জাতীয়
তাপমাত্রা কমাতে যেসব পরামর্শ দিলেন চিফ হিট অফিসার
রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে বইছে তীব্র তাপপ্রবাহ। প্রচণ্ড গরমে জনজীবন হাঁসফাঁস। ঘরে-বাইরে কোথাও স্বস্তি নেই। প্রখর রোদে পথঘাট সব কিছুই উত্তপ্ত। কোথাও সড়কের পিচ গলতে শুরু করেছে। গরমের কারণে বাড়ছে হিটস্ট্রোকের মতো স্বাস্থ্যঝুঁকি। ডায়রিয়াতেও আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে। এরইমধ্যে হিট অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
পরিস্থিতি যখন এমন তখন স্বভাবতই প্রশ্ন উঠছে, কী করছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের চিফ হিট অফিসার বুশরা আফরিন?
তিনি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, দায়িত্ব পেয়ে বসে নেই তিনি। চেষ্টা করে যাচ্ছেন কেন ঢাকায় তাপমাত্রা বাড়ছে তা খুঁজে বের করার। পরিস্থিতি মোকাবিলায় আরও কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া যায়, সেটার চেষ্টা করছেন।
তীব্র দাবদাহ মোকাবিলায় বুশরা জানান, এই অবস্থা থেকে সবাইকে বাঁচানোর জন্য তারা নিয়মিত ‘হিট অ্যাওয়ারনেস ক্যাম্পেইন’ চালাচ্ছেন।
তিনি আরও জানান, ঢাকা এবং আশপাশের এলাকায় তাপমাত্রা কমাতে আরও বেশি গাছ লাগানো জরুরি। আমাদের এখানে রাস্তার ধারে ২ লাখ গাছ লাগানোর পরিকল্পনা করা হয়। শুধু গাছ লাগালেই হবে না, সেগুলোর উপযুক্ত রক্ষণাবেক্ষণও করতে হবে। নগরে বনায়ন করা খুব জরুরি। এখানে যে ফাঁকা এবং পরিত্যক্ত জায়গাগুলো আগে সেখানে সবুজায়ন করার দিকেও আমরা নজর দিয়েছি। আমাদের এখানে আরও অনেক পার্ক এবং সবুজে ঘেরা জায়গা দরকার। তাতে তাপমাত্রা যেমন কমবে, তেমনই পাখিসহ নানা প্রাণীও ফিরে আসবে। ব্যক্তি উদ্যোগেও নগরবাসীকে পরিস্থিতি মোকাবিলার আহ্বান জানিয়েছেন চিফ হিট অফিসার।
বুশরা বলেন, তীব্র দাবদাহে আমরা নিজেরা যদি সচেতন থাকি। আমরা যদি বাসা থেকে বের হওয়ার আগে আমাদের ব্যাগে একটা পানির বোতল, টুপি, ফ্যান, ছাতার মতো জিনিসপত্র সঙ্গে রাখি তাহলে কিন্তু অনেকটাই নিরাপত্তা পেতে পারি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
স্বাধীনতাবিরোধীরা সুযোগ পেলেই ছোবল মারতে চায়: রাষ্ট্রপতি
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, স্বাধীনতাবিরোধীরা সুযোগ পেলেই ছোবল মারতে চায়। ওই অপশক্তির বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
শনিবার (১৮ মে) ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ৮ম জাতীয় সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, স্বাধীনতাবিরোধীরা এখনো আছে বলেই ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির প্রয়োজন রয়েছে। এ দেশে স্বাধীনতাবিরোধীরা নির্মূল হবে, তাদের পদচিহ্ন থাকবে না। সেই অপশক্তিকে নিশ্চিহ্ন করতে যে প্রয়াস আমাদের প্রয়োজন, তা-ই করতে হবে।
তিনি বলেন, বিজয়ের অর্ধশতক পেরিয়ে গেলেও রাজপথে আজও শোনা যায় ’৭৫- এর হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার। এই কথা শুনলে কি ঠিক থাকা যায়? স্বাধীনতার এত বছর পরও সুযোগ পেলেই ওরা ছোবল মারতে চায়। ওদের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া বিশ্বে সমাদৃত হয়েছে। কিন্তু আজকাল বহির্বিশ্বে থেকে যারা বাংলাদেশবিরোধী অপপ্রচার করছে, তারা মূলত এই দেশটার অগ্রগতি থামিয়ে দিতে চায়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
মাত্র ১ দিনেই মিলবে ভারতের ভিসা
মাত্র ১ দিনেই মিলবে ভারতের ভিসা। এর ফলে দেশটির ভিসা পেতে কমবে ভোগান্তি। এ ভিসা পাওয়ার সুবিধা কেবলমাত্র ভারতে যারা চিকিৎসা নিতে যাবেন তারাই পাবেন। ভারত সরকার বাংলাদেশিদের খুব কম সময়ে মেডিকেল ভিসা দিতে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে। শর্তসাপেক্ষে আবেদন করলে একদিন পরেই বাংলাদেশিরা পাবেন এই মেডিকেল ভিসা। তার জন্য তৈরি করা হয়েছে একটি বিশেষ পোর্টাল।
আগে ভারতে যাওয়ার জন্য ভিসা পেতে কিছুদিন অপেক্ষা করতে হত বাংলাদেশিদের। কিন্তু এখন অনেক কম সময়ে সেই ভিসা দেওয়া হচ্ছে। এটা যেন আরো কম সময়ে দেওয়া যায় সেই জন্য ভারতের কাছে আবেদনও করে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশে অবস্থিত ভারতীয় হাই-কমিশন জানিয়েছেন, আবেদন করার একদিনের মধ্যেই বাংলাদেশিদের মেডিকেল ভিসা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। শারীরিক অসুস্থতার সঙ্গে কোনোরকমভাব আপোস করা সম্ভব নয়। তাই সাধারণ মানুষ যেন দ্রুত চিকিৎসা পেতে পারেন সেই জন্য এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
এ জন্য একটি বিশেষ পোর্টাল চালুর কথা জানিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। তাতে আবেদন করার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই মেডিকেল ভিসা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ঐ রাজ্যে চিকিৎসা করাতে আসা বাংলাদেশিদের দ্রুত ভিসা দিতেই এই নির্দিষ্ট পোর্টাল চালু করার পরিকল্পনা করে নবান্ন।
দেশটির কর্মকর্তাদের মতে, ভিসার প্রক্রিয়া সহজ হলে বাংলাদেশ থেকে আরো মানুষ এই রাজ্যে চিকিৎসা করানোর জন্য আসতে পারবেন। শুধুমাত্র বাংলাদেশের বাসিন্দারাই নন, এই পোর্টালের সুবিধা নিতে পারবেন নেপাল এবং ভুটানের বাসিন্দারাও। তারা আবেদন করার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই ভিসা মঞ্জুর হয়ে যাবে।
যাত্রী সুবিধা হেলথ ভিসা প্রসেস- এ বাংলাদেশিরা যে আবেদন করবেন, তা যাচাই করে দ্রুত মেডিকেল ভিসা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। এই ওয়েবসাইট তৈরি করেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তথ্য প্রযুক্তি বিভাগ। সেখানেই যাবতীয় তথ্য আপলোড করে আবেদন করতে হবে। তাতেই একটি আইডি নম্বর দিয়ে ঐ ভিসা দেওয়া হবে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে আ.লীগ দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে: প্রধানমন্ত্রী
দেশের জনগণকে সুন্দর ও উন্নত জীবন দিতে সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে তাঁর দল দেশকে সমৃদ্ধির পথে নিয়ে যাবে বলে অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘প্রতিবার নির্বাচনের সময় চক্রান্ত হয়, সেটা মোকাবেলা করে আমরা বেরিয়ে আসি। আমাদের তা ধরে রাখতে হবে। বাংলাদেশের মানুষ রক্ত দিয়ে যে অধিকারগুলো আদায় করেছিল, সেটা আমরা সমুন্নত করতে পেরেছি। কিন্তু আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শুক্রবার সকালে তাঁর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে তাঁকে গণভবনে শুভেচ্ছা জানাতে আসা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে এ কথা বলেন।
’৭৫ এর ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর ১৯৮১ সালের ১৭ মে দীর্ঘ প্রবাস জীবন কাটাতে বাধ্য হওয়া শেখ হাসিনা এক রকম জোরকরেই দেশে ফিরে আসেন। এরআগে তাঁর অনুপস্থিতিতেই তাঁকে সর্বস্মতিক্রমে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। এদিন বিকেল সাড়ে ৪টায় ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে তিনি ভারতের রাজধানী দিল্লী থেকে কোলকাতা হয়ে তৎকালীন ঢাকা কুর্মিটোলা বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান। ঝড়-ঝাঞ্ঝা বিক্ষুদ্ধ সেই দিনে বৈরি আবহাওয়া উপেক্ষা করে লাখ লাখ জনতা তাঁকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানায়।
তিনি যখন দেশে ফেরেন তখন যুদ্ধাপরাধি এবং জাতির পিতার হত্যাকারিরা ক্ষমতায় ছিল। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তাঁর পাশে ছিল বাংলাদেশের জনগণ। তিনি জানতেন তাঁকেও তাঁর বাবা-মা ও পরিবারের সদস্যদের ভাগ্যবরণ করতে হতে পারে। কিন্তু দেশবাসী ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের প্রতি ছিল তাঁর আস্থা।
শেখ হাসিনা বলেন ‘আমি আমার বাবার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলবো, আমার সব শক্তি-সাহস মা-বাবার কাছ থেকে পেয়েছি।’ তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার সময় এত বড় সংগঠন চালানোর অভিজ্ঞতা তাঁর ছিল না। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ এখন দেশের সবচেয়ে শক্তিশালী, বৃহত্তম এবং জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য সংগঠনে পরিণত হয়েছে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ পঞ্চম মেয়াদে ক্ষমতায় এসেছে।
আজকের বাংলাদেশ বদলে যাওয়া বাংলাদেশ উল্লেখ করে টানা চারবারের প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষের যদি রাজনৈতিক চিন্তা-চেতনা না থাকে, দেশপ্রেম না থাকে, সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় না থাকে, তাহলে সেটা এগুতো পারে না। সামনে আরও বদলাতে হবে। কারণ, আমার বাবার একটাই স্বপ্ন ছিল দেশটাকে গড়ার। আমাদের পরিকল্পনা সেটাই আছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ’৭৫ এর পর যারা ক্ষমতায় ছিল তারা নিজেদের ক্ষমতা কুক্ষিগত করার চেষ্টা করেছিল। দেশের কোন উন্নতি করতে পারেনি। তারা বরং শত শত সামরিক কর্মকর্তাকে হত্যা করেছে এবং ক্ষমতায় থাকার জন্য আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের অমানবিক নির্যাতন ও হত্যা করেছে। এ সময় প্রতিরাতে কারফিউ বলবৎ রাখার জিয়াউর রহমানের কারফিউ গণতন্ত্রের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে আওয়ামী লীগের অগনিত নেতা-কর্মীর গণতন্ত্র পুন:প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম ও আত্মাহুতির কথাও তিনি শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর উন্নয়নের মূলমন্ত্র তুলে ধরে বলেন, কী পেলাম, না পেলাম সেই চিন্তা করেনি। ভবিষ্যত কী সেই চিন্তাও করি না। চিন্তা করি দেশের মানুষের ভবিষ্যত যেন আরও সুন্দরভাবে গড়ে তুলে দিয়ে যাব। সেটাই আমাদের লক্ষ্য।
দলীয় নেতাদের আওয়ামী লীগ প্রধান বলেন, এটাই মনে রাখবেন একটা দল করি শুধু নেতা হওয়ার জন্য নয়, মানুষের জন্য কতটুকু করতে পারলাম, কী দিতে পারলাম, কী দিয়ে গেলাম। এটাই রাজনৈতিক মানুষের জীবনের বড় কথা। এই কথা মাথায় রাখতে পারলে দেশের মানুষের জন্য অনেক কিছুই করা যেতে পারে।
সংগঠনকে শক্তিশালী করার তাগিদ দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আর যেন যুদ্ধাপরাধী, খুনিরা বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে না পারে এই ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে, বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতে হবে।
‘দেশের মানুষ রক্ত দিয়ে যে অধিকার পেয়েছিল, তা তারা পুন:প্রতিষ্ঠা করেছেন উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, দেশের ইতিহাস বিকৃত করার চেষ্টা হয়েছিল এবং বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ প্রচার ও জয় বাংলা স্লোগান এর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। কিন্তু জয়বাংলা শ্লোগান আবার ফিরে এসেছে এবং জাতির পিতা ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ বিশ্ব ঐতিহ্যের প্রামান্য দলিলে যেমন স্থান করে নিয়েছে। তেমনি অমর একুশে ফেব্রুয়ারি ও আন্তর্জাতিক মাতৃভভাষা দিবসের স্বীকৃতি অর্জন করেছে।
এর আগে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা তাদের দলীয় প্রধান শেখ হাসিনাকে ৪৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে গণভবনে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ঢাকাসহ ৬ অঞ্চলে ৮০ কিমি বেগে ঝড়ের শঙ্কা
দেশে তাপ্রপবাহ বিস্তৃত হওয়ার মধ্যেই আবার ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ময়মনসিংহ ও সিলেট অঞ্চল এবং টাঙ্গাইল, ঢাকা, বরিশাল, কুমিল্লা অঞ্চলের উপর দিয়ে দুপুর একটার মধ্যে ৪৫ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড় হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
আজ শনিবার (১৮ মে) ভোর পাঁচটা থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দর সমূহের জন্য দেয়া আবহাওয়া পূর্বাভাসে এসব তথ্য জানানো হয়।
বলা হয়, ময়মনসিংহ ও সিলেট অঞ্চলের উপর দিয়ে পশ্চিম/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে বজ্রসহ বৃষ্টি এবং অস্থায়ীভাবে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দর সমূহকে দুই নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এছাড়া, টাঙ্গাইল, ঢাকা, বরিশাল এবং কুমিল্লা অঞ্চলের উপর দিয়ে পশ্চিম/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে ঝড়ো হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দর সমূহকে এক নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এদিকে গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় দেয়া আবহাওয়া বার্তায় জানানো হয়, সিলেটে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ ১০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস। এ ছাড়া রাজশাহীতে ৩, নওগাঁর বদলগাছী ও পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া ২, বগুড়ায় ১ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময় রংপুরেও সামান্য বৃষ্টি হয়েছে।
পূর্বাভাস বলছে, শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা ও বরিশাল বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। এর পরের ২৪ ঘণ্টা ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, ঢাকা ও বরিশাল বিভাগের দুয়েক জায়গায় ঝড় ও শিলাবৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
সৌদিতে চলতি বছরে প্রথম বাংলাদেশি হজযাত্রীর মৃত্যু
চলতি হজ মৌসুমে সৌদি আরবে বাংলাদেশি একজন হজযাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। এটিই এবারের হজে প্রথম কোন বাংলাদেশির মৃত্যু। মো. আসাদুজ্জামান নামের এ হজযাত্রী গত ১৫ মে মদিনায় মারা গেছেন। তার পাসপোর্ট নম্বর এ-১৩৫৬১০৩৪।
শনিবার (১৮ মে) ভোররাত ৩টার দিকে হজ পোর্টালের আইটি হেল্পডেস্কের প্রতিদিনের বুলেটিন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
হজ ফ্লাইট শুরু হওয়ার পর গত রাত ৩টা পর্যন্ত ২৭ হাজার ১১১ জন হজযাত্রী সৌদি আরব পৌঁছেছেন। অন্যদিকে এখনো ৪ হাজার ২৫৬ জন হজযাত্রীর ভিসা হয়নি।
সবশেষ হিসাবে যত হজযাত্রী সৌদি আরবে পৌঁছেছেন তাদের মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রী ৩ হাজার ৭৪৭ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনার ২৩ হাজার ৩৬৪ জন। এখন পর্যন্ত সৌদি আরব যাওয়ার হজফ্লাইট পরিচালিত হয়েছে ৬৮টি। এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ২৫টি, সৌদি এয়ারলাইন্সের ২৩টি ও ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্স পরিচালিত ফ্লাইট সংখ্যা ২০টি।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন এবারের হজ অনুষ্ঠিত হবে। হজযাত্রীদের সৌদি আরবে যাওয়ার ফ্লাইট শুরু হয় গত ৯ মে। আগামী ১০ জুন পর্যন্ত যাওয়ার ফ্লাইট চলবে। হজ শেষে ২০ জুন ফিরতি ফ্লাইট শুরু হবে। দেশে ফেরার ফ্লাইট শেষ হবে আগামী ২২ জুলাই।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী এখন পর্যন্ত ৮১ হাজার একজন হজযাত্রীর ভিসা হয়েছে। এ বছর সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনা মিলিয়ে মোট ৮৫ হাজার ২৫৭ জন হজ করতে যাবেন। সে হিসাবে এখনো ৪ হাজার ২৫৬ জন হজযাত্রীর ভিসা হয়নি। এবার বাংলাদেশ থেকে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪ হাজার ৫৬২ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এজেন্সির মাধ্যমে ৮০ হাজার ৬৯৫ জন হজ করতে যাবেন।
কাফি