রাজধানী
তাপপ্রবাহের সতর্কতা দিতে পোর্টাল চালু করলো ডিএনসিসি
তাপপ্রবাহের সতর্কতা দিতে পোর্টাল চালু করেছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)। সোমবার (৬ মে) বিকেল সাড়ে ৫টায় ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের নগর ভবনের ৬ষ্ঠ তলায় সম্মেলন কক্ষে হিটওয়েভ সতর্কতা পোর্টালের উদ্বোধনী কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে ও ডিএনসিসির সবার ঢাকা অ্যাপে হিটওয়েভ সতর্কতা পোর্টালের লিংক সংযুক্ত করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, সেভ দ্য চিলড্রেনের সহযোগিতায় বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর এই হিটওয়েভ সতর্কতা পোর্টাল ব্যবস্থাপনা করবে। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের এলাকাভিত্তিক হিটওয়েভের পূর্বাভাসের পেতে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। হিটওয়েভ পোর্টালের মাধ্যমে সরাসরি ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের সবার ঢাকা অ্যাপে পূর্বাভাস চলে যাবে যার ফলে ব্যবহারকারীরা যে কোনও মুহূর্তে চাইলেই তার এলাকার পূর্বাভাস দেখতে পারবেন। এ ছাড়াও এই অ্যাপের মাধ্যমেই যার যার এলাকায় পূর্বাভাসের সাথে অনুভূত তাপমাত্রার পার্থক্য এবং সেই সম্পর্কে তথ্য প্রদান করতে পারবেন। এই হিটওয়েভ পোর্টালের পূর্বাভাস পেতে চাইলেই বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট থেকে পেতে পারবেন এবং ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের সবার ঢাকা অ্যাপ ব্যবহারকারীরা সরাসরি অ্যাপের মাধ্যমে ঢাকার পূর্বাভাস পাবেন।
কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বলেন, এই পোর্টালের মাধ্যমে একদিকে যেমন ব্যবহারকারীকে সহজে পরিকল্পিত পদক্ষেপ ও সে অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবে; অন্যদিকে নির্দিষ্ট খাত যেমন কৃষি, প্রাণিসম্পদ, নগর পরিকল্পনা এবং প্রাসঙ্গিক খাতের ব্যবহারকারীদের চাহিদা সম্পর্কে অবগত করবে। বিশেষ করে নগর পরিকল্পনার ক্ষেত্রে তাপপ্রবাহের পূর্বাভাস ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর জন্য আগাম পদক্ষেপ নিতে খুবই সাহায্য করবে।
পাশাপাশি তিনি হিটওয়েভকে জাতীয় দুর্যোগ হিসেবে ঘোষণা করা এবং দুর্যোগসংক্রান্ত স্থায়ী আদেশে তাপপ্রবাহকে সংযুক্ত করার জোরদার আহবান জানান। এ ছাড়া প্রত্যেকটা দুর্যোগ মোকাবিলায় ব্যক্তি পর্যায়ে সকলকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে সচেতন থাকার অনুরোধ জানান।
ডিএনসিসি মেয়র আরও বলেন, হিটওয়েভের সচেতনতা এবং প্রচারণা অংশ হিসেবে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে একটি বিশেষ ছাতা তৈরি করা হয়েছে রিকশাচালকদের জন্যে, যা তারা চাইলেই রিকশার স্ট্যান্ডের সাথে অ্যাডজাস্ট করে ব্যবহার করতে পারবে। এই কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ৩৫ হাজার রিকশা ও ভ্যানচালকদের মাঝে বিনামূল্যে ছাতা বিতরণ করা হচ্ছে। এ ছাড়াও, হাফ লিটার পানির বোতল বিতরণ করা হয়েছে যাতে করে তারা চাইলেই সহজে সাথে বহন করতে পারে।
আর্শট রক ফেলার ফাউন্ডেশনের নিয়োগকৃত চিফ হিট অফিসার বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় বলেন, এই কালার কোডেড হিটওয়েভ অ্যালার্ট সিস্টেমের মাধ্যমে নগরের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা চিহ্নিত করে ও সেই সব জনগোষ্ঠীর জন্য আগাম প্রস্তুতি নিতে সহায়তা করবে। বিশেষ করে পরবর্তীতে সবার ঢাকা অ্যাপে এই হিটওয়েভ অ্যালার্ট সিস্টেমের সংযোজন খুব যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত।
এ ছাড়াও তিনি উল্লেখ করেন, এই পোর্টালের বিশেষ সুবিধা যেটা তা হলো, ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার মানুষের কাছে সরাসরি সবার ঢাকা অ্যাপের মাধ্যমে অ্যালার্ট চলে যাবে এবং করণীয় সম্পর্কে জানানো হবে। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের সহযোগিতায়, সিটি কর্পোরেশনের চিহ্নিত ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে বেশ কয়েকটি হিটওয়েভ প্রচারণা চালানো হয়েছে। এ সকল কার্যক্রমের প্রেক্ষিতে এবং হিটওয়েভজনিত ক্ষতি প্রতিরোধ করতে এই পূর্বাভাস পোর্টালের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
কর্মশালায় অংশ নেন বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরে পরিচালক আজিজুর রহমান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের পরিচালক নেতাই চন্দ্র দে সরকার, প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের কর্মকর্তাগণ। রাইমসের কান্ট্রি প্রোগ্রাম লিড, রায়হানুল হক খানসহ বিভিন্ন এনজিও ও আইএনজিও থেকে বিভিন্ন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
কর্মশালায় বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান তার স্বাগত বক্তব্যে বর্তমান সময়ে চলমান হিটওয়েভের বৈরী প্রভাব ও সেক্ষেত্রে এই নতুন পোর্টালের প্রযুক্তিগত উপযোগিতা, উন্নতি এবং নির্ভরযোগ্যতার বিষয় তুলে ধরেন। তিনি সব অংশগ্রহণকারীকে সঠিক পূর্বাভাস গ্রহণের আহ্বান জানান এবং হিটওয়েভের ঝুঁকি মোকাবিলায় এই পোর্টালের তাৎপর্য তুলে ধরেন।
সবশেষে অংশগ্রহণকারী সদস্যগণ একটি উন্মুক্ত আলোচনা পর্বে অংশগ্রহণ করেন এবং পোর্টালের সঙ্গে জড়িত সংস্থাসমূহের কার্যক্রমের বিস্তর আলোচনা ও মতামত প্রদান করেন। সঙ্গে সঙ্গে ভবিষ্যতে এ সকল কার্যক্রমের মান আরও বৃদ্ধি করার অনুরোধ জানান, যেন দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার সতর্কীকরণ বার্তাসমূহ আরও সূক্ষ্ম, স্থানভিত্তিক ও বেশি লিডটাইম বা আগাম সময়ভিত্তিক করা হয়।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত সচিব) মীর খায়রুল আলম, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগে. জেনারেল মো মঈন উদ্দিন, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগে. ইমরুল কায়েস চৌধুরী।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজধানী
রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ শুক্রবার
সাপ্তাহিক ছুটির দিনে অনেকে পরিবার-পরিজন নিয়ে কেনাকাটা কিংবা ঘুরতে বের হন। কিন্তু গিয়ে যদি দেখেন মার্কেট বন্ধ, তাহলে মনটাই খারাপ হয়ে যায়। তাই বাসা থেকে বের হওয়ার আগে জেনে নিন শুক্রবার (২২ নভেম্বর) রাজধানীর কোন কোন এলাকায় দোকানপাট ও মার্কেট বন্ধ থাকবে।
বন্ধ থাকবে যেসব এলাকার দোকানপাট
বাংলাবাজার, পাটুয়াটুলী, ফরাশগঞ্জ, শ্যামবাজার, জুরাইন, করিমউল্লাহবাগ, পোস্তগোলা, শ্যামপুর, মীরহাজীরবাগ, দোলাইপাড়, টিপু সুলতান রোড, ধূপখোলা, গেণ্ডারিয়া, দয়াগঞ্জ, স্বামীবাগ, ধোলাইখাল, জয়কালী মন্দির, যাত্রাবাড়ীর দক্ষিণ-পশ্চিম অংশ, ওয়ারী, আহসান মঞ্জিল, লালবাগ, কোতোয়ালি থানা, বংশাল, নবাবপুর, সদরঘাট, তাঁতীবাজার, লক্ষ্মীবাজার, শাঁখারী বাজার, চাঁনখারপুল, গুলিস্তানের দক্ষিণ অংশ।
বন্ধ থাকবে যেসব মার্কেট
আজিমপুর সুপার মার্কেট, গুলিস্তান হকার্স মার্কেট, ফরাশগঞ্জ টিম্বার মার্কেট, শ্যামবাজার পাইকারি দোকান, সামাদ সুপার মার্কেট, রহমানিয়া সুপার মার্কেট, ইদ্রিস সুপার মার্কেট, দয়াগঞ্জ বাজার, ধূপখোলা মাঠ বাজার, চকবাজার, বাবুবাজার, নয়াবাজার, কাপ্তানবাজার, রাজধানী সুপার মার্কেট, দয়াগঞ্জ সিটি করপোরেশন মার্কেট, ইসলামপুর কাপড়ের দোকান, ছোট কাঁটারা, বড় কাঁটারা হোলসেল মার্কেট, শারিফ ম্যানসন, ফুলবাড়িয়া মার্কেট, সান্দ্রা সুপার মার্কেট।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজধানী
‘এতোগুলো পরিবার কী করে খাবে, কী করে চলবে?’
ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধের নির্দেশের বিরুদ্ধে রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন সড়কে অবস্থান নিয়েছেন অটোরিকশা চালকরা। সড়ক অবরোধ করে তারা আন্দোলন করছেন।
এসময় আন্দোলনরত অটোরিকশা চালকরা বলেন, এতোগুলো পরিবার কী করে খাবে, কী করে চলবে? অটোরিকশা বন্ধ করে এতগুলো পরিবার কি সরকার চালাবে?।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজধানী
ঢাকার সড়কে অটোরিকশা চালকদের অবরোধ, বন্ধ যান চলাচল
ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধের নির্দেশের বিরুদ্ধে রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন সড়কে অবস্থান নিয়েছেন অটোরিকশা চালকরা। সড়ক অবরোধ করে তারা আন্দোলন করছেন। ফলে বন্ধ হয়ে গেছে যান চলাচল। তাতে ভোগান্তিতে পড়েছেন মানুষজন।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সকালে আগারগাঁও, মহাখালী, মোহাম্মদপুর, ডেমরা এলাকায় অটোরিকশা চালকরা সড়ক বন্ধ করে দেন।
গত ১৯ নভেম্বর (মঙ্গলবার) ঢাকা মহানগর এলাকায় তিন দিনের মধ্যে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধে কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত।
আদালতের ওই নির্দেশনার পর পরের দিন বুধবার (২০ নভেম্বর) রাজধানীর দয়াগঞ্জ মোড়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন রিকশাচালকরা। এক পর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে রিকশাচালকদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে দুই পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। রিকশাচালকরা ওইদিন কয়েক ঘণ্টা রাজধানীর কাজীপাড়া ও শেওড়াপাড়া এলাকার মধ্যবর্তী স্থানে আন্দোলন করেন। তাতে ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ যাত্রীরা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজধানী
রাজধানীর যেসব এলাকায় গ্যাস থাকবে না কাল
নিয়মিত গ্যাস পাইপলাইন সংস্কারের কাজ করছে রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের এলাকায় গ্যাস বিতরণকারী সংস্থা তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন পিএলসি। গ্যাস পাইপলাইনের জরুরি কাজের জন্য আগামীকাল বৃহস্পতিবার পুরান ঢাকার কয়েকটি এলাকায় ১২ ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে। সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত গ্যাস পাবেন না ওই সব এলাকার গ্রাহকেরা।
আজ বুধবার পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এটি জানিয়েছে তিতাস গ্যাস।
এতে বলা হয়, ইসলামবাগ, রহমতগঞ্জ, লালবাগ ডিপিডিসি উপকেন্দ্র–সংলগ্ন এলাকায়, লাকসাম বাজার, চান্দিরহাট এলাকায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে। একই সময় আশপাশের এলাকায় গ্যাসের স্বল্পচাপ থাকতে পারে। সাময়িক অসুবিধার জন্য গ্রাহকের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছে তিতাস।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ফের ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ
রাজধানীর সায়েন্সল্যাব মোড় এলাকায় ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এখনো থেমে থেমে চলছে সংঘর্ষ।
সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের তাদের কলেজের প্রধান ফটকের সামনে এবং ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা সায়েন্সল্যাব মোড় এলাকায় অবস্থান নিয়েছেন। কিছুক্ষণ পরপরই একপক্ষ আরেকপক্ষকে ধাওয়া করছেন, ইট-পাটকেল ছুড়ছেন। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
ধানমন্ডি জোনের পুলিশের সহকারী কমিশনার তারিক মোস্তফা জানিয়েছেন, সংঘর্ষের ঘটনায় চারজন আহত হয়েছে। তাদের ঢাকা মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে চলতি বছরের ২৫ জানুয়ারি দুই কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া, মারামারি ও বাস ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
এমআই