অর্থনীতি
অর্থনৈতিক জোনে ১৯.৯৭ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে বেপজা

চীনা মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান এসবিএস জিপার বাংলাদেশ কোম্পানি লিমিটেড বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চলে ১৯.৯৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগে একটি গার্মেন্টস এক্সেসরিজ কারখানা স্থাপন করতে যাচ্ছে। এ লক্ষ্যে আজ ঢাকায় প্রতিষ্ঠানটির সাথে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশ রপ্তানী প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষ (বেপজা)।
বেপজার নির্বাহী চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল আবুল কালাম মোহাম্মদ জিয়াউর রহমানের উপস্থিতিতে বেপজার সদস্য (বিনিয়োগ উন্নয়ন) আলী রেজা মজিদ এবং এসবিএস জিপার বাংলাদেশ কোম্পানি লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াইফাং শেন নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
চীনা প্রতিষ্ঠানটি বার্ষিক ২৭১ মিলিয়ন পিস মেটাল জিপার, নাইলন বা প্লাস্টিক জিপার, স্লাইডার, চেইন, জিপার পার্টস, টেপস, প্লাস্টিকের বোতাম, বোতামের পার্টস, মোল্ড উৎপাদন করবে যেখানে ২০৬৩ জন বাংলাদেশি নাগরিকের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে।
বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চলকে বিনিয়োগ গন্তব্য হিসেবে নির্বাচনের জন্য এসবিএস জিপারকে ধন্যবাদ জানান বেপজার নির্বাহী চেয়ারম্যান। তিনি এসবিএস জিপার বাংলাদেশকে তাদের উৎপাদন এবং রপ্তানি শুরু করতে সার্বক্ষনিক সব ধরনের সেবা প্রদানের আশ্বাস দেন।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বেপজার সদস্য (প্রকৌশল) মোহাম্মদ ফারুক আলম, সদস্য (অর্থ) মো. আশরাফুল কবীর, নির্বাহী পরিচালক (প্রশাসন) আ ন ম ফয়জুল হক, নির্বাহী পরিচালক (বিনিয়োগ উন্নয়ন) মো. তানভীর হোসেন, নির্বাহী পরিচালক (এন্টারপ্রাইস সার্ভিসেস) মো. খুরশীদ আলম এবং নির্বাহী পরিচালক (জনসংযোগ) এ.এস.এম. আনোয়ার পারভেজসহ কোম্পানির প্রতিনিধিগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, এসবিএস জিপার বাংলাদেশ কোম্পানি লিমিটেড বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ জিপার উৎপাদনকারি প্রতিষ্ঠান এসবিএস জিপারের সহযোগী প্রতিষ্ঠান, বৈশ্বিক জিপার উৎপাদনে যাদের অবস্থান চীনে প্রথম এবং বিশ্বে দ্বিতীয়।
কাফি

অর্থনীতি
অনলাইনে আয়কর রিটার্ন জমা বাধ্যতামূলক করলো সরকার

আয়কর রিটার্ন জমা অনলাইনে বাধ্যতামূলক করলো সরকার। রবিবার (৩ আগস্ট) জাতীয় রাজস্ব বোর্ড চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান সই করা বিশেষ আদেশ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
তবে প্রবাসী বাংলাদেশি, ৬৫ বছর বা তদূর্ধ্ব বয়সের প্রবীণ ব্যক্তি, সনদপত্র দাখিল সাপেক্ষে শারীরিকভাবে অক্ষম বা বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তি ও মৃত করদাতার পক্ষে আইনগত প্রতিনিধি এই নিয়মের বাইরে থাকবেন।
এই চার শ্রেণির করদাতা চাইলে অনলাইনে রিটার্ন জমা দিতে পারবেন।
আদেশে আরও বলা হয়েছে, ই-রিটার্ন সিস্টেমে কারিগরি সমস্যার কারণে যদি কোনো সাধারণ করদাতা রিটার্ন জমা দিতে না পারেন, তাহলে তাকে আগামী ৩১ অক্টোবর ২০২৫-এর মধ্যে সংশ্লিষ্ট উপকর কমিশনারের কাছে লিখিতভাবে যুক্তিসঙ্গত কারণ জানিয়ে আবেদন করতে হবে। অতিরিক্ত বা যুগ্ম কর কমিশনারের অনুমোদন সাপেক্ষে তারা কাগজে (পেপার রিটার্ন) রিটার্ন জমা দিতে পারবেন।
আয়কর আইন ২০২৪ এর ধারা ৩২৮ এর উপ ধারা (চ) প্রদত্ত ক্ষমতাবলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এ আদেশ দ্বারা ৪ আগস্ট থেকে কিছু ক্ষেত্র ব্যতীত সব স্বাভাবিক ব্যক্তি করদাতার অনলাইনে (www.ctaxnbf.gov.bd) আয়কর রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করা হলো।
গত বছর ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরের সব সরকারি কর্মকর্তা, সব তফসিলি ব্যাংক ও কিছু বড় কোম্পানির কর্মকর্তাদের অনলাইনে রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
এ বছরের মাঝামাঝি সবার জন্য অনলাইন রিটার্ন জমা বাধ্যতামূলক করা হবে বলে জানিয়েছিল এনবিআর।
চলতি বছরের ২৭ মার্চ এক অনুষ্ঠানে এনবিআর চেয়ারম্যান জানান, বর্তমানে ১ কোটি ৪৫ লাখ টিআইএনধারীর মধ্যে মাত্র ৪৫ লাখ রিটার্ন জমা দিয়েছেন।
অর্থনীতি
এলপি গ্যাসের নতুন মূল্য নির্ধারণ আজ

আগস্ট মাসের জন্য ভোক্তাপর্যায়ে এলপি গ্যাসের নতুন মূল্য ঘোষণা দেওয়া হবে আজ। রবিবার (৩ আগস্ট) এক সংবাদ সম্মেলনে নতুন মূল্য ঘোষণা করবে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)।
এর আগে গত ২ জুলাই ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৩৯ টাকা কমিয়ে ১ হাজার ৩৬৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়। এছাড়া ১ টাকা ৮৪ পয়সা কমিয়ে অটোগ্যাসের মূসকসহ দাম প্রতি লিটার ৬২ টাকা ৪৬ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছিল।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালে ৪ দফা কমেছিল এলপিজি ও অটোগ্যাসের দাম, আর বেড়েছে ৭ দফা। এ দফা ছিল অপরিবর্তিত। গত বছরের জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি, মার্চ, জুলাই, আগস্ট, সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর বাড়ানো হয়েছিল এলপিজি ও অটোগ্যাসের দাম। আর দাম কমেছিল এপ্রিল, মে, জুন ও নভেম্বরে। তবে দাম অপরিবর্তিত ছিল ডিসেম্বরে।
অর্থনীতি
এলপি গ্যাসের নতুন দাম নির্ধারণ রবিবার

আগস্ট মাসে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) মূল্য বাড়ছে নাকি কমছে, তা জানা যাবে আগামীকাল রবিবার (৩ আগস্ট)। এক মাসের জন্য এলপিজির নতুন দাম ঘোষণা করা হবে সেদিন।
বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, সৌদি আরামকো ঘোষিত আগস্ট (২০২৫) মাসের সৌদি সিপি অনুযায়ী, এই মাসের জন্য ভোক্তা পর্যায়ে বেসরকারি এলপিজির মূল্য সমন্বয় সম্পর্কে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের নির্দেশনা রোববার দুপুর ৩টায় ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশের (আইইবি) ঢাকার কমিশন কার্যালয়ের শুনানি কক্ষে প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে ঘোষণা করা হবে।
এর আগে গত ২ জুলাই সবশেষ সমন্বয় করা হয় এলপি গ্যাসের দাম। সে সময় ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৩৯ টাকা কমিয়ে ১ হাজার ৩৬৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়।
আগামী রোববার এলপিজির পাশাপাশি ঘোষণা করা হবে অটোগ্যাসের দামও। এর আগে গত ২ জুলাই সবশেষ সমন্বয় করা হয় অটোগ্যাসের দাম। সে সময় ভোক্তা পর্যায়ে ১ টাকা ৮৪ পয়সা কমিয়ে অটোগ্যাসের মূসকসহ দাম প্রতি লিটার ৬২ টাকা ৪৬ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছিল।
প্রতি মাসের শুরুতেই এলপিজির নতুন দাম ঘোষণা করে বিইআরসি।
অর্থনীতি
যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ব্যবসা বাড়ানোর সুযোগ আসবে: বিজিএমইএ সভাপতি

বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বলেছেন, মার্কিন পাল্টা শুল্ক ৩৫ থেকে কমে ২০ শতাংশ হওয়াটা আমাদের জন্য স্বস্তির। তাতে আমাদের ব্যবসা বাড়ানোর সুযোগ আসবে।
তিনি বলেন, চীনের ওপর এখন পর্যন্ত পাল্টা শুল্ক আছে ৩০ শতাংশ। শিগগির দেশটির ওপর চূড়ান্ত পাল্টা শুল্কহার ঘোষণা করবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তবে যতদূর আভাস মিলছে, তাদের শুল্কহার আমাদের চেয়ে কম হবে না। ফলে দিন শেষে চীন থেকে তৈরি পোশাকের ক্রয়াদেশ স্থানান্তরিত হওয়া অব্যাহত থাকবে।
মার্কিন শুল্ক কমার পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার (১ আগস্ট) এক লিখিত বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।
বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, ব্যবসা বাড়ানোর সুযোগ আসার ক্ষেত্রে চাহিদা অনুযায়ী জ্বালানি সরবরাহ, চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধি, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার মতো বিষয়গুলো অনুকূলে থাকতে হবে। যেহেতু এখন পর্যন্ত আমরা চুক্তির খসড়া বা সার সংক্ষেপ শুধু জেনেছি, বিস্তারিত পাইনি, তবে আশা করি আমাদের বাণিজ্য প্রতিনিধি দল দেশের ও বাণিজ্য স্বার্থ বজায় রেখেই চুক্তি সম্পাদন সম্পন্ন করেছেন।
তিনি বলেন, পাল্টা শুল্ক নিয়ে গত তিন মাস ধরে আমরা এক ধরনের অনিশ্চয়তার মধ্যে ছিলাম। তবে বাড়তি এই শুল্ক আমদানিকারক ও ক্রেতা প্রতিষ্ঠানকেই দিতে হবে। আমরা প্রথম থেকেই বলে আসছিলাম, প্রতিযোগী দেশের তুলনায় আমাদের পণ্যে পাল্টা শুল্ক বেশি হলে ব্যবসা কঠিন হয়ে যাবে। তবে প্রতিযোগী দেশ পাকিস্তানের চেয়ে আমাদের পাল্টা শুল্ক ১ শতাংশ বেশি হলেও ভারতের চেয়ে ৫ শতাংশ কম। এ ছাড়া চীনের চেয়ে ১০ শতাংশ কম। এটি আমাদের জন্য বড় স্বস্তির।
বাড়তি পাল্টা শুল্কের কারণে সাময়িকভাবে ব্যবসা কমতে পারে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তার কারণ আগের থেকে পণ্য আমদানিতে বেশি শুল্ক দিতে হবে মার্কিন ক্রেতা প্রতিষ্ঠানকে। এতে তাদের মূলধনে টান পড়বে। এমন পরিস্থিতিতে তারা যদি বাড়তি অর্থায়নের সংস্থান না করতে পারে তাহলে ক্রয়াদেশ কম দেবে। তাছাড়া, বাড়তি শুল্ক শেষ পর্যন্ত ক্রেতাদের ঘাড়ে গিয়েই পড়বে। শুল্কের কারণে পণ্যের দাম বাড়লে ক্রেতারা চাপে পড়বেন। তাতে পণ্যের বিক্রি কমে যেতে পারে।
বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, গত এপ্রিলে প্রথম দফায় সব দেশের পণ্যের ওপর ন্যূনতম ১০ শতাংশ পাল্টা শুল্ক কার্যকর করে ট্রাম্প প্রশাসন। সেটি মার্কিন ক্রেতারা বিভিন্নভাবে ম্যানেজ করেছে। কোনো কোনো ক্রেতা প্রতিষ্ঠানের চাপে আমাদের সরবরাহকারীদের সেই বাড়তি শুল্কের ভাগ নিতে হয়েছে। আমি আমাদের বিজিএমইএর (বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতি) সদস্যদের বার্তা দিতে চাই, বাড়তি এই শুল্ক আমদানিকারক ও ক্রেতা প্রতিষ্ঠানকেই দিতে হবে। আর দিন শেষে সেটি মার্কিন ভোক্তাদের ওপরই গিয়ে পড়বে। ফলে এই বিশেষ বার্তা পরিষ্কার থাকতে হবে।
তিনি বলেন, আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, পাল্টা শুল্ক আলোচনায় বাংলাদেশ কতগুলো প্রতিশ্রুতি ও চুক্তি করেছে সেগুলো যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা। তার মধ্যে গম, তুলা, এলএনজি কেনার মতো স্বল্পমেয়াদি এবং উড়োজাহাজ কেনার মতো দীর্ঘমেয়াদি বিষয় আছে। মনে রাখতে হবে, এখানে কোনো গাফিলতি থাকলে আমরা পুনরায় বিপদে পড়তে পারি।
অর্থনীতি
পেঁয়াজ-মুরগি-ডিমের দাম বেড়েছে, স্বস্তি নেই কাঁচাবাজারে

শ্রাবণের বৃষ্টি ঝরছে অঝোরে। বৃষ্টি হলেই রাজধানীর নিত্যপণ্যের বাজারগুলো অস্থির হয়ে ওঠে। সপ্তাহ ব্যবধানে মুরগি, পেঁয়াজ, ডিমের দাম বেড়ে গেছে। স্বস্তি নেই সবজির বাজারগুলোতে।
শুক্রবার (১ আগস্ট) রাজধানীর কাপ্তানবাজার, শ্যাওড়াপাড়া বাজার ও কারওয়ানবাজারসহ আশপাশের বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ঢাকায় গতকাল ফার্মের মুরগির এক ডজন ডিম বিক্রি হয়েছে ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকায়। এক সপ্তাহ আগেও ডিমের দাম ছিল ১২০-১২৫ টাকা। অর্থাৎ প্রতি ডজনে দাম বেড়েছে ১০ টাকা।
ব্রয়লার মুরগির দাম স্থিতিশীল থাকলেও কেজিতে ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সোনালি মুরগির দাম। বাজারে প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়। আর প্রতিকেজি সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৩৩০ টাকায়।
এ ছাড়া প্রতিকেজি দেশি মুরগি ৬০০-৭০০ টাকা, সাদা লেয়ার ৩১০ টাকা ও লাল লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ৩২০ টাকায়। আর জাতভেদে প্রতি পিস হাঁস বিক্রি হচ্ছে ৬০০-৭০০ টাকায়। তবে গরু ও খাসির মাংসের দামে তেমন পরিবর্তন নেই। প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০-৮০০ টাকায়, খাসির মাংস ১ হাজার ২০০ টাকা এবং ছাগলের মাংস ১ হাজার ১০০ টাকায়।
কারওয়ানবাজারের পাইকারি ডিম বিক্রেতা আসিফ বলেন, বৃষ্টি কারণে বাজারে সবজি, মুরগি, মাছ, মাংসের দাম বেড়েছে। মূলত সরবরাহের তুলনায় চাহিদা বেশি থাকায় দাম বেড়েছে।
এদিকে বাজারে অধিকাংশ সবজির দামই চড়া। বাজারে প্রতিকেজি কচুরমুখী ৩০-৪০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ ৫০ টাকা, পেঁপে ২০ টাকা, পটোল ৪০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, গোল বেগুন ৮০ টাকা, লম্বা বেগুন ৭০ টাকা, কাঁকরোল ৬০ টাকা, কচুর লতি ৬০ টাকা, কহি ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এ ছাড়া করলা ৬০ টাকা, টমেটো ১৪০ টাকা, শসা ৪০ টাকা ও ধনেপাতা ১২০ টাকা কেজি দরে বেচাকেনা হচ্ছে। আর লাউ প্রতি পিস ৬০-৭০ টাকা ও চালকুমড়া প্রতি পিস ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতিকেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৬০-২০০ টাকায়।
এদিকে আলু ও রসুনের দাম স্থিতিশীল থাকলেও বেড়ে গেছে পেঁয়াজ ও আদার দাম। বাজারে প্রতিকেজি আলু ২০-২৫ টাকা ও রসুন বিক্রি হচ্ছে ১০০-১৩০ টাকায়। আর কেজিতে ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়। এ ছাড়া প্রতি কেজি আদায় গুনতে হচ্ছে ১৪০ টাকা পর্যন্ত।
বাজারে মাছ বিক্রি হচ্ছে আগের বাড়তি দামেই। বাজারে ১ কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২৫০০-২৬০০ টাকায়। এছাড়া ৫০০-৬০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ১৬০০-১৭০০ টাকা, ৮০০-৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ২১০০-২২০০ টাকা ও দেড় কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৩০০০-৩২০০ টাকায়।
চড়া অন্যান্য মাছের দামও। প্রতিকেজি বোয়াল ৭৫০-৯০০ টাকা, কোরাল ৮৫০ টাকা, আইড় ৭০০-৮০০ টাকা, চাষের রুই ৩৮০-৪৫০ টাকায়, তেলাপিয়া ১৮০-২২০, পাঙাশ ১৮০-২৩০, কৈ ২০০-২২০ এবং পাবদা ও শিং বিক্রি হচ্ছে ৪০০-৫০০ টাকায়। আর চাষের ট্যাংরা প্রতি কেজি ৭৫০ থেকে ৮৫০ টাকা, কাঁচকি ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা ও মলা ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বর্তমানে ডায়মন্ড, সাগর, মঞ্জুর প্রভৃতি ব্র্যান্ডের মিনিকেট চাল ৮০ টাকা ও মোজাম্মেল ব্র্যান্ডের মিনিকেট ৮৫-৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মোটা চাল ৫৬-৬২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।