বিনোদন
শিল্পী সমিতির নতুন সভাপতি মিশা, সাধারণ সম্পাদক ডিপজল
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২০২৬ মেয়াদের নির্বাচন উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে। এ মেয়াদের নতুন সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন জনপ্রিয় অভিনেতা এবং বিগত দুই মেয়াদের সফল সভাপতি মিশা সওদাগর। তিনি পেয়েছেন ২৬৫ ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বী মাহমুদ কলি ১৭০ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন।
সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন চলচ্চিত্রের মুভি লর্ড ও দানবীর খ্যাত অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজল (২২৫)। ১৭ ভোট কম পেয়ে পরাজিত হয়েছেন নিপুণ আক্তার (২০৯)।
শনিবার (২০ এপ্রিল) সকাল ৬টা ৪৫ মিনিটের দিকে এ ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
সহসভাপতি পদে জয়ী হয়েছেন মাসুম পারভেজ রুবেল (২৩১) ও ডি এ তায়েব (২৩৪), সহসাধারণ সম্পাদক আরমান (২৩৭), সাংগঠনিক সম্পাদক জয় চৌধুরী (২৫৫), আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আলেকজান্ডার বো (২৯৬), দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক জ্যাকি আলমগীর (২৪৫), সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক মামনুন হাসান ইমন (২৩৫) এবং কোষাধ্যক্ষ পদপ্রার্থী কমল (২৩১)।
কার্যনির্বাহী সদস্য পদে মিশা-ডিপজল পরিষদ থেকে নির্বাচিত হয়েছেন ৯ জন। তারা হলেন সুচরিতা (২২৮), রোজিনা (২৪৩), আলীরাজ (২৩৯), সুব্রত, দিলারা ইয়াসমিন (২১৮), শাহনূর (২৪৫), নানা শাহ (২১০), রত্না কবির (২৬৩) ও চুন্নু (২৪৮)।
কলি-নিপুণ পরিষদ থেকে রিয়ানা পারভিন পলি (২২০) ও সনি রহমান (২৩০) নির্বাচিত।
বিজয়ী হয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ডিপজল বলেন, আমরা সবাই এক। সবাই একসঙ্গে কাজ করব।
এর আগে শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে ভোট গ্রহণ শেষ হয়। এর আগে ব্যাপক নিরাপত্তার মধ্যে সকাল সাড়ে নয়টায় এফডিসির শিল্পী সমিতির কার্যালয়ে ভোট গ্রহণ শুরু হয়।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
বিনোদন
কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের জন্মদিন আজ
মহারাজ তিনি। লেখক নন কেবল, স্বপ্নবান। যাপন যেন উৎসবের হয়, সেটাই ছিল তার আরাধ্য পথ। লিখেছেন তিনি, বুদ হয়েছেন পাঠক। এখনো তিনি আছেন গান-নাটক আর হিমু-রুপাদের সংলাপে-সংগীতে। জনপ্রিয় কথা সাহিত্যিক-লেখক হুমায়ূন আহমেদের আজ বুধবার (১৩ নভেম্বর) ৭৬তম জন্মবার্ষিকী।
তিনি ছিলেন জীবন ও জগতকে দেখার দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টানো এক স্বপ্নচারী জাদুকর। শুধু নিজে স্বপ্ন দেখেননি সেই সঙ্গে একটি জাতি কিংবা পুরো প্রজন্মের স্বপ্নের কান্ডারী হয়ে আছেন।
তার অমিয় গদ্য রসে বুঁদ হয়ে পুরো সমাজ হয়েছে পাঠমুখি। শব্দ মালার গাথুনীতে মন্ত্রমুগ্ধ করেছেন হাজারো হিমু-রূপাকে। তাইতো আজও নীল শাড়ি পরে কোনো এক রূপার অনন্ত অপেক্ষার নাম হুমায়ূন আহমেদ।
হুমায়ূন আহমেদ শুধু তার লেখনি দিয়ে মুগ্ধ করেই নিজের দায় সারেননি, নিজের কাধেঁ টেনে নিয়েছিলেন পুরো প্রকাশনা শিল্পকে। তার হাত ধরে শুধু পাঠক তৈরি হয়নি বরং লেখক প্রকাশকদের ভরসার নাম হয়ে এখনো দাঁড়িয়ে আছেন হুমায়ূন আহমেদ।
কোনো এক জোছনা রাতে ৭/৫ না ভেবেই তুলে নিয়েছিলেন কলম, লিখেছিলেন নন্দিত নরকে, আর এর পরের গল্পটা কেবলই বিজয়ের, কেবলই নন্দনের। তার গদ্য, পদ্য বা নির্মাণ, তা সে ছোট পর্দায়ই হোক বা বড় পর্দায়, একজন পাঠক বা দর্শককে দিয়েছে কেবলই মুগ্ধতা। আজও ইতিহাস, ঐতিহ্য বা যেকোনো নির্মাণের ক্ষেত্রে প্রাধান্য পায় হুমায়ূন আহমেদের গল্প।
তিনি ছিলেন একজন ম্যাজিশিয়ান। সব বয়সীদের মনের খোরাক লিপীবদ্ধ করেছেন সাদা কাগজে। মানুষের মনের অলিন্দে গভীরভাবে নাড়া দিয়ে গেছেন। তাই তো, একজন হুমায়ূন বেচে আছেন বৃষ্টিস্নাত ভোরে, জোছনা রাতের চাঁদের আলোয়, আর লাখো পাঠকের মনের মণিকোঠায়।
১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে তার জন্ম। তার ডাকনাম ছিল কাজল। ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে তার শরীরে মারণব্যাধি ক্যানসার ধরা পড়ে। এরপর উন্নত চিকিৎসা নিতে তিনি চলে যান যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে।
সেখানে প্রথমে ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠলেও পরে আবার তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। শেষে ২০১২ সালের ১৬ জুলাই তাকে নেয়া হয় লাইফ সাপোর্টে। সে অবস্থায়ই ১৯ জুলাই বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ১১টার দিকে হুমায়ূন আহমেদ শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
বিনোদন
অভিনেতা মনোজ মিত্র আর নেই
পশ্চিমবঙ্গের নাট্যকার, নাট্যব্যক্তিত্ব ও গুণী অভিনেতা মনোজ মিত্র মারা গেছেন। আজ মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) সকাল ৮টা ৫০ মিনিটে কলকাতার একটি হাসপাতালে মারা যান তিনি। মৃত্যুর সময় তার বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর।
দীর্ঘদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় ভুগছিলেন মনোজ মিত্র। ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার অনলাইনকে অভিনেতার মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছেন তার ভাই সাহিত্যিক অমর মিত্র।
১৯৩৮ সালের ২২ ডিসেম্বর বাংলাদেশের সাতক্ষীরা জেলার ধূলিহার গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন মনোজ মিত্র। ওই গ্রামেই শৈশব কেটেছে তার। পরে ১৯৫০ সালে ১২ বছর বয়সে কলকাতায় চলে যান তিনি। অভিনেতার বাবা অশোক কুমার মিত্র স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে ঢাকায় ভারতের দূতাবাসে চাকরি করেছেন।
১৯৫৭ সালে কলকাতার নাট্যমঞ্চে প্রথম অভিনয় করেন মনোজ মিত্র। ১৯৭৯ সালে সিনেমা জগতে প্রথম পা রাখেন তিনি। অভিনয়ের জন্য সংগীত নাটক একাডেমি পদকসহ নানা পুরস্কার পান তিনি। কলকাতার রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের অধ্যক্ষও ছিলেন এই অভিনেতা।
মনোজ মিত্রের লেখা প্রথম নাটক ‘মৃত্যুর চোখে জল’। ১৯৭২ সালে ‘চাকভাঙা মধু’ নাটক দিয়ে পর্দার সামনে আসেন তিনি। এ ছাড়া মঞ্চনাটক, যাত্রা, আকাশবাণীর নাটকে অবাধ বিচরণ ছিল তার।
মনোজ মিত্রের লেখা উল্লেখযোগ্য নাটকগুলো হলো— ‘চাকভাঙা মধু’, ‘দর্পণে শরৎশশী’, ‘নরক গুলজার’, ‘সাজানো বাগান’, ‘নৈশভোজ’, ‘চোখে আঙ্গুল দাদা’, ‘কাল বিহঙ্গ’, ‘অশ্বত্থথামা’, ‘মেশ ও রাখাল’, ‘অলকানন্দর পুত্রকন্যা’ উল্লেখযোগ্য।
মনোজ মিত্র অভিনয় করেছেন ৫৭টি সিনেমায়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ‘৬১ নম্বর গড়পার লেন’, ‘উমা’, ‘প্রেম বাইচান্স’, ‘অমর সাথি’, ‘ভালোবাসি শুধু তোমাকে’, ‘আগুন’, ‘চক্র’, ‘দত্তক’, ‘হিংসা’, ‘আবির্ভাব’ ও ‘তুফান’।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
বিনোদন
এবার ফারুকীকে অভিনন্দন জানালেন জয়!
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে যুক্ত হলেন চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। সরকারের সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পান এ পরিচালক।
তার সঙ্গে সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে আরও দুজন যুক্ত হয়েছেন। তারা হলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম ও ব্যবসায়ী শেখ বশির উদ্দিন।
রোববার (১০ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন নতুন উপদেষ্টাদের শপথ পড়ান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব শেখ আব্দুর রশীদ।
এদিকে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে জায়গা পাওয়ায় বিনোদন জগতের তারকারা ফারুকীকে অভিনন্দন জানান। প্রথম অভিনন্দন বার্তাটি পাঠিয়েছেন অভিনেতা ও উপস্থাপক শাহরিয়ার নাজিম জয়।
সন্ধ্যা ৭টায় এ নির্মাতা শপথগ্রহণের আগেই ফারকীর একটি ছবি ফেসবুকে পোস্ট করে তাকে অভিনন্দন জানান তিনি। যেখানে জয় লিখেছেন— ‘অভিনন্দন ফারুকী ভাই। আমাদের মানুষ। আমাদের আস্থা। শান্তির বার্তা দিয়ে হোক শুরু আপনার নেতৃত্ব।’
জয়ের সেই স্ট্যাটাসে ভক্তরাও ফারুকীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে তার হাত ধরে এবার দেশের শোবিজ অঙ্গনে বড় কিছু পরিবর্তন আসবে বলেও প্রত্যাশা করেছেন তারা।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ফ্যাসিস্ট হাসিনার সঙ্গে আমি সম্পৃক্ত ছিলাম না: শমী কায়সার
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফ্যাসিস্ট সম্বোধন করে অভিনেত্রী শমী কায়সার বলেছেন, ‘আমি ফ্যাসিস্ট হাসিনার সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলাম না। কোনো ধরনের অর্থ দেইনি। আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, সেটা অন্যায়। আমি কখনো কাউকে নিয়ে কটাক্ষ করিনি।’
বুধবার (৬ নভেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুজ্জামানের আদালতে রিমান্ড শুনানিতে এ কথা বলেন তিনি। শুনানি শেষে ব্যবসায়ীকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে উত্তরা পূর্ব থানার করা মামলায় অভিনেত্রী শমী কায়সারের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
এর আগে মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) রাতে রাজধানীর উত্তরা থেকে শমী কায়সারকে গ্রেফতার করে উত্তরা পশ্চিম ও পূর্ব থানা পুলিশ। এর পরদিন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে শমী কায়সারকে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তাকে সাতদিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন।
অন্যদিকে তার আইনজীবী রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন। তবে রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে রিমান্ডের আবেদন মঞ্জুর করেন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
বিনোদন
৩ দিনের রিমান্ডে গান বাংলার তাপস
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন কেন্দ্রিক রাজধানীর উত্তরা পূর্ব থানার হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার সংগীতভিত্তিক টিভি চ্যানেল গানবাংলার চেয়ারম্যান কৌশিক হোসেন তাপসের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বুধবার (৬ নভেম্বর) বিকেলে তাকে আদালতে হাজির করা হয়।
এসময় মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে গত ৪ নভেম্বর তাকে সাত দিনের রিমান্ড নিতে চাওয়া আবেদনের ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। রাষ্ট্রপক্ষে মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন।
অপরদিকে আসামি পক্ষে জামিন চেয়ে আবেদন করা হয়। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুজজামানের আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে রিমান্ডের এ আদেশ দেন।
এর আগে রোববার মধ্যরাতে রাজধানীর উত্তরা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে উত্তরা পূর্ব থানা পুলিশ। পরদিন সোমবার (৪ নভেম্বর) বিকেলে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। ওইদিন মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাকে সাত দিনের রিমান্ড নিতে চাওয়া আবেদন করা তদন্ত কর্মকর্তা উপস্থিত না থাকায় আদালত শুনানির জন্য ৬ নভেম্বর দিন ধার্য করেন। একইসঙ্গে তাপসকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এমআই