ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
তীব্র তাপপ্রবাহে প্রাথমিক-মাধ্যমিকে অনলাইনে ক্লাস চালুর চিন্তা

দেশজুড়ে তীব্র তাপপ্রবাহে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় দীর্ঘ ছুটি শেষেও খোলেনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। গত ২১ এপ্রিল ছুটি বাড়িয়ে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা দেয় সরকার। ২৬ ও ২৭ এপ্রিল শুক্র ও শনিবার হওয়ায় ৭ দিন বন্ধের পর ২৮ এপ্রিল পুনরায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস শুরু হওয়ার কথা।
তবে তাপপ্রবাহ না কমায় এ ছুটি বাড়ছে নাকি ২৮ এপ্রিল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে, তা নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা। অভিভাবকদের একটি অংশ এবং অভিভাবক ঐক্য ফোরাম নামে একটি সংগঠন অনলাইনে ক্লাস চালু রাখার দাবি তুলেছে। অনেকে আবার আরও কিছুদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার পক্ষে মত দিচ্ছেন।
এমন পরিস্থিতিতে কী ভাবছে শিক্ষা প্রশাসন? এমন প্রশ্নের অবশ্য সরাসরি জবাব মেলেনি। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না হওয়া এবং বিকল্প উপায় নিয়ে আলাপ-আলোচনা চালানোর কথা জানিয়েছেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তদারককারী প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকর্তারা।
শিক্ষা প্রশাসন বলছে, তীব্র গরমে ছুটি বাড়ানো কিংবা অনলাইনে ক্লাস নেওয়া নিয়ে কোনো সিদ্ধান্তই এখনো হয়নি। শিক্ষামন্ত্রী বিদেশ সফরে থাকায় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা এবং কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ এ নিয়ে আলোচনা করেনি। আলোচনা চললেও প্রাথমিক বিদ্যালয় নিয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরও।
তবে মাধ্যমিক, কারিগরি ও মাদরাসা এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের মধ্যে অনলাইনে ক্লাস চালুর বিষয়ে জোর আলোচনা রয়েছে। হাফ পিরিয়ড বা স্বল্প পরিসরে ক্লাস চালু করতেও মত দিচ্ছেন অনেকে। পাশাপাশি অ্যাসাইনমেন্টসহ ঘরে বসেই শিক্ষার্থীরা করতে পারে-এমন কাজ দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া নিয়ে চিন্তাভাবনা করছেন তারা।
তাপপ্রবাহে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে শিশু শিক্ষার্থীরা। তবে প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ রাখা বা খোলা নিয়ে কোনো সিদ্ধান্তই হয়নি বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) শাহ রেজওয়ান হায়াত।
তিনি বলেন, ছুটি বাড়ানো, ক্লাস কমিয়ে হাফ পিরিয়ড বা স্বল্প পরিসরে নেওয়া কিংবা অনলাইনে ক্লাস চালু করা-সব বিষয় সামনে রেখেই আমরা চিন্তা-ভাবনা করছি। তবে কোনো সিদ্ধান্তই এখনো চূড়ান্ত হয়নি। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বিষয়টি নিয়ে আলোচনা এবং চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হতে পারে। যে সিদ্ধান্তই আসুক, তা শিক্ষার্থীদের জন্য অবশ্যই ইতিবাচক হবে। নেতিবাচক সিদ্ধান্ত সরকার নেবে না।
অন্যদিকে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ছুটি আর বাড়ছে না বলেই জানিয়েছেন শিক্ষা প্রশাসনের কর্মকর্তারা। তাপপ্রবাহ যদি না কমে, সেক্ষেত্রে অনলাইনে ক্লাস চালানোর নির্দেশনা দেওয়া হতে পারে। শিক্ষার্থীদের বেশি বেশি অ্যাসাইনমেন্ট দিয়ে অ্যাকটিভ (সক্রিয়) রাখার জন্যও শিক্ষকদের পরামর্শ দেওয়া হতে পারে।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (মাধ্যমিক) অধ্যাপক সৈয়দ জাফর আলী বলেন, আমরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিইনি। আলাপ-আলোচনা চলছে। ক্লাস একেবারে বন্ধ রাখার চেয়ে অনলাইন ক্লাস কিংবা বাড়ির কাজ (অ্যাসাইনমেন্ট) দিয়ে শিক্ষার্থীদের কীভাবে পড়ালেখার মধ্যে রাখা যায় সেটা নিয়েও চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে। তবে কোনো ব্যাপারেই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়নি।
অভিভাবক ঐক্য ফোরামের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউল কবির দুলু বলেন, আমরা অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলেছি। সার্বিক দিক চিন্তা করেই স্কুল-কলেজ বন্ধ আর না বাড়িয়ে অনলাইনে ক্লাস চালুর কথা বলেছি। নতুন কারিকুলামে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখলে শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত বেশি হবে।
শিশুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করে ঘরে বসেই যেন পড়ালেখা চালিয়ে যেতে পারে, সে ব্যাপারে সরকারের পদক্ষেপ নেওয়ার জোর দাবি জানান অভিভাবক ঐক্য ফোরামের এ নেতা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ক্ষমা চাইলেন ড্যাফোডিলের সেই শিক্ষিকা

‘গ্লোবাল স্ট্রাইক ফর গাজা’ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সৃষ্টি হওয়া ভুল বোঝাবুঝির পর ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষিকা তাহমিনা রহমান একটি ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং সকলের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। সোমবার মধ্যরাতে এক ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে তিনি এ ক্ষমা চান।
পোস্টে তিনি উল্লেখ করেন, “আমার কথার ভুল বোঝাবুঝির কারণে যে গভীর কষ্ট ও বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে, তার জন্য আমি গভীরভাবে দুঃখিত। আল্লাহ আমাকে ক্ষমা করুন। আমি কখনোই ফিলিস্তিন ও গাজার মজলুম মুসলিমদের উপর নিকৃষ্ট ইসরাইলের ঘৃণিত হত্যাযজ্ঞ সমর্থন করিনি, এখনো করিনা, কখনোই করবো না।”
তিনি আরও বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যে স্ক্রিনশটগুলো ছড়িয়ে পড়েছে, তা তার প্রকৃত মনোভাবের প্রতিফলন নয়। তার কথাগুলো ভুলভাবে উপস্থাপিত হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
তাহমিনা জানান, “আমি নিঃসন্দেহে গাজা ও তার জনগণের পাশে আছি। তাদের ন্যায্য অধিকার, স্বাধীনতা এবং জীবনের নিরাপত্তার পক্ষে আমি সবসময়ই দৃঢ়ভাবে অবস্থান নিয়েছি ও ভবিষ্যতেও নেব।”
তিনি তার ব্যাচের কিছু শিক্ষার্থীর সিদ্ধান্তকে শুরুতে একটি ছোট পরিসরের বিষয় বলে ভেবেছিলেন, যা পরবর্তীতে একটি বৈশ্বিক আন্দোলনের অংশ হিসেবে দেখা দেয়। তিনি স্বীকার করেন, বিষয়টি পুরোপুরি না বোঝার কারণে তার প্রতিক্রিয়া যথাযথ ছিল না এবং সে জন্য তিনি আন্তরিকভাবে দুঃখিত।
তার এই ব্যাখ্যা ও দুঃখ প্রকাশের মাধ্যমে তিনি নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে জানান এবং বলেন, “আমার শিক্ষার্থী, সহকর্মী, বন্ধু এবং যারা এই ঘটনায় কষ্ট পেয়েছেন, তাদের কাছে আমি আন্তরিকভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। আপনারা সবাই আমাকে ক্ষমা করে দেবেন।”
তাহমিনার পোস্টটি ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। যেখানে অনেকে তার সমালোচনা করেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
পদ্মায় নৌকাডুবিতে স্বামীসহ প্রাণ গেল ইবি শিক্ষার্থী মাসুদার

পাবনায় পদ্মা নদীতে ঘুরতে গিয়ে নৌকাডুবিতে স্বামীসহ প্রাণ হারালেন কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মাসুদা মাহজাবিন মৌ।
শনিবার (০৫ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে নৌ পুলিশ তাদের মরদেহ উদ্ধার করেছে বলে নিশ্চিত করেছেন শিক্ষার্থীর বাবা মানিকুজ্জামান মানিক।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শুক্রবার বিকেলে পাবনার সুজানগরে পদ্মা নদীতে ইঞ্জিন চালিত নৌকায় বেড়াতে যান মৌ ও তার স্বামী হৃদয় প্রামাণিক। এক পর্যায়ে মাঝ নদীতে পৌছালে পদ্মার ঢেউয়ে ডুবে যায় নৌকাটি। তবে এসময় বাকিরা সাঁতরে তীরে পৌছাতে পারলেও নিখোঁজ হন মৌ এবং তার স্বামী হৃদয়।
নিহত মৌ -এর বাবা জানান, শুক্রবার বিকালে মৌ তার স্বামীসহ নদীতে বেড়াতে যায়। সন্ধ্যায় আমরা নৌকাডুবির খবর পাই। শনিবার সকাল দশটায় আমরা আমার মেয়ে আর তার স্বামীর মরদেহ খুঁজে পাই। এসময় নিজের নিহত মেয়ের জন্য সকলের কাছে দোয়া চান তিনি।
নিহত শিক্ষার্থীর সহপাঠীরা জানান, এমন আকস্মিক এবং হৃদয়বিদারক ঘটনা মেনে নেওয়া কঠিন। এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় আমরা স্তব্ধ হয়ে গেছি। বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে যে মৌ আর আমাদের মাঝে নেই। মৌ এবং তার স্বামীর আকস্মিক মৃত্যুতে গভীরভাবে শোকাহত আমরা এবং তার পরিবারের প্রতি আমার গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।
অর্থসংবাদ/সাকিব/কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
এসএসসি পাসে সিটি গ্রুপে চাকরির সুযোগ

সম্প্রতি জনবল নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বহুজাতিক শিল্পপ্রতিষ্ঠান সিটি গ্রুপ। প্রতিষ্ঠানটি তাদের ‘ইলেক্ট্রিশিয়ান/সিনিয়র ইলেক্ট্রিশিয়ান’ পদে জনবল নিয়োগ দেবে। আগ্রহীরা আগামী ২১ এপ্রিল পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন।
প্রতিষ্ঠানের নাম: সিটি গ্রুপ
বিভাগের নাম: ঢাকা সল্ট অ্যান্ড সিরামিকস লিমিটেড
পদের নাম: ইলেক্ট্রিশিয়ান/সিনিয়র ইলেক্ট্রিশিয়ান
পদসংখ্যা: ০২ জন
শিক্ষাগত যোগ্যতা: এসএসসি
অভিজ্ঞতা: ০৫ বছর
বেতন: আলোচনা সাপেক্ষে
চাকরির ধরন: ফুল টাইম
প্রার্থীর ধরন: পুরুষ
বয়স: ২৫-৪০ বছর
কর্মস্থল: মুন্সীগঞ্জ (গজারিয়া)
আবেদনের নিয়ম: আগ্রহীরা City Group এর মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।
আবেদনের শেষ সময়: ২১ এপ্রিল ২০২৫ তারিখ পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন।
সূত্র: বিডিজবস ডটকম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
১৯তম শিক্ষক নিবন্ধনের নিয়মে পরিবর্তন আনছে এনটিআরসিএ

বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) প্রতি বছর একটি করে নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে থাকে। সেই হিসেবে চলতি বছর ১৯তম নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হওয়ার কথা। কিন্তু কবে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে, তা জানাতে পারেনি সংস্থাটি।
এনটিআরসিএ কর্মকর্তারা বলছেন, ১৮তম নিবন্ধনের মৌখিক পরীক্ষা চলছে। শিগগির এ মৌখিক পরীক্ষা শেষ হবে। এরপর ১৯তম নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি নিয়ে কাজ শুরু হবে।
সংস্থার সংশ্লিষ্ট কয়েকজন কর্মকর্তা জানান, ১৯তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় বেশ কিছু পরিবর্তন আসবে। সেগুলো চূড়ান্ত করার কাজ চলছে। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আগে নিবন্ধন পরীক্ষার পরিবর্তিত হতে যাওয়া নিয়মগুলো চূড়ান্ত করা হবে। তারপর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।
জানতে চাইলে এনটিআরসিএ সচিব এ এম এম রিজওয়ানুল হক বলেন, আমাদের নীতিমালায় প্রতিবছর একটি করে নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের কথা উল্লেখ রয়েছে। সে অনুযায়ী চলতি বছরের মধ্যে আরেকটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। বিষয়টি নিয়ে কাজ চলছে। কবে বিজ্ঞপ্তি হবে, তা এখনো বলার মতো অগ্রগতি হয়নি।
দেশের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের যোগ্যতা অর্জন করতে হয় শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার মাধ্যমে। ২০০৫ সালে প্রতিষ্ঠার পর এখন পর্যন্ত ১৮টি নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে এনটিআরসিএ। এ নিবন্ধন সনদের মাধ্যমে ১ লাখেরও বেশি প্রার্থীকে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
কর্মচারীদের মাঝে ইবি ছাত্রশিবিরের ঈদ উপহার প্রদান

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মচারীদের মাঝে ঈদ সামগ্রী উপহার প্রদান করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, ইবি শাখা। গত বুধবার (২৬ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ আজিজুর রহমান হলে বিকাল ৪টায় এ অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। এতে প্রায় ১২০ জন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীর মাঝে ঈদ সামগ্রী উপহার প্রদান করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইবি শিবির সভাপতি মু. মাহমুদুল হাসান বলেন, পবিত্র রমজান মাস শেষে একরাশ আনন্দ আর খুশির বার্তা নিয়ে আমাদের মাঝে সমাগত হয়েছে ঈদ-উল-ফিতর। দীর্ঘ এক মাস আত্মসংযম, ত্যাগ ও ইবাদতের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে পরিশুদ্ধ করেছি। ঈদ সেই সিয়াম সাধনার পরিসমাপ্তি এবং আনন্দের দিন। ঈদ মানেই উৎসব, ঈদ মানেই মিলনের বার্তা। এই দিনে ধনী-গরিব, ছোট-বড় সকলের ভেদাভেদ ভুলে সবাই এক কাতারে শামিল হই, একে অপরের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করি। আমাদের চারপাশে অনেক সুবিধাবঞ্চিত, অসহায় ও দুস্থ মানুষ রয়েছেন, যারা হয়তো ঈদের আনন্দ থেকে বঞ্চিত। এই দিনে তাদের পাশে দাঁড়ানো আমাদের নৈতিক ও সামাজিক দায়িত্ব। ঈদ শুধু ব্যক্তিগত উৎসব নয়; বরং এটি সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যের প্রতীক।
তিনি আরো বলেন, বিশেষ করে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন কর্মচারীরা, যারা প্রতিদিন শিক্ষার্থীদের জন্য নিরলস পরিশ্রম করেন- তাদের জন্য এই আয়োজন। সবার মুখে হাসি ফোটানোর মাধ্যমে ঈদের আনন্দকে আরও অর্থবহ করে তুলতেই আমাদের এই প্রচেষ্টা। ছাত্রশিবির প্রতিবছরই বিভিন্ন স্তরের জনসাধারণের মধ্যে ঈদ উপহার বিতরণের উদ্যোগ গ্রহণ করে, যার মূল উদ্দেশ্য হলো সবার মাঝে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করা। আসুন, আমরা সবাই মিলেমিশে ঈদ আনন্দে মেতে উঠি এবং একই সাথে সমাজের অবহেলিত মানুষগুলোর প্রতি আমাদের সহানুভূতির হাত বাড়িয়ে দিই।
অর্থসংবাদ/সাকিব/এসএম