জাতীয়
জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক সহায়তার আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর

জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি মোকাবিলা ও ক্ষুদ্র দ্বীপ দেশগুলোর উন্নয়নে আন্তর্জাতিক সহায়তার আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
অ্যান্টিগুয়া অ্যান্ড বার্বুডার রাজধানী সেন্ট জনসে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২৮ মে) জাতিসংঘ আয়োজিত ক্ষুদ্র দ্বীপ উন্নয়নশীল রাষ্ট্রের চতুর্থ সম্মেলনে এ আহ্বান জানান তিনি।
সেন্ট জনসের আমেরিকান ইউনিভার্সিটি অব অ্যান্টিগুয়ার প্রধান মিলনায়তনে সিডস প্ল্যানারিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্বল্পোন্নত দেশগুলোর ঐতিহ্যবাহী মুখপাত্র হিসেবে এবং ক্ষুদ্র দ্বীপ দেশগুলোর উন্নয়নে ধারাবাহিকভাবে উচ্চ কণ্ঠ বাংলাদেশের ভূমিকা উল্লেখ করতে গিয়ে এসব বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত প্রতিশ্রুতি তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, দুই মেয়াদে জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর সংগঠন ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের (সিভিএফ) সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, সমুদ্রের অম্লতা বৃদ্ধি এবং চরম আবহাওয়ার চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলায় বিশেষ দৃষ্টি নিবদ্ধ করেছে।
হাছান মাহমুদ বলেন, পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গমন কমাতে উচ্চ কার্বন নিঃসরণকারী উন্নত অর্থনীতির দেশগুলোকে জবাবদিহিমূলক প্রতিশ্রুতির আওতায় আনা একান্ত প্রয়োজন। সেই লক্ষ্যে আজারবাইজানের বাকুতে আসন্ন বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন কপ২৯-এ ২০২৫ সাল পরবর্তী সময়ে জলবায়ু অর্থায়নের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন এবং জলবায়ু ঝুঁকির অভিযোজন ক্ষমতা বৃদ্ধির দিকে জাতিসংঘ সদস্যদের মনোযোগী হওয়া জরুরি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় রাষ্ট্রগুলোর দায়িত্ব সম্পর্কে আন্তর্জাতিক আদালতের (আইসিজে) কাছ থেকে পরামর্শমূলক মতামত চাওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের নেতৃত্বের কথাও তুলে ধরেন।
আফ্রিকার স্বল্পোন্নত এবং ক্যারিবীয় ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় সিডস দেশগুলোর ক্যাডেটদের জন্য বাংলাদেশ মেরিন একাডেমিতে বৃত্তি প্রদানের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, সামুদ্রিক খাতে আঞ্চলিক সহযোগিতা এবং আন্তঃজাতি সক্ষমতা বৃদ্ধিতে কাজ করতে বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
সম্মেলন শেষে দি অ্যান্টিগুয়া অ্যান্ড বার্বুডা অ্যাজেন্ডা ফর সিডস (আবাস) প্রতিরোধে সক্ষম উন্নয়নের লক্ষ্যে নবায়ন করা ঘোষণাপত্রটি চূড়ান্ত হবে।
নিউইয়র্কে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মোহাম্মদ আবদুল মুহিত ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উত্তর আমেরিকা অনুবিভাগের মহাপরিচালক খন্দকার মাসুদুল আলম সম্মেলনে যোগ দেন।

জাতীয়
শেখ মুজিব-তাজউদ্দীনের মুক্তিযোদ্ধা সনদ বাতিলের খবরটি ভুয়া

মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, এম মনসুর আলী, এএইচএম কামারুজ্জামানসহ ১৯৭০ সালের নির্বাচনে বিজয়ী চার শতাধিক রাজনীতিবিদের (এমএনএ-এমপিএ) মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি বাতিল করা হয়েছে বলে খবর প্রকাশ হয়েছে গণমাধ্যমে। তবে এটি ভুয়া নিউজ বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
তিনি আজ বুধবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এ তথ্য জানান।
ফারুকী বলেন, প্রিয় ভাই-বোনেরা, শেখ মুজিবুর রহমান, তাজউদ্দিন আহমেদসহ মুক্তিযুদ্ধের নেতাদের মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট বাতিল- একটা ফেইক নিউজ।
তিনি আরো বলেন, নতুন অধ্যাদেশে মুজিবনগর সরকারের সব সদস্যকে মুক্তিযোদ্ধার স্পষ্ট স্বীকৃতি দেওয়া আছে। মুজিবনগর সরকারের কোনো সদস্যের মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট বাতিল হয়ে গেছে এটাও এক ধরনের মিসলিডিং নিউজ।
জাতীয়
ঈদের আগে শেষ কর্মদিবস আজ

ঈদুল আজহার আগে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শেষ কর্মদিবস আজ (০৪ জুন)। বৃহস্পতিবার (০৫ জুন) থেকে শুরু হচ্ছে টানা ছুটি। ১৪ জুন পর্যন্ত টানা ১০ দিন ছুটি কাটাবেন সরকারি চাকরিজীবীরা।
এর আগে গত ৬ মে সচিবালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের সভায় নির্বাহী আদেশে ১১ ও ১২ জুন (বুধ ও বৃহস্পতিবার) ছুটি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এ ছাড়া ঈদের আগে দুই শনিবার অফিস চালু রাখারও সিদ্ধান্ত হয়।
নির্বাহী আদেশে দু’দিন ছুটির ফলে আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে সবমিলিয়ে টানা এ ১০ দিনের ছুটি পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা।
উপদেষ্টা পরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, গত ৭ মে ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে আগামী ১১ ও ১২ জুন নির্বাহী আদেশে ছুটি ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। একইসঙ্গে ১৭ ও ২৪ মে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে অফিস খোলা থাকবে বলেও প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়। সে অনুযায়ী দুই শনিবার অফিস খোলা ছিল।
আগামী ৫ জুন থেকে বন্ধ থাকছে সরকারি অফিস। ছুটি শেষে আগামী ১৫ জুন আবারও চালু হবে এসব অফিস।
এর আগে ঈদুল ফিতরেও ২৮ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত টানা নয় দিন ছুটি ছিল। তবে কোরবানির ঈদে ছুটির সংখ্যা আরও বেড়ে হলো ১০ দিন।
জাতীয়
বাংলাদেশি ওষুধ আমদানি বাড়াতে শ্রীলঙ্কার প্রতি আহ্বান

বাংলাদেশ থেকে ওষুধপণ্য আমদানি বৃদ্ধিতে শ্রীলঙ্কার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। তিনি বাংলাদেশের ওষুধ খাতের শক্তি, বৈশ্বিক মান এবং প্রতিযোগিতামূলকতার কথা তুলে ধরেন।
মঙ্গলবার (৩ জুন) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত শ্রীলঙ্কার হাইকমিশনার ধর্মপাল বীরাককোডি তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এই আহ্বান জানান।
বৈঠকে উভয়পক্ষ দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা বিশেষ করে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, ওষুধ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি), শিক্ষা এবং পর্যটনের মতো খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির ওপর জোর দেন।
শ্রীলঙ্কার হাইকমিশনার সাম্প্রতিক সহযোগিতামূলক উদ্যোগগুলো তুলে ধরেন এবং বাংলাদেশে শ্রীলঙ্কার বিনিয়োগ এবং ব্যবসা সম্পর্কে আপডেট শেয়ার করেন।
তিনি শ্রীলঙ্কায় বাংলাদেশি পর্যটকদের অব্যাহত আগ্রহের প্রশংসা করেন এবং আরও পর্যটন এবং মানুষে মানুষে আদান-প্রদানের আশা প্রকাশ করেন।
উভয়পক্ষই এই মাসের শেষদিকে বাংলাদেশি বাণিজ্য প্রতিনিধিদলের শ্রীলঙ্কা সফরকে স্বাগত জানিয়েছে। তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন এই সফর ব্যবসায়িক অংশীদারত্বের জন্য নতুন পথ তৈরি করবে এবং অর্থনৈতিক সম্পৃক্ততা আরও গভীর করবে।
হাইকমিশনার বীরাককোডি গত ২১ মে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত ইন্ডিয়ান ওশান রিম অ্যাসোসিয়েশন (আইওআরএ) মন্ত্রিপরিষদের ২৪তম সভায় অংশগ্রহণের জন্য উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ জানান।
দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের গতি বজায় রাখার জন্য তারা পরবর্তী রাউন্ডের পররাষ্ট্র দপ্তর পরামর্শ দ্রুত আয়োজনের গুরুত্বের ওপরও জোর দেন।
জাতীয়
ভিসা বন্ধে অনেকক্ষেত্রেই বাংলাদেশিরা দায়ী: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

বিভিন্ন দেশের ভিসা বন্ধে অনেকক্ষেত্রেই বাংলাদেশিরা দায়ী বলে মনে করেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। আজ মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে পুশইন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশের জন্য বিভিন্ন দেশ ভিসা দেওয়ার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করছে। এ বিষয়ে সরকারের পদক্ষেপ সম্পর্কে জানতে চান এক সাংবাদিক।
জবাবে তৌহিদ হোসেন বলেন, আমাদের এখানে অনেক হোমওয়ার্ক করা হয়েছে। যে সিদ্ধান্তগুলো আমাদের বিরুদ্ধে নেওয়া হয় তার অনেকখানির জন্য আমরা দায়ী। আমাদের দেশের মানুষ এবং ব্যবসায়ীরা দায়ী, বিশেষ করে যারা মানুষ পাঠান।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, মালয়েশিয়ায় আমাদের প্রতি কোনও বিরূপ ভাব নেই। সেই মালয়েশিয়াতেও কিন্তু আমাদের চেয়ে বৈধপথে যাওয়া নেপালি শ্রমিকের সংখ্যা বেশি ছিল। আমাদের অবৈধ শ্রমিকের সংখ্যা বেশি ছিল। এটি তাদের দোষ নয়। আমাদের দোষ।
তিনি বলেন, আমার মনে হয়, আমাদের ঘর সামলাতে হবে। অনেকের হয়তো আমার কথা পছন্দ হবে না। কিন্তু আমি ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বাস করি যে, এই একটি ক্ষেত্রে আমাদের অনেক কিছু করার আছে।
কাফি
জাতীয়
সব ধরনের চাকরির নিয়োগে বাধ্যতামূলক হচ্ছে এনআইডি: ইসি

সরকারিসহ সব ধরনের চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন (ইসি) জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) বাধ্যতামূলক করতে উদ্যোগ নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ এস এম হুমায়ুন কবীর।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে ইসি ভবনে এনআইডি মহাপরিচালক এ এস এম হুমায়ুন কবীর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, চাকরি প্রাপ্তিতে ব্যবহারিত একাডেমিক তথ্যের সাথে জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য অমিল থাকার বিষয়টি নজরে এসেছে।
তিনি আরও জানান, এনআইডি আইনে বাধ্যবাধকতা রেখে চাকরি ক্ষেত্রে সব অফিস, প্রতিষ্ঠানসহ সব ক্ষেত্রে এনআইডির তথ্য রাখতে বলা হয়েছে। যাদের এ সমস্যার কারণে বেতনসহ আনুষঙ্গিক সমস্যা হচ্ছে। সে বিষয়ে দ্রুত সংশোধনীর নির্দেশ দিয়েছে এনআইডি উইং বলেও জানান।
এছাড়া আগামী ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে নবম দেশ হিসেবে জাপান প্রবাসীদের ভোটার তালিকায় অন্তভুক্তির কাজ শুরু হবে বলেও জানান তিনি।
জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক বলেন, সরকারিসহ সব ধরনের চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) বাধ্যতামূলক করতে উদ্যোগ নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন- ইসি। সেইসঙ্গে সরকারের বিভিন্ন দফতর, সংস্থা ও অফিসের কর্মকর্তাদের এনআইডি সম্পর্কিত সমস্যা নিরসনে কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি।
কাফি