পুঁজিবাজার
ক্যাপিটাল মার্কেটের মূল চালিকা শক্তি বিনিয়োগকারী: ডিএসই এমডি
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাত্বিক আহমেদ শাহ বলেছেন, ক্যাপিটাল মার্কেটের মূল চালিকা শক্তি হলো বিনিয়োগকারী। বিনিয়োগকারীরা আপনাদের মাধ্যমে কোম্পানির সম্পর্কিত সঠিক তথ্য পেয়ে থাকেন। এইজন্য আপনাদের তথ্যের সঠিকতা যাচাই করা অত্যন্ত জরুরী। বিনিয়োগকারীরা আপনাদের নিরিক্ষিত তথ্যের ভিত্তিতেই তাদের বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন। আপনাদের তথ্য সঠিক হলেই কেবল একটি দীর্ঘমেয়াদি টেকসই পুঁজিবাজার গঠন সম্ভব।
রোববার (২ জুন) ডিএসইর ট্রেনিং একাডেমিতে “ডিউ ডিলিজেন্স অফ ডিউটিস এন্ড রেস্পন্সিবিলিটিজ” শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
ডিএসইর লিস্টিং অ্যাফেয়ার্স ডিপার্টমেন্ট এবং কর্পোরেট গভর্নেন্স এন্ড ফিনান্সিয়াল রিপোর্টিং কমপ্লায়েন্স ডিপার্টমেন্টের যৌথ উদ্যোগে ইস্যু ম্যানেজার, আন্ডাররাইটার এবং প্যানেল অডিটরদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠানের শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন ডিএসই’র ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাত্বিক আহমেদ শাহ৷
কর্মশালায় উপস্থিত সকলকে স্বাগত জানিয়ে ডিএসই ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, কোম্পানি আইপিওতে আসতে চাইলে তাকে ইস্যু ম্যানেজার নিয়োগ দিতে হয়। ইস্যু ম্যানেজারের কাজ হলো আন্ডাররাইটার সংগ্রহ করা, বিএসইসি’র অনুমতি নেয়া, প্রসপেক্টাস প্রকাশ, আবেদন পত্র যাচাই করা, বরাদ্দপত্র ইস্যু করা ইত্যাদি। যে কেউ চাইলেই ইস্যু ম্যানেজারের কাজ করতে পারে না, এজন্য বিএসইসি’র সনদ সংগ্রহ করতে হয়। এখানে ইস্যু ম্যানেজারের অনেক বেশি দায়িত্ব৷ একইসাথে অডিট রিপোর্ট গ্রহণযোগ্যতা জন্য নিরীক্ষককে দায়িত্বশীল হতে হবে। বিনিয়োগকারীদের কাছে অডিট রিপোর্টের গ্রহণযোগ্যতার জন্য নিরীক্ষা মতামতগুলো অবশ্যই সঠিক হতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আজকের কর্মশালাটি মূলত আয়োজন করা হয়েছে ডিএসই এপিএ এর অংশ হিসেবে, আমি মনে করি এই কর্মশালার মাধ্যমে অডিটর ইস্যু ম্যানেজার ও আন্ডার রাইটার সহ তাদের দায়িত্ব কর্তব্য সম্পর্কে একটা সম্যক ধারণা লাভ করবে। আজকের এই কর্মশালায় ডিএসই’র বা রেগুলেটরি দৃষ্টিকোন থেকে আপনাদের দায়িত্ব-কর্তব্য সম্পর্কে আলোকপাত করা হবে।
কর্মশালায় বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট মাজেদা খাতুন বলেন, একটা কোম্পানি পুঁজিবাজারে আনতে হলে ইস্যু কোম্পানিকে অনেকটা অনুরোধ করেই আনতে হয়। আমাদের কাছে আসার পর দেখা যায় অনেক কিছুর অভাব রয়েছে। সেইগুলো ঠিক করে একটা ইস্যু উপযোগী করা আমাদের জন্য অনেক কঠিন হয়। সেই জন্য আমরা ইতোধ্যেই পাবলিক রুলস বিভিন্ন ইস্যুতে কিছুটা মডিফিকেশনের জন্য বলেছি। ইস্যু ম্যানেজারের কাছে যখন আসে, তখন ইস্যু ম্যানেজারের সক্ষমতার বিষয়টি বিবেচনা করা প্রয়োজন। একটা ইস্যু জমা দিতে দেড় থেকে দুই বছর বা ক্ষেত্রেবিশেষে তারও বেশি সময় লাগে। ইস্যু ম্যানেজারের সে দায়িত্বগুলো দেওয়া হয়েছে বিশেষ করে ইউটিলাইজেশনের বিষয়টা, সেখানে ইস্যু ম্যানেজাররা কোনোভাবেই যুক্ত থাকেন না। সেটাকেও আমাদেরকে রেসপনসিবল করা হয়েছে। অন্যান্য যে রেগুলেটর বডি আছে যেমন ভ্যাট, ট্যাক্স সেগুলো ইস্যু ম্যানেজাররা কিভাবে অথেনটিক্যাশন করতে পারবে। এই ডকুমেন্টগুলো অন্য প্রতিষ্ঠান থেকে দেয়া হয়। সেই ডকুমেন্টগুলো আমাদের অথেনটিকেড করা অনেক কষ্টসাধ্য হয়।
তিনি আরও বলেন, আমরা ভালো ইস্যু আনতে চাই। এজন্য আমরা কিছু প্রস্তাব দিয়েছি সেগুলো বাস্তবায়ন হলে আমাদের কাজ করতে সুবিধা হবে। একটা কোম্পানি গঠন করার সময় যদি মার্চেন্ট ব্যাংকারের সাথে সংযুক্ত করা যায়, তাহলে প্রথম থেকেই একটা সিস্টমে এর মধ্যে থাকবে যা পরবর্তীতে পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত হতে ইস্যু ম্যানেজারকে সহায়তা করবে।
আইসিএবির কাউন্সিল মেম্বার ও সাবেক প্রেসিডেন্ট মো. শাহাদাত হোসাইন বলেন, আজকে যে প্রোগ্রাম আয়োজন করা হয়েছে, এর মাধ্যমে নিজেদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি অনেকাংশে দূর করা যায়। একইসাথে সকলে তাদের নিজ নিজ দায়িত্ব সম্পর্কে আরও সচেতন হবে। এছাড়াও একে অপরের সাথে মত বিনিময় করলে সহযোগিতাপূর্ণ মনোভাব গড়ে ওঠে। অডিটরগণ তাদের কাজের ক্ষেত্রে ইন্টারন্যাশনাল অ্যাকাউন্টিং স্টান্ডার্ডসের (আইএএস) বিধান অনুযায়ী আর্থিক প্রতিবেদনগুলোর যুক্তিসঙ্গত নিশ্চয়তা প্রদান করেন। এটি কখনও পূর্ণ নিশ্চয়তা নয়। অডিটরদের শুধু তাদের দায়িত্ব ভালোভাবে পালন করতে হবে। এছাড়াও আইসিএবি এখন অন্যান্য সময়ের চেয়ে অনেক সচেতন। আর ভুল যেখানে সূত্রপাত সেখানে যদি বন্ধ করা যায়, তবে সকলের কাজ সহজ হবে। এই ধরনের ওয়ার্কশপের আয়োজন ডিএসইর একটি ভালো পদক্ষেপ।
ডিএসইর সহকারী মহাব্যবস্থাপক এবং হেড অব সিজি এন্ড এফআরসি মো. মাসুদ খান, এসিসিএ মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন৷ প্যানেল অডিটর, ইস্যু ম্যানেজার এবং আন্ডাররাইটারদের ভূমিকা, দায়িত্ব এবং করণীয় শীর্ষক মূল প্রবন্ধে তিনি অডিটর/অডিট ফার্মের ক্ষমতা ও দায়িত্ব, ইস্যু ম্যানেজার এবং আন্ডাররাইটারদের দায়িত্ব, আইপিও/কিউআইও এর জন্য এক্সচেঞ্জ লক্ষ্য করার বিষয়সমূহ এবং অডিটেড ফাইন্যান্সিয়াল স্টেটমেন্টে ফেব্রিকেশন ইত্যাদি সম্পর্কে আলোচনা করেন।
মো. রকিবুল ইসলামের সঞ্চালনায় মূল প্রবন্ধের উপর আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন লংকাবাংলা ইনভেস্টম্যান্ট লিমিটেডের সিইও ইফতেখার আলম, সন্ধানী লাইফ ফাইন্যান্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স এসোসিয়েশনের ফাস্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. রিয়াদ মতিন, ম্যাবস এন্ড জে পার্টনার্স থেকে ডিএসইর সাবেক পরিচালক ও আইসিএবির সাবেক প্রেসিডেন্ট নাসির উদ্দিন আহমেদ, অক্টোপাস থেকে ফেরদৌস আহমেদ এবং ফার্ম এন্ড আর চার্টার্ড অ্যাকাউন্টস থেকে ফৌজিয়া হক।
ডিএসইর প্রধান রেগুলেটরী কর্মকর্তা খাইরুল বাসার আবু তাহের মোহাম্মদ বলেন, আজকের যে প্রোগ্রামটি অত্যন্ত সময়োপযোগী একটি প্রোগ্রাম। এই প্রোগ্রাম থেকে যে সব ফাইন্ডিংসগুলো উঠে এসেছে সেগুলো নিয়ে আরও আলোচনা প্রয়োজন। পুঁজিবাজারের উন্নয়নে এ ধরনের প্রোগ্রাম ধারাবাহিকভাবে আয়োজন করা হবে। আমরা সবাই যদি নিজ নিজ অবস্থান থেকে আইপিওর কাজগুলো দায়িত্ব সহকারে পালন করি, তবে পুঁজিবাজারে ভালো কোম্পানি তালিকাভুক্ত হবে। যা পুঁজিবাজারকে আরও সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
৩২৫ কোটি টাকার প্রেফারেন্স শেয়ার ইস্যু করবে রেনাটা
প্রেফারেন্স শেয়ার ইস্যু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানি রেনাটা পিএলসি। কোম্পানিটি এই শেয়ার ইস্যু করে বাজার থেকে ৩২৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে।
শনিবার (২৩ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত রেনাটার পরিচালনা পর্ষদের ২৩১তম বৈঠকে প্রেফারেন্স ইস্যু করার এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, আলোচিত প্রেফারেন্স শেয়ার হবে নন-পার্টিসিপেটিভ। অর্থাৎ এই শেয়ারের মালিকরা কোম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) অংশ নিতে পারবেন না, তাদের কোনো ভোটাধিকার থাকবে না। এই প্রেফারেন্স শেয়ার মেয়াদ শেষে সম্পূর্ণ অবসায়িত হতে পারে, আবার এটি সম্পূর্ণভাবে সাধারণ শেয়ারে রূপান্তর করার সুযোগও থাকতে পারে। বিষয়টির এখতিয়ার থাকবে কোম্পানির উপর। প্রেফারেন্স শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে সংগৃহীত অর্থ কোম্পানিটির বিদ্যমান ঋণ পরিশোধে ব্যবহার করা হবে।
প্রেফারেন্স শেয়ার ইস্যুর বিষয়ে শেযারহোল্ডারদের মতামত জানতে বিশেষ সাধারণ সভা (ইজিএম) করবে রেনাটা। আগামী ১২ জানুয়ারি বেলা ১২টায় এই ইজিএম অনুষ্ঠিত হবে। ডিজিটাল প্ল্যাটফরমের মাধ্যমে এই ইজিএম অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ১২ ডিসেম্বর।
আসন্ন ইজিএমে শেয়ারহোল্ডারদের সম্মতি এবং পরবর্তীতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) অনুমোদন পেলে বন্ড ইস্যু করার এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
অলটেক্সের সম্পদ-ব্যবসার সত্যতা যাচাইয়ে বিএসইসির তদন্ত কমিটি
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের সম্পদ, ব্যবসা ও আর্থিক সক্ষমতাসহ সার্বিক বিষয় খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এ বিষয়ে গঠিত ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটিকে দুই মাসের মধ্যে একটি প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ শনিবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম সংবাদ মাধ্যমকে।
তদন্তের বিষয়টি অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে অবহিত করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন- বিএসইসির যুগ্ম পরিচালক মোহাম্মদ জহিরুল হক, সহকারী পরিচালক মাহমুদুর রহমান ও মো. মাহমুদুল হাসান।
বিএসইসি থেকে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, পুঁজিবাজার ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের বৃহত্তর স্বার্থে অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের সার্বিক বিষয় তদন্ত করা প্রয়োজন বলে মনে করে বিএসইসি। তাই, সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অধ্যাদেশ, ১৯৬৯ এর ধারা ২১ এর প্রদত্ত ক্ষমতাবলে কমিশন কোম্পানিটির সার্বিক বিষয়ে তদন্তের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিএসইসির যুগ্ম পরিচালক মোহাম্মদ জহিরুল হক, সহকারী পরিচালক মাহমুদুর রহমান এবং মো. মাহমুদুল হাসানকে তদন্ত কমিটিতে রাখ হয়েছে। তদন্ত কর্মকর্তাদের এ আদেশ জারির তারিখ থেকে ৬০ দিনের মধ্যে তদন্ত কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে। এ সংক্রান্ত একটি তদন্ত প্রতিবেদন কমিশনে দাখিল করতে নির্দেশ দেওয়া হলো।
চিঠিতে আরও বলা হয়- তদন্ত কমিটি অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের সম্পদ, কারখানা এবং সরঞ্জাম যাচাই করবে। মজুদ পণ্য এবং বিক্রিত পণ্যের খরচ যাচাই করবে তদন্ত কমিটি। সেই সঙ্গে এর সত্যতা নিশ্চিত করবে। কারখানা নির্মাণে পণ্যসামগ্রী কেনার জন্য অগ্রিম টাকা পরিশোধ করা এবং পণ্য বিক্রি করে যে আয় হয়েছে, তা যাচাই করবে। জমি ও কারখানার সরঞ্জামের পুনর্মূল্যায়ন সঠিকভাবে হয়েছে কি না এবং বিলম্বিত কর (ডেফার্ড ট্যাক্স) ইস্যুর সত্যতা যাচাই করবে।
এছাড়া, দীর্ঘ মেয়াদী ও স্বল্প মেয়াদী ঋণ এবং তা পরিশোধের সক্ষমতা যাচাই করবে। একইসঙ্গে সহযোগী কোম্পানির মধ্যে অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড যেসব লেনদেন করেছে, তার সত্যতা যাচাই করবে। ভবিষ্যতে কোম্পানিটি ব্যবসায় টিকে থাকতে পারবে কি না, তা যাচাই করবে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
লভ্যাংশ বিতরণ করল ওয়ালটন
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রকৌশল খাতের কোম্পানি ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি শেয়ারহোল্ডারদের ব্যাংক হিসাবে সর্বশেষ ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের জন্য অনুমোদিত লভ্যাংশের টাকা বিতরণ করেছে। বাংলাদেশ ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার নেটওয়ার্ক (বিইএফটিএন) এবং ব্যাংক ট্রান্সফারের মাধ্যমে এই টাকা প্রেরন করা হয়েছে। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
গত ৩০ জুন, ২০২৪ তারিখে সমাপ্ত অর্থ বছরে সাধারন শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ৩৫০ শতাংশ এবং স্পন্সর/পরিচালকদের জন্য ২০০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ অনমোদন করেছিল, যা এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ।
গত ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ তারিখে কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের ৪০তম সভায় সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য এই লভ্যাংশ ঘোষণা করা হয় এবং ২৯ অক্টোবর অনুষ্ঠিত কোম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) শেয়ারহোল্ডাররা কোম্পানির ঘোষিত লভ্যাংশ অনুমোদন করেন। এর প্রেক্ষিতে কোম্পানিটি সম্প্রতি শেয়ারহোল্ডারদের বিও অ্যাকাউন্টে উল্লেখ করা ব্যাংক হিসাবে তাদের প্রাপ্য লভ্যাংশের টাকা জমা করেছে।
যে সব শেয়ারহোল্ডারের বিও হিসাবে ব্যাংক হিসাব নাম্বারের উল্লেখ নেই বা নাম্বারে ভুল আছে অথবা রাউটিং নাম্বার নেই কিংবা সেখানে দেওয়া তথ্য ত্রুটিপূর্ণ তাদের প্রাপ্য টাকার এমআইসিআর ওয়ারেন্ট (চেক) বিও হিসাবে দেওয়া ঠিকানায় ডাকযোগে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য যে, ২০২০ সাল পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তি পরবর্তী প্রথম লভ্যাংশ প্রদানের পর থেকেই “এ” ক্যাটাগরীতে ট্রেড হচ্ছে কোম্পানীটির শেয়ার।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
ডিএসইতে পিই রেশিও কমেছে ২.০৩ শতাংশ
বিদায়ী সপ্তাহে (১৭ থেকে ২১ নভেম্বর) দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) কমেছে ২ দশমিক ০৩ শতাংশ।
ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বিদায়ী সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর পিই রেশিও ছিল ৯ দশমিক ৮৩ পয়েন্ট। সপ্তাহ শেষে তা অবস্থান করছে ৯ দশমিক ৬৩ পয়েন্টে। ফলে, সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর পিই রেশিও ০ দশমিক ২০ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ০৩ শতাংশ কমেছে।
খাতভিত্তিক পিই রেশিওগুলোর মধ্যে মিউচুয়াল ফান্ড খাতে ৩ দশমিক ১৮ পয়েন্টে, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে ৫ দশমিক ২৩ পয়েন্টে, ব্যাংক খাতে ৬ দশমিক ৩৪ পয়েন্টে, সেবা ও আবাসন খাতে ১০ দশমিক ১৩ পয়েন্টে, প্রকৌশল খাতে ১০ দশমিক ৭০ পয়েন্টে, টেক্সটাইল খাতে ১০ দশমিক ৯৯ পয়েন্টে, ওষুধ ও রসায়ন খাতে ১১ দশমিক ২৫ পয়েন্টে, টেলিযোগাযোগ খাতে ১২ দশমিক ৫১ পয়েন্টে, সাধারণ বিমা খাতে ১৩ দশমিক ৫৪ পয়েন্টে, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতে ১৩ দশমিক ৯১ পয়েন্টে, সিমেন্ট খাতে ১৪ দশমিক ২৮ পয়েন্টে, বিবিধ খাতে ১৬ দশমিক ৭৩ পয়েন্টে, আইটি খাতে ১৮ দশমিক ২৭ পয়েন্টে, পেপার ও প্রিন্টিং খাতে ২৪ দশমিক ৮৭ পয়েন্টে, আর্থিক খাতে ২৫ দশমিক ৮২ পয়েন্টে, ট্যানারি খাতে ৩৪ দশমিক ৮৯ পয়েন্টে, ভ্রমণ ও অবকাশ খাতে ৬০ দশমিক ৪৫ পয়েন্টে, পাট খাতে ৭৯ দশমিক ০৭ পয়েন্টে এবং সিরামিক খাতে ৮১ দশমিক ১৪ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
সপ্তাহজুড়ে আইবিবিএল পারপেচুয়াল বন্ডের সর্বোচ্চ দরপতন
বিদায়ী সপ্তাহে (১৭ নভেম্বর থেকে ২১ নভেম্বর) দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন হওয়া ৩৮৩ কোম্পানির মধ্যে ২৮৭টির শেয়ার ও ইউনিট দর কমেছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ শেয়ার দর পতন হয়েছে আইবিবিএল সেকেন্ড পারপেচুয়াল মুদারাবা বন্ড।
ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, সপ্তাহজুড়ে ফান্ডটির ইউনিটদর কমেছে ২৫ দশমিক ২৯ শতাংশ। বন্ডটির সমাপনী মূল্য ছিল ৩ হাজার ২৫০ টাকা।
তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা অগ্নি সিস্টেমসের শেয়ার দর কমেছে ২১ দশমিক ১০ শতাংশ। শেয়ারটির সমাপনী মূল্য ছিল ২৫ টাকা ৮০ পয়সা।
আর তালিকায় তৃতীয় স্থানে থাকা মতিন স্পিনিংয়ের শেয়ার দর কমেছে ১৯ দশমিক ০৬ শতাংশ। শেয়ারটির সমাপনী মূল্য ছিল ৪৬ টাকা ৩০ পয়সা।
তালিকায় উঠে আসা অন্যান্য কোম্পানিগুলো হচ্ছে- এসিআই, শাইনপুকুর সিরামিকস, ওরিয়ন ফার্মা, ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড, ফারইস্ট নিটিং, প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল এবং বেস্ট হোল্ডিংস লিমিটেড।
এসএম