জাতীয়
প্রধানমন্ত্রী পটুয়াখালী যাচ্ছেন বৃহস্পতিবার

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘূর্ণিঝড় কবলিত এলাকা পরিদর্শন করতে বৃহস্পতিবার (৩০ মে) পটুয়াখালী যাচ্ছেন। বুধবার (২৯ মে) প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘূর্ণিঝড় রেমাল কবলিত এলাকা সরেজমিনে পরিদর্শন ও ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মধ্যে ত্রাণ বিতরণের লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলায় যাচ্ছেন।
গত সোমবার (২৭ মে) আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানান, ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে জনপ্রতিনিধিসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দলের সংশ্লিষ্ট সাংগঠনিক ইউনিটগুলো ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে যাবে। পরিস্থিতি একটু স্বাভাবিক হলে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনের যাওয়ার আগ্রহের কথা জানিয়েছেন।

জাতীয়
অনেক প্রকল্পের জন্য কৃষিজমি কমছে: ভূমি উপদেষ্টা

রাষ্ট্রের অনেক প্রকল্পের জন্য কৃষিজমি ব্যবহার হচ্ছে। এর ফলে কৃষিজমি কমছে। আবার রাস্তা ঘাট টার্মিনালসহ বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় উন্নয়ন কাজে কৃষি জমি প্রয়োজ হচ্ছে। অন্যকাজে কৃষিজমির ব্যবহার যতসম্ভব কমাতে হবে বলে জানিয়েছেন ভূমি উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার।
তিনি বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়নে এবং অবকাঠামো উন্নয়নের কারণে বাংলাদেশে কৃষিজমি কমছে, যা খাদ্যনিরাপত্তার জন্য একটি বড় হুমকি। জাতীয় স্থানিক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করা উচিত।
বুধবার (০৩ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে কেন্দ্রীয় ভূমি বরাদ্দ কমিটির ১৫০তম সভায় তিনি এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, সব প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে পরিবেশের অনুশাসন অবশ্যই মেনে চলতে হবে। প্রকল্প বাস্তবায়নের আগে অবশ্যই পরিবেশ ছাড়পত্র নিতে হবে, কারণ বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী কোনো শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপন বা প্রকল্প গ্রহণের জন্য পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে পরিবেশ ছাড়পত্র গ্রহণ করা বাধ্যতামূলক।
তিনি আরও বলেন, এই ছাড়পত্র পেতে হলে প্রকল্প শুরুর আগে পরিবেশগত প্রভাব নিরূপণ সমীক্ষা অনুমোদন নিতে হবে এবং সব পরিবেশগত মান পূরণ করতে হবে।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এএসএম সালেহ আহমেদসহ অন্যান্যরা।
জাতীয়
নুর পুরোপুরি ঝুঁকিমুক্ত: ঢামেক পরিচালক

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর এখন পুরোপুরি ঝুঁকিমুক্ত এবং তার শারীরিক অবস্থার দ্রুত উন্নতি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।
বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন তিনি।
তিনি জানান, নুরের শারীরিক অবস্থার দ্রুত উন্নতি হচ্ছে এবং তাকে দেশেই চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব। তবে চিকিৎসার ফলোআপের জন্য তিনি দেশের বাইরে যাবেন কি না, তা তার পরিবার সিদ্ধান্ত নেবে। এসময় তিনি নুরের সুস্থতার জন্য তার নেতাকর্মীদের অযথা কেবিনে ভিড় না করার অনুরোধ করেন।
এর আগে গত ২৯ আগস্ট রাতে রাজধানীর বিজয়নগরে জাতীয় পার্টির (জাপা) নেতাকর্মীদের সঙ্গে গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। দুপক্ষকে ছত্রভঙ্গ করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লাঠিচার্জে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর ও সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রাশেদ খাঁনসহ অন্তত ৫০ জন আহত হন। গুরুতর আহত হওয়ায় নুরকে প্রথমে ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে চিকিৎসকদের পরামর্শে রাত ১১টার দিকে তাকে ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে তিনি হাসপাতালের পুরাতন ভবনের ভিআইপি কেবিনে চিকিৎসাধীন।
জাতীয়
এস আলমের দুই ছেলেসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

প্রায় ৭৫ কোটি টাকার কর ফাঁকির অভিযোগে এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলমের দুই ছেলেসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা অনুমোদন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আজ বুধবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন এ তথ্য জানান।
মামলায় আসামিদের মধ্যে রয়েছেন সাইফুল আলমের ছেলে আশরাফুল আলম ও আসাদুল আলম মাহির, সাবেক উপ-কর কমিশনার আমিনুল ইসলাম, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের জ্যেষ্ঠ ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. হেলাল উদ্দিন, শাখাপ্রধান মুহাম্মদ আমির হোসেন, প্রাক্তন এসএভিপি মো. আহসানুল হক, প্রাক্তন এসএভিপি রুহুল আবেদীন, কর্মকর্তা শামীমা আক্তার, মো. আনিস উদ্দিন এবং গাজী মুহাম্মদ ইয়াকুব।
দুদকের অনুসন্ধানে দেখা গেছে, আসামিরা একে অপরের সহায়তায় জাল-জালিয়াতি করে ভুয়া পে-অর্ডার ব্যবহার করেছেন। আশরাফুল আলম ও আসাদুল আলম মাহিরের ৫০০ কোটি টাকার অপ্রদর্শিত অর্থ বৈধ করার জন্য ১২৫ কোটি টাকা কর দেওয়ার কথা থাকলেও মাত্র ৫০ কোটি টাকা কর পরিশোধ করেন। ফলে বাকি ৭৫ কোটি টাকার কর সরকার পায়নি।
দুদক সূত্র জানায়, গত বছরের অক্টোবরে ব্যবসায়ী সাইফুল আলমের দুই ছেলের আয়কর নথিতে বাড়তি সুবিধা দেওয়ার অভিযোগে ও ঘুষ গ্রহণের ঘটনায় এনবিআর আয়কর বিভাগের তিন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে। পরবর্তী সময়ে এ অভিযোগের ভিত্তিতে দুদক অনুসন্ধান শুরু করে। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকার ২০২০ সালের ১ জুলাই থেকে ২০২১ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত ১০ শতাংশ কর দেওয়ার মাধ্যমে অপ্রদর্শিত অর্থ বৈধ করার সুযোগ দেয়। এনবিআরের হিসাবে, ব্যক্তিগত পর্যায়ে সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ করের হার ধরলে আশরাফুল ও আসাদুলকে অপ্রদর্শিত ৫০০ কোটি টাকার বিপরীতে কমপক্ষে ১২৫ কোটি টাকা কর দিতে হতো। অথচ তাঁরা মাত্র ৫০ কোটি টাকা কর পরিশোধ করে ওই অর্থ বৈধ করেন।
জাতীয়
মহেশখালী-মাতারবাড়ীতে নতুন শহরের জন্ম হবে: প্রধান উপদেষ্টা

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, শুধু গভীর সমুদ্র বন্দর নয়, আমাদের একটা ব্লু ইকোনমি গড়ে তোলার ভিশন নিয়ে কাজ করতে হবে। মহেশখালী-মাতারবাড়ীতে নতুন শহরের জন্ম হবে। ওই এলাকা শুধু একটা ফ্যাসিলেটিং জোন হিসেবে না। সেখান থেকে আমাদের আন্তর্জাতিকভাবে কানেক্টিভিটি তৈরি হবে। সমুদ্রই হবে বিশ্বের পথে আমাদের মহাসড়ক।
বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় নবগঠিত মহেশখালী সমন্বিত উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (মিডা) সদস্যরা তার সঙ্গে দেখা করতে গেলে এ কথা বলেন তিনি।
নবগঠিত মিডার নেতৃত্বে ছিলেন মিডার চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন। আরও উপস্থিত ছিলেন মিডার সদস্য কমোডর তানজিম ফারুক ও মো. সারোয়ার আলম এবং প্রধান উপদেষ্টার এসডিজিবিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ ও প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সচিব মো. সাইফুল্লাহ পান্না।
বৈঠকের বরাত দিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সহকারী প্রেস সচিব সুচিস্মিতা তিথি জানান, বৈঠকে মহেশখালী-মাতারবাড়ী প্রকল্পের ওপর একটি প্রেজেন্টেশন দেন মিডার চেয়ারম্যান। মিডার আগামী চার মাসের কর্মপরিকল্পনা উপস্থাপন করেন তিনি।
আশিক চৌধুরী জানান, প্রকল্পটি তিন ধাপে সম্পন্ন হবে— প্রথম ধাপ ২০২৫ থেকে ২০৩০, দ্বিতীয় ধাপ ২০৩০ থেকে ২০৪৫, এবং তৃতীয় ধাপ ২০৪৫ থেকে ২০৫৫ পর্যন্ত। প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে প্রায় ২৫ লাখ লোকের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর্মসংস্থান হবে এবং জিডিপিতে দেড়শ বিলিয়ন মার্কিন ডলার যুক্ত হবে।
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা গভীর সমুদ্র নিয়ে গবেষণার ও মহেশখালী অঞ্চলে একটি আন্তর্জাতিক মানের ট্রেইনিং ফ্যাসিলিটি গড়ে তোলার ওপরেও জোর দেন তিনি। এক্ষেত্রে বিশ্বে যারা বিশেষজ্ঞ আছেন প্রয়োজনে তাদের কাছ থেকে পরামর্শ ও সহযোগিতা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন অধ্যাপক ইউনূস।
তিনি বলেন, ‘আমরা সমুদ্র জগতে কখনো প্রবেশ করিনি। ওটা নিয়ে চিন্তাও করিনি। এ বিষয়ে গবেষণা, ফাইন্ডিংস নেই। এর সম্পর্কিত কী কী গবেষণা আছে, অন্য দেশের গবেষণাপত্র যেটা আমাদের সঙ্গেও মিলবে ভালো সেগুলো খুঁজে বের করতে হবে এবং নিজস্ব গবেষণা করতে হবে। এজন্য প্রতিষ্ঠান দরকার। একাডেমিয়া গড়ে তুলতে হবে, ওশান ইকনোমি নিয়ে ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স আয়োজন করতে হবে।’
এর পাশাপাশি পরিবেশ সংরক্ষণের ওপরেও জোর দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। বৈঠকে ইকো-ট্যুরিজম পার্ক করার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সেখানকার বনভূমি এখন কী অবস্থায় আছে, ভবিষ্যতে আমরা বনভূমিগুলোকে কী অবস্থায় দেখতে চাই সেই পরিকল্পনাও করতে হবে।
জাতীয়
দেশে ভোটার ও এজেন্টবিহীন নির্বাচন আর হবে না: ইসি সানাউল্লাহ

ভোটার ও এজেন্টবিহীন নির্বাচন যাতে বাংলাদেশে আর না হয় সেজন্য নির্বাচন কমিশন (ইসি) কাজ করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার ব্রি. জে. (অব) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।
বুধবার ইসি ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
নির্বাচন কমিশনার মো. সানাউল্লাহ বলেন, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের সংশোধনে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার তালিকায় সশস্ত্র বাহিনী যুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া প্রিসাইডিং অফিসারকে সব ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে কেন্দ্র বন্ধ বা চালু রাখার। এছাড়া জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ভোটকেন্দ্র স্থাপন করবেন। আর এবার অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিলের বিধান আরপিও থেকে বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়েছে বলেও জানান তিনি।
নির্বাচনের প্রতীক বিষয়ে তিনি বলেন, কোনো দলের কার্যক্রম স্থগিত থাকলে তাদের প্রতীকও স্থগিত থাকবে। তারা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। কিন্তু প্রতীক ছাড়া স্বতন্ত্র দাঁড়াতে পারবে কি না সেটা সময় বলে দেবে। অন্যদিকে জোটবদ্ধভাবে নির্বাচন করলেও নিজ নিজ দলের প্রার্থীরা তাদের দলের প্রতীকে নির্বাচন করবেন।
মিথ্যা তথ্য দিলে নির্বাচিত হয়েও সংসদ সদস্য পদ হারাতে হতে পারে জানিয়ে তিনি বলেন, হলফনামায় তথ্য গোপন বা মিথ্যা তথ্য দিলে ইসি পরে ব্যবস্থা নিতে পারবে, দোষ প্রমাণ হলে সেই ব্যক্তি সংসদ সদস্য পদও হারাবেন। নির্বাচনে অংশ নেওয়ার যোগ্যতা বিষয়ে তিনি জানান, আদালত কর্তৃক যারা ফেরারি ঘোষিত হবেন তারা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। এছাড়া লাভজনক পদে যারা আছেন, যারা সরকারি ৫০ শতাংশ বা তার বেশি শেয়ার আছে এমন প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন তারাও নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।
ইভিএম এবং ভোটের জামানত বিষয়ে তিনি আরও বলেন, এবার ইভিএম সংক্রান্ত সকল বিধান বাতিল করা হয়েছে। পোস্টাল ব্যালট হবে প্রতীকের ব্যালট। আর জামানত ২০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা করা হয়েছে। কোনো আসনে একক প্রার্থী থাকলে সেই আসনের ব্যালটে ‘না’ ভোট থাকবে বলেও জানান তিনি।