আবহাওয়া
কোথাও তাপপ্রবাহ, কোথাও বৃষ্টির পূর্বাভাস
দেশের ৮ বিভাগে ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। এছাড়া দেশের পশ্চিমাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে বিরাজমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। আজ রবিবার বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেওয়া পূর্বাভাসে এসব কথা জানানো হয়েছে।
পূর্বাভাসে জানানো হয়, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে, সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
দেশের পশ্চিমাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে বিরাজমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। এছাড়া সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমে যেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে।
এর আগে শনিবার (৪ মে) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার জন্য দেশে আবারও ২৪ ঘণ্টার ‘হিট অ্যালার্ট’ জারি করে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এসময়ের মধ্যে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের আরও কিছু অঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে।
আবহাওয়াবিদ খোন্দকার হাফিজুর রহমানের সই করা ওই সতর্ক বার্তায় বলা হয়, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে চলমান মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে। একইসঙ্গে জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিকর পরিস্থিতিও অব্যাহত থাকতে পারে।
সোমবার যেমন থাকবে আবহাওয়া পরিস্থিতি
ওইদিন ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে এবং সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এর ফলে সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে যেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আগামী চারদিনের মধ্যে সারাদেশে বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা আরও হ্রাস পেতে পারে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আবহাওয়া
বায়ুদূষণে বিশ্বে তৃতীয় ঢাকা, মান খুবই অস্বাস্থ্যকর
জলবায়ু পরিবর্তনসহ নানা কারণে বিশ্বের বিভিন্ন শহরের বাতাসে দিন দিন দূষণ বাড়ছে। দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণের কবলে মেগাসিটি ঢাকাও। আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের তথ্যানুযায়ী ঢাকার আজকের বাতাস খুব অস্বাস্থ্যকর।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) সকাল ৯টার দিকে ২৯৮ স্কোর নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে আছে রাজধানী ঢাকা। যা দূষণের দিক থেকে ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত। একই সময়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ৪১২ স্কোর নিয়ে শীর্ষে রয়েছে ভারতের দিল্লি।
একই সময়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে বসনিয়া হারজেগোভিনার সারাজেভো, যার স্কোর ৩০৫ আর ২১৩ স্কোর নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে পাকিস্তানের লাহোর। এ ছাড়া পঞ্চম স্থানে রয়েছে কিরগিজস্তানের বিশকেক, যার স্কোর ২০২।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (আইকিউএয়ার) এ তালিকা প্রকাশ করে থাকে। প্রতিমুহূর্তের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বায়ু কতটুকু নির্মল বা দূষিত হচ্ছে, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দিয়ে আসছে। আর তাদের কোনো ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হতে পারে কি না, তা জানিয়ে থাকে।
একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ সহনীয় বা মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়। আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর।
১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়। একইভাবে একিউআই স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে খুবই অস্বাস্থ্যকর বলে বিবেচনা করা হয়। আর ৩০১-এর বেশি হলে তা দুর্যোগপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়।
বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে। এটা সব বয়সী মানুষের জন্য ক্ষতিকর। তবে শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি, প্রবীণ ও অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য বায়ুদূষণ খুবই ক্ষতিকর।
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের ৫টি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকার বায়ুদূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো- ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলা।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অরগানাইজেশন (ডব্লিউএইচও) অনুসারে, বায়ুদূষণের ফলে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যানসার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের কারণে মৃত্যুহার বেড়ে গিয়েছে। এর ফলে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আবহাওয়া
শৈত্যপ্রবাহ নিয়ে যা জানালো আবহাওয়া অধিদফতর
দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় শনিবারের (২৩ নভেম্বর) মধ্যে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে আগামী কয়েক দিনে দেশের তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা রয়েছে।
শুক্রবার (২২ নভেম্বর) সকালে আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ শাহনাজ সুলতানার সই করা পূর্বাভাসে এ তথ্য জানা গেছে।
সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দেশে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।
এ সময় শেষ রাত থেকে ভোর পর্যন্ত দেশের উত্তরাঞ্চলের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়বে।
এ সময় সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
শাহনাজ সুলতানা জানান, লঘুচাপের প্রভাবে সাগরে ঢেউ বাড়বে। আগামী ডিসেম্বরে মাঝামাঝি উত্তরাঞ্চলে এক থেকে দুটি শৈত্যপ্রবাহ থাকতে পারে।
সাধারণত তাপমাত্রা যদি ৮ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়, তখন তাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়। আর যদি তাপমাত্রা ৬ দশমিক ১ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকে, তবে তা হয় মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ। তীব্র শৈত্যপ্রবাহ হয় তখনই, যখন তাপমাত্রা থাকে ৪ দশমিক ১ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। আর তাপমাত্রা ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেলে হয় অতি তীব্র শৈত্যপ্রবাহ।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আবহাওয়া
শীত নিয়ে যা জানাল আবহাওয়া অফিস
সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা ধীরে ধীরে কমছে। সেইসঙ্গে ভোরে হালকা ও মাঝারি কুয়াশা পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
সংস্থাটি জানিয়েছে, আজ বুধবার (২০ নভেম্বর) সকাল থেকে আগামীকাল সকাল পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে, তবে চট্টগ্রাম বিভাগের দু এক জায়গায় হালকা বৃষ্টি অথবা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
এ সময় শেষ রাত থেকে ভোর পর্যন্ত সারাদেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
আবহাওয়াবিদ কাজী জেবুন্নেছা জানান, এখন রাতের বেলা শীত অনুভূত বেশি হচ্ছে। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে বিকাল থেকে সকাল পর্যন্ত শীতের আভাস থাকে। তবে রাজধানীতে আপাতত রাতে শীত অনুভূত হলেও দুপুর বেলায় তাপমাত্রা একটু বেশি থাকে।
তিনি আরো বলেন, আগামীকাল বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় হালকা বৃষ্টি/গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ভোরে সারাদেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
জেবুন্নেছা আরো জানিয়েছেন, আগামী সপ্তাহের শুরুর দিকে সাগরে আরো একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে।
আবগাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য মতে, আজ সকালে তেতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় ছিল ১৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল দেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩২.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আবহাওয়া
ঢাকায় মাস্ক পরে চলাফেরার পরামর্শ আইকিউএয়ারের
বিশ্বে বায়ুদূষণে প্রথম দশটি শহরের তালিকায় উঠে এসেছে ঢাকার নাম। বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বিশ্বের ১২১টি শহরের মধ্যে বায়ুদূষণে রাজধানী ঢাকা রয়েছে নবম স্থানে। দূষিত বাতাসের ক্ষতি থেকে রক্ষা পেতে মাস্ক ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছে আইকিউএয়ার।
বায়ুদূষণের পরিস্থিতি নিয়ে কাজ করছে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। লাইভ বা তাৎক্ষণিক সূচক এর মাধ্যমে কোন শহরের বাতাস কতটা দূষিত, তা নিয়ে মানুষকে তথ্য দেয় ও সতর্ক হতে সাহায্য করে এই প্রতিষ্ঠান।
আইকিউএয়ারের বাতাসের মানসূচক অনুযায়ী ঢাকার স্কোর ১৭০, যা মূলত অস্বাস্থ্যকর হিসেবে ধরে নেওয়া হয়। তবে বুধবার তুলনায় এই স্কোর অনেকটাই কম। বৃহস্পতিবার ঢাকার দূষিত বাতাসের ক্ষতি থেকে রক্ষা পেতে আইকিউএয়ার পরামর্শ দিয়েছে মাস্ক ব্যবহার করার।
সংস্থাটি বলছে, ঘরের বাইরে বের হলে অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে। খোলা স্থানে ব্যায়াম করা থেকে বিরত থাকতে হবে; ঘরের জানালা বন্ধ রাখতে হবে। সংস্থাটির তথ্যমতে, বৃহস্পতিবার ঢাকার বাতাস যে কোনো মানুষের স্বাস্থ্যের জন্যই বেশ ক্ষতিকর।
একই সময় ৬৯২ স্কোর নিয়ে বায়ুদূষণে প্রথম অবস্থানে ছিল পাকিস্তানের লাহোর। দ্বিতীয় স্থানে ভারতের দিল্লি, স্কোর ছিল ৫০৫।
ঢাকার বাতাস দূষণের প্রধান উপাদান অতিক্ষুদ্র বস্তুকণা বা পিএম ২.৫-এর উপস্থিতি। বৃহস্পতিবার এর উপস্থিতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মান মাত্রার চেয়ে ১৬ শতাংশ বেশি।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আবহাওয়া
তীব্র শীত নিয়ে যা জানাল আবহাওয়া অফিস
ভোর হলেই দেখা মিলে চারিদিকে ছড়িয়ে আছে কুয়াশা। যা জানান দিচ্ছে আর কদিন পরেই আসছে শীত। বলা হচ্ছে নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়েই শীত পড়তে পারে।
এবারের শীতে মৃদু, মাঝারি ও তীব্র মিলে ১৩টির মতো শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, তীব্র শীত অনুভূত হতে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় লেগে যেতে পারে। উত্তরাঞ্চলে এ সময় থেকে ঘন কুয়াশার সঙ্গে শীত অনুভূত হতে পারে। যদিও এরই মধ্যে গ্রামাঞ্চল ও নদী তীরবর্তী এলাকায় কুয়াশা পড়তে শুরু করেছে।
তবে রাজধানীতে শীত আসতে পারে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকে। হঠাৎ করেই তীব্র শীতের সময় থাকে টানা ৩ থেকে ৪ দিন। পৌষ ও মাঘ এই দুই মাসে এরকম দেখা যায়। গত মৌসুমে খুব বেশি তীব্র শৈত্যপ্রবাহ ছিল না, কিন্ত কুয়াশার কারণে পরিবেশ অস্বাভাবিক ছিল। অবশ্য এবার শীত মৌসুমে দেশে ৮ থেকে ১০টি মৃদু (তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস) থেকে মাঝারি (৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস) ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
এছাড়া দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে ২-৩টি তীব্র শৈত্যপ্রবাহ (৪ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস) বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। অবশ্য তীব্র শীতের আগে দেশে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের আভাস রয়েছে। এ সময় বঙ্গোপসাগরে ২ থেকে ৫টি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে, যার মধ্যে ১-২টি নিম্নচাপ ও ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে।
এ সময়ে দিন ও রাতের তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে কমতে পারে। তবে দিন ও রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিক অপেক্ষা কিছুটা বেশি থাকতে পারে।
এমআই