জাতীয়
যুদ্ধ কখনো কোনো সমাধান দিতে পারে না: প্রধানমন্ত্রী

যুদ্ধ নয়, আলোচনার মাধ্যমে যেকোনো সমস্যার সমাধান সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন, ইসরায়েল-ফিলিস্তিন-ইরান যুদ্ধের প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, যুদ্ধ কখনো কোনো সমাধান দিতে পারে না। তাই যুদ্ধ বন্ধ করে আলোচনার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ সমাধানের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকালে থাইল্যান্ডের ব্যাংককে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয়-বিষয়ক জাতিসংঘের সামাজিক ও অর্থনৈতিক কমিশনের (ইউএনএসকাপ) সম্মেলনে এ আহ্বান জানান তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন, ইসরাইল-ইরান-প্যালেস্টাইনের যুদ্ধ বন্ধ করতে বিশ্বনেতাদের প্রতি আমি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি। যুদ্ধের ভয়াবহতা আমি জানি। বাংলাদেশ কোনো যুদ্ধ চায় না। যুদ্ধের কারণে যারা এখনও বিভিন্নভাবে কষ্ট পাচ্ছেন তাদের দিকে দেখে বিশ্বনেতাদের যুদ্ধ বন্ধের উদ্যোগ নেওয়া উচিত।
সম্মেলনে রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলা এবং মিয়ানমারে অভ্যন্তরীণ সংঘাত নিয়ন্ত্রণে আসিয়ানকে ভূমিকা রাখারও আহ্বান জানান শেখ হাসিনা।
এর আগে, গতকাল বুধবার থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে ৬ দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে দেশটিতে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। থাইল্যান্ডে পৌঁছালে বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে উষ্ণ অভ্যর্থনায় বরণ করে নেওয়া হয়। থাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সঙ্গে সংযুক্ত মন্ত্রী পুয়াংপেট চুনলাইদ অভ্যর্থনা জানান। বিমানবন্দরে তাকে গার্ড অব অনার প্রদান এবং ১৯ রাউন্ড গান স্যালুট দেওয়া হয়।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয়
চট্টগ্রাম বন্দরকে বাদ দিয়ে অর্থনীতির অগ্রগতি অসম্ভব: প্রধান উপদেষ্টা

চট্টগ্রাম বন্দরকে বাদ দিয়ে দেশের অর্থনীতির অগ্রগতি সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বুধবার (১৪ মে) সকালে চট্টগ্রাম বন্দর পরিদর্শনকালে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, বন্দরের পরিবর্তন নিয়ে আগে লেখালেখি করলেও এবার সুযোগ পেয়েছি। এটাকে সত্যিকারের বন্দর হিসেবে তৈরি করতে প্রথম দিন থেকে কাজ শুরু করেছি।
চট্টগ্রাম বন্দরকে দেশের অর্থনীতির হৃৎপিণ্ড উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই বন্দরকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশের অর্থনীতির নতুন পথ খোলা সম্ভব না।
চট্টগ্রাম বন্দরের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করতে এ সময় প্রধান উপদেষ্টা বিদেশিদের সম্পৃক্ত করারও পরামর্শ দেন।
এর আগে, আজ সকাল সোয়া ৯টার দিকে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস সরকার প্রধান হিসেবে প্রথমবারের মতো নিজ জেলা চট্টগ্রামে পৌঁছান। দিনব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে তিনি যোগ দেবেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) পঞ্চম সমাবর্তনসহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
আয়নাঘর পরিদর্শন করলেন আরএফকের প্রধান কেরি কেনেডি

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ স্থানীয় মানবাধিকার সংগঠন আরএফকে সেন্টারের প্রধান কেরি কেনেডি আয়নাঘর পরিদর্শন করেছেন। আজ বুধবার (১৪ মে) সকালে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এক ফেসবুক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে এ তথ্য জানান।
এর আগে, মঙ্গলবার (১৩ মে) আয়নাঘর পরিদর্শন করেন কেরি কেনেডি। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার মীর আহমদ বিন কাশেম আরমান, যিনি নিজেই আট বছর ধরে এই আয়নাঘরে বন্দি ছিলেন।
স্ট্যাটাসে শফিকুল আলম লিখেছেন, কেরি কেনেডি মীর আহমদ বিন কাশেমের সঙ্গে একটি আয়নাঘরে দেখা করেন, যেখানে মীর আহমদ আট বছর বন্দিদশা ও অন্ধকারে কাটিয়েছিলেন। মীর আহমদ মিরর হাউসে তার বেদনাদায়ক দিনগুলোর বর্ণনা দিতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। আবেগপ্রবণ কেরি তাকে সান্ত্বনা দেন।
তিনি লিখেছেন, হাসিনার ১৫ বছরের দুর্নীতিগ্রস্ত ও নৃশংস শাসনামলে বাংলাদেশে ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা তুলে ধরার জন্য কেরি কেনেডি বিশ্বব্যাপী প্রচেষ্টায় নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তার সক্রিয়তা ছিল যুক্তরাজ্যে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ব্যারিস্টার মীর আহমদ বিন কাশেমকে আয়নাঘরে জীবিত রাখার অন্যতম কারণ।
প্রসঙ্গত, কেরি কেনেডি যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল রবার্ট এফ কেনেডির মেয়ে ও দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডির ভাগনি।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
চট্টগ্রাম পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা

প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে প্রথমবারের মতো নিজ জেলা চট্টগ্রাম সফর করছেন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এরই মধ্যে চট্টগ্রামে পৌঁছে গেছেন তিনি। দিনব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে তিনি অংশ নেবেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) পঞ্চম সমাবর্তনসহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানে।
বুধবার (১৪ মে) হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ফ্লাইটযোগে চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরে সকাল সোয়া ৯টায় এসে পৌঁছান তিনি।
চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক (ডিসি) ফরিদা খানম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, ড. ইউনূস তার কর্মজীবনের সূচনা করেছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগে শিক্ষকতা দিয়ে। আজকের সফরে তিনি চবি ছাড়াও হাটহাজারী উপজেলার শিকারপুর ইউনিয়নের বাথুয়া গ্রামে পৈতৃক বাড়ি পরিদর্শন করবেন।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে সমাবর্তন বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখার পাশাপাশি তিনি ঐতিহাসিক জোবরা গ্রাম পরিদর্শন করবেন। এ গ্রামেই ক্ষুদ্রঋণ ধারণা বাস্তবায়নের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক খ্যাতি অর্জন করেন তিনি।
সফরসূচি অনুযায়ী, প্রধান উপদেষ্টা চট্টগ্রাম বন্দরের এনসিটি-৫ প্রাঙ্গণে একটি মতবিনিময় সভায় যোগ দেবেন। সেখানে বন্দর ও জাহাজ চলাচল সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। বন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, সভায় চলমান কার্যক্রম, বে টার্মিনাল, মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দরসহ গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পগুলোর ওপর মাল্টিমিডিয়া উপস্থাপনা করা হবে। পরে তিনি সার্কিট হাউসে গিয়ে কর্ণফুলী নদীর উপর কালুরঘাট সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর উন্মোচন করবেন। এছাড়া চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসন এবং অক্সিজেন-হাটহাজারী সড়ক প্রকল্পের অগ্রগতি সরেজমিনে পরিদর্শন করবেন।
এ ছাড়া তিনি চট্টগ্রাম হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালের জন্য বরাদ্দকৃত ২৩ একর জমির দলিল সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করবেন। দুপুরে প্রধান উপদেষ্টা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যাবেন। বিকেলে কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে অনুষ্ঠিত হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের পঞ্চম সমাবর্তন অনুষ্ঠান। এতে ২০১১ থেকে ২০২৩ শিক্ষাবর্ষের প্রায় ২২ হাজার ৬০০ জন শিক্ষার্থীকে সনদপত্র এবং ২২ জনকে পিএইচডি ডিগ্রি প্রদান করা হবে।
চবি কর্তৃপক্ষ বলছে, দারিদ্র্য বিমোচন ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় অবদানের জন্য ড. ইউনূসকে ডি.লিট ডিগ্রি প্রদান করা হবে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম বলেন, উপাচার্যের নেতৃত্বে আমরা সমাবর্তনের সব প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন করেছি। এটি দেশের ইতিহাসে সর্ববৃহৎ সমাবর্তন হতে যাচ্ছে। অনুষ্ঠানে প্রায় এক লাখ মানুষের উপস্থিতি প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক (ডিসি) ফরিদা খানম বলেন, সকাল সোয়া ৯টায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আমাদের মাঝে এসে পৌঁছান। প্রধান উপদেষ্টার নিজ জেলায় এ ঐতিহাসিক সফর সফল করতে আমরা সর্বোচ্চ প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
যেসব এলাকায় ৪ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না আজ

গ্রিড উপকেন্দ্রের সম্প্রসারণ কাজের জন্য পিরোজপুর ও ঝালকাঠীতে আজ ৪ ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে। তবে নির্ধারিত সময়ের পর সরবরাহ স্বাভাবিক করা হবে বলে জানিয়েছে পাওয়ার গ্রিড কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার (১৩ মে) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় পাওয়ার গ্রিড বাংলাদেশ (পিএলসি)।
এতে বলা হয়, পাওয়ার গ্রিড বাংলাদেশ পিএলসি কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন গ্রিড ভিত্তিক বিদ্যুৎ সরবরাহে দক্ষতা উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ভান্ডারিয়া ১৩২/৩৩ কেভি গ্রিড উপকেন্দ্রের বে-সম্প্রসারণ কাজের জন্য উপকেন্দ্রের বরিশাল-ভান্ডারিয়া ও ভান্ডারিয়া-বাগেরহাট ১৩২ কেভি সঞ্চালন লাইন সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এর ফলে বুধবার (১৪ মে) সকাল ৬টা থেকে ১০টা পর্যন্ত পিরোজপুর ও ঝালকাঠি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আওতাধীন পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া, মঠবাড়িয়া, নেছারাবাদ (স্বরূপকাঠি) ও কাউখালী উপজেলা, ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর ও কাঁঠালিয়া উপজেলা এবং বরগুনা জেলার বামনা ও পাথরঘাটা উপজেলার বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যাহত হবে।
বিদ্যুৎ গ্রাহকদের সাময়িক অসুবিধার জন্য পাওয়ার গ্রিড কর্তৃপক্ষ আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
আজ চট্টগ্রাম যাচ্ছেন ড. ইউনূস

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথমবার চট্টগ্রামে যাচ্ছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ বুধবার (১৪ মে) তিনি নিজ জন্মভূমিতে যাবেন। প্রধান উপদেষ্টা সেখানে দিনব্যাপী বেশ কয়েকটি কর্মসূচিতে অংশ নেবেন।
প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার জানান, ড. ইউনূস বুধবার চট্টগ্রাম সফরে গিয়ে সেখানে নির্ধারিত বেশ কয়েকটি কর্মসূচিতে অংশ নেবেন। এর মধ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) পঞ্চম সমাবর্তনে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদান করবেন তিনি। পাশাপাশি তার পৈতৃক বাড়ি হাটহাজারী উপজেলার শিকারপুর ইউনিয়নের বাথুয়া গ্রামও পরিদর্শন করবেন।
এ ছাড়া প্রধান উপদেষ্টা চট্টগ্রামে পৌঁছার পর বন্দর পরিদর্শন করবেন এবং বন্দরের অভ্যন্তরে এনসিটি-৫ প্রাঙ্গণে একটি সভায় অংশ নেবেন। এরপর তিনি বন্দর ও জাহাজ চলাচল খাতের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বন্দর ব্যবহারকারী বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধি ও বাণিজ্য সংস্থার নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। সেখান থেকে যাবেন চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে। সেখানে কর্ণফুলী নদীর ওপর কালুরঘাট সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর উন্মোচন করবেন, যা চট্টগ্রামের বোয়ালখালী ও পটিয়া উপজেলার একটি অংশসহ কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ তীরের বিশাল জনগোষ্ঠীর বহুল প্রতীক্ষিত সেতু।