কর্পোরেট সংবাদ
ব্র্যাক ব্যাংকে চাকরির সুযোগ
ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসিতে ‘অ্যাসোসিয়েট ম্যানেজার’ পদে জনবল নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহীরা আগামী ২২ মে পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন।
প্রতিষ্ঠানের নাম: ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি।
বিভাগের নাম: সাইবার থ্রেট ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড এসওসি, ইনফলমেশন সিকিউরিটি
পদের নাম: অ্যাসোসিয়েট ম্যানেজার
পদসংখ্যা: নির্ধারিত নয়
শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্নাতক/স্নাতকোত্তর (ইনফলমেশন সিকিউরিটি/সাইবার সিকিউরিটি/আইটি/সমমান)
অভিজ্ঞতা: ০৫-০৮ বছর
বেতন: আলোচনা সাপেক্ষে
চাকরির ধরন: ফুল টাইম
প্রার্থীর ধরন: নারী-পুরুষ
বয়স: নির্ধারিত নয়
কর্মস্থল: ঢাকা
আবেদনের নিয়ম: আগ্রহীরা BRAC Bank PLC এর মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।
আবেদনের শেষ সময়: ২২ মে ২০২৪

কর্পোরেট সংবাদ
সুপারস্টার গ্রুপের এসএমই’র জন্য অর্থায়ন সুবিধা বৃদ্ধি করবে আইপিডিসি

আইপিডিসি ফাইন্যান্স পিএলসি এবং সুপারস্টার গ্রুপ (এসএসজি) বাংলাদেশ একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে। যার মাধ্যমে সুপারস্টার গ্রুপের আওতাধীন ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের (এসএমই) জন্য অর্থায়ন সুবিধা বৃদ্ধি করবে আইপিডিসি। এতে করে, উদ্যোক্তারা সহজে এসএসজি বিডি’র পণ্য ক্রয় ও সরবরাহ করতে পারবে, যা তাদের ভ্যালু চেইনকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি দেশের এসএমই খাতকে ত্বরান্বিত করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এই অংশীদারিত্বের মাধ্যমে এসএমই উদ্যোক্তারা সহজে মূলধন পাবে, যার ফলে তারা ব্যবসা সম্প্রসারণ, উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি এবং জাতীয় অর্থনীতিতে আরও ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে। সহজ লেনদেন ও ব্যবসায়িক সংযোগ বৃদ্ধির মাধ্যমে টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক উন্নয়ন এগিয়ে নিতে কাজ করছে উভয় প্রতিষ্ঠান।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে আইপিডিসি ফাইন্যান্স পিএলসি’র ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও চিফ অপারেটিং অফিসার মো. আশিক হোসেন বলেন, এসএমই আমাদের অর্থনীতির মেরুদণ্ড আর এই অংশীদারিত্বের মাধ্যমে উদ্যোক্তাদের কল্যাণে প্রয়োজনীয় আর্থিক সরঞ্জাম সরবরাহে আমরা আরও এক ধাপ এগিয়ে যাচ্ছি। এই চুক্তি ভ্যালু চেইনকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি দেশব্যাপি উদ্যোক্তাদের জন্য দীর্ঘমেয়াদি সুযোগও তৈরি করবে।
সুপারস্টার গ্রুপ বাংলাদেশের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মাহবুবুর রহমান বলেন, আমরা বরাবরই শক্তিশালী ব্যবসায়িক নেটওয়ার্ক তৈরি ও পরিচালন দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে এসএমই খাতকে উন্নত করতে কাজ করেছি। আইপিডিসি’র সাথে অংশীদারিত্ব আমাদের আওতাধীন উদ্যোক্তাদের সহজ অর্থায়ন সুবিধা প্রদান করবে, ফলে তারা আরও দ্রুত ও সহজে ব্যবসা সম্প্রসারণ এবং উন্নত সেবা প্রদান করতে পারবে।
এই সমঝোতা স্মারক এসএমই খাতের প্রবৃদ্ধি, উদ্ভাবন এবং প্রতিযোগিতামূলক সক্ষমতা বৃদ্ধিতে আইপিডিসি ফাইন্যান্স পিএলসি এবং সুপারস্টার গ্রুপ-এর যৌথ প্রচেষ্টাকে তুলে ধরছে। এর মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে এসএমই খাতের ভূমিকা আরও দৃশ্যমান হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
কর্পোরেট সংবাদ
প্রাইম ব্যাংকের সঙ্গে সিক্রেট রেসিপি ও ফেয়ার ইলেকট্রনিক্সের চুক্তি

প্রাইম ব্যাংক পিএলসি সিক্রেট রেসিপি ও ফেয়ার ইলেকট্রনিক্সের সঙ্গে একটি কৌশলগত অংশীদারিত্ব চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। সম্প্রতি রাজধানীর গুলশানে ব্যাংকের কর্পোরেট কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে উভয় প্রতিষ্ঠান চুক্তিতে স্বাক্ষর করে।
এই অংশীদারিত্বের আওতায় প্রাইম ব্যাংকের গ্রাহকরা এখন থেকে সিক্রেট রেসিপির সব আউটলেটে বিশেষ অফার বিভিন্ন খাবারের স্বাদ নিতে পারবেন। পাশাপাশি, দেশের বিভিন্ন স্থানে অবস্থিত ফেয়ার ইলেকট্রনিক্স আউটলেটে হাইসেন্স ব্র্যান্ডের পণ্যে আকর্ষণীয় অফার উপভোগের সুযোগ পাবেন গ্রাহকরা।
চুক্তিটি স্বাক্ষর করেন প্রাইম ব্যাংক পিএলসির সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও হেড অব ব্রাঞ্চ ডিস্ট্রিবিউশন মামুর আহমেদ এবং ফেয়ার গ্রুপের হেড অব ট্রেজারি মো. জাহিদুল কবীর। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রাইম ব্যাংকের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও হেড অব কার্ডস অ্যান্ড রিটেইল অ্যাসেট জোয়ার্দার তানভীর ফয়সাল; ফেয়ার গ্রুপের হেড অব মার্কেটিং জে এম তসলিম কবীর এবং পেপারনি লিমিটেডের হেড অব বিজনেস কে.এস.এম. মহিতুল বারী।
এই চুক্তি প্রায়োরিটি গ্রাহকদের উন্নত লাইফস্টাইল সুবিধা ও কাস্টমাইজড অভিজ্ঞতা প্রদানে প্রইম ব্যাংকের প্রতিশ্রুতির পতিফলন, যা তাদের সামগ্রীক ব্যাংকিং অভিজ্ঞতা বাড়াবে।
কর্পোরেট সংবাদ
যুক্তরাজ্যে সাইফুজ্জামানের সম্পদ থেকে ৩৫ কোটি ডলার ফেরত চাইলো ইউসিবি

সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের মালিকানায় থাকা যুক্তরাজ্যে শতাধিক সম্পত্তি বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে প্রশাসক প্রতিষ্ঠান গ্র্যান্ট থর্নটন। বাংলাদেশ সরকার ও দুদকের অনুরোধে যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি (এনসিএ) তাঁর এসব সম্পদ জব্দ করে আদেশ জারি করে।
গত সোমবার টেলিগ্রাফে প্রকাশিত এক খবরে বলা হয়েছে, বিক্রি হওয়া সম্পত্তির অর্থ দিয়ে মূলত দুবাই ও সিঙ্গাপুরভিত্তিক অর্থায়নকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর ঋণ শোধ করা হবে। ঋণদাতাদের তালিকায় রয়েছে সিঙ্গাপুরের ডিবিএস ব্যাংক এবং ব্রিটিশ আরব কমার্শিয়াল ব্যাংক।
টেলিগ্রাফের প্রতিবেদন প্রকাশের পর গতকাল বাংলাদেশের ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক (ইউসিবি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, যুক্তরাজ্যের কোম্পানিজ হাউসে তারা সাইফুজ্জামান চৌধুরীর সম্পদ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ২৫ কোটি ডলার পাউন্ড (প্রায় ৩৫ কোটি ডলার) দাবি করেছে। টেলিগ্রাফের খবরেও তার উল্লেখ আছে। ইউসিবি থেকে পাচার হওয়া অর্থ দিয়ে যুক্তরাজ্যের লন্ডন ও দুবাইতে সম্পদ কেনা হয়েছে বলে ব্যাংকটি দাবি করেছে। ব্যাংকের অডিটে এ সম্পর্কিত প্রমাণ রয়েছে।
সাইফুজ্জামান চৌধুরী গত আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রিসভায় যোগ দেওয়ার আগে ইউসিবির চেয়ারম্যান ছিলেন। বিতর্কের মুখে মন্ত্রিত্ব ছাড়ার সময় তাঁর স্ত্রী রুকমিলা জামান ব্যাংকটির চেয়ারম্যান ছিলেন। স্ত্রী রুকমিলা চেয়ারম্যান হলেও আদতে নেপথ্যে থেকে ব্যাংকটি চালাতেন সাইফুজ্জামান চৌধুরী।
টেলিগ্রাফের প্রতিবেদন অনুসারে, যুক্তরাজ্যে সাইফুজ্জামান চৌধুরীর সম্পত্তির মূল্য প্রায় ১৭ কোটি পাউন্ড। যুক্তরাজ্যে বিভিন্ন কোম্পানির অধীনে তিন শতাধিক ফ্ল্যাট ও হাউজিং ব্লক রয়েছে। এসব সম্পদ বিক্রি করে প্রাপ্ত অর্থ ঋণ পরিশোধে ব্যবহার করা হবে।
গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে ইউসিবি, দুদক ও বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুসন্ধানে সাবেক পরিচালনা পর্ষদের বিরুদ্ধে বড় অঙ্কের অর্থ পাচার, বেনামি কোম্পানির মাধ্যমে ঋণ অনুমোদন এবং আত্মসাতের প্রমাণ মেলে। সেই অর্থ দেশের বাইরে পাচার করে লন্ডন ও দুবাইয়ে বিলাসবহুল সম্পত্তি কেনার অভিযোগ রয়েছে।
গতকাল পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ইউসিবি জানিয়েছে, ব্যাংকটির নিজস্ব ফরেনসিক অডিট, দুদক ও বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুসন্ধানে সাবেক পরিচালনা পর্ষদের বিরুদ্ধে ব্যাপক আর্থিক অনিয়ম পাওয়া গেছে। এর মধ্যে বেনামি, কাগুজে কোম্পানির মাধ্যমে ঋণ অনুমোদন করিয়ে নিজেদের অ্যাকাউন্টে টাকা সরানোর প্রমাণ মিলেছে। বেনামি এসব ঋণের অর্থ দেশের বাইরে পাচার করে লন্ডন-দুবাইয়ে বাড়ি কেনা হয়েছে বলে অভিযোগ আছে। ইউসিবি সেই অর্থই ফেরত চেয়ে আবেদন করেছে।
এরই মধ্যে গত জুলাই মাসে দুদকের দায়ের করা মামলায় আদালতের নির্দেশে সাবেক ভূমিমন্ত্রী ও সাবেক ইউসিবি চেয়ারম্যান সাইফুজ্জামান চৌধুরী, তাঁর স্ত্রী রুকমিলা জামানসহ সাত সাবেক পরিচালকের মোট ৫৭০ কোটি টাকার শেয়ার জব্দ করা হয়েছে। এ তালিকায় বশির আহমেদ, আনিসুজ্জামান চৌধুরী, এম এ সবুর, বজল আহমেদ, নুরুল ইসলাম চৌধুরী এবং রুকমিলা জামানও রয়েছেন।
ইউসিবি আরও জানিয়েছে, শেয়ার বাজেয়াপ্ত হওয়া ও ব্যাংকটিকে দুর্নীতিতে নিমজ্জিত করা কয়েকজন সাবেক পরিচালক আদালতে আবেদন করে ব্যাংকের বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) বন্ধের চেষ্টা চালিয়েছিলেন। অবশ্য উচ্চ আদালতের নির্দেশে সেই আবেদন খারিজ হয়ে যায়। এজিএম স্থগিত করতে চাওয়া সাবেক পরিচালকদের মধ্যে আছেন সাবেক ভূমিমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ বশির আহমেদ, শওকত আজিজ রাসেল এবং এম এ সবুর। ইউসিবি জানায়, বশির আহমেদ একাধিক অর্থ পাচার মামলায় অভিযুক্ত, তাঁর বিদেশ ভ্রমণে সরকারি নিষেধাজ্ঞা আছে। এ ছাড়া শওকত আজিজ রাসেলের ঋণের পরিমাণ ৬০০ কোটি টাকা এবং আরও প্রায় এক হাজার ৯০০ কোটি টাকার ঋণ আদালতের স্থগিতাশের কারণে ‘খেলাপি’ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা যাচ্ছে না।
কর্পোরেট সংবাদ
ভিসা এক্সিলেন্স ইন ওয়ালেট পার্টনারশিপ অ্যাওয়ার্ড পেলো বিকাশ

পার্টনারদের নিয়ে ডিজিটাল ওয়ালেট ইকোসিস্টেমকে শক্তিশালী করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখায় ভিসা ‘এক্সিলেন্স ইন ওয়ালেট পার্টনারশিপ’ অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে বিকাশ।
সম্প্রতি রাজধানীর একটি হোটেলে ভিসা লিডারশিপ কনক্লেভ বাংলাদেশ-২০২৫ আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিকাশের প্রতিষ্ঠাতা ও চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার কামাল কাদীরের হাতে পুরস্কার তুলে দেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন ভিসা’র গ্রুপ কান্ট্রি ডিরেক্টর (ভারত ও সাউথ এশিয়া) সন্দীপ ঘোষ ও কান্ট্রি ম্যানেজার সাব্বির আহমেদ এবং বিকাশ এর চিফ কমার্শিয়াল অফিসার আলী আহম্মেদ।
উল্লেখ্য, বিকাশের ওয়ালেট পার্টনারশিপের মাধ্যমে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, কার্ড সেবাদানকারী পেমেন্ট সিস্টেম, আন্তর্জাতিক রেমিট্যান্স সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান, ই-কমার্স, রাইড-শেয়ারিং, ফুড ডেলিভারি সেবাসহ নানা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত হয়ে গ্রাহকদের জন্য সহজ, নিরাপদ ও দ্রুত লেনদেনের সুযোগ তৈরি করেছে। পার্টনারশিপ ও কোলাবোরেশন এর মাধ্যমে আরো বৃহৎ গ্রাহকগোষ্ঠীকে বৈচিত্র্যপূর্ণ ডিজিটাল আর্থিক সেবা দিয়ে তাদের দৈনন্দিন লেনদেনে স্বাধীনতা ও সক্ষমতাও এনে দিয়েছে বিকাশসহ সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানসমূহ।
এবছর বিভিন্ন খাতে অসাধারণ কাজের স্বীকৃতি হিসেবে আন্তর্জাতিক পেমেন্ট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান ভিসা ব্যাংক, ফিনটেক ও রিটেইল খাতের ১৭টি প্রতিষ্ঠানকে ৩০টি পুরস্কারে সম্মানিত করে। দেশের ডিজিটাল অর্থনীতিতে ভালো পারফর্ম্যান্সের স্বীকৃতিস্বরূপ ফিনটেক, মার্চেন্ট এক্সেপ্টেন্স, ই-কমার্স, ক্রস-বর্ডার পেমেন্টস, ভিসা ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড অপারেশনস এবং কমার্শিয়াল কার্ডস ক্যাটাগরিতে এই পুরস্কারগুলো প্রদান করা হয়।
কর্পোরেট সংবাদ
নতুন কর্মীদের নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংকের ফিল্ড ভিজিট আয়োজন

বিশ্বের সর্ববৃহৎ এনজিও ব্র্যাকের সহযোগিতায় ব্র্যাক ব্যাংক একটি ব্যতিক্রমী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এই উদ্যোগের আওতায় ব্র্যাক ব্যাংকে নিয়োগপ্রাপ্ত নতুন কর্মীদের ব্র্যাকের মূল্যবোধের সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে ফিল্ড ভিজিটের আয়োজন করা হয়। এই উদ্যোগের ফলে ব্যাংকটির নতুন কর্মীরা দেশের বিভিন্ন গ্রামীণ অঞ্চলে ব্র্যাকের পরিচালিত কমিউনিটি-ভিত্তিক কর্মসূচির সঙ্গে যুক্ত হওয়ার সুযোগ পান।
বর্তমানে প্রতি মাসে নতুন কর্মীদের নিয়ে দুটি করে এক্সপোজার ভিজিটের আয়োজন করা হচ্ছে, যেখানে প্রতি মাসে ৮০ জন করে বছরে প্রায় ১ হাজার কর্মী অংশগ্রহণের সুযোগ পাচ্ছেন। এছাড়াও, প্রতি বছর দুবার করে লিডারশিপ টিমের জন্যও এই ভিজিটের আয়োজন করা হয়। এমন ভিজিটের মাধ্যমে নতুন কর্মীরা ব্র্যাকের সমন্বিত উন্নয়ন কৌশল সম্পর্কে জানার সুযোগ পান।
এই উদ্যোগটির উদ্দেশ্য হলো, ব্র্যাক ও ব্র্যাক ব্যাংকের মাঝে সেতুবন্ধনকারী প্রতিষ্ঠাকালীন ভিশনের সাথে সবাইকে পরিচিত করা। মাঠপর্যায়ের এমন ভিজিটের মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীরা অন্তর্ভুক্তি, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, জলবায়ু সহনশীলতা, জীবনমান উন্নয়ন ইত্যাদি বিষয়ে ব্র্যাকের বিভিন্ন কর্মসূচির বাস্তবায়ন সরাসরি দেখার সুযোগ পান।
এসব ভিজিটের মাধ্যমে ব্র্যাক ব্যাংকের কর্মীরা কীভাবে ব্যাংকটির আর্থিক সেবা ব্র্যাকের বৃহত্তর লক্ষ্যের সঙ্গে যুক্ত হয়ে অবহেলিত জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে কাজ করছে, সে বিষয়ে জানতে পারেন। ব্যাংকটির কর্মীরা বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রেক্ষাপটে ব্র্যাকের ভূমিকা সম্পর্কে আরও সুস্পষ্টভাবে জানার সুযোগ পান। বিভিন্ন কমিউনিটির সদস্যদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ ব্যাংকটির মিশনকে আরও মানবিক করে তুলতে সহায়তা করছে, যা দেশে আর্থিক সেবার প্রভাবকে আরও দৃশ্যমান করে তুলতে ভূমিকা রাখছে।
এই ভিজিট কর্মীদের মধ্যে অনুপ্রেরণা জাগিয়ে তোলার পাশাপাশি কর্মক্ষেত্রে মূল্যবোধ, সহানুভূতি ও সামাজিক দায়িত্ববোধের সংস্কৃতি গড়ে তুলতে অবদান রাখছে। প্রতিটি ভিজিট অনেকগুলো ছোট ছোট ভাগে বিভক্ত থাকে, যেখানে রয়েছে পরিচিতিমূলক ব্রিফিং, কর্মসূচি-ভিত্তিক ওরিয়েন্টেশন এবং দুটি ভিন্ন জায়গায় দিনব্যাপী ফিল্ড ভিজিটের অভিজ্ঞতা। ব্র্যাকের সমন্বিত উন্নয়ন মডেল সম্পর্কে জানার মাধ্যমে কর্মীরা ক্রস-সেক্টরাল সল্যুশন সম্পর্কে ধারণা লাভ করেন, যা গ্রাহকদের ব্যাংকিং ও আর্থিক সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে তাঁদের সহায়তা করে।
অনবোর্ডিং প্রক্রিয়ায় মাঠ পর্যায়ের ভিজিট অন্তর্ভুক্ত করার মাধ্যমে ব্র্যাক ব্যাংক একটি মূল্যবোধ-নির্ভর ওয়ার্কফোর্স গঠনের ব্যাপারে ব্যাংকটির প্রতিশ্রুতি আরও জোরদার করেছে। এই উদ্যোগ ব্যাংকটির সেবাগ্রহণকারী গ্রাহকদের সম্পর্কে কর্মীদের ধারণা লাভের সুযোগ প্রদান করে, যা ব্যাংকটির গ্রাহকসেবার উন্নয়নেও সহায়তা করছে। এই উদ্যোগ ব্র্যাক ব্যাংকের ইন্টার্নাল কালচারের উন্নয়নের পাশাপাশি তৃণমূল পর্যায়ের জনগোষ্ঠীকে আর্থিক সেবার সাথে যুক্ত করার একটি কার্যকর মডেল হিসেবে কাজ করছে।
কাফি