জাতীয়
বাংলাদেশে ভূমিকম্প নিয়ে দুঃসংবাদ

মাঝেমধ্যেই ছোট ও মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠছে বাংলাদেশ। এসব ভূমিকম্পে তেমন বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি না হলেও বড় মাত্রার ভূমিকম্পে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। সাম্প্রতিককালে বড় মাত্রার ভূমিকম্প না হলেও ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে ঝুঁকিতে রয়েছে বাংলাদেশ।
সবশেষ গত বুধবার (২৯ মে) ৭টা ১৫ মিনিটের দিকে বাংলাদেশে ভূমিকম্প অনুভূত হয়। ইউএসজিএস জানিয়েছে, ভূমিকম্পের উৎপত্তি ছিলো মিয়ানমারের মাওলাইকে। এর মাত্রা ছিলো ৫ দশমিক ৪। ভূমিকম্পের কেন্দ্রে এর গভীরতা ছিলো ১০ কিলোমিটার।
দেশের ১৩টি এলাকা ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে রয়েছে। ভূগর্ভস্থ ফাটল বা চ্যুতি থাকার কারণে ঐ কম্পন হতে পারে। সবচেয়ে তীব্র ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে রয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রামের তিনটি জেলা, সিলেটের জৈন্তাপুর এলাকা ও ঢাকার টাঙ্গাইল জেলা।
সব এলাকাই ঢাকা থেকে কমপক্ষে ১০০ কিলোমিটার দূরে। কিন্তু সেখানে সাত থেকে আট মাত্রার ভূমিকম্প হলে তা ঢাকায় বড় ধরনের বিপর্যয় তৈরি করতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েক জন শিক্ষকের গবেষণায় এসব তথ্য উঠে এসেছে।
সাম্প্রতিক এক গবেষণায় উঠে এসেছে, টাঙ্গাইলের মধুপুর ফল্টে ৬.৯ মাত্রার ভূমিকম্প হলে ঢাকার ৮ লাখ ৬৪ হাজার ৬১৯টি থেকে ১৩ লাখ ৯১ হাজার ৬৮৫টি ভবন ধসে বা ভেঙে পড়বে, যা মোট ভবনের ৪০.২৮ থেকে ৬৪.৮৩ শতাংশ। এছাড়া যদি সিলেট লাইনমেন্টে ৭.১ মাত্রার ভূমিকম্প হয়– তাহলে ঢাকার ৪০ হাজার ৯৩৫টি থেকে ৩ লাখ ১৪ হাজার ৭৪২টি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হবে। যা মোট ভবন সংখ্যার ১.৯১ থেকে ১৪.৬৬ শতাংশ।
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ- রাজউকের আরবান রেজিলিয়েন্স প্রজেক্টের অধীনে পরিচালিত গবেষণায় এ তথ্য উঠে আসে।
শনিবার (১ জুন) রাজউক আয়োজিত ভূমিকম্প ঝুঁকি মোকাবিলা বিষয়ক এক সেমিনারে যা তুলে ধরেন রাজউকের প্রধান প্রকৌশলী এবং প্রকল্পের পরিচালক আব্দুল লতিফ হেলালী।
তিনি জানান, রাজউক এলাকার অধীনে ঢাকায় ২১ লাখ ৪৭ হাজার ২১৯টি ভবন রয়েছে, যার মধ্যে পাকা ভবন ৫ লাখ ১৩ হাজার ৫০৭টি। ৩ হাজার ২৫২টি (পাকা) ভবনের ওপর জরিপ পরিচালনা করা হয়। এগুলোর মধ্যে অতি-ঝুঁকিতে থাকা ৪২টি ভবন সম্পূর্ণ ভেঙে ফেলার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
হেলালী বলেন, টাঙ্গাইলের মধুপুর ফল্টে ৬.৯ মাত্রার ভূমিকম্প হলে ঢাকার ৮ লাখ ৬৪ হাজার ৬১৯টি থেকে ১৩ লাখ ৯১ হাজার ৬৮৫টি ভবন ধসে বা ভেঙে পড়বে, যা মোট ভবনের ৪০.২৮ থেকে ৬৪.৮৩ শতাংশ। এছাড়া যদি সিলেট লাইনমেন্টে ৭.১ মাত্রার ভূমিকম্প হয়–তাহলে ঢাকার ৪০ হাজার ৯৩৫টি থেকে ৩ লাখ ১৪ হাজার ৭৪২টি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হবে। যা মোট ভবন সংখ্যার ১.৯১ থেকে ১৪.৬৬ শতাংশ।
রাজউকের প্রধান প্রকৌশলী সতর্ক করে বলেন, মধুপুর ফল্টে যদি সকালের দিকে ৬.৯ মাত্রার ভূমিকম্প হয়–তাহলে ঢাকায় ২ লাখ ১০ হাজার থেকে ৩ লাখ ১০ হাজার মানুষ নিহত হবে। দুপুরে হলে ২ লাখ ৭০ হাজার থেকে ৪ লাখ এবং রাতে হলে ৩ লাখ ২০ হাজার থেকে ৫ লাখ মানুষ নিহত হবে।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেন, টেকসই অবকাঠামোর ব্যাপারে সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে। রাজউকের সঙ্গে দেশি ও বিদেশি বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে শহরে ভূমিকম্প সহনশীলতার বিষয়ে কাজ চলমান রয়েছে।
সালমান এফ রহমান বলেন, বর্তমানের পরিকল্পনায় ভবিষ্যতের ঢাকাকে গড়ে তুলবে। ১২৫ বছর ধরে বড় কোনো ভূমিকম্প হয়নি। বিশেষজ্ঞরা বলেন সহসাই একটি বড় ভূমিকম্প হতে পারে। তাই এ বিষয়ে সমস্যাগুলো চিহ্নিত করছে সরকার। যত দ্রুত সম্ভব এ কাজটি করতে হবে।
সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী র আ ম উবায়দুল চৌধুরী বলেন, ভূমিকম্পের ঝুঁকি মোকাবিলায় সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন।
‘বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ভূমিকম্পের ঝুঁকি বাড়ছে। বিদ্যমান দুর্বলতাকে কাটিয়ে সরকার দুর্যোগ ঝুঁকি এড়াতে কাজ করে যাচ্ছে। ভবনের তদারকির সঙ্গেসঙ্গে নিয়ম চাপিয়ে না দিয়ে– জনগণের মধ্যে ভূমিকম্প-সংক্রান্ত ঝুঁকির বিষয়গুলোতে সচেতনতা বাড়াতে হবে’।
সেমিনারে রাজউক চেয়ারম্যান, সচিবসহ দেশি-বিদেশি অতিথিরা আলোচনা করেন। রাজউকের আয়োজনে চলা দুইদিনের এই সেমিনার শেষ হবে ২ জুন।
এদিকে, দেশের ভূমিকম্পবিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাজধানীর ১০০ থেকে ২০০ কিলোমিটার দূরে সাত থেকে আট মাত্রার ভূমিকম্প হলে তীব্র কম্পন অনুভূত হতে পারে, যা এই শহরের দুর্বল ভবনগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। ঢাকার সম্প্রসারিত বা নতুন নতুন আবাসিক এলাকার মাটি নরম ও দুর্বল। এ ধরনের মাটিতে ইমারত নির্মাণ বিধিমালা না মেনে বহুতল ভবন হলে তা মাঝারি মাত্রার কম্পনেই ভেঙে পড়ার আশঙ্কা থাকে। লালমাটির এলাকায় যেসব এক থেকে তিনতলা ভবন নির্মিত হয়েছে, সেগুলোর ঝুঁকি তুলনামূলকভাবে কম।
ভূমিকম্পে মানুষের মৃত্যুর ৯০ শতাংশই হয় ভবনধসে। বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং ভূমিকম্প গবেষক অধ্যাপক সৈয়দ হুমায়ুন আখতার গণমাধ্যমকে বলেন, বাংলাদেশের ভেতরে ১৩টি ভূগর্ভস্থ চ্যুতি রয়েছে। তবে তার সব কটি ঢাকা থেকে বেশ দূরে। কিন্তু পার্বত্য চট্টগ্রাম ও সিলেটে মাঝারি থেকে তীব্র ভূমিকম্প হলে ঢাকায় অনেক ভবন ভেঙে পড়তে পারে।

জাতীয়
আবদুল হামিদ দোষী হলে আইনের আওতায় নেওয়া হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ তদন্তের দোষী হলে আইনের আওতায় নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
এ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি বলেন, তদন্তে দোষী হলে কাউকেই আইনের বাইরে রাখা হবে না। দোষী ব্যক্তিকে আমরা আইনের আওতায় নিয়ে আসবো। কিন্তু কেউ নির্দোষ হলে কেন তাকে সাজা দেবো?
সোমবার (৯ জুন) ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) যাত্রাবাড়ী থানা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
থাইল্যান্ডের ব্যাংককে চিকিৎসা নিয়ে এক মাস পর রোববার (৮ জুন) দিনগত রাত দেড়টায় থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে দেশে ফিরেন আবদুল হামিদ। এর আগে গত ৭ মে গভীর রাতে থাই এয়ারওয়েজের ফ্লাইটে ঢাকা ত্যাগ করেন তিনি। মামলার আসামি হয়েও তিনি কীভাবে দেশত্যাগ করলেন তা নিয়ে তখন অনেকেই প্রশ্ন তোলেন। আবদুল হামিদের দেশত্যাগ নিয়ে ব্যাপক আলোচনার মধ্যেই কয়েকটি দলের দাবির মুখে ১০ মে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ও ১২ মে দলটির নিবন্ধন স্থগিত করা হয়।
একজন সাবেক রাষ্ট্রপতি বিদেশে গিয়েছেন এবং তিনি দেশেও ফিরে এসেছেন। কিন্তু তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এ বিষয়ে জানতে প্রশ্ন করা হলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, অনেকে বলেছেন যে (আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে) কিছু কিছু মামলা আছে, যেগুলোর কোনো তদন্ত হয়নি। তদন্তে যারা দোষী হয়েছে তাদের আইনের আওতায় আনা হয়েছে।
তিনি বলেন, আপনারাই (সাংবাদিক) সবসময় বলেছেন, নির্দোষরা যেন কোনো অবস্থায় সাজা না পায়। এজন্য আমাদের তদন্তটা করতে দেন। তদন্তে কেউ যদি দোষী হয় তাহলে কাউকেই আইনের বাইরে রাখা হবে না। দোষী ব্যক্তিকে আমরা আইনের আওতায় নিয়ে আসবো।
ফৌজদারি মামলায় তদন্তে দোষ বা অপরাধ মোটামুটি প্রমাণিত হওয়ার আগ পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হবে না বলে জানিয়েছেন জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, নির্দোষ একজন মানুষকে কেন সাজা দেবো?
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ঈদ ঘিরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটার মতো বড় ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। রাস্তাঘাটে দু-একটা দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটেছে। টুকটাক চুরিচামারি হচ্ছে। তবে বড় ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। তাই ঈদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে আমি মোটামুটি খুশি।
জাতীয়
বিমানবন্দর দিয়ে সিঙ্গাপুর গেলেন শেখ হাসিনার চাচা

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চাচা শেখ কবির হোসেন সিঙ্গাপুরে পাড়ি জমিয়েছেন। রোববার (৮ জুন) সকালে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে একটি ফ্লাইটে অনেকটা গোপনে তিনি সিঙ্গাপুর যান।
সোমবার (৯ জুন) সকালে ইমিগ্রেশন পুলিশ এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। শেখ কবির হোসেনের বিরুদ্ধে টাকা পাচার, ক্ষমতার অপব্যবহার ও সরকারি বড় বড় পদ দখল করে রাখার অভিযোগ রয়েছে।
শাহজালাল বিমানবন্দর সূত্র জানায়, ক্ষমতাবান একটি চক্রের সহায়তায় শেখ কবির বিমানবন্দর ছাড়তে সক্ষম হন। অথচ শেখ হাসিনার শাসন আমলে আর্থিক খাতসহ বিভিন্ন খাতে অত্যন্ত প্রভাবশালী নাম ছিল শেখ কবির। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালীন ২৩টি প্রতিষ্ঠান, সংগঠন ও সংস্থার শীর্ষ পর্যায়ের নানান পদে ছিলেন শেখ কবির।
২০১১ সাল থেকে বিমা কোম্পানির মালিকদের সমিতি বাংলাদেশ ইনস্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিআইএ) একটানা সভাপতি ছিলেন শেখ কবির হোসেন। আওয়ামী লীগের শাসনামলে শেখ হাসিনার চাচা হিসেবে শেখ কবিরের পরিচিতির কারণে দুই বছর মেয়াদি বিআইএর কমিটির কোনো স্বাভাবিক নির্বাচন হতো না। এ ছাড়া শেখ কবির বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি ও বাংলাদেশ মানবাধিকার কাউন্সিলের সাবেক চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ প্রাইভেটাইজেশন কমিশনের সদস্য এবং বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের মেম্বার অব গভর্নরস, প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি অ্যাসোসিয়েশন, সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিডিবিএল) চেয়ারম্যান ছিলেন।
শেখ কবিরের দেশত্যাগের বিষয়ে জানতে সোমবার সকালে পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) ডিআইজি (ইমিগ্রেশন) মোয়াজ্জেম হোসেনের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইমিগ্রেশন পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, রোববার সকালে একটি ফ্লাইটে তিনি দেশের বাইরে গেছেন। অথচ তার বিরুদ্ধে অনেকগুলো হত্যা মামলা ছিল। তারপর একটি প্রভাবশালী মহলের চাপে তাকে বিদেশ যাত্রা অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
জাতীয়
বিশ্ব অ্যাক্রেডিটেশন দিবস আজ

বিশ্ব অ্যাক্রেডিটেশন দিবস আজ। ইন্টারন্যাশনাল অ্যাক্রেডিটেশন ফোরাম (আইএএফ) ও ইন্টারন্যাশনাল ল্যাবরেটরি অ্যাক্রেডিটেশন কো-অপারেশন (আইএলএসি) প্রতি বছর ৯ জুনকে বিশ্ব অ্যাক্রেডিটেশন দিবস হিসেবে পালন করে।
বিশ্বের অন্য দেশের মতো বাংলাদেশেও বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যদিয়ে দিবসটি পালিত হবে। এ বছর দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে, ‘অ্যাক্রেডিটেশন : ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগের ক্ষমতায়ন (এসএমই)’।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ‘বিশ্ব অ্যাক্রেডিটেশন দিবস’ উপলক্ষ্যে বাণী দিয়েছেন।
বাণীতে তিনি বলেন, অ্যাক্রেডিটেশন ব্যবস্থা জাতীয় গুণগতমান অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে পণ্য ও সেবার সরবরাহ ব্যবস্থার সব পর্যায়ে গুণগতমান নিশ্চিতকরণ, দক্ষ কারিগরি জনবল সৃষ্টি, বাণিজ্যে কারিগরি বাধা অপসারণ এবং আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশের সুযোগ সৃষ্টি করে এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে গঠিত বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার দেশের মাঝারি ও ক্ষুদ্র শিল্পের বিকাশে খুবই আন্তরিক। এ খাতের কাঙ্ক্ষিত উন্নয়নের পাশাপাশি টেকসই শিল্পায়ন, ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ প্রসারে বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন বোর্ড (বিএবি) ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে ইতিবাচক ভূমিকা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান তিনি।
জাতীয়
করোনা সতর্কতায় চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরে বাড়তি নজরদারি

করোনা ভাইরাস সংক্রমণ মোকাবিলায় চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের টার্মিনালের স্পর্শকাতর পয়েন্টগুলোতে সবাইকে মাস্ক ব্যবহারের জরুরি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ভারতসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে শাহ আমানত বিমানবন্দরে মাস্ক ব্যবহারের জরুরি নির্দেশনা দিয়েছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।
রবিবার (৮ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনার আলোকে এ নির্দেশনা জারি করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জনসংযোগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রতিবেশী দেশ ভারতসহ বিভিন্ন দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ায় বাংলাদেশে এ সংক্রমণ এড়াতে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর জরুরি স্বাস্থ্য নির্দেশনা দিয়েছে।
এরমধ্যে রয়েছে- আন্তর্জাতিক আগমনি হলে ইমিগ্রেশন এ প্রবেশস্থলে হেলথ স্ক্রিনিং ইকুইপমেন্ট বসানো হয়েছে। বিমানবন্দরের মেডিকেল টিম কর্তৃক থার্মাল স্ক্যানারের মাধ্যমে নন টাচ পদ্ধতিতে আগত যাত্রীদের তাপমাত্রা নির্ণয় করার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
বিমানবন্দরে টার্মিনালের স্পর্শকাতর পয়েন্টগুলোতে সবার জন্য মাস্ক ব্যবহারের জরুরি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বিমানবন্দরের স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য জরুরিভিত্তিতে পর্যাপ্ত মাস্ক ও গ্লোভস মজুতের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যাত্রীদের মধ্যে ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে গণসচেতনতা বাড়ানোর জন্য রোগ প্রতিরোধ নির্দেশনা প্রচারের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
জাতীয়
ঈদের তৃতীয় দিনেও চলবে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম: উপদেষ্টা আসিফ

ঈদের তৃতীয় দিনেও পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চলবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া। একইসঙ্গে ঈদুল আজহার দ্বিতীয় দিন কোরবানি করা পশুর বর্জ্য দ্রুত অপসারণের কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
রবিবার (৮ জুন) দিবাগত রাতে এক ফেসবুক পোস্টে তিনি এসব তথ্য জানিয়েছেন।
আসিফ মাহমুদ বলেন, ঈদের দিনসহ পরবর্তী দুই দিন অর্থাৎ মোট তিন দিন ধরে কোরবানি হয়ে থাকে। সেই অনুযায়ী দ্বিতীয় দিনেও পশু কোরবানি হয়েছে এবং স্বাভাবিকভাবেই সেদিনও বর্জ্য তৈরি হয়েছে।
ফেসবুক পোস্টে তিনি জানান, ঈদের দ্বিতীয় দিনে কোরবানি করা পশুর বর্জ্য নিয়ে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে, সেটি দ্বিতীয় দিনের কোরবানি করা পশুর বর্জ্য। তবে অনেকেই সিটি কর্পোরেশনের নির্ধারিত স্থানে পশু কোরবানি না করলেও সংশ্লিষ্টদের আন্তরিক প্রচেষ্টায় নির্ধারিত সময়ের আগেই পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম শেষ হয়েছে।
পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম ঈদের তৃতীয় দিনেও চলমান থাকবে বলেও জানান উপদেষ্টা।
এর আগে ঈদের দিন দিবাগত রাতে আসিফ মাহমুদ এক পোস্টে উল্লেখ করেন, সব সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে।
তিনি বলেন, ৩৫ হাজার ২৭২ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী ঈদ আনন্দ বিসর্জন দিয়ে সুন্দর করেছেন আমাদের ঈদ উদযাপন। এজন্য পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতাও জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, ধর্মীয় দিক থেকে ঈদুল আজহার তৃতীয় দিনও কোরবানি করা যায়। তাই অনেকেই আজও কোরবানি করবেন। তাই সংশ্লিষ্ট সিটি কর্পোরেশনগুলোর পক্ষ থেকে ঈদের তৃতীয় দিনেও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা রাখা হয়েছে।