জাতীয়
ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে আ.লীগ দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে: প্রধানমন্ত্রী

দেশের জনগণকে সুন্দর ও উন্নত জীবন দিতে সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে তাঁর দল দেশকে সমৃদ্ধির পথে নিয়ে যাবে বলে অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘প্রতিবার নির্বাচনের সময় চক্রান্ত হয়, সেটা মোকাবেলা করে আমরা বেরিয়ে আসি। আমাদের তা ধরে রাখতে হবে। বাংলাদেশের মানুষ রক্ত দিয়ে যে অধিকারগুলো আদায় করেছিল, সেটা আমরা সমুন্নত করতে পেরেছি। কিন্তু আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শুক্রবার সকালে তাঁর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে তাঁকে গণভবনে শুভেচ্ছা জানাতে আসা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে এ কথা বলেন।
’৭৫ এর ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর ১৯৮১ সালের ১৭ মে দীর্ঘ প্রবাস জীবন কাটাতে বাধ্য হওয়া শেখ হাসিনা এক রকম জোরকরেই দেশে ফিরে আসেন। এরআগে তাঁর অনুপস্থিতিতেই তাঁকে সর্বস্মতিক্রমে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। এদিন বিকেল সাড়ে ৪টায় ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে তিনি ভারতের রাজধানী দিল্লী থেকে কোলকাতা হয়ে তৎকালীন ঢাকা কুর্মিটোলা বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান। ঝড়-ঝাঞ্ঝা বিক্ষুদ্ধ সেই দিনে বৈরি আবহাওয়া উপেক্ষা করে লাখ লাখ জনতা তাঁকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানায়।
তিনি যখন দেশে ফেরেন তখন যুদ্ধাপরাধি এবং জাতির পিতার হত্যাকারিরা ক্ষমতায় ছিল। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তাঁর পাশে ছিল বাংলাদেশের জনগণ। তিনি জানতেন তাঁকেও তাঁর বাবা-মা ও পরিবারের সদস্যদের ভাগ্যবরণ করতে হতে পারে। কিন্তু দেশবাসী ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের প্রতি ছিল তাঁর আস্থা।
শেখ হাসিনা বলেন ‘আমি আমার বাবার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলবো, আমার সব শক্তি-সাহস মা-বাবার কাছ থেকে পেয়েছি।’ তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার সময় এত বড় সংগঠন চালানোর অভিজ্ঞতা তাঁর ছিল না। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ এখন দেশের সবচেয়ে শক্তিশালী, বৃহত্তম এবং জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য সংগঠনে পরিণত হয়েছে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ পঞ্চম মেয়াদে ক্ষমতায় এসেছে।
আজকের বাংলাদেশ বদলে যাওয়া বাংলাদেশ উল্লেখ করে টানা চারবারের প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষের যদি রাজনৈতিক চিন্তা-চেতনা না থাকে, দেশপ্রেম না থাকে, সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় না থাকে, তাহলে সেটা এগুতো পারে না। সামনে আরও বদলাতে হবে। কারণ, আমার বাবার একটাই স্বপ্ন ছিল দেশটাকে গড়ার। আমাদের পরিকল্পনা সেটাই আছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ’৭৫ এর পর যারা ক্ষমতায় ছিল তারা নিজেদের ক্ষমতা কুক্ষিগত করার চেষ্টা করেছিল। দেশের কোন উন্নতি করতে পারেনি। তারা বরং শত শত সামরিক কর্মকর্তাকে হত্যা করেছে এবং ক্ষমতায় থাকার জন্য আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের অমানবিক নির্যাতন ও হত্যা করেছে। এ সময় প্রতিরাতে কারফিউ বলবৎ রাখার জিয়াউর রহমানের কারফিউ গণতন্ত্রের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে আওয়ামী লীগের অগনিত নেতা-কর্মীর গণতন্ত্র পুন:প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম ও আত্মাহুতির কথাও তিনি শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর উন্নয়নের মূলমন্ত্র তুলে ধরে বলেন, কী পেলাম, না পেলাম সেই চিন্তা করেনি। ভবিষ্যত কী সেই চিন্তাও করি না। চিন্তা করি দেশের মানুষের ভবিষ্যত যেন আরও সুন্দরভাবে গড়ে তুলে দিয়ে যাব। সেটাই আমাদের লক্ষ্য।
দলীয় নেতাদের আওয়ামী লীগ প্রধান বলেন, এটাই মনে রাখবেন একটা দল করি শুধু নেতা হওয়ার জন্য নয়, মানুষের জন্য কতটুকু করতে পারলাম, কী দিতে পারলাম, কী দিয়ে গেলাম। এটাই রাজনৈতিক মানুষের জীবনের বড় কথা। এই কথা মাথায় রাখতে পারলে দেশের মানুষের জন্য অনেক কিছুই করা যেতে পারে।
সংগঠনকে শক্তিশালী করার তাগিদ দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আর যেন যুদ্ধাপরাধী, খুনিরা বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে না পারে এই ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে, বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতে হবে।
‘দেশের মানুষ রক্ত দিয়ে যে অধিকার পেয়েছিল, তা তারা পুন:প্রতিষ্ঠা করেছেন উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, দেশের ইতিহাস বিকৃত করার চেষ্টা হয়েছিল এবং বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ প্রচার ও জয় বাংলা স্লোগান এর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। কিন্তু জয়বাংলা শ্লোগান আবার ফিরে এসেছে এবং জাতির পিতা ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ বিশ্ব ঐতিহ্যের প্রামান্য দলিলে যেমন স্থান করে নিয়েছে। তেমনি অমর একুশে ফেব্রুয়ারি ও আন্তর্জাতিক মাতৃভভাষা দিবসের স্বীকৃতি অর্জন করেছে।
এর আগে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা তাদের দলীয় প্রধান শেখ হাসিনাকে ৪৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে গণভবনে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয়
‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচিতে যেভাবে আসবেন

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে প্রতিদিনই বাড়ছে ইসরায়েলি হামলার তীব্রতা। এতে দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে মৃত্যুর মিছিল। এ অবস্থার প্রতিবাদে ও ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে আজ বিকেলে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচি পালন করা হবে। এ কর্মসূচিতে আগতদের উদ্দেশ্যে পথ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার (১১ এপ্রিল) রাতে ‘প্যালেস্টাইন সলিডারিটি মুভমেন্ট বাংলাদেশ’ নামে ফেসবুক পেজে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দেওয়া হয়।
এতে বলা হয়, দুপুর ২টায় ৫টি পয়েন্ট থেকে মার্চ শুরু করে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গণজমায়েত হবে বিকেল ৩টায়।
‘মার্চ ফর গাজা’র পথ নির্দেশনা
স্টার্টিং পয়েন্ট ১. বাংলামোটর প্রবেশ পথ: সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের রমনা গেইট (শাহবাগ হয়ে)
স্টার্টিং পয়েন্ট ২. কাকরাইল মোড় প্রবেশপথ: সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট গেইট (মৎস্য ভবন হয়ে)
স্টার্টিং পয়েন্ট ৩. জিরো পয়েন্ট প্রবেশ পথ: সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের টি.এস.সি গেইট (দোয়েল চত্বর হয়ে)
স্টার্টিং পয়েন্ট ৪. বখশীবাজার মোড় প্রবেশপথ: সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের টি.এস.সি গেইট (শহীদ মিনার হয়ে)
স্টার্টিং পয়েন্ট ৫. নীলক্ষেত মোড় প্রবেশ পথ: সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের টি.এস.সি গেইট (ভিসি চত্বর হয়ে)
বিশেষ নির্দেশনা
১. টিএসসি মেট্রো স্টেশন আজ বন্ধ থাকবে।
২. সব পরীক্ষার্থীদের জন্য সব রাস্তা বিশেষভাবে উন্মুক্ত থাকবে।পরীক্ষার্থীদের পর্যাপ্ত সময় হাতে নিয়ে বাসা থেকে বের হওয়া এবং যেকোনো প্রয়োজনে স্বেচ্ছাসেবকদের সহযোগিতা নেওয়ার অনুরোধ রইলো।
সাধারণ দিক নির্দেশনা
১. অংশগ্রহণকারীরা নিজ দায়িত্বে ব্যক্তিগত প্রয়োজনীয় সামগ্রী যেমন পানি, ছাতা, মাস্ক সঙ্গে রাখবেন এবং পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখবেন।
২. যেকোনো পরিস্থিতিতে ধৈর্য ও শৃঙ্খলা বজায় রাখবেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবেন।
৩. রাজনৈতিক প্রতীকবিহীন, সৃজনশীল ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড ব্যবহার করুন। শুধুমাত্র বাংলাদেশ ও ফিলিস্তিনের পতাকা বহনের মাধ্যমে সংহতি প্রকাশ করতে অনুরোধ করা হচ্ছে।
৪. দুষ্কৃতিকারীদের অপতৎপরতা প্রতিহত করতে সক্রিয় থাকুন। প্রতিরোধ গঠনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা গ্রহণ করুন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতায় সাহসী উদ্যোগ টক হোপ’র

বর্তমান সময়ে তরুণদের মধ্যে মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা, বিশেষ করে ডিপ্রেশন ও আত্মহত্যার প্রবণতা, একটি গুরুতর সামাজিক সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে। বিভিন্ন গবেষণা এবং পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বাংলাদেশে তরুণদের মধ্যে মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার হার দিন দিন বাড়ছে। এই প্রেক্ষাপটে, তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে ঢাকা ভিত্তিক সংগঠন ‘টক হোপ’।
২০২৪ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারী প্রতিষ্ঠিত হয় টক হোপ। সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা মো. ফয়সাল কানন। তার সহযোগীরা তরুণদের মধ্যে মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন। তারা দেখেন যে তরুণরা মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে, কিন্তু তাদের কাছে সাহায্যের জন্য সঠিক পথ নির্দেশনা নেই। এই সমস্যা সমাধানে তারা একটি উদ্যোগ গ্রহণ করেন, যা আজকের দিনে তরুণদের জন্য একটি আশার আলো হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এরই মধ্যে সংগঠনটি ‘ওয়ার্কশপ অন টক হোপ’ কর্মশালার আয়োজন করেছে। এতে অংশগ্রহণ করেছে শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী।
সংগঠনটি ইতিমধ্যে দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৩০ হাজারের বেশি তরুণ-তরুণীর মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করেছে। এই সেশনে মানসিক স্বাস্থ্য, ডিপ্রেশন, উদ্বেগ এবং আত্মহত্যার প্রবণতা নিয়ে আলোচনা করা হয়। বিশেষজ্ঞরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করেন, তাদের প্রশ্নের উত্তর দেন এবং কিভাবে তারা নিজেদের মানসিক স্বাস্থ্যকে সুরক্ষিত রাখতে পারে সে বিষয়ে পরামর্শ দেন।
এছাড়া ‘টক ফর হোপ’ নামে একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতা বিষয়ক সেশন পরিচালনা করছেন টক হোপ’র চিফ কো-অর্ডিনেটর মো. ফয়সাল কানন।
এছাড়া সংগঠনটির ফেসবুক পেজের মাধ্যমে মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। যেকোনো তরুণ যিনি মানসিক চাপ বা উদ্বেগ অনুভব করছেন, তিনি বিনামূল্যে অনলাইন কাউন্সেলিং নিতে পারেন। এতে করে তারা তাদের সমস্যা শেয়ার করতে পারেন এবং পেশাদার কাউন্সেলরের কাছ থেকে সাহায্য পেতে পারেন।
সংগঠনটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউব প্রভৃতি মাধ্যমে নিয়মিত মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক কনটেন্ট প্রকাশ করছে। এই কনটেন্টগুলোতে তরুণদের জন্য বিভিন্ন টিপস, মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে তথ্য ও সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য ভিডিও তৈরি করা হয়। এতে করে তরুণরা সহজেই তথ্য পেতে পারেন এবং নিজেদের সমস্যা সম্পর্কে সচেতন হতে পারেন।
তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি করে, তাদের মানসিক সুস্থতা নিশ্চিত করাই হচ্ছে তাদের লক্ষ্য। তারা বিশ্বাস করেন যে একটি সুস্থ মনই একটি সফল জীবনের ভিত্তি। এছাড়া একটি সমাজ গঠন করা, যেখানে মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা নিয়ে কোনো কুসংস্কার থাকবে না এবং সবাই মানসিক সুস্থতার গুরুত্ব বুঝবে। তারা চান যে সকল তরুণ যেন নিজেদের সমস্যা নিয়ে খোলামেলা কথা বলতে পারে এবং প্রয়োজন হলে সাহায্য নিতে পারে।
টক হোপের এই উদ্যোগ সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সক্ষম হয়েছে। তারা বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে তরুণদের মধ্যে মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে আলোচনা শুরু করেছে। এখন অনেক তরুণ তাদের সমস্যা নিয়ে আলোচনা করতে আগ্রহী হচ্ছেন এবং সাহায্য নিচ্ছেন।
সংগঠনটির ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে:
• বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে কার্যক্রম: বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক সেমিনার ও কর্মশালা আয়োজন করা।
• মোবাইল অ্যাপ এবং ২৪/৭ কল সেন্টার: তরুণদের জন্য একটি মোবাইল অ্যাপ তৈরি করা যেখানে তারা সহজেই তথ্য পেতে পারবেন এবং কল সেন্টারে ফ্রী তে কাউন্সেলিং সেবা নিতে পারবেন।
• সম্প্রদায় ভিত্তিক প্রোগ্রাম: বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে স্থানীয় পর্যায়ে কর্মসূচি আয়োজন।
মানসিক স্বাস্থ্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যা তরুণদের জীবনযাত্রাকে প্রভাবিত করে। টক হোপের মতো সংগঠনগুলো তরুণদের জন্য একটি নিরাপদ স্থান তৈরি করছে যেখানে তারা নিজেদের সমস্যা নিয়ে কথা বলতে পারেন এবং সহায়তা পেতে পারেন। তাদের উদ্যোগ সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সাহায্য করছে এবং আশা করা যায় যে ভবিষ্যতে আরও অনেক তরুণ এই ধরনের সহায়তা পাবে।
অর্থসংবাদ/কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
চারুকলায় শোভাযাত্রার ভাস্কর্যে আগুন

নববর্ষের শোভাযাত্রার জন্য তৈরি করা ভাস্কর্যে আগুন দেওয়া হয়েছে। তবে কে বা কারা এই আগুন দিয়েছে তা এখনো শনাক্ত করতে পারেনি আয়োজকরা। আজ শনিবার (১২ মার্চ) ভোর ৫টার দিকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমেদ জানান, আমরা ধারণা করছি পৌনে ৫টা থেকে ৫টার মধ্যে আগুন লেগেছে। তবে কীভাবে এই আগুন লেগেছে তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
সরেজমিনে দেখা গেছে, আগুনে ফ্যাসিবাদ ও কবুতরের যে মোটিভ তৈরি করা হচ্ছিল সেগুলো পুড়ে গেছে। বিশেষ করে ফ্যাসিবাদের প্রতীকটি পুরোপুরি পুড়ে গেলেও কবুতরের প্রতীকের অর্ধেক অংশ পুড়ে গেছে। কাপড় দিয়ে ঘেরা অংশটিরও একটি বড় অংশ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
আগুনের সূত্রপাত জানতে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ চেক করার কার্যক্রম চলছে বলে জানা যায়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
‘মার্চ ফর গাজা’র জন্য প্রস্তুত সোহরাওয়ার্দী, লাখো মানুষের ঢলের অপেক্ষা

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে প্রতিদিনই বাড়ছে ইসরায়েলি হামলার তীব্রতা। এতে দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে মৃত্যুর মিছিল। এ অবস্থার প্রতিবাদে ও ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে আজ ‘মার্চ ফর গাজা’ শিরোনামে জমায়েতের ডাক দিয়েছে ‘প্যালেস্টাইন সলিডারিটি মুভমেন্ট বাংলাদেশ’ নামে একটি প্ল্যাটফর্ম।
শনিবার (১২ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শুরু হবে এই গণজমায়াতের আনুষ্ঠানিকতা। এতে সভাপতিত্ব করবেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব মাওলানা আব্দুল মালেক।
আয়োজকরা জানিয়েছেন, নিরীহ ফিলিস্তিনের মানুষের পাশে দাঁড়াতে ও বিশ্ববাসীকে সোচ্চার করার উদ্দেশ্যেই এই আয়োজন করা হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, সারা দেশ থেকে কয়েক লাখ মানুষ এ প্রতিবাদ কর্মসূচিতে অংশ নেবে।
জানা গেছে, ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচিতে সামিল হচ্ছে বিএনপি, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), জামায়াতে ইসলাম, হেফাজতে ইসলামসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন।
এরই মধ্যে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্টেজ নির্মাণ, ওয়াচ টাওয়ার স্থাপন এবং জেনারেটর বসানোর কাজ শেষ পর্যায়ে। প্রতিবাদের আওয়াজ সবার কানে পৌঁছাতে উদ্যানজুড়ে লাগানো হয়েছে ২০০টি মাইক।
এদিকে এই কর্মসূচি শুরু হওয়ার আগেই ব্যাপক সাড়া ফেলেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। আলেম-ওলামা, ইসলামিক স্কলার ও সেলিব্রেটিরা স্বতন্ত্রভাবে ভিডিও বার্তা দিয়ে সর্বস্তরের মানুষকে এতে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছেন। তাদের সেই আহ্বানে সাড়া দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লাখ লাখ মানুষ এই কর্মসূচির বার্তা ছড়িয়ে দিচ্ছেন এবং নিজেরা তাতে অংশ নেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।
অংশগ্রহণকারীদের জন্য পাঁচ রুট নির্ধারণ
ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত এই সমাবেশে অংশগ্রহণকারীদের জন্য পাঁচটি রুট নির্ধারণ করা হয়েছে। দুপুর ২টায় ঢাকার পাঁচটি পয়েন্ট থেকে মার্চ শুরু করে বেলা ৩টায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গণজমায়েত হবে।
স্টার্টিং পয়েন্ট ১। বাংলামোটর। প্রবেশ পথ- সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের রমনা গেইট (শাহবাগ হয়ে)
স্টার্টিং পয়েন্ট ২। কাকরাইল মোড়। প্রবেশপথ- সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট গেইট (মৎস্য ভবন হয়ে)
স্টার্টিং পয়েন্ট ৩। জিরো পয়েন্ট। প্রবেশ পথ- সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের টি.এস.সি গেইট (দোয়েল চত্বর হয়ে)
স্টার্টিং পয়েন্ট ৪। বকশিবাজার মোড়। প্রবেশপথ- সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের টি.এস.সি গেইট (শহীদ মিনার হয়ে)
স্টার্টিং পয়েন্ট ৫। নীলক্ষেত মোড়। প্রবেশ পথ- সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের টি এস সি গেইট (ভিসি চত্বর হয়ে)
বিশেষ নির্দেশনাসমূহ
টিএসসি মেট্রো স্টেশন বন্ধ থাকবে। সব পরীক্ষার্থীদের জন্য সব রাস্তা বিশেষভাবে উন্মুক্ত থাকবে। পরীক্ষার্থীদেরকে পর্যাপ্ত সময় হাতে নিয়ে বাসা থেকে বের হওয়া এবং যেকোনো প্রয়োজনে স্বেচ্ছাসেবকদের সহযোগিতা নেয়ার অনুরোধ রইলো।
অংশগ্রহণকারীদের জন্য দিকনির্দেশনা
১. অংশগ্রহণকারীরা নিজ দায়িত্বে ব্যক্তিগত প্রয়োজনীয় সামগ্রী যেমন পানি, ছাতা, মাস্ক সঙ্গে রাখবেন এবং পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখবেন।
২. যেকোনো পরিস্থিতিতে ধৈর্য ও শৃঙ্খলা বজায় রাখবেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবেন।
৩. রাজনৈতিক প্রতীকবিহীন, সৃজনশীল ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড ব্যবহার করুন। শুধুমাত্র বাংলাদেশ ও ফিলিস্তিনের পতাকা বহনের মাধ্যমে সংহতি প্রকাশ করতে অনুরোধ করা হচ্ছে।
৪. দুষ্কৃতকারীদের অপতৎপরতা প্রতিহত করতে সক্রিয় থাকুন। প্রতিরোধ গঠনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা গ্রহণ করুন।
‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচি কিছুটা পরিবর্তন
‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচিতে কিছুটা পরিবর্তন আনা হয়েছে। শনিবার শাহবাগ থেকে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ পর্যন্ত এই ‘মার্চ’ হওয়ার কথা ছিল। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, শনিবার বেলা তিনটায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গণজমায়েত করা হবে। মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ অভিমুখে যাত্রা করা হবে না।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প

রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মৃদু ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। তবে, তাৎক্ষণিকভাবে কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
শুক্রবার বিকেল ৪টা ৫২ মিনিটের দিকে এ কম্পন অনুভূত হয়।
ইউরোপিয়ান-মেডিটেরানিয়ান সিসমোলজিক্যাল সেন্টার (ইএমএসসি) জানিয়েছে, রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৪। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে।
ভূমিকম্পটির কেন্দ্র ছিল বাংলাদেশের কুমিল্লা শহর থেকে প্রায় ৬৮ কিলোমিটার উত্তর এবং ভারতের আগরতলা শহর থেকে ২৬ কিলোমিটার উত্তরে। এর গভীরতা ছিল ১০ কিলোমিটার।
ভূমিকম্পটি স্বল্পস্থায়ী হলেও এর প্রভাবে বিভিন্ন স্থাপনা কেঁপে ওঠে। ফলে, সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ভূমিকম্পের পরপরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের পোস্ট দেখা যায়। অনেকে তাদের অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করেন এবং নিরাপদ থাকার জন্য পরামর্শ দেন।
ভূমিকম্পের পর ফায়ার সার্ভিস ও অন্যান্য জরুরি সেবা প্রদানকারী সংস্থাগুলো সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।