বীমা
বিমা কোম্পানিগুলোর ৮০ শতাংশ ব্যয় কর্মকর্তাদের বেতন-ভাতায়
দেশে ব্যবসা করা সাধারণ বিমা কোম্পানিগুলোর ব্যবস্থাপনা ব্যয়ের ৮০ শতাংশই উন্নয়ন কর্মকর্তাদের বেতন ও অন্যান্য ভাতা বাবদ খরচ হচ্ছে। ব্যবস্থাপনা ব্যয় নির্ধারিত সীমার মধ্যে রাখা নিয়ে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি এমন তথ্য উপস্থান করেছে।
আইডিআরএ কার্যালয়ে বুধবার (১৫ মে) এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। আইডিআরএ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জয়নুল বারীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইনস্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিআইএ) সভাপতি শেখ কবির হোসেন। এতে আরও অংশ নেন বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের সদস্য, নির্বাহী পরিচালক, বাংলাদেশ ইনস্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধি এবং নন-লাইফ বিমা কোম্পানির চেয়ারম্যান ও পরিচালকরা।
সভায় নন-লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানিগুলোর ব্যবস্থাপনা ব্যয়ের বর্তমান চিত্র উপস্থাপন করেন আইডিআরএ’র উপ-পরিচালক মো. সোলায়মান। প্রতিবেদন বলা হয়, ২০২২ সালে ৪১ দশমিক ৩০ শতাংশ নন-লাইফ বিমা কোম্পানির অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা ব্যয় হয়েছে। অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা ব্যয়ের খাতওয়ারী চিত্র পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, অধিকাংশ কোম্পানির ব্যবস্থাপনা ব্যয়ের সর্বোচ্চ ব্যয় হয় উন্নয়ন কর্মকর্তাদের বেতন ও অন্যান্য ভাতাদিতে, যা মোট ব্যবস্থাপনা ব্যয়ের ৮০ শতাংশ।
আইডিআরএ’র পরিদর্শন ও তদন্তে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে পর্যালোচনা করে দেখা যায়, কোম্পানির আকারের তুলনায় অত্যাধিক জনবলের কারণেই ব্যয় বেশি হয়। পারিবারিক সদস্য, আত্মীয়দের জনবলে নিয়োগ করা হয়, যারা প্রকৃতপক্ষে কর্মরত থাকেন না। চাকরি না করেও বেতন-ভাতাদি খাতে এই ব্যয় হিসেবে প্রদর্শন করা হয়।
সভায় বিভিন্ন কোম্পানির চেয়ারম্যান ও প্রতিনিধিরা নানা প্রতিন্ধকতা এবং তা উত্তরণের জন্য পরামর্শ দেন। প্রতিনিধিরা জানান, কোম্পানিগুলো নিজেদের মধ্যে এক হীন প্রতিযোগিতায় লিপ্ত। তারা বিমাগ্রাহকদের অনিয়মতান্ত্রিকভাবে কমিশন/প্রিমিয়াম প্রদানে ছাড় দিয়ে থাকে, যা আর্থিক বিবরণীতে ‘ব্যবস্থাপনা ব্যয়’ হিসেবে প্রতিফলিত হয়। এ ধারা বন্ধ হওয়া উচিত।
শেখ কবির হোসেন বলেন, কোম্পানিগুলোর সম্পূর্ণ অটোমেশনের অন্তর্ভুক্তকরণ অনেকাংশে এই সমস্যার সমাধান হতে পারে। এছাড়া ব্যাপক প্রচার-প্রচারণার মাধ্যমে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা উচিত।
আইডিআরএ চেয়ারম্যান বলেন, বিমা শিল্পের উন্নয়ন ও প্রসারে আইডিআরএ সর্বদা চেষ্টা করছে। প্রোডাক্ট ডাইভারসিটি, প্রোডাক্ট ডেভেলপমেন্টের জন্য বিভিন্ন সভা, সেমিনারের আয়োজন করা হচ্ছে। এছাড়াও কৃষি বিমা, মৎস্য বিমা, গৃহায়ণ বিমা, ব্যাংকাস্যুরেন্স চালু করা হয়েছে। কোর সফটওয়্যারের ক্লাউডের মাধ্যমে কোম্পানিগুলোকে অটোমেশনে অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে এবং সম্পূর্ণভাবে অটোমেশনের আওতায় আনার জন্য চেষ্টা চলছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
বিটকয়েনের দাম সর্বকালের সর্বোচ্চ
একটি বিটকয়েনের দাম ১ লাখ ছুইছুই করছে। আজ শুক্রবার বিটকয়েনের দাম ৯৯ হাজার ৩৮০ ডলারে ছাড়িয়েছে। এই দাম বিটকয়েনের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই বিটকয়েনের দাম বাড়তে থাকে। আর্থিক বাজারের প্রত্যাশা, ট্রাম্প প্রশাসন ক্রিপ্টোবান্ধব হবে। খবর রয়টার্সের
এক প্রতিবেদনে বার্তা সংস্থাটি বলছে, চলতি বছর বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রিপ্টোকারেন্সি বিটকয়েনের দাম দিগুণের বেশি হয়েছে। গত ৫ নভেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর বিটকয়েনের দাম ২৫ শতাংশেরও বেশি বেড়েছে। গত দুই সপ্তাহের মধ্যে এটি বেড়েছে ৪৫ শতাংশের বেশি। আজ শুক্রবার একটি বিটকয়েন বিক্রি হয়েছে ৯৯ হাজার ৩৮০ ডলারে।
মূল্যবৃদ্ধির দৌড়ে বিটকয়েন পাল্লা দিচ্ছে ইলন মাস্কের টেসলার সঙ্গে। ভোটের ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে টেসলার শেয়ারের দাম বেড়েছে ৪০ শতাংশ। বিনিয়োগকারীরা মনে করেছেন, ট্রাম্পের বন্ধুরা এবং যেসব বিষয়ে তার আগ্রহ আছে, সেসব বিষয় তিনি ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় ভালো করবে।
সিডনির এটিএফএক্স গ্লোবালের প্রধান বাজার বিশ্লেষক নিক টুইডেল বলেন, ‘বিটকয়েনের দাম বাড়ছে ট্রাম্পের জন্যই। কারণ, তিনি এই শিল্পের খুবই সমর্থনকারী। এর মানে হলো, ক্রিপ্টোর মজুত ও মুদ্রা উভয়েইর চাহিদা আরও বাড়বে। নির্বাচনের ফল আসার পর বিটকয়েনের দাম প্রায় রেকর্ড পর্যায়ে ওঠার মানে হলো, এই মুদ্রার ওপরে কেবল খোলা আকাশ রয়েছে।’
গত ১০ নভেম্বর আগের সব রেকর্ড ভেঙ্গে ৮০,০০০ ডলারে পৌঁছে যায়। বিশেষজ্ঞরা রুশ বার্তা সংস্থা তাসকে বলেছেন, বর্তমান বৃদ্ধির পর্যায়ে থাকলে বিটকয়েনের দাম ৩ লাখ ডলারে পৌঁছানোও অবাক করার মতো কিছু হবে না।
ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহারকারীদের মধ্যে জনপ্রিয়তার মাধ্যমে এর দাম ওঠা-নামা করে। ২০০৮ সালের নভেম্বরে সাতোশি নাকামোতো ছদ্মনামে বিটকয়েন কারেন্সি মার্কেটে প্রকাশ করা হয়।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
আদানির সঙ্গে ২৫০ কোটি ডলারের চুক্তি বাতিল!
ঘুষ দেয়া ও প্রতারণার মাধ্যমে কয়েকশ’ কোটি ডলারের সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প বাগিয়ে নেয়ায় অভিযুক্ত ভারতীয় ধনকুবের গৌতম আদানির বিরুদ্ধে সম্প্রতি গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে নিউইয়র্কের একটি আদালত। এ নিয়ে বেশ বিপাকেই পড়েছেন তিনি। তবে এর মধ্যেই আরও এক দুঃসংবাদ পেলো আদানি গ্রুপ।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাতে আলজাজিরা জানিয়েছে, আদানি শিল্পগোষ্ঠীর সঙ্গে ২৫০ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি অর্থের চুক্তি বাতিলের ঘোষণা দিয়েছে আফ্রিকার দেশ কেনিয়া।
কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম রুটো বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) দেশটির পার্লামেন্টে দেয়া এক ভাষণে, আদানি গোষ্ঠীর সঙ্গে হওয়া দুটি চুক্তি বাতিলের ঘোষণা দেন।
এর মধ্যে একটি চুক্তির অর্থমূল্য প্রায় ২০০ কোটি মার্কিন ডলার। এই চুক্তির আওতায় দেশটির জোমো কেনিয়াত্তা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দ্বিতীয় রানওয়ে করার কথা ছিল আদানি গোষ্ঠীর। এছাড়া ৩০ বছর মেয়াদি ইজারার (লিজ) আওতায় বিমানবন্দরের যাত্রী টার্মিনাল উন্নত করার কথা ছিল।
এছাড়া আদানির সঙ্গে ৩০ বছর মেয়াদি ৭৩ কোটি ৬০ লাখ মার্কিন ডলারের সরকারি-বেসরকারি খাতের একটি অংশীদারত্ব (পিপিপি) চুক্তিও বাতিল করার কথা জানান রুটো।
কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট জানান, তিনি পরিবহন এবং জ্বালানি ও পেট্রোলিয়াম মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে অবিলম্বে চুক্তি বাতিলের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।
তদন্তকারী সংস্থা ও অংশীদার দেশগুলোর কাছ থেকে পাওয়া নতুন তথ্যের ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
নন-লাইফ বিমা কোম্পানির সমস্যা নিরসনে বিআইএ’র সভা
দেশের নন-লাইফ বিমা খাতের কোম্পানিগুলোর সমস্যা নিরসনে করণীয় ঠিক করতে মতবিনিময় সভা করেছে বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশন (বিআইএ)। বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) রাজধানীর নয়া পল্টনে অ্যাসোসিয়েশনের কনফারেস রুমে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় বিভিন্ন নন-লাইফ বিমা কোম্পানির ৪২ জন মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন বিআইএ’র নন-লাইফ টেকনিক্যাল সাব-কমিটির আহ্বায়ক ও রুপালী ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির উপদেষ্টা পি কে রায়।
অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট নাসির উদ্দিন আহমেদ (পাভেল) ও প্রথম ভাইস-প্রেসিডেন্ট হোসেন আখতার সভায় বিশেষভাবে উপস্থিত ছিলেন। নির্বাহী কমিটির সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সৈদয় বদরুল আলম, সৈয়দ শাহরিয়ার আহসান, মো. ইমাম শাহীন।
সভায় মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তারা দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে নন-লাইফ বিমা কোম্পানির সমস্যাসমূহ চিহ্নিত করেন এবং এসব সমস্যা নিরসনের জন্য নিজস্ব মতামত ব্যক্ত করেন। বিআইএ’র প্রেসিডেন্ট, প্রথম ভাইস-প্রেসিডেন্ট ও নির্বাহী কমিটির সদস্যরা মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তাদের মতামতের ভিত্তিতে পরবর্তী কর্মপন্থা নির্ধারণ করেন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
এক ফোনেই আইডিআরএর ৪ সদস্যের পদত্যাগ!
অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের নতুন সচিব নাজমা মোবারেকের এক ফোনেই আইডিআরএর ৪ সদস্য পদত্যাগ করেছেন। তবে এদের কারও মেয়াদই স্বাভাবিকভাবে শেষ হয়নি। দুজনের চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা আরও সাত মাস পর। একজনের চুক্তি শেষ হতে বাকি ছিল দেড় বছর। আরেকজন যোগই দিলেন চলতি পঞ্জিকাবর্ষের জানুয়ারিতে, যাঁর মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২৭ সালে। মেয়াদের আগেই তাঁরা আজ পদত্যাগ করেছেন।
এই চারজন হলেন বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) চার সদস্য বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য, মো. দলিল উদ্দিন, মো. নজরুল ইসলাম ও কামরুল হাসান। অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের নতুন সচিব নাজমা মোবারেকের এক ফোনেই তাঁদের চাকরি শেষ। আজ বিকেল চারটায় তাঁরা পদত্যাগ করেছেন।
আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগে আড়াই মাস সচিব ছিলেন না। ফাঁকা ছিল এই পদ। দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন অতিরিক্ত সচিব অমল কৃষ্ণ মণ্ডল। মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব থেকে নাজমা মোবারেককে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব পদে গত ৩০ অক্টোবর বদলির প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। সেদিন ছিল বুধবার।
আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সূত্রগুলো জানায়, পরদিন বৃহস্পতিবার যোগ দিয়েই নাজমা মোবারেক আগের মন্ত্রণালয়ে বিদায় সংবর্ধনা নিতে যান। ২ নভেম্বর থেকে তিনি মূলত আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগে সচিব হিসেবে নিয়মিত অফিস শুরু করেন।
এর তিন দিনের মাথায় গতকাল বুধবার তিনি নিজেই একে একে ফোন করেন আইডিআরএর চার সদস্যকে। ফোনে তিনি সরকারের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে তাঁদের পদত্যাগ করতে বলেন। এমন কথাও বলেন, ‘যত দ্রুত সম্ভব।’ সেই ফোনের এক দিনের মাথায় আজ আইডিআরএ চেয়ারম্যানের কাছে তাঁরা পদত্যাগপত্র জমা দেন।
যোগাযোগ করলে সচিব নাজমা মোবারেক বলেন, আইডিআরএর চার সদস্যকে পদত্যাগ করতে গতকাল পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। আজ তাঁদের পদত্যাগ করার কথা।
আইডিআরএ হচ্ছে বিমা খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা; এই সংস্থার বর্তমান চেয়ারম্যান সাবেক সচিব এম আসলাম আলম। আসলাম আলমকে সংস্থাটির চেয়ারম্যান পদে সরকার নিয়োগ দিয়েছে দুই মাস আগে, অর্থাৎ গত ৯ সেপ্টেম্বর। যোগ দেওয়ার পর থেকে তিনি প্রায় দেড় মাস অসুস্থতাজনিত ছুটিতে ছিলেন।
ফোন করে পদত্যাগ করানোর উদাহরণ আইডিআরএতে আগেও ছিল। যেমন গত ৬ সেপ্টেম্বর পদত্যাগ করেন সংস্থাটির আগের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জয়নুল বারী। জয়নুল বারীকেও ৯ মাস বাকি থাকতে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে পদত্যাগ করতে বলা হয়েছিল। তার আগের চেয়ারম্যান এম মোশারফ হোসেনও নির্ধারিত তিন বছরের মেয়াদ পার করে যেতে পারেননি। নিয়োগ পাওয়ার ১৫ মাসের মাথায় আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের তৎকালীন সচিব শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহর উদ্যোগে পদত্যাগ করেছিলেন তিনি।
সূত্রগুলো জানায়, বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য আইডিআরএতে সদস্য হিসেবে যোগ দেন চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি। তাঁর মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২৭ সালের ৩০ জানুয়ারি। তিনি ছিলেন (সদস্য) প্রশাসন। তিন বছরের জন্য নজরুল ইসলাম (সদস্য নন–লাইফ) ও কামরুল হাসান (লাইফ) কাছাকাছি সময়ে সংস্থাটিতে যোগ দেন।
অবসরে যাওয়া জ্যেষ্ঠ জেলা ও দায়রা জজ মো. দলিল উদ্দিন প্রথমবারের মতো আইডিআরএর সদস্য (আইন) হিসেবে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পান ২০২০ সালের ১০ জুন। এক মেয়াদ শেষ হলে ২০২৩ সালের ৩০ মে দ্বিতীয় দফায় তাঁকে আরও তিন বছরের জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
বীমা
বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স এসোসিয়েশনের নির্বাচন ২২ ফেব্রুয়ারি
বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স এসোসিয়েশনের (বিআইএ) নির্বাহী কমিটির নির্বাচনের তফসিল চূড়ান্ত করা হয়েছে। তফসিল অনুযায়ী, আগামী ২০২৫ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি সংগঠনটির নির্বাহী কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বিআইএ’র নির্বাচনী বোর্ডের প্রথম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে সংগঠনটির সেক্রেটারি ও নির্বাচনী কমিটির সচিব ওমর ফারুক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন নির্বাচনী বোর্ডের চেয়ারম্যান মীর নাসির হোসেন। তিনি ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স-বাংলাদেশের পরিচালক ও এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সাবেক সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
জানা যায়, নির্বাহী কমিটির নির্বাচনে অংশগ্রহনের জন্য নমিনেশন ফরম সংগ্রহ এবং জমা প্রদানের তারিখ ১৪ জানুয়ারি থেকে ২১ জানুয়ারি ধার্য করা হয়েছে।
এমআই