জাতীয়
ধান বিক্রি করে ৯৬ হাজার টাকা পেলেন প্রধানমন্ত্রী

পৈতৃক জমিতে উৎপাদিত বোরো ধান বিক্রি করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। টুঙ্গিপাড়া খাদ্য গুদামের কাছে ৭৫ বস্তা ধান বিক্রি করে ৯৬ হাজার টাকা পেয়েছেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর ধান বিক্রির বিষয়টি নিশ্চিত করছেন টুঙ্গিপাড়া খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-এলএসডি) বিদ্যুৎ কুমার বিশ্বাস ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রকিবুল ইসলাম।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, খাদ্য গুদামের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার (২৮ মে) প্রধানমন্ত্রীর এই ধান সংগ্রহ করা হয়েছে। এতে তার ঠিকানা হিসেবে ধানমন্ডির সুধা সদন উল্লেখ করা হয়েছে। কারণ ভোটার হওয়ার সময় স্বামী মরহুম ড. ওয়াজেদ মিয়ার এই বাড়ির ঠিকানাই দিয়েছিলেন তিনি।
এবার দ্বিতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারি খাদ্য গুদামের কাছে ধান বিক্রি করলেন। গত বছর বোরো মৌসুমে প্রথমবারের মতো ধান বিক্রি করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ৩ টন ধানের ওজন মান ও মজুত সনদ প্রদান করা হয়। ওজন মান ও মজুত মান সনদের তথ্যমতে, প্রধানমন্ত্রী সরকারি গুদামে বোরো ধান বিক্রি করেছেন। ৭৫ বস্তায় ৩০০০ কেজি ধান তিনি সরকারি ধার্য করা মূল্য ৩২ টাকা কেজিতে বিক্রি করেছেন। এতে তিনি মোট ৯৬ হাজার টাকা পেয়েছেন।
টুঙ্গিপাড়া খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-এলএসডি) বিদ্যুৎ কুমার বিশ্বাস বলেন, প্রধানমন্ত্রী তিন টন ধান সরকারি খাদ্য গুদামের কাছে সরকারি মূল্যে বিক্রি করেছেন। এ থেকে তিনি ৯৬ হাজার টাকা পেয়েছেন। অনলাইনে তার ব্যাংক হিসাবে অর্থ হস্তান্তর করা হয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রকিবুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রী তার পৈতৃক জমিতে উৎপাদিত ধান বিক্রি করছেন। কৃষি বিভাগের মাধ্যমে উপজেলা খাদ্য গুদাম এই ধান ক্রয় করেছে। গত বছরও প্রধানমন্ত্রী খাদ্য গুদামে ধান বিক্রি করেছিলেন।

জাতীয়
তিন মাসে রাজনৈতিক সহিংসতায় নিহত ৭২, গণপিটুনিতে ১৯

চলতি বছরের এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত দেশে রাজনৈতিক সহিংসতায় অন্তত ৭২ জন নিহত এবং ১ হাজার ৬৭৭ জন আহত হয়েছেন। একই সময়ে গণপিটুনিতে প্রাণ হারিয়েছেন ১৯ জন। মানবাধিকার সংগঠন ‘অধিকার’–এর প্রকাশিত ত্রৈমাসিক প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।
সংগঠনটি জানায়, দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে সংগৃহীত তথ্য এবং সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এই তিন মাসে বিএনপির ১০৫টি এবং আওয়ামী লীগের (কার্যক্রম নিষ্ক্রিয়) ৪টি অভ্যন্তরীণ সংঘাতের ঘটনা ঘটেছে। বিএনপির সংঘাতে নিহত হয়েছেন ১৯ জন এবং আহত হয়েছেন ৯৭৩ জন। অন্যদিকে, আওয়ামী লীগের সংঘাতে ২ জন নিহত ও ২৪ জন আহত হয়েছেন।
বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড: এপ্রিলে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার যৌথ বাহিনী গঠন করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করছে। তবে এই সময়েও বিচারবহির্ভূত হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এপ্রিলে থেকে জুন পর্যন্ত ৮ জন বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৫ জন পুলিশের, ১ জন র্যাব, ১ জন কোস্টগার্ড এবং ১ জন যৌথ বাহিনীর সদস্যদের হাতে নিহত হন বলে দাবি করা হয়েছে।
গণপিটুনি ও সহিংসতা: প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, গণপিটুনির ঘটনা উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিতি ও ব্যবস্থা গ্রহণে দুর্বলতার কারণে ১৯ জন গণপিটুনিতে প্রাণ হারিয়েছেন।
কারাগার পরিস্থিতি: দেশের কারাগারগুলোর ধারণক্ষমতার চেয়ে অতিরিক্ত বন্দী থাকায় সেগুলোর অবস্থা নাজুক হয়ে পড়েছে। চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে ধারণক্ষমতার তিন গুণ বন্দী থাকার উল্লেখ করা হয়েছে। চিকিৎসা-সংকটের কারণে এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত ২২ জন বন্দী মারা গেছেন, যাঁদের ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে অসুস্থতা থেকে সঠিক চিকিৎসা না পাওয়ার কারণে।
নারী ও শিশু নির্যাতন: এই সময়ে ২০৮ জন নারী ও শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। ধর্ষণের শিকারদের মধ্যে ৭৮ জন নারী এবং ১০৯ জন কন্যাশিশু। দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন ১৩ জন কন্যাশিশু, আর ধর্ষণের পর হত্যার শিকার হন ৩ জন। যৌতুকের কারণে ১১ জন নারী নিহত হন এবং যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন ১৪ জন।
সীমান্তে সহিংসতা: বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে ৯ জন বাংলাদেশি নিহত ও ৫ জন আহত হয়েছেন বলে প্রতিবেদনে বলা হয়। নিহতদের মধ্যে ৭ জন গুলিতে এবং ২ জন নির্যাতনে মারা যান। একই সময়ে নারী, শিশু ও বৃদ্ধসহ ১ হাজার ৭৮৩ জন বাংলাদেশিকে জোরপূর্বক ফেরত পাঠানোর অভিযোগও উত্থাপন করা হয়।
সাংবাদিক নির্যাতন: প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে ৩০ জন সাংবাদিক আহত, ১৬ জন লাঞ্ছিত এবং ১১ জন হুমকির শিকার হয়েছেন। হামলার জন্য বিএনপি-জামায়াত কর্মী, প্রশাসনের সদস্য ও মাদক ব্যবসায়ীদের দায়ী করা হয়েছে।
কাফি
জাতীয়
সব অস্ত্র এখনো উদ্ধার করতে পারিনি, চেষ্টা করছি: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, আমরা সব অস্ত্র এখনও উদ্ধার করতে পারিনি। অস্ত্র উদ্ধারের চেষ্টা করছি। ইলেকশনের আগে অনেক অস্ত্র উদ্ধার হয়ে যাবে। ইলেকশনটা যেন ভালোভাবে হয়, সেটা আমরা চেষ্টা করব।
শনিবার (২৬ জুলাই) নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ লাইন্স পরিদর্শন শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী একমাত্র স্টেকহোল্ডার নয়। এটার সবচেয়ে বড় স্টেকহোল্ডার যারা নির্বাচন করবে এবং নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসন। তারাই মূল ভূমিকা পালন করবে। তারা সহযোগিতা করলে আমাদের পক্ষে সম্ভব।
সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমরা আপনাদের সাহায্য সহযোগিতা চাই। আপনারা সত্য সংবাদ প্রকাশ করলে কেউ কোনো উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারবে না। আজকাল আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স দিয়ে যে চলে গেছে (মৃত ব্যক্তি), তারও ছবি দিয়ে জীবিত বানিয়ে ফেলছে। আপনাদের প্রতি অনুরোধ সত্য সংবাদটা প্রকাশ করবেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাজ ঘটনা যা ঘটে এর সত্যটা প্রকাশ করে দেওয়া। এখানে লুকোচুরির কিছু নেই। এটা হলে জনগণ সচেতন হয়। কিছু স্বার্থান্বেষী মহল তো থাকবেই, যারা সবসময় একটা সমস্যা তৈরির চেষ্টা করবে, বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
তিনি আরও বলেন, আমি রাজনৈতিক দলগুলোকে অনুরোধ করব, আপনারা নিজেদের মধ্যে বিভেদ করবেন না। পুলিশের সঙ্গে তো রাজনৈতিক দলের বিভেদ থাকার কথা না। আমাদের কাজ আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা, আপনাদের (কাজ) জনগণের কাছে গিয়ে ভোট আদায় করা। আমাদের কাজ জনগণ যেন সুখে শান্তিতে থাকতে পারে, সেটার ব্যবস্থা করা।
কাফি
জাতীয়
নির্বাচনে অস্ত্রের চেয়েও ভয়াবহ হুমকি হতে পারে এআই: সিইসি

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘এটি আধুনিক এক হুমকি, যা অস্ত্রের চেয়েও ভয়াবহ।’
শনিবার (২৬ জুলাই) সকালে খুলনার আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে নির্বাচন উপলক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় সভার আগে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
সিইসি বলেন, ‘নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে প্রযুক্তিনির্ভর হস্তক্ষেপের ঝুঁকি রয়েছে। এসব রোধে কমিশন সতর্ক রয়েছে।
আগামী নির্বাচন যেন শান্তিপূর্ণ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক হয়—সেই লক্ষ্যে নির্বাচনের আগে সন্ত্রাস দমন এবং অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান চলবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা চাই স্বচ্ছ নির্বাচন। রাতের আঁধারে নয়, দিনের আলোতেই সব কার্যক্রম পরিচালিত হবে—যাতে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা যায়। জাতিকে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দিতে না পারলে দেশের ভবিষ্যৎ নিয়েই প্রশ্ন উঠবে।’
মতবিনিময় সভায় খুলনা বিভাগের অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা, জেলার সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দিন।
কাফি
জাতীয়
মাইলস্টোন ট্রাজেডি: দগ্ধ আরও এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু

ঢাকার উত্তরার দিয়াবাড়ির মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় দগ্ধ আরেক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। শিশুটির নাম জারিফ (১৪)। শনিবার (২৬ জুলাই) সকাল ৯টা ১০ মিনিটে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এখনও তার মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়নি বলে জানা গেছে।
গত সোমবার বেলা সোয়া একটার দিকে দিয়াবাড়ির মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে বিমানবাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়। এতে হতাহতের ঘটনা ঘটে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আজ শনিবার সকাল ৮টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, এ ঘটনায় মারা গেছে ৩৩ জন। বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে ৫০ জন।
কাফি
জাতীয়
নিম্নচাপে প্লাবনের শঙ্কা, ১১ জেলা ঝুঁকিতে

উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত নিম্নচাপের প্রভাবে দেশের উপকূলীয় ১১ জেলায় এক থেকে তিন ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। একই সঙ্গে বেড়েছে নদ-নদীর পানি। সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে, বৃহস্পতিবার উত্তর বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়। শুক্রবার ভোর ৬টায় সেটি নিম্নচাপে পরিণত হয়, যা পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১১০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে।
অমাবস্যার প্রভাব ও নিম্নচাপের সম্মিলিত প্রভাবে সাতক্ষীরা, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজারসহ আশপাশের চর ও দ্বীপ এলাকায় এক থেকে তিন ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসের সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে অধিদপ্তর।
আবহাওয়াবিদ ড. মো. ওমর ফারুক জানান, “দেশের উপকূলীয় এলাকা, দ্বীপ ও চরসমূহে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ১ থেকে ৩ ফুট বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। পরশু দিন থেকে বৃষ্টিপাত আরও বাড়তে পারে। এতে পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধ্বস এবং নগরাঞ্চলে জলাবদ্ধতার ঝুঁকি রয়েছে।”
এদিকে, বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের কারণে মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদে থাকতে বলা হয়েছে। ইতোমধ্যে জোয়ারের পানিতে নদীতীরবর্তী নীচু এলাকাগুলো প্লাবিত হয়েছে।
পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলায় অস্বাভাবিক জোয়ারে অন্তত ১০টি গ্রাম তলিয়ে গেছে। ভাঙা বেড়িবাঁধ দিয়ে পানি ঢুকে পড়ায় লোকজন দুর্ভোগে পড়েছে। বরিশাল নগরীতেও জোয়ারের পানিতে প্রধান সড়কসহ বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আগামী ৪৮ ঘণ্টায় পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে। জনগণকে সতর্ক থাকার এবং স্থানীয় প্রশাসনের নির্দেশনা মেনে চলার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
কাফি