অর্থনীতি
চলতি অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি হবে ৫ দশমিক ৭ শতাংশ: আইএমএফ
চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি কমার পূর্বাভাস দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। সংস্থাটি বলছে, অর্থবছর শেষে বাংলাদেশের জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ৭ শতাংশ হতে পারে।
মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) বৈশ্বিক ঋণদাতাটি তাদের ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুক প্রতিবেদনের সর্বশেষ সংস্করণে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়।
গত বছরে আইএমএফ ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ৬ শতাংশ হওয়ার প্রক্ষেপণ করেছিল, যা সংশোধন করে ৫ দশমিক ৭ শতাংশে নামানো হয়। তবে আগামী অর্থবছরে তা কিছুটা বেড়ে ৬ দশমিক ৬ শতাংশ হতে পারে।
আইএমএফ ইতোপূর্বে চলতি অর্থবছরে মূল্যস্ফীতির হার ৯ শতাংশ হওয়ার অনুমান করছিল। কিন্তু এখন তা বার্ষিক ৯ দশমিক ৩ শতাংশ হারে নেমে যেতে পারে। তবে আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরে জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৬ শতাংশ হতে পারে, মূল্যস্ফীতির হারও নামতে পারে ৬ দশমিক ১ শতাংশে।
চলতি মাসের শুরুর দিকে বিশ্বব্যাংক তাদের সর্বশেষ বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেট প্রতিবেদনে সতর্ক করে বলেছে, স্বল্প মেয়াদে চাপের মধ্যে থাকবে দেশের অর্থনীতি। চড়া মূল্যস্ফীতি ব্যক্তি বা বেসরকারি পর্যায়ে ভোগ চাহিদা কমাচ্ছে, তার সঙ্গে জ্বালানি ও কাঁচামালের সংকট, সুদ হার বৃদ্ধি এবং আর্থিক খাতের দুর্বলতা বিনিয়োগের আস্থা কমাচ্ছে। এতে প্রকৃত মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপি প্রবৃদ্ধিও গতি হারিয়ে হতে পারে ৫ দশমিক ৬ শতাংশ।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
নিতাইগঞ্জে নিম্নমুখী ডালের বাজার, কমেছে দাম
ডালের পাইকারি বাজার হিসেবে প্রসিদ্ধ নারায়ণগঞ্জের নিতাইগঞ্জে সব ধরনের ডালের দাম কমেছে। রোজার পরে পণ্যটির চাহিদা কমে আসায় বাজারে তৈরি হয়েছে নিম্নমুখী প্রবণতা। ফলে দুই সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে ডালের দাম কেজিতে কমেছে ২-৫ টাকা পর্যন্ত। আবার কোনো কোনো ডালের দাম কেজিতে কমেছে ১০-১২ টাকা পর্যন্ত।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, দেশি মসুর ডাল বাজারে বেচাকেনা হচ্ছে ১২০ টাকা কেজি দরে। একই ডাল রমজান মাসের শুরুতে বেচাকেনা হয়েছিল ১২৪ টাকা কেজি দরে। দিল্লি সুপার ডাল বেচাকেনা হচ্ছে ১২২-১২৩ টাকা কেজি দরে। দুই সপ্তাহ আগে এটি বেচাকেনা হয়েছিল ১২৫ টাকা কেজি দরে। বোল্ডার মসুর ডাল বেচাকেনা হচ্ছে ৯৮-১০০ টাকা কেজি দরে, দুই সপ্তাহ আগেও যা ছিল ১০২ টাকা। ফাটি মসুর ডাল বেচাকেনা হচ্ছে ৯৮ টাকা কেজি দরে, দুই সপ্তাহ আগে এটি ছিল ১০২ টাকা কেজি দরে।
খেসারি ডাল বাজারে বেচাকেনা হচ্ছে প্রতি কেজি ৮৬ টাকায়। একই ডাল কিছুদিন আগেও বেচাকেনা হয়েছিল ১০৬ টাকা কেজি দরে। বুটের ডাল বেচাকেনা হচ্ছে ৮২ টাকা কেজি দরে। গত সপ্তাহে এটি বেচাকেনা হয়েছিল কেজিপ্রতি ৮৫ টাকায়। ছোলা বেচাকেনা হচ্ছে প্রতি কেজি ৮৮ টাকায়, দুই সপ্তাহ আগে যা ছিল ৯০ টাকা।
অন্যদিকে এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে মুগ ডালের দাম কমেছে ১২ টাকা। অ্যাঙ্কর ডালের দাম কমেছে কেজিতে ১০ টাকা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, ঈদের আগে মুগ ডালের চাহিদা বেশি থাকায় ও মিল থেকে সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম কিছুটা বেড়ে গিয়েছিল। কিন্তু ঈদের পর চাহিদা কমে যাওয়ায় দামও কমেছে। এখন প্রতি কেজি মুগ ডাল বেচাকেনা হচ্ছে ১৫৫ ও অ্যাঙ্কর ৬৭ টাকায়।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
মোবাইল, ফ্রিজ ও গ্যাস সিলিন্ডারে বাড়তে পারে ভ্যাট
আইএমএফের ঋণ কর্মসূচির আওতায় করছাড় কমাতে উঠে পড়ে লেগেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বা এনবিআর। কর অব্যাহতি পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোতে আগামী বাজেটেই পর্যায়ক্রমে কর আরোপ করতে চলেছে সংস্থাটি। পাশাপাশি স্বল্পহারে ভ্যাট দেওয়া ভোগ পণ্যগুলোতেও এর পরিমাণ বাড়াবে। জানা যায়, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে ফ্রিজ, এসি ও মোবাইল ফোনের ওপর ভ্যাট বাড়তে পারে। ভ্যাট বাড়তে পারে এলপি গ্যাস সিলিন্ডারেও। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র বলছে, বর্তমানে রেফ্রিজারেটর বা ফ্রিজের উৎপাদন পর্যায়ে ভ্যাটের হার ৫ শতাংশ। এ হার বেড়ে সাড়ে ৭ শতাংশ হতে পারে। মূল্য সংযোজনের পরিমাণের ওপর ভিত্তি করে মোবাইল ফোনের উৎপাদন পর্যায়ে ভ্যাটের হার ২ থেকে সাড়ে ৭ শতাংশ। এখানে কিছুটা বাড়তে পারে। মোবাইল ফোনের বিক্রয় পর্যায়ে ৫ শতাংশ ভ্যাট আছে, যা সাড়ে ৭ শতাংশ করা হতে পারে। এলপি গ্যাস সিলিন্ডারের উৎপাদন পর্যায়ে ভ্যাট সাড়ে ৭ শতাংশ, এটা কিছুটা বাড়তে পারে। উৎপাদন পর্যায়ে পুরোপুরি ভ্যাট অব্যাহতি পাচ্ছে এসি। নতুন বাজেটে এসি উৎপাদন পর্যায়ে ৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ হতে পারে।
এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম এ বিষয়ে ইঙ্গিত দিয়েছেন। গত রোববার রাজধানীর লেকশোর হোটেলে সিপিডির আয়োজনে এক সংলাপে তিনি বলেন, দেশীয় শিল্প বিকাশে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত ফ্রিজ, এসিসহ বিভিন্ন শিল্পে ভ্যাটে ছাড় রয়েছে। একই সঙ্গে মোবাইল ফোন খাতেও ধারাবাহিকভাবে সহায়তা দেওয়া হয়েছে। এতে এসব পণ্যের বাজার এখন দেশীয় উৎপাদনকারীদের দখলে। ইতোমধ্যে এসব খাত বেশ সক্ষমতা অর্জন করেছে। তাই দেশের স্বার্থে এসব শিল্পে ক্রমান্বয়ে কর আরোপ করা হবে।
তবে ভোক্তা ও শিল্পসংশ্লিষ্টরা বলছেন, সরকার যদি মোবাইল ফোন, এলপিজি সিলিন্ডার, ফ্রিজ বা এসির ওপর ভ্যাট বাড়ায়, তাহলে দাম বাড়িয়ে ব্যবসায়ীরা সেই বোঝা ভোক্তার কাঁধেই চাপাবেন। এতে ভোক্তাদের খরচ বাড়বে। দীর্ঘ সময় ধরে বিরাজমান উচ্চ মূল্যস্ফীতিকে তা আরও তীব্র করবে।
ইলেকট্রনিকস পণ্য উৎপাদন-সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, যে কোনো পর্যায়েই কোনো কর বাড়ানো হলে বাড়তি খরচটা ভোক্তাদের ওপরেই পড়বে। তাদের আর কোনো বিকল্প থাকবে না। ইলেকট্রনিকস পণ্যকে আর বিলাসদ্রব্য হিসেবে গণ্য করা হয় না। তাই কর বাড়ানোরও যুক্তি থাকতে পারে না। বিশেষত, যখন দেশের অর্থনীতির বিবেচনায় বিদ্যমান ভ্যাটের হারই খুব বেশি।
এদিকে ঋণ কর্মসূচির আওতায় করছাড় কমাতে আইএমএফের শর্ত রয়েছে। শর্ত অনুযায়ী, ২০২৭ সালের ১ জুলাইয়ের আগে তিন ধাপে বিদ্যমান সব ধরনের করছাড় বাতিল করতে হবে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
দেশে মাথাপিছু আয় বেড়ে ২ হাজার ৭৮৪ ডলার
চলতি অর্থবছর শেষ হতে বাকি আর অল্প কিছুদিন। শেষ সময়ে এসে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের সাময়িক হিসাবে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি আগের বছরের তুলনায় কিছুটা বেড়ে ৫.৮২ হবে। আর দেশের মানুষের মাথাপিছু মাসিক আয় দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৭৮৪ মার্কিন ডলারে। যা গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে ছিল ২ হাজার ৭৪৯ মার্কিন ডলার।
সোমবার (২০ মে) জিডিপির সাময়িকী তথ্য প্রকাশ করে এসব তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)।
বিবিএস বলছে, চলতি অর্থবছর শেষ হতে আর কিছুদিন বাকি। চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের সাময়িক হিসাবে মোট দেশজ উৎপাদনের প্রবৃদ্ধি (জিডিপি) আগের বছরের তুলনায় কিছুটা বেড়ে ৫.৮২ শতাংশ দাঁড়াবে। যা আগের ২০২২-২৩ অর্থবছরে ছিল ৫.৭৮ শতাংশ।
বর্তমানে টাকা হিসেবে মাথাপিছু আয় ৩ লাখ ৬ হাজার ১৪৪ টাকা। যা গত অর্থবছরে ছিল ২ লাখ ৭৩ হাজার ৩৬০ টাকা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
চলতি অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি হবে ৫.৮২ শতাংশ: বিবিএস
চলতি অর্থবছর শেষ হতে আর অল্প কিছুদিন বাকি আছে। চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের সাময়িক হিসাবে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি আগের অর্থবছরের তুলনায় কিছুটা বেড়ে ৫ দশমিক ৮২ শতাংশে দাঁড়াবে, যা আগের ২০২২-২৩ অর্থবছরে ছিল ৫ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
সোমবার (২০ মে) জিডিপির সাময়িক হিসাব প্রকাশ করে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। বিবিএস বলছে, এ বছর বাংলাদেশের জিডিপির আকার বেড়ে দাঁড়াবে ৫০ লাখ ৪৮ হাজার কোটি টাকা। আগের অর্থবছরে তা ছিল ৪৪ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা।
সাময়িক হিসাবে বলা হচ্ছে, এ অর্থবছরে সবচেয়ে বড় ধাক্কা আসছে শিল্পখাতে। শিল্পখাতের প্রবৃদ্ধি কমে দাঁড়াবে ৬ দশমিক ৬৬ শতাংশে। আগের অর্থবছরে তা ছিল ৮ দশমিক ৩৭ শতাংশ।
প্রবৃদ্ধির হিসাবে সবচেয়ে খারাপ কৃষি খাতে ৩ দশমিক ২১ শতাংশ, আগের অর্থবছরে তা ছিল ৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ। তবে শিল্প ও কৃষিতে কমলেও আগের বছরের তুলনায় এবার সেবা খাতের প্রবৃদ্ধি বাড়বে বলে ধারণা দিয়েছে সরকারি এ সংস্থা। তারা বলছে, সেবা খাতের প্রবৃদ্ধি বেড়ে দাঁড়াবে ৫ দশমিক ৮ শতাংশে, আগের অর্থবছরে তা ছিল ৫ দশমিক ৩৭ শতাংশ।
তবে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্নয়ন সহযোগী বিশ্বব্যাংকের হিসাবে এ প্রবৃদ্ধি আরও কম হবে।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশে ৫ দশমিক ৬ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। সমাপ্ত ২০২২-২৩ অর্থবছরে বিশ্বব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ছিল ৫ দশমিক ৮ শতাংশ।
যদিও এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি) বলছে, প্রবৃদ্ধি আরও বেশি হবে। রপ্তানির ওপর নির্ভর করে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ১ শতাংশ হবে বলে এডিবির পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।
আগামী অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৬ শতাংশ বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে ম্যানিলাভিত্তিক ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানটি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
তিন হাজার ৮৬৯ কোটি টাকা বাজেট সহায়তা পাচ্ছে বাংলাদেশ
৩০ দশমিক ৫ কোটি ইউরো বাজেট সহায়তা পাচ্ছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা তিন হাজার ৮৬৯ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার ও ফরাসি সরকারের অর্থায়নকারী এজেন্স ফ্রান্স ডি ডেভেলপমেন্টের (এএফডি) সঙ্গে চুক্তি সই হয়েছে।
সোমবার (২০ মে) নগরীর এনইসি সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকী এবং এএফডি’র ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেক্টর সিসিলিয়া কর্টেজ ঋণচুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। মোট ৩০ দশমিক ৫ কোটি ইউরো চুক্তি সই হয়। এর মধ্যে পাঁচ মিলিয়ন ইউরো অনুদান সহায়তা।
ইআরডি জানায়, পলিসি লোন ইন সাপোর্ট অব জিওবি ক্লাইমেট চেঞ্জ এজেন্ডা’ প্রকল্পের আওতায় এই চুক্তি সই হয়েছে। প্রকল্পটির মূল উদ্দেশ্য, ন্যাশনাল অ্যাডাপটেশন প্ল্যান, দ্য মুজিব ক্লাইমেট প্রোসপাইরিটি এবং ন্যাশনাল ডিটারমাইন্ড কন্টিবিউশনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখা। জলবায়ুর নেতিবাচক অভিঘাতের বিরুদ্ধে কার্যকর ও শক্তিশালী ভিত্তি প্রস্তুত করা এবং জলবায়ু-সহিষ্ণু ও স্বল্প কার্বন নিঃসরণভিত্তিক অগ্রযাত্রাকে সমর্থন করা।
২০১২ সাল থেকে বাংলাদেশে এএফডি কার্যক্রম শুরু করে। এএফডি হলো একটি দ্বিপাক্ষিক উন্নয়ন সংস্থা, যা ফরাসি সরকারের পক্ষে উন্নয়ন সহায়তা কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে থাকে। এফডি বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন, পরিবহন ও যোগাযোগ এবং স্বাস্থ্য ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ খাতে সহায়তা দেয়।
বর্তমানে এএফডি ১১টি চলমান প্রকল্পে অর্থায়ন করছে। ১১টি প্রকল্পে অর্থায়নের পরিমাণ এক দশমিক ১৪ বিলিয়ন ইউরো। এ পর্যন্ত এএফডি বাংলাদেশে দুই দশমিক দুই বিলিয়ন ইউরো ঋণ ও কারিগরি সহায়তা দিয়েছে।