারকরা ডলার পেতে সমস্যায় পড়ছেন। ক্রমাগত রিজার্ভ কমায় গত মে মাসে বাংলাদেশের ক্রেডিট স্কোর আরও কমিয়েছে ফিচ রেটিংস।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী,গত ৩০ জুন পর্যন্ত বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ২ হাজার ১৮০ কোটি ডলার, যা দিয়ে আড়াই মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব। ২০২৭ সালের জুন মাসের মধ্যে আমদানি ব্যয় মেটানোর সক্ষমতা ৩ দশমিক ৬ মাসে নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়েছে আইএমএফ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর জানিয়েছেন, আগামী সেপ্টেম্বর মাসের পর থেকে দেশে বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ বাড়বে বলে আশা করছেন তিনি। কারণ এই সময়ের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ সুদের হার কমানোর কথা রয়েছে।
আব্দুর রউফ তালুকদারের মতে, যুক্তরাষ্ট্র সুদের হার কমালে বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল বাজারে অর্থপ্রবাহ বাড়বে। অন্যদিকে, ভোগ্যপণ্যের দামও প্রাক-কোভিড পর্যায়ে ফিরে আসবে, এর ফলে আমদানি ব্যয় মেটাতে ডলারের চাহিদা কমবে।
আগামী সপ্তাহে বেইজিং সফরে যাচ্ছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে ঋণের বিষয়ে আলোচনা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
প্রথম শীর্ষ নারী বিচারপতি পেলো লাহোর হাইকোর্ট
পাকিস্তানের সবচেয়ে জনবহুল প্রদেশ পাঞ্জাবের রাজধানী লাহোরের হাইকোর্টের শীর্ষ বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বিচারপতি আলিয়া নীলম। তার এই নিয়োগের মাধ্যমে এই প্রথম কোনো নারী শীর্ষ বিচারপতি পেল লাহোর হাইকোর্ট।
গতকাল মঙ্গলবার পাকিস্তানের আইন ও বিচার মন্ত্রণলয়ের অধীন সংস্থা জুডিশিয়ালি কমিশন অব পাকিস্তানের (জেসিপি) বৈঠকে লাহোর হাইকোর্টের শীর্ষ বিচারপতি হিসেবে আলিয়া নীলমকে নিয়োগ দানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রধান বিচারপতি কাজি ফায়েজ ইসা সেই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।
বৈঠকে আলিয়া নীলমের নাম প্রস্তাব করেছিলেন কাজী ফায়েজ ইসা নিজেই। তার চেয়ে যোগ্য অপর কোনো প্রার্থী না থাকায় প্রধান বিচারপতির এই প্রস্তাব মেনে নেন জেসিপির অন্যান্য সদস্যরা।
লাহোর হাইকোর্টের জ্যেষ্ঠ বিচারপতিদের তালিকায় আলিয়া নীলম তৃতীয় স্থানে রয়েছেন। তার সামনে প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন যথাক্রমে বিচারপতি মালিক শেহজাদ আহমেদ খান এবং বিচারপতি শহীদ বিলাল হাসান। দুজনই সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে পদোন্নতি পেয়েছেন। আলিয়ার আগে লাহোর হাইকোর্টের শীর্ষ বিচারপতি ছিলেন মালিক শেহজাদ আহমেদ খান।
বিচারপতি আলিয়া নীলমের জন্ম পাঞ্জাবে, ১৯৬৬ সালের ১২ নভেম্বর। ১৯৯৫ সালে পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি পাসের পরের বছর থেকে লাহোর হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবে পেশাগত ক্যারিয়ার শুরু করেন তিনি।
২০০৮ সালে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হিসেবে নথিভুক্ত হন বিচারপতি আলিয়া। কয়েক বছর সেখানে কাটানোর পর জুনিয়র বিচারপতি হিসেবে ২০১৩ সালে ফের লাহোর হাইকোর্টে যোগ দেন।
এলএলবি’র পাশাপাশি রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর এবং আইন ও বিচার সংক্রান্ত একাধিক বিষয়ে ডিপ্লোমা ডিগ্রি রয়েছে তার। ২০১৩ সালে লাহোর হাইকোর্টে বিচারপতি হিসেবে যোগদানের পর থেকে ফৌজাদি, দেওয়ানি ও সন্ত্রাসবাদ সংক্রান্ত বহু মামলার বিচার পরিচালনার সঙ্গে যুক্তছিলেন তিনি। এছাড়া নারী ও শিশুর ওপর সহিংসতা সংক্রান্ত বেশ কিছু মামলার বিচারকাজে নেতৃত্ব দেওয়ার কৃতিত্ব তার রয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
ভারতে পদদলিত হয়ে ১২১ মৃত্যু, গ্রেফতার হতে পারেন ভোলে বাবা
ভারতের উত্তর প্রদেশে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান শেষে পদদলিত হয়ে অন্তত ১২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরো অনেকে। মঙ্গলবার বিকেলে উত্তর প্রদেশের হাথরস জেলায় নারায়ণ সাকার হরির একটি প্রার্থনা অনুষ্ঠানে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নারায়ণ সাকার হরি ওরফে সাকার বিশ্ব হরি ওরফে ভোলেক বাবাকে খুঁজছে পুলিশ। এরই মধ্যে তার আশ্রমে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, যে কোনো সময় তাকে গ্রেফতার করা হতে পারে।
স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, হিন্দুদের দেবতা শিবের পূজা উপলক্ষে হাথরসের রতি ভানপুর গ্রামে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। অনুষ্ঠান শেষে লোকজন সেখান থেকে বের হওয়ার জন্য হুড়োহুড়ি শুরু করলে পদদলিত হয়ে এ মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
আলীগড় রেঞ্জের পুলিশের মহাপরিদর্শক সলভ মাথুর বুধবার সকাল পর্যন্ত ৭ শিশুসহ কমপক্ষে ১২১ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করেছেন। নিহত ব্যক্তিদের বেশির ভাগই নারী। আহত অনেকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে জানান তিনি।
এদিকে, আজ বুধবার (৩ জুলাই) যে কেনো সময় ঘটনাস্থলে যেতে পারেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। এরই মধ্যে তিনি এ ঘটনার তদন্তের জন্য বিশেষ কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন। কমিটির নেতৃত্বে রয়েছেন আগরার অতিরিক্ত ডিজিপি। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এ দুর্ঘটনায় আয়োজকদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।
হাথরসের জেলা প্রশাসক আশিষ কুমার সাংবাদিকদের বলেন, অতিরিক্ত জনসমাগমের কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। আলিগড় শহরের বিভাগীয় কমিশনার চৈত্র ভি বলেন, অনুষ্ঠানের সময় সেখানে ছিল তীব্র গরম। গরমে অতিষ্ঠ মানুষজন অনুষ্ঠান শেষে পানির জন্য একযোগে ছোটাছুটি শুরু করেন। এতে কাদাপানিতে একজনের ওপর অন্যজন পড়ে আহত হন। পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় অনেকের।
ভোলে বাবা দাবি করেন, তিনি একসময় ভারতের গোয়েন্দা বিভাগে (আইবি) চাকরি করতেন। ২৬ বছর আগে ধর্ম পালনের জন্য তিনি সেই সরকারি চাকরি ছেড়ে দেন বলে দাবি তার। বর্তমানে ভোলে বাবার লাখো অনুসারী রয়েছে। ভারতজুড়ে তাঁর অনুসারী ছড়িয়ে–ছিটিয়ে আছেন। তবে উত্তর প্রদেশ, হরিয়ানা, উত্তরাখন্ড, রাজস্থান ও দিল্লিতে ভোলে বাবার অনুসারী বেশি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
আসামে ভয়াবহ রূপ নিয়েছে বন্যা, নিহত ৩৫
বড় ধরনের বন্যার মুখে পড়েছে ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসাম। ব্রহ্মপুত্রসহ কয়েকটি নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে। ফলে হু হু করে পানি ঢুকছে বেশ কিছু জায়গায়। চলতি এই বন্যায় এ পর্যন্ত ৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আসামের পাশাপাশি অরুণাচল প্রদেশেও পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাচ্ছে।
আসাম স্টেট ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটি জানিয়েছে— এখন পর্যন্ত আসামে বন্যা কবলিত জেলার সংখ্যা ১৯। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন প্রায় সাড়ে ৬ লাখ মানুষ। এ ছাড়া অরুণাচলের সীমান্ত এলাকার দিকে ভূমিধসের ফলে দুই রাজ্যের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাপকভাবে ব্যাহত হয়েছে।
এদিকে ৫ জুলাই পর্যন্ত আসামে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে।
ব্রহ্মপুত্র ছাড়া আরও যেসব নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে যাচ্ছে সে নদীগুলো হলো— সুবানসিরি, দিখৌ, দিসাং, বুড়িদিহিং, জিয়া-ভারালি, বেকি এবং কুশিয়ারা।
সোমবার এক বিবৃতিতে আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা বলেছেন, পার্শ্ববর্তী অরুণাচল প্রদেশে ব্যাপক বর্ষণ ও তার ফলে সৃষ্টি পাহাড়ি ঢল এই বন্যার জন্য দায়ী। তিনি আরও বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ’র সঙ্গে ইতোমধ্যে টেলিফোনে কথা হয়েছে তার এবং কেন্দ্রীয় সরকার আসামকে যাবতীয় সহায়তা ও সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস দিয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
কুয়েতে বাংলাদেশিসহ ৭৫০ প্রবাসী গ্রেপ্তার
কুয়েতে গত ৩০ জুন শেষ হয় সাধারণ ক্ষমার মেয়াদ। সাধারণ ক্ষমার সুযোগ গ্রহণ না করে দেশটিতে এখনও বিভিন্ন দেশের ৮৫ হাজার অবৈধ অভিবাসী রয়ে গেছে। অবৈধ অভিবাসীদের ও আবাসিক আইন লঙ্ঘনকারীদের গ্রেপ্তার করতে মাঠে নেমেছে নিরাপত্তা বাহিনী। দেশটির বিভিন্ন এলাকায় চলমান রয়েছে গ্রেপ্তার অভিযান।
দেশটি স্থানীয় গণমাধ্যমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে উল্লেখ করা হয় সোমবার (১ জুলাই) ভোর রাতে এবং সন্ধ্যায় প্রবাসী অধ্যুষিত কুয়েতে বিভিন্ন এলাকাগুলোতে এ অভিযান পরিচালনা করে স্থানীয় প্রশাসন। অভিযানে বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন দেশের ৭৫০ জন প্রবাসীকে গ্রেপ্তার করেছে কুয়েতের নিরাপত্তা বাহিনী।
কুয়েতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে স্থানীয় ইংরেজি দৈনিক আরব টাইমস জানিয়েছে, কুয়েতে ১ লাখ ২০ হাজার অবৈধ অভিবাসী রয়েছেন। তাদের মধ্যে সাধারণ ক্ষমার সুযোগ গ্রহণ করেছেন মাত্র ৩৫ হাজার।
রেসিডেন্সি অ্যাফেয়ার্স জেনারেল ডিপার্টমেন্টের সহকারী পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাজিয়াদ আল-মুতাইরি প্রবাসীদের সতর্ক করে বলেছেন, বর্ধিত সময়সীমা শেষ হয়ে গেলে কোনো আইন লঙ্ঘনকারী পালিয়ে থাকতে পারবেন না। রেসিডেন্সি অ্যাফেয়ার্স ইনভেস্টিগেশন, ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন, পাবলিক সিকিউরিটি এবং রেসকিউ সার্ভিসেস বিভাগ থেকে নিরাপত্তাকর্মীরা এই অভিযানে অংশ নেবেন। প্রয়োজনে বিশেষ বাহিনীর সহায়তা নেয়া হবে।
তিনি বলেন, অভিযান ২৪ ঘণ্টা চালানো হবে। যাদের গ্রেপ্তার করা হবে, তাদের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং সংশ্লিষ্ট দেশের দূতাবাসগুলোতে আঙুলের ছাপ নেয়ার পাশাপাশি আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে এবং তাদের কুয়েত থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে। আইন লঙ্ঘনকারীদের যারা আশ্রয় দেবেন, তাদের বিরুদ্ধেও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে কর্তৃপক্ষ।
বাংলাদেশ অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে বাড়ানো হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা। আবাসিক ও বাণিজ্যিক এলাকার প্রবেশপথে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। কুয়েতজুড়ে এমন নিরাপত্তা অভিযান শুরু হওয়ার পর আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
এর আগে ২০১৮ সালে ১৫ থেকে ১৭ হাজার অবৈধ অভিবাসী বাংলাদেশির মধ্যে সাধারণ ক্ষমার সুযোগ গ্রহণ করেছিলেন প্রায় ৮ হাজার জন। করোনাভাইরাস মহামারির সময় ২০২০ সালে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার অবৈধ অভিবাসী বাংলাদেশি সাধারণ ক্ষমার আবেদন করেছিলেন। ২০২৪ সালে সাধারণ ক্ষমার সুযোগ গ্রহণ করেছেন ৪ হাজারেরও অধিক প্রবাসী বাংলাদেশি।