জাতীয়
নিজস্ব আয় থেকে প্লেন কেনার টাকা পরিশোধ করা হয়েছে: বিমান

ঋণের দুই হাজার ৮৩ মিলিয়ন ডলারের প্রায় অর্ধেক অর্থ বিলম্ব ছাড়া পরিশোধ করেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস। সরকারি ভর্তুকি ছাড়াই নিজ আয় থেকে এ অর্থ পরিশোধ করা হয় বলেও দাবি করেছে সরকারি সংস্থাটি।
শুক্রবার (১০ মে) বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স বোয়িং কোম্পানির দুইটি ৭৩৭-৮০০, চারটি ৭৭৭-৩০০ই আর, ছয়টি ৭৮৭ ড্রিমলাইনার এবং ডি হ্যাভিল্যান্ড কোম্পানি দুইটি ড্যাস৮কিউ৪০০ উড়োজাহাজ ক্রয়ের জন্য ২০১১ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত দুই হাজার ৯৩ মিলিয়ন ডলার ঋণ নিয়েছে। এ বছরের এপ্রিল পর্যন্ত ঋণের আসল ও সুদবাবদ এক হাজার ৫৭০ মিলিয়ন ডলার কিস্তির তালিকা মোতাবেক বিলম্ব ছাড়াই পরিশোধ করেছে।
এছাড়া ২০২২ সালে একটি বোয়িং ৭৩৭-৮০০, ২০২৩ সালে দুটি বোয়িং ৭৭৭-৩০০ উড়োজাহাজের ঋণও নির্দিষ্ট সময়ে পরিশোধ করেছে বিমান বাংলাদেশ। ২০২৫ সালে আরো দুটি বোয়িং ৭৭৭-৩০০ উড়োজাহাজের সম্পূর্ণ ঋণ পরিশোধ সম্পন্ন হবে।
করোনাকালে বাংলাদেশ বিমান চলতি মূলধন বাবদ সরকার কর্তৃক প্রদত্ত আর্থিক প্রণোদনা ঋণ সর্বমোট ৭৮৮ কোটি টাকা গ্রহণ করে। পরবর্তীতে বিমান মুনাফা করার সঙ্গে সঙ্গেই প্রণোদনা ঋণের আসল এবং সুদ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই পরিশোধ করে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বিমান তার বহরে থাকা দুটি ড্যাশ ৮-৩০০ এবং দুটি ৭৩৭-৮০০ উড়োজাহাজের লিজ শেষ হওয়ার পর নিজস্ব তহবিল ব্যবহার করে কিনেছে। বর্তমানে বিমানের বহরে মোট নিজস্ব উড়োজাহাজের সংখ্যা ১৯টি।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স সরকারি ভর্তুকি ছাড়াই নিজ আয় থেকে পরিচালনা ব্যয় নির্বাহ এবং উড়োজাহাজের মূল্য পরিশোধ করেছে বলেও উল্লেখ করা হয়।

জাতীয়
ফেব্রুয়ারিতে মহোৎসবের নির্বাচন হবে: প্রধান উপদেষ্টা

ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচন হবে। মহোৎসবের নির্বাচন। জাতির সত্যিকার অর্থে নবজন্ম হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সভাপতি অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, এই একমাত্র সুযোগ এবং আমাদের এটা গ্রহণ করতেই হবে। এটা থেকে বিচ্যুত হওয়ার কোনো উপায় নেই। সমঝোতা বলেন, ঐক্য বলেন আর যাই বলেন, যখন নির্বাচনে যাবো তখন একমত হয়ে সবাই যাবো। এর মধ্যে কোনো দ্বিমত আমরা রাখবো না।
তিনি বলেন, নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে রাজনৈতিক দলগুলোকে সমঝোতায় আসতেই হবে। এক্ষেত্রে আমাদের কাছে ব্যর্থ হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
জাতীয়
ভূমিকম্পে কাঁপলো বাংলাদেশসহ ৬ দেশ

ভূমিকম্পে কেঁপে উঠলো রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশ। বাংলাদেশ ছাড়াও দক্ষিণ এশিয়ার অন্তত ছয় দেশে এ কম্পন অনুভূত হয়েছে। আজ রবিবার বিকেল ৫টা ১১মিনিটে এই ভূ-কম্পন অনুভূত হয়।
মার্কিন ভূ-তাত্ত্বিক সংস্থা ইউএসজিএস জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ভারতের আসাম থেকে ১৬ কিমি দূরে ধেকিয়াজুলিতে। ভূমিকম্পের আনুমানিক তীব্রতা রিখটার স্কেলে ৫.৯ মাত্রা।
ভূকম্পন অনুভূত হওয়া দেশগুলো হচ্ছে- বাংলাদেশ, নেপাল, ভারত, বার্মা (মায়ানমার), ভুটান এবং চীন। এ রিপোর্ট লেখা ক্ষয়ক্ষতির কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
এদিকে বাংলাদেশের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রের সহযোগী ইকবাল হোসেন বলেন, ভূমিকম্প হয়েছে। বাংলাদেশে এর মাত্রা ছিল ৫.৫।
জাতীয়
মানুষের জন্ম হয়েছে উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য: প্রধান উপদেষ্টা

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, মানুষ কারো চাকরি করার জন্য আসেনি। মানুষের জন্ম হয়েছে উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য।
রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁও এলাকায় পিকেএসএফ ভবন-২ উদ্বোধনকালে এ কথা বলেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বর্তমান সময়ে মানুষ নানা ধরনের উদ্যোক্তায় পরিণত হয়েছে, যার পেছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে প্রযুক্তি। প্রযুক্তির কারণে বাংলাদেশ আজ সরাসরি বিশ্বব্যবস্থার সঙ্গে সংযুক্ত। এখন এই প্রযুক্তিকে আরও কার্যকরভাবে কাজে লাগানোর সময় এসেছে।
তিনি বলেন, সরকার চায় প্রতিটি মানুষ যেন তার নিজস্ব সক্ষমতা অনুযায়ী সামনে এগিয়ে যেতে পারে। পিকেএসএফের নতুন ভবন থেকে সেই নতুন যাত্রার সূচনা হবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।
পিকেএসএফের কাঠামোগত পরিবর্তন প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, প্রতিষ্ঠানটি আগের তুলনায় অনেক পরিবর্তন এনেছে—নিয়মনীতি ও কাঠামোতে আধুনিকতা এসেছে। এখন বিনিয়োগমুখী উদ্যোগ গ্রহণ করলে আরও বড় পরিসরে কাজ করা সম্ভব। আজকের প্রজন্ম আগের প্রজন্মের চেয়ে অনেক বেশি উদ্যমী ও অগ্রসর।
তিনি জানান, দেশের কয়েক লাখ ছেলেমেয়ে ইতোমধ্যে উদ্যোক্তা ও ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আইন-কানুনে যেসব সীমাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে, সেগুলো পর্যালোচনা করে প্রয়োজনে সংশোধনের কথা ভাবতে হবে। পিকেএসএফের নিজস্ব আইন আরও সম্প্রসারিত করা যায় কি না, সেটিও দেখা দরকার।
জাতীয়
ঢাকার সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গের রেল যোগাযোগ বন্ধ

ফরিদপুর-৪ আসন থেকে আলগী ও হামিরদী ইউনিয়ন কেটে ফরিদপুর-২ আসনে অন্তর্ভুক্ত করার প্রতিবাদে সড়কের পাশাপাশি রেলপথ অবরোধ করা হয়েছে। ফলে ঢাকার সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গের রেলযোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে এ কর্মসূচি শুরু হয়।
এর আগে শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে আলগী ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে সংবাদ সম্মেলন করে ভাঙ্গা উপজেলা বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন, খেলাফত মজলিস, এনসিপিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দল সম্মিলিতভাবে এ অবরোধের ঘোষণা দেয়।
আলগী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ম ম সিদ্দিক মিয়া বলেন, গত ৪ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন সীমানা পুনর্বিন্যাসের নামে সম্পূর্ণ অযৌক্তিকভাবে ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ও হামিরদী ইউনিয়নকে ফরিদপুর-২ (নগরকান্দা সালথা) সঙ্গে সংযুক্ত করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে।
বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর থেকে নির্বাচন কমিশনের এ অগণতান্ত্রিক সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আমরা দুই ইউনিয়নবাসী রাজপথে অবস্থান করেছি। আমাদের অব্যাহত আন্দোলনের ফলে দক্ষিণবঙ্গের ২১টি জেলার সঙ্গে রাজধানী ঢাকার সড়ক যোগাযোগ কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, নির্বাচন কমিশনের তরফ হতে আমাদের দাবির বিষয়ে কোনো বক্তব্য বা বিবৃতি পাইনি।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচন কমিশনের অগণতান্ত্রিক সিদ্ধান্তের বিষয়ে আমাদের আহ্বান পরিষ্কার, এ জনপদের মানুষ কোনোভাবেই তাদের ভূখণ্ড ভাঙ্গা উপজেলা থেকে বিচ্ছিন্ন করার ষড়যন্ত্র মেনে নেবে না। দুই ইউনিয়নের সীমানা ভাঙ্গা উপজেলার সঙ্গে পুনর্বহাল না করা পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। নির্বাচন কমিশনকে অবিলম্বে এ অঞ্চলের মানুষের দাবির যৌক্তিকতা উপলব্ধি করে সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার আহ্বান জানাই।
আলগী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বলেন, ভৌগোলিক দিক দিয়ে নগরকান্দা ও সালথা উপজেলা, ভাঙ্গা উপজেলা থেকে অনেক দূরে অবস্থিত। ফরিদপুর-২-এর সঙ্গে দুই ইউনিয়নের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও যোগাযোগের কোনোটাই সম্পর্ক নেই। নির্বাচন কমিশন তদন্ত ও যাচাই-বাছাই না করে এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করাটা এ দুই ইউনিয়নবাসীর জন্য বিপর্যয় নেমে আসবে।
কর্মসূচি নিয়ে তিনি বলেন, রোববার থেকে টানা তিন দিন সকাল-সন্ধ্যা (সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত) সড়ক পথ ও রেলপথ অবরোধ করা হবে। অবরোধের স্থান হচ্ছে—ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের আলগী ইউনিয়নের সুয়াদি বাসস্ট্যান্ড, হামিরদী ইউনিয়নের মুনসুরাবাদ বাসস্ট্যান্ড, চান্দ্রা ইউনিয়নের পুলিয়া বাসস্ট্যান্ড, ফরিদপুর-বরিশাল মহাসড়কের ভাঙ্গা হাসপাতাল গেট, হামিরদী ইউনিয়নের মাধবপুর বাসস্ট্যান্ড, হামিরদী বাসস্ট্যান্ড, পুখুরিয়া বাসস্ট্যান্ড ও রেলপথের পুখুরিয়া রেল ক্রসিং। তিন দিন পর প্রধান নির্বাচন কমিশন বরাবর স্মারকলিপি পেশ, এরপর নির্বাচন কমিশনের সামনে মানববন্ধন।
জাতীয়
যারা রাস্তা অবরোধ করেছে, তারা কেউ ছাড় পাবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

ফরিদপুরের সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ ইস্যুকে কেন্দ্র করে যারা রাস্তা অবরোধ করে রেখেছে, তাদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
তিনি বলেছেন, রাস্তা অবরোধ করার অধিকার কারও নেই। তারা লাখ লাখ মানুষকে জিম্মি করে রাখছে। এটা কোনো অবস্থায় বরদাশত করা হবে না। তারা যদি আজকের মধ্যে এটা সমাধান না করে, তাহলে আইন প্রয়োগ করতে বাধ্য হব।
রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে কোর কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, কোর কমিটির সভায় দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। দু-একটি নির্বাচন হয়ে গেল, এসব বিষয়েও একটু আলোচনা হয়েছে। পুলিশের প্রশিক্ষণ এবং আসন্ন নির্বাচন উপলক্ষে আমাদের প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ছিনতাই, চুরি-ডাকাতিসহ সীমান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে পূজা এবং ফরিদপুরের দুটি ইউনিয়ন নিয়ে যে সমস্যা, সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
উপদেষ্টা আরও বলেন, ফরিদপুরের এই দুই ইউনিয়নের কারণে বিভিন্ন জেলার মানুষ দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। ফরিদপুরে দুটি ইউনিয়ন আগে যে সংসদীয় আসনে ছিল, সেখান থেকে অন্য আসনে দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে আমাদের কোনো সিদ্ধান্ত নেই। এটা নির্বাচন কমিশনের বিষয়। এটা নির্বাচন কমিশন করেছে। যুক্তি-তর্কের সবকিছু শোনার পর তারা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটা নিয়েই এলাকার লোকজনের মধ্যে একটা ক্ষোভ।
তিনি বলেন, এটা নিয়ে আসলেই যদি তাদের ক্ষোভ থাকে, তাহলে সেটা যথাযথ চ্যানেলে জানানো প্রয়োজন ছিল। কিন্তু এটাকে কেন্দ্র করে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করা কোনোভাবেই কাম্য নয়। এই দুটি ইউনিয়নে কতজন লোক আর কতজন ভোটার? অথচ তারা লাখ লাখ লোককে জিম্মি করে রাখছে। এটা কোনো অবস্থায় বরদাশত করা হবে না। তারা যদি আজকের মধ্যে এটা সমাধান না করে, তাহলে আমরা আইন প্রয়োগ করতে বাধ্য হব।