জাতীয়
ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ঝুঁকিতে বাংলাদেশের ৩২ লাখ শিশু: ইউনিসেফ

বাংলাদেশের ওপর দিয়ে সদ্য বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় রেমালের কবলে পড়ে উপকূলীয় অঞ্চলের ৩২ লাখ শিশুসহ ৮৪ লাখের বেশি মানুষ স্বাস্থ্য, পুষ্টি, স্যানিটেশন ও নিরাপত্তাহীনতার ঝুঁকিতে পড়েছে বলে জানিয়েছে ইউনিসেফ। সোমবার (২৭ মে) বাংলাদেশের ইউনিসেফ প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় রেমালে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ভোলা, পটুয়াখালী ও বাগেরহাট জেলা। সেখানকার অনেক উপজেলা প্লাবিত হয়েছে। এই সংকটময় মুহূর্তে আমাদের একমাত্র প্রচেষ্টা, ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত শিশু ও তাদের পরিবারের কাছে প্রয়োজনীয় সাহায্য পৌঁছে দেওয়া।
বিবৃতিতে বলা হয়, ইউনিসেফ শুরু থেকেই মাঠে রয়েছে এবং ঘূর্ণিঝড়ের পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলায় দ্রুত ও কার্যকর ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে সরকারকে প্রাথমিক সতর্কতামূলক প্রচারণা ও প্রচেষ্টা থেকে শুরু করে সর্বাত্মক সহায়তা দিচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত কমিউনিটি ও আশ্রয়কেন্দ্রে বিতরণের জন্য ইউনিসেফ দেশব্যাপী ৩৫টি গুদামে পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, জেরিক্যান, মোবাইল টয়লেট, স্বাস্থ্যবিধি (হাইজিন) ও পরিবারের জন্য উপযোগী (ফ্যামিলি) কিটসহ বিভিন্ন সামগ্রী মজুত করে রেখেছে। এছাড়া, ইউনিসেফের বিশেষ দুটি সেবাপ্রদানকারী দল (র্যাপিড রেসপন্স টিম) সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় মোতায়েনের জন্য প্রস্তুত রয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, প্রাথমিক প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে ইউনিসেফ রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও কক্সবাজারসহ উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষের কাছে পৌঁছানোর পরিকল্পনা করেছে। তবে, সব খাতে নারী ও প্রতিবন্ধীদের তাৎক্ষণিক চাহিদা মেটাতে পর্যাপ্ত অর্থায়নের ঘাটতি দেখা দিয়েছে।
এমআই

জাতীয়
রাজধানীতে সাড়ে ৫ হাজার কেজি পলিথিন জব্দ

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তায় রাজধানীর চকবাজার, ইমামগঞ্জ, সোয়ারিঘাট ও লালবাগ এলাকায় রেকি কার্যক্রম চালিয়ে ৫ হাজার ৫০০ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করা হয়েছে।
পাশাপাশি সুপারশপ ও দোকান মালিকদের নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যবহারে সতর্ক করা হয়।
খুলনা ও সিরাজগঞ্জে নিষিদ্ধ পলিথিন উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের অভিযোগে পরিবেশ অধিদপ্তরের দুটি মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালিত হয়।
রবিবার (৩ আগস্ট) তথ্য অধিদপ্তর পাঠানো এক বিবরণীতে এসব তথ্য জানা গেছে।
এছাড়া, বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ (সংশোধিত ২০১০) এর ৬(ক) ধারা লঙ্ঘন করায় দুটি মামলায় মোট ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
টাঙ্গাইলে পরিবেশ অধিদপ্তরের এনফোর্সমেন্ট অভিযানে একটি অবৈধ সিসা ব্যাটারির কারখানা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। ঢাকা মহানগরের পশ্চিম আগারগাঁও ও রমনায় নির্মাণসামগ্রীর মাধ্যমে বায়ু দূষণের বিরুদ্ধে দুটি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে তিনটি মামলায় ৩০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
পরিবেশ অধিদপ্তরের দূষণবিরোধী অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।
জাতীয়
৮ জন জুলাই শহীদের গেজেট বাতিল

আটজন জুলাই শহীদের গেজেট বাতিল করেছে সরকার। রোববার (৩ আগস্ট) মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের গেজেট অধিশাখা তালিকা থেকে তাদের নাম বাদ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। পরে তা গেজেটে প্রকাশিত হয়।
কেন তাদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে সে বিষয়ে প্রজ্ঞাপনে কিছু বলা হয়নি। তবে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে, নিহতের পরিবার ও স্বজনরা মিথ্যা তথ্য দিয়ে নিহতদের জুলাই শহীদদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছিল। সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার আশায় এটা করা হয়েছিল বলে মনে করা হচ্ছে।
টাঙ্গাইলের মো. খলিলুর রহমান তালুকদার (গেজেট নম্বর ২২৯), ঢাকার রামপুরার মুসলেহ উদ্দিন (গেজেট নম্বর ২২৪), নরসিংদীর জিন্নাহ মিয়া (গেজেট নম্বর ৩৭৫), ঢাকার দৌলতখানের শাহ জামান (গেজেট নম্বর ৬১১), সাভারের মো. রনি (গেজেট নম্বর ৭৬৬), নারায়ণগঞ্জের তাওহিদুল আলম জিসান (গেজেট নম্বর ৮১৮), পটুয়াখালীর বশির সরদার (গেজেট নম্বর ৮২৩) এবং শরীয়তপুরের বাঁধনের (গেজেট নম্বর ৮৩৬) জুলাই শহীদের গেজেট বাতিল করা হয়েছে।
‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহিদ পরিবার ও জুলাই যোদ্ধাদের কল্যাণ ও পুনর্বাসন অধ্যাদেশ, ২০২৫’ এবং রুলস অব বিজনেস অনুযায়ী এই আটজন জুলাই শহীদের গেজেট বাতিল করা হয়েছে বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নিহতদের ‘জুলাই শহীদ’র স্বীকৃতি দিয়েছে সরকার।
সরকার দুই দফায় গণঅভ্যুত্থানে ৮৪৪ জন জুলাই শহীদের নামের গেজেট প্রকাশ করে। শহীদদের নামের সঙ্গে গেজেট নম্বর, মেডিকেল কেস আইডি, পিতা-মাতার নাম, বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা, জেলা ও বিভাগ প্রকাশ করা হয়।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদের পরিবারকে এককালীন ৩০ লাখ টাকা আর্থিক সহযোগিতা ও প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা করে ভাতা দিচ্ছে সরকার। এছাড়া পরিবারের সদস্যদের সরকারি চাকরিতে অগ্রাধিকার এবং তাদের পুনর্বাসনে কর্মসূচি নিয়েছে সরকার।
জাতীয়
ছাত্র-জনতাকে ঢাকায় আনতে ৮ জোড়া ট্রেন ভাড়া করল সরকার

৫ আগস্ট রাজধানীর জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ করা হবে। ঘোষণাপত্র পাঠ অনুষ্ঠানে অংশ নিতে আসা ছাত্র-জনতা আনতে ৮ জোড়া ট্রেন ভাড়া করা হয়েছে।
বিভিন্ন জেলা থেকে ছাত্র-জনতাকে মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) দুপুরের মধ্যে ঢাকায় নিয়ে আসা হবে। কর্মসূচি শেষে এসব ট্রেনে তাদের গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়া হবে।
জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ অনুষ্ঠানে অংশ নিতে আসা ছাত্র-জনতার জন্য ট্রেন ভাড়া করার বিষয়ে রোববার জুলাই গণঅভ্যুত্থান অধিদপ্তর চিঠি দেয় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়কে। এর পরিপ্রেক্ষিতে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে রেলপথ মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেয়। রেলওয়ে সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ছাত্র-জনতাকে সারাদেশ থেকে ঢাকায় আনতে রেলের ব্যবস্থা করার বিষয়ে জানতে চাইলে জুলাই গণঅভ্যুত্থান অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মশিউর রহমান জানান, এ বিষয়ে আমি বলতে পারব না। আপনি সচিব স্যারের সঙ্গে কথা বলুন।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ইসরাত চৌধুরী জানান, আগামী ৫ আগস্ট জুলাই ঘোষণাপত্র দেওয়া হবে। এজন্য সারাদেশ থেকে ছাত্র-জনতা যারা ঢাকায় আসতে চান তাদের আনতে রেলপথ মন্ত্রণালয়কে বলা হয়েছে। তাদের আনতে ট্রেনের ব্যবস্থা করার জন্য বলা হয়েছে।
এতে কত টাকা লাগবে জানতে চাইলে সচিব বলেন, ঠিক এই মুহূর্তে বলতে পারছি না, তবে খুব বেশি মনে হয় লাগবে না। সরকারি তো, সরকারি হিসেবে খুব বেশি লাগবে না।
কাফি
জাতীয়
২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে হাসপাতালে ভর্তি ৩৪৩

সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৩৪৩ জন ডেঙ্গুরোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। রোববার (৩ আগস্ট) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর মধ্যে বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১১১ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৫১ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৫৪ জন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ৬৪ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ৫৯ জন ও ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) তিন জন রয়েছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৩৭ জন ডেঙ্গুরোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। চলতি বছরে এ যাবত ২০ হাজার ২৫৭ জন ডেঙ্গুরোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন।
চলতি বছরের ৩ আগস্ট পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২১ হাজার ৬৭০ জন। এর মধ্যে ৫৮ দশমিক আট শতাংশ পুরুষ ও ৪১ দশমিক দুই শতাংশ নারী রয়েছেন।
জাতীয়
বাংলাদেশের সব ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে: শ্রম উপদেষ্টা

শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, ‘আমাদের দেশের কমপ্লিট স্ট্রাকচার ভেঙে পড়েছে। সব ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। জেলা থেকে শুরু করে ওপর পর্যন্ত সব কিছু।
রোববার (৩ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নাটোর জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের চেক হস্তান্তর এবং স্থানীয় প্রদর্শন ও ট্রেড ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দদের সঙ্গে মতবিনিময়সভায় তিনি কথাগুলো বলেন।
শ্রম উপদেষ্টা বলেন, এই ভেঙে পড়া ৮ মাস, ১০ মাস, ১ বছরে ঠিক করা সম্ভব নয়। পুলিশ-প্রশাসন পুরো ভেঙে পড়েছে। পুলিশ কাজ করছে না। কিভাবে করবে স্ট্রাকচার ভেঙে পড়েছে। আইন ও প্রশাসনেরও স্ট্রাকচার শেষ।’
সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘ব্যবসায়ীরা কোনো কিছু হলেই বলে সরকার টাকা দেয় না। কিন্তু সরকার তো ইন্ডাস্ট্রিজ চালায় না। আমরা দিয়েছি লোন। যেমনটি বেক্সিমকোকে দেওয়া হয়েছিল। একটি ব্যাংক থেকে ২৭ হাজার কোটি টাকা নিয়েছে। সে টাকা কোথায় গিয়েছে আমরা জানি না। টাকা নিয়ে অনেকে বিদেশে পালিয়ে গেছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা শ্রমিকদের ব্যাপারে অত্যন্ত আন্তরিক। আমাদের লেবার অ্যাক্ট যতদূর সম্ভব আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছি। কর্মক্ষেত্রে নারী বৈষম্য বা লিঙ্গ বৈষম্য যাতে না হয় তার জন্য আন্তর্জাতিক কনভেনশনে স্বাক্ষর করেছি। এখন মোটামুটি ভাবে আইএলওর যে স্ট্যান্ডার্ড রয়েছে তার ওপরে রয়েছি।’
কাফি