অর্থনীতি
দেশে ডিজিটাল লেনদেনে জড়িত ৪৫ শতাংশ মানুষ
আধুনিক বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে প্রতিটি দেশ প্রযুক্তি সেবায় এগিয়ে চলছে। বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় বাংলাদেশের অর্থনৈতিক খাতে প্রযুক্তির ছোঁয়া উল্লেখযোগ্য নয়। গ্রাম্য পর্যায়ে ডিজিটাল লেনদেন ইদানীংকালে জাল বুনলেও দেশের প্রাপ্তবয়স্ক (১৫ বছরের বেশি) জনগোষ্ঠীর মাত্র ৪৫ শতাংশ ডিজিটাল লেনদেনের সঙ্গে জড়িত। ফলে দেখা যায়, ডিজিটাল লেনদেনে বিশ্বের ১৫৭টি দেশের বাংলাদেশের অবস্থান ১০২তম।
সম্প্রতি ডিজিটাল অগ্রগতি নিয়ে বিশ্বব্যাংকের করা এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
বিশ্বব্যাংক বলছে, বাংলাদেশের ১৫ বছরের বেশি বয়সী জনগোষ্ঠীর ৪৫ শতাংশ ডিজিটাল লেনদেনের সঙ্গে যুক্ত। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ জনশুমারি অনুসারে, দেশে ১৫ বছরের বেশি বয়সী মানুষ রয়েছে ১১ কোটি ৮৯ লাখ ১৬ হাজার। বিশ্বব্যাংকের হিসাবে প্রায় ১২ কোটি মানুষের মধ্যে মাত্র ৫ লাখ ৩৫ হাজার মানুষ ডিজিটাল লেনদেন করেন।
বিশ্বব্যাংকের ডিজিটাল লেনদেনের তালিকায় শীর্ষে থাকা ১০টি দেশের ৯৯ থেকে শতভাগ মানুষই এ ধরনের লেনদেনে যুক্ত। এই তালিকায় শীর্ষে আছে ডেনমার্ক। দেশটির সব মানুষ ডিজিটাল লেনদেনের আওতায় রয়েছে। তালিকায় অন্য ৯টি দেশ হলো অস্ট্রেলিয়া, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, অস্ট্রিয়া, যুক্তরাজ্য, সুইডেন, আইসল্যান্ড, জার্মানি ও এস্তোনিয়া।
বাংলাদেশের ডিজিটাল লেনদেনের বড় অংশই হয় মোবাইল ফোনে আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বিকাশ, নগদ, রকেট, উপায়সহ আরও কিছু প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হিসাবে, গত ফেব্রুয়ারি মাসে মোবাইল ফোনে লেনদেন হয়েছে ১ লাখ ৩৪ হাজার কোটি টাকা। জানুয়ারিতে যার পরিমাণ ছিল ১ লাখ ২৯ হাজার কোটি টাকা। পর্যায়ক্রমে তা বাড়লেও বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় বেশ পিছিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। যদিও তালিকার হিসেবে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, ভুটান, আফগানিস্তানের চেয়ে এগিয়ে আছে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে: বাংলাদেশ ব্যাংক
উচ্চ মূল্যস্ফীতি অব্যাহত থাকলেও বাংলাদেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
আজ বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) ঘোষিত মুদ্রানীতিতে এ কথা বলেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
‘পর্যালোচনার পর মুদ্রানীতি কমিটি সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে, মূল্যস্ফীতি সহনীয় পর্যায়ে না পৌঁছানো পর্যন্ত বর্তমান কঠোর মুদ্রানীতি অব্যাহত রাখতে হবে। একইসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হলো মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ।’
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, সম্প্রতি মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা কিছুটা কমলেও তা অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ্য বাংলাদেশ ব্যাংক এক বছরেরও বেশি সময় ধরে সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি চালু রেখেছে। যেখানে নীতি সুদহার বাড়ানো হয়েছে এবং সরকারি ব্যয়ের জন্য নতুন অর্থ ছাপানো বাদ রাখা হয়েছে।
এদিকে ২০২৪-২৫ অর্থবছর শেষে মূল্যস্ফীতি ৬ দশমিক ৫ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্য নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
নীতি সুদহার অপরিবর্তিত রাখলো বাংলাদেশ ব্যাংক
২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথমার্ধের জন্য মুদ্রানীতি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নীতি সুদহার ৮ দশমিক ৫০ শতাংশ, এসডিএফের হার ৭ শতাংশ ও এসএলএফের হার ১০ শতাংশ অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইটে মুদ্রানীতি ঘোষণা করা হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংক সরকারি ব্যয়ের জন্য নতুন অর্থ ছাপানো থেকে বিরত থাকবে।
তবে প্রয়োজনীয় নীতিগত ব্যবস্থা নিতে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রস্তুত রয়েছে বলে মুদ্রানীতিতে বলা হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা কমালো কেন্দ্রীয় ব্যাংক
মূল্যস্ফীতি মোকাবিলায় বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৯ দশমিক ৮০ শতাংশ নির্ধারণ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংক ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথমার্ধের মুদ্রানীতিতে এই ঘোষণা দিয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) বিকেলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওয়েবসাইটে মুদ্রানীতি ঘোষণা করা হয়।
গত অর্থবছরের মে মাসে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি ছিল ১০ দশমিক ৩৫ শতাংশ। অথচ পুরো ২০২৩-২৪ অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রাই ছিল ১০ শতাংশ।
তবে গত অর্থবছরের জুন পর্যন্ত প্রকৃত প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৮০ শতাংশে।
মুদ্রানীতি বিবরণী অনুযায়ী, সরকারি খাতে ঋণের আনুমানিক প্রবৃদ্ধি হবে ১৪ দশমিক ২০ শতাংশ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা বৃহস্পতিবার, বাড়বে সুদহার
উচ্চ মূল্যস্ফীতিসহ নানা চ্যালেঞ্জের মধ্যে ২০২৪–২৫ অর্থবছরের প্রথমার্ধের মুদ্রানীতি দিতে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) বিকেল ৩টায় বাংলাদেশ ব্যাংক এই অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর সময়ের ‘মনিটারি পলিসি স্টেটমেন্ট’ প্রকাশ করবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও ভারপ্রাপ্ত মুখপাত্র সাইফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও কাঙ্ক্ষিত প্রবৃদ্ধি অর্জনের মধ্যে ভারসাম্য রাখতে মুদ্রানীতি প্রণয়ন ও প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। দেশের আর্থিক ব্যবস্থাপনায় মুদ্রানীতি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ ঋণ, মুদ্রা সরবরাহ, অভ্যন্তরীণ সম্পদ, বৈদেশিক সম্পদ কতটুকু বাড়বে বা কমবে এর একটি পরিকল্পনা তুলে ধরা হয়।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রেওয়াজ অনুযায়ী এতদিন সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে মুদ্রানীতি ঘোষণা করা হতো। কিন্তু রেওয়াজ ভেঙে এবার তারা সংবাদ সম্মেলন না করে নিজেদের ওয়েবসাইটে এটি প্রকাশ করবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় গণমাধ্যম কর্মীরা গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার এবং ডেপুটি গভর্নরসহ এ নিয়ন্ত্রক সংস্থার সব অনুষ্ঠান বর্জন করে চলেছেন। এ কারণেই কেন্দ্রীয় ব্যাংক মুদ্রানীতি ওয়েবসাইটে প্রকাশ করবে বলে জানা গেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, বাংলাদেশ ব্যাংক গত মে মাসে সুদহার বাজারভিত্তিক করে দেয়। ফলে এখন ১৬ শতাংশে উঠেছে সুদহার। একই সঙ্গে ডলারের দর নির্ধারণের নতুন পদ্ধতি ‘ক্রলিং পেগ’ চালু করায় ডলারের দাম ১১৮ টাকায় উঠেছে। এরপরও মূল্যস্ফীতি ঊর্ধ্বমুখী ধারায় রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে সংকোচনমূলক মুদ্রানীতির মাধ্যমে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে নীতি সুদহার বাড়ানো ও টাকার সরবরাহ কমানোর পরিকল্পনা ঠিক করা হচ্ছে।
২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে মূল্যস্ফীতি সাড়ে ৭ শতাংশে রাখার ঘোষণা দিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে অর্থবছর শেষে গড় মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৭৩ শতাংশে। চলতি অর্থবছরের বাজেটে মূল্যস্ফীতি সাড়ে ৬ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা আছে। এজন্য ডলার বিক্রির মাধ্যমে বাজার থেকে টাকা উত্তোলনের পাশাপাশি সরকারকে টাকা ছাপিয়ে ধার দেওয়া বন্ধ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তবে সংকটে থাকা কয়েকটি ব্যাংককে ঠিকই টাকা ছাপিয়ে বিশেষ উপায়ে ধার দিচ্ছে । এ কারণে মুদ্রা সরবরাহ কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় নিয়ন্ত্রণে থাকছে না।
সরকার চলতি অর্থবছরে দেশের ব্যাংক খাত থেকে ১ লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকার ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে। এরই মধ্যে সরকারি ঋণের ট্রেজারি বিলের সুদহার উঠেছে ১১ দশমিক ৯৫ শতাংশে ও বন্ডের সুদহার বেড়ে হয়েছে ১২ দশমিক ৮৪ শতাংশ।
চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ৭ লাখ ৯৭ হাজার টাকা। বিশাল অংকের এ বাজেটের ঘাটতি ধরা হয়েছে ২ লাখ ৫১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। আর অনুদান ছাড়া ঘাটতির পরিমাণ ২ লাখ ৬৬ হাজার কোটি টাকা। যা মোট জিডিপির ৪ দশমিক ৬ শতাংশ।
বাজেটের আয়-ব্যয়ের বিশাল ঘাটতি পূরণে প্রধান ভরসাস্থল হিসাবে ব্যাংক খাত বেছে নিয়েছে সরকার। ফলে এবারও ঘাটতি পূরণে ব্যাংক ১ লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকার ব্যাংক ঋণ নেবে বলে লক্ষ্য ঠিক করেছে সরকার। এই অংক চলতি অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫ হাজার ১০৫ কোটি টাকার বেশি। চলতি অর্থবছরের বাজেটে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে এক ৩২ হাজার ৩৯৫ কোটি টাকা ঋণ নেয়ার লক্ষ্য ঠিক করেছিল সরকার। তবে সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রায় এটি বাড়িয়ে এক ৫৫ হাজার ৯৩৫ কোটি টাকা ঠিক করা হয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
উন্নয়নশীল এশীয় দেশে প্রবৃদ্ধি বাড়ার পূর্বাভাস এডিবির
অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাসে কিছুটা পরিবর্তন আনলো এশিয়ান ডেভলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি)। নতুন প্রকাশিত এই পূর্বাভাসে উন্নয়নশীল এশিয়া এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর প্রবৃদ্ধি সামান্য বাড়ানো হয়েছে। বুধবার (১৭ জুলাই) প্রকাশিত এই পূর্বাভাসে এই তথ্য জানায় সংস্থাটি।
চলতি বছরে উন্নয়নশীল এশিয়া এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৫ শতাংশ হবে বলে নতুন করে পূর্বাভাস দিয়েছে এডিবি। এর আগে এই প্রবৃদ্ধি ৪ দশমিক ৯ শতাংশ হওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছিল সংস্থাটি। এছাড়া পরবর্তী বছরের এই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি আগের পূর্বাভাস অনুযায়ী ৪ দশমিক ৯ শতাংশেই স্থির রাখা হয়েছে।
মূলত চলতি বছরে এ অঞ্চলের দেশীয় চাহিদার সঙ্গে তাল মিলিয়ে রফতানির পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে মনে করে এডিবি। এ জন্য এ বছরে দেশগুলোতে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিও বাড়তে যাচ্ছে।
পাশাপাশি বিশ্ববাজারে খাদ্যপণ্যের দাম ধীরে ধীরে সহনশীল পর্যায়ে নিয়ে আসা এবং উচ্চ সুদহারের দীর্ঘস্থায়ী প্রভাবের জন্য এ অঞ্চলের মুদ্রাস্ফীতিও কমে ২ দশমিক ৯ শতাংশে নেমে আসবে বলে মনে করা হচ্ছে।
মহামারি পরবর্তী সময়ে দেশগুলোতে অভ্যন্তরীণ চাহিদা সমন্বয় করতে পারার কারণে অর্থনৈতিক গতি ফিরে আসছে বলে মনে করছে সংস্থাটি। তাছাড়া মহামারির পরে রফতানি কার্যক্রম ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাওয়ার কারণেও, এ অঞ্চলের অর্থনীতিকে পুনরুদ্ধার দ্রুত হচ্ছে বলে জানায় এডিবি।
দক্ষিণ এশিয়া, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বিরূপ আবহাওয়া এবং খাদ্যপণ্য রফতানিতে বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞার জন্য এখনও খাদ্য মূল্যস্ফীতি অনেক বেশি। তবে এ অঞ্চলের মধ্যে ভারত এখনও সবচাইতে বেশি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি দেখিয়েছে, ২০২৪ অর্থবছরেও অপরিবর্তিত ৭ শতাংশ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বজায় রেখেছে দেশটি। এ ক্ষেত্রে ভারতের শিল্পখাত আরও শক্তিশালী হবে বলে ধারণা করছে সংস্থাটি।
এর আগে গত ১১ এপ্রিলে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে উঠে আসে ২০২৩ সালে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ছিল ৫ দশমিক ৮ শতাংশ। যা ২০২৪ সালে বেড়ে দাঁড়াবে ৬ দশমিক ১ শতাংশে এবং ক্রমান্বয়ে বেড়ে ২০২৫ সালে এই প্রবৃদ্ধি গিয়ে দাঁড়াবে ৬ দশমিক ৬ শতাংশে।
সেইসঙ্গে মূল্যস্ফীতির ক্ষেত্রে উল্টো চিত্র ঘটবে বলে জানিয়েছিল এডিবি। ২০২৩ সালে দেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ শতাংশ, যা কমে ২০২৪ সালে ৮ দশমিক ৪ শতাংশ হবে বলে জানানো হয়েছিল। পরবর্তী অর্থবছরে (২০২৪-২৫) এর পরিমাণ আরও কমে ৭ শতাংশে নামবে বলে জানিয়েছিল এডিবি।
চলতি অর্থবছরে ভারতের সর্বোচ্চ ৭ শতাংশের পরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ হিসেবে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছিল এডিবি।
এমআই