পুঁজিবাজার
দুই ঘণ্টায় লেনদেন ২৭৪ কোটি টাকা
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মূল্য সূচকের নিম্নমুখী প্রবণতায় লেনদেন চলছে। এদিন প্রথম দুই ঘণ্টায় লেনদেন হয়েছে ২৭৪ কোটি টাকার বেশি।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল ) বেলা ১২টা পর্যন্ত ডিএসইর প্রধান সূচক ‘ডিএসইএক্স’ ৬০ দশমিক ৪৩ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৫১৮ পয়েন্টে। ডিএসইর অপর সূচক ‘ডিএসইএস’ ১১ দশমিক ৯৭ পয়েন্ট কমে এবং ‘ডিএস৩০’ সূচক ৬ দশমিক ৪৩ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১২১৭ ও ১৯৭৮ পয়েন্টে।
এসময় ২৭৪ কোটি ৬০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট হাতবদল হয়েছে।
এসময়ে লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ২৫টির, কমেছে ৩২৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬৯টি কোম্পানির শেয়ারের।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
লোকসানে ১৫ খাতের বিনিয়োগকারীরা
বিদায়ী সপ্তাহে (১২ মে থেকে ১৬ মে) দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সাপ্তাহিক রিটার্নে দর কমেছে ১৫ খাতে। এর ফলে সপ্তাহজুড়ে এই ১৫ খাতের বিনিয়োগকারীরা লোকসানে রয়েছে। একই সময়ে দর বেড়েছে ৫ খাতে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, আলোচ্য সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি দর কমেছে পাট খাতে। এই খাতে ৯ দশমিক ৪০ শতাংশ দর কমেছে। ৬ দশমিক ৪০ শতাংশ দর কমে তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে কাগজ ও মুদ্রণ খাত। আর ৫ শতাংশ দর কমে তালিকার তৃতীয় স্থানে অবস্থান করছে ভ্রমণ ও অবকাশ খাত।
তালিকায় থাকা অন্য খাতগুলোর মধ্যে- সিমেন্ট খাতে ৪ দশমিক ৪০ শতাংশ, সেবা খাতে ৩ দশমিক ৭০ শতাংশ, বস্ত্র খাতে ৩ দশমিক ৬০ শতাংশ, আইটি ও ফার্মা খাতে সমান ৩ দশমিক ৫০ শতাংশ, যোগাযোগ খাতে ৩ দশমিক ৪০ শতাংশ, প্রকৌশলী খাদ্য খাতে ৩ দশমিক ২০ শতাংশ, সিরামিক খাতে ৩ দশমিক ১০ শতাংশ, ব্যাংক খাতে ২ দশমিক ৩০ শতাংশ, চামড়া খাতে ১ দশমিক ৩০ শতাংশ এবং বিবিধ খাতে ০ দশমিক ৪০ শতাংশ দর কমেছে।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
সাপ্তাহিক রিটার্নে মুনাফায় ৫ খাতের বিনিয়োগকারীরা
বিদায়ী সপ্তাহে (১২ মে থেকে ১৬ মে) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সাপ্তাহিক রিটার্নে দর বেড়েছে ৫ খাতে। দর বৃদ্ধি পাওয়ায় এই ৫ খাতের বিনিয়োগকারীরা মুনাফায় রয়েছে। আলোচ্য সপ্তাহে দর কমেছে ১৫ খাতে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, আলোচ্য সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে জীবন বিমা খাতে। এ খাতে বিদায়ী সপ্তাহে দর বেড়েছে ৭ দশমিক ৯০ শতাংশ।
তালিকার দ্বিতীয় স্থানে থাকা বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে দর বেড়েছে ৪ দশমিক ৬০ শতাংশ। আর ২ দশমিক ৬০ শতাংশ দর বেড়ে তালিকার তৃতীয় স্থানে অবস্থান করছে আর্থিক খাত।
তালিকায় থাকা দরবৃদ্ধি পাওয়া অন্য খাতগুলোর মধ্যে- সাধারণ বিমা খাতে ০ দশমিক ৪০ শতাংশ এবং মিউচুয়াল ফান্ড খাতে ০ দশমিক ১০ শতাংশ দর বেড়েছে।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
খাতভিত্তিক লেনদেনের শীর্ষে ফার্মা খাত
বিদায়ী সপ্তাহে (১২ মে থেকে ১৬ মে) দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) খাতভিত্তিক লেনদেনের শীর্ষে রয়েছে ফার্মা ও রসায়ন খাত। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে এই খাতে মোট লেনদেন হয়েছে ২২ শতাংশ।
ইবিএল সিকিউরিটিজ লিমিটেডের সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
তথ্যনুযায়ী, ১২ দশমিক ৭০ শতাংশ লেনদেন করে খাতভিত্তিক লেনদেনের তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বস্ত্র খাতের শেয়ার। আর খাদ্য ও আনুষাঙ্গিক খাতে ৯ দশমিক ৩০ শতাংশ লেনদেন করে তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে।
খাতভিত্তিক লেনদেনর তালিকায় থাকা অন্য খাতগুলোর মধ্যে প্রকৌশল খাতে ৯ দশমিক ১০ শতাংশ, তথ্য ও প্রযুক্তি খাতে ৮ দশমিক ১০ শতাংশ, ব্যাংক খাতে ৫ শতাংশ, জীবন বিমা খাতে ৯ দশমিক ৯০ শতাংশ, ট্রাভেল খাতে ৪ দশমিক ৪০ শতাংশ, সাধারণ বিমা খাতে ৪ দশমিক ৩০ শতাংশ, বিবিধ খাতের ৩ দশমিক ৬০ শতাংশ, মিউচুয়াল ফান্ড খাতে ৩ দশমিক ৪০ শতাংশ, সিরামিক খাতের ২ দশমিক ৭০ শতাংশ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি ২ দশমিক ১০ শতাংশ, ট্যানারি খাতে ১ দশমিক ৮০ খাতে, সেবা খাতে ১ দশমিক ৫০ শতাংশ, পাট খাতে ১ দশমিক ৪০ শতাংশ, সিমেন্ট খাতে ও পেপার খাতে সমান ১ শতাংশ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতে ০ দশমিক ৮০ শতাংশ, এবং টেলিকম খাতে ০ দশমিক ৬০ শতাংশ।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
ডিএসইতে পিই রেশিও কমেছে
বিদায়ী সপ্তাহে (১২ থেকে ১৬ মে) দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) কমেছে। আলোচ্য এ সময়ে ডিএসইর পিই রেশিও কমেছে ২ দশমিক ৫০ শতাংশ।
ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, বিদায়ী সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর পিই রেশিও ছিল ১১ দশমিক ১৬ পয়েন্টে। আর সপ্তাহ শেষে তা অবস্থান করছে ১০ দশমিক ৮৭ পয়েন্টে। ফলে সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর পিই রেশিও কমেছে ০ দশমিক ২৯ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৫০ শতাংশ।
খাতভিত্তিক পিই রেশিওগুলোর মধ্যে ব্যাংক খাতে ৬ দশমিক ৩৫ পয়েন্টে, টেলিযোগাযোগ খাতে ৭ দশমিক ৫৯ পয়েন্টে, সিমেন্ট খাতে ৯ দশমিক ৯১ পয়েন্টে, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে ১২ দশমিক ৪৬ পয়েন্টে, ওষুধ ও রসায়ন খাতে ১৩ দশমিক ৬৪ পয়েন্টে, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতে ১৪ দশমিক ১৬ পয়েন্টে, প্রকৌশল খাতে ১৪ দশমিক ২৫ পয়েন্টে, সাধারণ বিমা খাতে ১৫ দশমিক ২১ পয়েন্টে, টেক্সটাইল খাতে ১৫ দশমিক ৪০ পয়েন্টে, আর্থিক খাতে ১৬ দশমিক ৩০ পয়েন্টে, ভ্রমণ ও অবকাশ খাতে ১৭ দশমিক ৭৮ পয়েন্ট, সেবা ও আবাসন খাতে ১৮ দশমিক ৯২ পয়েন্ট, পেপার ও প্রিন্টিং খাতে ২০ দশমিক ৭৯ পয়েন্টে, ট্যানারি খাতে ২০ দশমিক ৯২ পয়েন্টে, আইটি খাতে ২১ দশমিক ১১ পয়েন্টে, পাট খাতে ২৮ দশমিক ৭৮ পয়েন্টে, মিউচুয়াল ফান্ড খাতে ২৮ দশমিক ৮৭ পয়েন্টে, বিবিধ খাতে ৩০ দশমিক ৯৫ পয়েন্টে ও সিরামিক খাতে ৮২ দশমিক ৩৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
শেয়ারবাজার ছাড়লেন দুই হাজার বিনিয়োগকারী, যুক্ত হলেন সমপরিমাণ
দরপতনের আতঙ্কে শেয়ারবাজার ছাড়ছেন বিনিয়োগকারীরা। গত ৫ কার্যদিবসে আরও ২ হাজার ১৮৮ জন বিনিয়োগকারী তাঁদের হাতে থাকা সব শেয়ার বিক্রি করে দিয়েছেন। তাতে বাজারে শেয়ারশূন্য বিও (বেনিফিশিয়ারি ওনার্স) হিসাবের সংখ্যা বেড়েছে। বিপরীতে এসময়ে ২ হাজার ১২৬ জন বিনিয়োগকারী নতুন করে বাজারে যুক্ত হয়েছেন। ফলে যত বিনিয়োগকারী বাজার ছেড়েছেন, তার সমপরিমাণ বিনিয়োগকারী নতুন করে বিও হিসাব খুলে বাজারে যুক্ত হয়েছেন।
এর আগের সপ্তাহের ৫ কার্যদিবসে ৫ হাজার ৩৫৫ জন বিনিয়োগকারী তাঁদের হাতে থাকা সব শেয়ার বিক্রি করে বাজার ছেড়েছিলেন। সেই তুলনায় গত সপ্তাহে বাজার ছেড়ে যাওয়া বিনিয়োগকারীর সংখ্যা কমে অর্ধেকে নেমেছে।
শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাব ও স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে শেয়ার ধারণকারী প্রতিষ্ঠান সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেড বা সিডিবিএলের তথ্য থেকে এ চিত্র পাওয়া গেছে।
সিডিবিএলের তথ্য অনুযায়ী, গত সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে শেয়ারবাজারে শেয়ারশূন্য বিও হিসাবের সংখ্যা ছিল ৩ লাখ ৭৪ হাজার ৭৫০টি। সপ্তাহ শেষে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৭৬ হাজার ৯৩৮টিতে। অর্থাৎ সপ্তাহের ৫ কার্যদিবসে ২ হাজার ১৮৮ জন বিনিয়োগকারী তাঁদের হাতে থাকা সব শেয়ার বিক্রি করে দিয়েছেন।
শেয়ারশূন্য বিও হিসাবের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় কমেছে শেয়ারসহ বিও হিসাবের সংখ্যা। গত সপ্তাহ শেষে শেয়ারবাজারে সক্রিয় তথা শেয়ারসহ বিও হিসাবের সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ১৩ লাখ ৩৫ হাজার ১৫২টিতে। আগের সপ্তাহে শেয়ারসহ বিও হিসাবের সংখ্যা ছিল ১৩ লাখ ৩৭ হাজার ৪৫৫টিতে। শেয়ারবাজারে যেসব বিও হিসাবে শেয়ার থাকে, সেগুলোকেই মূলত সক্রিয় বিও হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
বাজারসংশ্লিষ্টরা বলছেন, শেয়ারবাজারে টানা দরপতন চলতে থাকায় বাজার ছেড়ে যাওয়া বিনিয়োগকারীর সংখ্যা বাড়ছে। গত সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে চার দিনই বাজারে সূচক কমেছে। দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স গত সপ্তাহ শেষে ১৪৪ পয়েন্ট বা প্রায় আড়াই শতাংশ কমে নেমে এসেছে ৫ হাজার ৫১৭ পয়েন্টে। গত তিন বছরের মধ্যে এটিই ডিএসইএক্সের সর্বনিম্ন অবস্থান। এর আগে সবশেষ ২০২১ সালের ৩ মে ডিএসইএক্স সূচকটি ৫ হাজার ৫১১ পয়েন্টের সর্বনিম্ন অবস্থানে ছিল।
গত সপ্তাহে সূচকের পাশাপাশি লেনদেনও কমেছে ২০ শতাংশের বেশি। গত সপ্তাহ শেষে ঢাকার বাজারের দৈনিক গড় লেনদেন ১৯৭ কোটি টাকা কমে নেমে এসেছে ৭৬৪ কোটি টাকায়। আগের সপ্তাহে এ বাজারের দৈনিক গড় লেনদেন ছিল ৯৬১ কোটি টাকায়।
এসএম