Connect with us

লাইফস্টাইল

গরমে পানিশূন্যতা রোধে যে ১০ সবজি খাবেন

Published

on

ইপিএস

গ্রীষ্মের প্রচণ্ড দাবদাহে মাত্রাতিরিক্ত ঘামের কারণে শরীর আশঙ্কাজনক হারে পানি হারাতে শুরু করে। পরিণতিতে দেখা দেয় পানিশূন্যতা, যার দীর্ঘস্থায়ীত্ব স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে। মানবদেহের এই ভারসাম্যহীনতা মাথা ঘোরা, ক্লান্তি ও শুষ্ক মুখমণ্ডলের মতো উপসর্গের মাধ্যমে প্রকাশ পেতে শুরু করে।

অসহনীয় খরতাপের সময়টাকে মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে উচ্চ পানীয় উপাদান সমৃদ্ধ শাকসবজি। এই খাবারগুলো শরীরের হারানো পানি পুনরায় ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি দেহের রোগমুক্তিতেও সাহায্য করে। চলুন, তীব্র গরমে পানিশূন্যতা দূর করতে সেই শাকসবজিগুলোর ব্যাপারে জেনে নেওয়া যাক। যে সবজিগুলো তীব্র গরমে শরীরে পানির ঘাটতি মেটাতে সক্ষম-

শসা

প্রায় ৯৫ শতাংশ পানিতে পরিপূর্ণ শসা গরমের জন্য উপযোগী সবজিগুলোর মধ্যে অন্যতম। এছাড়াও এতে থাকা ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য এড়াতে সহায়তা করে। শসার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হচ্ছে বিটা ক্যারোটিন। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলো শরীরের ফ্রি র‍্যাডিকেলের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। ফ্রি র‍্যাডিকেল হলো জোড়াহীন ইলেকট্রন, যা কোষকে ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং বিভিন্ন ধরনের রোগের কারণ হতে পারে।

রোদের তীব্র রশ্মির কারণে ত্বকে রোদে পোড়া ব্যথা, ফোলাভাব এবং ত্বকের কোষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই অবস্থা থেকে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থায় সাহায্য করতে পারে শসা। চোখের নিচে এক বা দুই টুকরো শসা রাখলে চোখের কালো দাগ ও ফোলাভাব কমে আসে।

টমেটো

বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন ও পটাশিয়ামের আধার টমেটোতে পানির পরিমাণ প্রায় ৯৫ শতাংশ। লাইকোপিন নামক পদার্থ টমেটোর উজ্জ্বল লাল রঙের কারণ। শুধু তাই নয়, এই উপাদানের মধ্যে রয়েছে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ সৃষ্টিকারী বৈশিষ্ট্য। তাই এই ফলের রয়েছে মানবদেহের কোষকে ক্ষতি থেকে রক্ষা করার ক্ষমতা।

এই একই কারণে টমেটো ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী। লাইকোপিনের পাশাপাশি অন্যান্য উদ্ভিদ যৌগ রোদে পোড়া থেকে রক্ষার কাজে অংশ নেয়। স্মার্টফোন এবং কম্পিউটারের মতো ডিজিটাল ডিভাইস থেকে এক ধরনের নীল আলো নির্গত হয়, যা চোখের জন্য ক্ষতিকর। টমেটোতে থাকা লুটেইন এবং জিক্সানথিন নামক পদার্থ এই নীল আলোর বিরুদ্ধে চোখের সুরক্ষায় কাজে লাগে। উপরন্তু, এগুলো চোখের ক্লান্তি এবং চোখের উপর চাপ জনিত কারণে মাথাব্যথা উপশমে সাহায্য করতে পারে।

পালং শাক

তাজা, হিমায়িত, বাষ্প বা দ্রুত সিদ্ধ যে কোনো অবস্থায়ই পালং শাক বেশ পুষ্টিকর একটি খাবার। কাঁচা পালং শাকে রয়েছে ৯১ শতাংশ পানি, ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, আয়রন ও ফোলেট। এই শাকে থাকা লুটিন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বার্ধক্যজনিত কারণে চোখের রোগ ও ছানি পড়া থেকে রক্ষা করে।

এছাড়া লুটেইন চোখের লেন্সের উপর সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির নেতিবাচক প্রভাব প্রতিরোধ করতে সক্ষম। শরীরের ত্বকসহ নানা ধরনের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের টিস্যু বৃদ্ধির জন্য ভিটামিন এ অপরিহার্য, যা পালং শাকের অন্যতম উপাদান। শুধু তাই নয়, ভিটামিন এ ত্বকের পানিশূন্যতা দূর করতেও সক্রিয় ভূমিকা পালন করে। এর ফলে মুখে সূক্ষ্ম রেখা এবং বলিরেখা কমে যায়।

মূলা

মাঝারি পরিমাণ ভিটামিন সি সম্পন্ন কাঁচা মূলায় পানির অংশ ৯৫ শতাংশ। তবে এর পাতায় থাকে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, অ্যাসকরবিক অ্যাসিড। শিকড়ের চেয়ে পাতায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের পরিমাণ বেশি। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলোর মধ্যে রয়েছে ক্যাটিচিন, পাইরোগালল, ভ্যানিলিক অ্যাসিড এবং অন্যান্য ফেনোলিক যৌগ। এগুলো সম্মিলিতভাবে ক্যান্সারসহ বিভিন্ন রোগের বিরুদ্ধে শরীরকে রীতিমতো একটি প্রতিরক্ষা দূর্গে পরিণত করে।

এছাড়াও মূলায় রয়েছে কিডনি বিশোধনের ক্ষমতা। এটি পাকস্থলির বিভিন্ন এনজাইমকে সক্রিয়করণে সাহায্য করে। এই এনজাইমগুলো নানা ধরনের বিষক্রিয়া থেকে কিডনিসহ আভ্যন্তরীণ ব্যবস্থাকে মুক্ত রাখে।

ফুলকপি

৯২ শতাংশ পানি সম্পন্ন এই মৌসুমি সবজিটি সুপার ফুড নামে পরিচিত। শরীরের প্রয়োজনীয় পানির চাহিদা পূরণের পাশাপাশি ভিটামিন সি সমৃদ্ধ এই সবজি দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। ক্রুসিফেরাস সবজি হিসেবে ফুলকপি ফাইবারের একটি চমৎকার উৎস। ফাইবার স্বাস্থ্যকর হজম বজায় রেখে বিভিন্ন হজমজনিত রোগের ঝুঁকি কমায়। ফুলকপিতে থাকা উপাদানগুলো অন্ত্রে উপকারি ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধিতে অংশগ্রহণ করে। এই ব্যাকটেরিয়াগুলোর কারণে শরীরের প্রদাহ, হৃদরোগ, ডিমেনশিয়া ও স্থূলতার ঝুঁকি কমে।

ফুলকপি হলো কোলিনের অন্যতম সেরা উৎস। মেজাজ নিয়ন্ত্রণ, স্মৃতিশক্তি ও পেশী নিয়ন্ত্রণসহ অনেক স্বাস্থ্যকর স্নায়ুতন্ত্রের ক্রিয়াকলাপের জন্য কোলিন অপরিহার্য। শরীরে অভ্যন্তরে এই পুষ্টির প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে বয়স-সম্পর্কিত জ্ঞানীয় রোগ, কিডনির সমস্যা এবং হার্টের রোগের ঝুঁকি কমতে থাকে।

গাজর

ভিটামিন এ সমৃদ্ধ গাজরে প্রায় ৮৬ থেকে ৯৫ শতাংশ পানি থাকে। গাজরের বিটা ক্যারোটিন নামক রঞ্জকটি মূলত শরীরের অভ্যন্তরে ভিটামিন এ-তে পরিবর্তিত হয়। স্বাস্থ্যকর ত্বক বজায় রাখার জন্য বহুল পরিচিত পুষ্টিগুণ ভিটামিন এ। চামড়ার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে বিটা ক্যারোটিন ত্বককে রোদে পোড়া থেকে রক্ষা করে।

এছাড়া স্থূলতা, পানিশূন্যতা, বার্ধক্য জনিত বলিরেখাসহ নানা সমস্যা নিরসনে গাজরের অবদান অপরিসীম। গাজরে থাকা ভিটামিন সি শরীরকে কোলাজেন তৈরি করতে সহায়তা করে। কোলাজেন এমন একটি প্রোটিন যা ত্বকের গঠন, স্থিতিস্থাপকতা, শক্তি এবং কোষের পুনঃবৃদ্ধিতে অংশগ্রহণ করে। এছাড়া এর সূর্যের অতি-বেগুনি রশ্মি থেকে ত্বককে প্রতিরোধ করার ক্ষমতা রয়েছে।

পুদিনাপাতা

ভিটামিন এ এবং সি-এর পাশাপাশি ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, আয়রন এবং ফসফরাসের একটি সমৃদ্ধ উৎস পুদিনাপাতা। সতেজ পুদিনা পাতায় পানির পরিমাণ ৮৩.৮৫ শতাংশ। এই সবজির রয়েছে হালকা অ্যাস্ট্রিঞ্জেন্ট বৈশিষ্ট্য, যা ত্বকের সুস্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এটি মৃত ত্বকের কোষগুলোকে পরিষ্কার করে ত্বককে যে কোনো সংক্রমণ থেকে দূরে রাখে।

এছাড়াও পুদিনাপাতা ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখে এবং ত্বককে নরম রেখে প্রয়োজনীয় পানির চাহিদা পূরণ করে। এর ব্যাকটেরিয়া বিরোধী বৈশিষ্ট্য ত্বককে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ থেকে দূরে রাখে। ফলশ্রুতিতে মুখে ব্রণ ওঠা ও কালো দাগ দেখা দেওয়া ধীরে ধীরে কমে যেতে থাকে।

পেঁয়াজকলি

গ্রীষ্মের খরতাপে শরীরের প্রয়োজনীয় পানির চাহিদা মেটানোর উৎকৃষ্ট সবজি পেঁয়াজকলি, যার প্রায় ৮৯ ভাগ পানি। এতে থাকা অ্যামিনো অ্যাসিড স্বাস্থ্যকর ত্বকের কোষ তৈরি করতে সাহায্য করে। এই বৈশিষ্ট্যের কারণে ত্বকে যে কোনো লালভাব এবং ফোলাভাব দমন হয়। পেঁয়াজকলিতে থাকা ফ্ল্যাভোনয়েড ক্ষতিকর ফ্রি র‍্যাডিক্যালে বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য ব্রণ, কালো দাগ এবং ত্বকের জ্বালা কমাতে সহায়তা করে।

ভিটামিন সি-এর এই প্রাকৃতিক উৎস প্রদাহ-বিরোধী ক্ষমতার অধিকারী। এছাড়াও এটি মলমূত্রতন্ত্রের স্বাস্থ্যকর কোষগুলোর অম্লত্ব দূরীকরণে অংশ নেয়। এর ফলে শরীর থেকে বর্জ্য এবং অপ্রয়োজনীয় খাদ্যের অবশিষ্টাংশগুলো সঠিকভাবে নির্মূল হয়।

ঢেঁড়শ

ভিটামিন এ, ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ কাঁচা ঢেঁড়শে পানির পরিমাণ ৯০ শতাংশ। এই সবজি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এতে থাকা পটাসিয়ামের রয়েছে শরীরে পানির ভারসাম্য বজায় রাখার ক্ষমতা।

শরীরের অভ্যন্তরে বিষক্রিয়া নির্মূলে ঢেঁড়শের পানি বেশ কার্যকরী। এর উচ্চ ফাইবার সামগ্রী অন্ত্রের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার সুবিধা দেয়। ফাইবার হৃদপিণ্ডের স্বাস্থ্যের জন্যও অনেক উপকারী। এছাড়াও এটি পরিপাকতন্ত্রে কোলেস্টেরলের সঙ্গে আবদ্ধ হয়ে রক্ত প্রবাহে কোলেস্টেরলের শোষণ প্রতিরোধ করে। এতে করে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে আসে।

লাউ

প্রচুর পরিমাণে ফাইবার সমৃদ্ধ আরও একটি সবজি লাউ, যার ৯৬.১ শতাংশ পানি। পানিশূন্যতা নিরসণের পাশাপাশি এটি হজম এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের জন্য বেশ উপযোগী। লাউ একটি প্রাকৃতিক মূত্রবর্ধক। সেই সঙ্গে মূত্রনালীর রোগের চিকিৎসায় লাউয়ের ইতিবাচক প্রভাব রয়েছে। এছাড়াও কিডনির প্রদাহ নিরাময়, জন্ডিসের চিকিৎসা এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে লাউ বেশ কার্যকর।

ভিটামিন সি এবং জিঙ্কের একটি ভালো উৎস হওয়ায় এই সবজি ত্বকের জন্য যথেষ্ট উপকারী। বিশেষ করে ভিটামিন সি অতিবেগুনি বিকিরণ দ্বারা সৃষ্ট ক্ষতি থেকে ত্বককে রক্ষা করতে পারে। তাছাড়া লাউ ত্বকের বার্ধক্যের লক্ষণগুলো দূর করতেও যথেষ্ট কার্যকর।

এমআই

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

লাইফস্টাইল

যেভাবে দূর করবেন পেট ফাঁপা

Published

on

ইপিএস

পেট ফাঁপা পরিচিত পরিচিত একটি সমস্যা। খাবারে একটু এদিক-ওদিক হলেই পেট ফাঁপার মতো সমস্যা দেখা দেয়। অনেক সময় কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার বেশি খেলে কিংবা হজমে সমস্যা হলে পেটে গ্যাসের সৃষ্টি হতে পারে। ফলে পেট ফেঁপে থাকে। শুরুতেই ওষুধ না খেয়ে পেট ফাঁপার সমস্যা থেকে বাঁচতে ঘরোয়া উপায় বেছে নিতে পারেন।

পেট ফাঁপার কারণ
কোষ্ঠকাঠিন্য, আলসার কিংবা পেটে কৃমি থাকলে পেট ফাঁপার সমস্যা দেখা দিতে পারে। খাবারের ফাঁকে ফাঁকে পানি পান করলে হজম ঠিকভাবে হয় না। তাই এই অভ্যাস বাদ দেয়া উচিত।

পেট ফাঁপার লক্ষণ
* পেট ফুলে ওঠা বা পেটের আকার বৃদ্ধি পাওয়া
* পেটে ভরা ও শক্ত ভাব অনুভব করা
* পেটে ব্যথা
* পেটে গরগর শব্দ ইত্যাদি।

পেট ফাঁপার প্রতিকার
পেট ফাঁপার প্রতিকার হতে পারে ব্যায়াম। নিয়মিত ব্যায়াম করলে পেটের নানা সমস্যা, পেট ফাঁপা কিংবা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয় সহজেই। হজম ভালো হয় বলে মলত্যাগও সহজ হয়। মানসিক চাপ কমে অনেকটাই। তাই নিয়মিত ব্যায়ামের অভ্যাস করা জরুরি।

পেট ফাঁপা দূর করতে প্রতিদিনের খাবারের দিকে নজর রাখা জরুরি। পেটের সমস্যা ডেকে আনতে পারে এমন খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। কিছু খাবার আছে যেগুলো পেটের সমস্যা বাড়িয়ে তোলে। বাদাম, তৈলাক্ত খাবার, পনির, শিম ইত্যাদি সহ্য হয় না অনেকের। তাদের এসব খাবার এড়িয়ে চলা উচিত। কমলা, কফি, চা, টমেটো এসব খেলে যদি পেট ফাঁপার সমস্যা দেখা দেয় তবে তা বাদ দিন।

মদ্যপান কিংবা ধূমপান সব সময়ই শরীরের জন্য খারাপ। তাই এই অভ্যাস কখনো গড়ে তোলা উচিত নয়। এরপরও যদি ধূমপান বা মদ্যপানের অভ্যাস থাকে তবে বাদ দিন।

অনেকে তাড়াহুড়ো করে খাবার খান। এটি ঠিক নয়। ধীরে ধীরে ভালো করে চিবিয়ে খাবার খান। এতে পেটে বাতাস ঢুকে পেট ফাঁপার সমস্যা হবে না। কখনোই গোগ্রাসে খাবার গিলবেন না।

অতিরিক্ত লবণ দেয়া খাবার, ভাজাভুজি, চিপস, আচার যতটা কম খাবেন; পেট ফাঁপার সমস্যার জন্য ততটাই ভালো। চেষ্টা করুন সব সময় লবণ কম খেতে।

অনেকের পেটেই দুধ সহ্য হয় না। দুধ বা দুগ্ধজাতীয় খাবার হজম হতে চায় না অনেকের। এজাতীয় খাবার খেলে যদি পেটে গ্যাস জমে তবে তা এড়িয়ে চলুন। দুধের বদলে দই বা সয়া মিল্ক খেতে পারেন।

অনেকে একটুতেই ওষুধ খেয়ে নেন। যেকোনো অসুখের ক্ষেত্রেই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাওয়া ঠিক নয়। তাই পেট ফাঁপার সমস্যায়ও নিজে থেকে কোনো ওষুধ খাবেন না। বরং ওষুধ যদি খেতেই হয় তবে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে খান।

পেট ফাঁপার সমস্যায় যা এড়িয়ে চলবেন
খাবার দ্রুত খাবেন না। সময় নিয়ে ধীরে ধীরে চিবিয়ে খাবেন। দ্রুত খাবার খেলে তা সহজে পরিপাক হতে চায় না। সেখান থেকেই হজমের সমস্যা ও পেট ফাঁপা দেখা দিতে পারে।

অনেকে খাবার খেতে বসে একসঙ্গে অনেকগুলো খাবার খেয়ে ফেলেন। খাবার যতই সুস্বাদু হোক, একসঙ্গে বেশি খাবেন না। কারণ প্রয়োজনের অতিরিক্ত খাবার খেলে তা পেট ফাঁপার কারণ হতে পারে।

ঢেকুর তোলা অস্বাভাবিক কিছু নয়। তবে ঢেকুর যদি দুর্গন্ধযুক্ত হয় তবে খাবারের তালিকা থেকে মাংস, ডিম এবং ডাল জাতীয় খাবার কমাতে হবে।

সবজি আমাদের শরীরের জন্য ভালো। তবে কিছু সবজি আছে যা পেট ফাঁপার কারণ হতে পারে। তাই বরবটি, সজনে, বাধাকপি, শিম খুব বেশি খাবেন না।

তেলে ভাজা নানা রকম মুখরোচক খাবার, জাঙ্ক ফুড ইত্যাদি এড়িয়ে চলতে হবে। এর বদলে ঘরে তৈরি স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার অভ্যাস করুন। খাবারের তালিকা থেকে অতিরিক্ত মিষ্টি, আচার, চাটনি ইত্যাদি খাবার কমিয়ে দিন।

রাতের খাবার দেরিতে খাওয়ার অভ্যাস? আজ থেকে সেই অভ্যাস বাদ দিন। বরং সাতটা কিংবা আটটার মধ্যে রাতের খাবার খেয়ে নিন। তা-ও যদি সম্ভব না হয় তবে ঘুমাতে যাওয়ার অন্তত দুই ঘণ্টা আগে রাতের খাবার খেতে হবে। খাওয়ার পরপরই শুয়ে কিংবা বসে থাকবেন না। অন্তত মিনিট দশেক হাঁটাহাঁটি করুন।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

লাইফস্টাইল

যেসব ভিটামিন হাড় ভালো রাখে

Published

on

ইপিএস

মজবুত হাড় বজায় রাখা সুস্থতার জন্য অপরিহার্য। বেশ কিছু ভিটামিন হাড়ের গঠন, ঘনত্ব এবং শক্তিতে সহায়তা করে হাড়ের স্বাস্থ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। হাড় সবসময় পরিবর্তন হয়। নতুন হাড় পুরানো হাড় ভেঙে যাওয়ার সময় গঠিত হয়। অল্প বয়সে আমাদের শরীর পুরানো হাড়কে ক্ষয় করার চেয়ে দ্রুত নতুন হাড় তৈরি করে, তাই হাড়ের ভর বৃদ্ধি পায়। বেশীরভাগ মানুষ ত্রিশ বছর বয়সের কাছাকাছি এসে হাড়ের ভর অর্জন করে। এরপরে, হাড়ের পুনর্নির্মাণ অব্যাহত থাকে, তবে আপনি অর্জনের চেয়ে সামান্য বেশি হাড়ের ভর হারাবেন। হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন সম্পর্কে চলুন জেনে নেওয়া যাক-

১. ভিটামিন ডি
NHS অনুসারে, প্রাপ্তবয়স্কদের প্রতিদিন ১০ মাইক্রোগ্রাম ভিটামিন ডি প্রয়োজন। ভিটামিন ডি অন্ত্রে ক্যালসিয়াম শোষণের জন্য অপরিহার্য, যা শক্তিশালী হাড় গঠন ও বজায় রাখার জন্য প্রয়োজনীয়। এটি রক্তে ক্যালসিয়াম এবং ফসফেটের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতেও সাহায্য করে, যা হাড়ের খনিজকরণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ভিটামিন ডি-এর প্রাথমিক উৎস হলো সূর্যের আলো, কারণ সূর্যের আলোর সংস্পর্শে ত্বক ভিটামিন ডি সংশ্লেষণ করে। ভিটামিন ডি খাদ্যতালিকাগত উৎস থেকে পাওয়া যেতে পারে যেমন স্যামন, ম্যাকেরেল, শক্তিশালী খাবার (দুধ, কমলার রস, সিরিয়াল) এবং পরিপূরক।

২. ক্যালসিয়াম
ক্যালসিয়াম হাড়ের প্রধান খনিজ উপাদান এবং হাড়ের গঠন ও শক্তির জন্য অপরিহার্য। এটি পেশী সংকোচন, স্নায়ু ফাংশন এবং রক্ত ​​জমাট বাঁধতে ভূমিকা পালন করে। ক্যালসিয়ামের ভারো খাদ্যতালিকাগত উৎসগুলোর মধ্যে রয়েছে দুগ্ধজাত দ্রব্য (দুধ, পনির, দই), সবুজ শাক-সবজি (কেল, ব্রোকলি), টফু, বাদাম ইত্যাদি। ক্যালসিয়াম সম্পূরকও পাওয়া যায়, তবে যতটা সম্ভব খাদ্য উৎস থেকে ক্যালসিয়াম গ্রহন করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

৩. ভিটামিন কে
ভিটামিন কে হাড়ের খনিজকরণে জড়িত এবং হাড়ের মধ্যে ক্যালসিয়াম নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। এটি রক্ত জমাট বাঁধতেও ভূমিকা রাখে এবং হাড়ের টিস্যুতে প্রদাহ-বিরোধী প্রভাব থাকতে পারে। ভিটামিন কে-১ পাওয়া যায় সবুজ শাক-সবজিতে (পালংশাক, কালে, কলার্ড গ্রিনস), আর ভিটামিন কে-২ পাওয়া যায় গাঁজানো খাবার যেমন নাট্টো এবং পনির এবং প্রাণীজ পণ্যে। ভিটামিন কে উভয় প্রকারের পরিপূরক থেকেও পাওয়া যায়।

৪. ভিটামিন সি
ভিটামিন সি কোলাজেন সংশ্লেষণের জন্য প্রয়োজনীয় যা হাড়, তরুণাস্থি এবং সংযোগকারী টিস্যুর গঠন এবং শক্তি প্রদান করে। এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্যও রয়েছে যা হাড়ের কোষকে ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করতে পারে। ভিটামিন সি প্রচুর পরিমাণে ফল (সাইট্রাস ফল, স্ট্রবেরি, কিউই) এবং সবজি (বেলপেপার, ব্রকলি, টমেটো) ইত্যাদিতে পাওয়া যায়। সর্বোত্তম স্বাস্থ্য সুবিধার জন্য সম্পূরকের পরিবর্তে খাবার থেকে ভিটামিন সি গ্রহণ করা ভালো।

৫. ভিটামিন এ
ভিটামিন এ অস্টিওব্লাস্টের কার্যকলাপে সহায়তা করে হাড়ের পুনর্নির্মাণ এবং রক্ষণাবেক্ষণে ভূমিকা পালন করে, যা কোষ যা হাড় তৈরি করে এবং হাড় গঠনে জড়িত জিনের অভিব্যক্তি নিয়ন্ত্রণ করে। ভিটামিন এ প্রাণীজ পণ্যে (লিভার, ডিম, দুগ্ধজাত) প্রিফর্মড ভিটামিন এ (রেটিনল) হিসাবে এবং রঙিন ফল ও সবজিতে প্রোভিটামিন এ ক্যারোটিনয়েড (বিটা-ক্যারোটিন) হিসাবে পাওয়া যায়। পরিমিত পরিমাণে ভিটামিন এ গ্রহণ করা গুরুত্বপূর্ণ, কারণ অতিরিক্ত গ্রহণের বিরূপ প্রভাব হতে পারে।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

লাইফস্টাইল

ঘুম ৮ ঘণ্টার কম হলে বিষন্নতার ঝুঁকি

Published

on

ইপিএস

ঘুম ৮ ঘণ্টার কম হলে বিষন্নতা ও উদ্বেগ বেড়ে যায় সেইসঙ্গে নেতিবাচক চিন্তা মাথায় ঘুরপাক করতে থাকে বলে নতুন এক গবেষণায় এ তথ্য জানা গেছে। মার্কিন গবেষকেরা ঘুমের সময়কাল নিয়ে অধ্যয়ন করে দেখতে পান, ঘুমের পরিমাণ কম হলে নেতিবাচক চিন্তা বার বার মানুষের মনে দাগ কাটতে থাকে। ফলে বিষণ্নতা ও উদ্বেগ তৈরি হয়।

মাথায় ঘুরপাক করা চিন্তা-ভাবনা ভালো ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়। কিন্তু এই গবেষণার মাধ্যমে জানা গেল, ভালো ঘুমের অভাব হলে দৈনন্দিন জীবনে নেতিবাচক চিন্তা আরো প্রখরভাবে বেড়ে যায়।

গবেষকেরা অংশগ্রহণকারীদের মানসিক প্রতিক্রিয়ার দিকে লক্ষ্য রেখে ভিন্ন ভিন্ন ছবি দেখান। তাদের চোখের নড়াচড়ার দিকে পর্যবেক্ষণ করা হয়। দেখা যায়, যারা কম ঘুমায় এবং দেরিতে ঘুমায়, তাদের চোখ নেতিবাচক ছবিগুলোর দিকে বেশি আকর্ষিত হয়।

গবেষণার লেখক মেরিডিথ কোলস বলেন, সাধারণেরা নেতিবাচক তথ্য দেখে অন্য ছবির দিকে সহজেই চলে যায়। কিন্তু কম ঘুমানো ব্যক্তিরা নেতিবাচক ছবি থেকে চোখ সরায় না। গবেষণার ফল থেকে বোঝা যায়, ঘুমে বিঘ্ন ঘটলে নেতিবাচক চিন্তা থেকে সরে আসার মতো জ্ঞান কমে যায়।

উদাসীনতা ও নেতিবাচক চিন্তা মাথায় ঘুরপাক করতে থাকলে একটা সময় পর বিষণ্নতা ও উদ্বেগের মতো মানসিক রোগ হতে পারে। সম্প্রতি জার্নাল অব বিহেভিয়র থেরাপি এবং এক্সপেরিমেন্টাল সাইকিয়াট্রি-তে গবেষণাটি প্রকাশিত হয়েছে।

কাফি

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

লাইফস্টাইল

যেসব খাবার খাবেন কিডনি সুস্থ রাখতে

Published

on

ইপিএস

শরীরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ কিডনি। এ অঙ্গের কার্যক্রমে কোনো সমস্যা হলে শরীরে অনেক জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে। তাই চিকিৎসকদের পরামর্শ, আগে থেকেই কিডনি সুরক্ষায় পদক্ষেপ নেয়া উচিত। আর একটু সচেতন হলেই কিডনি সুস্থ রাখা সম্ভব। এজন্য যথাযথ খাদ্যতালিকা মেনে চলতে হবে, যাতে কিডনির ওপর চাপ না পড়ে।

কিডনি ছাড়া বেঁচে থাকা অসম্ভব। কিডনির রোগকে নীরব ঘাতক বলা হয়। কারণ কিডনির সমস্যা হলে তা প্রথম অবস্থাতে ধরা পড়ে না। পরে সমস্যা অনেক বেশি হয়ে গেলে ধরা পড়ে। কিডনির সমস্যা হতে শুরু করলেই দ্রুত বাড়তে থাকে সমস্যা। সেজন্য কিডনি সুস্থ রাখা খুবই জরুরি।

কিডনি ভালো রাখতে আমাদের কিছু নিয়ম অবশ্যই মেনে চলা উচিত। এর মধ্যে স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসও জরুরি। তাই কিডনি-বান্ধব খাবার খেতে বলেন স্বাস্থ্যবিশেষজ্ঞরা। এতে কিডনি ভালোভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে। এজন্য খাদ্যতালিকা থেকে কিছু খাবার বাদ দিতে হবে। পাশাপাশি তালিকায় কিছু খাবার অবশ্যই যোগ করতে হবে।

পুষ্টিবিদদের মতে, কিডনির রোগীদের সোডিয়াম আর ফসফরাসসমৃদ্ধ খাবারের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। তাই প্যাকেটজাত খাবার খাওয়া যাবে না। সেগুলোয় সোডিয়ামের আধিক্য থাকে। লবণের পরিমাণ অনেক কমাতে হবে। প্রোটিন ও দুগ্ধজাত খাবারের পরিমাণও নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। সারা দিনে ৭৫ গ্রামের মতো মাছ খেতে পারেন। একবেলা একটা ছোট টুকরা মাছ খেলেই যথেষ্ট। তখন রাতে আর কোনো প্রোটিন রাখা যাবে না। ডাল, দুধ, পনিরও রাখা যাবে না ডায়েটে। পটাশিয়ামের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করাও জরুরি। না হলে হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। সিট্রাস ফ্রুট যেমন কমলালেবু, মুসাম্বি খাওয়া যাবে না। কলায় পটাশিয়ামের মাত্রা বেশি। তাই কলাও বন্ধ। একই কারণে ডাবের পানিও খাওয়া যাবে না।

কিডনির রোগী যদি ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হন, তার ডায়েটে আরও নিয়ন্ত্রণ বাড়বে। তাদের চিনি বা মিষ্টিজাতীয় খাবার খাওয়া যাবে না। এ ছাড়া ফাইবারসমৃদ্ধ খাবার যেমন বিভিন্ন শাক, ব্রাউন রাইস, সিট্রাস ফ্রুট (মুসাম্বি, কমলালেবু), ক্যানড প্রডাক্ট, হোলহুইট ব্রেড, ডেয়ারি প্রডাক্ট, প্রসেসড ফুড, আচার, রাঙা আলু, আলু, টম্যাটো, ড্রাই ফ্রুটস, কোল্ড ড্রিঙ্কস ইত্যাদি খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দিতে হবে।

চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী, কিডনির রোগীদের খাদ্যতালিকা বানাতে হবে কিছু নির্দিষ্ট খাবার দিয়ে। মনে রাখতে হবে, শরীরের টক্সিন ও বর্জ্য যত কম তৈরি হয়, এমন খাবার বাছতে হবে। ব্লু বেরিজ়, স্ট্রবেরিজ়, ক্র্যানবেরিজ়, কালো আঙুর, অলিভ অয়েল, বাঁধাকপি, ডিমের সাদা অংশ দেয়া যেতে পারে। ম্যাকাডেমিয়া বাদাম দিতে পারেন। ভাত বা রুটির বদলে বাকহুইটস, কিনোয়া, অমরন্থ জাতীয় গ্লুটেনফ্রি শস্য দিতে পারেন। প্রোটিন দেয়ার সময়ে তার পরিমাণও খেয়াল রাখতে হবে।

ডায়ালাইসিস রোগীদের প্রোটিন দরকার হয়। তাই তাদের ডায়েটে প্রোটিন পরিমাণ মতো যোগ করতে হবে। তবে খুব বেশি নয়। ডায়ালাইসিস চলাকালীন রোগীকে ছানা, ডাল, টোফু, সয়াবিন, ডিমের সাদা অংশ, ছোট এক টুকরা মাছ, রাজমা ডাল, উদ্ভিজ প্রোটিন দিতে পারেন। কিন্তু নন-ডায়ালাইসিস রোগীদের এত প্রোটিন দেয়া যাবে না। সারা দিনে আনাজপাতি যা খাবেন, তার মধ্যেই যা প্রোটিন থাকে, তাদের জন্য যথেষ্ট। শুধু এক কাপ মুগ ডাল দেয়া যেতে পারে। তবে সপ্তাহে এক-আধবার মাছ, মাংস (রেড মিট নয়) খেতে পারেন। তার বেশি নয়।

তবে চিকিৎসকদের মতে, প্রত্যেক কিডনি রোগীর ডায়েট চার্ট আলাদা রকম হবে। এই ডায়েট রোগীর শরীরের ওপর নির্ভর করে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ডায়াবেটিস থেকে কিডনির সমস্যার সূত্রপাত হয়। তাই কিডনির রোগীর ডায়েট চার্ট করার সময়ে সে দিকটাও খেয়াল রাখতে হবে। সব মিলিয়ে কিডনি রোগীর ডায়েট চার্ট নিয়মিত আপডেট করা জরুরি।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

লাইফস্টাইল

পেটের স্বাস্থ্য ভালো রাখার ৪ উপায়

Published

on

ইপিএস

আমরা কী খাই তার ওপর অনেকটাই নির্ভর করে যে আমাদের পেটের স্বাস্থ্য কেমন থাকবে। একটি সুস্থ অন্ত্র ভালো হজম, ভিটামিন এবং খনিজ শোষণ এবং ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাসের বিরুদ্ধে সুরক্ষা সক্ষম করে। অন্ত্রের মাইক্রোবায়োম শব্দটি আপনার অন্ত্রে বসবাসকারী ব্যাকটেরিয়াকে বোঝায়। জার্নাল নিউট্রিয়েন্টস অনুসারে, প্রতিটি ব্যক্তির পরিপাকতন্ত্রে ২০০টিরও বেশি স্বতন্ত্র ধরণের ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস এবং ছত্রাক থাকে। তাই পেটের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে খেতে হবে এই খাবারগুলো-

১. ফাইবার-সমৃদ্ধ খাবার

ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার অন্ত্রে উপকারী ব্যাকটেরিয়াকে পুষ্ট করে এবং তাদের বৈচিত্র্য বৃদ্ধি করে। পর্যাপ্ত ফাইবার গ্রহণ নিশ্চিত করতে আপনার খাবারে ফল, শাক-সবজি, লেবু, বাদাম এবং দানা শস্য যোগ করুন। বাদাম খাদ্যতালিকাগত ফাইবারের একটি ভালো উৎস হওয়ায় সহজেই আপনার খাদ্যতালিকায় যোগ করা যেতে পারে। কাঁচা বাদাম খেলে তুলনামূলক বেশি উপকার পাবেন। সেইসঙ্গে অন্যান্য খাবারের সঙ্গেও এটি মিশিয়ে খেতে পারেন।

২. প্রোবায়োটিক

গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজিতে থেরাপিউটিক অ্যাডভান্সেস অনুসারে, প্রোবায়োটিক খেলে তা স্বাস্থ্যকর অন্ত্র বজায় রাখতে সাহায্য করতে পারে এবং অন্ত্রের প্রদাহ এবং অন্যান্য সমস্যা এড়াতে পারে। প্রোবায়োটিক হলো জীবন্ত অণুজীব যা পর্যাপ্ত পরিমাণে খাওয়া হলে অসংখ্য স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যায়। এই উপকারী ব্যাকটেরিয়া একটি সুষম অন্ত্রের মাইক্রোবায়োটা বজায় রাখে এবং হজমে সাহায্য করে করে। দই, বাটার মিল্ক, ফার্মেন্টেড রাইস ডিশ, কিমচি এবং ফার্মেন্টেড আচারের মতো খাবারে অন্ত্র-বান্ধব ব্যাকটেরিয়া থাকে যা আপনার পেটের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সাহায্য করে।

৩. প্রিবায়োটিক

প্রিবায়োটিক খাবার উপকারী অণুজীবের জন্য খাদ্য হিসাবে কাজ করে, তাদের বৃদ্ধি এবং অন্ত্রে বিস্তারে সহায়তা করে। আপনার খাদ্যতালিকায় প্রিবায়োটিক খাবার যেমন রসুন, পেঁয়াজ, অ্যাসপারাগাস, কাঁচা কলা, ফ্ল্যাক্সসিড, লেগুম, আপেল এবং এ জাতীয় আরও খাবার যোগ করে একটি স্বাস্থ্যকর অন্ত্রের মাইক্রোবায়োম তৈরি করুন। এই খাবারগুলো হজমের স্বাস্থ্য এবং সামগ্রিক সুস্থতায় অবদান রাখতে পারে।

৪. হাইড্রেটেড থাকুন

পর্যাপ্ত হাইড্রেশন সর্বোত্তম হজম এবং সামগ্রিক অন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভালো অন্ত্রের কার্যকারিতা এবং পুষ্টির জন্য প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন। প্রতিদিন আট গ্লাস পানি পানের লক্ষ্য রাখুন এবং চিনিযুক্ত পানীয় এবং অ্যালকোহল এড়িয়ে চলুন। আল্ট্রা-প্রসেসড খাবার খাওয়া কমিয়ে দিন। এর পরিবর্তে পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার বেছে নিন।

এমআই

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন
ইপিএস
অর্থনীতি57 mins ago

স্বর্ণের দাম বাড়লো, ভরি ১ লাখ ১৮ হাজার ৪৬০ টাকা

ইপিএস
পুঁজিবাজার1 hour ago

প্রথম প্রান্তিকে ইপিএস কমেছে নয় ব্যাংকের

ইপিএস
পুঁজিবাজার1 hour ago

প্রথম প্রান্তিকে ইপিএস বেড়েছে ২৪ ব্যাংকের

ইপিএস
জাতীয়2 hours ago

শিগগিরই মাগুরায় রেলপথ চালু হবে: রেলমন্ত্রী

ইপিএস
জাতীয়2 hours ago

দেশে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন জলবায়ু স্মার্ট প্রাণিসম্পদ প্রকল্প

ইপিএস
আন্তর্জাতিক2 hours ago

১২ সেকেন্ডের মধ্যে ৩০০ কোটি টাকা চুরি

ইপিএস
খেলাধুলা2 hours ago

বিশ্বকাপ জার্সি উন্মোচন নিয়ে যা বললেন জালাল ইউনুস

ইপিএস
জাতীয়3 hours ago

যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় পুলিশ প্রস্তুত রয়েছে: আইজিপি

ইপিএস
শিল্প-বাণিজ্য3 hours ago

স্মার্ট অর্থনীতি-রপ্তানি বাড়াতে ইএসজির ওপর গুরুত্ব দিতে হবে

ইপিএস
জাতীয়3 hours ago

প্রথমবার বিশ্বব্যাংক ভূমি সম্মেলনে অংশ নিলো বাংলাদেশ

ইপিএস
জাতীয়4 hours ago

মোটরযানে হাইড্রোলিক হর্ন ব্যবহার করলেই ব্যবস্থা

ইপিএস
জাতীয়4 hours ago

তিন জেলায় বজ্রপাতে ৭ জনের প্রাণহানি

ইপিএস
আইন-আদালত4 hours ago

ন্যায়বিচার পাওয়া সাংবিধানিক অধিকার: প্রধান বিচারপতি

ইপিএস
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার4 hours ago

ইবিতে গুণীজনদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত

ইপিএস
জাতীয়4 hours ago

নির্বাচন সংক্রান্ত সেবা মিলবে ৯৯৯-এ

ইপিএস
অর্থনীতি5 hours ago

ইলেক্ট্রিক্যাল পণ্যের বাজারে দেশীয় কোম্পানির আধিপত্য

ইপিএস
আবহাওয়া5 hours ago

তাপমাত্রা ও বৃষ্টি নিয়ে সুখবর দিলো আবহাওয়া অধিদপ্তর

ইপিএস
পুঁজিবাজার6 hours ago

লোকসানে ১৫ খাতের বিনিয়োগকারীরা

ইপিএস
জাতীয়6 hours ago

জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে কেউ যেন বৈষম্যের শিকার না হন: রাষ্ট্রপতি

ইপিএস
পুঁজিবাজার7 hours ago

সাপ্তাহিক রিটার্নে মুনাফায় ৫ খাতের বিনিয়োগকারীরা

লেনদেন
পুঁজিবাজার7 hours ago

খাতভিত্তিক লেনদেনের শীর্ষে ফার্মা খাত

ইপিএস
কর্পোরেট সংবাদ7 hours ago

প্রযুক্তির অগ্রযাত্রায় নারীর পাশে আইএফআইসি ব্যাংক শীর্ষক বিশেষ ক্যাম্পেইন শুরু

ইপিএস
পুঁজিবাজার8 hours ago

ডিএসইতে পিই রেশিও কমেছে

ইপিএস
রাজধানী8 hours ago

ধোলাইখালে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের আগুন নিয়ন্ত্রণে

ইপিএস
পুঁজিবাজার8 hours ago

শেয়ারবাজার ছাড়লেন দুই হাজার বিনিয়োগকারী, যুক্ত হলেন সমপরিমাণ

Advertisement

ফেসবুকে অর্থসংবাদ

২০১৮ সাল থেকে ২০২৩

অর্থসংবাদ আর্কাইভ

তারিখ অনুযায়ী সংবাদ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 
১০১১
১২১৩১৪১৫১৬১৭১৮
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭২৮২৯৩০৩১