পুঁজিবাজার
সায়হাম টেক্সটাইলের পর্ষদ সভার তারিখ নির্ধারণ
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সায়হাম টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড প্রান্তিক সংক্রান্ত পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা করেছে। আগামী ৩০ এপ্রিল বিকাল ৪টায় কোম্পানিটির পর্ষদ সভা অনুষ্ঠিত হবে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, আলোচিত সভায় ৩১ মার্চ, ২০২৪ তারিখে সমাপ্ত তৃতীয় প্রান্তিকের (জানুয়ারি’২৪-মার্চ’২৪) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে। পর্ষদ এ প্রতিবেদন অনুমোদন করলে তা প্রকাশ করবে কোম্পানিটি।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
সাপ্তাহিক দরপতনের তালিকায় ‘এ’ ক্যাটাগরির আধিপত্য
বিদায়ী সপ্তাহে (১২ মে-১৬ মে) দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন হওয়া ৩৯২ কোম্পানির মধ্যে ২৯০টির শেয়ারদর কমেছে। তাতে সপ্তাহ শেষে দরপতনের শীর্ষে উঠে এসেছে ডাচ-বাংলা ব্যাংক পিএলসি। তবে আলোচ্য সপ্তাহে দরপতনের তালিকায় ‘এ’ ক্যাটাগরি কোম্পানির আধ্যিকতা দেখা গিয়েছে।
ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় এ তথ্য উঠে এসেছে।
তথ্য অনুযায়ী, বিদায়ী সপ্তাহে ডাচ-বাংলা ব্যাংবের শেয়ারদর আগের সপ্তাহের তুলনায় ১২ টাকা ৬০ পয়সা বা ২০ দশমিক ১৬ শতাংশ কমেছে। সপ্তাহ শেষে কোম্পানিটির সমাপনী মূল্য ছিলো ৪৯ টাকা ৯০ পয়সা।
দরপতনের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসা পূবালী ব্যাংকের শেয়ারদর কমেছে ১৮ দশমিক ০৩ শতাংশ। আর শেয়ারের দাম ১৩ দশমিক ০৮ শতাংশ কমায় তালিকার তৃতীয়স্থানে অবস্থান নিয়েছে আইপিডিসি ফাইন্যান্স।
সাপ্তাহিক দর পতনের শীর্ষ তালিকায় স্থান পাওয়া অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে মার্কেন্টাইল ব্যাংকের ১৩ দশমিক ০৪ শতাংশ, বিডি থাই এ্যালুমিনিয়ামের ১১ দশমিক ৪৫ শতাংশ, শাইনপুকুর সিরামিকসের ১০ দশমিক ৮৭ শতাংশ, সোনালী পেপারের ১০ দশমিক ৮৪ শতাংশ, সোনালী আঁশের ১০ দশমিক ৭১ শতাংশ, বিকন ফার্মার ১০ দশমিক ৬২ শতাংশ এবং হামি ইন্ডাস্ট্রিজের ১০ দশমিক ৫৩ শতাংশ শেয়ার দর কমেছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
সাপ্তাহিক দরবৃদ্ধির শীর্ষে রিলায়েন্স ওয়ান মিউচুয়াল ফান্ড
বিদায়ী সপ্তাহে (১২ মে-১৬ মে) দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন হওয়া ৩৯২ কোম্পানির মধ্যে ৮৫টির শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে। তাতে সপ্তাহ শেষে দরবৃদ্ধির শীর্ষে উঠে এসেছে রিলায়ান্স ওয়ান দ্যা ফার্স্ট স্কিম অব রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স মিউচুয়াল ফান্ড।
ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় এ তথ্য উঠে এসেছে।
তথ্য অনুযায়ী, সমাপ্ত সপ্তাহে রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট দর আগের সপ্তাহের তুলনায় ২৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ বেড়েছে। সপ্তাহ শেষে কোম্পানিটির সমাপনী মূল্য দাঁড়িয়েছে ১৯ টাকা ৯০ পয়সায়।
দরবৃদ্ধির তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসা লিগ্যাসি ফুটওয়্যারের শেয়ারদর বেড়েছে ২১ দশমিক ২১ শতাংশ। আর ১৭ দশমিক ৯৩ শতাংশ শেয়ারদর বাড়ায় তালিকার তৃতীয়স্থানে অবস্থান করেছে সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের।
সাপ্তাহিক দর বৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায় উঠে আসা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ১৭ দশমিক ৪০ শতাংশ, ইজেনারেশনের ১৬ দশমিক ২২ শতাংশ, ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের ১৫ দশমিক ৫৫ শতাংশ, ইউনিলিভার কনজ্যুমারের ১৫ দশমিক ২৫ শতাংশ, গোল্ডেন হার্ভেস্ট এগ্রোর ১৪ দশমিক ২৯ শতাংশ, মুন্নু সিরামিকসের ১২ দশমিক ৭৬ শতাংশ, এবং খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ১২ দশমিক ২৫ শতাংশ শেয়ার দর বেড়েছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষে ই-জেনারেশন
বিদায়ী সপ্তাহে (১২ মে-১৬ মে) দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৩৯২ কোম্পানির শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে। তাতে সপ্তাহ শেষে লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে এশিয়াটিক ই-জেনারেশন লিমিটেড।
ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় এ তথ্য উঠে এসেছে।
তথ্য অনুযায়ী, সমাপ্ত সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড়ে ৩০ কোটি ৬ লাখ ৬০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। তাতে লেনদেনের শীর্ষে জায়গা নিয়েছে কোম্পানিটি। আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইর মোট লেনদেনের ৩ দশমিক ৯৩ শতাংশ অবদান ই-জেনারেশনের।
লেনদেন তালিকার দ্বিতীয় স্থানে থাকা এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজের সপ্তাহজুড়ে গড়ে ২৭ কোটি ৫৬ লাখ ২০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর তালিকার তৃতীয় স্থানে উঠে আসা লাভেলো আইসক্রিমের বিদায়ী সপ্তাহে গড়ে শেয়ার হাতবদল হয়েছে ২৩ কোটি ৫৫ লাখ ৬০ হাজার টাকার।
সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষ তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে গড়ে নাভানা ফার্মার ২৩ কোটি ৪৭ লাখ ৯০ হাজার টাকা, বেস্ট হোল্ডিংসের ২৩ কোটি ৯ লাখ ৩০ হাজার টাকা, ওরিয়ন ইনফিউশনের ২০ কোটি ২৫ লাখ টাকা, গোল্ডেন সনের ১৮ কোটি ২১ লাখ ৫০ হাজার টাকা, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজের ১৬ কোটি ৫৭ লাখ ৩০ হাজার টাকা, ফারইস্ট নিটিংয়ের ১৬ কোটি ৪২ লাখ ৯০ হাজার টাকা এবং এডভেন্ট ফার্মা লিমিটেডের ১৬ কোটি ২৮ লাখ ৭০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
ডিএসইতে মূলধন কমেছে ৫ হাজার কোটি টাকা
দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে (১২ মে থেকে ১৬ মে) গড় লেনদেন ২০ শতাংশের বেশি কমেছে। এ সময় ডিএসইর মূলধন কমেছে ৫ হাজার কোটি টাকার বেশি। সেই সঙ্গে কমেছে ডিএসইর সবকটি সূচক ও লেনদেনের পরিমাণ।
সাপ্তাহিক বাজার বিশ্লেষণে এ তথ্য জানা গেছে।
তথ্য অনুযায়ী, সপ্তাহ শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ১ হাজার ৮২৪ কোটি টাকা। গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বাজার মূলধন ছিল ৭ লাখ ৭ হাজার ২৬ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর বাজার মূলধন কমেছে দশমিক ৭৪ শতাংশ বা ৫ হাজার ২০২ কোটি টাকা।
সূত্র মতে, সপ্তাহজুড়ে প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৭৬৪ কোটি ২৮ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছিল ৯৬০ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন কমেছে ২০ দশমিক ৪৩ শতাংশ বা ১৯৬ কোটি ২৬ লাখ টাকা।
বিদায়ী সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ৩ হাজার ৮২১ কোটি ৪১ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে মোট লেনদেন হয়েছিল ৪ হাজার ৮০২ কোটি ৭২ লাখ টাকা। অর্থাৎ এক সপ্তাহের ব্যবধানে লেনদেন কমেছে ৯৮১ কোটি ৩১ লাখ টাকা।
আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইর সবকটি সূচকও কমেছে। প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১৪৩ দশমিক ৬৩ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৫৪ শতাংশ। এছাড়া ডিএসইএস সূচক কমেছে ৩০ দশমিক ৪১ পয়েন্ট। আর ডিএসই-৩০ সূচক কমেছে ৪১ দশমিক ২৫ পয়েন্ট।
সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট ৩৯২টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৫টির, কমেছে ২৯০টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৭টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
আর্থিক প্রতিবেদনে স্বচ্ছতা বৃদ্ধির আহ্বান ডিএসই চেয়ারম্যানের
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু আর্থিক প্রতিবেদনে স্বচ্ছতা বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, বর্তমান সময়ে বিভিন্ন ফিন্যান্সিয়াল ইস্যুতে স্বচ্ছতার অভাবে পুঁজিবাজার অনেক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। আমরা আপনাদের আর্থিক প্রতিবেদনে স্বচ্ছতা বৃদ্ধি করার ক্ষেত্রে কাজ করার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, ডিএসই তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর আর্থিক প্রতিবেদনের স্বচ্ছতা বৃদ্ধির জন্য কাজ করছে। নিয়ন্ত্রক সংস্থাও আর্থিক প্রতিবেদন সঠিকভাবে তৈরি ও প্রকাশের জন্য বিভিন্ন আইন-কানুন তৈরি করেছে। কিন্তু বিধিবিধান সম্পর্কে অধ্যয়ন না করার কারণে আর্থিক প্রতিবেদনে বিষয়গুলো সঠিকভাবে পরিপালন করা হচ্ছে না। কোম্পানির সচিব এবং সিএফওদের উচিত বিধি-বিধানগুলো সঠিকভাবে পড়া এবং সেগুলো যথাযথ পালন করা।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ছয়টি সেক্টরের মোট ৪৮টি কোম্পানির চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা ও কোম্পানি সচিবদের অংশগ্রহণে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃক আয়োজিত ডিএসই মাল্টিপারপাস হলে “ফিন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং এবং ডিসক্লোজারস: রেগুলেটরি রিকুয়ারমেন্টস” শীর্ষক সেমিনারে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএসইসির কমিশনার মো. আব্দুল হালিম। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে ডিএসইর পরিচালক মো. আফজাল হোসেন; সম্মানিত অতিথি হিসেবে বিএসইসির প্রধান হিসাবরক্ষক এবং নির্বাহী পরিচালক কামরুল আনাম খান উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএসইসির কমিশনার বলেন, আমরা পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর একটি সুপরিকল্পিত কাঠামো তৈরি করতে চাই। আমরা নিয়ন্ত্রক সংস্থা তালিকাভুক্ত কোম্পানিকে নিয়ন্ত্রণ বা পদে পদে বাধাগ্রস্থ করার জন্য কাঠামো তৈরি করতে চাই না। তারা যাতে এই প্রতিযোগিতামূলক বাজারে সুন্দরভাবে টিকে থাকতে পারে, তার জন্য কাজ করতে চাই। এর আগের অনুষ্ঠানে ৪২টি কোম্পানির প্রতিনিধি এবং আজকে ৪৮টি কোম্পানির প্রতিনিধিকে নিয়ে করা এই অনুষ্ঠানে গিয়ে মনে হয়েছে যে, নিয়ন্ত্রক সংস্থায়, বিভিন্ন সেল্ফ রেগুলেটর সংস্থা এবং যারা বিভিন্ন কোম্পানিগুলোতে আছেন তাদের মধ্যে একটি সমন্বয়ের অভাব রয়েছে। তারা একে পরিপূরক, সম্পূরক বা সহায়তাকারী হিসেবে কাজ করতে পারছি না।
তিনি বলেন, কমিশন অনেক সময় মনে করে- প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের আর্থিক প্রতিবেদন পরিপূর্ণভাবে প্রকাশিত হয় না বা অডিটরগণ যে রিপোর্ট তৈরি করেন, তাতে অনেক কিছু গোপন থাকে। এখানে যেসব কোম্পানি রয়েছে তাদেরকে তিন মাসে, ছয় মাস এবং বছরে রিপোর্ট দিতে হয়। এতে করে আপনার যারা শেয়ারহোল্ডার রয়েছে তাদের প্রতি আপনারা বাস্তব তথ্য তুলে ধরেন। তাই এই ক্ষেত্রে অবশ্যই কোয়ালিটি নিশ্চিত করতে হবে। সেটা কিভাবে বাড়ানো যায়। সে ব্যাপারেই আমরা কাজ করছি।
আব্দুল হালিম বলেন, অন্যান্য দেশের পুঁজিবাজার অর্থনীতিতে যে রকম অবদান রাখে আমরাও চাই আমাদের পুঁজিবাজার সেরকম অবদান রাখুক। কিন্তু এই মুহূর্তে আমরা দেখি জিডিপিতে অবদান থাকলেও সেই ধরনের পর্যায়ে নেই। এদিকে তালিকাভুক্ত ও অ-তালিকাভুক্ত কোম্পানির মধ্যে করের যে ব্যবধান রয়েছে শুধু সেটা নয়, আরো যে সুযোগ-সুবিধা দেয়া যায় সে বিষয়ে কাজ করা হচ্ছে।
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি ডিএসইর পরিচালক মো. আফজাল হোসেন বলেন, জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা বজায় রাখার জন্য ফাইন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং এর প্রয়োজন হয়। সকলের স্বার্থেই ফিন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং সঠিকভাবে হওয়া প্রয়োজন। ফিন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং সময়মতো ও স্বচ্ছ হওয়া প্রয়োজন। এটির উপর ভিত্তি করে বিনিয়োগকারীগণ বিনিয়োগ করেন। তাই সকলের স্বার্থ সংরক্ষনের জন্য আর্থিক প্রতিবেদনের স্বচ্ছতার কোন বিকল্প নেই।
তিনি আরও বলেন, ফিন্যান্সিয়াল রিপোর্ট এবং ডিসক্লোজ সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন হচ্ছে মালিক, বিনিয়োগকারী এবং ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের জন্য। কারণ এটার সাথে বড় একটি অংশ শেয়ারহোল্ডারদের স্বার্থ জড়িয়ে আছে। ফিন্যান্সিয়াল রিপোর্ট হচ্ছে- মূলত চার্টার্ড একাউন্টদের যেটা নিরীক্ষক প্রতিবেদন থাকে এবং সেটার সঙ্গে কিছু সংযুক্ত তথ্য থাকে। এটার সঙ্গে বিস্তারিত তথ্যসহ একটি ফুল ডিসক্লোজ থাকবে। যেটার মাধ্যমে একেবারে সাধারণ যে মানুষও আর্থিক প্রতিবেদনটা বুঝতে পারবে, সেভাবে প্রকাশ করতে হবে। এটা হচ্ছে ফিন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং এর মূল কথা। তবে স্টক এক্সচেঞ্জের ক্ষেত্রে এটা আরো বিস্তারিত প্রকাশ করতে হয়।
অনুষ্ঠানের সমাপনী বক্তব্যে ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. এটিএম তারিকুজ্জামান বলেন, একটি কোম্পানির আর্থিক অবস্থা তার আর্থিক প্রতিবেদনে জানা যায়। একটি সঠিক আর্থিক প্রতিবেদন কোম্পানির অবস্থা সঠিকভাবে তুলে ধরতে পারে। কারণ আর্থিক প্রতিবেদনের মধ্যে কমপ্লায়েন্স, গভর্নেন্স, আর্থিক অবস্থার সঠিকতাসহ নিয়ন্ত্রক সংস্থার নজরদারির এবং বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট অনেক কিছুই থাকে। একটি দক্ষ পুঁজিবাজারের অন্যতম শর্ত হলো তথ্যসমূহ পরিপূর্ণভাবে সময়মত প্রকাশ করা। দক্ষ পুঁজিবাজার করতে হলে আমাদের আর্থিক প্রতিবেদনের স্বচ্ছতা ও সময়মতো প্রদান নিশ্চিত করতে হবে। যা শেয়ারের মূল্যের মাধ্যমে প্রতিফলিত হয়। তাই পুঁজিবাজারের উন্নয়নে একটি দক্ষ ও টেকসই বাজার গঠনে সঠিক আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা খুবই জরুরী। এজন্য ডিএসই ধাপে ধাপে সকল তালিকাভুক্ত কোম্পানির জন্য এ ধরণের প্রোগ্রামের আয়োজন করবে।
বিএসইসির প্রধান হিসাবরক্ষক এবং নির্বাহী পরিচালক কামরুল আনাম খান বলেন, সময়মতো আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ না করলে শুধু জরিমানাই হয় না, একইসাথে বিনিয়োগকারীগণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এছাড়াও পুঁজিবাজারে কোম্পানিটি সম্পর্কে বিরূপ ধারণা হয়। তাই কোম্পানির সুনাম অক্ষুন্ন রাখার জন্য সকল আইনকানুন সঠিকভাবে পালন করতে হবে।
এর আগে অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য ডিএসইর প্রধান রেগুলেটরী কর্মকর্তা খাইরুল বাসার আবু তাহের মোহাম্মদ বলেন, ডিএসইর রেগুলেটরী অ্যাফেয়ার্স ডিপার্টমেন্ট বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষা নিয়ে কাজ করে। আমরা আজকে ৬টি সেক্টরের কোম্পানিগুলোকে নিয়ে এই সেমিনারের আয়োজন করেছি। আজকে সেমিনারে কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক, প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা ও কোম্পানি সচিবগণ উপস্থিত রয়েছেন। আপনাদের কাছে আমি যে বিষয়টি তুলে ধরতে চাই তা হলো আপনারা সময়মতো এবং স্বচ্ছতার সাথে আপনাদের আর্থিক প্রতিবেদনগুলো তৈরি করবেন। আপনাদের আর্থিক প্রতিবেদনের উপর ভিত্তি করে বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে।
সেমিনারের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডিএসইর কর্পোরেট গভর্ন্যান্স এবং ফিনান্সিয়াল রিপোর্টিং কমপ্লায়েন্স ডিপার্টমেন্টের সহকারী মহাব্যবস্থাপক ও প্রধান মোঃ মাসুদ খান৷ মূল প্রবন্ধে তিনি আর্থিক প্রতিবেদনের উদ্দেশ্য, আর্থিক বিবরণী জমা দেওয়ার নিয়ম, প্রবিধান, বিজ্ঞপ্তি, সময়সীমা, আর্থিক বিবৃতিগুলির প্রধান অসঙ্গতি ও নন কমপ্লায়েন্স এবং প্রশমনের উপায় নিয়ে আলোকপাত করেন।
এমআই