অর্থনীতি
ইলেক্ট্রিক্যাল পণ্যের বাজারে দেশীয় কোম্পানির আধিপত্য

বাংলাদেশের ‘ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যাকসেসরিজ এবং লাইটিং পণ্যের ওপর সম্প্রতি দেশব্যাপী একটি গবেষণা পরিচালনা করেছে মার্কেটিং ওয়াচ বাংলাদেশ (এমডব্লিউবি)। গবেষণায় উঠে এসেছে, বর্তমান এই শিল্পে দেশীয় কোম্পানিগুলো বাজারে ব্যাপকভাবে আধিপত্য বিস্তার করছে।
শনিবার (১৮ মে) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমডব্লিউবির গবেষণার তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরা হয়। গবেষণার ফলাফল এবং দিক-নিদেশনা তুলে ধরেন মার্কেটিং বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ও এমডব্লিউবির সহ-প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমান এবং অধ্যাপক ড. মো. নাজমুল হোসাইন।
এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গবেষণার আওতায় আনা পণ্যগুলো ছিল- সুইচ, সকেট, হোল্ডার, মাল্টি-প্লাগ, সার্কিট ব্রেকার, মিটার এবং বিভিন্ন হালকা পণ্য যেমন এলইডি লাক্স, এলইডি টিউব, এলইডি প্যানেল, ব্র্যাকেট এলইডি, জিএলএস, এনার্জি এফিশিয়েন্সি বাল্ব, ইমার্জেন্সি লাইটিং অপশনস।
প্রতিবেদন অনুসারে, এটি একটি বড় এবং অপার সম্ভাবনাময় শিল্প। বর্তমানে দেশজুড়ে প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার খুচরা বিক্রেতা এবং ২ হাজার ৫০০ উদ্যোক্তাসহ মোট ৫ লাখেরও বেশি মানুষ এই শিল্পের সাথে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সম্পৃক্ত। দুই ক্যাটাগরির পণ্যের সম্মিলিত বাজার আকার প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকা। যার মধ্যে ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যাকসেসরিজ পণ্যের বাজার প্রায় ৩ হাজার ৩০০ কোটি এবং লাইটিং পণ্যের বাজার প্রায় ২ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। আশাব্যাঞ্জক তথ্য হলো- উভয় পণ্যের বাজার গত দুই দশক ধরে অব্যাহতভাবে বেড়েই চলেছে। ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যাকসেসরিজ ও লাইটিং পণ্যের গড় প্রবৃদ্ধির হার যথাক্রমে ১০ শতাংশ (প্রায়) এবং ১৩ শতাংশ (প্রায়)। যদি আগামী দিনগুলোতে এই প্রবৃদ্ধির হার অব্যাহত থাকে তাহলে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে এই খাতটি একটি অত্যন্ত সম্ভাবনাময় বড় খাত হিসাবে আবির্ভূত হবে।
এই বাজারের একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো, মোট মার্কেট শেয়ারের প্রায় অর্ধেক নন ব্যান্ডেড অর্থাৎ নিম্নমানের নকল ও অনুমোদনবিহীন পণ্য দখল করে আছে। যেহেতু দেশীয় কোম্পানিগুলোর প্রবৃদ্ধির হার অনেক বেশি, তাই আগামী দিনগুলোতে দেশীয় কোম্পানিগুলো বাজারে আরও বেশি আধিপত্য বিস্তার করবে।
গবেষণায় দেখা যায়, দেশীয় কোম্পানিগুলোর মধ্যে সুপারস্টার গ্রুপ উভয় প্রকার পণ্যের ক্ষেত্রে বাজারে শীর্ষস্থান দখল করে আছে। গবেষণা অনুসারে, ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যাকসেসরিজ ব্যান্ডেড পণ্যের মার্কেট শেয়ারে সুপার স্টার ২৯ শতাংশ, ওয়ালটন ১৭ শতাংশ, ক্লিক ১৭ শতাংশ, এনার্জি প্যাক ৯ শতাংশ, ওসাকা শতাংশ এবং ব্লিঙ্ক, এমইপি ও লাক্সারি প্রত্যেকে ৩ শতাংশ করে বাজার দখল করে আছে। অন্যদিকে ব্রান্ডেড লাইটিং পণ্যের মার্কেট শেয়ারে সুপার স্টার ২৫ দশমিক ৫৯ শতাংশ, ক্লিক ১৩ শতাংশ, ওয়ালটন ১২ শতাংশ, ট্রান্সটেক ১০ শতাংশ, এনার্জি প্যাক ৮ শতাংশ এবং ফিলিপস ৭ শতাংশ বাজার দখল করে আছে।
এই শিল্পের অগ্রগতির পেছনে মূলত গত ২৫ বছরে ব্যাপক বিদ্যুতায়ন, অব্যাহত জিডিপি প্রবৃদ্ধি, ক্রমবর্ধমান আয়, দ্রুত ও পরিকল্পিত নগরায়ণ, গ্রামীণ উন্নয়ন এবং সরকারের গৃহীত সমন্বিত উদ্যোগ নিয়ামক হিসাবে কাজ করেছে।
দুর্দান্ত সম্ভাবনাময় এই শিল্পের প্রবৃদ্ধির জন্য গ্রে-মার্কেটের কার্যক্রম হ্রাসে সরকারের তদারকি ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে। একই সাথে দেশীয় কোম্পানিগুলোকে উৎসাহিত করার জন্য সরকারের বিদ্যমান ট্যাক্স পদ্ধতির আমূল পরিবর্তন করতে হবে যাতে কোম্পানিগুলো কম ব্যয়ে পণ্যের কাঁচামাল আমদানি করতে পারে। পাশাপাশি এ সমস্ত শিল্পের ব্যাকওয়ার্ড লিঙ্কেজ গড়ে তোলার জন্য সরকার এবং ব্যবসায়ীদের সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। পাশাপাশি জনগণের মধ্যে নিরাপদ ও মানসম্মত বৈদ্যুতিক সরঞ্জামাদি ব্যবহারে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

অর্থনীতি
বেক্সিমকোর আরও ১১ হাজার ২৯৩ শ্রমিকের পাওনা পরিশোধ

শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক লিমিটেড কর্তৃপক্ষ তার শ্রমিকদের বকেয়া পরিশোধ অব্যাহত রেখেছে।
মঙ্গলবার (১১ মার্চ) আরও ১১ হাজার ২৯৩ জন শ্রমিকের চূড়ান্ত পাওনা পরিশোধ করা হয়েছে। এ নিয়ে মোট ২৭ হাজার ৬৮০ জন শ্রমিকের পাওনা পরিশোধ করা হলো। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক লিমিটেড কর্তৃপক্ষ তার শ্রমিকদের বকেয়া পরিশোধ অব্যাহত রেখেছে। আজ প্রতিষ্ঠানটি ১১ হাজার ২৯৩ জন শ্রমিকের চূড়ান্ত পাওনাদি পরিশোধ সম্পন্ন করেছে। এ পর্যন্ত মোট ২৭ হাজার ৬৮০ জন শ্রমিকের পাওনা পরিশোধ করা হয়েছে। অবশিষ্ট শ্রমিকদের বকেয়া পরিশোধ পর্যায়ক্রমে চলতে থাকবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
অ্যাম্বুলেন্স-বাসে ভ্যাট প্রত্যাহারের প্রস্তাব বারভিডার

অ্যাম্বুলেন্স ও বাসে ভ্যাট প্রত্যাহারের প্রস্তাব দিয়েছে রিকন্ডিশন্ড গাড়ি ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ রিকন্ডিশন্ড ভেহিকেলস ইমপোর্টার্স অ্যান্ড ডিলারস অ্যাসোসিয়েশনের (বারভিডা)। একই সঙ্গে মাইক্রো বাসে সম্পূরক শুল্ক কমানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১১ মার্চ) এনবিআরের প্রধান কার্যালয়ে প্রাক-বাজেট আলোচনায় এসব প্রস্তাব দিয়েছে সংগঠনটি।
বারভিডার সভাপতি আবদুল হক এনবিআর চেয়ারম্যানকে উদ্দেশ্য করে বলেন, সম্পূরক শুল্কের কারণে যেই মাইক্রোবাসটি ছিল ২০ লাখ টাকা সেটা প্রায় ৪০ লাখ টাকা হয়ে গেছে। এটা কমালে অনেকেই গাড়িটি কিনতে পারবে। এমপিরা বিনা শুল্কে গাড়ি আনছে। কিন্তু আপনি কিনতে গেলে ৮০০ শতাংশ শুল্ক। এটা অনেকটা রাগ করে করা হয়েছে। এটা বাস্তবসম্মত নয়।
তিনি বলেন, এটা সহনীয় করলে অনেকে রাজস্ব বাড়বে। অনেক টাকা আসবে। মানুষ গাড়ি কিনতে চায় কিন্তু তারা কিনতে পারছে না।
এবিষয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, এ বিষয়ে আমরা চিন্তা করছি। দেখি আমরা কী করতে পারি। জাপানি গাড়ি ভালো, এদের রিসেল ভ্যালু আছে। জাপানি গাড়ি প্রমোট করার জন্য যা যা দরকার আমরা সবই করব।
একটা গ্রুপ ম্যানুফ্যাকচারিং ইন্ডাস্ট্রির নামে রাজস্ব সুবিধা নিচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, শিল্প প্রতিষ্ঠার যেন স্ক্রু ড্রাইভার শিল্প মানের নামসর্বস্ব শিল্প এলে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হব। একই সঙ্গে বাজেট প্রস্তাবে ইলেকট্রিক ও হাইব্রিড গাড়ির শুল্ক হ্রাসের অনুরোধ জানিয়েছে বারভিডা।
এ ছাড়া ১০-১৫ আসনবিশিষ্ট হাইয়েস প্রকৃতির মাইক্রোবাসের ২০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক সম্পূর্ণ প্রত্যাহার, অবচয় হার পুনর্নির্ধারণ, হাইব্রিড গাড়ির সিসি স্লাব ও সম্পূরক শুল্ক হার পুনর্বিন্যাস, ফসিল ফুয়েলচালিত গাড়ির সিসি স্লাব ও সম্পূরক শুল্ক হার পুনর্বিন্যাসসহ বেশ কিছু প্রস্তাব দিয়েছে বারভিডা।
রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব) নিবন্ধন খরচ হিসেবে গেইন ট্যাক্স ৪ শতাংশ, স্ট্যাম্প শুল্ক ১ শতাংশ, নিবন্ধন ফি ১ শতাংশ, স্থানীয় সরকার ফি ১ শতাংশ ও সব ধরনের ভ্যাট ২ শতাংশ নির্ধারণসহ বেশ কিছু দাবি জানিয়েছে। তবে, বহাল থাকা কালো টাকা সাদা করার সুযোগ বিষয়ে তারা কোনো প্রস্তাব দেয়নি।
বাংলাদেশ সিরামিক ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের (বিসিএমইএ) সভাপতি ও পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত মুন্নু সিরামিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ভাইস চেয়ারম্যান মইনুল ইসলাম বলেন, দেশীয় টাইলস পণ্যের ওপর আরোপিত ১৫ শতাংশ ও স্যানিটারির ওপর ১০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের দাবি জানান।
অন্যদিকে শিপিং এজেন্ট লাইসেন্সিং বিধিমালা ২০২৪ চূড়ান্ত করাসহ বেশ কিছু দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ শিপিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন।
সংগঠনটির পরিচালক এ.এইচ.এম. কামাল বলেন, বিগত তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে নতুন শিপিং এজেন্ট লাইসেন্স ইস্যু করা হচ্ছে না। এনবিআর প্রস্তাবিত শিপিং এজেন্ট লাইসেন্সিং বিধিমালা ২০২৪” এখনও অনুমোদিত না হওয়ায় এ অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। এর ফলে শিপিং বাণিজ্যের প্রবৃদ্ধি ও কার্যকারিতা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। দীর্ঘসূত্রিতার কারণে শিপিং এজেন্ট হিসেবে প্রতিনিধিত্বকারী ব্যবসায় প্রতিযোগিতা ও উদ্ভাবন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের চাহিদা পূরণে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে।
তিনি এনবিআরকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিধিমালাটি চূড়ান্ত ও অনুমোদনের অনুরোধ জানান। এ ছাড়া, বাংলাদেশ ফ্রেইট ফরওয়ার্ডারস অ্যাসোসিয়েশন এবং ফেডারেশন অব বাংলাদেশ সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিরাও তাদের প্রস্তাবনা তুলে ধরেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ৪৬ শতাংশ

চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ৭৯ কোটি ৯৫ লাখ ৬০ হাজার ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে। এ রপ্তানি আয় গত বছরের একই সময়ের তুলানায় ৪৬ শতাংশ বেশি।
২০২৪ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের রপ্তানি আয় ছিল ৫৪ কোটি ৭৯ লাখ ৫০ হাজার ডলার।
ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব কমার্সের আওতাধীন অফিস অব টেক্সটাইল অ্যান্ড অ্যাপারেল (অটেক্সা) এ তথ্য জানিয়েছে।
তথ্য মতে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে গত জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের আমদানিকারকেরা ৭২০ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক আমদানি করেছে। গত বছরের জানুয়ারিতে তারা আমদানি করেছিল ৬০৩ কোটি ডলারের পোশাক। চলতি বছরের জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি পোশাক আমদানি বেড়েছে সাড়ে ১৯ শতাংশ।
বাংলাদেশি তৈরি পোশাকের সবচেয়ে বড় বাজার যুক্তরাষ্ট্র। এ বাজারে গত বছর তৈরি পোশাক রপ্তানিতে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে বাংলাদেশ। ২০২৪ সাল শেষে বড় প্রবৃদ্ধি না হলেও ইতিবাচক ধারায় ফেরে। সব মিলিয়ে গত বছর বাংলাদেশ থেকে ৭৩৪ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে। এই রপ্তানি ২০২৩ সালের তুলনায় শূন্য দশমিক ৭৫ শতাংশ বেশি। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে ২০২৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে রপ্তানি ২৫ শতাংশ কমে ৭২৯ কোটি ডলারে নেমেছিল।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দায়িত্ব নেওয়ার দুই সপ্তাহের মাথায় কানাডা, মেক্সিকো ও চীন থেকে পণ্য আমদানিতে বাড়তি শুল্ক আরোপ করায় বাজারটি নিয়ে নতুন করে সম্ভাবনার কথা বলেন বাংলাদেশে তৈরি পোশাকশিল্পের উদ্যোক্তারা। তারা বলছেন, চীনা পণ্যে অতিরিক্ত ১০ শতাংশ শুল্ক বসানো হয়েছে। এতে চীন থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলো ক্রয়াদেশ স্থানান্তর করবে। ফলে বাড়তি ক্রয়াদেশ পাওয়ার সুযোগ তৈরি হবে বাংলাদেশের জন্য।
এমনকি বিনিয়োগকারীরা চীন থেকে কারখানা সরিয়ে এখন অন্য দেশে নিতে আগ্রহী হতে পারেন। বিনিয়োগের সেই সুযোগ বাংলাদেশও নিতে পারে। অবশ্য বর্তমানে পোশাক রপ্তানিতে যে প্রবৃদ্ধি, তা মূলত দেশটির অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ানোয় বাড়তি ক্রয়াদেশের প্রভাব বলে জানান পোশাকশিল্পের উদ্যোক্তারা।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
পাচারের টাকা ফেরত দিতে অনেকেই অফার করেছে: আনিসুজ্জামান

পাচার হওয়া টাকা ফেরত আনা সম্ভব জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আনিসুজ্জামান চৌধুরী বলেছেন, অনেকেই পাচার হওয়া টাকা ফেরত দেওয়ার বিষয়ে অফার করেছেন।
মঙ্গলবার (১১ মার্চ) সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ে প্রথম কর্মদিবসে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
পাচার হওয়ার টাকা ফেরত আনা সম্ভব কি না এমন প্রশ্নে আনিসুজ্জামান চৌধুরী বলেন, পাচার হওয়া টাকা ফেরত আনা সম্ভব। আমাদের সবচেয়ে বড় সম্পদ হচ্ছে প্রধান উপদেষ্টা। যেসব স্থানে টাকা গিয়েছে এতে সেসব দেশ উপকারভোগী। আন্তর্জাতিক আইন আছে যেহেতু তারা উপকারভোগী তাই সহজে তারা এটা ছাড়বে না। কিন্তু প্রধান উপদেষ্টাকে উনারাই অফার করছেন। এ বিষয়ে সহযোগিতা করার জন্য। আমরা অতিদ্রুত কাজ করছি। আশা করছি আমরা সফল হবো।
কারা অফার করেছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা বলা সম্ভব না। এগুলো বললে কাজে সমস্যা হবে। কিছুতো গোপনীয়তা মানতে হবে। যারা টাকা নিয়ে গেছে তারাতো বসে নেই। এ জন্যই একটা গোপনীয়তা রক্ষা করতে হবে। এরমধ্যে যতটুকু বলা সম্ভব সেটুকুই বলছি। এর বেশি বললে আমাদের কাজটা বন্ধ হয়ে যাবে।
এখানে আইনের ইস্যু আছে, প্রপার আইন করতে হবে সংশ্লিষ্ট দেশের সঙ্গে মিল রেখে। আপনি ধরলেই তো টাকা ফেরত আনতে পারবেন না। এখানে কতগুলো মাধ্যম আছে। এসব বিষয়ে আমরা আন্তর্জাতিক সহযোগিতা পাচ্ছি বিশ্বব্যাংকসহ অনেকেই কাজ করছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
পাচার হওয়া কয়েকশ কোটি ডলার এ বছরের মধ্যে ফিরিয়ে আনা সম্ভব: অর্থ উপদেষ্টা

অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, দেশ থেকে পাচার হওয়া কয়েকশ কোটি ডলার এ বছরের মধ্যে ফিরিয়ে আনা সম্ভব।
মঙ্গলবার (১১ মার্চ) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
পাচার করা অর্থ ফেরত আনার পদক্ষেপের বিষয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আমরা চেষ্টা করছি, বিশাল অংকের টাকা। সব টাকা আনতে সময় লাগবে। তাদের আইডেন্টিফাই (শনাক্ত) করতে হবে, পাচারের সঙ্গে জড়িতরা বিভিন্ন দেশে আছেন, এখানে কতগুলো আইনের পদক্ষেপও রয়েছে, আবার সে আইনের পদক্ষেপগুলো বিদেশের সঙ্গেও জড়িত। অনেক বিষয় মাথায় রেখে কাজ করতে হচ্ছে।
তিনি বলেন, আমরা চেষ্টা যত তাড়াতাড়ি শুরু করতে পারি। এ জন্য আইনের কিছু অ্যাগ্রিমেন্ট করা বিদেশের সঙ্গে, এগুলো করব। নেক্সট মাসে আর একটু বেটার জানতে পারবেন।
আপনারা কয়েকশ কোটি ডলার ফেরত আনার চেষ্টা করছেন। এটা কি সম্ভব? এমন প্রশ্নের উত্তরে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, হ্যাঁ এটা সম্ভব। অনেক সময় দেখা যায় ১১-১২ জন দিয়েছে, ২০০ কোটি টাকার ওপরে অনেকের আইডেন্টিফাই করা হয়েছে। সব মিলিয়ে হয়তো আমরা আনতে পারব।
নতুন টাকা বাতিল করার বিষয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে তার কোনো উত্তর দেননি অর্থ উপদেষ্টা।