টেলিকম ও প্রযুক্তি
ফ্রিতে ব্যবহার করা যাবে গুগল এআই ফিচার
বিশ্বের জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন গুগলের রয়েছে অসংখ্য ফিচার। প্রতিনিয়ত ব্যবহারকারীদের জন্য নতুন নতুন ফিচার নিয়ে হাজির হচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। সেই সার্চ ইঞ্জিন জায়ান্ট এবার সুখবর নিয়ে এসেছে। গুগল সম্প্রতি তাদের আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) ভিত্তিক ছবি এডিটিং টুলগুলো খুব শীঘ্রই গুগল ফটো ব্যবহারকারীদের জন্য বিনামূল্যে ব্যবহারের ঘোষণা দিয়েছে।
যদিও এই সিদ্ধান্তের ফলে ম্যাজিক এডিটর, ম্যাজিক ইরেজার, ফটো আনব্লার, পোর্ট্রেট লাইটের মতো এআই এডিটিং টুলগুলো এখন পর্যন্ত শুধুমাত্র পিক্সেল এবং গুগল ওয়ান হ্যান্ডসেটের জন্য সীমাবদ্ধ ছিল। তবে এখন সবাই ব্যবহারের সুবিধা পাবে। যদি কেউ এই ফটো স্টোরেজ এবং শেয়ারিং পরিষেবার গ্রাহক হয়ে থাকেন তবে এই টুলসহ একাধিক উল্লেখযোগ্য এআই এডিটিং বিষয়ের অ্যাক্সেস আগামী মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে পাবেন।
কবে থেকে বিনামূল্যে এই ফিচার ব্যবহার করা যাবে
সম্প্রতি টুইটারে (বর্তমানে এক্স) একটি পোস্ট শেয়ার করে গুগল। এতে নিশ্চিত করা হয়, গুগল ফটোস অ্যাপ ব্যবহারকারীরা আগামী ১৫ মে থেকে এআই ফটো এডিটিং ফিচারের সুবিধা বিনামূল্যে পাবে। যা ম্যাজিক ইরেজার (অবাঞ্ছিত বস্তু অপসারণ করার জন্য), ফটো আনব্লার (অস্পষ্টতা কমাতে সাহায্য করবে) এবং পোর্ট্রেট লাইট (বোকেহ এফেক্ট যোগ করবে) এডিটিং টুলগুলো ব্যবহার করতে সক্ষম হবেন।
এআই এডিটিং ফিচার ব্যবহারে ডিভাইসে যা লাগবে
এআই ফটো এডিটিং ফিচারের জন্য অ্যান্ড্রয়েড অথবা আইওএস ডিভাইসে কিছু হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার প্রয়োজন হবে।
অ্যান্ড্রয়েড ফোন
৬৪ বিট প্রসেসর
৩ জিবি র্যাম
অ্যান্ড্রয়েড ওরিও বা উচ্চতর ওএস সংস্করণ
আইওএস
৬৪ বিট প্রসেসর
৩ জিবি র্যাম
আইওএস ১৫ বা উচ্চতর ওএস সংস্করণ
তবে স্মার্টফোনের পাশাপাশি পিক্সেল সিরিজের ট্যাবলেট, ক্রোমবুক এবং আইপ্যাডের জন্যও বিনামূল্যে এআই ফটো এডিটিং ফিচার রোলআউট করবে গুগল। এক্ষেত্রে আগামী ১৫ মে থেকে ফিচারটি উম্মুক্তের কাজ শুরু করা হবে এবং পর্যায়ক্রমে প্রত্যেকটি অঞ্চলের ডিভাইসের জন্য চালু করা হবে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
টেলিকম ও প্রযুক্তি
হোয়াটসঅ্যাপে গ্যালারির ছবি দিয়েই স্টিকার
প্রযুক্তি নির্ভর জীবনে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় যোগাযোগ মাধ্যম মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ। ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতা ভালো করতে একের পর এক নতুন ফিচার নিয়ে আসছে মেটার মালিকানাধীন এই অ্যাপ। প্রতিনিয়ত কিছু না কিছু নতুন ফিচার এনে চমকে দিচ্ছে হোয়াটসঅ্যাপ। এবার অ্যাপটি নতুন এক ফিচার নিয়ে এসেছে।
বর্তমানে হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাপ খুললেই সম্পূর্ণ নতুন ইউজার ইন্টারফেস (ইউআই) চোখে পড়ছে। এছাড়া গত সপ্তাহে আইওএস বিটার জন্য নতুন স্টিকার মেকার শর্টকাট চালু করেছে, যা এবার অ্যান্ড্রয়েড ইউজারদের জন্য এআই সাপোর্ট যুক্ত হলো। মূলত হোয়াটসঅ্যাপের অ্যান্ড্রয়েড বিটার স্টিকার সেকশনে বেশ কিছুদিন আগে থেকেই কোনো থার্ড পার্টি অ্যাপের সাহায্য ছাড়াই যেমন খুশি স্টিকার তৈরির শর্টকাট দেখতে পাচ্ছিলেন কিছু ইউজার।
সেক্ষেত্রে এখন মেটা মালিকানাধীন প্ল্যাটফর্মটির খুঁটিনাটি আপডেট প্রদানকারী পোর্টাল ডাব্লিউএবিটাইনফো জানায়, এখন সংস্থাটি অ্যান্ড্রয়েড বিটা ব্যবহারকারীদের জন্য স্টিকার তৈরির শর্টকাট তো অফার করছেই সেইসঙ্গে সাধারণ স্টিকার মেকার টুলের থেকে আলাদাভাবে এআই ভিত্তিক স্টিকার তৈরির ফিচারও যুক্ত করা হয়েছে। এই নতুন ফিচার হোয়াটসঅ্যাপের অ্যান্ড্রয়েড বিটা ভার্সন ২.২৪.১০.২৩-এ খুঁজে পেয়েছে ডাব্লিউএবিটাইনফো। যার একটি স্ক্রিনশটও শেয়ার করেছে।
যেভাবে স্টিকার তৈরি করবেন
এক্ষেত্রে আইওএসের মতোই অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের ফোনের ছবি গ্যালারি কাজে লাগিয়ে পার্সোনালাইজড স্টিকার তৈরি করতে হবে। এ জন্য ফোনের স্ক্রিনে দুটি পপ-আপ দেখা যাবে। এআই ভিত্তিক স্টিকার তৈরি করতে আগ্রহীদের সিলেক্ট করতে হবে ক্রিয়েট অপশনের পাশে থাকা ইউজ এআই অপশনটি।
তবে অ্যান্ড্রয়েড বিটা ব্যবহারকারীরা হোয়াটসঅ্যাপ বিটা ২.২৪.১০.২৩ আপডেট ইনস্টল করে ফিচারটি পেয়েছেন কিনা পরীক্ষা করে দেখতে পারেন। মূলত প্রতিষ্ঠানটি সম্প্রতি নির্দিষ্ট কয়েকটি দেশের বিটা ইউজারদের জন্যই এই ফিচার নিয়ে এসেছে। তাই নতুন স্টিকার শর্টকাট পেতে সবাইকে আরো কিছু দিন অপেক্ষা করতে হবে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
টেলিকম ও প্রযুক্তি
প্রযুক্তিতে জনশক্তি গড়তে ফ্রান্সের সঙ্গে চুক্তি চায় বাংলাদেশ
ভবিষ্যৎমুখী তথ্যপ্রযুক্তিতে দক্ষ জনশক্তি গড়তে ফ্রান্সের সঙ্গে চুক্তি চায় বাংলাদেশ। এজন্য বাংলাদেশ থেকে একটি প্রতিনিধি দল শিগগিরই ফ্রান্স যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
সোমবার (১৩ মে) সচিবালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত মেরি মাসদুপুইয়ের সঙ্গে বৈঠকের পর প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ফ্রান্সের সঙ্গে আমরা নতুন একটি ক্ষেত্র তৈরি করতে যাচ্ছি। শিক্ষা, প্রযুক্তি, প্রশিক্ষণ- এ তিনটি বিষয় হচ্ছে আমাদের এবারের ফ্রান্স ভিজিটের মূল উদ্দেশ্য। ফ্রান্সের ট্রেড মিনিস্টার আমাদের দাওয়াত করেছেন। একই সময়ে ফ্রান্স বা ইউরোপের অন্যতম একটি বড় প্রযুক্তি উৎসব ডিভাটেকে প্রথমবারের মতো অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, আমাদের সঙ্গে ১২টি আইটি কোম্পানিকে নিয়ে যাচ্ছি। প্রায় ফ্রান্সের ১২০টি কোম্পানির সঙ্গে আমাদের বৈঠক হবে। সেখানে বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে আমরা বাংলাদেশের প্রযুক্তিগত সম্ভাবনা ও সক্ষমতা তুলে ধরব। ফ্রান্সের ট্রেড মিনিস্টারের সঙ্গে একটা দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হবে।
ফ্রান্সের এয়ার বাসের স্যাটেলাইট তৈরির ল্যাব পরিদর্শন করা হবে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে স্মার্ট নাগরিক হিসেবে দক্ষ ও যোগ্য করে গড়ে তোলার জন্য ফ্রান্সের অত্যন্ত সফল একটি উদ্যোগ রয়েছে। সেটি হচ্ছে স্কুল ফরটি-টু। সেটার সঙ্গে আমাদের একটি সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। আমরা তাদের বাংলাদেশে আনতে চাই।
তিনি আরও বলেন, আমাদের শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার, ইউনিভার্সিটি বিজনেস ইনকিউবেশন সেন্টারে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, মেশিন লার্নিং, ডাটা এনালিটিক্স, রোবটিক্স, মাইক্রোচিপ ডিজাইনিং, সাইবার সিকিউরিটি- এ ধরনের ভবিষ্যৎমুখী প্রযুক্তিতে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলার জন্য তাদের (ফ্রান্স) সঙ্গে আনুষ্ঠানিক একটা চুক্তিতে যাওয়ার জন্য আমরা ভিজিট করছি।
পাশাপাশি অ্যানিমেশনে ফ্রান্সের একটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তাদের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। আমরা চমৎকার একটি অ্যানিমেটেড ফিল্ম এবং ল্যাব তৈরি করব। সেটিও এবারের সফরের অন্যতম উদ্দেশ্য।
জুনাইদ আহমেদ পলক আরও বলেন, স্যাটেলাইট কোম্পানি এয়ার বাসের পক্ষ থেকে আমাদের দক্ষতা, যোগ্যতা ও সক্ষমতা তৈরি করার জন্য কিছু প্রস্তাব দিয়েছে। আমরা সেটাও বিবেচনায় নিচ্ছি। বাংলাদেশে আমরা যাতে যৌথভাবে স্যাটেলাইট অ্যাসেম্বল করতে পারি, স্যাটেলাইট প্রযুক্তিতে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে পারি, এটিও একটি উদ্দেশ্য।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
টেলিকম ও প্রযুক্তি
বাংলাদেশে চালু হলো টিকটকের বিজ্ঞাপন সুবিধা
বাংলাদেশে বিজ্ঞাপন সুবিধা চালু করেছে টিকটক। সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে সহজে বিজ্ঞাপন দেওয়ার সুযোগ দিতে টিকটকের সেলস পার্টনার হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছে ডিজিটাল বিজ্ঞাপনে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান অ্যালেফকে (সাবেক এইচটিটিপুল)।
এই স্ট্রাটেজিক পার্টনারশিপের ফলে দেশের ব্র্যান্ড এবং ব্যবসাগুলো তাদের বিজ্ঞাপনের জন্য টিকটক প্ল্যাটফর্মের ইউজারদের সঙ্গে যুক্ত হতে পারবে।
এছাড়া, বিজ্ঞাপন সমাধানগুলো আরও সুনির্দিষ্টভাবে দেয়ার জন্য অ্যালেফ প্রতিষ্ঠানটি টিকটক প্ল্যাটফর্মের বিজ্ঞাপন টুলসগুলোতেও অ্যাক্সেস পাবে।
বিশ্বজুড়ে টিকটকের ব্যবহারকারী এক বিলিয়নেরও বেশি। বাংলাদেশেও প্ল্যাটফর্মটির জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে। টিকটকের এই বিশাল পরিসরের ইউজারদের সঙ্গে ব্র্যান্ডগুলোকে কাজ করার সুযোগ করে দিতে এই পার্টনারশিপ।
অ্যালেফ প্রতিষ্ঠানটির পার্টনার ও চিফ অপারেটিং অফিসার ইগ্নাশিও ভিদাগিউরেন বলেন, বাংলাদেশের বিজ্ঞাপনদাতা, এজেন্সি এবং ছোট-মাঝারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে টিকটক প্ল্যাটফর্মের সাথে সংযুক্ত করাই আমাদের সেলস পার্টনারশিপের উদ্দেশ্য। আমাদের মূল লক্ষ্য হলো ‘সকলের জন্য ডিজিটাল বিজ্ঞাপন’ এবং তা শুধুমাত্র শিক্ষা, তথ্য এবং স্থানীয়দের সহায়তার ভিত্তিতেই সম্ভব।
পাকিস্তান এবং বাংলাদেশের টিকটকের গ্লোবাল বিজনেস সলিউশন বিভাগের পার্টনারশিপ ম্যানেজার ফাইজা জাফর বলেন, বাংলাদেশে টিকটকের সেলস পার্টনার হিসেবে অ্যালেফের নাম ঘোষণা করতে পেরে আমরা আনন্দিত। বাংলাদেশের বিজ্ঞাপনদাতারা এখন নতুন ধরনের ডিজিটাল বিজ্ঞাপন ফরম্যাট ব্যবহার করতে পারবেন। এই পরিষেবাটি দ্রুততর হওয়ায় তা সুবিধাজনকও হবে, যা অন্য প্ল্যাটফর্মগুলোতে এখনও নেই।
চলতি বছরের শুরুর দিকে টিকটকের এই পার্টনারশিপ কার্যকর হয়েছে। এই উদ্যোগটি বাংলাদেশে অ্যালেফের জন্য যেমন একটি বড় মাইলফলক তেমনি এই দেশের বিজ্ঞাপনদাতাদের জন্যও ডিজিটাল মার্কেটিং করার এটি একটি নতুন সুযোগ তৈরি করবে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
টেলিকম ও প্রযুক্তি
থ্রিজি সেবা বন্ধ করলো বাংলালিংক
দেশের প্রথম অপারেটর হিসেবে তৃতীয় জেনারেশনের নেটওয়ার্ক প্রযুক্তি থ্রিজি সেবা বন্ধ করেছে বাংলালিংক ডিজিটাল কমিউনিকেশন। গত ৫ মে থেকে থ্রিজি সেবা বন্ধ করে দেয় অপারেটরটি।
বাংলালিংকের পক্ষ থেকে বলা হয়, দেশজুড়ে দ্রুতগতির ফোরজি নেটওয়ার্কের গুণগত মান ও গতি বাড়াতে থ্রিজি সেবা বন্ধ করা হয়েছে। ফলে ফোরজি নেটওয়ার্কে আরো বেশি তরঙ্গসহ অন্যান্য রিসোর্স বরাদ্দ করা সম্ভব হবে।
অপারেটরটির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, এ কৌশলগত পদক্ষেপ সবার জন্য সেরা ফোরজি নেটওয়ার্ক নিশ্চিতে বাংলালিংকের প্রতিশ্রুতিবদ্ধতার প্রতিফলন। একই সঙ্গে এটি সারা দেশে চলমান ডিজিটালাইজেশন কার্যক্রমের ক্ষেত্রে অপারেটরটির অবস্থানকে আরো সুদৃঢ় করবে।
গ্রাহককেন্দ্রিক অপারেটর হিসেবে বাংলালিংক বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ধারাবাহিকভাবে উন্নত ফোরজি সেবা গ্রহণ ও ২০২১ সাল থেকে পর্যায়ক্রমে থ্রিজি সেবা বন্ধ করার বিষয়টিকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে। এ কৌশলগত সিদ্ধান্ত বাংলালিংকের মূল কোম্পানি ভিওন সমর্থিত। বিশ্বের অন্যান্য দেশে ভিওন পরিচালিত মোবাইল নেটওয়ার্ক কোম্পানির সঙ্গেও এটি সংগতিপূর্ণ।
এছাড়া চলমান নেটওয়ার্ক আধুনিকীকরণ ও সম্প্রসারণের অংশ হিসেবে সম্প্রতি বাংলালিংক সংশ্লিষ্ট খাতের শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর সঙ্গে বেশ কয়েকটি নতুন চুক্তি সম্পাদন করেছে। এসব চুক্তির কারণে টানা চার বছর ওকলা স্পিডটেস্ট অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে বাংলালিংক।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
টেলিকম ও প্রযুক্তি
তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ৩ বছরের জন্য কর অব্যাহতির মেয়াদ বৃদ্ধির আহ্বান
ভেঞ্চার ক্যাপিটাল এবং প্রাইভেট ইক্যুইটি অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ (ভিসিপিয়াব) ‘ইনভেস্টমেন্ট ক্লাইমেট ফর স্মার্ট বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক পলিসি ডায়ালগের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত বাংলাদেশে সরকারের আইন প্রণেতাগণ, অর্থনিতীবিদ, শিক্ষাবিদ এবং তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের নেতৃবৃন্দসহ সকলেই তিন বছরের জন্য কর অব্যাহতির মেয়াদ বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন।
তারা বলেন, এই কর অব্যাহতি বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি বন্ধ হয়ে গেলে এই খাতে লভ্যাংশের হার আশঙ্কাজনক ভাবে হ্রাস পাবে এবং আইটি/আইটিইএস কোম্পানিসমূহের পুনঃবিনিয়োগ ক্ষমতাও কমে যাবে। ফলে এই শিল্পের উন্নতির গতি মন্থর হয়ে যাবে এবং রপ্তানিও হ্রাস পাবে।
রবিবার (৫ মে) হোটেল শেরাটন, ঢাকায় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে ভিসিপিয়াবের প্রেসিডেন্ট এবং অনুষ্ঠানের সভাপতি শামীম আহসান তার মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপনায় বলেন, আমাদের দাবিকৃত তিন বছরের কর অব্যাহতির মেয়াদ শেষে, ১ শতাংশ থেকে ২ শতাংশের মধ্যে একটি বার্ষিক কর হার প্রবর্তন করা যেতে পারে। বাংলাদেশের জিডিপিতে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের অবদান ১.০৯ শতাংশ। বিপরীতে, আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতের অবদান ৭.৪০ শতাংশ, ফিলিপাইনের ৩.৪০ শতাংশ, ইন্দোনেশিয়ার ৪.২৩ শতাংশ, এস্টোনিয়ার ৭.০০ শতাংশ।
তিনি আরো বলেন, ডিজিটাল পাবলিক ইনফ্রাস্ট্রাকচার (ডিপিআই) এর ক্রমবিকাশ প্রাত্যহিক জীবনে ডিজিটাল প্রযুক্তি আরও বেশি করে যুক্ত হওয়ার প্রতিফলন স্বরূপ, যা সরকার এবং সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে যোগাযোগ বাড়াতে সাহায্য করে। ডিজিটাল পাবলিক ইন্টেলিজেন্স দ্বারা পরিচালিত শক্তিশালী ‘ডাটা ও ডিজিটাল ক্যাপিটাল’ গড়ে তুলে আমরা বাংলাদেশকে বিশ্বের ‘এআই ইউজ কেস’ রাজধানীতে রূপান্তরের লক্ষ্য স্থির করতে পারি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের কর অব্যাহতির বিষয় তুলে ধরবো। আমাদের আইটি/আইটিইএস খাতে কর অব্যাহতি প্রত্যাহার না করে বরং অতিরিক্ত প্রণোদনা দেয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা উচিত।
বিশেষ অতিথি ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক বলেন, আমি তথ্যপ্রযুক্তি শিল্প উদ্যোক্তাদের কর অব্যাহতির যুক্তিসংগত দাবিকে সমর্থন করি। তাই, আগামী কয়েক বছরের জন্য তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বর্তমান কর অব্যাহতি বজায় রাখার বিষয়ে আমাদের প্রধানমন্ত্রীর সাথে আলোচনা করার জন্য আমি বিনীতভাবে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা জনাব সালমান এফ রহমানকে অনুরোধ করছি ।
বিশেষ অতিথি সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির মতো ক্রমবর্ধমান শিল্পের জন্য কর সুবিধা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। স্মার্ট বাংলাদেশ নিশ্চিত করতে, আমাদের অবশ্যই জ্ঞান-ভিত্তিক ইকোসিস্টেম প্রতিষ্ঠা করতে হবে। অন্যান্য দেশের সাথে ব্যবধান কমানোর জন্য নির্দিষ্ট কিছু পর্যায়ে দ্রুত গতিতে নিজেদের এগিয়ে নেয়া অপরিহার্য; অন্যথায়, আমাদের ক্রমাগত পিছিয়ে পড়ার ঝুঁকিতে থাকতে হবে।
অন্যান্য অতিথিদের মধ্যে জাতীয় সংসদ সদস্য ও ভিসিপিয়াব উপদেষ্টা জারা জাবীন মাহবুব বলেন, সত্যিকার একটি স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে নারীদের অগ্রণী ভূমিকাকে উপেক্ষা করার কোন সুযোগ নেই। তাদের অন্তর্ভুক্তি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। নারীর অংশগ্রহণকে অগ্রাধিকার দিয়ে, বিশেষ করে স্বাস্থ্যসেবা ডিজিটাইজেশন উদ্যোগের মাধ্যমে, আমরা শুধু নারীর স্বাস্থ্যের উন্নতিই না, বরং কার্যকরভাবে একটি স্মার্ট বাংলাদেশের রূপকল্প বাস্তবায়ন করতে পারি।
জাতীয় সংসদ সদস্য ও চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ বলেন, দেশে মাল্টিবিলিয়ন ডলারের মিডিয়া, বিনোদন ও প্রযুক্তি শিল্প রয়েছে। বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে আমাদের এই শিল্পকে ডিজিটালাইজ করতে হবে।
অনুষ্ঠানটির পার্টনার হিসেবে ছিল এডিএন টেলিকম লিমিটেডের স্পেকট্রাম ইঞ্জিনিয়ারিং কনসোর্টিয়াম (প্রা.) লিমিটেড, স্মার্ট টেকনোলজিস (বিডি) প্রা. লিমিটেডে, ব্রেইন স্টেশন ২৩ পিএলসি, আইটি কনসালট্যান্টস পিএলসি, বিডিজবস লিমিটেড এবং ইজেনারেশন পিএলসি।
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন এফবিসিসিআই সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী, ডিসিসিআই সভাপতি আশরাফ আহমেদ, সিসিসিআই সভাপতি ওমর হাজ্জাজ, সিএসই চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহিম, বিডিজবস লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা এবং বেসিসের সাবেক সভাপতি ফাহিম মাশরুর, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন; পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ড. এম মাসরুর রিয়াজ; ইকোনমিক রিসার্চ গ্রুপের (ইআরজি) সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. এম. রোকনুজ্জামান; এডিএন টেলিকমের চেয়ারম্যান আসিফ মাহমুদ; স্পেকট্রাম ইঞ্জিনিয়ারিং কনসোর্টিয়াম প্রাইভেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফোরকান বিন কাসেম; কনস্টেলেশন অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট এর প্রধান বিনিয়োগ কর্মকর্তা তানভীর আলী; স্মার্ট টেকনোলজিস (বিডি) লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম, ব্রেন স্টেশন ২৩-এর সিইও রাইসুল কবির এবং সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের (সিআরআই) পলিসি অ্যাডভাইজার ইমরান আহমেদ।