খেলাধুলা
ম্যানসিটির দুর্গ ভেঙে রিয়াল মাদ্রিদের রেকর্ড
নির্ধারিত ৯০ মিনিটে আলাদা করা গেল না ম্যানসিটি ও রিয়াল মাদ্রিদের গোল সংখ্যা। অতিরিক্ত ৩০ মিনিট শেষেও থাকল সমতা। ম্যানচেস্টার সিটির আক্রমণের তীব্র ঝাপটা সামলে লড়াইয়ে টিকে রইল রিয়াল মাদ্রিদ। অবধারিতভাবে তাই রোমাঞ্চকর ম্যাচ গড়াল পেনাল্টি শুটআউটে। সেখানে দুটি শট সেভ করে নায়ক বনে গেলেন গোলরক্ষক আন্দ্রি লুনিন। শিরোপাধারীদের ছিটকে দিয়ে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে উঠল আসরের রেকর্ড ১৪ বারের চ্যাম্পিয়নরা।
বুধবার রাতে সিটির মাঠ ইতিহাদ স্টেডিয়ামে কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগের খেলা ১-১ গোলে শেষ হওয়ার পর টাইব্রেকারে ৪-৩ গোলে জিতেছে রিয়াল। সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে গত সপ্তাহে দুই পরাশক্তির প্রথম লেগের ম্যাচ ড্র হয়েছিল ৩-৩ গোলে।
প্রথমার্ধের শুরুর দিকে রদ্রিগোর গোলে রিয়াল এগিয়ে যাওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধের শেষদিকে সেই গোল শোধ করে দেন ম্যান সিটির কেভিন ডি ব্রুইনা। এরপর পেনাল্টি শুটআউটে বার্নার্দো সিলভা ও মাতেও কোভাচিচের শট আটকে দেন রিয়ালের ইউক্রেনিয়ান গোলরক্ষক লুনিন। তাই লুকা মদ্রিচের শট এদারসন ফিরিয়ে দিলেও তা যথেষ্ট হয়নি সিটির জন্য।
গত মৌসুমে এই মাঠেই সেমির ফিরতি লেগে রিয়ালকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে ফাইনালে ওঠার পর প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছিল সিটি। এবার তাদের শিরোপা ধরে রাখার অভিযান থেমে গেল শেষ আটেই। ফলে শেষ হয়ে গেল তাদের ট্রেবল জয়ের স্বপ্নও।
অথচ গোটা ম্যাচেই কোণঠাসা ছিল কার্লো আনচেলত্তির দল। পেপ গার্দিওলার শিষ্যদের মুহুর্মুহু আক্রমণ রুখে দিয়ে শেষমেশ তারাই করে বাজিমাত। ৬৭ শতাংশ সময় বল পায়ে রাখা ইংলিশ চ্যাম্পিয়ন সিটি গোলমুখে ৩৩টি শট নিয়ে লক্ষ্যে রাখে নয়টি। অন্যদিকে, স্প্যানিশ জায়ান্ট রিয়ালের নেওয়া আটটি শটের মধ্যে লক্ষ্যে ছিল তিনটি।
ম্যাচের দশম মিনিটে প্রথমবারের মতো কোনো দল বল লক্ষ্যে রাখতে পারে। গোলপোস্টের অনেক দূর থেকে এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গার নেওয়া শট অবশ্য অনায়াসে লুফে নেন ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষক এদারসন।
স্রেফ দুই মিনিট পরই দর্শনীয় একটি পাল্টা আক্রমণে এগিয়ে যাওয়ার আনন্দে মাতে রিয়াল। শুরুটা হয় ইংলিশ মিডফিল্ডার জুড বেলিংহ্যামের থেকে। সতীর্থের উঁচু করে বাড়ানো পাস নিয়ন্ত্রণে নিয়ে তিনি ডান প্রান্তে খুঁজে নেন ফেদেরিকো ভালভার্দেকে। এরপর ডি-বক্সে বল পান ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। তার পাসে রদ্রিগোর প্রথম শট এদারসনের পায়ে লেগে ফিরে আসলেও বিপদমুক্ত হয়নি। ফিরতি শটে আর কোনো ভুল করেননি ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। বল পাঠিয়ে দেন জালে।
গোল হজমের পর তেতে ওঠা ম্যান সিটি প্রথমার্ধের বাকি অংশে বইয়ে দেয় আক্রমণের বন্যা। তবে কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা মেলেনি তাদের। ১৭তম মিনিটে পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড বার্নার্দোর ক্রসে আর্লিং হালান্ডের হেড পোস্টের ওপর দিয়ে চলে যায়। দুই মিনিট পর তীব্র আফসোসে পুড়তে হয় নরওয়েজিয়ান স্ট্রাইকারকে। তার আরেকটি হেড বাধা পায় ক্রসবারে।
২৭তম মিনিটে ডি ব্রুইনার কোণাকুণি শট ঝাঁপিয়ে কর্নারের বিনিময়ে ঠেকান আন্দ্রি লুনিন। পরের মিনিটে হালান্ডের হেড পরীক্ষায় ফেলতে পারেনি রিয়ালের গোলরক্ষককে। ৩৩তম মিনিটে ডি ব্রুইনার শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয় বেশ ওপর দিয়ে। তিন মিনিট পর ডি-বক্সের ভেতর থেকে জ্যাক গ্রিলিশের শট জার্মান ডিফেন্ডার অ্যান্টোনিও রুডিগারের পা ছুঁয়ে বাইরের দিকের জালে লাগলে বেঁচে যায় সফরকারীরা।
প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে ফিল ফোডেনের দূর থেকে মারা শটও খুঁজে পায়নি প্রত্যাশিত ঠিকানা। ফলে গোলমুখে ১১টি শট নিয়ে তিনটি লক্ষ্যে রেখেও পিছিয়ে থেকে বিরতিতে যেতে হয় সিটিজেনদের।
দ্বিতীয়ার্ধেও একই ধাঁচে খেলতে থাকে স্বাগতিকরা। বিপরীতে, রিয়াল রক্ষণাত্মক কৌশল থেকে বের হয়নি। ৪৭তম মিনিটে ইংলিশ মিডফিল্ডার গ্রিলিশের শট ঠেকান লুনিন। চার মিনিট পর গোল প্রায় পেয়েই যাচ্ছিল সিটি। ডি ব্রুইনার থ্রু বল হালান্ড নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার আগেই নাচো ফার্নান্দেজ তা আলতো টোকায় সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু লুনিনকে ফাঁকি দিয়ে তা চলে যাচ্ছিল জালের দিকে। শেষ মুহূর্তে প্রায় গোললাইন থেকে বল বিপদমুক্ত করেন নাচো।
চাপ ধরে রেখে অবশেষে ৭৬তম মিনিটে সমতাসূচক গোলের দেখা মেলে। বদলি জেরেমি ডকুর ক্রস রুডিগার ব্লক করার পর সৌভাগ্যজনকভাবে বল পড়ে যায় ডি ব্রুইনার পায়ে। বেলজিয়ান মিডফিল্ডার ডি-বক্সের ভেতর থেকে প্রথম ছোঁয়ায় বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে উঁচু শটে নিশানা ভেদ করেন।
দুই মিনিট পর ডি ব্রুইনার দূরপাল্লার শট আঙুলের টোকায় রুখে দেন লুনিন। চার মিনিট পর অবিশ্বাস্য এক মিস করে বসেন ডি ব্রুইনাই। ডি-বক্সের ভেতরে ফাঁকায় থেকেও মানুয়েল আকাঞ্জির পাস থেকে বল উড়িয়ে মারেন তিনি।
১-১ গোলে নির্ধারিত ৯০ মিনিট শেষ হওয়ার পর অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধে একটি করে দারুণ সুযোগ পায় দুই দল। তবে সেগুলো কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয় তারা। ৯৯তম মিনিটে ডি-বক্সে অরক্ষিত ফিল ফোডেন পারেননি ঠিকমতো বলে পা লাগাতে। আর যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে এদারসনকে একা পেয়েও রুডিগার বল মারেন বাইরে। অতিরিক্ত সময়ের দ্বিতীয়ার্ধে ছিল না উল্লেখযোগ্য কোনো আক্রমণ।
এরপর টাইব্রেকারে লুনিনের বীরত্বে লড়াইয়ে ব্যবধান গড়ে দেয় রিয়াল। হুলিয়ান আলভারেস, ফোডেন ও এদারসন জাল খুঁজে পেলেও বার্নার্দোর দুর্বল সোজা শট লুফে নেওয়ার পর কোভাচিচকেও হতাশ করেন লুনিন। অন্যদিকে, ক্রোয়েশিয়ান মিডফিল্ডার মদ্রিচ না পারলেও বেলিংহ্যাম, লুকাস ভাজকেজ, নাচো ও রুডিগার সফল পেনাল্টি নেন।
সেমিফাইনালে ছয়বারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগজয়ী জার্মান ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখের মুখোমুখি হবে রিয়াল। আরেক কোয়ার্টার ফাইনালের ফিরতি লেগে ঘরের মাঠ আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় বায়ার্ন ১-০ গোলে হারিয়েছে আর্সেনালকে। ফলে দুই লেগ মিলিয়ে ৩-২ ব্যবধানের আগ্রগামিতায় তারা পেয়েছে শেষ চারের টিকিট।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
খেলাধুলা
ইয়ং টাইগার্স অনূর্ধ্ব-১৬ ক্রিকেটে চ্যাম্পিয়ন বিকেএসপি
ইয়ং টাইগার্স অনূর্ধ্ব-১৬ জাতীয় ক্রিকেট টুর্নামেন্ট ২০২৩-২৪ এর ফাইনালে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বিকেএসপি। মঙ্গলবার (২১ মে) খুলনার আবু নাসের স্টেডিয়ামে রাজশাহী বিভাগীয় দলের বিপক্ষে ১ম ইনিংস লিডে চ্যাম্পিয়ন হবার গৌরব অর্জন করে বিকেএসপি।
বিকেএসপি প্রথম ইনিংসে ২৬০/১০ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ১৬৭/১০ রান করে। পক্ষান্তরে রাজশাহী বিভাগ ১ম ইনিংসে ১৪৮/১০ ও ২য় ইনিংসে ৮১/৫ রান করতে সমর্থ হলে বিকেএসপি বিজয়ী হয়। বিকেএসপি দল তাদের ৬ খেলায় ৫টিতেই রাইট উইন করে।
টুর্নামেন্টের সকল পুরস্কারে বিকেএসপির ছেলেরা একক আধিপত্য বিস্তার করে। ফাইনাল খেলায় ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার পান বিকেএসপর এস কে জারিফ সিয়াম, (১২৭ বলে ৮৫ রান), টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক বিকেএসপির আব্দুল্লাহ আল মুহি (৬ ম্যাচ, ১১ ইনিংসে ৪০২ রান), সর্বোচ্চ উইকেট টেকার আল রাফি (১২ ইনিংসে ৩৩ উইকেট) এবং ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্ট বিকেএসপির উইকেট কিপার ফরিদ হাসান ফয়সাল (৩৯৫ রান ও ১৪ ডিসমিসাল)।
চ্যাম্পিয়ন বিকেএসপি দলের প্রধান কোচের দায়িত্বে ছিলেন মন্টু দত্ত, কোচ আক্তার সোহেল আনোয়ার ডিয়ার ও সহকারি কোচ হিসেবে ছিলেন অংকন সাহা।
উল্লেখ্য, ইতোপূর্বে ইয়ং টাইগার্স জাতীয় ক্রিকেট টুর্নামেন্ট ২০২৩-২৪ এর অনূর্ধ্ব-১৪ ও অনূর্ধ্ব-১৮ প্রতিযোগিতায়ও বিকেএসপি চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কৃতিত্ব দেখায়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
খেলাধুলা
লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগে দল পেলেন তাসকিন
একাধিকবার ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন বাংলাদেশের পেসার তাসকিন আহমেদ। তবে জাতীয় দলের ব্যস্ত সূচির কারণে বেশিরভাগ সময়েই হতাশ হতে হয়েছিল বাংলাদেশের এই তারকাকে। এবার তাসকিন নিজের নাম জমা দিয়েছিলেন লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগের নিলামে।
ফর্মের তুঙ্গে থাকা তাসকিন দলও পেয়েছেন দ্রুততম সময়ে। বাংলাদেশি এই পেসারের নাম উঠেছিল পেস বোলারদের ক্যাটাগরিতে। সেখানেই দল পেয়ে যান তাসকিন। ৫০ হাজার ডলার ছিল তার ভিত্তিমূল্য। সেখানেই আগ্রহ দেখায় কলম্বো স্ট্রাইকার্স। আর কোনো বিড না থাকায় কলম্বোতেই যাচ্ছেন তাসকিন।
তাসকিন আহমেদ দল পেলেও অবিক্রিতই থেকে গিয়েছেন লিটন দাস এবং মুশফিকুর রহিম। লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগের এবারের নিলামে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে নাম উঠেছিল লিটন দাসের। ৩০ হাজার ডলারে নাম উঠেছিল লিটনের। তবে বাংলাদেশের এই উইকেটরক্ষককে নিতে আগ্রহ দেখায়নি কোনো দলই।
বিরতির ঠিক আগে ৫০ হাজার ইউএস ডলারে নাম ওঠে মুশফিকুর রহিমের। তবে অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটারের দিকেও আগ্রহ ছিল না কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজির। এবারের নিলামে অবশ্য পুরোটা সময়েই বিস্ময় উপহার দিয়েছিল লঙ্কান ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। পাথুম নিশাঙ্কা, রাসি ভ্যান ডার ডুসেন, মার্টিন গাপটিল কিংবা কুশাল পেরেরার মতো খেলোয়াড়দের জন্য আগ্রহী ছিলেন না কেউই।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
খেলাধুলা
আজ যুক্তরাষ্ট্রের মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ
প্রথমবারের মতো যেকোনো ফরম্যাটের ক্রিকেটে যুক্তরাষ্ট্রের মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল।
মঙ্গলাবার টেক্সাসের গ্র্যান্ড প্রেইরি স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচ। খেলা শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায়।
বেসরকারি টিভি চ্যানেল নাগরিক টিভি যুক্তরাষ্ট্র সিরিজের তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ সম্প্রচার করবে। সেই সঙ্গে অনলাইনেও খেলা দেখতে পারবেন সমর্থকরা। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম টফিতে দেখা যাবে যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের সিরিজ।
যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে সিরিজের বাকি দুটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে ২৩ ও ২৫মে।
সম্প্রতি হোম সিরিজে জিম্বাবুয়েকে ৪-১-এ হারালেও ব্যাটিং নিয়ে অস্বস্তি রয়ে গেছে বাংলাদেশের। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সর্বোচ্চ স্কোর ছিল ১৬৫। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত, লিটন দাস ফর্মহীন। হাঁটুর চোট থেকে সেরে উঠছেন সৌম্য সরকার। সাকিব আল হাসান প্রায় এক বছর পর টি-টোয়েন্টি দলে ফিরেছেন। তার ছন্দ ফিরে পেতে সময় লাগতে পারে। বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের অনেকটাই এখন নির্ভর করছে তাওহিদ হৃদয় আর অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহর ওপর। তবে এই সিরিজ দিয়েই বিশ্বকাপের আগে ফর্মে ফেরার সুযোগ রয়েছে শান্ত, লিটন, সৌম্যর।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
খেলাধুলা
শান্তর অধিনায়কত্ব নিয়ে যা বললেন লিটন
সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাট হাতে ভালো সময় যাচ্ছে না লিটন দাসের। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দলে থাকা নিয়েও রয়েছে নানা সমালোচনা। সবকিছু পাশ কাটিয়ে দলের সাথে লিটন এখন যুক্তরাষ্ট্রে। চেষ্টা করছেন নিজের চেনা ফর্মে ফিরতে। বিশ্বকাপের ঠিক আগে লিটনকে নিয়ে বাংলাদেশের প্রত্যাশাও থাকবে ব্যাপক।
বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড নিয়েছে বিশেষ এক উদ্যোগ। বিশ্বকাপ কেন্দ্র করে দলে থাকা ক্রিকেটার ধারাবাহিক সাক্ষাৎকার প্রকাশ করছে বিসিবি। প্রকাশিত ধারাবাহিকে আজ মঙ্গলবার ছিল উইকেটরক্ষক-ব্যাটার লিটনের সাক্ষাৎকার। জানিয়েছেন নিজের ক্রিকেট নিয়ে অনেক কথাই।
অধিনায়ক শান্তর অধীনে লিটন যাচ্ছেন নিজের তৃতীয় বিশ্বকাপে। এর আগে খেলছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এবং সাকিব আল হাসানের মতো দুই অভিজ্ঞ অধিনায়কের সঙ্গে। নতুন অধিনায়কত্ব নিয়ে লিটন বললেন, ‘খুবই ভালো শেষ কয়েকটা সিরিজ সে (শান্ত) অধিনায়কত্ব করছে, আমার কাছে খুবই ভালো লাগতেছে। যেহেতু নিউ কামার তার কাছে তিন ফরম্যাটের অধিনায়কত্ব গিয়েছে। ওভারঅল যা দেখছি তাতে মনে হচ্ছে উন্নতি। স্বাভাবিক যে কোনো মানুষের উন্নতির শেষ নেই সে খুব ভালো করছে।’
তারুণ্যনির্ভর এই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের স্কোয়াডে আছেন দুই সিনিয়র ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান ও মাহমদুউল্লাহ রিয়াদ। দুজনেই আগে অধিনায়ক ছিলেন। এবারই হতে পারে তাদের শেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। দুই সিনিয়ারের প্রশংসাও ঝরলো লিটনের কাছ থেকে।
লিটন বলেন, ‘আমার তো দেখে মনে হয় না সাকিব ভাই অনেক পুরাতন খেলোয়াড়। উনি যেভাবে ব্যবহার করে সবার সাথে, মনে হয় যে খুবই ফ্রেন্ডলি। এটা একটা সবথেকে বড় জিনিস, ইনফ্যাক্ট রিয়াদ ভাইও এখন অনেক ফ্রেন্ডলি। তারা সবাই চেষ্টা করে আমরা তো অনেকদিন ধরে খেলতেছি, নতুন যারা জুনিয়ররা আসতেছে তাদের সাথেও খুবই ফ্রেন্ডলি বিহেভ করছে, তারা যেন কমফোর্ট ফিল করে।’
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
খেলাধুলা
ক্রিকেট বিশ্বকাপের চেয়ে অলিম্পিক পদক বড়: মাশরাফি
টানা চতুর্থ বারের মতো বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক কাপ কাবাডি আয়োজন করছে বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশন। ২৬ মে শুরু হতে যাওয়া টুর্নামেন্ট উপলক্ষ্যে আজ বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশনে সংবাদ সম্মেলন করেছে কাবাডি ফেডারেশন। সেই সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক ও জাতীয় সংসদের হুইপ মাশরাফি বিন মতুর্জা।
কাবাডির অনুষ্ঠানে এর আগেও এসেছিলেন তিনি। আজ এসে আবার দেশের সকল খেলার গুরুত্ব প্রদান ও মর্যাদার কথা বলেছেন, আমি সব সময় সব খেলার পক্ষে। আপনারাই (মিডিয়া) ক্রিকেটকে বেশি গুরুত্ব দেন। অন্য খেলাকেও গুরুত্ব দেয়া দরকার।
অন্য খেলার গুরুত্বের বিষয়টি তিনি নিজেই বিশ্লেষণ করেছেন, ‘অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট বিশ্বকাপ জিতে কিন্তু সারা বিশ্ব জানে না। আমরা যদি অলিম্পিকে একটা পদক জিততে পারি সারা বিশ্ব চিনবে। সেটা হবে বড় অর্জন। ক্রিকেট বিশ্বকাপ জেতার চেয়ে অলিম্পিক পদক জেতা অনেক বড়।
বাংলাদেশের জন্য অলিম্পিক খুব বড় স্বপ্ন। দক্ষিণ এশিয়ার গন্ডির বাইরে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের তেমন কোনো সাফল্য নেই। ১৯৮৬ সালে সিউল এশিয়াডে বক্সার মোশাররফ ব্রোঞ্জ জিতেছিলেন। সেটাই বাংলাদেশের এখন পর্যন্ত বড় অর্জন। ফলে অলিম্পিকের চিত্রটাও মাশরাফির জানা, ক্রিকেট বিশ্বকাপ বড় স্পোর্টস নয়, বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্পোর্টস অলিম্পিক। সেখানে আমরা এখন হিটেই বাদ পড়ে যাচ্ছি। হিট থেকে ফাইনালে উঠতে হবে এরপর পদকের লড়াই।
ক্রিকেট, ফুটবল বাদে দেশের অন্য সকল খেলোয়াড়দের আর্থিক অবস্থা খুব দুর্বল। অন্য ফেডারেশনগুলোও খেলোয়াড়দের সেভাবে আর্থিক সহায়তা করতে পারেন না। জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক টানা দুই বারের জাতীয় সংসদ সদস্য। এবার তিনি সংসদের হুইপও। ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যও তিনি। খেলোয়াড়দের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি ও ফেডারেশনের সামর্থ্য বাড়াতে নিজের উদ্যোগ গ্রহণের চেয়ে মিডিয়া ও ফেডারেশনের উপরই দায়িত্ব দিলেন বেশি।
তিনি বলেন, সংসদীয় কমিটিতে কোনো বিষয় আসলে আমি অবশ্যই আলোচনা করব। যা করার চেষ্টা করব। আপনারাই পারেন অন্য খেলাগুলোকে এগিয়ে নিতে। আজ যেমন কাবাডিতে এসেছেন তার মানে গুরুত্ব দিচ্ছেন। আসলে সব কিছুর সমন্বয় দরকার। খেলাধূলায় বিনিয়োগ প্রয়োজন। বিনিয়োগ আসতে লাগে ফোকাস। সেই ফোকাস আপনারা (মিডিয়া)। ফোকাস থাকলে স্পন্সর আসবে। ক্রিকেটের বোর্ডের অর্থ আছে, অন্য ফেডারেশনের সেভাবে নেই। সুবিধা থাকলে খেলোয়াড় বেরিয়ে আসবে। ট্রেনিং নিয়মিত, ইনজুরি হলে ব্যবস্থা। এই জিনিসগুলো থাকলে অন্য খেলায় আসবে। কাবাডিতে যেমন চলছে।
অনেক ফেডারেশনে শীর্ষ পদে অনেক সংগঠক রয়েছেন যুগের পর যুগ। খেলার তেমন উন্নতি নেই। নেতৃত্বের সংকট নিয়ে ক্রীড়াঙ্গনে প্রশ্ন উঠে। ক্রিকেট ছাড়া অন্য কোনো খেলায় এগিয়ে আসার আগ্রহ আছে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে মাশরাফি বলেন, আমি একা তো আর সব দায়িত্ব নিতে পারব না। নেতৃত্বের সংকট আছে বলে মনে করি না। সব ফেডারেশনের ব্যাপারে আমি জানিও না, যাইওনি। যেকোনো খেলায় ডাকলে আমি যাই।