কর্পোরেট সংবাদ
টেন মিনিট স্কুলের কোর্সে বিকাশ পেমেন্টে ১৫ শতাংশ ক্যাশব্যাক

বিকাশ অ্যাপ থেকে দেশের শীর্ষস্থানীয় অনলাইন শিক্ষামূলক প্ল্যাটফর্ম টেন মিনিট স্কুলের নির্দিষ্ট কোর্স নিয়ে পেমেন্ট করলেই গ্রাহকরা পাচ্ছেন ১৫ শতাংশ ইনস্ট্যান্ট ক্যাশব্যাক, সর্বোচ্চ ২০০ টাকা পর্যন্ত।
বিকাশ অ্যাপের হোম স্ক্রিনের সাজেশনস সেকশন থেকে ‘টেন মিনিট স্কুল’ সিলেক্ট করে ৩০ জুন পর্যন্ত অফারটি গ্রহণ করা যাবে।
টেন মিনিট স্কুলের লাইভ কোর্স, স্পোকেন ইংলিশ, আইইএলটিএস, ফ্রিল্যান্সিংয়ের মতো ভাষা শিক্ষা ও স্কিল ডেভেলপমেন্ট কোর্স, ইংলিশ মাস্টার্স, কনটেন্ট ক্রিয়েশন, ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের মতো বান্ডেল কোর্স, বুয়েট, মেডিকেল, ভার্সিটির ভর্তি পরীক্ষার কোর্স, এসএসসি-এইচএসসি প্রস্তুতি ও অনলাইন ব্যাচের জন্য একাডেমিক কোর্স, চাকরির নিয়োগ পরীক্ষার প্রস্তুতি সহ নানা ধরনের কোর্স নিতে পারবেন বিকাশ গ্রাহকরা এই অফারের আওতায়।

কর্পোরেট সংবাদ
ইসলামী ব্যাংকে মতবিনিময় সভা

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির প্রধান কার্যালয়ের নির্বাহী, জোন ও শাখাপ্রধানদের নিয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলো ব্যাংকের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম জুবায়দুর রহমান।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ম্যানেজিং ডাইরেক্টর (চলতি দায়িত্ব) মো. ওমর ফারুক খান। অনুষ্ঠানে ব্যাংকের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. আলতাফ হুসাইন, ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. মাহবুব আলম, মাহমুদুর রহমান, মো. রফিকুল ইসলাম, কে.এম. মুনিরুল আলম আল-মামুন, ড. এম কামাল উদ্দীন জসীম এবং মো. মাকসুদুর রহমানসহ প্রধান কার্যালয়ের উইং ও ডিভিশন প্রধান, ঊর্ধ্বতন নির্বাহীবৃন্দ, ১৬টি জোনের জোনপ্রধান, ৪০০টি শাখার ব্যবস্থাপকগণ এবং ২৭১টি উপশাখার ইনচার্জগণ অংশ নেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর ড. এম জুবায়দুর রহমান বলেন, ইসলামী ব্যাংকের সুনাম পুনরুদ্ধারে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। আমানত সংগ্রহ, নতুন সম্পদ বৃদ্ধি, ওভারডিউ বিনিয়োগ রিকোভারির জন্য লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে বাস্তবায়নের জন্য কাজ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, অল্প সময়ে অনেক বেশি কাজ করতে হবে। তিনি ব্যাংকের চলমান জরুরি বিষয়গুলোকে চিহ্নিত করে সমাধান করার লক্ষ্যে সকলকে নিরলস পরিশ্রম করার জন্য নির্দেশনা দেন।
কাফি
কর্পোরেট সংবাদ
মার্কেট ক্যাপিটালাইজেশনে ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়াল ব্র্যাক ব্যাংক

দেশের পুঁজিবাজারে এক ঐতিহাসিক মাইলফলক অর্জন করেছে ব্র্যাক ব্যাংক। বাংলাদেশের একমাত্র ব্যাংক হিসেবে এক বিলিয়ন মার্কিন ডলারের মার্কেট ক্যাপিটালাইজেশন অতিক্রম করে এই নৈপুণ্য অর্জন করেছে ব্যাংকটি।
এই উল্লেখযোগ্য অর্জন ব্যাংকটির পারফরম্যান্স ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার ব্যাপারে দেশি ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের অবিচল আস্থার প্রতিফলন। ব্র্যাক ব্যাংকের ধারাবাহিক সাফল্যের মূলে রয়েছে ব্যাংকটির কর্পোরেট সুশাসন, আর্থিক সক্ষমতা এবং দেশি ও বিদেশি ক্রেডিট রেটিং প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত দেশসেরা ক্রেডিট রেটিং। কর্পোরেট সুশাসন এবং মূল্যবোধ-নির্ভর ব্যাংকিংয়ের দৃষ্টান্ত হিসেবে বিবেচিত ব্র্যাক ব্যাংক প্রায় সকল প্রধান আর্থিক সূচকে নিজের শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে।
ব্লু-চিপ স্টক হিসেবে বিবেচিত ব্র্যাক ব্যাংকের শেয়ারমূল্য সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ—উভয় বাজারেই ঊর্ধ্বমুখী অবস্থানে রয়েছে। ২১ জুলাই ২০২৫ ব্যাংকটির শেয়ারের বাজারমূল্য ৬৩.৭০ টাকায় উন্নীত হয়েছে, যা ফেস-ভ্যালু (অভিহিত মূল্য) ১০ টাকার তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি।
ব্যাংকটির ১৯৯ কোটি তালিকাভুক্ত শেয়ারের মধ্যে ডিরেক্টর ও স্পন্সরদের অংশ ৪৬.১৭% এবং বিদেশি বিনিয়োগকারীদের অংশ ৩৩.৭৯%, যা বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতে সর্বোচ্চ বিদেশি বিনিয়োগ। বাকি অংশের মধ্যে স্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ারহোল্ডিংয়ের হার ১৩.২৮% এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের অংশ ৬.৭৬%।
পাঁচ হাজার কোটি টাকার অনুমোদিত ও ১ হাজার ৯৯১ কোটি টাকার পরিশোধিত মূলধন নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক সকল গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক সূচক, যেমন: আর্নিং পার শেয়ার (ইপিএস), রিটার্ন অন ইক্যুইটি (আরওই), রিটার্ন অন অ্যাসেট (আরওএ), নন-পারফর্মিং লোন (এনপিএল) এবং কর-পরবর্তী মুনাফায় লক্ষণীয় প্রবৃদ্ধির ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে।
ব্র্যাক ব্যাংকের এমন উল্লেখযোগ্য অর্জন সম্পর্কে ব্যাংকটির ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও (কারেন্ট চার্জ) তারেক রেফাত উল্লাহ খান বলেন, “বাংলাদেশের প্রথম এবং একমাত্র ব্যাংক হিসেবে মার্কেট ক্যাপিটালাইজেশনে এক বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে যাওয়ায় আমরা অত্যন্ত গর্বিত ও আনন্দিত। এই মাইলফলক ব্র্যাক ব্যাংকের প্রতি শেয়ারহোল্ডার ও গ্রাহকদের অবিচল আস্থারই প্রতিফলন।”
তিনি আরও বলেন, “এই অর্জন সকলের কাছে আমাদের শক্তিশালী সুশাসন সংস্কৃতি, বিচক্ষণ আর্থিক ব্যবস্থাপনা এবং দীর্ঘমেয়াদি ভ্যালু ও ইমপ্যাক্ট তৈরির প্রতিশ্রুতিকে তুলে ধরে। আমরা টেকসই প্রবৃদ্ধি ও শেয়ারহোল্ডারদের স্বার্থ রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
কাফি
কর্পোরেট সংবাদ
শতভাগ কার্বন নিঃসরণের তথ্য দিলো ব্র্যাক ব্যাংক

বাংলাদেশে টেকসই ব্যাংকিংযাত্রার অন্যতম পথিকৃৎ হিসেবে দেশের প্রথম কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের একটি হিসেবে সব ধরনের গ্রিনহাউস গ্যাস (জিএইচজি) নিঃসরণের তথ্য প্রকাশ করেছে ব্র্যাক ব্যাংক। ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ কার্যক্রম থেকে শুরু করে ফাইন্যান্সিয়াল কার্যক্রম পর্যন্ত সকল বিষয়ে মোট কার্বন নিঃসরণের তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে এতে।
২০২৪ সালের ‘সাসটেইনেবিলিটি অ্যান্ড ইমপ্যাক্ট রিপোর্ট’ প্রকাশের মাধ্যমে ব্র্যাক ব্যাংক পূর্ণাঙ্গ কার্বন অ্যাকাউন্টিং সম্পন্ন করেছে। এতে দেখা গেছে, ব্যাংকের মোট নিঃসরণকৃত কার্বন ডাই-অক্সাইড ইক্যুইভ্যালেন্ট (tCO₂e) ১৪,৭৭,৪৬৮ টন, যার মধ্যে রয়েছে ডিরেক্ট (স্কোপ-১), এনার্জি বিষয়ক (স্কোপ-২) এবং ভ্যালু চেইন (স্কোপ-৩) নিঃসরণ। এটি আর্থিক খাতে পরিবেশগত স্বচ্ছতার দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
স্কোপ-১ এর আওতায় আছে ব্যাংকের নিজস্ব মালিকানাধীন বা নিয়ন্ত্রণাধীন উৎস (ডিজেল জেনারেটর, রেফ্রিজারেন্ট, গাড়ির জ্বালানি) থেকে নিঃসরণকৃত কার্বনের পরিমাণ ১,৬৩০ টন। স্কোপ-২ এর আওতায় আছে বিদ্যুৎ ক্রয়ের মাধ্যমে পরোক্ষভাবে সৃষ্ট কার্বনের পরিমাণ ১৬,৬৭১ টন। স্কোপ-৩-এ আছে ব্যাংকের ভ্যালু চেইনের বিভিন্ন পর্যায়ে সৃষ্ট পরোক্ষ নিঃসরণ, যার পরিমাণ ১৪,৫৯,১৬৭ টন। স্কোপ ৩-এর সবচেয়ে বড় অংশটি এসেছে ব্যাংকের অর্থায়নকৃত খাতগুলো থেকে, যার পরিমাণ ১৪,২৩,৪৭৯ টন। এটি ব্যাংকের মোট কার্বন ফুটপ্রিন্টের ৯৬ শতাংশেরও বেশি। স্কোপ-৩ নির্গমনের বাকি অংশ (৩৫,৬৮৭ tCO₂e) উৎপাদনের জন্য দায়ী বিজনেস ট্রাভেল, বর্জ্য, প্রকিউরমেন্ট এবং কর্মীদের যাতায়াতে ব্যবহৃত পরিবহন।
এটি ব্র্যাক ব্যাংককে দক্ষিণ এশিয়ায় অনন্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্থান করে দিয়েছে, যারা গ্রিনহাউস প্রোটোকল দ্বারা সংজ্ঞায়িত স্কোপ ৩-এর অধীনে স্বেচ্ছায় ক্যাটাগরি ১৫ নির্গমন রিপোর্ট করে – যা একটি ব্যাংকের জলবায়ু প্রভাবের সবচেয়ে জটিল এবং বস্তুগত দিক হিসাবে বিবেচিত হয়, বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত পার্টনারশিপ ফর কার্বন অ্যাকাউন্টিং ফাইন্যান্সিয়ালস (PCAF) স্ট্যান্ডার্ডের উপর ভিত্তি করে পরিমাপের মাধ্যমে। ২০২৪ সালে ক্লিন এনার্জি ও সৌরবিদ্যুৎ ব্যবস্থায় বিনিয়োগের মাধ্যমে ব্যাংকটি ১৮,১১২ টন কার্বন নিঃসরণ পরিহার করতে সমর্থ হয়েছে, যার ফলে নিট নিঃসরণ দাঁড়িয়েছে ১৪,৫৯,৩৫৬ টনে।
বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ব্যাংকের অর্থায়নকৃত তিনটি খাত, যথা- পেট্রোলিয়াম ও কেমিক্যালস, খাদ্য ও পানীয় এবং ধাতব বস্তু উৎপাদন ৬১.৫% কার্বন নিঃসরণের জন্য দায়ী, যদিও ব্যাংকটির দেওয়া মোট ঋণের মাত্র ২১% দেওয়া হয়েছিল উল্লিখিত খাতে। এই তথ্যগুলো ব্যাংকের ট্রানজিশন-ফাইন্যান্স কৌশল প্রণয়নে ভূমিকা রাখছে, যার মাধ্যমে ব্যাংকটির লক্ষ্য হলো, উচ্চ কার্বন নিঃসরণকারী খাতগুলোর কার্বন ফুটপ্রিন্ট হ্রাসে সহায়তার পাশাপাশি টেকসই খাতে বিনিয়োগ বাড়ানো।
হিসাবের সঠিকতা নিশ্চিত করতে ব্যাংকটি ইন্টারন্যাশনাল সাসটেইনেবিলিটি স্ট্যান্ডার্ডস বোর্ডের (আইএসএসবি) অধীন ‘জিএইচজি প্রটোকল, জিআরআই স্ট্যান্ডার্ডস, আইএফআরএস এস-১ অ্যান্ড এস-২’ আন্তর্জাতিক কাঠামোর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এছাড়াও, ব্যাংকটি পোর্টফোলিও রিস্ক মূল্যায়নে সেক্টরভিত্তিক কার্বন ইনটেনসিটি মেট্রিকস ও ক্লাইমেট ভালনারেবিলিটি ইনডেক্স (সিভিআই)-এর মতো নিজস্ব টুলও ব্যবহার করেছে।
কার্বন নিঃসরণ তথ্য প্রকাশের বাইরেও এই উদ্যোগটি ব্যাংকটির অপারেটিং ফিলোসপিতে বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত বহন করে। ব্র্যাক ব্যাংকের ক্রেডিট রিস্ক ফ্রেমওয়ার্কে যুক্ত হয়েছে জিএইচজি ইনটেনসিটি এবং সেক্টোরাল এক্সপোজার ইন্ডিকেটরস, যা রিয়েল-টাইম নিঃসরণ মনিটরিংয়ে সহায়তা করছে। এর ফলে ভবিষ্যতে টেকসই উন্নয়ন ও কার্বন হ্রাস-সম্পর্কিত লোন প্রোডাক্ট চালুর ভিত প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, যেগুলোর মাধ্যমে ক্লায়েন্টদের জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন আর্থিক সুবিধা দেওয়া সম্ভব হবে।
এই উদ্যোগটি বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতে জলবায়ু দায়বদ্ধতা প্রতিষ্ঠায় এক নতুন মাইলফলক, যা বৈশ্বিক সবুজ অর্থায়ন পরিমণ্ডলে ব্র্যাক ব্যাংকের অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করেছে। এর ফলে ব্র্যাক ব্যাংক শক্তিশালী অবস্থানে থেকে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা, গ্রীন বন্ড মার্কেট এবং বৈশ্বিক ইএসজি বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে আলোচনার সুযোগ পাবে।
জলবায়ু বিষয়ে ব্র্যাক ব্যাংকের এই প্রতিশ্রুতি উচ্চ কার্বন নিঃসরণকারী ক্লায়েন্টদের নির্গমন হ্রাসের খাতভিত্তিক রোডম্যাপ তৈরি করেছে, যা তাদের নির্গমন হ্রাসের নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করে দেওয়ার পাশাপাশি তাদের জন্য কার্বন-লিটারেসি টুলও চালু করেছে। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, সম্প্রতি ব্যাংক একটি ৬৮ মেগাওয়াটের গ্রিড-টাইড সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পে বিনিয়োগ করেছে, যা প্রতি বছর ৭০,০০০ টনেরও বেশি কার্বন নিঃসরণ প্রতিরোধ করতে পারবে। এছাড়াও, ব্যাংকটি এখন পর্যন্ত জলবায়ু-স্মার্ট প্রযুক্তির উন্নয়নে ৫৩,৩৫৭ মিলিয়ন টাকা ট্রানজিশন ফাইন্যান্সে বরাদ্দ দিয়েছে।
ব্র্যাক ব্যাংকের এই যুগান্তকারী উদ্যোগ এক নতুন বেঞ্চমার্ক স্থাপন করেছে। কার্বন নিঃসরণ রিপোর্ট প্রকাশের মাধ্যমে ব্র্যাক ব্যাংক প্রমাণ করেছে যে, শুধু প্রতিশ্রুতি দিয়েই নয়, বরং পরিমাপযোগ্য ও তথ্যভিত্তিক বাস্তব পদক্ষেপের মাধ্যমে আর্থিক প্রতিষ্ঠানও অর্থনীতির কার্বন নিরপেক্ষীকরণে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারে। গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনের পরিমাণ পরিমাপের মাধ্যমে ব্র্যাক ব্যাংক বাংলাদেশের আর্থিক খাতে জলবায়ু জবাবদিহিতাকে নতুন মাত্রা দিয়েছে। পাশাপাশি ব্যাংকটি একটি ফিউচার-প্রুফ ও ইমপ্যাক্ট-ড্রিভেন নীলনকশাও তৈরি করেছে, যা পরিবেশের উন্নয়নে নীতি সংস্কার ও পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে অর্থপূর্ণ বিনিয়োগকারীদের এই লক্ষ্যে সম্পৃক্ত করতে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
কর্পোরেট সংবাদ
এক ট্যাপেই সবচেয়ে সহজে মোবাইল রিচার্জ এখন বিকাশ অ্যাপে

বিকাশ অ্যাপ থেকে এখন এক ট্যাপেই নিজের রেজিস্টার্ড মোবাইল নম্বরে রিচার্জ করা যাচ্ছে। পিন বা বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশন ছাড়াই সবচেয়ে সহজে এক হাজার টাকা পর্যন্ত এই ‘এক ট্যাপ’ মোবাইল রিচার্জ করতে পারছেন গ্রাহকরা। ফলে, বিকাশ অ্যাপ থেকে নিজের মোবাইল রিচার্জ হয়েছে নিরবচ্ছিন্ন, এবং সময় সাশ্রয়ী।
বিকাশের বহুল ব্যবহৃত মোবাইল রিচার্জ সেবাকে আরও বেশি গ্রাহকবান্ধব করতেই নতুন এই ‘এক ট্যাপ’ পদ্ধতি যুক্ত করা হয়েছে। সকল মোবাইল অপারেটর এর রিচার্জের ক্ষেত্রে গ্রাহকরা এই এক ট্যাপ সেবাটি নিতে পারছেন। ডিজিটাল লেনদেনে গ্রাহকের অভ্যস্ততা ও আস্থা বাড়ার সাথে সাথে তাদের জন্য আরও নিরবচ্ছিন্ন সেবা নিশ্চিত করতেই এই ধরনের সেবাগুলো ধারাবাহিকভাবে যুক্ত হচ্ছে বিকাশ অ্যাপে।
‘এক ট্যাপ’ মোবাইল রিচার্জ চালু করতে প্রথমবার সেবা চালুর সম্মতি দিতে হবে। মোবাইল রিচার্জ আইকনে ক্লিক করলে গ্রাহক নম্বরের তালিকা দেখতে পাবেন। সেখান থেকে নিজের নম্বর নির্বাচন করলে ‘এক ট্যাপ’ মোবাইল রিচার্জ চালুর জন্য সম্মতি চাইবে। সম্মতি দিয়ে এগিয়ে গেলেই পিন ছাড়া ‘এক ট্যাপ’ রিচার্জ পদ্ধতি চালু হয়ে যাবে। এরপর প্রতিবার কেবল নম্বর সিলেক্ট করে, টাকার পরিমাণ লিখে ট্যাপ করলেই রিচার্জ হয়ে যাবে।
সেবাটির মাধ্যমে প্যাক বা অফার রিচার্জ করতে চাইলে নম্বর ট্যাপ করে পরের স্ক্রিনে ইন্টারনেট, মিনিট, বান্ডেল ইত্যাদি অফার ট্যাব থেকে পছন্দসই প্যাক নির্বাচন করতে হবে। পরের ধাপে একই পদ্ধতিতে এক ট্যাপেই রিচার্জ করা যাবে। কোনো কুপন থাকলে তাও ‘এক ট্যাপ’ রিচার্জ পদ্ধতিতে ব্যবহার করা যাবে।
‘এক ট্যাপ’ মোবাইল রিচার্জ পদ্ধতি বাতিল করে আবার আগের অবস্থায় ফেরত যেতে চাইলে বিকাশ হোম স্ক্রিনের প্রোফাইল অপশনে যেতে হবে। সেখান থেকে ‘এক ট্যাপ’ লেনদেন সিলেক্ট করে বন্ধ/ডিজঅ্যাবেল্ড করে দিতে হবে। গ্রাহকরা নিজের প্রোফাইল থেকেই সেবাটি পুনরায় চালু করতে পারবেন।
গ্রাহকের মোবাইল রিচার্জ সেবা ঝামেলাবিহীন করতে অটো পে, অটো রিচার্জ, মাই অফার, বিভিন্ন ধরনের প্যাকেজসহ নানান সুবিধা যুক্ত আছে বিকাশ অ্যাপে। নিজের বা প্রিয়জনের মোবাইল রিচার্জের ক্ষেত্রে এধরনের সুবিধাগুলো নিরবচ্ছিন্নভাবে মোবাইল ব্যবহারের সুযোগ করে দিয়েছে।
কাফি
কর্পোরেট সংবাদ
ইসলামী ব্যাংকের বোর্ড সভা

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির পরিচালনা পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (২৩ জুলাই) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ব্যাংকের নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম জুবায়দুর রহমান এতে সভাপতিত্ব করেন।
সভায় এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ খুরশীদ ওয়াহাব, অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মো. আবদুস সালাম, রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম মাসুদ রহমান ও স্বতন্ত্র পরিচালক মো. আবদুল জলিল, ম্যানেজিং ডাইরেক্টর (চলতি দায়িত্ব) মো. ওমর ফারুক খান, শরী’আহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সদস্য সচিব প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আব্দুস সামাদ এবং কোম্পানি সেক্রেটারি মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম উপস্থিত ছিলেন।
কাফি