জাতীয়
পাঁচ দিনের সফরে বুধবার থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
পাঁচ দিনের সফরে বুধবার থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সফরে দুই দেশের মধ্যে একটি চুক্তি, তিনটি সমঝোতা স্মারক ও একটি লেটার অব ইনটেন্ট সইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর থাইল্যান্ড সফর নিয়ে আজ (সোমবার) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ২৪ থেকে ২৯ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডের ব্যাংককে সরকারি সফরে থাকবেন। সফরকালে তিনি ব্যাংককে ইউএন এসকাপের ৮০তম অধিবেশনেও যোগ দেবেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, চুক্তিটি হচ্ছে অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা অব্যাহতি সংক্রান্ত। এ ছাড়া জ্বালানি সহযোগিতা বিষয়ক সমঝোতা স্মারক, পর্যটন সহযোগিতা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক এবং শুল্ক সংক্রান্ত পারস্পরিক সহযোগিতা বিষয়ক সমঝোতা স্মারক হতে পারে।
মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির আলোচনা শুরু করার জন্য একটি সম্মতিপত্র সই করতে দুই পক্ষ সম্মত হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর এই সফরের মাধ্যমে উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্প্রসারণ এবং আমদানি-রপ্তানি বৃদ্ধির জন্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির পর্যালোচনার পাশাপাশি অন্যান্য অভিন্ন স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়-বিশেষত বিনিয়োগ, পর্যটন, জ্বালানি, স্থল ও সমুদ্র সংযোগ, উন্নয়ন প্রভৃতি খাতে সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়ে বিস্তারিত আলাপ-আলোচনার সুযোগ সৃষ্টি হবে।
বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ড পর্যটন খাতের অপার সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে মানবসম্পদ উন্নয়ন, পর্যটন অঞ্চলগুলোতে বিনিয়োগ প্রভৃতি ক্ষেত্রে যৌথ কার্যক্রম ও দক্ষতা বিনিময়ের মাধ্যমে পারস্পরিক সুবিধা অর্জন করতে পারবে। পর্যটন শিল্পে এই সহযোগিতার ফলে উভয় দেশে উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
এ ছাড়া বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা অব্যাহতি করা হলে উভয় দেশের সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে যোগাযোগ সহজতর হবে এবং বিভিন্ন সভা-সেমিনার ও প্রশিক্ষণে সরকারি কর্মকর্তারা সময় মতো যোগদান করতে পারবেন বলে তিনি জানান।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
প্রথমবার বিশ্বব্যাংক ভূমি সম্মেলনে অংশ নিলো বাংলাদেশ
যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে বিশ্বব্যাংকের সদরদপ্তরে পাঁচ দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত মর্যাদাপূর্ণ ‘বিশ্ব ব্যাংক ভূমি সম্মেলনে’ অংশ নিয়েছে বাংলাদেশ। প্রথমবারের মতো সম্মেলনে অংশগ্রহণ করে স্মার্ট ভূমিসেবা কার্যক্রম তুলে ধরে বাংলাদেশ। এবারের সম্মেলনের প্রতিপাদ্য ছিল, ভূমির দখলিস্বত্ব ও জলবায়ু কার্যক্রমে প্রবেশাধিকার নিশ্চিতকরণ।
শনিবার (১৮ মে) ভূমি মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, বিভিন্ন দেশ থেকে আসা ভূমি খাত সংক্রান্ত সরকারি-বেসরকারি এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধি ও অংশীজন, ভূমি মালিকানা, ভূমি সংশ্লিষ্ট আইন-কানুন, ভূমি প্রশাসন ও নাগরিক ভূমিসেবা নিয়ে আলোচনা করেন। সম্মেলনে তারা অভিজ্ঞতা, তথ্য ও জ্ঞান বিনিময় করেন।
ভূমিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে ভূমি মন্ত্রণালয়ের ডিজিটালাইজেশন, নলেজ ম্যানেজমেন্ট ও পারফরমেন্স (ডিকেএমপি) অনুবিভাগের যুগ্মসচিব মো. জাহিদ হোসেন পনিরকে সম্মেলনের ‘আঞ্চলিক পরিচালন কর্মশালা’ অধিবেশনে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য মনোনীত করেন।
সম্মেলনে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ ও অঞ্চলের জন্য পৃথক পৃথক পরিচালন কর্মশালায় কারিগরি সাফল্য, চ্যালেঞ্জ এবং নতুন উদ্ভাবনগুলোর সঙ্গে পরিচিত হওয়ার সুযোগ ছিল। বিশ্বব্যাংক সদরদপ্তরের মেইন কমপ্লেক্স সি টু হলে সম্মেলনের শেষদিন ১৭ মে সকালে, ‘প্রতিবন্ধকতা দূরীকরণ: ভূমি অধিকার, দারিদ্র্য বিমোচন ও জলবায়ু সহনশীলতা’ শীর্ষক কর্মশালায় বাংলাদেশ অংশগ্রহণ করে। এ কর্মশালায় পূর্ব এশিয়া, প্রশান্ত মহাসাগরীয় এবং দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের বিভিন্ন দেশ অংশগ্রহণ করে।
ভূমিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ বলেন, এই সম্মেলনে আমাদের উপস্থিতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ‘স্মার্ট ভূমি ব্যবস্থাপনা’ এবং ‘বাংলাদেশ ডিজিটাল জরিপ’র মাধ্যমে ভূমি সংস্কারে আমাদের অবিচল অঙ্গীকারের প্রতিফলন। বাংলাদেশের নাগরিকদের কল্যাণ ও টেকসই উন্নয়নে ভূমি প্রশাসনে স্মার্ট উদ্ভাবনকে কাজে লাগিয়ে নাগরিক ভূমি সেবা প্রদানের মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমরা কাজ করে যাবো।
জমি হাতবদলের পর নিবন্ধন, নামজারি, খতিয়ান ও ম্যাপ প্রস্তুতের সমন্বিত অটোমেশনের ব্যাপারে ভূমি মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা সম্মেলনে জানানো হয়।
এবার ভারত, ভুটান, নেপাল, পাকিস্তান, ফিলিপাইন, লাওস, শ্রীলঙ্কা, ইন্দোনেশিয়া, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, ভানুয়াতু, সলোমন দ্বীপপুঞ্জ, টোঙ্গা প্রমুখ দেশের প্রতিনিধিরা ভূমি সম্মেলনের অধিবেশনে অংশ নেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
মোটরযানে হাইড্রোলিক হর্ন ব্যবহার করলেই ব্যবস্থা
মোটরযানে হুটার, হাইড্রোলিক হর্ন ও অন্যান্য অননুমোদিত হর্ন ব্যবহার না করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ)। অন্যথায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বিআরটিএর চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার স্বাক্ষরিত পরিপত্রে এ কথা জানানো হয়।
পরিপত্রে বলা হয়, সড়ক পরিবহন বিধিমালা, ২০২২ এর বিধি-৮১ অনুযায়ী অ্যাম্বুলেন্স, অগ্নিনির্বাপক বা উদ্ধারকাজের উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত মোটরযান অথবা রাষ্ট্রীয় জরুরি কাজে ব্যবহৃত মোটরযান ব্যতীত অন্য যে কোনো মোটরযানে পরপর বিভিন্ন সুর প্রদানকারী বহুমুখী হর্ন অথবা তীব্র, কর্কশ, আকস্মিক, বিকট বা ভীতিকর শব্দের হর্ন বা যন্ত্র সংযোজন বা ব্যবহার করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এ ধরনের অননুমোদিত হর্ন স্বাস্থ্যঝুঁকি বৃদ্ধি করা ছাড়াও চালকগণকে বেপরোয়া ও দ্রুতগতিতে মোটরযান চালাতে উৎসাহিত করে। ফলে সড়ক দুর্ঘটনার আশংকা বৃদ্ধি পায়। লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে কিছু কিছু মোটরযানে হুটার, হাইড্রোলিক হর্ন ও অন্যান্য অননুমোদিত হর্ন সংযোজন করে ব্যবহার করার ফলে গণ উদ্বেগের সৃষ্টি হচ্ছে, যা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।
এতে আরও বলা হয়, এ অবস্থায় অ্যাম্বুলেন্স, অগ্নিনির্বাপক বা উদ্ধারকাজের উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত মোটরযান অথবা রাষ্ট্রীয় জরুরি কাজে ব্যবহৃত মোটরযান ছাড়া অন্য যে কোনো মোটরযানে এ ধরনের হর্ন ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ করা হলো। অন্যথায় এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
তিন জেলায় বজ্রপাতে ৭ জনের প্রাণহানি
তিন জেলায় বজ্রপাতে সাতজন মারা গেছেন। আজ শনিবার (১৮ মে) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাতে নরসিংদীতে চারজন, টাঙ্গাইলে দুইজন ও গাজীপুরে একজনের মৃত্যু হয়।
নরসিংদী
নরসিংদীতে জমিতে ধান কাটার সময় বজ্রপাতে মা-ছেলেসহ একইস্থানে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুইজন। এ ছাড়া একই সময় শহরের হাজীপুরে বজ্রপাতে মারা গেছেন আরও একজন। শনিবার দুপুর ১২টার দিকে সদর উপজেলার চরাঞ্চলের আলোকবালী ও হাজীপুরে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- সদর উপজেলার আলোকবালী ইউনিয়নের মধ্যপাড়া গ্রামের কামাল মিয়ার স্ত্রী শরিফা বেগম (৩৫), তার ছেলে ইমন মিয়া (১০), ধানকাটা শ্রমিক রায়পুরার বাঘাইকান্দি এলাকার হাতেম আলীর ছেলে কাইয়ুম মিয়া (২০) ও হাজীপুরের মোসলেহ উদ্দিন (৫৫)।
নরসিংদী সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভীর আহমেদ বলেন, পৃথক ঘটনায় বজ্রপাতে চারজন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মরদেহ সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
টাঙ্গাইল
টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে ধান কাটার সময় বজ্রপাতে দুই খালাতো ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার সকালে উপজেলার বীরবাসিন্দা ইউনিয়নের নোয়াবাড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলা সদরের মৃত আয়নাল হকের ছেলে আমির হোসেন (৫২ ) ও মৃত নূর হোসেনের ছেলে আফজাল হোসেন (৫৫)।
কালিহাতী থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) রাজীব হোসেন জানান, আইনি প্রক্রিয়া শেষে নিহতদের মরদেহ স্বজনদের নিকট হস্তান্তর করা হবে।
গাজীপুর
গাজীপুরের শ্রীপুরে বজ্রপাতে ফাতেমা আক্তার (৪৫) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (১৮ মে) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের গলদাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ফাতেমা আক্তার উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের গলদাপাড়া গ্রামের মো. নূর হোসেনের স্ত্রী।
শ্রীপুর থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. তানসেন চৌধুরী বজ্রপাতে এক নারীর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
নির্বাচন সংক্রান্ত সেবা মিলবে ৯৯৯-এ
চলমান ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের আগের দুদিন, নির্বাচনের দিন ও পরের দিন নির্বাচন সংক্রান্ত যে কোনো সহায়তার জন্য জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ যোগাযোগ করার জন্য সর্বসাধারণকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
আজ শনিবার সরকারি এক তথ্য-বিবরণী থেকে বিষয়টি জানা গেছে।
এতে জানানো হয়, চলমান ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে ৪টি ধাপে সম্পন্ন করা হবে। প্রতি ধাপে নির্বাচনের আগের দুদিন, নির্বাচনের দিন ও পরের দিন নির্বাচন সংক্রান্ত যে কোনো সহায়তার জন্য জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ যোগাযোগ করার জন্য সবাইকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, জাতীয় জরুরি সেবার মাধ্যমে প্রাপ্ত নির্বাচন সংক্রান্ত যে কোনো তথ্য ও অভিযোগ সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসার বা সংস্থাকে অবহিত করা হবে এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
ইলেক্ট্রিক্যাল পণ্যের বাজারে দেশীয় কোম্পানির আধিপত্য
বাংলাদেশের ‘ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যাকসেসরিজ এবং লাইটিং পণ্যের ওপর সম্প্রতি দেশব্যাপী একটি গবেষণা পরিচালনা করেছে মার্কেটিং ওয়াচ বাংলাদেশ (এমডব্লিউবি)। গবেষণায় উঠে এসেছে, বর্তমান এই শিল্পে দেশীয় কোম্পানিগুলো বাজারে ব্যাপকভাবে আধিপত্য বিস্তার করছে।
শনিবার (১৮ মে) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমডব্লিউবির গবেষণার তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরা হয়। গবেষণার ফলাফল এবং দিক-নিদেশনা তুলে ধরেন মার্কেটিং বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ও এমডব্লিউবির সহ-প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমান এবং অধ্যাপক ড. মো. নাজমুল হোসাইন।
এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গবেষণার আওতায় আনা পণ্যগুলো ছিল- সুইচ, সকেট, হোল্ডার, মাল্টি-প্লাগ, সার্কিট ব্রেকার, মিটার এবং বিভিন্ন হালকা পণ্য যেমন এলইডি লাক্স, এলইডি টিউব, এলইডি প্যানেল, ব্র্যাকেট এলইডি, জিএলএস, এনার্জি এফিশিয়েন্সি বাল্ব, ইমার্জেন্সি লাইটিং অপশনস।
প্রতিবেদন অনুসারে, এটি একটি বড় এবং অপার সম্ভাবনাময় শিল্প। বর্তমানে দেশজুড়ে প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার খুচরা বিক্রেতা এবং ২ হাজার ৫০০ উদ্যোক্তাসহ মোট ৫ লাখেরও বেশি মানুষ এই শিল্পের সাথে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সম্পৃক্ত। দুই ক্যাটাগরির পণ্যের সম্মিলিত বাজার আকার প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকা। যার মধ্যে ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যাকসেসরিজ পণ্যের বাজার প্রায় ৩ হাজার ৩০০ কোটি এবং লাইটিং পণ্যের বাজার প্রায় ২ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। আশাব্যাঞ্জক তথ্য হলো- উভয় পণ্যের বাজার গত দুই দশক ধরে অব্যাহতভাবে বেড়েই চলেছে। ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যাকসেসরিজ ও লাইটিং পণ্যের গড় প্রবৃদ্ধির হার যথাক্রমে ১০ শতাংশ (প্রায়) এবং ১৩ শতাংশ (প্রায়)। যদি আগামী দিনগুলোতে এই প্রবৃদ্ধির হার অব্যাহত থাকে তাহলে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে এই খাতটি একটি অত্যন্ত সম্ভাবনাময় বড় খাত হিসাবে আবির্ভূত হবে।
এই বাজারের একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো, মোট মার্কেট শেয়ারের প্রায় অর্ধেক নন ব্যান্ডেড অর্থাৎ নিম্নমানের নকল ও অনুমোদনবিহীন পণ্য দখল করে আছে। যেহেতু দেশীয় কোম্পানিগুলোর প্রবৃদ্ধির হার অনেক বেশি, তাই আগামী দিনগুলোতে দেশীয় কোম্পানিগুলো বাজারে আরও বেশি আধিপত্য বিস্তার করবে।
গবেষণায় দেখা যায়, দেশীয় কোম্পানিগুলোর মধ্যে সুপারস্টার গ্রুপ উভয় প্রকার পণ্যের ক্ষেত্রে বাজারে শীর্ষস্থান দখল করে আছে। গবেষণা অনুসারে, ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যাকসেসরিজ ব্যান্ডেড পণ্যের মার্কেট শেয়ারে সুপার স্টার ২৯ শতাংশ, ওয়ালটন ১৭ শতাংশ, ক্লিক ১৭ শতাংশ, এনার্জি প্যাক ৯ শতাংশ, ওসাকা শতাংশ এবং ব্লিঙ্ক, এমইপি ও লাক্সারি প্রত্যেকে ৩ শতাংশ করে বাজার দখল করে আছে। অন্যদিকে ব্রান্ডেড লাইটিং পণ্যের মার্কেট শেয়ারে সুপার স্টার ২৫ দশমিক ৫৯ শতাংশ, ক্লিক ১৩ শতাংশ, ওয়ালটন ১২ শতাংশ, ট্রান্সটেক ১০ শতাংশ, এনার্জি প্যাক ৮ শতাংশ এবং ফিলিপস ৭ শতাংশ বাজার দখল করে আছে।
এই শিল্পের অগ্রগতির পেছনে মূলত গত ২৫ বছরে ব্যাপক বিদ্যুতায়ন, অব্যাহত জিডিপি প্রবৃদ্ধি, ক্রমবর্ধমান আয়, দ্রুত ও পরিকল্পিত নগরায়ণ, গ্রামীণ উন্নয়ন এবং সরকারের গৃহীত সমন্বিত উদ্যোগ নিয়ামক হিসাবে কাজ করেছে।
দুর্দান্ত সম্ভাবনাময় এই শিল্পের প্রবৃদ্ধির জন্য গ্রে-মার্কেটের কার্যক্রম হ্রাসে সরকারের তদারকি ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে। একই সাথে দেশীয় কোম্পানিগুলোকে উৎসাহিত করার জন্য সরকারের বিদ্যমান ট্যাক্স পদ্ধতির আমূল পরিবর্তন করতে হবে যাতে কোম্পানিগুলো কম ব্যয়ে পণ্যের কাঁচামাল আমদানি করতে পারে। পাশাপাশি এ সমস্ত শিল্পের ব্যাকওয়ার্ড লিঙ্কেজ গড়ে তোলার জন্য সরকার এবং ব্যবসায়ীদের সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। পাশাপাশি জনগণের মধ্যে নিরাপদ ও মানসম্মত বৈদ্যুতিক সরঞ্জামাদি ব্যবহারে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে।
কাফি