জাতীয়
পরিবেশ সাংবাদিকতায় সুরক্ষা নিশ্চিত করবে সরকার: তথ্য প্রতিমন্ত্রী

পরিবেশ সাংবাদিকতার সুরক্ষায় প্রতিষ্ঠানিক উদ্যোগের কথা উল্লেখ করে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেছেন, পরিবেশ নিয়ে সাংবাদিকতা চর্চা করতে গিয়ে তৃণমূলে, গ্রামে-গঞ্জে, মফস্বলে যদি কোনো সাংবাদিক বা কোনো প্রতিবেদক স্থানীয় বা তথাকথিত প্রভাবশালী দ্বারা যদি কোনো ধরণের সমস্যায় পড়েন, সেক্ষেত্রে সরকার সেই সাংবাদিকদের বা প্রতিবেদকদের পূর্ণাঙ্গ সমর্থন, সহযোগিতা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করবে। এর কারণ জাতীয়ভাবে এবং কেন্দ্রীয়ভাবে সরকারের অবস্থান পরিবেশ সুরক্ষার পক্ষে।
শনিবার (৪ মে) দুপুরে রাজধানীতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস ২০২৪ উপলক্ষ্যে জাতীয় প্রেস ক্লাব আয়োজিত ‘জলবায়ু রাজনীতির প্রেক্ষিত ও গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী একথা জানান।
তিনি বলেন, পরিবেশকে বিপর্যয়ে ফেলার জন্য বাংলাদেশ সবচেয়ে কম দায়ী কিন্তু বড় শিকার। যে কারণে বাংলাদেশকে বিশ্বমঞ্চে নেতৃত্বের ভূমিকা নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পৃথিবীর যেকোনো প্লাটফর্মে আমরা এ বিষয়ে উচ্চকন্ঠ থাকি এবং এখানে একটা অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রক্রিয়ায় আমরা কাজ করি সরকার, সুশীল সমাজ,গণমাধ্যম সবাইকে নিয়ে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের ভেতরে ব্যক্তি বা গোষ্ঠী স্বার্থে যদি কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী পরিবেশকে বিপর্যয়ের সম্মুখে ফেলেন এবং সেই বিষয় নিয়ে সাংবাদিকতা করতে গিয়ে কোন সাংবাদিক বা প্রতিবেদককে বিপদে পড়তে হয়, সরকার তাদের পাশে দাঁড়াবে এবং তাদের সুরক্ষা দেওয়ার পূর্ণাঙ্গ ব্যবস্থা করবে। দরকার হলে এ বিষয়টি নিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগ নেওয়া হবে। কারণ, সরকার মনে করে সাংবাদিকতা চর্চা করতে গিয়ে যারা স্থানীয় পর্যায়ে বিচ্যুতি-ব্যত্যয়ের বিষয়গুলো তুলে ধরবেন তারা সরকারকে সহযোগিতা করছেন, দেশ ও জনগণকে সহযোগিতা করছেন।
তিনি আরও বলেন, আমরা পরিবেশ-প্রতিবেশকে মাথায় রেখে টেকসই উন্নয়ন করতে চাই। আমরা যেমন পরিবেশের সুরক্ষা করতে চাই, তেমনি পরিবেশ-প্রতিবেশের সুরক্ষা করে অর্থনৈতিক উন্নয়ন চালিয়ে রাখতে চাই, এগিয়ে যেতে চাই। অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে অনেকে বিতর্ক তৈরির অপচেষ্টা করে থাকে। পরিবেশকে অনেক ক্ষেত্রে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করা হয়। উন্নয়ন-অগ্রগতিকে থামিয়ে দেওয়ার জন্য পরিবেশকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে যদি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সাংবাদিকতা হয়, সেটা পেশাদার সাংবাদিকতা বলা যায় না।
তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, যারা সততা, সাহসিকতা এবং পেশাদারিত্বের সাথে সাংবাদিকতা করবেন তাদের জন্য বেশ কিছু প্রাতিষ্ঠানিক সুরক্ষা থাকা দরকার। সাংবাদিকতার সাথে যারা সম্পৃক্ত তাদের কল্যাণে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুদান দিয়ে এ ট্রাস্টের কার্যক্রম শুরু করেছিলেন। সত্যিকার অর্থে যারা সাংবাদিকতা পেশার সাথে সম্পৃক্ত, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে তাদের নিয়ে আমরা কাজ করতে চাই। সাংবাদিকদের সুরক্ষার জন্য এ ধরণের আরও কিছু উদ্যোগ নেয়া হবে। সাংবাদিকদের আর্থিক স্বাধীনতা তৈরির জন্য যে ধরনের পলিসি নেওয়া দরকার সেটা নিয়েও সরকার কাজ করছে।
রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস (আরএসএফ)-এর করা বিশ্ব সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা সূচকে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক অবস্থান প্রসঙ্গে এ সময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, আরএসএফ-এর সূচক প্রকাশ ভালো উদ্যোগ। তবে তাদের মেথডোলজির মধ্যে অনেক দুর্বলতা আছে। আরএসএফ বিভিন্ন দেশে স্কোরিং করার ক্ষেত্রে যাদের মতামত নিচ্ছে, তাতে কিছু মানুষের মতামতের প্রতিফলন ঘটছে। সেটা কোনভাবেই গোটা দেশের গণমাধ্যমের স্বাধীনতার পরিবেশের প্রতিফলন হচ্ছে না। এটা কোনো দেশের ক্ষেত্রেই হচ্ছে না। তবে একইসাথে এ ধরণের প্রতিবেদনে কোন সত্য বা আমাদের দুর্বলতা থাকলে সেটা বিবেচনায় নিয়ে শুধরে নেয়ার চেষ্টা করা হবে।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও সংসদ সদস্য ফরিদা ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ওমর ফারুক ও ডিপ্লোমেটিক করেসপন্ডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ এর সভাপতি নুরুল ইসলাম হাসিব আলোচনা সভায় বক্তব্য প্রদান করেন। আলোচনা সভায় ‘জলবায়ু রাজনীতি: সাংবাদিকদের ভূমিকা’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ব্র্যাকের জলবায়ু পরিবর্তন কর্মসূচির পরিচালক ড. মো. লিয়াকত আলী।
এর আগে, সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস ২০২৪ উপলক্ষ্যে সম্পাদক পরিষদ আয়োজিত অপর এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী।
আলোচনা সভায় তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকারের অবস্থান মূলত পরিবেশ সুরক্ষার পক্ষে। শুধু পরিবেশ সুরক্ষা না, মুক্ত গণমাধ্যম, গণমধ্যমের সুরক্ষা এবং গণমাধ্যমের পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতা নিশ্চিত করার বিষয়ে আমাদের অঙ্গীকার আছে এবং থাকবে। তবে রাজনীতিতে যেমন অনেক ক্ষেত্রে অপরাজনীতি আছে, বিভিন্ন পেশায় যেমন কিছু নেতিবাচক দিক আছে, এমনি তথ্যের সাথেও আমরা অপতথ্যের বিস্তৃতি অনেক সময় দেখি। সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে অপসংবাদিকতাও আমরা দেখি যেকোন বিষয়কে কেন্দ্র করে। এটি কিন্তু শুধু আমি বলছি না আমাদের সাংবাদিক বন্ধুরাও বলেন।
এ সময় প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, গণমাধ্যম যত মুক্ত হবে, তারা স্বাধীনতা যতো চর্চা করবে এবং অপতথ্যের বিপরীতে যতো তথ্যের প্রবাহ বৃদ্ধি পাবে ততই সমাজে গুজব, অপপ্রচার এগুলো রোধ হবে। সরকার মনে করে গণমাধ্যম এবং পেশাদার সাংবাদিকতা সরকারের বন্ধু। তারা সরকারকে সহযোগিতা করেন।
কাফি

জাতীয়
চামড়া পাচার-পুশ ইন ঠেকাতে কঠোর অবস্থানে বিজিবি

সীমান্তের নিরাপত্তা বিধান ও দেশের অভ্যন্তরীণ আইনশৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি কোরবানির পশুর চামড়া পাচার রোধে সীমান্ত এলাকায় কঠোর অবস্থানে রয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
শনিবার (৭ জুন) বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো.শরীফুল ইসলাম এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।
বিজ্ঞপ্তিতে তিনি বলেন, সীমান্তের নিরাপত্তা বিধান ও দেশের অভ্যন্তরীণ আইনশৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি কোরবানির পশুর চামড়া পাচার রোধে সীমান্ত এলাকায় কঠোর অবস্থানে রয়েছে বিজিবি। এছাড়া সীমান্ত দিয়ে ‘পুশ ইন’ প্রতিরোধেও সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বিজিবি।
এরই ধারাবাহিকতায় ঈদের দিনেও বিজিবি সদস্যরা ‘সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী’ হিসেবে সীমান্তে কঠোর নজরদারি ও টহল তৎপরতা জোরদার করে দায়িত্ব পালন অব্যাহত রেখেছে বলে জানানো হয়।
জাতীয়
ঈদের দ্বিতীয় দিনেও চলছে পশু কোরবানি

ঈদুল আজহার দ্বিতীয় দিনেও রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে পশু কোরবানি চলছে। ধর্মীয় বিধান অনুযায়ী ঈদের দিন ও পরবর্তী দুই দিন অর্থাৎ ১২ জিলহজ পর্যন্ত কোরবানি করার সুযোগ রয়েছে।
ধর্মীয় বিধান অনুযায়ী সুযোগ থাকায় এবং ঈদের দিন কসাই না পাওয়ায় অনেকেই আজ কোরবানি দিচ্ছেন। ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে ঈদের দিনের কোরবানির পশুর বর্জ্য রাতের মধ্যেই অপসারণ করা হয়েছে।
রাজধানীর বাসিন্দারা কোরবানি অব্যাহত রাখলে সোমবার (৯ জুন) পর্যন্ত সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা বর্জ্য অপসারণের কাজ করবেন। এতে রাজধানীর বাসিন্দারা তাদের সুবিধামতো সময়ে কোরবানি দিতে পারছেন।
রোববার (৮ জুন) সকালে ঢাকার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ফজরের নামাজ শেষ হওয়ার অল্প পর থেকেই কোরবানির প্রস্তুতি নেন অনেকে। ঈদের আগেই পশু কিনে রেখে আজ তারা কোরবানি দিচ্ছেন।
রামপুরার বাসিন্দা মাহমুদুল হাসান বলেন, ঢাকার বেশিরভাগ মানুষ ঈদের দিন কোরবানি দেন। এতে কসাইদের অনেক ব্যস্ততা থাকে। দেখা দেয় কসাই সংকট। তাই আমরা আগে থেকেই ঠিক করেছি দ্বিতীয় দিনে কোরবানি করবো।
তিনি বলেন, আজ খুব নিরিবিলি পরিবেশে কোরবানি দিতে পারছি। ফজরের নামাজের পরে হুজুর এসে গরু জবাই দিয়ে গেছেন। কসাইরা মাংস বানানোর কাজ শুরু করে দিয়েছেন। আশা করছি সকল ১০টার মধ্যে সব কাজ শেষ করতে পারবো।
মাহমুদুল হাসান আরও বলেন, ঈদের দিন কোরবানি দিলে যা হবে ঈদের পরের দিন কোরবানি দিলেও তাই হবে। ধর্মীয় বিধান অনুযায়ী তিনদিন কোরবানি দেওয়া যায়। আর কোরবানি দেওয়া প্রধান উদ্দেশ্য আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন। আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্যই কোরবানি দিচ্ছি, এখন কবুল করার মালিক তিনি নিজেই।
রামপুরার আর এক বাসিন্দা শরিফুল ইসলাম বলেন, ইচ্ছা ছিল ঈদের দিনই গরু কোরবানি দেবো। কিন্তু কসাই না পাওয়ায় আজ কোরবানি দিচ্ছি। শুধু আমরা না, অনেকেই কসাই সংকটে আজ কোরবানি দিচ্ছেন।
তিনি বলেন, ঈদের দিন কোরবানি দিতে পারিনি, তা নিয়ে কোনো আক্ষেপ নেই। তবে অন্যদের কোরবানি দেওয়া দেখে বাচ্চাদের মন একটু খারাপ হয়েছিল। এখন ওরা আবার হাসি খুশি। বাচ্চাদের খুশিই তো আমাদের খুশি। আর কোরবানি দেওয়া হয় আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায়। কার দোয়া, কার কোরবানি কবুল হবে আল্লাহ ছাড়া কেউ কেউ জানে না।
খিলগাঁওয়ে বাসিন্দা মো. হাসান বলেন, ঈদের দিন এবং পরের দুদিন পশু কোরবানি দেওয়া যায়। কোরবানি দেওয়া জন্য এই তিনদিনই সমান। কোনদিন সওয়াব বেশি কম হওয়ায় সুযোগ নেই। গতকাল যারা কোরবানি দিয়েছেন তাদের উদ্দেশ্য ছিলো আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন, আজ আমরা যারা কোরবানি দিচ্ছি তাদের উদ্দেশ্যও আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন।
তিনি বলেন, কোরবানির মাংস তিনভাগ করতে হয়। আমরা ধর্মীয় বিধান মেনে মাংস তিনভাগ করে, যার যা অংশ বুঝিয়ে দেবো। এখন কবুল করার মালিক আল্লাহ।
মো. হাসান আরও বলেন, আমাদের গরুর মাংস বানানোর কাজ যে কসাই করছে, গত বছরও এই কসাই দিয়ে কাজ করিয়েছিলাম। এদের কাজ ভালো। গতকাল ওরা অনেক ব্যস্ততা ছিলেন। বিকেলে আমাদের কাজ করতে চেয়েছিলেন। আমরা বলেছি বিকেলে না করে আজ করতে। আল্লাহর রহমতে এখন নিরিবিলি পরিবেশে কোরবানি দিতে পারছি।
এদিকে, ঈদের দিনের কোরবানির বর্জ্য রাতের মধ্যেই অপসারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ। আজ ও আগামীকাল সিটি করপোরেশনের বর্জ্য অপসারণ কাজ চলমান থাকবে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন থেকে জানানো হয়েছে, ঈদের দিন ৭৫টি ওয়ার্ডে এক লাখ ৩৩ হাজার ৩১৭টি পশু কোরবানি করা হয়। কোরবানি শেষ করার পর নাগরিক পর্যায় থেকে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ করে প্রতিটি ওয়ার্ডের সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশনে স্থানান্তর করা হয়।
পরবর্তীতে ডাম ট্রাকের মাধ্যমে মাতুয়াইল স্যানিটারি ল্যান্ডফিলে চূড়ান্তভাবে ডাম্প করা হচ্ছে। এরই মধ্যে ৩০ হাজার টন লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে প্রায় ১২ হাজার টন বর্জ্য মাতুয়াইল স্যানিটারি ল্যান্ডফিলে ডাম্পিং করা হয়েছে।
কোরবানির বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় এবার ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১০ হাজারের অধিক জনবল মাঠ পর্যায়ে কাজ করেছে। ২০৭টি ডাম্প ট্রাক, ৪৪টি কম্পেক্টর, ৩৯টি কন্টেইনার ক্যারিয়ার, ১৬টি পে-লোডারসহ বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রমে ৭৫টি ওয়ার্ডে মোট ২০৭৯টি যানবাহন নিয়োজিত রয়েছে।
এছাড়া নগরবাসীর মধ্যে প্রায় ৪৫ টন ব্লিচিং পাউডার, ৫ লিটার ধারণক্ষমতার ২০৭টি স্যাভলনের গ্যালন এবং এক লাখ ৪০ হাজার বায়োডিগ্রেডেবল ব্যাগ বিতরণ করা হয়েছে।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ গতকাল সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলন ডেকে জানান, উত্তর সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে ৭ হাজার ৮০০ টন বর্জ্য সংগ্রহ করে ডাম্পিং করা হয়েছে। যা কোরবানি উপলক্ষে উৎপন্ন হওয়া বর্জ্যের ৮৫ শতাংশ।
তিনি বলেন, আগামী দুইদিনও বর্জ্য অপসারণের কাজ চলমান থাকবে। ঢাকাবাসী তাদের সুবিধা মতো সময়ে কোরবানি দেবেন। সকাল, বিকেল, রাত সব সময় আমাদের পরিষ্কার কার্যক্রম চলবে।
সন্ধ্যার মধ্যে প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ ৮৫ শতাংশ বর্জ্য অপসারণের কথা জানালেও পর রাতে জানানো হয়, রাত সাড়ে নয়টার মধ্যে সব বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে।
জাতীয়
ঈদের দ্বিতীয় দিনে চলবে যেসব ট্রেন

পবিত্র ঈদুল আজহার দ্বিতীয় দিনে দেশের বিভিন্ন রুটে চলবে বেশ কিছু আন্তঃনগর, মেইল, কমিউটার ও লোকাল ট্রেন। বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চল উভয় জোনের অধীনে থাকা ট্রেনগুলোর মধ্যে একাংশ ঈদের দিন বন্ধ থাকলেও ঈদের দ্বিতীয় দিনে অনেক ট্রেনই চলাচল করবে। মূলত, যাত্রীদের সুবিধার্থে পূর্বাঞ্চলে অধিকাংশ আন্তঃনগর ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, পূর্বাঞ্চল জোনে ঈদের দ্বিতীয় দিনে চলবে অন্তত ২০টি আন্তঃনগর ট্রেন। এগুলোর মধ্যে রয়েছে—৭০৯/৭১০ পারাবত এক্সপ্রেস, ৭০৭/৭০৮ তিস্তা, ৭৩৫/৭৩৬ অগ্নিবীণা, ৭৪৯ ও ৭৫০ নম্বর এগারোসিন্ধুর গোধূলী ও প্রভাতী, ৭০৩/৭০৪ মহানগর গোধূলী/প্রভাতী, ৭১৮/৭৩৯ জয়ন্তিকা/উপবন, ৭৪৫/৭৪৬ যমুনা, ৭৪৩/৭৪৪ ব্রহ্মপুত্র, ৭৪১/৭৪২ তূর্ণা, ৭২৯/৭৩০ মেঘনা, ৭১৯/৭২০ পাহাড়িকা, ৭২৩ উদয়ন, ৭৮৫/৭৮৬ বিজয়, ৭১১/৭১২ উপকূল, ৭৭৮/৭৭৭ হাওর, ৮১৩/৮১৪ কক্সবাজার, ৮১৫/৮১৬ পর্যটক এক্সপ্রেস, ৮২১/৮২৪ সৈকত এবং ৮২২/৮২৩ প্রবাল এক্সপ্রেস।
এছাড়া পূর্বাঞ্চলে সব মেইল, কমিউটার ও লোকাল ট্রেন চালানোর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তবে ২২৪ নম্বর একটি ট্রেন বন্ধ থাকবে।
আর পশ্চিমাঞ্চল জোনে ঈদের দ্বিতীয় দিনে চলবে— ৭০৫/৭০৬ রূপসা, ৭১৩/৭১৪ সাগরদাঁড়ি, ৮১০ নকশিকাঁথা, ৭১৫/৭১৬ চিত্রা, ৭৩৩/৭৩৪ সীমান্ত, ৭৪৭/৭৪৮ টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেস, ৭৫৬/৭৫০ বনলতা, ৯৬০৭৭৮৯, ৯৯০, ৭২৫ পদ্মা, ৭৮০ ধলেশ্বরী, ১০৯, ১১০, ৮২৫/৮২৬ মধুমতি এক্সপ্রেস, ৮২৭/৮২৮ রাধিকা, ৭৮৩/৭৮৪ লালমনি, ৭৯৪/৭৯৩ রূপান্তর এবং ৮০৩ নম্বর আরও একটি আন্তঃনগর ট্রেন। এছাড়া সব মেইল এক্সপ্রেস, কমিউটার ও লোকাল/মিক্সড ট্রেনগুলো চালু থাকবে।
অবশ্য, ঈদের ছুটিতে যাত্রীচাপ মোকাবিলায় পূর্বাঞ্চলের বেশ কয়েকটি আন্তঃনগর ট্রেনে অতিরিক্ত কোচ যুক্ত করছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। এর মধ্যে পারাবত এক্সপ্রেস (৭০৯/৭১০) ট্রেনে যুক্ত হচ্ছে দুটি কোচ—ডাব্লিউ-ই-সি-০১ ও ডাব্লিউ-জে-সি-০১। এতে অতিরিক্ত ৮০ জন যাত্রীর বসার ব্যবস্থা হবে। তিস্তা এক্সপ্রেসেও (৭০৭/৭০৮) একই ধরনের দুটি কোচ যুক্ত হওয়ায় বাড়ছে সমানসংখ্যক আসন। অগ্নিবীণা এক্সপ্রেসে (৭৩৫/৭৩৬) একটি ডাব্লিউ-ই-সি-০১ কোচ সংযোজনের মাধ্যমে ৬০টি আসন বাড়ানো হয়েছে।
উপবন এক্সপ্রেসে (৭৩৯/৭৪০) যুক্ত হচ্ছে একটি ডাব্লিউ-ই-সি-০১ কোচ, এতে আসন সুবিধা বাড়ছে আরও ৬০টি। মেঘনা এক্সপ্রেস (৭২৯/৭৩০)-এ ডাব্লিউ-ই-০১সহ অন্যান্য মিলে যুক্ত হয়েছে সর্বোচ্চ সংখ্যক অতিরিক্ত আসন, যা প্রায় ৩৯৮টি। পাহাড়িকা এক্সপ্রেসে (৭১৯/৭২০) দুটি ভিন্ন ধরনের কোচ—ডাব্লিউ-জে-সিসি-০১ এবং ডাব্লিউ-ই-সি-০১ যুক্ত হয়ে যাত্রীরা পাচ্ছেন প্রায় ৬০টি আসন সুবিধা।
জয়ন্তিকা এক্সপ্রেসে (৭১৭/৭৪০) একটি ডাব্লিউ-ই-সি-০১ কোচ, বিজয় এক্সপ্রেসে (৭৮৫/৭৮৬) দুটি ডাব্লিউ-ই-সি-০২ কোচ এবং উপকূল এক্সপ্রেসে (৭১১/৭১২) একটি ডাব্লিউ-জে-সিসি-০১ কোচ সংযোজন করা হয়েছে। এতে প্রতিটি ট্রেনে গড়ে ৫০ থেকে ৬০টি আসন বৃদ্ধি পেয়েছে।
এছাড়া হাওর এক্সপ্রেসে (৭৭৮/৭৭৭) দুটি ভিন্ন ধরনের কোচ— ডাব্লিউ-এফ-সি-০১ ও ডাব্লিউ-ই-০১ যুক্ত হয়ে এসেছে প্রায় ৬০টি আসন। রাধিকা এক্সপ্রেস (৭৯৪/৭৯৩), যমুনা এক্সপ্রেস (৭৪৫/৭৪৬) ও সৈকত এক্সপ্রেস (৮২১/৮২৪)-এও যুক্ত হচ্ছে ডাব্লিউ-ই-সি-০১ কোচ, প্রতিটিতেই রয়েছে ৬০টি করে আসন।
ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেসে (৭৪৩/৭৪৪) ডাব্লিউ-জে-সিসি-০১ কোচ যুক্ত হয়ে এসেছে প্রায় ৫৫টি আসন। কক্সবাজারগামী জনপ্রিয় ট্রেন ৮১৩/৮১৪ নম্বর কক্সবাজার এক্সপ্রেসে ডাব্লিউ-আই-সি-০২ এবং ডাব্লিউ-জে-সিসি-০১ কোচ যুক্ত হয়ে প্রায় ৯৫টি অতিরিক্ত আসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পর্যটক এক্সপ্রেসে (৮১৫/৮১৬) ডাব্লিউ-জে-সিসি-০১ ও ডাব্লিউ-ই-সি-০১ কোচ যুক্ত হয়ে এসেছে মোট ১১৫টি অতিরিক্ত আসন। প্রবাল এক্সপ্রেসেও (৮২২/৮২৩) রয়েছে ডাব্লিউ-এফ-সি-০২ কোচ, যা যুক্ত করেছে প্রায় ৩৬টি আসন।
বাংলাদেশ রেলওয়ে জানিয়েছে, এই অতিরিক্ত কোচগুলো যুক্ত হয়েছে গত ৩ জুন, যা সেবা দেবে আগামী ১৪ জুন পর্যন্ত।
জাতীয়
ঢাকা উত্তরের ৮৫ শতাংশ বর্জ্য অপসারণ হয়েছে: প্রশাসক

ঈদুল আজহার প্রথম দিন সন্ধ্যার মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৮৫ শতাংশ কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ।
শনিবার (৭ জুন) সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশানে অবস্থিত নগর ভবনে এক সংবাদ সম্মেলন ডেকে তিনি এ কথা জানান।
প্রশাসক এজাজ বলেন, কোনো ওয়ার্ডেই শতভাগ বর্জ্য অপসারণ করা সম্ভব হয়নি। তবে রাস্তায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে ময়লা পড়ে নেই। প্রধান সড়কগুলোর পাশে সব ময়লা আমরা পরিষ্কার করেছি।
তিনি বলেন, এরই মধ্যে আমরা সাত হাজার ৮০০ টন বর্জ্য সংগ্রহ করে ডাম্পিং করেছি। যা কোরবানি উপলক্ষে উৎপন্ন হওয়া বর্জ্যের ৮৫ শতাংশ। আগামী তিন দিন আমাদের বর্জ্য অপসারণের কার্যক্রম চলবে।
জাতীয়
ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ২৬ জন

গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে ২৬ জন দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। শনিবার (৭ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গু বিষয়ক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি কর্পোরেশনের বাইরে) তিনজন, ঢাকা বিভাগে (সিটি কর্পোরেশনের বাইরে) ১০ জন, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে চার জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে সাতজন এবং ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি কর্পোরেশনের বাইরে) দুইজন রয়েছেন।
২৪ ঘণ্টায় ১৭ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। চলতি বছরে এ যাবত মোট চার হাজার ৪৮৬ জন রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন।
চলতি বছরে এ পর্যন্ত মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে চার হাজার ৯৩০ জন। এর মধ্যে ৫৯ দশমিক পাঁচ শতাংশ পুরুষ এবং ৪০ দশমিক পাঁচ শতাংশ নারী।
গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে কারো মৃত্যু হয়নি। চলতি বছরে এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ২৩ জন মারা গেছেন।
২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে ১ লাখ ১ হাজার ২১৪ জন এবং ডেঙ্গুতে মারা গেছেন ৫৭৫ জন।