ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ইবির মেইন গেটে তালা

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) গ্রীষ্মকালীন ছুটি ও পবিত্র ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে ছুটিকালীন সময়ে আবাসিক হল সমূহ খোলা রাখার দাবীতে মেইন গেটে তালা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (৩ জুন) দুপুরে মেইন গেটে তালা ঝুলিয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। এতে বন্ধ হয়ে যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের দুপুর ২টার বাস চলাচল। অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদাহ রুটে যাতায়াতকারী শিক্ষক শিক্ষার্থীরা। এসময় মেইন গেটের সামনে শিক্ষার্থীদের বহনকারী বাসের লম্বা লাইন সৃষ্টি হয়।
পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ ও ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. বাকী বিল্লাহর উপস্থিতিতে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালামের কাছে স্মারক লিপি প্রদান করে শিক্ষার্থীরা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আগামী ৮ জুন থেকে ২৭ জুন পর্যন্ত গ্রীষ্মকাল ও ঈদ উপলক্ষে ইবি ক্যাম্পাস বন্ধ থাকার কথা রয়েছে। তাই আগামী ১০ জুন থেকে ২৪ জুন পর্যন্ত আবাসিক হলসমূহ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রভোস্ট কাউন্সিল। বিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষার্থীদের ১০ জুন সকাল ১০টার মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশও দেওয়া হয় আর এতেই ক্ষুব্ধ হয়েছে ইবি শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবী, একই সময়ে ৬/৭ টি ব্যাচের শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস অবস্থান করে যাদের অনেকেই টিউশনি করে এবং বিসিএস বা অন্যান্য চাকরি পরীক্ষার প্রস্তুতি নেয় যারা ছুটকালীন সময়েও হলে থেকে পড়াশোনা করে। ২৩ দিন ছুটির মধ্যে ১৪ দিন হল বন্ধ থাকলে তাদের পড়াশোনা এবং টিউশনি করাতে সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, অনেকের ‘বিজেএস’ এর প্রিলি হয়েছে, সামনে লিখিত পরীক্ষা। অনেকেই বিসিএস পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তাই ওনাদের জন্য এই লম্বা ছুটি ক্ষতির কারণ। অনেক চাকরি পরীক্ষার্থীদের পড়াশোনা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই প্রভোস্ট কাউন্সিলের সাথে আলোচনা করে ভিসি স্যার যেন এই ছুটি কমিয়ে আনেন, এটাই আমাদের দাবী।
প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভাপতি ও সাদ্দাম হোসেন হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. আসাদুজ্জামান বলেন, আমাদের প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভায় সিদ্ধান্ত হয় ১১ তারিখ থেকে ২৩ তারিখ পর্যন্ত হল পুরোপুরি বন্ধ থাকবে। এখন শিক্ষার্থীদের দাবীর বিষয়টি আমাকে ছাত্র উপদেষ্টা অবগত করেছেন। এখন যদি প্রশাসন থেকে আমাদের চিঠি দেয়া হয় তাহলে বিষয়টি নিয়ে একসাথে বসে যেকোন সিদ্ধান্ত নিবো।
এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম জানান, ক্যাম্পাস এবং হল নিজস্ব নিয়ম এবং শিডিউল মেনে চলে। বছরের শুরুতেই একাডেমিক ক্যালেন্ডার দিয়ে দেওয়া হয়েছে। হল বন্ধের ব্যাপারটাও পূর্বনির্ধারিত। ছুটির সিদ্ধান্তের রেজুলেশনও হয়ে গেছে। আমি চাইলেই নিয়মবহির্ভূত ভাবে কিছু করতে পারবো না। এবিষয়ে ছাত্র উপদেষ্টাকে বলেছি প্রভোস্ট কাউন্সিলের সাথে যোগাযোগ করতে। তারপর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া যাবে।
অর্থসংবাদ/সাকিব/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
বর্ণাঢ্য আয়োজনে নববর্ষ উদযাপিত ইবি পরিবারের

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ‘এবারের বৈশাখের স্বপ্ন শপথ, আগামীর বৈষম্যহীন বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বাংলা নববর্ষ দিনব্যাপী উদযাপন করা হয়েছে।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) বেলা ১১ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবন থেকে উপাচার্যের নেতৃত্বে একটি বর্ণ্যাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে অনুষদ ভবন সংলগ্ন আমবাগানে অবস্থিত বাংলা মঞ্চে এসে সমাপ্ত হয়। এ সময় নববর্ষ উপলক্ষে আলোচনা সভা ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম, প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহিনুজ্জামান, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম’সহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীবৃন্দ।
এসময় নববর্ষ উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. মনজুর রহমান বাংলা নববর্ষ বৈশাখের পহেলা দিনে না হওয়ায় দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, “আগামীতে পহেলা বৈশাখ পালনে আর দেরি হবে না, ইসলামী মূল্যবোধের প্রতি লক্ষ্য রেখে, বাঙালি সংস্কৃতির প্রতি লক্ষ্য রেখে আমাদের আজকের অনুষ্ঠান সাজিয়েছি। এবিষয়ে আপনাদের চিন্তিত হওয়ার কোনো কারন নেই।”
সভায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, “ইবিতে যখন আমি শিক্ষক ছিলাম তখনও এতো বড় অনুষ্ঠান হতে দেখিনি। আজকে বাংলা বিভাগ সহ অন্যান্য বিভাগের সহযোগিতায় য়ে শোভাযাত্রা হয়েছে তার জন্য আমি অভিভূত হয়েছি। এটা একটি সার্বজনীন অনুষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। আজকে মুক্ত মনে যে অনুষ্ঠান হলো এটা জুলাই পরবর্তী বাংলাদেশের সফলতা। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ যেসকল শহিদদের বিনিময়ে আজকের অনুষ্ঠান পালন করছি তাদেরকে উৎসর্গ করলাম।”
উল্লেখ্য, আনন্দ শোভাযাত্রার প্রায় সহস্রাধিক উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায় এবং গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য, কৃষি সারঞ্জম, জুলাই বিপ্লবের শহীদের পোস্টার’সহ হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্য তুলে ধরেন শিক্ষার্থীরা। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে বহুবিবাহের কুফল ও গ্রামীণ পরিবেশে বেড়ে উঠা একটি মেয়ে শিশুর বিবাহের পর্যন্ত চঞ্চলতা, পরিবারিক বন্ধনের চিত্র ফুটিয়ে তুলা হয়।
অর্থসংবাদ/সাকিব/কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
প্রাথমিক শিক্ষকদের জেলা থেকে জেলায় বদলি আবেদন শুরু

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের এক জেলা থেকে আরেক জেলায় (একই বিভাগের মধ্যে) অনলাইন বদলির আবেদন শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) সকাল থেকে শিক্ষকরা আবেদন করতে পারছেন। আগামী ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত এ আবেদন প্রক্রিয়া চলবে।
এর আগে বুধবার প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (পলিসি ও অপারেশন) মাহফুজা খাতুনের সই করা অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।
বদলির সময়সূচি ও শর্ত উল্লেখ করে মাঠপর্যায়ের উপ-পরিচালক, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, উপজেলা বা থানা শিক্ষা কর্মকর্তা ও প্রধান শিক্ষকদের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে জানানো হয়, ২১ থেকে ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত সহকারী উপজেলা/থানা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার যাচাই সম্পন্ন করতে হবে। আর ২৪ ও ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত উপজেলা বা থানা শিক্ষা অফিসার প্রয়োজনীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করবেন।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ২৬ ও ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত এবং ২৮ এপ্রিল সিস্টেম থেকে স্বয়ংক্রিয় মনোনয়ন শেষে ২৯ ও ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত বিভাগীয় উপ-পরিচালক প্রয়োজনীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করবেন।
আদেশে আরও বলা হয়, শিক্ষকরা সর্বোচ্চ তিনটি বিদ্যালয় পছন্দের ক্রমানুসারে পছন্দ করবেন। কোনো শিক্ষকের একাধিক পছন্দ না থাকলে শুধু এক বা দুটি বিদ্যালয় পছন্দ করতে পারবেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বদলির আদেশ জারি হলে তা বাতিল করার জন্য পরে কোনো আবেদন গ্রহণযোগ্য হবে না।
এর আগে ২১৬টি উপজেলা/থানায় ১০ শতাংশের বেশি শিক্ষক অন্য উপজেলা থেকে বদলি হয়েছেন। সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট উপজেলাগুলো আন্তঃজেলা বদলির আওতাবহির্ভূত থাকবে এবং অবশিষ্ট ২৭১টি উপজেলা/থানায় বদলি কার্যক্রম চলমান থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
সমন্বিত অনলাইন বদলি নির্দেশিকা অনুযায়ী আবেদনকারীর আবেদন ও অন্যান্য কাগজপত্রাদি যাচাই করে পাঠাবেন। যাচাইকারী কর্মকর্তা সতর্কতার সঙ্গে যাচাই করবেন। যাচাইপূর্বক পাঠানোর পর তা পুনঃবিবেচনা করার আবেদন গ্রহণযোগ্য হবে না।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
জাবির শিক্ষার্থীদের নিয়ে বিআইসিএমের বিনিয়োগ শিক্ষা প্রোগ্রাম

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ইন্সটিটিউট অব বিজনেস এডমিনিস্ট্রেশনের (আইবিএ) নারী শিক্ষার্থীদের নিয়ে ‘ইনভেস্টমেন্ট ইন ক্যাপিটাল মার্কেট’ শীর্ষক বিনিয়োগ শিক্ষা প্রোগ্রামের আয়োজন করেছে বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ক্যাপিটাল মার্কেট (বিআইসিএম)।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ’র সেমিনার হলে এ বিনিয়োগ শিক্ষা প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হয়।
বিনিয়োগ শিক্ষা প্রোগ্রামে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ এর পরিচালক অধ্যাপক ড. আইরিন আক্তার। এ সময় আইবিএ এর অধ্যাপক ড. কে. এম. জাহিদুল ইসলাম, সহযোগী অধ্যাপক তাসনিমা আজিজা, সহযোগী অধ্যাপক সপ্তর্ষি ধর, সহকারী অধ্যাপক এস. এম. এ. মওদুদ আহমেদসহ ইন্সটিটিউটের অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বিআইসিএমের সহকারী অধ্যাপক ও নারী বিনিয়োগকারী ও উদ্যোক্তা ক্রমবিকাশ কমিটির আহ্বায়ক কাশফীয়া শারমিন ও সহকারী অধ্যাপক এবং নারী বিনিয়োগকারী ও উদ্যোক্তা ক্রমবিকাশ কমিটির সদস্য ও সহকারী অধ্যাপক এস. এম. কালবীন ছালিমা বিনিয়োগ শিক্ষা প্রোগ্রামটির বিভিন্ন সেশন পরিচালনা করেন।
বিআইসিএম নিয়মিতভাবে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ের উপর প্রশিক্ষণ ও কর্মশালা আয়োজন করে থাকে। নারী শিক্ষার্থীদের মাঝে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের আগ্রহ সৃষ্টি ও বিনিয়োগে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং ভবিষ্যতে তাঁদের পেশাগত উৎকর্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিআইসিএমের এ আয়োজন। প্রশিক্ষণ কর্মশালায় শিক্ষার্থীদেরকে পুঁজিবাজারের প্রাথমিক ধারণা প্রদানের পাশাপাশি পুঁজিবাজারে ব্লক চেইন, ফিন টেক ও রোবোএডভাইজরীর ব্যবহারের উপর আলোকপাত করা হয়।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
কৃষি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ

কৃষি গুচ্ছভুক্ত ৯টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। ১০০ নম্বরের নৈর্ব্যক্তিক পরীক্ষায় সর্বোচ্চ প্রাপ্ত নম্বর ৮৪.২৫ এবং কাটমার্ক ৪৪.৫০। জিপিএসহ সর্বমোট সর্বোচ্চ নম্বর ছিল ১২৯.৭৭।
গতকাল রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) উপাচার্য ও কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া।
তিনি বলেন, এ বছর কৃষি গুচ্ছভুক্ত ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট ৩ হাজার ৮৬৩টি আসনের বিপরীতে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন ৮০ হাজার ৮৯০ জন শিক্ষার্থী। উপস্থিতির হার ছিল প্রায় ৮৬ শতাংশ।
উপাচার্য আরও জানান, ১০০ নম্বরের নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নে পাস নম্বর ছিল ৪০। প্রতিটি সঠিক উত্তরের জন্য ১ নম্বর এবং প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ নম্বর কাটা হয়েছে। ফলাফল ১৫০ নম্বরের ভিত্তিতে প্রস্তুত করা হয়েছে। যেখানে ১০০ নম্বর ছিল ভর্তি পরীক্ষার, এসএসসি বা সমমান পরীক্ষার (চতুর্থ বিষয় ব্যতীত) ভিত্তিতে ২৫ নম্বর এবং এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষার (চতুর্থ বিষয় ব্যতীত) ভিত্তিতে আরও ২৫ নম্বর যোগ করে মেধা ও অপেক্ষমাণ তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে।
এর আগে, গত শনিবার বিকেল ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত একযোগে ৯টি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্র এবং ১৩টি উপকেন্দ্রে এই ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। আবেদন করেছিলেন মোট ৯৪ হাজার ২০ জন শিক্ষার্থী, যাদের মধ্যে ৯১ হাজার ৩৭ জন প্রবেশপত্র সংগ্রহ করেছিলেন।
প্রসঙ্গত, কৃষি গুচ্ছে অংশগ্রহনকারী ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ভিত্তিক আসন সংখ্যা হলো বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১১১৬, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪৩৫, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৭০৫, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৭৫, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫৮০, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৫০, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪২৩, হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৯৯ এবং কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৮০টি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
নৈতিকতার বিরুদ্ধে দাড়িয়ে একজন উপাচার্য নৈতিক চেয়ারে বসতে পারেন না: ইবি সমন্বয়ক সুইট

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইবি শাখার সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, “কুয়েটের উপাচার্য যে ন্যাক্কারজনক কাজ করেছে সেটা বিগত ১৭ বছরের পতিত স্বৈরাচার সরকারও করতে সাহস করেনি সেটা তিনি করেছেন। অন্তবর্তীকালীন সরকারের সময়ে যেটা করা উচিত ছিলো সেটা না করে কুয়েট উপাচার্য সরাসরি শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে দাড়িয়েছে, তারা নৈতিকতার বিরুদ্ধে দাড়িয়েছে। নৈতিকতার বিরুদ্ধে দাড়িয়ে একজন উপাচার্য নৈতিক চেয়ারে বসতে পারেন না। কুয়েটের ৩৭ জন শিক্ষার্থীদের বহিষ্কারের প্রতিবাদ এবং শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক আন্দোলনে পূর্ণ সংহতি জানিয়ে প্রতিবাদী সমাবেশ তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, এই ন্যাক্কারজনক ঘটনা শুধু কুয়েট না সারাদেশে উদাহরণ হয়ে থাকবে। সারাদেশের কিছু উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার বক্তব্য শুনে মনে হচ্ছে তারা জুলাই বিল্পবের মাধ্যমে আসেন নাই, তারা একটি গোষ্ঠীকে সুবিধা দেয়ার জন্য এসেছে। অথচ জুলাই পরবর্তী সময়ে দেশের প্রতিটি ক্ষেত্রেই সুষম ন্যায্যতার বহিঃপ্রকাশ হওয়ার কথা ছিলো। আপনারা যদি কারো প্ররোচনায় একে অপরের বিভাজনে লিপ্ত হোন তাহলে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন তাদেরকে ক্যাম্পাস থেকে বের করে দিতে বাধ্য হবে। সরকারের কাছে অনুরোধ থাকবে যিনি শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে পারেন না তিনি কখনো উপাচার্য হিসেবে থাকতে পারেন না”
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) বিকাল ৩ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা প্রাঙ্গণে কুয়েটের ৩৭ জন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের প্রতিবাদ এবং শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক আন্দোলনে পূর্ণ সংহতি জানিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করা হয়।
এসময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহ সমন্বয়ক মো. নাহিদ হাসান বলেন, “৫ আগস্টের পরে কুয়েটে যে ন্যাক্কারজনক হামলা হয় সেই ঘটনার প্রায় ৪ ঘন্টা পর পুলিশ আসে যেটা খুবই হতাশাজনক। তারপরে শিক্ষার্থীদের উপর যে সন্ত্রাসী হামলা হয় এখনো তার দৃষ্ঠান্তমূলক শাস্তি হয়নি। যাদের ন্যূনতম যোগ্যতা নাই শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দেয়ার তাদের অতিদ্রুত পদত্যাগ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, “যারা শিক্ষার্থীদের অধিকার নিয়ে কথা বলে তাদের নামেই মামলা করা হয়েছে। যারাই আন্দোলন সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছে তাদেরই আবার বহিষ্কার করা হয়েছে। কোনো রকম তদন্ত না করে গোপনে সিন্ডিকেট সভায় এমন উদ্দেশ্য প্রণোদিত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে তার তীব্র নিন্দা জানাই এবং অনতিবিলম্বে কুয়েট উপাচার্যের পদত্যাগ চাই।”
উল্লেখ্য, প্রতিবাদ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন সহ-সমন্বয়ক গোলাম রাব্বানী, ইয়াশিরুল কবির, তানভীর মন্ডল, জাস্ট ফর জুলাইয়ের আহ্বায়ক নাহিদ হাসান’সহ সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ।
অর্থসংবাদ/সকিব/কাফি