পুঁজিবাজার
দর বৃদ্ধির শীর্ষে সিনোবাংলা ইন্ডাস্ট্রিজ

সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৫ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২০৭টির শেয়ারদর বেড়েছে। এর মধ্যে দর বৃদ্ধির শীর্ষে উঠে এসেছে সিনোবাংলা ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, বৃহস্পতিবার (০২ মে) ডিএসইতে সিনোবাংলার শেয়ারদর আগের কার্যদিবসের তুলনায় ৪ টাকা বা ৯ দশমিক ৯৫ শতাংশ বেড়েছে।
দর বৃদ্ধির দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে এপেক্স ট্যানারি। কোম্পানিটির শেয়ারদর ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ বেড়েছে। আর তৃতীয় স্থানে থাকা ফার কেমিক্যালের শেয়ারদর বেড়েছে ৯ দশমিক ৯০ শতাংশ।
বৃহস্পতিবার দর বৃদ্ধির শীর্ষে উঠে আসা অপর কোম্পানিগুলো হচ্ছে- জিপিএইচ ইস্পাত, মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজ, ন্যাশনাল পলিমার, ফেডারেল ইন্স্যুরেন্স, গোল্ডেন জুবিলি মিউচুয়াল ফান্ড, ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স এবং সিলভা ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেড।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পুঁজিবাজার
অতালিকাভুক্ত-তালিকাভুক্ত কোম্পানির কর ব্যবধান ১০ শতাংশ চায় বিএসইসি

পুঁজিবাজারে মৌলভিত্তিসম্পন্ন, লাভজনক ও স্বচ্ছ কোম্পানি আনতে তালিকাভুক্ত এবং অতালিকাভুক্ত কোম্পানির করহারের ব্যবধান নূন্যতম ১০ শতাংশ করার অনুরোধ জানিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ।
বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগে চিঠি পাঠান বিএসইসি চেয়ারম্যান। চিঠির অনুলিপি আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ও অর্থ উপদেষ্টার একান্ত সচিব বরাবর পাঠানো হয়।
চিঠিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের পুঁজিবাজার দীর্ঘদিন ধরেই মৌলভিত্তিসম্পন্ন, লাভজনক ও স্বচ্ছ কোম্পানির অভাবে ভুগছে। এর ফলে বাজারের গভীরতা অত্যন্ত সীমিত, যা দীর্ঘমেয়াদে একটি কার্যকর ও স্থিতিশীল পুঁজিবাজার গঠনের পথে বড় বাধা। এই পরিস্থিতিতে দেশের পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারীদের আকর্ষণ করতে ব্যর্থ হচ্ছে, বিশেষ করে প্রাতিষ্ঠানিক ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের। বাংলাদেশে বহু লাভজনক দেশি ও বহুজাতিক কোম্পানি রয়েছে, যাদের ব্যবসা শক্তিশালী এবং আয়ও উল্লেখযোগ্য। তবে এসব কোম্পানির অধিকাংশই এখনো পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়নি। এর অন্যতম প্রধান কারণ হলো: তালিকাভুক্ত ও অ-তালিকাভুক্ত কোম্পানির মধ্যে করহারে উল্লেখযোগ্য পার্থক্যের অভাব। ২০২৪ সালের অর্থ আইন-এর তফসিল ২, অনুচ্ছেদ খ-এর দফা ক-এর অ অনুযাযী বর্তমানে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির করহার সাড়ে ২২ দশমিক ৫ শতাংশ এবং বর্ণিত অনুচ্ছেদ ও দফার ক-এর ঈ-অনুযায়ী অতালিকাভুক্ত কোম্পানির করহার সাড়ে ২৭ দশমিক ৫ শতাংশ (সংযুক্তি ১)। তালিকাভুক্ত ও অতালিকাভুক্ত কোম্পানির করহারে এই ব্যবধান মাত্র ৫ শতাংশ। যা ভালো ও মৌলিকভাবে শক্তিশালী কোম্পানিগুলোকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওযার ক্ষেত্রে আরও নিরুৎসাহিত করছে।
এতে আরও বলা হয়, যেসব কোম্পানি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়, তারা সাধারণত নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী প্রকাশ করে, সুশাসন মেনে চলে, এবং বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষা করে। করহারে ছাড় দেওয়ার মাধ্যমে এই দায়িত্ববান আচরণকে পুরস্কৃত করা সম্ভব হবে এবং অন্যান্য ভালো কোম্পানিগুলো তালিকাভুক্ত হওয়ার জন্য উৎসাহিত করবে। ভালো কোম্পানিগুলো তালিকাভুক্ত হলে বাজারে বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়ে, কারণ ভারা টেকসই আয় ও সুশাসনের আশ্বাস পায়। এটি বাজারকে দীর্ঘমেয়াদে স্থিতিশীল করে এবং বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ বাড়ায়। এছাড়া ভালো কোম্পানি তালিকাভুক্ত হলে পুঁজিবাজারে বিদেশি বিনিয়োগের পরিমানও উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ে। আপাতদৃষ্টিতে কর ছাড় মানেই রাজস্ব ঘাটতি মনে হলেও, তালিকাভুক্ত কোম্পানির সংখ্যা বাড়লে ব্যবসার পরিধি ও করনির্ভরতা উভয়ই বাড়ে। কর আদায়ে স্বচ্ছতা বাড়ে এবং দীর্ঘমেয়াদে মোট রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পায়। অনেক উন্নয়নশীল ও মধ্য-আয়ের দেশ, যেমন মালয়েশিয়া, ভিয়েতনাম, ভারত ইত্যাদি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির ক্ষেত্রে কর সুবিধা দিয়ে সফলভাবে ভালো কোম্পানিগুলোকে বাজারমুখী করেছে। বাংলাদেশে বর্তমানে অধিকাংশ করপোরেট প্রতিষ্ঠান ব্যাংক ঋণের ওপর নির্ভরশীল। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির মাধ্যমে মূলধন সংগ্রহের সুযোগ তৈরি হলে ব্যাংক খাতের ওপর চাপ কমে আসবে ও অর্থনৈতিক ঝুঁকি হ্রাস পাবে। অন্যদিকে বেশি সংখ্যক ও বৈচিত্র্যময় কোম্পানি তালিকাভুক্ত হলে বাজারের গুটি কয়েক কোম্পানির মূল্য ওঠানামার ওপর নির্ভরতা কমে যাবে। এতে সূচকের উঠানামায় অস্থিরতা হ্রাস পায়, যা বিনিয়োগকারীদের ইতিবাচক বার্তা দেয়।
দেশি-বিদেশি ও বহুজাতিক কোম্পানিসমূহ যাতে পুঁজিবাজার হতে মূলধন উত্তোলনে উৎসাহিত হয় সেজন্য করসুবিধা প্রদান আবশ্যক যা প্রণোদনা হিসেবে কাজ করবে। তালিকাভুক্ত কোম্পানিসমূহের সুশাসন প্রতিষ্ঠাসহ নানাবিধ খরচ বহন করতে হয বিধায তালিকাভুক্ত ও অতালিকাভুক্ত কোম্পানিসমূহের মধ্যে উপরিল্লিখিত করহারের ব্যবধান পূর্বের ন্যায় সর্বনিম্ন ১০ শতাংশ করার জন্য অনুরোধ করা হলো। এই পদক্ষেপ পুঁজিবাজারে গুণগতমানসম্পন্ন কোম্পানির অংশগ্রহণ নিশ্চিত করবে, বাজারকে অধিকতর শক্তিশালী, গতিশীল ও স্থিতিশীল করে তুলবে এবং দীর্ঘমেয়াদে দেশের আর্থিক খাতের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে আশা করা যায় বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
হাইডেলবার্গ ম্যাটারিয়েলসের লভ্যাংশ ঘোষণা

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সিমেন্ট খাতের প্রতিষ্ঠান হাইডেলবার্গ ম্যাটারিয়েলস বাংলাদেশ পিএলসি গত ৩১ ডিসেম্বর,২০২৪ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। কোম্পানিটি আলোচিত বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ২৫ শতাংশ হারে নগদ লভ্যাংশ দেবে।
বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) অনুষ্ঠিত কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে সর্বশেষ হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর লভ্যাংশ সংক্রান্ত এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, সমাপ্ত ২০২৪ সালে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ৮ টাকা ১৭ পয়সা আয় হয়েছে। আগের বছর শেয়ার প্রতি ৮ টাকা ১৩ পয়সা আয় হয়েছিল।
সর্বশেষ বছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো ছিল ৩৬ টাকা ২৬ পয়সা।
গত ৩১ ডিসেম্বর,২০২৪ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ৭২ টাকা ৮৭ পয়সা।
ঘোষিত লভ্যাংশ অনুমোদনের জন্য আগামী ১৬ জুন সকাল সাড়ে ১০টায় হাইব্রিড পদ্ধতিতে কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ২০ মে।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
‘রাশেদ কমিশনের ৮ মাসে যা ক্ষতি হয়েছে ১৫ বছরেও তা হয়নি’

পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের অপসারনের দাবিতে বুধবার (২৩ এপ্রিল) বিক্ষোভ করেছেন বাংলাদেশ বিনিয়োগকারীরা। বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেট ইনভেস্টর এসোসিয়েশনের ব্যানারে এই বিক্ষোভ করা হয়েছে।
এদিন দুপুর আড়াইটার দিকে রাজধানীর মতিঝিলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে সংগঠনটির নেতারাসহ সাধারণ বিনিয়োগকারীরা এই বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছেন।
এসময় এক সাধারণ বিনিয়োগকারী বলেন, রাশেদ মাকসুদ কমিশনের ৮ মাসে বিনিয়োগকারী যা ক্ষতি হয়েছে ১৫ বছরেও তা হয়নি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
রাশেদ মাকসুদকে দিয়ে বিনিয়োগকারীদের ওপর স্টিমরোলার চালাচ্ছেন অর্থ উপদেষ্টা

পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের অপসারনের দাবিতে বুধবার (২৩ এপ্রিল) বিক্ষোভ করেছেন বাংলাদেশ বিনিয়োগকারীরা। বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেট ইনভেস্টর এসোসিয়েশনের ব্যানারে এই বিক্ষোভ করা হয়েছে।
এদিন দুপুর আড়াইটার দিকে রাজধানীর মতিঝিলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে সংগঠনটির নেতারাসহ সাধারণ বিনিয়োগকারীরা এই বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছেন।
এসময় এক সাধারণ বিনিয়োগকারী বলেন, রাশেদ মাকসুদকে দিয়ে বিনিয়োগকারীদের ওপর স্টিমরোলার চালাচ্ছেন অর্থ উপদেষ্টা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
মুনাফায় রানার অটোমোবাইলস

পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত কোম্পানি রানার অটোমোবাইলস পিএলসি গত ৩১ মার্চ,২০২৫ তরিখে সমাপ্ত তৃতীয় প্রান্তিকের (জানুয়ারি’২৫-মার্চ’২৫) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) অনুষ্ঠিত কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের সভায় ওই প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর তা প্রকাশ করা হয়। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, সমাপ্ত তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪৩ পয়সা। গত অর্থবছরের একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) লোকসান ছিল ১ টাকা ৩৫ পয়সা।
অপরদিকে, অর্থবছরের তিন প্রান্তিকে (জুলাই’২৪-মার্চ’২৫) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ০৭ পয়সা। গত অর্থবছরের একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) লোকসান ছিল ৩ টাকা ৫৭ পয়সা।
সমাপ্ত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদ (এনএভি) হয়েছে ৬৫ টাকা ৯৬ পয়সা।
এসএম