ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
একাদশে ভর্তির নীতিমালা প্রকাশ
চলতি বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের কলেজে ভর্তি করার জন্য নীতিমালা প্রকাশ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। বুধবার রাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে এ নীতিমালা জারি করা হয়।
ভর্তির যোগ্যতা ও গ্রুপ নির্বাচন
পূর্ববর্তী তিন বছরে দেশের যে কোনো শিক্ষা বোর্ড এবং বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা নীতিমালার অন্যান্য বিধানাবলি সাপেক্ষে কোন কলেজ/সমমানের প্রতিষ্ঠানে অনলাইনে ভর্তির যোগ্য বিবেচিত হবে। এছাড়া উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উত্তীর্ণসহ অন্যান্য বছরের শিক্ষার্থীরাও ভর্তির জন্য বোর্ডে ম্যানুয়ালি আবেদন করতে পারবে।
বিদেশি কোনো বোর্ড বা অনুরূপ কোন প্রতিষ্ঠান থেকে সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড তার সনদের মান নির্ধারণের পর ভর্তির যোগ্য বিবেচিত হবে। বিজ্ঞান গ্রুপ থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা গ্রুপ এর যে কোনটি; মানবিক গ্রুপ হতে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা গ্রুপ এর যে কোনটি এবং ব্যবসায় শিক্ষা গ্রুপ হতে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিক গ্রুপ এর যে কোনটিতে আবেদন করতে পাবরে।
আর যে কোনো গ্রুপ (বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা) থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী ইসলামী শিক্ষা, গার্হস্থ্য বিজ্ঞান ও সংগীত গ্রুপ এর যে কোনটি; মাদরাস শিক্ষা বোর্ড থেকে বিজ্ঞান গ্রুপে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা গ্রুপ এর যে কোনটি এবং সাধারণ ও মুজাব্বিদ মাহির গ্রুপ থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী বিজ্ঞান গ্রুপ ব্যাতীত যে কোনোটিতে আবেদন করতে পারবে।
কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে এসএসসি (ভোকেশনাল) ও দাখিল (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের যেকোন গ্রুপে ভর্তির আবেদন করতে পারবে।
সেশন চার্জ ও ভর্তি ফি
এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় বাংলা ও ইংরেজি ভার্সনে ৫ হাজার টাকা, মেট্রোপলিটন (ঢাকা ছাড়া) বাংলা ও ইংরেজি ভার্সনে ৩ হাজার টাকা, জেলায় ২ হাজার টাকা এবং উপজেলা ও মফস্বলে দেড় হাজার টাকা।
নন-এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় বাংলা ভার্সনে সাড়ে ৭ হাজার টাকা, ইংরেজি ভার্সনে সাড়ে ৮ হাজার টাকা, মেট্রোপলিটন (ঢাকা ছাড়া) বাংলা ভার্সনে ৫ হাজার টাকা ও ইংরেজি ভার্সনে ৬ হাজার টাকা, জেলায় বাংলা ভার্সনে ৩ হাজার টাকা ও ইংরেজি ভার্সনে আড়াই হাজার টাকা এবং উপজেলা ও মফস্বলে বাংলা ভার্সনে আড়াই হাজার টাকা ও ইংরেজি ভার্সনে ৩ হাজার টাকা।
শিক্ষা বোর্ড শিক্ষার্থীর নিকট থেকে ভর্তির প্রাথমিক নিশ্চায়ন করার সময় রেজিস্ট্রেশন ফি বাবদ ১৪২ টাকা, ক্রীড়া ফি বাবদ ৫০ টাকা, রোভার/রেঞ্জার ফি বাবদ ১৫ টাকা, রেড ক্রিসেন্ট ফি ১৬ টাকা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফি ৭ টাকা, বিএনসিসি ফি ৫ টাকা, শিক্ষক কল্যাণ ফি ও অবসর সুবিধা ভাতা ফি ১০০ টাকাসহ মোট ৩৩৫ টাকা নিতে পারবে।
প্রার্থী নির্বাচনে অনুসরণীয় পদ্ধতি
ভর্তির জন্য কোন বাছাই বা ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে না। কেবল শিক্ষার্থীর এসএসসি বা সমমান পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে ভর্তি করা হবে। কলেজ/সমমানের প্রতিষ্ঠানে ভর্তির ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কলেজ/সমমানের প্রতিষ্ঠানের ৯৩ শতাংশ আসন সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে যা মেধার ভিত্তিতে নির্বাচন করা হবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে কর্মরত কর্মকর্তা/কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য ১ শতাংশ এবং অধীনস্থ দপ্তর/সংস্থায় কর্মরত কর্মকর্তা/কর্মচারীদের সন্তানদের ক্ষেত্রে ১ শতাংশসহ মোট ২ শতাংশ কোটা মহানগর, বিভাগীয় ও জেলা সদরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য নূন্যতম যোগ্যতা থাকা সাপেক্ষে সংরক্ষিত থাকবে। যদি আবেদনকারীর সংখ্যা বেশি হয় সেক্ষেত্রে তাদের নিজেদের মধ্যে মেধার ভিত্তিতে ভর্তির সুযোগ পাবে।
মোট আসনের ৫ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধার সন্তান/সন্তানের সন্তানদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে। উপর্যুক্ত কোটায় যদি প্রার্থী না পাওয়া যায় তবে এ আসন কার্যকরী থাকবে না। মুক্তিযোদ্ধার সন্তান/সন্তানের সন্তানদের শনাক্তকরণের জন্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় হতে প্রদত্ত সনদপত্র দাখিল করতে হবে।
যেসব শিক্ষার্থী বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন হিসেবে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে কেবল তারাই সংশ্লিষ্ট বোর্ডে ম্যানুয়ালি ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবে। প্রবাসীদের সন্তান/বিকেএসপি থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী/খেলাধুলা এবং সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে বিভাগীয় বা জাতীয় পর্যায়ে অসামান্য অবদানের জন্য পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য বোর্ডে ম্যানুয়ালি আবেদন করতে পারবে।
সমান জিপিএ প্রাপ্তদের ক্ষেত্রে সর্বমোট প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে মেধাক্রম নির্ধারণ করা হবে। বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড ও বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় এর ক্ষেত্রে গ্রেড পয়েন্ট ও প্রাপ্ত নম্বর সমতুল্য করে হিসাব করতে হবে। তাছাড়া বিভিন্ন সালের গ্রেড পয়েন্ট ও প্রাপ্ত নম্বর সমতুল্য করে হিসাব করতে হবে।
বিজ্ঞান গ্রুপে ভর্তির ক্ষেত্রে সমান মোট নম্বর প্রাপ্তদের মেধাক্রম নির্ধারণের ক্ষেত্রে সাধারণ গণিত ও উচ্চতর গণিত/জীববিজ্ঞানে প্রাপ্ত নম্বর বিবেচনায় আনতে হবে। যদি প্রার্থী বাছাইকল্পে উদ্ভুত জটিলতা নিরসন না হয়, তবে পর্যায়ক্রমে ইংরেজি, পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়নে প্রাপ্ত নম্বর বিবেচনায় আনতে হবে।
মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা গ্রুপ এর ক্ষেত্রে সমান মোট নম্বর বিষয়টি নিষ্পত্তির লক্ষ্যে পর্যায়ক্রমে ইংরেজি, গণিত ও বাংলা বিষয়ে প্রাপ্ত নম্বর বিবেচনায় আনতে হবে। এক গ্রুপের প্রার্থী অন্য গ্রুপে ভর্তির ক্ষেত্রে জিপিএ একই হলে সর্বমোট প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে মেধাক্রম নির্ধারণ করা হবে। এক্ষেত্রে প্রার্থী বাছাইকল্পে উদ্ভুত জটিলতা নিরসন না হলে পর্যায়ক্রমে ইংরেজি, গণিত ও বাংলা বিষয়ে প্রাপ্ত নম্বর বিবেচনায় আনতে হবে।
এ নীতিমালায় যা কিছুই থাকুক না কেন স্কুল অ্যান্ড কলেজ/সমমানের প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে নিজস্ব প্রতিষ্ঠান হতে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীগণ প্রতিষ্ঠান নির্ধারিত যোগ্যতা সাপেক্ষে স্ব স্ব গ্রুপে (বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা) অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ভর্তির সুযোগ পাবে।
কোনো কলেজ/সমমানের প্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য সংশ্লিষ্ট কলেজ কর্তৃপক্ষ ন্যূনতম যোগ্যতা নির্ধারণ করতে পারবে। কলেজ/সমমানের প্রতিষ্ঠানকে তাদের ভর্তি সংক্রান্ত সব তথ্য ওয়েবসাইট এবং নোটিশ বোর্ডে প্রকাশ করতে হবে। সব কলেজ/উচ্চমাধ্যমিক/সমমানের প্রতিষ্ঠান স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানে মন্ত্রণালয় তথা শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক ভর্তির জন্য নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের তালিকা ও সময় অনুযায়ী শিক্ষার্থী ভর্তি করবে। কোন প্রতিষ্ঠান মন্ত্রণালয় ও বোর্ড নির্ধারিত তারিখের বাইরে নিজ ইচ্ছামাফিক ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে না।
অনলাইনে ভর্তি
শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। অনলাইনে আবেদনের জন্য এই ওয়েবসাইটের (www.xiclassadmission.gov.bd) ঠিকানা।
শিক্ষার্থীরা শুধুমাত্র অনলাইনে আবেদন করতে পারবে। অনলাইনে আবেদনের ক্ষেত্রে ১৫০ টাকা আবেদন ফি জমা সাপেক্ষে সর্বনিম্ন ৫টি এবং সর্বোচ্চ ১০টি কলেজ/সমমানের প্রতিষ্ঠানের জন্য পছন্দক্রমের ভিত্তিতে আবেদন করতে পারবে। একজন শিক্ষার্থী যতগুলো কলেজে আবেদন করবে তার মধ্য থেকে শিক্ষার্থীর মেধা, কোটা ও পছন্দক্রমের ভিত্তিতে একটি মাত্র কলেজে তার অবস্থান নির্ধারণ করা হবে।
বিজ্ঞপ্তি, ভর্তি ও ফি
কলেজ/সমমানের প্রতিষ্ঠান বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত আসন সংখ্যা (বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা গ্রুপ, শিফট্, পুরুষ/মহিলা/সহশিক্ষা, ভার্সন) এবং বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত ভর্তি ফিসহ অনুমোদিত অন্যান্য সকল ফি, ভর্তির ন্যূনতম যোগ্যতা ইত্যাদি তথ্য ভর্তি বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করে প্রতিষ্ঠানের নোটিশ বোর্ড এবং ওয়েবসাইটে প্রকাশ করবে।
এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানসমূহ কোনক্রমেই উন্নয়ন ফি গ্রহণ করতে পারবে না। তবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিয়ন্ত্রণকারী মন্ত্রণালয়/বিভাগের অনুমোদন সাপেক্ষে সেশন চার্জ ও ভর্তি ফি সময়ে সময়ে পরিবর্তন করতে পারবেন।
নন এমপিও/আংশিক এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে উন্নয়ন ফি, সেশন চার্জ ও ভর্তি ফি নীতিমালা অনুযায়ী গ্রহণ করতে হবে। তবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিয়ন্ত্রণকারী মন্ত্রণালয়/বিভাগের অনুমোদন সাপেক্ষে উন্নয়ন ফি, সেশন চার্জ ও ভর্তি ফি সময়ে সময়ে পরিবর্তন করতে পারবেন।
সরকারি কলেজগুলো সরকারি পরিপত্র অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ফি সংগ্রহ করবে। দরিদ্র, মেধাবী ও বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিক্ষার্থী ভর্তিতে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ উল্লিখিত ফি যতদূর সম্ভব মওকুফের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
ভর্তি প্রক্রিয়ার আগেই বেসরকারি কলেজে ভর্তির ক্ষেত্রে ভর্তি ফিসহ মাসিক বেতন এবং অন্যান্য যাবতীয় খরচ এর লিস্ট স্ব স্ব কলেজের নোটিশ বোর্ডে এবং ওয়েবসাইটে প্রদর্শন করতে হবে। কোনো শিক্ষার্থীর নিকট হতে অনুমোদিত ফি-এর অতিরিক্ত কোনো অর্থ গ্রহণ করা যাবে না এবং অনুমোদিত সকল ফি যথাযথ রশিদ প্রদানের মাধ্যমে গ্রহণ করতে হবে।
শিক্ষা বোর্ড শিক্ষার্থীর নিকট হতে ভর্তির প্রাথমিক নিশ্চায়ন করার সময় শিক্ষার্থী প্রতি নীতিমালা অনুযায়ী ফি গ্রহণ করবে। তবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিয়ন্ত্রণকারী মন্ত্রণালয়/বিভাগের অনুমোদন সাপেক্ষে এই ফি সময়ে সময়ে পরিবর্তন করতে পারবেন। প্রতি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে বার্ষিক ক্রীড়া মঞ্জুরি ফি বাবদ ৩০০ টাকা বোর্ডে প্রেরণ করতে হবে।
ভর্তির আবেদন, ফল প্রকাশ, ভর্তি ও ক্লাস শুরু
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ/বোর্ড প্রতিবছর নিয়ন্ত্রণকারী মন্ত্রণালয়/বিভাগ বরাবর ভর্তির আবেদন, ফল প্রকাশ, ভর্তি ও ক্লাস শুরু সংক্রান্ত সিডিউলের বিষয়ে প্রস্তাব প্রেরণ পূর্বক অনুমোদন গ্রহণ করবেন এবং তা প্রতিবছর বিজ্ঞপ্তি আকারে জারি করবেন।
কলেজ/সমমানের প্রতিষ্ঠান পরিবর্তন
সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডের পূর্বানুমতি ছাড়া একাদশ শ্রেণিতে ভর্তিকৃত কোন ছাত্র/ছাত্রীর ছাড়পত্র ইস্যু করা যাবে না। কিংবা বোর্ডের পূর্বানুমতি ব্যতীত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক ইস্যুকৃত ছাড়পত্রের বরাতে ভর্তি করা যাবে না। ছাড়পত্রের (টিসি) মাধ্যমে ভর্তির ক্ষেত্রে কলেজ/সমমানের প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষকে এ ধরনের ভর্তিকৃত ছাত্র/ছাত্রী ভর্তির ১৫ দিনের মধ্যে রেজিস্ট্রেশন ফিসহ প্রয়োজনীয় কাগজ-পত্র সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডে জমা দিতে হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষের ক্লাস শুরু ২ নভেম্বর
গুচ্ছের অধীনে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ভর্তিকৃত স্নাতক ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের আগামী ২ নভেম্বর থেকে ক্লাস শুরু হবে। বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এর আগে রেজিস্ট্রারের স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয় ১ম, ২য়, ৩য় ও ৪র্থ মেধা তালিকা থেকে প্রাথমিক নিশ্চয়ন করা শিক্ষার্থীদের আগামী ১০ অক্টোবরের মধ্যে চূড়ান্ত কার্যক্রম শেষ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষে ১ম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির জিএসটি গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ যে সকল শিক্ষার্থী ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য ১ম, ২য়, ৩য় ও ৪র্থ মেধা তালিকা থেকে প্রাথমিক ভর্তি নিশ্চয়ন করেছে সে সকল শিক্ষার্থীর আগামী ৭ অক্টোবর থেকে ১০ অক্টোবর অফিস চলাকালিন (সকাল ৯টা হতে বিকাল ৪টা পর্যন্ত) সময়ের মধ্যে চূড়ান্ত ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে।
এছাড়াও ১০ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকলেও ভর্তি কার্যক্রমের সাথে সংশ্লিষ্ট সকল অফিস খোলা থাকবে।
এমআই/সাকিব
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে প্রাথমিক সহকারী শিক্ষকদের মানববন্ধন
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের ১০ম গ্রেডে উন্নীতকরণের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি ও স্মারকলিপি দিয়েছে সরকারি প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সমন্বয় পরিষদ।
রবিবার প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সামনে অনুষ্ঠিত এই কর্মসূচিতে রাজধানীর মিরপুর থানার বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শতাধিক সহকারী শিক্ষক অংশ নেন।
মানববন্ধনে শিক্ষক নেতারা অভিযোগ করে বলেন, একই যোগ্যতায় অনেকেই ১০ম গ্রেডে বেতন পাচ্ছেন। অথচ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক হয়েও তারা তৃতীয় শ্রেণির গ্রেডে বেতন পাচ্ছেন। এটা স্পষ্টতই একটা বড় বৈষম্য।
উচ্চ মাধ্যমিক এবং ডিপ্লোমা পাসের যোগ্যতায় নার্সরা জাতীয় পে-স্কেলের ১০ম গ্রেড পাচ্ছেন দাবি করে তারা বলেন, একইভাবে উচ্চ মাধ্যমিকসহ ৪ বছরের ডিপ্লোমা যোগ্যতায় উপ-সহকারী কৃষি কর্মকতারা ১০ম গ্রেড, পুলিশের এসআইরা স্নাতক যোগ্যতায় ১০ম গ্রেড এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তারা একই শিক্ষাগত যোগ্যতায় ১০ম গ্রেড পাচ্ছেন।
মানববন্ধনে শিক্ষক নেতারা আরও বলেন, ৯ বছর আগে ২০১৫ সালে সর্বশেষ যে জাতীয় পে-স্কেল ঘোষণা করা হয়েছিল। ওই পে-স্কেলেও প্রাথমিক শিক্ষকরা বৈষম্যের শিকার হয়। কিন্তু এই সময়ে যে হারে দ্রব্যমূল্য বেড়েছে, তাতে প্রাথমিক শিক্ষকরা সংসার চালাতে গিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়ছেন।
এসময় মানববন্ধন কর্মসূচি শেষে মিরপুর থানার প্রধান সমন্বয়ক মো. লুৎফর রহমানের নেতৃত্বে শিক্ষকদের একটি প্রতিনিধি দল প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আব্দুল হাকিম বরাবর একটি স্মারকলিপি দেন। স্মারকলিপি গ্রহণ করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শিক্ষকদের গ্রেড বৈষম্য দ্রুত নিরসনের আশ্বাস দেন।
কর্মসূচিতে সমন্বয়কদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, এ কে এম ইলিয়াস আল মাহমুদ, রাবেয়া বাসরী, শফিউল আলম চৌধুরী, মুস্তাফিজুর রহমান, মো. জাকির হোসেন, এম এ মান্নান, এ কে এম আসাদুজ্জামান, রিনা আক্তার, দিলরুবা জাহান, আফরোজা বেগম, তাছলিমা হক, রবিউন নাহার তমা, মো. আমিনুল ইসলাম, মো. শহীদুল ইসলাম, শায়লা আশরাফ, আদিল বিন এফসারুল হক প্রমুখ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
শিক্ষা প্রশাসনে বড় রদবদল
শিক্ষা প্রশাসনে বড় ধরনের রদবদল এনেছে সরকার। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) সচিব, সদস্য, উৎপাদন নিয়ন্ত্রক, ঊর্ধ্বতন বিশেষজ্ঞ এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশির) কলেজ শাখার উপ-পরিচালকসহ বেশ কয়েকটি পদে নতুন কর্মকর্তারা দায়িত্ব পেয়েছেন।
রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের উপসচিব চৌধুরী সামিয়া ইয়াসমীনের স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, এনসিটিবির সচিব পদে দায়িত্ব পেয়েছেন শাহ মুহাম্মদ ফিরোজ আল ফেরদৌস। তিনি এর আগে একই প্রতিষ্ঠানের প্রশাসন শাখার উপসচিব ছিলেন। অন্যদিকে প্রশাসন শাখার উপসচিব পদে দায়িত্ব পেয়েছেন সহযোগী অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম।
মাউশির প্রশাসন শাখার সহকারী পরিচালক পদে দায়িত্ব পেয়েছেন সহকারী অধ্যাপক মো. খালিদ হোসেন। এছাড়া মাউশির মাধ্যমিক শাখা-২-এর শিক্ষা কর্মকর্তা তরিকুল ইসলামকে বরগুনা সরকারি কলেজে পদায়ন করা হয়েছে।
একইসঙ্গে জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমির (নায়েম) প্রশিক্ষণ বিশেষজ্ঞ পদে দায়িত্ব পেয়েছেন সহকারী অধ্যাপক মো. আরফিুল ইসলাম। বাংলাদেশ শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর ডিএলপি চিফ হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফজলুর রহমান খান। পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিপ্তরের উপ-পরিচালকের দায়িত্বে সহযোগী অধ্যাপক মো. ওয়াজকুরনী ও সহযোগী অধ্যাপক শাহানুর কবির। সহকারী শিক্ষা পরিদর্শকের নতুন দায়িত্ব পেয়েছেন সিকান্দার আলী। এ ছাড়াও নায়েমের প্রশিক্ষণ বিশেষজ্ঞ পদে দায়িত্ব পেয়েছেন সহকারী অধ্যাপক মো. রবিউল আউয়াল।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
বিশ্বসেরা বিজ্ঞানীদের তালিকায় ঢাবির ১০ শিক্ষক
অসাধারণ গবেষণাকর্মের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০ জন শিক্ষক ২০২৪ সালে বিশ্বের শীর্ষ ২ শতাংশ বিজ্ঞানীর তালিকায় স্থান পেয়েছেন।
রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের উপপরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও নেদারল্যান্ডসভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘এলসেভিয়ার’ বিজ্ঞানীদের এই তালিকা প্রকাশ করে। প্রকাশনা, এইচ-ইনডেক্স, সাইটেশন এবং অন্যান্য সূচকের ভিত্তিতে বিজ্ঞানীদের এই তালিকা তৈরি করা হয়েছে।
এই মর্যাদাপূর্ণ তালিকায় থাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা হলেন- গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. নেপাল চন্দ্র রায়, ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমস্ বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. রাকিবুল হক, সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. কাউসার আহাম্মদ, ভূতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. কাজী মতিন উদ্দিন আহমেদ, সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট-এর অধ্যাপক ড. এম রেজাউল ইসলাম, ফলিত গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ফেরদৌস, ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, পপুলেশন সায়েন্সেস বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন, ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. তাছলিম উর রশিদ এবং ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. শেখ মো. মাহামুদুল ইসলাম।
এছাড়া এই তালিকায় থাকা বেশ কয়েকজন গবেষক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত আছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বিশ্বের শীর্ষ বিজ্ঞানীদের তালিকায় স্থান পাওয়ায় শিক্ষকদের আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, এই স্বীকৃতি শুধুমাত্র শিক্ষকদের অসাধারণ অর্জনকে তুলে ধরে না, বরং এটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্ঞানচর্চার বিকাশ এবং শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতিরও প্রতিফলন ঘটায়।
এই অর্জন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম বৃদ্ধি এবং শিক্ষা ও গবেষণার উৎকর্ষ সাধনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনে ৮ নতুন মুখ
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) প্রশাসনের ৮টি পদে নতুন করে নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে। রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্টার এইচ এম আলী হাসান স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।
জানা যায়, শেখ হাসিনা আবাসিক হলের নতুন প্রভোস্ট হিসেবে আরবী ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক ড. এ কে এম শামসুল হক সিদ্দিকী, বেগম খালেদা জিয়া আবাসিক হলের প্রভোস্ট হিসেবে ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. জালাল উদ্দিন, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব আবাসিক হলের প্রভোস্ট হিসেবে আল-কুরআন এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. এ কে এম রাশেদুজ্জামান, সাদ্দাম হোসেন আবাসিক হলের প্রভোস্ট হিসেবে বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ আবুল কালাম আজাদ নিয়োগ পেয়েছেন।
এছাড়া ছাত্র উপদেষ্টা হিসেবে আরবী ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক ড. মো ওবায়দুল ইসলাম, পরিবহন প্রশাসক হিসেবে আল-কুরআন এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. এম. এয়াকুব আলী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আই.আই.ই.আর-এর পরিচালক হিসেবে কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. ফারুকুজ্জামান খান এবং অর্থ ও হিসাব বিভাগের পরিচালকের অর্থ ও হিসাব বিভাগের উপ-পরিচালক মো. আনার পাশা নিয়োগ পেয়েছেন।
উল্লেখ্য, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬টি আবাসিক হলের প্রভোস্ট ও পরিবহন প্রশাসক, আই.আই.ই.আর, অর্থ ও হিসাব বিভাগের পরিচালকরা পদত্যাগ করেন। আজ ৪টি আবাসিক হলের প্রভোস্টসহ ৩টি গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তবে ২ টি আবাসিক হলে এখনো নিয়োগ দেয়া হয়নি।
এমআই/সাকিব