জাতীয়
তৃতীয় ধাপে এক লাখ ৪১ হাজার আনসার-ভিডিপি মোতায়েন
আগামীকাল বুধবার (২৯ মে) ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদের তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে এক লাখ ৪০ হাজার ৮৬১ জন সদস্য মোতায়েন করেছে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী।
মঙ্গলবার (২৮ মে) আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সহকারী পরিচালক (গণসংযোগ কর্মকর্তা) রুবেল হোসাইনের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
তৃতীয় ধাপে ঘূর্ণিঝড় রেমাল ও অন্যান্য কারণে মোট ২২টি উপজেলায় নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। ফলে চলতি ধাপে দেশের ৯০টি উপজেলায় ৮ হাজার ৫৫টি ভোটকেন্দ্রে নির্বাচন হতে যাচ্ছে। আর প্রতিটি নির্বাচন কেন্দ্রের নিরাপত্তায় মোট ১৩ জন বা ততোধিক আনসার ও ভিডিপি সদস্য গতকাল সোমবার থেকে দায়িত্ব পালন করছেন। তাদের মধ্যে একজন প্লাটুন কমান্ডার (পিসি) ও দুইজন সহকারী প্লাটুন কমান্ডারের (এপিসি) নেতৃত্বে চারজন পুরুষ ও চারজন মহিলা আনসার-ভিডিপি সদস্য রয়েছেন।
কোনো কেন্দ্রে বুথ সংখ্যা ৬টির বেশি হলে বুথ প্রতি অতিরিক্ত আরও একজন করে আনসার-ভিডিপি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। তিনজন পিসি ও এপিসি অস্ত্রসহ এবং আনসার-ভিডিপি সদস্যরা অস্ত্রবিহীন ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত থাকবেন।
নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা মোতাবেক ভোটকেন্দ্রের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ও ব্যালট বাক্সের নিরাপত্তা রক্ষায় এক লাখ ৩৫ হাজার ৫৫৬ জন সাধারণ আনসার ও ভিডিপি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। তাদের পাশাপাশি ৫৯ প্লাটুন (১৭৪২ জন) আনসার ব্যাটালিয়ন সদস্য জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশনা মোতাবেক দায়িত্ব পালনের জন্য স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে মোতায়েন রয়েছেন। স্ট্রাইকিং ফোর্সে দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে আনসার ব্যাটালিয়ন সদস্যরা ন্যূনতম সেকশন (প্রতি সেকশন ১০ জন করে) ফরমেশনে দায়িত্ব পালন করবেন।
তাছাড়া পুলিশের মোবাইল টিম বা স্ট্রাইকিং টিমের সঙ্গে যুক্ত হয়ে কাজ করছেন প্রায় ৬১ প্লাটুন (১৮৪০ জন) সশস্ত্র আনসার ভিডিপি সদস্য। তাদের তদারকির জন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ আরও এক হাজার ৭২৩ জন সদস্য মাঠ পর্যায়ে দায়িত্ব পালন করছেন। তারা সবাই ২৭ মে থেকে ৩১ মে পর্যন্ত মোট পাঁচদিনের জন্য মোতায়েন থাকবেন।
উল্লেখ্য, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর পাঁচ লাখ ১৭ হাজার ১৪৩ জন সদস্য নিয়োজিত ছিলেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ডেঙ্গুতে প্রাণ গেল আরও ২ জনের
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও দুইজন মারা গেছে। এ সময় ৯৮ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আজ শনিবার (২৭ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেঙ্গবিষয়ক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়াদের মধ্যে ঢাকা সিটি করপোরেশনের ৭৪ জন এবং বাকিরা ঢাকার বাইরের। একই সময়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৬৮ জন।
চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন পাঁচ হাজার ৪৯৬ জন। এরমেধ্য সুস্থ হয়েছেন চার হাজার ৯১০ জন। মারা গেছেন ৫৩ জন।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক ড. আতিকুর রহমান জানান, ডেঙ্গু এখন সিজনাল নেই, সারা বছরই হচ্ছে। বৃষ্টি শুরু হলে এটা বাড়ছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে মশা নিরোধক ওষুধ ব্যবহারের পাশাপাশি সিটি করপোরেশনে পক্ষ থেকে সব জায়গায় প্রচার-প্রচারণা চালাতে হবে। একই সঙ্গে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।
ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন বছরব্যাপী নানান উদ্যোগ নিলেও কীটতত্ত্ববিদ ড. মনজুর চৌধুরী বলছেন, মশানিধনে শুধু জেল-জরিমানা আর জনসচেনতনা বাড়িয়ে কাজ হবে না। সঠিকভাবে জরিপ চালিয়ে দক্ষ জনবল দিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে দেশের ইতিহাসে ডেঙ্গুতে সর্বোচ্চ ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী আক্রান্ত এবং ১ হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয়।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ক্ষতিগ্রস্ত মেট্রো স্টেশন চালু করতে জাপানের সহযোগিতা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
সাম্প্রতিক সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত মিরপুর ১০ নম্বর ও কাজীপাড়া মেট্রোরেল স্টেশন দ্রুত চালু করতে জাপানের সহযোগিতা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শনিবার (২৭ জুলাই) প্রধানমন্ত্রী তার কার্যালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এ অনুরোধ করেন। পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব মো. নাঈমুল ইসলাম খান সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
জাপানি রাষ্ট্রদূত বলেন, প্রথমে তারা মেট্রোরেল স্টেশন দুটির ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করবেন এবং তারপর সিদ্ধান্ত নেবেন এ মেট্রো স্টেশন দুটি চালু করতে কীভাবে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করা যায়।
তিনি আরও বলেন, মেট্রোরেল স্টেশনে হামলার পেছনে মুষ্টিমেয় কিছু মানুষ। যেখানে বিপুল সংখ্যক মানুষ এর সুবিধাভোগী।
জাপানি রাষ্ট্রদূত বলেন, বহু মানুষের ঘাম এবং চোখের জলে এ মেট্রোরেল নির্মিত হয়েছে। মেট্রোরেল স্টেশনগুলোর ক্ষয়ক্ষতি দেখে তিনি আহত হয়েছেন।
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সাম্প্রতিক দেশব্যাপী সংঘাতে হতাহতের ঘটনায় সমবেদনা প্রকাশ করেন ইওয়ামা কিমিনোরি।
বিভিন্ন সরকারি স্থাপনা ধ্বংসের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, জনগণের কল্যাণ, নিরাপত্তা এবং সেবা দেওয়ার জন্য নির্মিত বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করেছে দুর্বৃত্তরা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যেসব প্রতিষ্ঠান জনগণের জন্য উপকারী আক্রমণকারীরা সেসব প্রতিষ্ঠান টার্গেট করে। এটি অত্যন্ত বেদনাদায়ক।
তিনি আরও বলেন, গত ১৫ বছর নিরলস প্রচেষ্টায় এসব স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে।
জাপানি রাষ্ট্রদূত বলেন, আগস্টের শেষভাগে টোকিওতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া পাবলিক প্রাইভেট ইকোনমিক সংলাপের জন্য তার দেশের ব্যবসায়ীরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে।
সংলাপের আগে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে আশা প্রকাশ করেন কিমিনোরি।
সৌজন্য সাক্ষাতে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, প্রধানমন্ত্রীর অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
পর্যটকদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ শহরের তালিকায় ঢাকা ৬ষ্ঠ
পর্যটকদের জন্য বিশ্বের ঝুঁকিপূর্ণ শহরের তালিকায় ৬ষ্ঠ স্থানে রয়েছে ঢাকা। যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী ব্যবসায়িক ম্যাগাজিন ফোর্বসের পর্যটকদের জন্য অ্যাডভাইজার লিস্টে এ তথ্য উঠে এসেছে।
গত ১১ জুলাই প্রকাশিত এ তালিকায় তিনটি ঝুঁকিপূর্ণ শহরকে হাইলাইট করেছেন ফোর্বস উপদেষ্টারা।
তালিকা অনুযায়ী, পর্যটকদের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ শহরে পরিণত হয়েছে ভেনেজুয়েলার কারাকাস, যার স্কোর রেটিং ১০০ তে ১০০। দ্বিতীয় ঝুঁকিপূর্ণ শহরের তালিকায় স্থান পেয়েছে করাচি, শহরটির স্কোর ১০০ তে ৯৩.১২। এছাড়া মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন ১০০ তে ৯১.৬৭ স্কোর নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে।
এ তালিকায় চতুর্থ ও পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে যথাক্রমে- নাইজেরিয়ার লাগোস ও ফিলিপাইনের ম্যানিলা। এরপরই ৬ষ্ঠ স্থানে রয়েছে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা। ঢাকার স্কোর ৮৯.৫০।
এছাড়া কলম্বিয়ার রাজধানী বোগোতা ৭ম, মিশরের রাজধানী কায়রো ৮ম, মেক্সিকোর রাজধানী মেক্সিকো সিটি ৯ম এবং ইকুয়েডরের রাজধানী কুইটো ১০ম স্থানে রয়েছে।
মূলত সাতটি গুরুত্বপূর্ণ দিক বিবেচনা করে বিশ্বের ৬০টি শহর নিয়ে এ তালিকা তৈরি করেছে ফোর্বস। এর মধ্যে রয়েছে- অপরাধ, ব্যক্তিগত নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য, অবকাঠামো, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও ডিজিটাল নিরাপত্তা।
অন্যদিকে সিঙ্গাপুর ০ স্কোর নিয়ে প্রথম, জাপানের টোকিও ১০.৭২ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় এবং কানাডার টরন্টো ১৩.৬ স্কোর নিয়ে পর্যটকদের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে নিরাপদ শহরের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে।
এছাড়া চতুর্থ, পঞ্চম ও ৬ষ্ঠ অবস্থানে রয়েছে যথাক্রমে- অস্ট্রেলিয়ার সিডনি, সুইজারল্যান্ডের রাজধানী জুরিখ, ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহেগেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
মেট্রোরেল কবে চালু হবে বলা যাচ্ছে না: সেতুমন্ত্রী
কোটা আন্দোলনে সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত স্থাপনা পরিদর্শন শেষে ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘মেট্রোরেল না চলায় মানুষের ভোগান্তি হচ্ছে। ৩০ মিনিটের পথ দুই ঘণ্টায়ও যেতে পারছে না’
মেট্রোরেল চালু নিয়ে তিনি বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে ক্ষতিগ্রস্ত মেট্রোরেল কবে চালু হবে তা নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না।
শনিবার (২৭ জুলাই) সকালে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতায় ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত রাজধানীর মহাখালীতে অবস্থিত সেতু ভবন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ পরিদর্শন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
কোটা আন্দোলনে সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত স্থাপনা পরিদর্শন শেষে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত দেবেন সেটার ওপরে আমরা পর্যায়ক্রমে যেখানে যা করার দরকার সেটা করব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রত্যক্ষভাবে বিটিভিসহ বিভিন্ন ধ্বংসপ্রাপ্ত স্থাপনায় গিয়েছেন।’
উল্লেখ্য, সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের দাবিতে গত ১৮ জুলাই শিক্ষার্থীদের ডাকা ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচির মধ্যে মেট্রোর লাইনের নিচে মিরপুর-১০ গোলচত্বরে ফুটব্রিজে পুলিশ বক্সে আগুন দেওয়া হয়। সেই আগুনের মধ্য দিয়েই একটি ট্রেন ছুটে যায়। পরে চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সময় দুর্বৃত্তদের বিভীষিকাময় তাণ্ডবে মেট্রোরেলের মিরপুর-১০ স্টেশনের ই-সিস্টেমের পুরোটাই ধ্বংস হয়ে গেছে। এ সিস্টেম পুনরায় সচল করতে প্রায় ২৫০ কোটি টাকা লাগতে পারে।
এ ছাড়া কাজীপাড়া স্টেশনের ই-সিস্টেম অর্ধেকের বেশি নষ্ট হয়ে গেছে। এই স্টেশনের ই-সিস্টেম ঠিক হতেও ১০০ কোটি টাকা ব্যয় হবে। ই-সিস্টেম ছাড়াও দুই স্টেশনে থাকা পাঞ্চ মেশিন, ভেন্ডিং মেশিন, বিভিন্ন ডিভাইস, কম্পিউটারসহ আরও যেসব জিনিসপত্রের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা-ও ঠিক করতে প্রায় ২০০ কোটি টাকা লাগতে পারে।
ধারণা করা হচ্ছে, মেট্রোরেলের মিরপুর-১০ ও কাজীপাড়া স্টেশনের সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৫০০ কোটি টাকা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
হামলার আগে ১ লাখ নতুন সিমকার্ডধারী ঢাকায় ঢোকে: পলক
ঢাকা ও গাজীপুরে ১৮ জুলাই থেকে ২১ জুলাই পর্যন্ত নাশকতার স্থানগুলোতে ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ সিম বাইরে থেকে ঢুকেছে বলে মন্তব্য করেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
তিনি জানান, বিএনপি-জামায়াতের লোকজনের গতিপ্রকৃতি নাশকতার স্থানগুলোমুখী ছিল। বাইরে থেকে প্রায় ১ লাখ সিম ঢুকে সেসব স্থানগুলোতে।
শনিবার (২৭ জুলাই) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ডাকভবনে সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫৪তম জন্মদিন উপলক্ষে সারাদেশে এক লাখ গাছের চারা রোপণে ‘শান্তির জন্য বৃক্ষ ট্রি ফর পিস’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
পলক বলেন, বিভিন্ন জেলার যেসব স্থানে ‘রেড এলার্ট’ জারি ছিল সেখানে ১৮, ১৯ ও ২০ জুলাই কোন সহিংসতা হয়নি। ঢাকার যে ১০ থেকে ১৫টি জায়গায় অতিরিক্ত ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ নতুন সিমকার্ডের ব্যবহারকারীরা আসে, সেগুলোর তথ্য-উপাত্তা বিশ্লেষণে দেখা যায়- রেড এলার্টভুক্ত এলাকার বিএনপি, ছাত্রদল, জামাত-শিবিরের চিহ্নিত ও তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসীরা ঢাকামুখী ছিল এবং ঢাকায় তারা অবস্থান গ্রহণ করেছে। তাদের অবস্থানকালেই ১৮ থেকে ২১ জুলাই সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে।
সরকারের পক্ষ থেকে ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়নি দাবি করে পলক বলেন, ঢাকা বিভাগের ১৭টি জায়গায় হামলা হয়েছে। মহাখালীতে তিনটি ডেটা সেন্টারে ১৮টি আইআইজির সিস্টেম রয়েছে। সেখানে থাকা আইএসপির ৭০ শতাংশ সার্ভার থাকে। তাই ইন্টারনেট একা একাই বন্ধ হয়েছে। আমরা বন্ধ করিনি।
বিটিআরসি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, টেলিযোগাযোগ খাতে আঘাত আসায় এখনো কিছু ক্যাশ সার্ভার মেরামতের কাজ চলছে। হয়তো দুই চার দিনের মধ্যে টেলিযোগাযোগ পুরোপুরি আগের অবস্থায় ফিরে আসবে। দেশে থাকা চার হাজারের ওপর ক্যাশ সার্ভার ঠিক হতে সময় লাগবে। গুগলের সব ক্যাশ সার্ভার পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা হবে।
ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক তরুণ কান্তি সিকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তথ্যপ্রযুক্তি সচিব মো. সামসুল আরেফিন, ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব ড. মুশফিকুর রহমানসহ অন্যান্যরা।