আবহাওয়া
দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় চতুর্থ ঢাকা
ঢাকার বাতাসের মান আজ মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। সকাল ১১টা ২০ মিনিটে ১৫৭ এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শহরটির অবস্থান চতুর্থ।
ভারতের দিল্লি, নেপালের কাঠমান্ডু ও মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন যথাক্রমে ১৮৬, ১৭৭ ও ১৬০ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান দখল করেছে।
১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে হলে বাতাসের মান ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’, ১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়।
২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়, ৩০১+ একিউআই স্কোরকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের ৫টি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।
দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আবহাওয়া
দুই দিনের হিট অ্যালার্ট জারি
চলতি মাসের শুরুতে টানা বৃষ্টির পর দেশের তাপমাত্রা বেড়েই চলেছে। চলমান মৃদু তাপপ্রবাহ ৪২ জেলায় বিস্তার লাভ করেছে, যা আরও বিস্তৃত হতে পারে। এ কারণে দুই দিনের তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা বা ‘হিট অ্যালার্ট’ জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
বুধবার (১৫ মে) বিকেলে আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক স্বাক্ষরিত এক সতর্কবার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, রাজশাহী, রংপুর, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে চলমান তাপপ্রবাহ বুধবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিকর পরিস্থিতি অব্যাহত থাকতে পারে।
প্রসঙ্গত, চলতি মৌসুমে ১ এপ্রিল থেকে তাপপ্রবাহ শুরু হয়। ৬ মে পর্যন্ত দেশের কোনো না কোনো অঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে গেছে তাপপ্রবাহ। দেশের ইতিহাসে একটানা ৩৭ দিন তাপপ্রবাহের সবচেয়ে বড় রেকর্ড এটি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আবহাওয়া
দাবদাহ নিয়ে দুঃসংবাদ দিলো আবহাওয়া অফিস
দেশের ৬৪টি জেলার মধ্যে ৪২টি জেলায় মৃদু থেকে মাঝারি দাবদাহ বিরাজ করছে। বুধবার (১৫ মে) সন্ধ্যা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে কোথাও বৃষ্টি হয়নি। এদিকে দেশের পাঁচটি বিভাগের ওপর দিয়ে দুই দিনের তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। মে মাসের ২১ তারিখের পর সাগরে লঘুচাপ সৃষ্টির বার্তাও দিয়েছে সংস্থাটি। যা পরবর্তীতে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। বৃহস্পতিবার সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।
বুধবার দিনাজপুরে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এদিন ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ৩৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া রাজশাহীতে ৩৮, রংপুরে ৩৭ দশমিক ৭, ময়মনসিংহে ৩৬ দশমিক ২, সিলেটে ৩৬ দশমিক ৫, চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ৩৭ দশমিক ৫, খুলনায় ৩৬ দশমিক ৬ এবং বরিশালে ৩৫ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। মাত্র পাঁচ দিন আগে ১০ মে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ হিসাবে তাপমাত্রা বেড়েছে ৪ ডিগ্রির বেশি।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, পাবনা, দিনাজপুর, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম এবং রাঙ্গামাটি জেলার ওপর দিয়ে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী এবং বান্দরবান জেলাসহ ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগ এবং রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের অন্যান্য অঞ্চলের ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এটি অব্যাহত থাকতে পারে ও বিস্তার লাভ করতে পারে। সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।
সতর্কবার্তায় জানানো হয়েছে, ঢাকা, খুলনা, রাজশাহী, বরিশাল, রংপুর বিভাগের ওপর দিয়ে বুধবার সন্ধ্যা থেকে শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যাবে। এ সময় জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিকর পরিস্থিতি অব্যাহত থাকতে পারে।
বাতাসে তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কম হলে তাকে মৃদু তাপপ্রবাহ ধরা হয়। ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রির কম তাপমাত্রাকে বলা হয় মাঝারি এবং ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রির কম তাপমাত্রাকে তীব্র তাপপ্রবাহ বলা হয়। আর তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রির ওপরে উঠলে তাকে বলা হয় অতি তীব্র তাপপ্রবাহ।
বুধবার সন্ধ্যা থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার মধ্যে সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ হাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আবহাওয়া
রাতে ঢাকাসহ ৮ জেলায় ঝড়-বৃষ্টির আভাস
আজ রাত ১টার মধ্যে ঢাকাসহ দেশের আট জেলায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে যেতে পারে। এছাড়াও বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
মঙ্গলবার (১৪ মে) বিকেল ৪টা থেকে ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
হাফিজুর রহমান স্বাক্ষরিত সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, পশ্চিম বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, ঢাকা, টাঙ্গাইল, খুলনা, ময়মনসিংহ ও সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
সেই সঙ্গে অস্থায়ীভাবে বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার বন্দরগুলোকে এক নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আগামী তিন দিনের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এই সময়ে বৃষ্টির কোনো সম্ভাবনা নেই। ফলে সারাদেশে তাপমাত্রা বাড়তে পারে। টাঙ্গাইল, রাজশাহী, পাবনা, যশোর, নীলফামারী, রাঙ্গামাটি ও ফেনী জেলার উপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে।
বুধবার (১৫ মে) দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আবহাওয়া
সারাদেশে বাড়তে পারে তাপমাত্রা
তীব্র গরমের পর ঝড়বৃষ্টিতে স্বস্তি ফিরলেও আবারও বাড়তে শুরু করেছে তাপমাত্রা। আগামী কয়েকদিনে নেই বৃষ্টির সম্ভাবনা। একই সঙ্গে ৭ জেলায় বয়ে যাওয়া তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
আজ মঙ্গলবার (১৪ মে) আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
পাবনার ঈশ্বরদীতে সোমবার (১৩ মে) দেশের সর্বোচ্চ ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস। আজ মঙ্গলবার পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৩.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ অবস্থায় আবহাওয়ায় পূর্বাভাসে আগামী ৩ দিন নেই বৃষ্টির সম্ভাবনা। ফলে এ সময় সারা দেশেই বাড়তে পারে তাপমাত্রা।
আবহাওয়া অফিস বলছে, টাঙ্গাইল, রাজশাহী, পাবনা, যশোর, নীলফামারী, রাঙ্গামাটি ও ফেনী জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া মৃদু তাপপ্রবাহ ৩ দিন অব্যাহত থাকতে পারে।
এ ছাড়া সারা দেশেই মঙ্গলবার দিন ও রাতের সামান্য বাড়তে পারে। আগামীকাল বুধবার (১৫ মে) দিনের তাপমাত্রা বাড়তে পারে ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। পরদিন বৃহস্পতিবারও (১৬ মে) দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আবহাওয়া
সাত জেলার ওপর দিয়ে বইছে তাপপ্রবাহ
দেশের সাত জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু তাপপ্রবাহ। সেটি আরও কয়েকদিন অব্যাহত থাকবে। সোমবার (১৩ মে) সন্ধ্যা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
তাপপ্রবাহ চলমান জেলাগুলো হচ্ছে- টাঙ্গাইল, রাজশাহী, পাবনা, যশোর, নীলফামারী, রাঙ্গামাটি ও ফেনী।
আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদের সই করা পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ থেকে উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। তবে আগামী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা ও সিলেট বিভাগসমূহের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা, ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
এ সময়ের মধ্যে সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।
পূর্বাভাসে আগামীকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগগুলোর দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা বলা হয়েছে।
একইসঙ্গে ওই দিনও চলমান তাপপ্রবাহ পরিস্থিতি অব্যাহত থাকতে পারে এবং তা কিছু কিছু জায়গায় বিস্তার লাভ করতে পারে বলেও জানানো হয়েছে।
সেইসঙ্গে সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রাও সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।
আজ (সোমবার ১৩ মে) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে রাজশাহী বিভাগের ঈশ্বরদীতে ৩৭ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে রংপুর বিভাগের তেঁতুলিয়ায় ২১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে পটুয়াখালীতে। যার পরিমাণ ২০ মিলিমিটার।