জাতীয়
সর্বজনীন পেনশনের গ্রাহক এক লাখ ছাড়াল

সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচির (স্কিম) গ্রাহক এক লাখ ছাড়িয়েছে। ২০২৩ সালের ১৭ আগস্ট চালু হওয়ার ৮ মাস ১২ দিনের মাথায় এক লাখ গ্রাহকের এ মাইলফলক অর্জিত হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ। সোমবার কর্তৃপক্ষ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে আরও দাবি করেছে, এটি ‘উল্লেখযোগ্য অর্জন’।
বর্তমানে চালু রয়েছে চার ধরনের পেনশন কর্মসূচি। পেনশন কর্তৃপক্ষ জানায়, এগুলোতে আজ পর্যন্ত চাঁদা পরিশোধ করেছেন ১ লাখ ১ হাজার ৩৩৮ জন। চাঁদার পরিমাণ ৫২ কোটি ৩৮ লাখ ১২ হাজার ৫০০ টাকা।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সর্বজনীন পেনশনকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছাতে মাঠ প্রশাসনকে সক্রিয়ভাবে যুক্ত করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মাধ্যমে জাতীয়, বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে গঠন করা হয়েছে সর্বজনীন পেনশন কার্যক্রম বাস্তবায়ন ও সমন্বয় কমিটি এবং মাঠ প্রশাসনকে সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
পেনশন কর্তৃপক্ষ জানায়, বেশি চাঁদা জমা দিয়েছেন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবীরা। তাঁদের জন্য চালু করা প্রগতি স্কিমে ১৪ হাজার ৭৮৪ জন চাঁদা জমা দিয়েছেন ২৪ কোটি ২০ লাখ ৬ হাজার ৫০০ টাকা। বার্ষিক আয় ৬০ হাজার টাকার কম, এমন শ্রেণির মানুষের জন্য চালু হয়েছে সমতা স্কিম। এ স্কিমে চাঁদা দিয়েছেন ৫৪ হাজার ৪৫৫ জন। তাঁদের জমা দেওয়া চাঁদার পরিমাণ ৭ কোটি ২৮ লাখ ৫৯ হাজার টাকা।
প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য চালু রয়েছে প্রবাস স্কিম। এ স্কিমের আওতায় ৬৩৩ জনের জমা চাঁদার পরিমাণ ৩ কোটি ৫ লাখ ১২ হাজার ৫০০ টাকা। কৃষক, রিকশাচালক, শ্রমিক, কামার, কুমার, জেলে, তাঁতি ইত্যাদি পেশার ব্যক্তিদের জন্য চালু সুরক্ষা স্কিমের আওতায় ৩১ হাজার ৪৬৬ জন চাঁদা দিয়েছেন ১৭ কোটি ৮৪ লাখ ৩৪ হাজার ৫০০ টাকা। পেনশন কর্তৃপক্ষ জানায়, চাঁদা বাবদ জমা পড়া টাকার বেশির ভাগই ট্রেজারি বন্ডে বিনিয়োগ করা হয়েছে।
এমআই

জাতীয়
বিশ্ব র্যাংকিংয়ে তিন ধাপ এগিয়ে বাংলাদেশের পাসপোর্ট

হেনলি অ্যান্ড পার্টনার্স প্রকাশিত সর্বশেষ পাসপোর্ট র্যাংকিংয়ে এক ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশের পাসপোর্ট। ২০২৫ সালের মাঝামাঝি সময়ে র্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের পাসপোর্ট এখন ৯৪তম অবস্থানে রয়েছে। ২০২৪ সালের তুলনায় তিন ধাপ এগিয়ে। গত বছর এ পাসপোর্টের অবস্থান ছিল ৯৭তম।
মূলত ২০২১ সালে সর্বনিম্ন ১০৮তম অবস্থান থেকে বাংলাদেশের পাসপোর্ট ধীরে ধীরে উন্নতির দিকে এগিয়েছে। ২০২২ সালে এটি ছিল ১০৩তম, ২০২৩ সালে ১০১তম এবং এখন ২০২৫ সালে এসে পৌঁছেছে ৯৪তম স্থানে।
বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীরা বর্তমানে ৩৯টি দেশে ভিসা ছাড়াই ভ্রমণ করতে পারেন। এসব গন্তব্যের মধ্যে রয়েছে: বাহামা, বার্বাডোস, ভুটান, বলিভিয়া, ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ডস, বুরুন্ডি, কম্বোডিয়া, কেপ ভার্দে দ্বীপপুঞ্জ, কোমোরো দ্বীপপুঞ্জ, কুক দ্বীপপুঞ্জ, জিবুতি, ডমিনিকা, ফিজি, গ্রেনাডা, গিনি-বিসাউ, হাইতি, জ্যামাইকা, কেনিয়া, কিরিবাতি, মাদাগাস্কার, মালদ্বীপ, মাইক্রোনেশিয়া, মন্টসেরাট, মোজাম্বিক, নেপাল, মোজাম্বিক, রুয়ান্ডা, সামোয়া, সিসেলস, সিয়েরা লিওন, সোমালিয়া, শ্রীলঙ্কা, সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস, সেন্ট ভিনসেন্ট অ্যান্ড দ্য গ্রেনাডিনস, গাম্বিয়া, তিমুর-লেস্তে, ত্রিনিদাদ ও টোবাগো, টুভালু এবং ভানুয়াতু।
সবচেয়ে শক্তিশালী ও দুর্বল পাসপোর্ট
বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী পাসপোর্টের তালিকায় সিঙ্গাপুর আবারও শীর্ষে রয়েছে। সিঙ্গাপুরের পাসপোর্টধারীরা বিশ্বের ২২৭টি দেশের মধ্যে ১৯৩টি গন্তব্যে ভিসা ছাড়াই ভ্রমণ করতে পারেন।
দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া, যাদের নাগরিকরা ১৯০টি দেশে ভিসা ছাড়াই প্রবেশের সুবিধা পান।
তৃতীয় স্থানে রয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাতটি দেশ— ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি, আয়ারল্যান্ড, ইতালি ও স্পেন। এদের প্রত্যেকের পাসপোর্টধারীরা ১৮৯টি দেশে ভিসা ছাড়াই ভ্রমণ করতে পারেন।
চতুর্থ স্থানে যৌথভাবে রয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাতটি দেশ— অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম, লুক্সেমবার্গ, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, পর্তুগাল ও সুইডেন। এদের পাসপোর্টধারীরা ১৮৮টি দেশে ভিসা ছাড়াই প্রবেশ করতে পারেন।
পঞ্চম স্থানে রয়েছে নিউজিল্যান্ড, যা ইউরোপের বাইরে একমাত্র দেশ হিসেবে এই তালিকায় স্থান পেয়েছে। এই অবস্থানে নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে রয়েছে গ্রিস ও সুইজারল্যান্ড। এই তিন দেশের নাগরিকরা ১৮৭টি গন্তব্যে ভিসা ছাড়াই ভ্রমণের সুবিধা পান।
অন্যদিকে আফগানিস্তান এখনও পাসপোর্ট র্যাংকিংয়ের সবচেয়ে নিচের অবস্থানেই রয়েছে। আফগান নাগরিকরা মাত্র ২৫টি দেশে ভিসা ছাড়াই প্রবেশ করতে পারেন।
যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের পাসপোর্টের পতন
জানুয়ারির পর থেকে যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের পাসপোর্ট বিশ্ব র্যাংকিংয়ে এক ধাপ করে নামছে। এক সময় বিশ্বে সবচেয়ে শক্তিশালী পাসপোর্ট ছিল যুক্তরাজ্য (২০১৫ সালে) ও যুক্তরাষ্ট্রের (২০১৪ সালে)। বর্তমানে যুক্তরাজ্যের অবস্থান ৬ষ্ঠ, যেখানে তারা ১৮৬টি দেশে ভিসা ছাড়াই প্রবেশের সুযোগ রাখে। যুক্তরাষ্ট্র এখন ১০তম স্থানে অবস্থান করছে, যার পাসপোর্টধারীরা ১৮২টি দেশে ভিসা ছাড়াই ভ্রমণ করতে পারেন।
এদিকে গত ছয় মাসে ভারতের পাসপোর্ট র্যাংকিংয়ে সবচেয়ে বড় উন্নতি হয়েছে, যা ৮৫তম স্থান থেকে ৭৭তম স্থানে ওঠে এসেছে। যদিও ভারতের ভিসা-মুক্ত গন্তব্য মাত্র দুইটি বৃদ্ধি পেয়ে মোট সংখ্যা এখন ৫৯, তবুও র্যাংকিংয়ে বড় ধাপে উন্নতি হয়েছে।
গত দশকের দিকে তাকালে দেখা যায়, হেনলি পাসপোর্ট ইনডেক্সে অনেক পাসপোর্ট শক্তিশালী হয়ে র্যাংকিংয়ে উঠেছে, তবে মাত্র ১৬টি দেশের পাসপোর্ট অবস্থান হ্রাস পেয়েছে।
সবচেয়ে বেশি পতন হয়েছে ভেনেজুয়েলায়, যেটি ৩০তম স্থান থেকে ৪৫তম স্থানে নেমেছে, অর্থাৎ ১৫ ধাপ নিচে গেছে। এর পর রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র (৮ ধাপ), ভানুয়াতু (৬ ধাপ), যুক্তরাজ্য (৫ ধাপ) এবং কানাডা (৪ ধাপ)।
জাতীয়
অনলাইন এডিটরস অ্যালায়েন্স ও চায়না মিডিয়া গ্রুপের মধ্যে সমঝোতা

অনলাইন এডিটরস অ্যালায়েন্স এবং বাংলাদেশ-চায়না আপন মিডিয়া ক্লাবের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) রাজধানী ঢাকায় অবস্থিত সিএমজি বাংলার ঢাকা অফিসে এ সমঝোতা স্মারক সই হয়।
অনলাইন এডিটরস অ্যালায়েন্সের প্রেসিডেন্ট হাসান শরীফ এবং বাংলাদেশ-চায়না আপন মিডিয়া ক্লাবের প্রতিনিধি অলিভিয়া ছু নিজ নিজ সংগঠনের পক্ষে স্মারকে সই করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিএমজির বাংলা বিভাগে কর্মরত সাংবাদিক এবং অনলাইন এডিটরস অ্যালায়েন্সের নির্বাহী সদস্যরা।
অনুষ্ঠানে অনলাইন এডিটরস অ্যালায়েন্সের সব সদস্যকে স্বাগত জানিয়ে সিএমজির বাংলা বিভাগের পরিচালক ইউ কুয়াং ইউয়ে আনন্দী বলেন, বর্তমান এ প্রযুক্তির যুগে অনলাইন সাংবাদিকতার গুরুত্ব অনেক বেশি। তাই আপনাদের সঙ্গে এ সমঝোতা স্মারক সইয়ের মাধ্যমে চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও জোরদার হবে। এর মাধ্যমে আমরা প্রযুক্তি ও সাংবাদিকতার জ্ঞান আদান-প্রদান করব।
সংগঠনটির প্রেসিডেন্ট হাসান শরীফ অনুষ্ঠানে বলেন, আজকের এই সমঝোতা স্বাক্ষরের মাধ্যমে দুপক্ষ উপকৃত হবে। বিশেষ করে চীনের পর্যটন খাত, স্বাস্থ্য, শিক্ষা নানা বিষয়ে কাজ করার সুযোগ আছে। আমি এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানাই।
উন্মুক্ত আলোচনা সভায় সংগঠনটি সাংগঠনিক সম্পাদক পলাশ মাহমুদ বলেন, চীন সম্পর্কে জানার অনেক কিছু আছে। শুধু চীনকে কেন্দ্র করেই বিভিন্ন কাজ করা সম্ভব। চীনে অসংখ্য কন্টেন্ট রয়েছে, যেগুলো নিয়ে আমরা একসঙ্গে কাজ করতে পারি। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, সামনের দিনগুলোতে প্রযুক্তির পথে, উন্নয়নের পথে আমরা একসঙ্গে হাঁটতে চাই।
অনুষ্ঠানে দুই সংগঠন কীভাবে সাংবাদিকদের মধ্যে তথ্য বিনিময়, প্রশিক্ষণ কার্যক্রম, বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ডের মতো নানা বিষয়ে আরও সম্প্রীতি বাড়ানো যায় সে বিষয়ে আলোচনা করেন উপস্থিত অতিথিরা। এর মাধ্যমে উভয় দেশের সাংবাদিকতা পেশায় আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার এবং পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্র আরও প্রসারিত হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
জাতীয়
বৃহস্পতিবারের মধ্যে জুলাই সনদের জায়গায় পৌঁছাতে পারব: আলী রীয়াজ

আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে জুলাই সনদের জায়গায় পৌঁছাতে পারবেন বলে আশা করছেন ঐকমত্য কমিশনের সহ সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।
তিনি বলেন, প্রথম ধাপ ও দ্বিতীয় ধাপের সংলাপে ঐকমত্য হওয়া বিষয়গুলো আজ বা কালের মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পাঠানো হবে। আমরা ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে দ্বিতীয় ধাপের সংলাপ শেষ করতে চাই। আর ঐকমতের বিষয়গুলো সংযুক্ত করে পরশু দিনের (বৃহস্পতিবার) মধ্যে সনদের জায়গায় পৌঁছাতে পারব আশা করছি।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় ধাপের সংলাপের ২১তম দিনের সূচনা বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আজকের দিনের আলোচ্য সূচি— তত্ত্বাবধায়ক সরকার, সংসদে নারী প্রতিনিধিত্ব, মহা হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক এবং ন্যায়পাল নিয়োগের বিধান সম্পর্কিত।
বৈঠকে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে জুলাই সনদের খসড়া দেওয়ার কথা উল্লেখ করে আলী রীয়াজ বলেন, সেগুলোর মন্তব্যের জন্য অপেক্ষা করছি আগামীকাল পর্যন্ত। আশা করি প্রাথমিক পর্যায়ে যেগুলোতে ঐকমত্য হয়েছে সেগুলো আজ বা কালের মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পৌঁছে দিতে পারব। তার সঙ্গে এ পর্যন্ত (দ্বিতীয় ধাপের সংলাপ) যেগুলো ঐকমত্য হয়েছে সেগুলো সংযুক্ত করে পরশু দিনের মধ্যে সনদের জায়গায় পৌঁছাব।
তিনি বলেন, ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে আমরা যেভাবে হোক সনদের চূড়ান্ত রূপ অন্তত পক্ষে, যেসব বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে সেগুলো স্পষ্ট করতে হবে এবং সনদে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে কয়েকটি দলের নতুন প্রস্তাবের বিষয়ে আলী রীয়াজ আরও বলেন, সেগুলো সমন্বিত করে একটি প্রস্তাব আপনাদের সামনে হাজির করতে চাচ্ছি। কারণ প্রত্যেকটি দলের নিজস্ব বক্তব্য থাকবে, সেটি বিবেচনায় প্রস্তাবগুলো নিয়ে অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করছি।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারের সঞ্চালনায় বৈঠকে উপস্থিত আছেন- কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক, ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. আইয়ুব মিয়া।
জাতীয়
নির্বাচন বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়: চীনের রাষ্ট্রদূত

ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেছেন, বাংলাদেশে জাতীয় সরকার গঠন এবং জাতীয় নির্বাচন কখন হবে, তা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) জাতীয় প্রেস ক্লাবে ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ডিক্যাব) আয়োজিত ডিক্যাব টকে এ সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন রাষ্ট্রদূত।
ইয়াও ওয়েন বলেন, বাংলাদেশে জাতীয় সরকার গঠন হওয়া না হওয়ার বিষয়টি অভ্যন্তরীণ বিষয়। বাংলাদেশের নির্বাচন কখন হবে এটিও অভ্যন্তরীণ বিষয়।
তিস্তা বহুমুখী প্রকল্প বাস্তবায়নের চীন পুরোপুরি প্রস্তুত বলেও জানিয়েছেন রাষ্ট্রদূত। তিনি জানান, এই প্রকল্প বাস্তবায়নে চীন পুরোপুরি প্রস্তুত। এখন সিদ্ধান্ত নিতে হবে বাংলাদেশকে।
বাংলাদেশ, চীন ও পাকিস্তানের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় সহযোগিতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, চীন বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করতে আগ্রহী। আমাদের লক্ষ্য একটি উন্নত, সমৃদ্ধ এবং সার্বভৌম প্রতিবেশী গড়ে তোলা। এই উদ্যোগ তৃতীয় কোনো পক্ষবিরোধী নয়। দক্ষিণ এশিয়ার কোনো দেশ এ নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বেগ প্রকাশ করেনি।
ডিক্যাব সভাপতি এ কে এম মঈনুদ্দিনের সভাপতিত্বে ডিক্যাব টকে বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক আরিফুজ্জামান মামুন।
কাফি
জাতীয়
থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়ার যুদ্ধবিরতির ঘোষণাকে স্বাগত জানাল বাংলাদেশ

চার দিনের বেশি সময় ধরে পাল্টাপাল্টি হামলার পর থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার যুদ্ধবিরতির ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশ। মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়ার যুদ্ধবিরতিতে স্বাগত জানায়।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কোনো শর্ত ছাড়া থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া যুদ্ধবিরতিতে রাজি হওয়ায় বাংলাদেশ স্বাগত জানায়। সর্বোচ্চ রাজনৈতিক পর্যায়ে উভয়পক্ষের মধ্যে ফলপ্রসূ আলোচনার মধ্যস্থতার জন্য আসিয়ান চেয়ার মালয়েশিয়ার প্রশংসা করছে বাংলাদেশ। এছাড়া, এ যুদ্ধবিরতিতে থাইল্যান্ড এবং কম্বোডিয়ার অন্যান্য যেসব বন্ধুদের ভূমিকা রয়েছে তাদেরও প্রশংসা করছে বাংলাদেশ।
বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ আশাবাদী যে, থাইল্যান্ড এবং কম্বোডিয়া উভয়ই সংলাপ এবং কূটনীতির মাধ্যমে অসামান্য সীমান্ত নির্ধারণের নিষ্পত্তি অব্যাহত রাখবে এবং সীমান্তে উভয়পক্ষের জীবন ও জীবিকা নির্বাহের জন্য আক্রান্ত সীমান্ত অঞ্চলগুলোতে শান্ত ও স্থিতিশীলতা বজায় রেখে প্রাথমিক পুনরুদ্ধারের কাজ করবে।
শত বছরের বেশি পুরোনো সীমান্ত বিরোধের জেরে গত বৃহস্পতিবার শুরু হয় থাইল্যান্ড–কম্বোডিয়া সংঘাত। সংঘাত চলাকালে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ায় নিহত হয়েছেন অন্তত ৩৬ জন।
কাফি