আন্তর্জাতিক
চীনে অ্যালুমিনিয়াম উৎপাদন বেড়েছে

বিশ্ববাজারে হালকা ধাতুর দাম বাড়তে থাকায় চীনে গত এপ্রিলে অ্যালুমিনিয়াম উৎপাদন আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৭ দশমিক ২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ওই মাসে ৩৫ লাখ ৮০ হাজার টন অ্যালুমিনিয়াম উৎপাদন করেছে দেশটি। চীনের ন্যাশনাল ব্যুরো অব স্ট্যাটিস্টিকসের (এনবিএস) এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
এনবিএসের তথ্য বিশ্লেষণ করে রয়টার্স বলছে, এপ্রিলে চীনের দৈনিক অ্যালুমিনিয়াম উৎপাদন ছিল গড়ে ১ লাখ ১৯ হাজার ৩৩ টন, মার্চে যা ছিল ১ লাখ ১৫ হাজার ৮০৬ টন। অর্থাৎ এক মাসের ব্যবধানে দৈনিক উৎপাদনও বেড়েছে।
সৌর ও বায়ুবিদ্যুৎ উৎপাদনের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি বানাতে অ্যালুমিনিয়াম ব্যবহার হয়। চীনে পরিবেশবান্ধব ও নবায়নযোগ্য জ্বালানির চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশটির বিনিয়োগকারীরা এ খাতের দিকে ঝুঁকছেন। ফলে এপ্রিল নাগাদ ধাতুটির দাম উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।
লন্ডন মেটাল এক্সচেঞ্জে (এলএমই) এপ্রিলে অ্যালুমিনিয়ামের ভবিষ্যৎ সরবরাহ মূল্য ৪ দশমিক ১ শতাংশ বেড়েছে। অন্যদিকে সাংহাই ফিউচারস এক্সচেঞ্জে ধাতুটির দাম বেড়েছে ৪ দশমিক ৯ শতাংশ। এরই মধ্যে প্রতি টনের বাজারদর ২০ হাজার ইউয়ান ছাড়িয়েছে, যা দুই বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
গবেষণা প্রতিষ্ঠান এন্টেইক বলছে, দাম বাড়ায় চীনের অ্যালুমিনিয়াম খাতে গড় মুনাফা বেড়ে টনপ্রতি ৩ হাজার ৬১৫ ইউয়ানে উন্নীত হয়েছে, যা আগের মাসের চেয়ে ৪৮ শতাংশ বেশি এবং এক বছর আগের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণের সমান।
দেশটির চতুর্থ বৃহত্তম অ্যালুমিনিয়াম উৎপাদনকারী প্রদেশ ইউনান। অঞ্চলটি অনেকটাই জলবিদ্যুতের ওপর নির্ভরশীল। অপর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত ও খরার কারণে সেখানে বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। ফলে অনেক অ্যালুমিনিয়াম কারখানা উৎপাদন বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছে। তবে পরিস্থিতির কিছু উন্নতি হওয়ায় এপ্রিলে এসব কারখানার কয়েকটি আবারো উৎপাদনে এসেছে। যদিও খরা ও অনাবৃষ্টি নিয়ে এখনো অনিশ্চয়তা কাটেনি।
এবিএসের তথ্য বলছে, চলতি বছরের প্রথম চার মাসে চীন ১ কোটি ৪২ লাখ ৪০ হাজার টন অ্যালুমিনিয়াম উৎপাদন করে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৭ দশমিক ১ শতাংশ বেশি। এপ্রিলে তামা, অ্যালুমিনিয়াম, সিসা, দস্তা, নিকেলসহ ১০টি নন-ফেরাস ধাতুর উৎপাদন আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৭ শতাংশ বেড়ে ৬৫ লাখ টনে পৌঁছে। জানুয়ারি-এপ্রিল পর্যন্ত ধাতুগুলোর উৎপাদন ৭ দশমিক ১ শতাংশ বেড়ে ২ কোটি ৫৮ লাখ ৯০ হাজার টনে পৌঁছায়। অন্য নন-ফেরাস ধাতুর মধ্যে আছে টিন, অ্যান্টিমনি, মার্কারি, ম্যাগনেশিয়াম ও টাইটানিয়াম।

আন্তর্জাতিক
আবারও ‘স্বাস্থ্যকর শহরের’ স্বীকৃতি পেলো মদিনা

আবারও ‘স্বাস্থ্যকর শহর’ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে সৌদি আরবের মদিনা নগরী। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) মদিনা শহরকে এই স্বীকৃতি দিয়েছে। ইসলামের দ্বিতীয় পবিত্রতম নগরী মদিনা এবার ৮০ পয়েন্ট অর্জন করে এই স্বীকৃতি পেয়েছে বলে জানিয়েছে সৌদি প্রেস এজেন্সি (এসপিএ)।
এই স্বীকৃতির মাধ্যমে জেদ্দার পরই মধ্যপ্রাচ্যের দ্বিতীয় বৃহত্তম ‘স্বাস্থ্যকর নগরী’ হিসেবে নিজের অবস্থান আরও দৃঢ় করলো মদিনা শহর।
একটি আনুষ্ঠানিক আয়োজনে স্বাস্থ্য মন্ত্রী ফাহাদ আলজালাজেলের কাছ থেকে এই স্বীকৃতি সনদ গ্রহণ করেন মদিনা অঞ্চলের গভর্নর প্রিন্স সালমান বিন সুলতান।
প্রিন্স সালমান বলেন, এই স্বীকৃতি প্রমাণ করে যে, নাগরিকদের জীবনের মান উন্নয়নে নেতৃত্ব কতটা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। শুধু স্থানীয়ভাবে নয়, বরং আন্তর্জাতিকভাবে একটি উন্নয়ন মডেলে পরিণত হচ্ছে মদিনা শহর। যা সৌদি আরবের ভিশন ২০৩০-এর লক্ষ্য পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
ডব্লিউএইচও-এর এই স্বীকৃতি অর্জনের জন্য একটি শহরকে ৮০টি মানদণ্ড পূরণ করতে হয়,যার মধ্যে রয়েছে— পার্ক ও খোলা জায়গা, হাঁটার উপযোগী এলাকা, প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র ও স্কুলের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসচেতনতা বৃদ্ধি ইত্যাদি।
ডব্লিউএইচও মদিনা ছাড়াও সৌদি আরবের আরও ১৪টি শহরকে ‘স্বাস্থ্যকর শহর’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। শহরগুলো হলো, তায়েফ, তাবুক, আদ-দিরিয়াহ, উনায়জা, জালাজেল, আল-মানদাক, আল-জুমুম, রিয়াদ আল-খুবরা, শারুরাহ।
এখন মদিনা বিশ্বব্যাপী এমন এক উদাহরণ, যেখানে আধুনিক উন্নয়ন এবং স্বাস্থ্যসচেতনতা একত্রে কাজ করছে।
আন্তর্জাতিক
বিমান থেকে গাজায় ত্রাণসামগ্রী ফেলবে ইতালি

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় বিমান থেকে ত্রাণসামগ্রী ফেলা শুরু করবে ইতালি। চলমান সংঘাতে বিপর্যস্ত গাজার বেসামরিক জনগণের জন্য জরুরি সহায়তা পৌঁছাতে এই পদক্ষেপ নিচ্ছে দেশটি। ইতালির পররাষ্ট্রমন্ত্রী শুক্রবার (১ আগস্ট) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
রোম থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, ইতালির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্তোনিও তাজানি এক বিবৃতিতে বলেন, ‘গাজার বেসামরিক নাগরিকদের কাছে মৌলিক প্রয়োজনীয় সামগ্রী পৌঁছে দিতে ইতালির সেনাবাহিনী ও বিমান বাহিনীর সমন্বয়ে একটি বিমান ত্রাণ মিশনের অনুমোদন দিয়েছি।’
তিনি আরও জানান, ইতালির বিমান বাহিনী জর্ডানের সেনাবাহিনীর সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করবে। এ লক্ষ্যে বিশেষ কন্টেইনারে ত্রাণসামগ্রী ভরে তা আকাশপথে গাজায় ফেলা হবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাজানি জানান, আগামী ৯ আগস্ট থেকে বিমান ত্রাণ কার্যক্রম শুরু করা হবে।
এদিকে শুক্রবার স্পেন জানিয়েছে, তারা গাজায় ব্রিটেন ও ফ্রান্সের সঙ্গে সমন্বয় করে এরইমধ্যে ১২ টন খাদ্যসামগ্রী বিমান থেকে ফেলেছে। ব্রিটেন, ফ্রান্স এবং মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশের সঙ্গে যৌথভাবে ফিলিস্তিনি জনগণের জন্য এ ধরনের জরুরি মানবিক সহায়তা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে ইউরোপীয় দেশগুলো।
আন্তর্জাতিক
বাংলাদেশের শুল্ক কমায় ভারতের পোশাক বাজারের শেয়ারে দরপতন

ট্রাম্প প্রশাসনের সর্বশেষ শুল্ক সিদ্ধান্তে শুক্রবার ভারতের টেক্সটাইল শেয়ারদরগুলো ৭ শতাংশ পর্যন্ত কমেছে। ট্রাম্প প্রশাসন বাংলাদেশি পণ্যের ওপর আমদানি শুল্ক ৩৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশে নামিয়ে আনে, যা ভারতের রপ্তানিকারকদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে প্রতিযোগিতা আরও তীব্র করে তুলেছে।
শুক্রবার (১ আগস্ট) এই ঘোষণার পর ভারতীয় পুঁজিবাজারে পোশাক-নির্ভর কোম্পানিগুলোর শেয়ারে ব্যাপক বিক্রির চাপ দেখা যায়। গোকালদাস এক্সপোর্টসের শেয়ার ৩.১ শতাংশ কমে দাঁড়ায় ৮২৪.৫০ রুপিতে। পার্ল গ্লোবাল ইন্ডাস্ট্রিজের পতন ঘটে ৭.২ শতাংশ, নামতে নামতে তা দাঁড়ায় ১,৩৮০.০৫ রুপিতে। অরবিন্দ লিমিটেড ১.৮ শতাংশ কমে ৩১০.৪০ রুপিতে নামলেও, ওয়েলস্পান লিভিং ১.৯ শতাংশ কমে দাঁড়ায় ১২৩.৮০ রুপিতে। কেপিআর মিলের শেয়ারও ৪.৩ শতাংশ কমে দাঁড়ায় ১,০৯২ রুপিতে।
উল্লেখ্য, ওয়েলস্পান লিভিং, গোকালদাস এক্সপোর্টস, ইন্দো কাউন্ট ইন্ডাস্ট্রিজ এবং ট্রাইডেন্টের মতো কোম্পানিগুলো তাদের মোট আয়ের ৪০ থেকে ৭০ শতাংশই মার্কিন বাজার থেকে অর্জন করে। ফলে নতুন শুল্ক নীতির কারণে তারা বৈশ্বিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের তুলনায় চাপের মুখে পড়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৭০ শতাংশ রাজস্ব পাওয়া কিটেক্স গার্মেন্টসের শেয়ার ৫ শতাংশ কমে গেছে। এ ছাড়া ট্রাইডেন্ট এবং ইন্ডো কাউন্ট ইন্ডাস্ট্রিজের মতো অন্যান্য টেক্সটাইল কোম্পানির শেয়ারও ১ থেকে ২.৫ শতাংশ পর্যন্ত হ্রাস পেয়েছে।
বাংলাদেশের শুল্ক বর্তমানে ভিয়েতনামের ২০ শতাংশ হারের সমান হয়েছে। অথচ ভারতীয় টেক্সটাইল পণ্যের ওপর এখনও ২৫ শতাংশ শুল্ক বহাল রয়েছে এবং অতিরিক্ত জরিমানার বিষয়ে এখনো মার্কিন কর্তৃপক্ষ পরিষ্কার কোনো দিকনির্দেশনা দেয়নি।
ফলে শুল্কনীতির এই অসমতা ভারতীয় রপ্তানিকারকদের মুনাফার হার এবং দাম নির্ধারণে ক্ষমতা—দুই ক্ষেত্রেই নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিশেষ করে যেসব ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এবং ভিয়েতনাম খরচ-সাশ্রয়ী উৎপাদনের মাধ্যমে মার্কিন বাজারে আধিপত্য বিস্তার করেছে, সেসব খাতে ভারতের প্রতিযোগিতা আরও কঠিন হবে।
গোকুলদাস এক্সপোর্টস এবং পার্ল গ্লোবাল তাদের ৫০-৭০ শতাংশ আয় মার্কিন বাজার থেকে অর্জন করে। অন্যদিকে, অরবিন্দ লিমিটেড এবং কেপিআর মিল যথাক্রমে ৩০ শতাংশ এবং ২১ শতাংশ আয়ের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নির্ভরশীল।
চয়েস ওয়েলথ-এর অ্যাসোসিয়েট ভাইস প্রেসিডেন্ট অক্ষত গার্গ বলেন, ‘জেমস, টেক্সটাইল এবং অটো পার্টস খাতে ভারতীয় রপ্তানিকারকদের জন্য এর তাৎক্ষণিক এবং কঠোর প্রভাব পড়বে। এমনিতেই যেসব খাতের মুনাফা কম, তারা এখন প্রতিদ্বন্দ্বী ভিয়েতনামের তুলনায় ৭-১০ শতাংশ খরচে পিছিয়ে পড়েছে।’
শুক্রবারের এই দরপতন বৃহত্তর এক ধারাবাহিক পতনের অংশ, যার সূচনা হয়েছিল বৃহস্পতিবার। সেদিন পার্ল গ্লোবাল ৭ শতাংশের বেশি এবং গোকুলদাস এক্সপোর্টস ৪.৫ শতাংশের বেশি দরপতন হয়। কেপিআর মিলের শেয়ারও ৩ শতাংশের বেশি এবং ওয়েলস্পান লিভিং প্রাথমিকভাবে কিছুটা ঘুরে দাঁড়ালেও দিন শেষে প্রায় ৪ শতাংশ কমে যায়।
যেখানে এক সময় বাংলাদেশের তুলনায় ভারত অল্প সময়ের জন্য কিছুটা সুবিধাজনক অবস্থানে ছিল, সেখানে এখন নতুন করে বিশ্ববাজারে প্রতিযোগিতামূলক দামের দিক থেকে অনিশ্চয়তা দেখা দিচ্ছে ভারতীয় টেক্সটাইল শিল্পের জন্য।
আন্তর্জাতিক
মালয়েশিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় ৩ বাংলাদেশি নিহত

মালয়েশিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় তিন বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো দুইজন। শুক্রবার (১ আগস্ট) সন্ধ্যায় দেশটির পূর্ব উপকূল মহাসড়কের কেএম এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
শনিবার (২ আগস্ট) মালয়েশিয়ার দ্যা স্ট্যার নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
কুয়ান্তানের ভারপ্রাপ্ত জেলা পুলিশ প্রধান সুপারিনটেনডেন্ট মো. আদলি মাত দাউদ জানান, কুয়ান্তান থেকে কুয়ালালামপুরগামী একটি মাল্টিপারপাস যানবাহন (এমপিভি) নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়ক থেকে ছিটকে পড়লে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতদের মধ্যে রয়েছেন—চালক মো. সাব্বির হাসান (৩০), এবং যাত্রী মো. জাহিদ হাসান (২১) ও আব্দুল্লাহ (২৪)। দুর্ঘটনাস্থলেই তারা প্রাণ হারান।
আহতরা হলেন—মো. হাবিব বিশ্বাস (৪৫) ও মনিরাম চন্দ্র বসু (৪০)। তাদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
পুলিশ কর্মকর্তা আদলি মাত দাউদ আরো জানান, দুর্ঘটনায় ব্যবহৃত গাড়ির চালকের বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্স ছিল না। এ ঘটনায় তদন্ত চলছে।
নিহত বাংলাদেশিদের গ্রামের বাড়ি কোন জেলায় তা এখনও জানা যায়নি। নিহতদের মরদেহ কুয়ান্তানের তেঙ্কু আম্পুয়ান আফজান হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক
স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত প্রতিরোধ চলবে: হামাস

স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত প্রতিরোধ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে হামাস। জাতিসংঘের সদর দপ্তর থেকে অস্ত্র ত্যাগের আহ্বানের জবাবে এ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে সংগঠনটি।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) হামাসের সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দখলদারিত্বের অবসান এবং জেরুজালেমকে রাজধানী করে একটি স্বাধীন ও সম্পূর্ণ সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত প্রতিরোধ থামবে না তারা।
ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের মধ্যে দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের লক্ষ্যে চলতি সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে তিনদিনব্যাপী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
ফ্রান্স ও সৌদি আরবের নেতৃত্বে ওই সম্মেলনের দ্বিতীয়দিন মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) এক যৌথ ঘোষণাপত্র জারি করা হয়।
এতে ১৭টি দেশ ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করেছে। যার মধ্যে কাতার, সৌদি আরব ও মিশরের পাশাপাশি যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, কানাডা ও আরও কয়েকটি পশ্চিমা দেশ রয়েছে।
ঘোষণাপত্রে হামাসকে গাজা শাসন থেকে সরে দাঁড়াতে এবং অস্ত্র পরিত্যাগ করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
এদিকে গাজায় ত্রাণ নিতে আসা মানুষের ওপর ইসরায়েলের বর্বরতা থামছেই না। প্রতিটি খাবার বহনকারী ট্রাক যেন হয়ে উঠছে মৃত্যুফাঁদ। খাবার নিতে এসে গুলিতে নিহত হচ্ছে শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে বয়স্করাও। ত্রাণ নিতে গিয়ে গুলিতে প্রাণ হারানোর মধ্যে বেশিরভাগই শিশু। একেকটি ট্রাক ঘিরে পরিকল্পিতভাবে বিশৃঙ্খলা তৈরি করা হয় বলে মনে করে চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত সংস্থাগুলো।
এই পরিস্থিতিতে ফিলিস্তিনিদের সহায়তার কথা বললেও, গাজা সফরে এসে কোনো জাতিসংঘ প্রতিনিধির সঙ্গেই সাক্ষাৎ করেননি মার্কিন দূত স্টিভ উইটকফ। বরং বিতর্কিত ত্রাণকেন্দ্র গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন পরিদর্শন করেছেন তিনি। জাতিসংঘ বারবার এই সংস্থার বিরুদ্ধে অযোগ্যতা ও নিরাপত্তা সংকট তৈরির অভিযোগ তুলেছে।
অন্যদিকে গাজায় হামলা বন্ধে কোনো সমাধানে পৌঁছানো যাচ্ছে না বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন ইসরায়েলের সেনাপ্রধান ইয়াল জামির।
তিনি বলেন, কয়েকদিনের মধ্যেই বোঝা যাবে যুদ্ধবিরতি হবে কিনা। একই সঙ্গে তিনি গাজায় ‘ভুয়া দুর্ভিক্ষ প্রচার’ চলছে বলেও দাবি করেন।