পুঁজিবাজার
ডেরিভেটিভ পণ্য ঝুঁকি হ্রাসের কার্যকর হাতিয়ার: ডিএসই এমডি
![ডেরিভেটিভ পণ্য ঝুঁকি হ্রাসের কার্যকর হাতিয়ার: ডিএসই এমডি বার্জার](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/05/dse-1.jpg)
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. এটিএম তারিকুজ্জামান বলেছেন, আর্থিক খাতের ডেরিভেটিস পণ্য বাংলাদেশের জন্য খুবই সময়োপযোগী। ডেরিভেটিভ পণ্যগুলো অত্যন্ত পরিশীলিত পণ্য এবং ঝুঁকি হ্রাসের জন্য একটি কার্যকর হাতিয়ার যা পুঁজিবাজারের তারল্য প্রবাহ এবং ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় অধিকতর দক্ষতা প্রদান করে অর্থনীতিতে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করে।
তিনি বলেন, ডিএসই তার পণ্যের বৈচিত্র্যকরণ আনতে আগ্রহী। আমরা নিয়ম ও বিধি প্রণয়নের জন্য বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সাথে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করছি এবং খুব শিগগিরেই ডেরিভেটিভ মার্কেট শুরু করার জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিচ্ছি।
গাজীপুরের ব্র্যাক সিডিএমে দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত ‘ফিন্যান্সিয়াল ডেরিভেটিভস অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড প্লাটফর্ম’ শীর্ষক কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। ডিএসই কর্তৃক আয়োজিত বিএসইসি, সিডিবিএল, সিসিবিএল, মার্চেন্ট ব্যাংক এবং এ্যাসেট ম্যানেজম্যান্ট কোম্পানির শীর্ষ নির্বাহীদের অংশগ্রহণে গত ২ ও ৩ মে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএসইসির কমিশনার মোঃ আব্দুল হালিম এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডিবিএর প্রেসিডেন্ট সাইফুল ইসলাম।
ডিএসইর এমডি ড. তারেক বলেন, বিশ্বের বেশিরভাগ উন্নত স্টক এক্সচেঞ্জের বিভিন্ন ধরনের ডেরিভেটিভস পণ্য রয়েছে। ডেরিভেটিভ মার্কেটের আকার ইক্যুইটি বাজারের তুলনায় বহুগুণ বেশি। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে দেশী এবং বিদেশী বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করার জন্য পণ্যের বৈচিত্র্যের ক্ষেত্রে তার পার্শ্ববতী এক্সচেঞ্জের সাথে তাল মিলিয়ে চলার জন্য কাজ করছে। এছাড়া আরো কিছু আইন, টেকনিক্যাল এবং অবকাঠামো বিষয়সহ বেশ কিছু কাজ করতে হবে। তবে এর বাইরেও আরো গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয় ট্রেনিং এবং আলোচনা যা আমরা করছি। এর মাধ্যমে এই পণ্য সম্পর্কে আমরা বিস্তারিত জানতে পারবো। এই ধরনের ট্রেনিং প্রোগ্রাম অব্যাহত থাকবে যাতে করে আমরা ডেরিভেটিবস পণ্য খুব দ্রুত বাজারে চালু করতে পারি।
কর্মশালার উদ্দেশ্য নিয়ে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, আমরা যখন কাজ শুরু করি তখন আমাদের এই মার্কেট খুবই ছোট ছিল। সে সময় আন্তর্জাতিক অনেক বড় মার্কেট দেখার সুযোগ হয় তার তুলনায় এই মার্কেট কিছুই ছিল না। তখন ভাবতাম এবং আশা করতাম যে আমাদের পুঁজিবাজার বড় হবে। কিন্তু এখনও বড় হয়নি। বাজার এখনো শিশু অবস্থায় রয়ে গেছে। মার্কেট এই অবস্থা হওয়ার কারণ হচ্ছে, আমাদের মার্কেটে পণ্য কম, ইক্যুইটি কেন্দ্রিক বাজার। এখানে বিনিয়োগের নতুন কোন ক্ষেত্র নেই এবং নতুন কোন পণ্য নেই। ফলে দেশে দেশী ও বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়ে। এখন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন মিলে ডেরিভেটিভস পণ্য চালুর উদ্যোগ নিয়েছে। এই পণ্য চালুকরণে টেকনিক্যাল ও অবকাঠামো তৈরিতে কাজ করবে।
কর্মশালার বিষয়বস্তুর ওপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডিএসই’র উপ-মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম ভুঁইয়া। মূল প্রবন্ধে তিনি ডেরিভেটিবসের প্রকারভেদ, ডেরিভেটিভ মার্কেটের তাৎপর্য ও প্রভাব, বিশ্বব্যাপী ডেরিভেটিভস মার্কেট বৃদ্ধির কারণ, এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ডেরিভেটিভস-এর বৈশিষ্ট্য, ডেরিভেটিভস মার্কেটে সেটেলমেন্টের ধরণ, ফরোয়ার্ড এবং ফিউচারের মধ্যে পার্থক্য, ফরোয়ার্ড কনট্রাক্টের সীমাবদ্ধতা, ফিউচার কনট্রাক্টের সীমাবদ্ধতা, ফিউচার ট্রেডিংএর বিভিন্ন টার্মিনলজি, ফিউচার কন্ট্রাক্টের স্পেসিফিকেশন, ফিউচার ও অপশনের মধ্যে পার্থক্য, অপশনস ট্রেডিং এর বিভিন্ন টার্মিনোলজি, অপশন ট্রেডিং এর সুবিধা, অপশনের মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি, অপশন কন্ট্রান্টের স্পেসিফিকেশন, অপশন ট্রেডিং এর কৌশল, ডেরিভেটিভস ব্যবহার, হেজিং ও এর প্রকারভেদ, মৌলিক ঝুঁকি, ক্রস হেজ ও এর সাথে যুক্ত ঝুঁকি, হেজিং এর সীমাবদ্ধতা, এক্সচেঞ্জ প্লাটফর্মে ফিউচারস অ্যান্ড অপশনস ট্রেডিংয়ে জড়িত পক্ষসমূহ, ডেরিভেটিভস ট্রেডিং প্রক্রিয়া, ফিউচার ও অপশনের জন্য স্টক ও সূচক নির্বাচনের মানদন্ড, বিভিন্ন ধরনের কর্পোরেট অ্যাকশন ব্যবস্থাপনা, রিস্ক ম্যানেজমেন্ট, মার্জিন ম্যানেজমেন্ট, ইনিশিয়াল মার্জিন, মেইনটেনেন্স মার্জিন ও মার্জিন কল, মার্জিনের পেমেন্ট, বিভিন্ন ধরনের ক্লিয়ারিং অ্যান্ড সেটেলমেন্ট, সেটেলমেন্টের প্রক্রিয়া এবং সর্বোপরি এক্সচেঞ্জ ডেরিভেটিভস চালুকরনে পূর্বপ্রস্তুতি নিয়ে আলোকপাত করেন।
নাসডাক মার্কেটপ্লেস টেকনোলজির হেড অব ট্রেডিং কার্ল স্লেজার প্রযুক্তি কীভাবে ডেরিভেটিভস ট্রেডিং এবং ব্যবসায়িক সুবিধা নিয়ে আসে এবং ডেরিভেটিভস ট্রেডিং এর বাজার ব্যবস্থা এবং অনুশীলন সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স ডিপার্টমেন্টের অধ্যাপক ড. মাহমুদ ওসমান ইমাম ফিউচারস ও অপশনস বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনায় অপশনসের ট্রেডিং স্ট্রাটেজিং, রিটার্ণ বৃদ্ধির কৌশল, কভার্ড কল, ভ্যালু প্রটেকশন স্ট্রাটেজি, বুল, বিয়ার ও বাটারফ্লাই ট্রেড, লং ও সর্ট স্ট্রাংগেল, অপশন প্রাইসিং মেথডস, ব্লাক-সোলস মডেল, বায়নোমিয়াল ট্রি মডেল, কন্ট্রোল ভ্যারিয়েট টেকনিক, ফিউচার প্রাইসিং, ফিউচার কন্ট্রাকটস, প্রাইসিং ফরোয়ার্ড, স্টক ইনডেক্স, ইনডেক্স আরবিট্রেজ, প্রাইসিং ফরোয়ার্ড বনাম ফিউচারস, লং অ্যান্ড সর্ট পজিশনস, হেজিং প্রিন্সিপাল, শর্ট অ্যান্ড লং হেজ, পারফেক্ট হেজ, বেসিস অ্যান্ড বেসিস রিক্স, হেজ ফরোয়ার্ড বনাম ফিউচারস ও অপটিমাল হেজ রেশিও এর উপর আলোকপাত করেন।
কর্মশালার বিশেষ অতিথি ডিবিএর প্রেসিডেন্ট সাইফুল ইসলাম বলেন, দেশের পুঁজিবাজারে পণ্যের ভিন্নতা আনতে নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো পিছিয়ে রয়েছে। ডিএসইর বর্তমানে যে এমডি রয়েছে তার নেতৃত্বে কর্মকর্তাদের কাজ করার সুযোগ তৈরি করতে হবে। তিনি এর আগে বিএসইসিতে ছিলেন। এ বাজার সম্পর্কে তার অভিজ্ঞতা ও কাজের দক্ষতা আছে। তিনি এখানে কি সমস্যা আছে সেগুলো জানেন। সেক্ষেত্রে তার এই বিষয়গুলো কাজে লাগাতে পারলে আমরা একটি নতুন স্টক এক্সচেঞ্জ দেখব।
তিনি বলেন, পণ্যে ভিন্নতা আনতে অনেক আগে আলোচনা হয়েছে। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। সেই জন্য এ বাজারে কোনো মেধাবী থাকে না। কারণ যারা আসে, তারা এখানে কাজ করার মত কোনো নতুন পণ্য পায় না। আমাদের বাজার মূলত ইকুইটি কেন্দ্রিক। আর বর্তমানে বাজারে মাত্র ৪০০ কোম্পানি আছে যেখানে বাংলাদেশে কোম্পানির সংখ্যা ৪০ হাজারের বেশি। আর ১৮ কোটি মানুষের মধ্যে বিনিয়োগকারীর সংখ্যা মাত্র ১৭ লাখ। তাই এ জিনিসগুলো বিএসইসি ও ডিএসইর লক্ষ্য করা উচিত আসলে সমস্যা কোথায় আছে। তাই বাজার ভালো করতে হলে পণ্যে ভিন্নতা আনতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের মার্কেটে বন্ড নিয়ে অনেক আগ থেকে কাজ করা হচ্ছে। কিন্তু বিষয়টা এখনো ভালো করে কার্যকর হয়নি। আর এর অন্যতম কারণ হচ্ছে ট্যাক্স ইস্যু। এ বিষয় নিয়ে আমরা বিএসইসি ও এনবিআর একসাথে বসে সমাধান করার কথা বলে আসছি। এছাড়া সিসিবিএলের পাঁচ বছর হয়ে গেলেও এখনো কাজ শুরু হয়নি। আর সিসিবিএল ছাড়া পণ্যে ভিন্নতা খুবই চ্যালেঞ্জিং বিষয়। বর্তমানে সিসিবিলের সিংহভাগ শেয়ার ডিএসইর কাছে। এছাড়া আরো শেয়ারহোল্ডাররা আছেন। তারা এই বিষয়টিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেন। এছাড়াও আরো বেশ কিছু বিষয় আছে পণ্যে ভিন্নতা আনতে সেগুলো নিয়ে কাজ করা দরকার।
সাইফুল ইসলাম বলেন, আমাদের মার্কেটে পন্য কম থাকায় কেউ বিনিয়োগ করার সুযোগ পায় না। কেউ যখন শেয়ারে লাভ করে তখন বিক্রি করে টাকা নিয়ে যায়। কারণ তার কাছে বিনিয়োগের নতুন কোনো সুযোগ থাকে না। আজকে যদি নানা ধরনের পণ্য থাকত তাহলে শেয়ারে বিক্রি করে অন্য পণ্যে বিনিয়োগ করত। তাই বাজার ভালো রাখতে পণ্য ভিন্নতাল কোনো বিকল্প নেই। তাই এ নিয়ে কাজ শুরু করা উচিত বলে তিনি জানান।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বিএসইসির কমিশনার মোঃ আব্দুল হালিম তার বক্তব্যে বলেন, ডেরিভেটিবস নিয়ে আজকের ওয়ার্কশপই শেষ নয়। এটা নিয়ে আরো অনেক প্রোগ্রাম করতে হবে। বিশ্বের অনেকে দেশে এ বিষয়ে অনেক আগে থেকে চালু আছে। তাই যারা এ বিষয় নিয়ে কাজ করবেন তারা প্রয়োজনে সে সব দেশ থেকে শিক্ষা নিয়ে আসতে হবে। শুধুই ইক্যুইটি দিয়ে মার্কেট বড় হবে না। মার্কেট বড় করতে আরও বিভিন্ন ধরনের পণ্য দরকার। সিসিবিএলের কিছুটা চ্যালেঞ্জ রয়েছে। ইতোমধ্যে ডেরিভেটিবস নিয়ে কাজ শুরু করেছে এবং সিএসই কমোডেটিজ নিয়ে কাজ করছে।
তিনি বলেন, পুঁজিবাজারে যেসব উদ্যোগ নেয়া হয়েছে তাতে বাজার এ অবস্থায় থাকবে না। পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে অনেক ভালো হবে। বাহির থেকে কেউ এসে বাজার ভালো করে দেবে না। এখানে যারা আছে তাঁদেরকেই খুঁজে বের করতে হবে এখানে কি সমস্যা আছে, আর কি কাজ করা যায়। তাহলেই বাজার ভালো হবে। অর্থনীতিতে যে পরিবর্তন হয়েছে সে অনুযায়ী আমাদের রোল পরিবর্তন হওয়া উচিত। ২৫ সালের মধ্যে এই ডেরিভেটিস পণ্য চালু হবে বলে আমি আশাবাদী এরমধ্যে সিসিবিএলও তার কার্যক্রম শুরু করে দিবে৷
এ সময় ঢাকা ব্যাংক সিকিউরিটিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ নাফিজ আল তারিক এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফিন্যান্সিয়াল ডেরিভেটিভস এর বেসিক ফিচার, প্রকারভেদ অধীন প্রোডাক্টসমূহ,ট্রেডিং প্রক্রিয়া, জড়িত পক্ষ সমূহ; এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফিউচার এর বিনিয়োগকারী, ট্রেডিং-এ অংশগ্রহনকারী, ক্লিয়ারিং-এ অংশগ্রহনকারী, স্টক এক্সচেঞ্জ এর রেগুলেটর, সেন্ট্রাল কাউন্টার পার্টির ভূমিকা; এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফিউচারের ক্লিয়ারিং এন্ড সেটেলমেন্ট ফ্লো; ঝুঁকি সমূহ; ঝুঁকি ব্যাবস্থাপনা; এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফিউচার এর মালয়েশিয়া ও ভারতের উদাহরণ এবং বাংলাদেশ এর জন্য যা প্রয়োজন তা নিয়ে আলোকপাত করেন।
অনুষ্ঠানের সমাপনী বক্তব্যে ডিএসইর প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা সাত্বিক আহমেদ শাহ বলেন, সময়ের পরিবর্তনে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ সকল ক্ষেত্রেই পরিবর্ধিত ও পরিবর্তিত হচ্ছে। এই পরিবর্তনের অংশ হিসাবে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে পণ্য বৈচিত্রকরণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে পণ্য বৈচিএময় করার জন্য এবং বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি ভারসাম্যপূর্ণ পোর্টফোলিও গঠনের জন্য এই মুহূর্তে ডেরিভেটিভস মার্কেটের বিকল্প নেই৷
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
![](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2023/02/Logo_OS_250_72.webp)
পুঁজিবাজার
পেপার প্রসেসিং এন্ড প্যাকেজিং ব্যবসা সম্প্রসারণ করবে
![পেপার প্রসেসিং এন্ড প্যাকেজিং ব্যবসা সম্প্রসারণ করবে paper processing](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2022/11/paper-processing-packaging-limited.jpg)
পেপার প্রসেসিং এন্ড প্যাকেজিং লিমিটেড ব্যবসায়িক কার্যক্রম বহুমুখীকরণের মাধ্যমে ব্যবসার পরিধি বিস্তৃত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গত ১৬ জুলাই হাইব্রিড সিস্টেমে অনুষ্ঠিত হয়েছে কোম্পানির ৭ম বিশেষ সাধারণ সভা।
উক্ত সভায় পেপার প্রসেসিং ব্যবসায়িক কার্যক্রম বহুমুখীকরণের মাধ্যমে ব্যবসার পরিধি বিস্তৃত করার উদ্দেশ্যে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। মুদ্রণ ও প্রকাশনা ব্যবসার পাশাপাশি পেপার প্রসেসিং অবকাঠামো উন্নয়ন, রিয়েল এস্টেট, টেন্ডার ও সরবরাহ ব্যবসা, আমদানী-রপ্তানী এবং প্রযুক্তি খাতে ব্যবসা সম্প্রসারণ করবে। উপস্থিত শেয়ার হোল্ডারদের সর্বসম্মত সিদ্ধান্তক্রমে উপস্থাপিত প্রস্তাব অনুমোদিত হয়।
হাইব্রিড সিস্টেমে অনুষ্ঠিত এ বিশেষ সাধারণ সভায় পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পেপার প্রসেসিংয়ের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল মহিউদ্দিন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তফা জামাল মহিউদ্দিন, পরিচালকেরা, কোম্পানি সেক্রেটারি এবং কোম্পানির সিএফওসহ অন্যান্যরা।
৭ম সাধারণ সভায় অসংখ্য শেয়ারহোল্ডাররা উপস্থিত হয়ে কোম্পানির ব্যবসা বিস্তৃত করতে গৃহীত সিদ্ধান্তে সমর্থন দিয়েছেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
বার্জার পেইন্টসের লভ্যাংশ ঘোষণা
![বার্জার পেইন্টসের লভ্যাংশ ঘোষণা বার্জার](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/05/berger.jpg)
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিবিধ খাতের কোম্পানির বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেড সর্বশেষ হিসাববছরের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। কোম্পানিটি আলোচিত বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদেরকে ৫০০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেবে।
আজ শনিবার (২৭ জুলাই) অনুষ্ঠিত কোম্পানির পরিচারলনা পরিষদের বৈঠকে গত ৩১ মার্চ, ২০২৪ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর লভ্যাংশ সংক্রান্ত এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র অনুসারে, সর্বশেষ বছরে সমন্বিতভাবে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (সমন্বিত ইপিএস) হয়েছে ৬৯ টাকা ৯২ পয়সা। আগের বছর কোম্পানিটির সমন্বিত ইপিএস ছিল ৬৪ টাকা ৯১ পয়সা।
গত ৩১ মার্চ, ২০২৪ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ৩০৯ টাকা ৫৩ পয়সা।
আগামী ২ অক্টোবর কোম্পানিটির ৫১তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ১৮ আগস্ট।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
ডিএসইকে ৩৯৯ কোটি টাকা ফিরিয়ে আনার নির্দেশ বিএসইসির
![ডিএসইকে ৩৯৯ কোটি টাকা ফিরিয়ে আনার নির্দেশ বিএসইসির বার্জার](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2023/05/bsec-dse.jpg)
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ৫৭টি স্টক ব্রোকার ও ডিলার প্রতিষ্ঠান তাদের মূল ব্যবসার বাইরে বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগকৃত প্রায় ৪০০ কোটি টাকা মূল ব্যবসায় ফিরিয়ে আনার জন্য ডিএসইকে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এসব প্রতিষ্ঠান আমানত, জমি কেনা, একই গ্রুপের অন্য প্রতিষ্ঠানকে ঋণ প্রদান, অতালিকাভুক্ত কোম্পানিতে বিনিয়োগ, পরিচালকদের গাড়ি কেনার জন্য ঋণসহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করেছে।
সম্প্রতি এ বিষয়ে বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম স্বাক্ষরিত এক আদেশে আগামী অক্টোবরের মধ্যে এ অর্থ প্রতিষ্ঠানগুলোয় ফিরিয়ে আনতে ডিএসইকে নির্দেশ দেওয়া হয়।
বিএসইসির এই আদেশে বলা হয়েছে, ডিএসইর কমপ্লায়েন্স প্রতিবেদন এবং স্টক ব্রোকার ও ডিলার প্রতিষ্ঠানগুলোর নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী থেকে দেখা গেছে, এসব প্রতিষ্ঠান তাদের নিবন্ধিত মূল ব্যবসার বাইরে অন্য উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠানের অর্থ ব্যয় করছে। পুঁজিবাজারের স্বার্থে এ বিষয়ে ডিএসইকে দুটি নির্দেশনা দিয়েছে বিএসইসি। এর মধ্যে রয়েছে আগামী ৩১ অক্টোবরের মধ্যে স্টক ব্রোকার ও ডিলার প্রতিষ্ঠানগুলোর অন্য খাতে বিনিয়োগ করা অর্থ ফিরিয়ে এনে মূল ব্যবসায় ব্যবহার করতে হবে। অর্থ ফিরিয়ে এনে বিনিয়োগ করার বিষয়টি নজরদারির দায়িত্ব দেয়া হয়েছে ডিএসইকে। এ বিষয়ে নির্ধারিত তারিখের মধ্যে অর্থ ফেরত আসার সাত কার্যদিবসের মধ্যে বিএসইসির কাছে কমপ্লায়েন্স প্রতিবেদন পাঠাতে বলা হয়েছে ডিএসইকে। অবিলম্বে এ নির্দেশনা কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে বিএসইসি।
বিএসইসির তথ্যানুযায়ী, ৫৭টি স্টক ব্রোকার ও ডিলার প্রতিষ্ঠান তাদের মূল ব্যবসার বাইরে বিভিন্ন খাতে ৩৯৯ কোটি ৪৯ লাখ ৫২ হাজার ৫৫২ টাকা বিনিয়োগ করেছে।
মূল্য ব্যবসার বাইরে অন্য খাতে অর্থ বিনিয়োগ করা স্টক ব্রোকার ও ডিলার প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে এবি ইস্পাহানি সিকিউরিটিজ, এসিই ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট সার্ভিস, রশীদ ইনভেস্টমেন্ট সার্ভিসেস, দৌলতুন্নেসা ইকুইটিজ, রপিড সিকিউরিটিজ, এম-সিকিউরিটিজ, এরিজ সিকিউরিটিজ, ফার্স্ট ক্যাপিটাল সিকিউরিটিজ, মাল্টি সিকিউরিটিজ অ্যান্ড সার্ভিসেস, রয়েল গ্রিন সিকিউরিটিজ, লতিফ সিকিউরিটিজ, ইউনিরয়্যাল সিকিউরিটিজ, মো. ফখরুল ইসলাম সিকিউরিটিজ, সালতা ক্যাপিটাল, দায়তুন হোল্ডিংস, আইল্যান্ড সিকিউরিটিজ, ইতিহাদ সিকিউরিটিজ, সুরমা সিকিউরিটিজ হোল্ডিং কো., নভেলি সিকিউরিটিজ, সিএমএসএল সিকিউরিটিজ, নবিউল করিম সিকিউরিটিজ, এএনএফ ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি, ড্রাগন সিকিউরিটিজ, শেলটেক ব্রোকারেজ, রোজ সিকিউরিটিজ, আরএনআই সিকিউরিটিজ, মশিহুর সিকিউরিটিজ, কাজী ইকুইটিজ, আলহাজ জাহানারা সিকিউরিটিজ, মিডওয়ে সিকিউরিটিজ, কেএইচবি সিকিউরিটিজ, কসমোপলিটন ইকুইটিজ, ফরচুন সিকিউরিটিজ (প্রাইভেট) , শাকিল রিজভী স্টক, ইএমইএস সিকিউরিটিজ, পিস সিকিউরিটিজ, ট্রাস্টি সিকিউরিটিজ, মোনা ফাইন্যান্সিয়াল কনসালটেন্সি অ্যান্ড সিকিউরিটিজ, সাবভ্যালি সিকিউরিটিজ, ডরিন ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট, জিএমএফ সিকিউরিটিজ, গ্লোব সিকিউরিটিজ, আনোয়ার খান মডার্ন সিকিউরিটিজ, স্টক অ্যান্ড বন্ড, টোটাল কমিউনিকেশন, প্রাইলিংক সিকিউরিটিজ, অশাধী সিকিউরিটিজ, এডি হোল্ডিংস অ্যান্ড সিকিউরিটিজ, মিকা সিকিউরিটিজ, আকিজ ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট, ঢাকা সিকিউরিটিজ, প্রুডেনশিয়াল ক্যাপিটাল, বে রিচ, রহমান ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট, বিনিময় সিকিউরিটিজ, ইনোভা সিকিউরিটিজ ও গিবসন সিকিউরিটিজ।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
ইসলামী ব্যাংকের পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা
![ইসলামী ব্যাংকের পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা বার্জার](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2023/11/IBBL-islami-bank.jpg)
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ইসলামী ব্যাংক পিএলসি পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা করেছে। আগামী ৩০ জুলাই আড়াইটায় কোম্পানিটির পর্ষদ সভা অনুষ্ঠিত হবে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, আলোচিত সভায় ৩০ জুন,২০২৪ তারিখে সমাপ্ত দ্বিতীয় প্রান্তিকের (এপ্রিল’২৪-জুন’২৪) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে। পর্ষদ এ প্রতিবেদন অনুমোদন করলে তা প্রকাশ করবে কোম্পানিটি।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
পর্ষদ সভার তারিখ জানালো রূপালী ব্যাংক
![পর্ষদ সভার তারিখ জানালো রূপালী ব্যাংক বার্জার](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/05/rupali-bank-plc.jpg)
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত রূপালী ব্যাংক পিএলসি পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা করেছে। আগামী ৩১ জুলাই দুপুর ২টা ৪৫মিনিটে কোম্পানিটির পর্ষদ সভা অনুষ্ঠিত হবে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, আলোচিত সভায় ৩০ জুন,২০২৪ তারিখে সমাপ্ত দ্বিতীয় প্রান্তিকের (এপ্রিল’২৪-জুন’২৪) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে। পর্ষদ এ প্রতিবেদন অনুমোদন করলে তা প্রকাশ করবে কোম্পানিটি।
এসএম