জাতীয়
সমাজকে বাঁচাতে নৈতিক শিক্ষার বিকল্প নেই: ধর্মমন্ত্রী

সারাদেশে মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্পের গুরুত্ব তুলে ধরে ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান বলেছেন, বর্তমান সময়ে চারিদিকে নৈতিক ও সামাজিক মূল্যবোধের চরম অবক্ষয় লক্ষ্যণীয়। দুর্নীতি, সন্ত্রাস, ঘুষ, কালোবাজারি, মজুতদারি, ভেজাল প্রভৃতি ব্যাধি সমাজে জেঁকে বসেছে। এই ব্যাধির করাল গ্রাস থেকে সমাজকে বাঁচাতে হলে নৈতিক শিক্ষার বিকল্প নেই। এই শিক্ষায় আরো জোর দিতে হবে।
সোমবার (২৭ মে) বিকেলে রাজধানীর নিউ ইস্কাটনে বিয়াম অডিটোরিয়ামে ‘টেকসই উন্নয়ন অভিষ্ট অর্জন এবং নৈতিক শিক্ষার প্রসারে মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা প্রকল্পের ভূমিকা’ বিষয়ক জাতীয় কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এ কথা বলেন।
ধর্মমন্ত্রী বলেন, মসজিদ-মন্দিরের মতো পবিত্র স্থানে বসে সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি নৈতিক শিক্ষা লাভের সুযোগ বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। সাধারণ শিক্ষার সঙ্গে নৈতিক শিক্ষার মেলবন্ধনে শিক্ষার মাহাত্ম্য ও গুরুত্ব অনেকগুণে বৃদ্ধি পায়। সমাজের সব জরা-ব্যাধি প্রতিরোধ করে একটি সুখী-সমৃদ্ধ উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে এ ধরনের শিক্ষা অত্যন্ত ফলপ্রসূ।
ধর্মমন্ত্রী আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার দেশের উন্নয়নে সুনির্দিষ্ট ও সময়াবদ্ধ কর্মপরিকল্পনার নিরিখে কাজ করে যাচ্ছে। গত দেড় দশকে জাতির সামনে তিনি ৩টি উন্নয়ন পরিকল্পনা পেশ করেছেন। রূপকল্প-২০২১ এর সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সরকার সফল হয়েছে। বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের দুষ্টচক্র অতিক্রম করে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উন্নীত হয়েছে।
ফরিদুল হক খান বলেন, কাউকে পিছিয়ে রেখে উন্নয়ন সম্ভব নয়। এসডিজির অন্যতম মূলনীতি হলো কাউকে পিছিয়ে রাখা যাবে না। আমাদের মূল ফোকাসটা এখানেই। আমরা সবাইকে সমান তালে এগিয়ে নিতে চাই। সব ধর্মের মানুষকে সমান গুরুত্ব দিয়ে তাদের নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করতে চাই। সরকার সে লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছে। সরকারের অন্যান্য মন্ত্রণালয় ও বিভাগের ন্যায় ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় এসডিজির লক্ষ্য অর্জনে কাজ করে যাচ্ছে।
ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অতিথির বক্তৃতা করেন মাগুরা-২ আসনের সংসদ সদস্য এবং হিন্দুধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ড. বীরেন শিকদার, সংরক্ষিত মহিলা আসন-৪০ এবং হিন্দুধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা আরমা দত্ত, কুমিল্লা-৭ আসনের সংসদ সদস্য ও হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের সচিব ড. কৃষ্ণেন্দু কুমার পাল ও মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম (৬ষ্ঠ পর্যায়) প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড. শ্রীকান্ত কুমার চন্দ।

জাতীয়
ড. ইউনূসের সফরে জাতিসংঘে যাচ্ছেন দুই দলের আরো ২ নেতা

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সফরসঙ্গী হচ্ছেন জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির মতিউর রহমান নিজামীর ছেলে ড. নকিবুর রহমান তারেক এবং এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনিম জারা।
রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাতে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্যে প্রধান উপদেষ্টা ঢাকা ত্যাগ করবেন।
ড. ইউনূসের সঙ্গে আরও যাবেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির, জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের এবং এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন।
জামায়াত এবং এনসিপি সূত্র জানায়, প্রতিনিধি দলে বিএনপির দুই নেতা থাকায় তাদের দল থেকে দুইজন করে প্রতিনিধি নিতে সরকার অনুরোধ করা হয়। তবে অল্প সময়ের মধ্যে ভিসা প্রক্রিয়া সম্পন্ন কঠিন হওয়ায়, আগে থেকে যাদের মার্কিন ভিসা রয়েছে তাদের বেছে নেওয়া হয় প্রতিনিধি দলে।
এ বিষয়ে ডা. তাহের গণমাধ্যমকে বলেন, সাবেক আমির মতিউর রহমান নিজামীর ছেলে ড. নকিবুর রহমান যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছেন। সেখান থেকে তিনি প্রধান উপদেষ্টার প্রতিনিধি দলে যোগ দেবেন।
এনসিপির দপ্তরের দায়িত্বে থাকা যুগ্ম-সদস্যসচিব সালেহ উদ্দিন সিফাত জানিয়েছেন, তাসনিম জারা আজ রোববার রাতে যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন।
জাতীয়
সাবেক মন্ত্রী-এমপিদের ৩০ গাড়ি নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত

নিলামে গ্রহণযোগ্য দর না পাওয়ায় বিগত আওয়ামী লীগ আমলের মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের (এমপি) জন্য শুল্কমুক্ত সুবিধায় আনা ৩০টি গাড়ি নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, গাড়িগুলো সরকারকে ব্যবহারের জন্য দিয়ে দেওয়া হবে।
শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম বন্দরে এক কর্মশালা শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান।
চট্টগ্রাম বন্দর অডিটোরিয়ামে ‘কাস্টমস অ্যান্ড পোর্ট ম্যানেজমেন্ট: প্রবলেমস, প্রসপেক্টস অ্যান্ড ওয়ে ফরওয়ার্ড’ শীর্ষক এ কর্মশালার আয়োজন করে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ।
২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর গাড়িগুলো শুল্কমুক্ত সুবিধায় আমদানি করেছিলেন তৎকালীন সংসদ সদস্যরা, যাদের অধিকাংশই ছিলেন আওয়ামী লীগের। ওই বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সরকার পতনের পরদিন ৬ আগস্ট সংসদ ভেঙে দেন রাষ্ট্রপতি। ফলে সংসদ সদস্যদের শুল্কমুক্ত সুবিধাও বাতিল করে এনবিআর। এরপর শুল্কমুক্ত সুবিধায় আমদানি করা গাড়িগুলো আর ছাড় করেননি সাবেক সংসদ সদস্যরা।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, আমরা সরকারকে গাড়িগুলো দিয়ে দেবো। সরকার এগুলো ব্যবহার করবে। সরকারের পরিবহন পুলে যাবে। আমরা নিলাম ডাকলেও খুবই অল্প দাম উঠেছে। নিলামের টাকাটাও সরকারের কোষাগারে আসবে, আবার সরকারকেই এসব গাড়ি কিনতে হবে অনেক দাম দিয়ে। তাই, আমরা জাতীয় স্বার্থ চিন্তা করে এসব গাড়ি সরকারের পরিবহন পুলকে দিয়ে দেওয়ার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
জানা গেছে, সাবেক সংসদ সদস্যরা শুল্কমুক্ত সুবিধায় ৫১টি গাড়ি আমদানি করেছিলেন। এর মধ্যে সাতটি গাড়ি রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের আগে-পরে ছাড়িয়ে নেওয়া হয়। বাকিগুলোর মধ্যে ২৪টি গত ফেব্রুয়ারিতে প্রথমবার নিলামে তোলে চট্টগ্রাম কাস্টমস। সেই নিলামে অংশ নিয়ে আগ্রহীরা গাড়িভেদে সর্বোচ্চ ১ লাখ থেকে ৩ কোটি ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত দর দিয়েছেন। ১০টি গাড়ির জন্য কোনও দরই জমা পড়েনি। অথচ প্রতিটি গাড়ির সংরক্ষিত মূল্য ছিল ৯ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। ফলে নিলামে যে দর উঠেছে, তাতে একটি গাড়িও বিক্রি হয়নি। এখন সেগুলো সরকারের মালিকানায় যাচ্ছে।
জাতীয়
ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচনের পক্ষে ৮৬ ভাগ মানুষ: জরিপ

২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া উচিত বলে মত দিয়েছেন দেশের ৮৬ দশমিক ৫ শতাংশ ভোটার। এ ছাড়া ৯৪ দশমিক ৩ শতাংশ ভোটার জানিয়েছেন ভোট দিতে আগ্রহী তারা।
রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর দ্য ডেইলি স্টার ভবনে আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠকে ইনোভেশন কনসালটিংয়ের ‘পিপলস ইলেকশন পালস সার্ভে, রাউন্ড–২’-এর প্রকাশিত প্রথম প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
ইনোভেশন কনসালটিংয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও জরিপের প্রধান সমন্বয়ক মো. রুবাইয়াত সরোয়ার প্রধান ফলাফল উপস্থাপন করেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
গোলটেবিল বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন রাজনৈতিক বিশ্লেষণ ও যোগাযোগ বিষয়ে শিক্ষক ড. সাইমুম পারভেজ, বিডিজবস ডটকমের প্রধান নির্বাহী এ কে এম ফাহিম মাশরুর, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার রশনা ইমাম এবং ব্রেইনের নির্বাহী পরিচালক শফিকুর রহমান।
ইনোভেশন কনসালটিং একটি আন্তর্জাতিক পরামর্শক, গবেষণা ও কারিগরি সহায়তাদানকারী প্রতিষ্ঠান। তাদের উদ্যোগে ‘পিপলস পারসেপশন অন ইলেকশন সার্ভে’ পরিচালিত হচ্ছে, যা বাস্তবায়নে সহযোগিতা করছে ভয়েস ফর রিফর্ম ও বাংলাদেশ রিসার্চ অ্যানালাইসিস অ্যান্ড ইনফরমেশন নেটওয়ার্ক (ব্রেইন)।
দেশের ১০ হাজার ৪১৩ জন প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকের অংশগ্রহণে এই জরিপে অন্তর্বর্তী সরকারের কর্মদক্ষতা, নির্বাচনকালীন পরিস্থিতি, আইনশৃঙ্খলা ও নির্বাচনী সংস্কার নিয়ে জনমত বিশ্লেষণ করা হয়।
জরিপের মূল ফলাফল
অন্তর্বর্তী সরকারের কর্মদক্ষতা: ৭৮ দশমিক ৭ শতাংশ অংশগ্রহণকারী সরকারের কার্যক্রমকে ‘ভালো’ বা ‘মধ্যম মানের’ হিসেবে মূল্যায়ন করেছেন। তবে তরুণ, শিক্ষিত ও নগরবাসীদের মধ্যে সন্তুষ্টির হার তুলনামূলকভাবে কম।
নির্বাচন ও ভোট নিরাপত্তা: ৬৯ দশমিক ৯ শতাংশ মানুষ মনে করেন অন্তর্বর্তী সরকার অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করতে সক্ষম। এছাড়া ৭৭ দশমিক ৫ শতাংশ বিশ্বাস করেন তারা নিরাপদে ভোট দিতে পারবেন। তবে পুলিশ ও প্রশাসনের নিরপেক্ষতা নিয়ে তরুণ ও নগরবাসীর সংশয় বেশি।
আইনশৃঙ্খলা: ৫৬ দশমিক ৬ শতাংশ নাগরিক মনে করেন গত ছয় মাসে চাঁদাবাজি বেড়েছে। এ ধারণা নগর এলাকায় বসবাসকারী তরুণ ও উচ্চশিক্ষিত জনগোষ্ঠীর মধ্যে বেশি। তথ্যের প্রধান উৎস হিসেবে তরুণ ও শিক্ষিতদের বড় অংশ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ওপর নির্ভরশীল।
নির্বাচনের সময়সূচি ও অংশগ্রহণ: ৮৬ দশমিক ৫ শতাংশ উত্তরদাতা নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন আয়োজনের পক্ষে মত দেন এবং ৯৪ দশমিক ৩ শতাংশ ভোট দেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন। তবে শিক্ষার্থী, উচ্চশিক্ষিত এবং কিছু পেশাজীবীদের মধ্যে নির্বাচনের সময়সূচি নিয়ে আপত্তি তুলনামূলক বেশি।
নির্বাচনী সংস্কার: সংসদের উচ্চকক্ষে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব বা প্রপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন (পিআর) পদ্ধতি সম্পর্কে ৫৬ শতাংশ উত্তরদাতা অবগত নন। তবে যারা এই বিষয়ে জানেন, তাদের মধ্যে এই ব্যবস্থার পক্ষে সমর্থনই বেশি। তরুণ ও উচ্চশিক্ষিতদের মধ্যে এ বিষয়ে সচেতনতা এবং সমর্থনের হার তুলনামূলকভাবে বেশি।
জাতীয়
দুর্গাপূজা সামনে রেখে মাঠে নামছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

দেশের হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা উপলক্ষে ৮০ হাজার স্বেচ্ছাসেবী নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে। এ ছাড়া আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে মাঠে নামছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের সভা শেষে এসব কথা জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে দুর্গাপূজার মূল আনুষ্ঠানিকতা।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এবার দুর্গাপূজা উপলক্ষে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে ৮০ হাজার স্বেচ্ছাসেবী নিয়োগ দেওয়া হবে। পূজা যেহেতু ধর্মীয় অনুষ্ঠান সেহেতু আমাদের সবার সতর্ক থাকতে হবে। এবার এখন পর্যন্ত প্রতিমা ভাঙার সংখ্যা অনেক কম। বিভিন্ন এলাকায় প্রতিমা যারা ভেঙেছেন, তাদের সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে শনাক্ত করা হচ্ছে। আগামী ২৪ তারিখ থেকে পূজা উপলক্ষ্যে মাঠে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা থাকবে।
এ সময় মাদক নিয়ন্ত্রণ ও অন্যান্য প্রসঙ্গেও কথা বলেন জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। মাদকসংক্রান্ত এক প্রশ্নে তিনি বলেন, বিভিন্ন রুটে আমাদের দেশে মাদক প্রবেশ করছে কিন্তু এর পরিবর্তে চাল, সার ও ওষুধ চলে যাচ্ছে। শুধু কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম রুটেই নয়, বরিশাল ও বরগুনার সমুদ্র নিকটবর্তী নৌ রুটেও চাল ও সার চলে যাচ্ছে। আরাকান আর্মি মাদকের ওপর ভিত্তি করে বেঁচে আছে। বর্তমানে মাদক প্রচুর পরিমাণে ধরা হচ্ছে। ফলে মাদকের দামও বেড়ে গেছে।
কৃষক তার ন্যায্য মূল্য পাচ্ছে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, সারাদেশে কৃষক আলুর দাম পাচ্ছে না। তারা যদি আগামীতে আলু চাষ না করে তাহলে আলুর দাম বেড়ে যাবে।
জাতীয়
জাতীয় নির্বাচন নিয়ে ইইউ-ইসি বৈঠক আগামীকাল

জাতীয় নির্বাচন নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রাক নির্বাচনী টিম নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে বৈঠক করবে। আগামীকাল সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নির্বাচন ভবনে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) নির্বাচন ভবনে ইসি সচিব আখতার আহমেদ সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন। এর আগে গত ১৯ আগস্ট ইইউ রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার ইসির সঙ্গে বৈঠক করেন।
ইসি জানায়, আগামী নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনকে ৪ মিলিয়ন ইউরো সহায়তা দেবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। আসছে নির্বাচন আন্তর্জাতিক মানের অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হওয়ার প্রত্যাশা রেখে সেপ্টেম্বরে তাদের বিশেষজ্ঞ পর্যবেক্ষক দল বাংলাদেশে এসেছে।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে আরও জানা যায়, নির্বাচন পর্যবেক্ষণে বাংলাদেশকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে ইইউ। গণতান্ত্রিক নির্বাচনের জন্য তারা সহায়তা করবে। গণতন্ত্রের সঙ্গে সবসময়ই আছে ইইউ। বাংলাদেশের নির্বাচনও তারা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবে।
এজন্য নির্বাচন বিষয়ক শিক্ষা, প্রশিক্ষণ, সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে নির্বাচন কমিশন ও সুশীল সমাজের সঙ্গে তারা কাজ করবে। এছাড়া নির্বাচনে ডিসইনফরমেশন, মিসইনফরমেশন ও ডিজিটাল সমস্যা নিয়েও কাজ করতে চায় ইইউ।
আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণের লক্ষ্যে ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে তফসিল ঘোষণার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসি।