কর্পোরেট সংবাদ
টেকসই ও সবুজ অর্থায়নে পুরস্কার পেলো বাংলাদেশ ফাইন্যান্স
টেকসই ও সবুজ অর্থায়নে দৃঢ় প্রতিশ্রুতির জন্য ‘বেস্ট ক্লাইমেট-ফোকাসড ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশন ইন বাংলাদেশ অ্যাওয়ার্ড’ জিতেছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্স। বৃহস্পতিবার (২৩ মে) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ পুরস্কার প্রদান করা হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইনস্টিটিউট অফ এনার্জি এবং গ্রীনটেক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে যৌথভাবে আয়োজিত জাতীয় নবায়নযোগ্য শক্তি সম্মেলন ও গ্রিন এক্সপোর ২৪তম অধিবেশনে বাংলাদেশে নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত আচিম ট্রস্টার এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইডিশ রাষ্ট্রদূত অ্যালেক্স বার্গ ভন লিন্ডের কাছে থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেন বাংলাদেশ ফাইন্যান্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কায়সার হামিদ।
এছাড়াও এ উদ্যোগে সহায়তা করে ইউএসএআইডি, এসআরইডিএ, আইডিসিওএল এবং বিএসআরইএ।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত ও প্রতিনিধি দলের প্রধান চার্লস হোয়াইটলি, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) সিতেশ চন্দ্র বাছারসহ বাংলাদেশ ব্যাংকের অন্যান্য শীর্ষ কর্মকর্তাগণ। এই পুরষ্কারটি টেকসই ও সবুজ অর্থনীতির প্রচেষ্টাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া, এবং সবুজ অর্থায়নের উদ্যোগকে শক্তিশালী করার জন্য বাংলাদেশ ফাইন্যান্সের প্রতিশ্রুতির প্রমাণস্বরূপ।
বাংলাদেশ ফাইন্যান্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কায়সার হামিদ বলেছেন, আমাদের ব্যবসায়িক মডেল স্বচ্ছতা এবং নৈতিক অনুশীলনের প্রতিশ্রুতি দ্বারা চালিত যা সবুজ অর্থায়ন এবং টেকসই বিনিয়োগে আমাদের উল্লেখযোগ্য সাফল্যগুলিকে সহজ করেছে৷ টেকসই এবং সবুজ বাংলাদেশের উন্নয়নে অবদান রাখতে, আমরা বাংলাদেশ ফাইন্যান্স গ্রিন ডিপোজিট নামে একটি বিশেষায়িত প্রোডাক্ট তৈরি করেছি। এছাড়াও আমরা জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যগুলির বাস্তবায়নে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।
উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশ ফাইন্যান্স বিগত দুই বছর পরপর দুবার বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে শীর্ষ টেকসই আর্থিক প্রতিষ্ঠান এর স্বীকৃতি পেয়েছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
আইজিপির বাসভবনে প্রবেশে ‘নিষেধাজ্ঞা’
বর্তমান আইজিপি দায়িত্ব নেওয়ার পর বদলি-পদোন্নতি তদবিরের জন্য তার বাসভবনে অনুমতি ছাড়া প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
শনিবার (২৩ নভেম্বর) পুলিশ মহাপরিদর্শকের (আইজিপি) সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য তার বাসভবনে যাওয়ার আগে অনুমতি গ্রহণ করতে হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর।
পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, আইজিপির বাসায় প্রায় সময় পুলিশ সদস্যদের ভিড় থাকত। পুলিশ সদস্যরা তাদের বিভিন্ন দাবি কিংবা তদবির নিয়ে যেতেন আইজিপির বাসায়। এক্ষেত্রে পুলিশ বাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হতো। বর্তমানে সেই সুযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অনুমতি ছাড়া এখন কেউ আইজিপির বাসভবনে যেতে পারবেন না।
পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত ডিআইজি মিয়া মাসুদ করিম স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
আদেশে বলা হয়, পুলিশ মহাপরিদর্শকের (আইজিপি) সাক্ষাতের জন্য বাসভবনে যেতে হলে পূর্বানুমতি প্রয়োজন। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনার জন্য বাংলাদেশ পুলিশের সকল সদস্যকে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
আদেশের কপিটি পাঠানো হয়েছে- পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত আইজিপি (প্রশাসন), র্যাব মহাপরিচালক, সিআইডি প্রধান, পুলিশ স্টাফ কলেজের রেক্টর, রেলওয়ে পুলিশের প্রধান, হাইওয়ে পুলিশের প্রধান, আর্মড পুলিশের প্রধান, সারদা পুলিশ একাডেমি, নৌ পুলিশের প্রধান, ডিএমপি কমিশনার, ট্যুরিস্ট পুলিশের প্রধান, এসবি প্রধান, শিল্পাঞ্চল পুলিশ প্রধান, পিবিআই প্রধান, এটিইউ প্রধান, কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল।
এছাড়াও সকল রেঞ্জ ডিআইজি, সকল মেট্রোপলিটন কমিশনার, সকল অতিরিক্ত ডিআইজি, সকল জেলা পুলিশ সুপারদেরকে আদেশের কপি পাঠানো হয়েছে।
গত ২০ নভেম্বর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের চুক্তি ও বৈদেশিক নিয়োগ শাখা থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে আইজিপি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় বাহারুল আলমকে।
বাহারুল আলম ২০০৭-০৮ সালে এসবি প্রধানের দায়িত্বে ছিলেন। পরে পুলিশ সদরদপ্তরে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০০৯ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত জাতিসংঘ সদরদপ্তরের শান্তিরক্ষা বিভাগে পুলিশ লিয়াজোঁ অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ২০১৫ সালে আফগানিস্তানে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের সিনিয়র পুলিশ অ্যাডভাইজার হিসেবে কাজ করেন। এর আগে ক্রোয়েশিয়া, সার্বিয়া, কসোভো ও সিয়েরা লিওনে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
দুই দফা পদোন্নতিবঞ্চিত বাহারুল আলম ২০২০ সালে অবসরে যান। তার গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলায়।
এদিকে সরকার পতনের দিন গত ৫ আগস্ট আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন আত্মগোপনে চলে যান। পরদিন মধ্যরাতে নতুন পুলিশ প্রধানের দায়িত্ব পান মো. ময়নুল ইসলাম।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
এসডিজি কার্যক্রমে যুক্ত হচ্ছে ড. ইউনূসের ‘থ্রি জিরো তত্ত্ব’
টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) অর্জনে সরকার গৃহীত কার্যক্রমে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের টেকসই উন্নয়নের ‘থ্রি জিরো’ তত্ত্ব যুক্ত করার চিন্তা করছে সরকার।
সরকারি ও বেসরকারি উভয় পর্যায়ে এই তত্ত্বের কার্যকর প্রয়োগের মাধ্যমে টেকসই উন্নয়নের অভিষ্ট লক্ষ্য অর্জন করা সহজ হবে বলে মনে করছেন সরকারের নীতি-নির্ধারকরা।
‘থ্রি-জিরো তত্ত্ব’ আর্থিক স্বাধীনতা, কর্মঠ জনশক্তি তৈরি এবং পরিবেশ উন্নয়নে বর্তমান পৃথিবীতে সবচেয়ে জনপ্রিয় ও কার্যকর একটি মডেল। এটি একটি সামাজিক ও অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি, যা তিনটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য অর্জনের ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। সেগুলো হচ্ছে- জিরো দারিদ্র্য, জিরো বেকারত্ব ও জিরো নেট কার্বন নিঃসরণ। আর তা অর্জনে প্রয়োজন তারুণ্য, প্রযুক্তি, সুশাসন ও সামাজিক ব্যবসা।
গ্রামীণ ব্যাংক ও ক্ষুদ্রঋণ ধারণার প্রবর্তক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বিশ্বজুড়ে আলাদা সম্মান পেয়েছেন তার এই থ্রি জিরো তত্ত্বের জন্য।
এসডিজির লক্ষ্যগুলোর মূল পরিকল্পনায় রয়েছে- সবার জন্য কল্যাণকর পৃথিবী এবং টেকসই ভবিষ্যৎ নির্মাণ।
থ্রি জিরো তত্ত্বের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক ও সিনিয়র সচিব লামিয়া মোরশেদ বলেন, ‘আমরা এজডিজির সঙ্গে থ্রি জিরো তত্ত্ব যুক্ত করার চেষ্টা করছি। এসডিজির ওপর সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নিয়ে আমাদের একটি কর্মশালা চলছে, সেখানে এই তত্ত্বের বিষয়ে আলোচনা করছি। আমরা চাই টেকসই উন্নয়নের স্বার্থে সব পর্যায়ে থ্রি জিরো তত্ত্বের ব্যাপারে সচেতনতা তৈরি হোক।’
তিনি উল্লেখ করেন, এসডিজির লক্ষ্য পূরণের কার্যক্রমের মধ্যে থ্রি জিরো তত্ত্ব রাখা হয়েছে, তবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস কারোর ওপর এই তত্ত্বের প্রয়োগ চাপিয়ে দিতে চান না। আমাদের উদ্দেশ্য হলো- যার ভালো লাগবে তিনি এটি গ্রহণ করবেন এবং কাজে লাগাবেন। এ কারণে এসডিজির বাইরে সরকারের কোনো বড় পর্যায়ে থ্রি জিরো তত্ত্ব নিয়ে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
থ্রি জিরো তত্ত্বের মূল ভিত্তি হলো- দারিদ্র্য, বেকারত্ব ও কার্বন নিঃসরণ শূন্যে নামিয়ে আনা। এই তত্ত্বের ব্যাপারে অধ্যাপক ইউনূসের ভাষ্য, ‘বর্তমান অর্থনৈতিক ব্যবস্থা নিজেই দারিদ্র্য সৃষ্টি করে এবং এই ব্যবস্থার অধীনে দারিদ্র্য দূর করা সম্ভব নয়। মানুষ এককভাবে দারিদ্র্যতা তৈরি করে না, আমাদের অর্থনৈতিক কাঠামোর ভেতরেই তৈরি হয় দারিদ্র্য।’
তার মতে, ভালো চাকরি না খুঁজে উদ্যোক্তা তৈরিতে জোর দিতে হবে। তিনি বিভিন্ন সময় তার বক্তব্যে বলেছেন, ‘আমরা জন্মেছি সমস্যা সমাধানের জন্য, কারো অধীনে চাকরি করার জন্য নয়। তাই তরুণ প্রজন্মকে উদ্যোক্তা হতে হবে। কারো অধীনে নয়, বিশ্বকে নেতৃত্ব দিতে হবে নিজের পায়ে দাঁড়িয়েই।’
সম্প্রতি আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে অনুষ্ঠিত বৈশ্বিক জলবায়ু সম্মেলনে বাসযোগ্য নিরাপদ পৃথিবী ও নতুন সভ্যতা গড়ে তুলতে ‘থ্রি জিরো’ তত্ত্বকে বৃহৎ পরিসরে তুলে ধরেছেন অধ্যাপক ইউনূস।
তিনি সম্মেলনে নিজের ভাষণে এই তত্ত্ব উপস্থাপন করে বলেছেন, এটি এক নতুন সভ্যতার জন্ম দেবে। গড়ে তুলবে এক নতুন পৃথিবী, যা সবার জন্য বাসযোগ্য হবে।
তিনি এও বলেছেন, এই তত্ত্ব প্রয়োগ করে জীবনশৈলী পাল্টানো সম্ভব। পরিবেশের নিরাপত্তার জন্যই দরকার এই নতুন জীবনধারা বা ‘লাইফস্টাইল’। সেই যাপন চাপিয়ে দেওয়া হবে না। তা পছন্দ করতে হবে। যুব সম্প্রদায় তা আনন্দের সঙ্গে ভালবেসে গ্রহণ করবে। এভাবে যুবসমাজের প্রত্যেকে নিজেদের ‘থ্রি জিরো পারসন’ হিসেবে গড়ে তুলবে।
‘থ্রি জিরো পারসন’ কেমন, তার ব্যাখ্যায় শান্তিতে নোবেল বিজয়ী এই অর্থনীতিবিদ বলেন, সেই ব্যক্তি কার্বন নিঃসরণ করবে না। অর্থাৎ সে হবে ‘জিরো কার্বন’। সে সম্পদের একক মজুতদার হবে না। তার সম্পদ হবে সামাজিক ব্যবসাভিত্তিক। অর্থাৎ সে হবে ‘জিরো দরিদ্র’ এবং এভাবেই তারা প্রত্যেকে উদ্যোগী হয়ে পূরণ করবে ‘জিরো বেকারত্বের’ তৃতীয় শর্ত। অর্থাৎ মুহাম্মদ ইউনূসের মতে, দারিদ্র্য, বেকারত্ব ও কার্বন নিঃসরণ শূন্যে নামাতে পারলে দুশ্চিন্তামুক্ত ও বাসযোগ্য এক নতুন পৃথিবী গড়ে উঠবে।
থ্রি জিরো পারসন গড়ে তোলার ক্ষেত্রে থ্রি জিরো ক্লাব বিশেষ ভূমিকা পালন করে বলে উল্লেখ করেন কর্মজীবনে অধ্যাপক ইউনূসের দীর্ঘদিনের সহকর্মী লামিয়া মোরশেদ। তিনি মনে করেন এই ক্লাবের সদস্যরা থ্রি জিরো তত্ত্ব সম্পর্কে সচেতন হন এবং একসময় নিজেরা থ্রি জিরো পারসন হিসেবে গড়ে ওঠেন।
ইউনূস সেন্টারের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করা লামিয়া মোরশেদ বলেন, সারা পৃথিবীজুড়ে বর্তমানে প্রায় ৪ হাজার ৬০০টি থ্রি জিরো ক্লাব রয়েছে, যার প্রতিটি অধ্যাপক ইউনূসের নতুন সভ্যতার স্বপ্নে অনুপ্রাণিত। এসব ক্লাবের বেশিরভাগই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গড়ে উঠেছে।
বিশ্বের অসংখ্য বিভিন্ন নামিদামি বিশ্ববিদ্যালয়ে থ্রি জিরো ক্লাব গড়ে উঠলেও বাংলাদেশে এই ক্লাব সমানভাবে গড়ে উঠেনি। ছাত্র-জনতার গণ-আন্দোলনের মুখে পালিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনার স্বৈরশাসনের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষার্থী বা অন্য কোনো ব্যক্তির পক্ষে এই থ্রি জিরো ক্লাব তৈরির আগ্রহ দেখানোটা বেশ ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। অধ্যাপক ইউনূসের থ্রি জিরো তত্ত্বের বিষয়ে সচেতনতা তৈরির কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রেও প্রতিকূল পরিবেশ মোকাবিলা করতে হয়েছে।
এ বিষয়ে লামিয়া মোরশেদ বলেন, ‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের সময় বাংলাদেশে থ্রি জিরো ক্লাব গড়ে তোলার ক্ষেত্রে অনেকের মধ্যে দ্বিধাদ্বন্দ্ব ছিল, এখন সেই পরিস্থিতির পরিবর্তন হওয়ায় দিন দিন এর পরিসর বাড়ছে। এখন অনেকে এগিয়ে আসছেন। বেশ সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। ইদানীং থ্রি জিরো তত্ত্ব নিয়ে কর্মশালা অনেক বেড়ে গেছে। এটা কেন্দ্রীয়ভাবে কোনো উদ্যোগ নয়, এটা যে যার অবস্থান থেকে নিজ উদ্যোগে করছেন। শুধু নেটওয়ার্কিংয়ের মাধ্যমে তারা জানিয়ে দেন যে আমরা এটা করছি।’
তিনি জানান, থ্রি জিরো ক্লাব ইচ্ছে করলেই কেউ রেজিস্ট্রেশন করতে পারবে না এ ক্ষেত্রে বেশ কিছু বিষয় দেখা হয়। তারা যে কাজগুলো করছে সেগুলো গুরুত্ব সহকারে করছে কি-না এবং সেটি টেকসই কি-না, এসব দেখার পরেই রেজিস্ট্রেশন দেওয়া হয়।
টেকসই উন্নয়নের অন্যতম প্রবক্তা অধ্যাপক ইউনূসের বক্তব্যকে উদ্ধৃত করে লামিয়া মোরশেদ বলেন, ‘ স্যার সবসময় বলেন আমাদের সমাজে যে সমস্যাগুলো রয়েছে সেগুলো আমরা নিজেরাই সৃষ্টি করেছি। এসব সমস্যার সমাধানের জন্য তরুণরা উপযুক্ত ব্যক্তি, কারণ তাদের মাথায় অনেক নতুন নতুন আইডিয়া আছে, তারা সেটা কাজে লাগিয়ে সমস্যার সমাধান করে সামনে এগিয়ে যেতে পারবে। এজন্য ১২ থেকে ৩৫ বছর বয়সী যারা রয়েছেন, তাদেরকে তিনি বলেন তোমরা থ্রি জিরো ক্লাব করতে পারো।’ ৪ থেকে ৫ জন মিলে এই ক্লাব করা যায় বলে তিনি উল্লেখ করেন।
লামিয়া মোরশেদ মনে করেন নোবেল বিজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসের থ্রি জিরো তত্ত্বকে প্রকৃতপক্ষে কার্যকর করার ক্ষেত্রে সামাজিক ব্যবসা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, মাইক্রোক্রেডিট ও মাইক্রো ফাইন্যান্সের পর ড. ইউনূসের নবীন প্রোগ্রাম হলো সামাজিক ব্যবসা। এই ধারণার মূল বিষয় হলো একজন তার নিজের চাকরির ব্যবস্থা করবে পাশাপাশি অন্যদের চাকরির সুযোগ করে দেবে। অর্থাৎ আমি একটি ঋণ নিয়ে একটি কাজ শুরু করলাম যেখানে আরও তিন-পাঁচজন লোক কাজ করবে তাদের কর্মসংস্থান হবে। এই ব্যবসা থেকে যে মুনাফা আসবে তা জনকল্যাণে ব্যয় হবে।
মুনাফার অর্থ স্বাস্থ্য, শিক্ষা কিংবা পরিবেশের উন্নয়নে ব্যয় হতে পারে। এভাবে আমরা টেকসই উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যেতে পারবো বলে তিনি মন্তব্য করেন।
অধ্যাপক ইউনূস সবসময় দারিদ্র বিমোচন, উদ্যোক্তা তৈরি ও পরিবেশ দূষণ কমানোর ওপর জোর দেন উল্লেখ করে লামিয়া মোরশেদ বলেন, ‘ড. ইউনূস সবসময় বলেন যদি একটি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য না থাকে তাহলে আমরা সামনে এগিয়ে যাবো কীভাবে। তাই প্রতিটি কাজের সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য থাকতে হবে। তার যে উন্নয়ন তত্ত্ব তা কেবল বাংলাদেশকে ঘিরে নিয়ে নয়, সেটি সারা বিশ্বের কল্যাণ এবং ভবিষ্যতকে কেন্দ্র করে।’
এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক আরও বলেন, অধ্যাপক ইউনূসের সামাজিক ব্যবসার মূল থিম হচ্ছে-এখান থেকে আমি কোন লাভ করব না তবে আমার মূল টাকা ফেরত আসতে হবে। যাতে করে ওই অর্থ আবার অন্য আরেকটি সামাজিক কার্যক্রমে ব্যবহার করা যায়। মুহাম্মদ ইউনূস আগে থেকেই বলতেন মাইক্রোক্রেডিটের সঙ্গে সামাজিক কার্যক্রম চালু রাখতে হবে। সামাজিক কার্যক্রম মনকে অনেক তৃপ্তি দেয়, কারণ এতে মানুষ অনেক উপকৃত হয়।
তিনি জানান, বিশ্বের ৩৯টি দেশের ১১০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইউনূস সোশ্যাল বিজনেস সেন্টার রয়েছে। যেখানে মাইক্রোক্রেডিটের বিজনেস গুলো শিখানো হয়। তাদের আগ্রহে থ্রি জিরো ক্লাব তৈরি হচ্ছে। এ ক্লাবের মূল লক্ষ্য হলো শূন্য দারিদ্র্য, শূন্য বেকারত্ব এবং শূন্য কার্বন নিঃসরণ অর্জন করা।
লামিয়া মোরশেদ জানান, আগামী জানুয়ারি মাসে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিতব্য যুব সম্মেলনে (ইয়ুথ ফেস্টিভ্যাল) থ্রি জিরো বিষয়টা রাখা হবে। খেলাধুলা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বিনোদনের অংশ হিসেবে কাজ করে, এটাকে কীভাবে সামাজিক কার্যক্রমের অংশ বানানো যায়, সেটা নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। একটা টুর্নামেন্টে অনেক মানুষ অংশগ্রহণ করে, সেখানে যদি আমরা একটি থিম দেয় যে আমরা জিরো ওয়েস্ট এর দিকে এগিয়ে যাবো, আমরা প্লাস্টিক ব্যবহার করব না, আমরা রাস্তায় ময়লা ফেলবো না। এই বিষয়ে যদি আমরা সচেতনতা তৈরি করতে পারি তাহলে সমাজে অনেক বড় পরিবর্তন আসবে।
উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, মেসির মতো খেলোয়াড় যদি বলেন যে আমরা জিরো ওয়েস্ট করব তাহলে এই বার্তাটি পুরো বিশ্বে ছড়িয়ে পড়বে। থ্রি জিরো তত্ত্বের বিষয়ে সচেতনতা তৈরিতে আমরা এ ধরনের কিছু কাজ করার চেষ্টা করছি বলে তিনি উল্লেখ করেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের থ্রি জিরো তত্ত্ব পরিবেশবান্ধব এবং টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে পারে বলে মনে করেন কমনওয়েলথ সচিবালয়ের আন্তর্জাতিক ট্রেড বিভাগের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ এবং গবেষণা সংস্থা র্যাপিড এর চেয়ারম্যান ড. এম এ রাজ্জাক।
তিনি বলেন, টেকসই উন্নয়নের সব সূচকে অভীষ্ট অর্জনের ক্ষেত্রে ‘থ্রি জিরো থিওরি’ অনুঘটন হিসেবে কাজ করবে বলে আমার বিশ্বাস। তিনি মনে করেন থ্রি জিরো তত্ত্বের ধারণা বাংলাদেশে তরুণদের ক্ষমতায়ন, প্রযুক্তির ব্যবহার, সুশাসন প্রতিষ্ঠা এবং সামাজিক ব্যবসার মাধ্যমে কৃষিসহ অন্যান্য খাতে একটি নতুন বিপ্লব ঘটানোর সম্ভাবনা রাখে। আমাদের দেশে উদ্যোক্তা তৈরি হচ্ছে না, অথচ উদ্যোক্তা বিকাশ ছাড়া অর্থনৈতিক উন্নয়ন কোনোভাবে সম্ভব নয়।
ড. রাজ্জাক বলেন, থ্রি জিরো তত্ত্ব কাজে লাগানো গেলে দেশে সর্বস্তরে উদ্যোক্তা গড়ে উঠবে এবং অর্থনীতির কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন অর্জন করা যাবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
নেতৃত্বের পরিবর্তনেও বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করবে জাপান
রাজনৈতিক নেতৃত্বের পরিবর্তন হলেও বাংলাদেশের সঙ্গে জাপান কাজ চালিয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি।
রবিবার (২৪ নভেম্বর) কুমিল্লার ময়নামতি ওয়ার সিমেট্রি থেকে জাপানি সৈনিকের দেহাবশেষ সরিয়ে নেওয়ার অগ্রগতি নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে ঢাকার জাপান দূতাবাস। এসময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান রাষ্ট্রদূত।
রাষ্ট্রদূত কিমিনোরি বলেন, জাপান বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত বন্ধু। গত আগস্টে বাংলাদেশের রাজনীতিতে পরিবর্তন আসার পর আমি বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার (ড. মুহাম্মদ ইউনূস) সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের উন্নয়নে কী প্রয়োজন এগুলো নিয়ে আলাপ হয়েছে। জাপান বাংলাদেশের প্রয়োজন জানতে পারলে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করবে।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক নেতৃত্বের পরিবর্তন হলেও জাপান বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করে যাবে। জাপান বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নিতে চায়।
কুমিল্লার ময়নামতি ওয়ার সিমেট্রি (যুদ্ধসমাধি) থেকে জাপানি সৈনিকদের দেহাবশেষ সরিয়ে নেওয়ার কাজ শেষ করেছে জাপানের ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ দল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নিহত ২৪ জাপানি সৈনিককে ওয়ার সিমেট্রিতে ৮১ বছর আগে সমাহিত করা হয়। ২৪টি সমাধির মধ্যে ২৩টিতেই সৈনিকদের দেহাবশেষের বিভিন্ন অংশ পাওয়া গেছে। এগুলো ঢাকায় আনা হয়েছে। ২৩ সৈনিকের দেহাবশেষের পাওয়ার পর কিছু অংশ জাপানে ডিএনএ টেস্ট করার জন্য নিয়ে যাবে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ দল। ডিএনএ টেস্টে জাপানি সৈন্য নিশ্চিত হওয়া গেলে পরবর্তীতে তাদের দেহাবশেষ জাপানে নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, ময়নামতি ওয়ার সিমেট্রি থেকে ২৪ জাপানি সৈনিকের দেহাবশেষ সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু হয় গত ১৩ নভেম্বর। খনন কাজ ২৪ নভেম্বর শেষ হওয়ার কথা থাকলেও দুই দিন আগে এ কার্যক্রম সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
মাইক্রোফিন্যান্সে ডিজিটাল পাশবুক চালু করলো আম্বালা ফাউন্ডেশন
দেশে মাইক্রোফিন্যান্স খাতে গ্রাহকদের জন্য আম্বালা আইটির প্রযুক্তিগত সহয়তায় প্রথম অ্যাপস ভিত্তিক ডিজিটাল পাশবুক চালু করলো ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠান আম্বালা ফাউন্ডেশন। রবিবার (২৪ নভেম্বর) সকাল ১০টায় শ্যামলীতে অবস্থিত প্রতিষ্ঠানটির প্রধান কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়।
এতে প্রধান অতিথি হিসাবে ডিজিটাল পাশবুক কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন পিকেএসএফর ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফজলুল কাদের।
এসময় উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী পরিচালক আরিফ সিকদার, চীফ অপারেটিং অফিসার মো. এনামুল হক, উপ-নির্বাহী পরিচালক দেওয়ান তৌফিকা হোসাইন স্বাথী, হেড অব মাইক্রোফিন্যান্স এসকে হাসানুজ্জামান, উপ-পরিচালক মিনহাজ মহসিন মিশু, সহকারি পরিচালক রাব্বি আলম মন্ডল, সহকারি পরিচালক রীপা খাতুন, সহকারি পরিচালক কাজী ফয়সাল ইসলাম, সহকারি পরিচালক মো. আব্দুল আলীম, আম্বালা আইটির এজিএম মোহাম্মদ আলী, সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার শাফিউল ইসলাম প্রমুখ।
এ বিষয়ে আম্বালা ফাউন্ডেশনের সিওও মো. এনামুল হক বলেন, ‘ঘরে বসে লেনদেন আর হব না পেরেসান, আমার হিসাব আমার হাতে’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে আম্বালা ফাউন্ডেশন খুব দ্রুত কার্যকর করতে যাচ্ছে সদস্যদের জন্য ডিজিটাল পাশবুক। যার মাধ্যমে সদস্যদের সঞ্চয় এবং সঞ্চয়ের আমানতের সব হিসাব নিকাশ দ্রুততার সাথে সম্পন্ন হবে। এতে সদস্যদের আস্থা এবং বিশ্বাস দুটোই বৃদ্ধি পাবে। এছাড়া সময়ের অপচয় রোধ হবে অনেক। আমরা আশা করি এই ডিজিটাল পাশবুক প্রবর্তনের মধ্য দিয়ে আমরা প্রযুক্তির যুগে আরেকটি মাইলফলক প্রতিস্থাপন করতে পারবো।
আম্বালা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক আরিফ সিকদার বলেন, আম্বালা ফাউন্ডেশন ১৯৯৮ সাল থেকে এ দেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠির উন্নয়নের জন্য কাজ করে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় ২০০২ সালে আর্থিক সেবা কার্যক্রমকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে ক্ষুদঋণ কার্যক্রম শুরু করি। আমরা প্রথম থেকেই ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমকে স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার লক্ষে সফটওয়্যারের মাধ্যমে পরিচালনা করে আসছি।
তিনি বলেন, আপনারা জেনে খুশি হবেন বাংলাদেশে এই প্রথম আমরাই গ্রাহক এবং প্রতিষ্ঠানের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে ডিজিটাল পাশবই চালু করেছি। এই পাশবই চালুর ফলে একদিকে যেমন সংস্থার জবাবদিহিতা নিশ্চিত হয়েছে, অন্যদিকে গ্রাহকরা তাদের সকল কার্যক্রম যেমন- ঋণের স্থিতি এবং লেনদেন যেকোন জায়গায় বসে তাদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে অ্যাপসের মাধ্যমে দেখতে পারবেন। আমরা মনে করি এদেশে এটি একটি যুগান্তকারি পদক্ষেপ। এর ফলে একদিকে যেমন স্বচ্ছতা আসবে অন্যদিকে গতিশীলতা বাড়বে।
আরিফ সিকদার আরও বলেন, খুব শীগ্রই আমরা আরেকটি সেবা চালু করছি আর তা হলো ইমার্জেন্সি লোন। আপনারা জানেন ক্ষুদ্রঋণ সেক্টরে গ্রাহকরা বছরে একবার লোন পেয়ে থাকে কিন্তু তাদের বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কারণে জরুরি ভিত্তিতে লোন প্রয়োজন হয়। যেমন- হঠাৎই পরিবারে অসুস্থতায় চিকিৎসার জন্য আর্থিক প্রয়োজন হয়, এই বিষয়টি মাথায় রেখেই আমরা এই সেবাটি চালু করছি। ইমার্জেন্সি লোন চালু হলে গ্রাহকরা আমাদের এই অ্যাপটি ব্যবহার করে ঘরে বসেই আবেদন করতে পারবে। আবেদন করার পাঁচ মিনিটের মধ্যেই তারা তাদের কাঙ্খিত টাকাটা মোবাইল ব্যাংকিয়ের মাধ্যমে পেয়ে যাবে। আমি মনে করি জরুরি প্রয়োজনে গ্রাহকদের এই সেবাটিও একটি যুগান্তকারি পদক্ষেপ হিসাবে বিবেচিত হবে।
এবিষয়ে পিকেএসএফর ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফজলুল কাদের বলেন, আমরা যে আমাদের মাইক্রোফিন্যান্সকে ডিজিটাল করতে চাচ্ছি, এ ডিজিটাল পাশবই তার অন্যতম প্রতিফলন।
তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশের ৩ কোটিরও বেশি মানুষ ক্ষুদ্রঋণের সাথে জড়িত। ক্ষুদ্রঋণে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশ ২য় অবস্থানে আছে। আমাদের মোট কৃষিঋণের ৮৫% যায় ক্ষুদ্রঋণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান থেকে। এছাড়াও জিডিপিতে ক্ষুদ্রঋণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান সমুহের বিপুল পরিমান অবদান রয়েছে। এটাকে যদি আমরা ডিজিটালে রূপান্তর করতে পারি এটা হবে বড় রকমের একটা অর্জন। এটি মাইক্রোফিন্যান্সের স্বচ্ছতা অনেক বাড়িয়ে দিবে।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
সাউথইস্ট ব্যাংকের ১৬ এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেটের উদ্বোধন
আর্থিক অন্তর্ভুক্তিমূলক ব্যাংকিং ধারাকে অব্যাহত রাখতে প্রান্তিক কৃষক, ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা সহ সকলের অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জনে পাশে থাকার প্রত্যয়ে সাউথইস্ট ব্যাংক পিএলসির ১৬টি এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেটের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে।
আউটলেটগুলো খুলনা, টাঙ্গাইল, শরীয়তপুর, কুমিল্লা, ফরিদপুর, নোয়াখালী, সাতক্ষীরা, ঝালকাঠী, গাজীপুর, ঢাকা, নাটোর এবং কক্সবাজারে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়।
সাউথইস্ট ব্যাংক পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুরুদ্দীন মো. ছাদেক হোসাইন ভার্চুয়ালি সংযুক্ত থেকে একযোগে ১৬টি এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেটের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ব্যাংকের কর্মকর্তাবৃন্দ এবং ১৬টি এজেন্ট আউটলেটের স্বত্বাধিকারীগণও ভার্চুয়ালি সংযুক্ত ছিলেন।
সাউথইস্ট ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং ‘স্বাগতম’ থেকে তথ্য প্রযুক্তি সমৃদ্ধ প্রচলিত ব্যাংকিং সেবার পাশাপাশি ‘তিজারাহ’ ইসলামিক ব্যাংকিং এর সকল আধুনিক ও প্রযুক্তিভিত্তিক সেবা সমূহও প্রদান করা হবে। এছাড়াও গ্রাহকগন সাউথইস্ট ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা ‘স্বাগতম’ এর মাধ্যমে সঞ্চয়ী ও চলতি হিসাব খোলা, নগদ অর্থ জমা ও উত্তোলন, অর্থ স্থানান্তর, বিইএফটিএন এর মাধ্যমে যে কোনো ব্যাংকের হিসাবে অর্থ স্থানান্তর, বৈদেশিক রেমিটেন্স সেবা, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড ও চেক বই প্রসেসিং, বিও হিসাব খোলা এবং শেয়ার লেনদেনের সুবিধা, বিনামূল্যে ডিজিটাল স্বাস্থ্য সেবা, ক্ষুদ্র, মাঝারি ও কৃষি ঋণ, আকর্ষণীয় জীবন বীমা সুবিধা, ইউটিলিটি বিল, সরকারী ভাতা, ভোক্তা ঋণ, ঋণের কিস্তি গ্রহণ এবং ইন্টারনেট ব্যাংকিং সেবা গ্রহণ করতে পারবেন। এছাড়াও গ্রাহকগণ এজেন্ট আউটলেটে স্থাপিত রিসাইক্লার এটিএম এর মাধ্যমে ২৪ ঘন্টা প্রয়োজনীয় ব্যাংকিং সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন।
এসএম