জাতীয়
সৌদি পৌঁছেছেন ৫৫ হাজার ১১৬ হজযাত্রী
পবিত্র হজ পালন করতে গিয়ে আরো একজনের মৃত্যু হয়েছে। এনিয়ে চলতি বছর হজ পালন করতে গিয়ে সৌদি আরবে মারা গেলেন ৯ জন। হজ পালনের জন্য এখন পর্যন্ত (২ জুন) সৌদি পৌঁছেছেন ৫৫ হাজার ১১৬ জন হজযাত্রী। মোট ১৪১টি ফ্লাইটে তারা সৌদিতে পৌঁছান। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৩ হাজার ৭৪৭ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রী ৫১ হাজার ৩৫৯ জন। আবেদনের বিপরীতে শতভাগ ভিসা ইস্যু করা হয়েছে।
হজ সম্পর্কিত সবশেষ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এয়ারলাইন্স, সিভিল এভিয়েশন অথরিটি অব বাংলাদেশ, বাংলাদেশ হজ অফিস ঢাকা এবং সৌদি আরব সূত্রে এ তথ্য জানিয়েছে হেল্পডেস্ক।
হেল্পডেস্কে তথ্যমতে, এ পর্যন্ত মোট ১৪১টি ফ্লাইটের মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ৭১টি, সৌদি এয়ারলাইনসের ৪৫টি এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইনস ২৫টি ফ্লাইট পরিচালনা করেছে। গতকাল পর্যন্ত মোট ফ্লাইটের ৬৫ দশমিক ৪ শতাংশ, আর মোট হজযাত্রীদের মধ্যে ৬৫ শতাংশ
এদিকে হজ পালন করেতে গিয়ে এখন পর্যন্ত ৯ জন মারা গেছেন। সর্বশেষ মক্কার নুরুল আলম (৬৫) নামে একজন মারা গেছেন। এনিয়ে চলতি বছরের যারা গেছেন মোট ৯ জন। এর মধ্যে মক্কায় সাতজন এবং মদিনায় দুইজন। চলতি হজ মৌসুমে সৌদি আরবে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে গত ১৫ মে মো. আসাদুজ্জামান নামে এক হজযাত্রী মারা যান।
এর আগে, গত ৯ মে বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের প্রথম ডেডিকেটেড ফ্লাইট ৪১৫ জন হজযাত্রী নিয়ে সৌদির উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। এর মাধ্যমেই চলতি বছরের হজের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। হজের শেষ ফ্লাইট যাবে ১২ জুন।
এ বছর সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় গাইডসহ হজ পালনে সৌদি আরব যাবেন ৮৫ হাজার ২৫২ জন। এর মধ্যে সরকারিভাবে নিবন্ধন করেছেন ৪ হাজার ৫৬২ জন। আর বেসরকারিভাবে নিবন্ধন করেছেন ৮০ হাজার ৬৯৫ জন। প্রতি প্রতি ৪৪ জনে একজন করে গাইড হিসেবে ১ হাজার ৮৯৯ জন হজযাত্রীদের সঙ্গে যাবেন।
সৌদি আরবে চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন হজ অনুষ্ঠিত হতে পারে। হজ কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী এজেন্সির সংখ্যা ২৫৯টি।হজযাত্রীদের প্রথম ফিরতি ফ্লাইট ২০ জুন আর শেষ ফিরতি ফ্লাইট ২২ জুলাই।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
কোটা বাতিলের দাবিতে ফের শাহবাগ অবরোধ
প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটাসহ ৫৬ শতাংশ কোটা বাতিল ও ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে ফের শাহবাগ অবরোধ করেছেন শিক্ষার্থীরা। এতে শাহবাগ মোড়সহ আশপাশের এলাকার সব সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। স্থবির হয়ে পড়েছে পুরো শাহবাগ। সময় যত যাচ্ছে যানজটের মাত্রা ততই ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করছে। গতকালও শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছিল শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (৩ জুলাই) বেলা আড়াইটায় শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি হল থেকে আলাদা ব্যানার নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়য়ের সেন্ট্রাল লাইব্রেরির সামনে জড়ো হন। পরে সেখান থেকে বিশাল মিছিল নিয়ে হলপাড়া-ভিসি চত্বর-টিএসসি-হাইকোর্ট হয়ে শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেন তারা।
কোটাবিরোধীদের সড়ক অবরোধের ফলে ফার্মগেট-শাহবাগ, শাহবাগ-পল্টন-মগবাজার রোড, শাহবাগ -সায়েন্সল্যাব রোড এবং শাহবাগ-ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশপথ বন্ধ হয়ে গেছে। যানজট তীব্র হওয়ায় অনেকেই গাড়ি থেকে নেমে হেঁটে গন্তব্যের দিকে যাচ্ছেন। তবে অ্যাম্বুলেন্সের নির্বিঘ্নে চলাচলের জন্য শিক্ষার্থীরা জায়গা করে দিচ্ছেন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
পাটজাত পণ্য উৎপাদনে প্রণোদনা দেওয়া হবে: মন্ত্রী
পাট ও পাটজাত পণ্য উৎপাদনে এখন থেকে প্রণোদনা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক।
তিনি আরও বলেছেন, সরকারের সিদ্ধান্ত মোতাবেক বাংলাদেশ ব্যাংক প্রণোদনার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছে। এ সংক্রান্ত চিঠি মন্ত্রণালয়ে এসেছে। এতে পাটের উৎপাদন, পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি বাড়বে।
বুধবার বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ে ক্রয় কমিটির মিটিং শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে সমসাময়িক বিষয়ে কথা বলেন মন্ত্রী। এসময় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমাদের যেকোনো মূল্যে পাটের উৎপাদন বাড়াতে হবে। আমরা তার জন্য চেষ্টা করছি। উৎপাদন এলাকার সীমানা বাড়ানোর চেষ্টা করছি, ক্ষেত্র বাড়ানোর চেষ্টা করছি।
মন্ত্রী এসময় জানান, সম্প্রতি পাটের পাতা থেকে চা উৎপাদন করা হচ্ছে। যা রপ্তানির বড় সম্ভাবনা আছে।
তিনি বলেন, এছাড়া পাট থেকে পরিবেশবান্ধব সোনালি ব্যাগ উৎপাদনে আমরা অনেক দূর এগিয়ে গেছি। অল্প সময়ে তা বাণিজ্যিকভাবে বাজারজাত করা সম্ভব হবে। তখন আমরা সারাদেশে ছড়িয়ে যাওয়া পলিথিন থেকে অনেকটা মুক্তি পাবো। এখন আমরা এ ব্যাগের দাম যেন সবার সাধ্যের মধ্যে থাকে, সে জায়গায় কাজ করছি।
ভারত ও ব্রাজিলের অ্যান্টি ডাম্পিং পলিসি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ভারতের নির্বাচন শেষ হয়েছে। আমরা এখন অ্যান্টি ডাম্পিং দিয়ে ভারতের সঙ্গে কাজ করবো। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী কিছুদিন পরে ব্রাজিল যাবেন। সে সময় তাদের সঙ্গে অ্যান্টি ডাম্পিং বিষয়ে কথা হবে। আমি আশা করি, অ্যান্টি ডাম্পিং নিয়ে খুব শিগগির আনুষ্ঠানিক আলোচনায় যেতে পারবো।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
পেনশন স্কিম নিয়ে শিক্ষকদের সঙ্গে বৈঠক করবেন সেতুমন্ত্রী
সর্বজনীন পেনশন স্কিম (প্রত্যয়) বাতিলের দাবিতে আন্দোলনরত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সঙ্গে আগামীকাল বৃহস্পতিবার বৈঠকে বসবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
বুধবার (৩ জুলাই) বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের মহাসচিব ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভুঁইয়া গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে টানা তৃতীয় দিনের মতো ক্লাস-পরীক্ষাসহ সব ধরনের অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ আছে।
ড. নিজামুল হক বলেন, তিনি আমাদের সঙ্গে মিটিংয়ের সময় দিয়েছিলেন বুধবার সন্ধ্যায়। কিন্তু পরে সেটি পরিবর্তন করে সময় ঠিক করেছেন আগামীকাল সকালে।
এদিকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের আন্দোলনের মধ্যে সর্বজনীন পেনশন স্কিম ‘প্রত্যয়’-এর কিছু বিষয় স্পষ্ট করে মঙ্গলবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের দেওয়া ব্যাখ্যা প্রত্যাখ্যান করে শিক্ষকরা বলেছেন, তাদের চলমান এই আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
এস আলমসহ চার গ্রুপের সাড়ে ৬ হাজার কোটি টাকার সুদ মাফ
দেশের আলোচিত ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান এস আলম গ্রুপসহ মোট চারটি প্রতিষ্ঠানকে ৬ হাজার ৪৯৭ কোটি টাকার সুদ মওকুফের সুবিধা দিয়েছে দুটি ব্যাংক। মোট ১৪ হাজার ৩৮৬ কোটি টাকা ঋণের বিপরীতে এ সুদ মওকুফ করেছে ব্যাংকগুলো। এস আলম ছাড়াও বাকি কোম্পানিগুলো হলো- নাসা, বিসমিল্লাহ ও এননটেক্স। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা যায়, নাসা, বিসমিল্লাহ ও এননটেক্স গ্রুপকে ৪ হাজার ২২৪ কোটি টাকার সুদ মওকুফ করেছে রাষ্ট্রীয় মালিকানার জনতা ব্যাংক। আর বেসরকারি খাতের ন্যাশনাল ব্যাংক থেকে এস আলম গ্রুপের ৩ হাজার ৬১৮ কোটি স্থিতির বিপরীতে ২ হাজার ২৮৩ কোটি টাকা মওকুফ করা হয়। এভাবে ব্যাংক খাতে গত তিন বছরে সব মিলিয়ে ৮ হাজার ৮০০ কোটি টাকা সুদ মওকুফ করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী ঋণ গ্রহীতার মৃত্যু, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, মহামারি, মড়ক, নদীভাঙন, দুর্দশাজনিত কারণ বা বন্ধ প্রকল্পে আংশিক বা সম্পূর্ণ সুদ মওকুফ করা যাবে। তবে আয় খাত বিকলন ও নিয়মিত ঋণে, সুদ মওকুফ করার নিয়ম নেই। তবে এস আলম গ্রুপ ও নাসা গ্রুপের কারখানা সচল এবং প্রাকৃতিক কোনো দুর্যোগের ঘটনা না ঘটলেও আয় খাত বিকলন করে সুদ মওকুফ করেছে ব্যাংকগুলো।
বাংলাদেশ ব্যাংকের বিশেষ অনুমোদন নিয়ে এই সুবিধা দেওয়া হয়েছে। অথচ, ২০২১ ও ২০২২ সালে বড় অংকের সুদ মওকুফ করা ব্যাংক দুটি এখন নিজেরাই নানা সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে।
জনতা ব্যাংক থেকে বিসমিল্লাহ, এননটেক্স ও নাসা গ্রুপের ৪ হাজার ২২৪ কোটি টাকার সুদ মওকুফ সুবিধা দেওয়ার সময় ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন আব্দুছ ছালাম আজাদ। তিনি বলেন, এসব সুদ মওকুফ সুবিধা দেওয়া হয় তিনি এমডি হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার আগে। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনার আলোকে সম্প্রতি এননটেক্সের সুদ মওকুফ সুবিধা বাতিল করা হয়েছে। আর নাসা গ্রুপের দুই প্রতিষ্ঠান সুদ মওকুফ-পরবর্তী সমুদয় পাওনা শোধ করে এই ব্যাংক থেকে চলে গেছে।
ন্যাশনাল ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তৌহিদুল আলম খান গণমাধ্যমকে বলেন, সে সময়ে তিনি এ ব্যাংকে ছিলেন না। ফলে এ বিষয় তার জানা নেই।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত তিন বছরে সব মিলিয়ে ৮ হাজার ৮০০ কোটি টাকা সুদ মওকুফ করা হয়েছে। এর মধ্যে ২০২৩ সালে মওকুফ হয় ১ হাজার ৮৮০ কোটি টাকা। ২০২২ সালে সুদ মওকুফ হয়েছিল ৫ হাজার ৬৫ কোটি টাকা। আর ২০২১ সালে মওকুফ হয় ১ হাজার ৮৫৫ কোটি টাকা। তবে এননটেক্স গ্রুপের ৩ হাজার ৩৫৯ কোটি টাকা এবং বিসমিল্লাহ গ্রুপের ৬০৪ কোটি টাকা সুদ মওকুফ কার্যকর না হওয়ায় সে তথ্য এখানে নেই।
ব্যাংক খাত-সংশ্লিষ্টরা জানান, একসময় রাষ্ট্রীয় মালিকানার ব্যাংকগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভালো অবস্থায় ছিল জনতা ব্যাংক। বেসরকারি খাতের সবচেয়ে পুরোনো ন্যাশনাল ব্যাংক সব সময় মুনাফায় ছিল। বড় ব্যাংক হওয়ায় এ দুই প্রতিষ্ঠানের খারাপ অবস্থার প্রতিফলন পুরো খাতের ওপর পড়েছে। গত ডিসেম্বর শেষে জনতা ব্যাংকের খেলাপি ঋণ দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ৫০১ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ১৯ দশমিক ২০ শতাংশ। মূলধন ঘাটতি ঠেকেছে ২ হাজার ৭৫০ কোটি টাকায়। গত বছর শেষে ন্যাশনাল ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ঠেকেছে ১৫ হাজার ৭২৫ কোটি টাকায়, যা মোট ঋণের ৩৬ দশমিক ৩৭ শতাংশ। ব্যাংকটির মূলধন ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৬৭৯ কোটি টাকা। দুটি ব্যাংকই বড় অঙ্কের লোকসান দিয়ে চলেছে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
শাহজালালে সাড়ে ৪ কোটি টাকার স্বর্ণ জব্দ
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাড়ে চার কেজি ওজনের একটি স্বর্ণের চালান আটক করেছে কাস্টমস গোয়েন্দারা। স্কসটেপে মোড়ানো ৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা মূল্যের ৩৮ পিস গোল্ডবার পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে ছিল।
আজ বুধবার কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত সার্কেল হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সহকারী পরিচালক প্রদীপ কুমার সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, ঢাকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সতর্ক অবস্থান গ্রহণ করা হয়। মাস্কাট থেকে আগত সালাম এয়ার এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট নং ওভি-৪৯৭ আনুমানিক বুধবার ভোর সাড়ে ৫ টায় ল্যান্ড করে। ওই বিমানের সিট নম্বর ২ (ডি-ই-এফ) এর ওপরে লাগেজ রাখার কেবিনে কালো স্কসটেপ মোড়ানো দুটি ভারী বস্তু পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে ওই বিমানে দায়িত্বরত সকলের সামনে ভিডিও ধারণপূর্বক কালো স্কসটেপে মোড়ানো বস্তু দুটি কাস্টমস হলের ইনভেন্টরি টেবিলে নিয়ে এসে বিমানবন্দরে কর্মরত বিভিন্ন সংস্থার উপস্থিতিতে কালো স্কসটেপ কেটে ৩৮ পিস (প্রতি পিস দশ তোলা) গোল্ডবার পাওয়া যায়, যার ওজন ৪ কেজি ৪২০ গ্রাম।
তিনি জানান,উদ্ধার হওয়া গোল্ডবারের আনুমানিক বাজারমূল্য ৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা। কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত সার্কেল বিমানবন্দর এ-শিফট এর সদস্যগণের তৎপরতায় ও তল্লাশির কারণে এই স্বর্ণ চোরাচালানটি রোধ করা সম্ভব হয়েছে। আটক স্বর্ণগুলো কাস্টম হাউস, ঢাকার মূল্যবান শুল্ক গুদামে জমা দেওয়া হয়েছে।
কাফি