জাতীয়
বাংলাদেশে ভূমিকম্প নিয়ে দুঃসংবাদ
![বাংলাদেশে ভূমিকম্প নিয়ে দুঃসংবাদ টেকনো ড্রাগস](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/06/vumikompo-1.jpg)
মাঝেমধ্যেই ছোট ও মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠছে বাংলাদেশ। এসব ভূমিকম্পে তেমন বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি না হলেও বড় মাত্রার ভূমিকম্পে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। সাম্প্রতিককালে বড় মাত্রার ভূমিকম্প না হলেও ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে ঝুঁকিতে রয়েছে বাংলাদেশ।
সবশেষ গত বুধবার (২৯ মে) ৭টা ১৫ মিনিটের দিকে বাংলাদেশে ভূমিকম্প অনুভূত হয়। ইউএসজিএস জানিয়েছে, ভূমিকম্পের উৎপত্তি ছিলো মিয়ানমারের মাওলাইকে। এর মাত্রা ছিলো ৫ দশমিক ৪। ভূমিকম্পের কেন্দ্রে এর গভীরতা ছিলো ১০ কিলোমিটার।
দেশের ১৩টি এলাকা ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে রয়েছে। ভূগর্ভস্থ ফাটল বা চ্যুতি থাকার কারণে ঐ কম্পন হতে পারে। সবচেয়ে তীব্র ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে রয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রামের তিনটি জেলা, সিলেটের জৈন্তাপুর এলাকা ও ঢাকার টাঙ্গাইল জেলা।
সব এলাকাই ঢাকা থেকে কমপক্ষে ১০০ কিলোমিটার দূরে। কিন্তু সেখানে সাত থেকে আট মাত্রার ভূমিকম্প হলে তা ঢাকায় বড় ধরনের বিপর্যয় তৈরি করতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েক জন শিক্ষকের গবেষণায় এসব তথ্য উঠে এসেছে।
সাম্প্রতিক এক গবেষণায় উঠে এসেছে, টাঙ্গাইলের মধুপুর ফল্টে ৬.৯ মাত্রার ভূমিকম্প হলে ঢাকার ৮ লাখ ৬৪ হাজার ৬১৯টি থেকে ১৩ লাখ ৯১ হাজার ৬৮৫টি ভবন ধসে বা ভেঙে পড়বে, যা মোট ভবনের ৪০.২৮ থেকে ৬৪.৮৩ শতাংশ। এছাড়া যদি সিলেট লাইনমেন্টে ৭.১ মাত্রার ভূমিকম্প হয়– তাহলে ঢাকার ৪০ হাজার ৯৩৫টি থেকে ৩ লাখ ১৪ হাজার ৭৪২টি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হবে। যা মোট ভবন সংখ্যার ১.৯১ থেকে ১৪.৬৬ শতাংশ।
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ- রাজউকের আরবান রেজিলিয়েন্স প্রজেক্টের অধীনে পরিচালিত গবেষণায় এ তথ্য উঠে আসে।
শনিবার (১ জুন) রাজউক আয়োজিত ভূমিকম্প ঝুঁকি মোকাবিলা বিষয়ক এক সেমিনারে যা তুলে ধরেন রাজউকের প্রধান প্রকৌশলী এবং প্রকল্পের পরিচালক আব্দুল লতিফ হেলালী।
তিনি জানান, রাজউক এলাকার অধীনে ঢাকায় ২১ লাখ ৪৭ হাজার ২১৯টি ভবন রয়েছে, যার মধ্যে পাকা ভবন ৫ লাখ ১৩ হাজার ৫০৭টি। ৩ হাজার ২৫২টি (পাকা) ভবনের ওপর জরিপ পরিচালনা করা হয়। এগুলোর মধ্যে অতি-ঝুঁকিতে থাকা ৪২টি ভবন সম্পূর্ণ ভেঙে ফেলার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
হেলালী বলেন, টাঙ্গাইলের মধুপুর ফল্টে ৬.৯ মাত্রার ভূমিকম্প হলে ঢাকার ৮ লাখ ৬৪ হাজার ৬১৯টি থেকে ১৩ লাখ ৯১ হাজার ৬৮৫টি ভবন ধসে বা ভেঙে পড়বে, যা মোট ভবনের ৪০.২৮ থেকে ৬৪.৮৩ শতাংশ। এছাড়া যদি সিলেট লাইনমেন্টে ৭.১ মাত্রার ভূমিকম্প হয়–তাহলে ঢাকার ৪০ হাজার ৯৩৫টি থেকে ৩ লাখ ১৪ হাজার ৭৪২টি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হবে। যা মোট ভবন সংখ্যার ১.৯১ থেকে ১৪.৬৬ শতাংশ।
রাজউকের প্রধান প্রকৌশলী সতর্ক করে বলেন, মধুপুর ফল্টে যদি সকালের দিকে ৬.৯ মাত্রার ভূমিকম্প হয়–তাহলে ঢাকায় ২ লাখ ১০ হাজার থেকে ৩ লাখ ১০ হাজার মানুষ নিহত হবে। দুপুরে হলে ২ লাখ ৭০ হাজার থেকে ৪ লাখ এবং রাতে হলে ৩ লাখ ২০ হাজার থেকে ৫ লাখ মানুষ নিহত হবে।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেন, টেকসই অবকাঠামোর ব্যাপারে সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে। রাজউকের সঙ্গে দেশি ও বিদেশি বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে শহরে ভূমিকম্প সহনশীলতার বিষয়ে কাজ চলমান রয়েছে।
সালমান এফ রহমান বলেন, বর্তমানের পরিকল্পনায় ভবিষ্যতের ঢাকাকে গড়ে তুলবে। ১২৫ বছর ধরে বড় কোনো ভূমিকম্প হয়নি। বিশেষজ্ঞরা বলেন সহসাই একটি বড় ভূমিকম্প হতে পারে। তাই এ বিষয়ে সমস্যাগুলো চিহ্নিত করছে সরকার। যত দ্রুত সম্ভব এ কাজটি করতে হবে।
সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী র আ ম উবায়দুল চৌধুরী বলেন, ভূমিকম্পের ঝুঁকি মোকাবিলায় সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন।
‘বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ভূমিকম্পের ঝুঁকি বাড়ছে। বিদ্যমান দুর্বলতাকে কাটিয়ে সরকার দুর্যোগ ঝুঁকি এড়াতে কাজ করে যাচ্ছে। ভবনের তদারকির সঙ্গেসঙ্গে নিয়ম চাপিয়ে না দিয়ে– জনগণের মধ্যে ভূমিকম্প-সংক্রান্ত ঝুঁকির বিষয়গুলোতে সচেতনতা বাড়াতে হবে’।
সেমিনারে রাজউক চেয়ারম্যান, সচিবসহ দেশি-বিদেশি অতিথিরা আলোচনা করেন। রাজউকের আয়োজনে চলা দুইদিনের এই সেমিনার শেষ হবে ২ জুন।
এদিকে, দেশের ভূমিকম্পবিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাজধানীর ১০০ থেকে ২০০ কিলোমিটার দূরে সাত থেকে আট মাত্রার ভূমিকম্প হলে তীব্র কম্পন অনুভূত হতে পারে, যা এই শহরের দুর্বল ভবনগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। ঢাকার সম্প্রসারিত বা নতুন নতুন আবাসিক এলাকার মাটি নরম ও দুর্বল। এ ধরনের মাটিতে ইমারত নির্মাণ বিধিমালা না মেনে বহুতল ভবন হলে তা মাঝারি মাত্রার কম্পনেই ভেঙে পড়ার আশঙ্কা থাকে। লালমাটির এলাকায় যেসব এক থেকে তিনতলা ভবন নির্মিত হয়েছে, সেগুলোর ঝুঁকি তুলনামূলকভাবে কম।
ভূমিকম্পে মানুষের মৃত্যুর ৯০ শতাংশই হয় ভবনধসে। বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং ভূমিকম্প গবেষক অধ্যাপক সৈয়দ হুমায়ুন আখতার গণমাধ্যমকে বলেন, বাংলাদেশের ভেতরে ১৩টি ভূগর্ভস্থ চ্যুতি রয়েছে। তবে তার সব কটি ঢাকা থেকে বেশ দূরে। কিন্তু পার্বত্য চট্টগ্রাম ও সিলেটে মাঝারি থেকে তীব্র ভূমিকম্প হলে ঢাকায় অনেক ভবন ভেঙে পড়তে পারে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
![](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2023/02/Logo_OS_250_72.webp)
জাতীয়
নতুন অর্থবছরে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠক
![নতুন অর্থবছরে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠক টেকনো ড্রাগস](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/prime.jpg)
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিসভার ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ও নিয়মিত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (১ জুলাই) সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার তেজগাঁওয়ের কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা (উপপ্রধান তথ্য অফিসার) সুমন মেহেদী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, বৈঠকের শুরুতে জাপানের নাগাসাকি পিস পার্কে শান্তি স্তম্ভ স্থাপন করায় নাগাসাকির মেয়রের দেওয়া সার্টিফিকট অব অ্যাপ্রিসিয়েশন প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী র হ ম মুক্তাদির। তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বিশেষ অবদানের জন্য সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশনের দপ্তর থেকে প্রাপ্ত চ্যাম্পিয়ন পুরস্কার প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মন্ত্রিসভার বৈঠক নিয়ে সচিবালয়ে ব্রিফ করেছেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
স্বচ্ছতার সঙ্গে বাজেট বাস্তবায়নের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
![স্বচ্ছতার সঙ্গে বাজেট বাস্তবায়নের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর টেকনো ড্রাগস](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/06/Pm-11.jpg)
মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোকে যত্ন ও স্বচ্ছতার সঙ্গে পাস হওয়া নতুন অর্থবছরের (২০২৪-২৫) বাজেট বাস্তবায়নের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার (১ জুলাই) মন্ত্রিসভা বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশনা দেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ বৈঠক হয়। প্রধানমন্ত্রী এতে সভাপতিত্ব করেন।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রধানমন্ত্রীর এ নির্দেশনার কথা জানান।
রবিবার (৩০ জুন) সংসদ অধিবেশনে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার জাতীয় বাজেট পাস হয়েছে।
স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অধিবেশনে এ বাজেট কণ্ঠভোটে পাস হয়, যা ১ জুলাই থেকে কার্যকর হয়েছে।
এরও আগে শনিবার (২৯ জুন) বিকেলে সংসদে অর্থবিল উত্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী এবং পরে সেটি সংসদে পাস হয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
রাজস্ব আদায়ের নতুন মাইলফলক দক্ষিণ সিটির
![রাজস্ব আদায়ের নতুন মাইলফলক দক্ষিণ সিটির টেকনো ড্রাগস](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/DSCC.jpg)
রাজস্ব আদায়ে আবারও নতুন মাইলফলক সৃষ্টি করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ১ হাজার ৬১ কোটি ৫৯ লাখ টাকা রাজস্ব আদায়ের মাধ্যমে নতুন এই মাইলফলক সৃষ্টি করল প্রতিষ্ঠানটি।
সোমবার (১ জুলাই) দুপুরে মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের কাছে করপোরেশনের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হক ২০২৩-২৪ অর্থবছরের রাজস্ব আদায় সংক্রান্ত সংক্ষিপ্ত বিবরণী হস্তান্তর করেন।
মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস এসময় প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হককে ফুল দিয়ে বরণ করেন।
রাজস্ব আদায় সংক্রান্ত হস্তান্তরিত সংক্ষিপ্ত বিবরণীতে দেখা যায় যে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে গৃহ কর (হোল্ডিং ট্যাক্স) বাবদ ৪০৩ কোটি ১৮ লাখ, বাজার সালামি খাতে ১৪৮ কোটি ৪০ লাখ, বাণিজ্য অনুমতি (ট্রেড লাইসেন্স) ফি বাবদ ৭৭ কোটি ২৭ লাখ, স্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তর কর হতে ১৩২ কোটি ২৬ লাখ টাকা আয় করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন।
এসময় উৎফুল্ল মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস রাজস্ব বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, কোন ধরনের কর বৃদ্ধি না করার যে ওয়াদা আমি ঢাকাবাসীকে দিয়েছিলাম তা সম্পূর্ণরূপে রক্ষা করে এবং দুর্নীতি, অনিয়ম, গাফিলতি রোধ করার মাধ্যমে আমরা ঢাকাবাসীর আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। ফলে রাজস্ব আদায়ে আমরা নতুন নতুন মাইলফলক সৃষ্টি করে চলেছি। এরই ধারাবাহিকতায় ও সবার কর্মতৎপরতায় এবার আমরা বিগত বছরের রাজস্ব আদায়ের পরিমাণকেও ছাড়িয়ে যেতে সক্ষম হয়েছি। এর মাধ্যমে আমরা নিজস্ব অর্থায়নে আগের চাইতে আরও বেশি উদ্যোগ ও কর্মযজ্ঞ বাস্তবায়ন করতে পারব। ঢাকাবাসীকে আরও বৃহৎ পরিসরে নাগরিক সেবা নিশ্চিত করতে পারব।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, বিগত ২০১৯-২০, ২০২০-২১, ২০২১-২২ ও ২০২২-২৩ অর্থবছরের যথাক্রমে রাজস্ব আদায় ছিল ৫১৩.৯৬ কোটি, ৭০৩.৩১ কোটি, ৮৭৯.৬৬ কোটি ও ১০৩১.৯৭ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করেছিল।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
সাদেক এগ্রোকে অনৈতিক সহযোগিতা, সাভার ডেইরি ফার্মে অভিযান
![সাদেক এগ্রোকে অনৈতিক সহযোগিতা, সাভার ডেইরি ফার্মে অভিযান টেকনো ড্রাগস](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/sadek-DUDOK.jpg)
সাদেক অ্যাগ্রোকে অনৈতিক সহযোগিতা দেয়ার অভিযোগ খতিয়ে দেখতে সাভারের কেন্দ্রীয় গো প্রজনন ও দুগ্ধ খামারে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এসময় দুদক কর্মকর্তারা বিভিন্ন নথি যাচাই-বাছাই করে এবং বেশ কিছু নথির ফটোকপি নিয়ে যান।
সোমবার (১ জুলাই) দুপুরে দুদকের সহকারী পরিচালক আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে নয় সদস্যের একটি দল এই অভিযান পরিচালনা করেন।
অভিযান প্রসঙ্গে দুদকের সহকারী পরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন, ২০২১ সালের মাঝামাঝি সময়ে আমদানি নিষিদ্ধ ১৮টি ব্রাহ্মা জাতের গরু জব্দ করা হয়। পরবর্তীতে সেই গরুগুলো সাভারে কেন্দ্রীয় গো প্রজনন ও দুগ্ধ খামারে হস্থান্তর করা হয়। সেই গরুগুলো একটি নির্দিষ্ট সময় পরে মাংস বিক্রির উদ্দেশ্যে নিলামের মাধ্যমে ডেইরি ফার্ম অ্যাসোসিয়েশনের কাছে দেওয়া হয়।
সম্প্রতি সাদেক অ্যাগ্রোতে ব্রাহ্মা জাতের গরু পাওয়া যাওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে অভিযোগ ওঠে, কেন্দ্রীয় গো প্রজনন ও দুগ্ধ খামার থেকে নিলামের মাধ্যমে বিক্রিত ব্রাহ্মা জাতের গরুগুলোকে অসৎ পন্থা অবলম্বন করে সাদেক অ্যাগ্রো কিনে নেয়। সেই অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ে আজ এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
রাষ্ট্রপতির কাছে তিন দেশের রাষ্ট্রদূতদের পরিচয়পত্র পেশ
![রাষ্ট্রপতির কাছে তিন দেশের রাষ্ট্রদূতদের পরিচয়পত্র পেশ টেকনো ড্রাগস](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/a.jpg)
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের কাছে পরিচয়পত্র পেশ করেছেন বাংলাদেশে নবনিযুক্ত গ্রিস, লিথুনিয়া ও মালাউইয়ের রাষ্ট্রদূতরা।
সোমবার (১ জুলাই) সকালে বঙ্গভবনে পৌঁছালে প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের একটি চৌকস দল তাদের গার্ড অব অনার প্রদান করে।
পরে গ্রিসের রাষ্ট্রদূত আলীকি কৌতসোমিতোপাওলৌ, লিথুনিয়ার রাষ্ট্রদূত ডায়ানা মিকিভিসিইয়েন ও মালাউইয়ের রাষ্ট্রদূত লিওনার্দো মেনজেজি রাষ্ট্রপতির কাছে তাদের পরিচয়পত্র পেশ করেন।
নতুন রাষ্ট্রদূতদের স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সাথে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নের পাশাপাশি বহুপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দেয়। তুলনামূলক সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বিনিয়োগসহ বিভিন্ন সম্ভাবনাময় খাতের উন্নয়নে নতুন রাষ্ট্রদূতদের কাজ করার কথা বলেন রাষ্ট্রপতি।
বাংলাদেশে বিরাজমান বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশের উল্লেখ করে তিনি অবকাঠামো উন্নয়ন, জ্বালানি এবং আইসিটিসহ সম্ভাবনাময় খাতগুলোতে বিনিয়োগ করতে গ্রিস, লিথুনিয়া ও মালাউইয়ের বিনিয়োগকারীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের পর বাংলাদেশ যাতে জিএসপি প্লাস বাণিজ্যিক সুবিধা পায়, সেই বিষয়ে তিনি ইউরোপীয় ইউনিয়নের সমর্থন ও সহযোগিতা কামনা করেন।
রাষ্ট্রপতি তৈরি পোশাক, পাট, পাটজাত পণ্য, চামড়া ও সিরামিকসহ আন্তর্জাতিক মানের পণ্যের আমদানি বাড়াতে নতুন রাষ্ট্রদূতদের কাজ করার আহ্বান জানান। সাক্ষাৎকালে গ্রিস, লিথুনিয়া ও মালাউইয়ের রাষ্ট্রদূতরা বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতের ইতিবাচক পরিবর্তনের প্রশংসা করেন। তারা বাংলাদেশের সঙ্গে নিজ নিজ দেশের বাণিজ্য বিনিয়োগসহ সব ধরনের সম্পর্ক উন্নয়নে কাজ করার কথা জানান।
নতুন রাষ্ট্রদূতরা দায়িত্ব পালনে রাষ্ট্রপতির সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন। সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।