কর্পোরেট সংবাদ
মুক্তিযুদ্ধের কবিতা নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক রিডিং ক্যাফের সাহিত্য আড্ডা
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক কবিতা নিয়ে আলোচনা করতে ব্র্যাক ব্যাংক রিডিং ক্যাফের সদস্যদের সাথে এবার সাহিত্য আড্ডায় যোগ দিয়েছিল স্বনামধন্য প্রকাশনা ও আবৃত্তি সংগঠন ‘আজব প্রকাশ’।
সৈয়দ মাজহারুল পারভেজের সম্পাদিত ‘নির্বাচিত মুক্তিযুদ্ধের কবিতা’ সংকলনটি নিয়ে হয়েছিল এবারের আলোচনা। যেখানে কেবল কবিতার শিল্পগুণ নিয়েই নয়, বরং আলোচনা হয়েছিল কবিতার বিষয়বস্তু ও বিভিন্ন সময়ে লেখা এসব কবিতার এই সংকলনে স্থান পাওয়া নিয়েও।
গত ২৭ মার্চ সাহিত্যসভায় রিডিং ক্যাফে এবং আজব প্রকাশের সদস্যরা বইটির বেশ কয়েকটি কবিতা আবৃত্তি করেন। আলোচকরা কবিতার বিভিন্ন দিক নিয়ে নিজেদের সমালোচনামূলক দৃষ্টিভঙ্গিও ব্যক্ত করতে ভুল করেননি। সম্পাদকের কবিতা নির্বাচন নিয়ে অনেকে বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন যে, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক আরও অনেক উল্লেখযোগ্য কবিতা রয়েছে, যেগুলো এই সংকলনে যুক্ত হতে পারতো।
সাহিত্য আড্ডার গুরুত্ব নিয়ে নিজের মতামত ব্যক্ত করে ব্র্যাক ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও সেলিম আর. এফ. হোসেন বলেন, সাহিত্য, বিশেষ করে কবিতা, আমাদের মাঝে ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাগুলোর চেতনা জাগিয়ে তুলতে সাহায্য করে। ব্র্যাক ব্যাংক রিডিং ক্যাফের মাধ্যমে আমাদের লক্ষ্য হলো, প্রতিষ্ঠানে পড়ার সংস্কৃতি গড়ে তোলা, যা আমাদের জ্ঞান এবং বিনোদন দানের পাশাপাশি ক্ষমতায়ন করতেও ভূমিকা রাখবে। এই ধরনের সাহিত্য আলোচনা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের বহুমুখী বর্ণনার সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়, যা আমাদের ঐতিহ্যের গভীরতাকে পরিপূর্ণভাবে উপলব্ধি করতে সক্ষম করে তোলে।
এপ্রিল মাসের আলোচনার জন্য ব্র্যাক ব্যাংক রিডিং ক্যাফে নির্বাচন করেছে প্রখ্যাত উর্দু লেখক সাদাত হাসান মান্টোর ছোটগল্পের সংকলন। পরবর্তী আলোচনাও উপভোগ্য হতে চলেছে বলে বিশ্বাস এই পাঠচক্রের সদস্যদের। আজব প্রকাশকে সাথে নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক রিডিং ক্যাফের এই উদ্যোগটি ইতিহাসের জটিলতা এবং মানবিক অবস্থাকে অনুধাবন করতে সাহিত্যের প্রয়োজনীয়তাকে তুলে ধরে। পড়ার যে একটা শক্তি আছে, এই উদ্যোগটি আমাদের সমষ্টিগত এবং ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতাগুলোকে সংজ্ঞায়িত করার মাধ্যমে প্রতিনিয়ত তার-ই প্রমাণ রেখে যাচ্ছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
মিডল্যান্ড ব্যাংকের সঙ্গে জেনিথ ইসলামী লাইফের ব্যাংকাসুরেন্স চুক্তি
মিডল্যান্ড ব্যাংক পিএলসি এবং জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের মধ্যে ব্যাংকাসুরেন্স চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। এই চুক্তির ফলে মিডল্যান্ড ব্যাংকের গ্রাহকগণ ব্যাংক থেকেই সরাসরি জেনিথ লাইফের সকল প্রকার জীবন ও স্বাস্থ্য বীমা সুবিধা গ্রহণ করতে পারবেন।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) গুলশানে মিডল্যান্ড ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এ চুক্তি স্বাক্ষর হয়। জেনিথ লাইফের পক্ষে কোম্পানির মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম নুরুজ্জামান ও মিডল্যান্ড ব্যাংকের পক্ষে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আহসান উজ জামান চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
অনুষ্ঠানে জেনিথ লাইফের কোম্পানি সচিব আবদুর রহমান, হেড অব ব্যাংকাসুরেন্স মো. শাহাদাত হোসেন, হেড অব গ্রুপ ইন্স্যুরেন্স মো. আনোয়ার হোসেন সরকার ও হেড অব মেট্রো মো. ইমরান এবং মিডল্যান্ড ব্যাংকের হেড অব রিটেইল ডিস্ট্রিবিউশন ডিভিশন ও চীফ ব্যাংকাসুরেন্স অফিসার মো. রাশেদ আখতার, এসএভিপি (পাবলিকন রিলেশন) মো. রাশেদ আনোয়ার ও ব্যাংকাসুরেন্স ম্যানেজার খন্দকার ইমরান হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে মিলিয়নিয়ার হলেন ভোলার শামীম
সেরা পণ্যে সেরা অফার- স্লোগানে সারা দেশে চলছে ইলেকট্রনিক্স জায়ান্ট ওয়ালটনের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২০। ক্যাম্পেইনের ‘ননস্টপ মিলিয়নিয়ার’ অফারের আওতায় এবার ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে মিলিয়নিয়ার হলেন লালমোহন উপজেলার কনফেকশারি দোকানি মো. শামীম। তিনি ওয়ালটন ডিজিটাল ক্যাম্পেইনের ৩৫তম মিলিয়নিয়ার। শামীমের মিলিয়নিয়ার হওয়ার খবরে রীতিমতো হইচই পড়ে গেছে দ্বীপ জেলা ভোলায়।
মঙ্গলবার (১৪ মে) চরফ্যাশন উপজেলার সদর রোডে শরিফ পাড়া এলাকার ওয়ালটন প্লাজা কর্তৃক আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে শামীমের হাতে ১০ লাখ টাকার চেক তুলে দেন চিত্রনায়ক এবং ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর আমিন খান।
আসন্ন ঈদ উৎসবকে কেন্দ্র করে দেশব্যাপী চলমান ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২০ এ ক্রেতাদের ‘ননস্টপ মিলিয়নিয়ার’ হওয়ার সুবিধা দিচ্ছে ওয়ালটন। সিজন-২০ চলাকালীন দেশের যেকোনো ওয়ালটন প্লাজা, পরিবেশক শোরুম ও অনলাইন সেলস প্ল্যাটফর্ম ‘ই-প্লাজা’ থেকে ফ্রিজ, এসি, টিভি, ওয়াশিং মেশিন এবং ফ্যান কিনে আবারো মিলিয়নিয়ার হওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন ক্রেতারা। এছাড়াও রয়েছে কোটি কোটি টাকার নিশ্চিত উপহার।
এই ক্যাম্পেইনের আওতায় গত ৪ মে দোকানে ব্যবহারের জন্য ওয়ালটন প্লাজা থেকে থেকে ১২ হাজার টাকা ডাউনপেমেন্ট দিয়ে ২৭০ লিটারের একটি ফ্রিজ কেনেন শামীম। ফ্রিজটি কেনার পর তার নাম, মোবাইল নাম্বার এবং ক্রয়কৃত ফ্রিজের মডেল নাম্বার ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করা হয়। ফ্রিজ নিয়ে বাড়ি যাওয়ার আগেই তার মোবাইলে ওয়ালটনের কাছ থেকে একটি ম্যাসেজ যায়। জানতে পারেন, ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে ১০ লাখ টাকা ক্যাশ পেয়েছেন তিনি।
চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে শামীম বলেন, দেশীয় ব্র্যান্ড ওয়ালটনের পণ্য ব্যবহার করছি অনেক দিন ধরে। ওয়ালটনের পণ্য বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী। দাম কম। সার্ভিসও ভালো। তাই দোকানে ব্যবহারের জন্য ওয়ালটনেরই ফ্রিজ কিনি। কিন্তু কিস্তিতে একটি ফ্রিজ কিনেও যে এতো বড় উপহার পাবো তা স্বপ্নেও ভাবতে পরিনি। এমন পুরস্কার ওয়ালটনের দ্বারাই দেয়া সম্ভব। ওয়ালটন থেকে পাওয়া টাকা ব্যবসার কাজে লাগাবো। ওয়ালটন কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাই।
চিত্রনায়ক আমিন খান বলেন, পণ্য কেনায় ক্রেতাদের সারাবছরই কোনো না কোনো সুবিধা দিয়ে থাকে ওয়ালটন। ননস্টপ মিলিয়নিয়ার তার মধ্যে একটি। দেশের চাহিদা মিটিয়ে এখন বিশ্বের ৪০টিরও বেশি দেশে পণ্য রপ্তানি করছে ওয়ালটন। দেশে সৃষ্টি করে চলেছে ব্যাপক কর্মসংস্থান। এজন্য সবার উচিত এই দেশি ব্র্যান্ডকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। দেশি ব্র্যান্ডের পণ্য কিনলে দেশের টাকা দেশে থাকে। দেশের অর্থনীতি শক্তিশালী হয়।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চরফ্যাশন থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রিপন কুমার সাহা, স্থানীয় ওয়ার্ড কমিশনার গিয়াস উদ্দীন, বিশিষ্ট সমাজসেবক আলহাজ্জ নুরুল ইসলাম বাচ্চু, ওয়ালটনের মার্কেটিং অ্যান্ড কমিউনিকেশন্স বিভাগের সিনিয়র ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর রবিউল ইসলাম মিলটন, চিফ ডিভিশনাল অফিসার আল মাহফুজ খান, ডিভিশনাল ক্রেডিট ম্যানেজার শাহানুর আলম, বরিশাল ডিভিশন সার্ভিস মনিটরিং অফিসার মিজানুর রহমান, ওয়ালটন ফ্রিজের প্রোডাক্ট ম্যানেজার শহিদুল ইসলাম রেজা, রিজিওনাল সেলস ম্যানেজার লালু কুন্ডু, রিজিওনাল ক্রেডিট ম্যানেজার মো. লিয়ন এবং ওয়ালটন প্লাজার ম্যানেজার আবু ওয়াসীসহ ওই অঞ্চলে কর্মরত বিভিন্ন ওয়ালটন প্লাজার ম্যানেজারবৃন্দ।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
কমিউনিটি ব্যাংকের নগদ লভ্যাংশ অনুমোদন
সমাপ্ত ২০২৩ হিসাববছরের জন্য ঘোষিত ১০ দশমিক ৪০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ অনুমোদন করেছে বেসরকারি কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি। বুধবার (১৫ মে) রাজধানীর পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে অনুষ্ঠিত কোম্পানিটির ৫ম বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) ২০২৩ সালের নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয় এবং বিনিয়োগকারীদের জন্য নগদ লভ্যাংশ অনুমোদন করা হয়।
ব্যাংক থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল ও কমিউনিটি ব্যাংকের চেয়ারম্যান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। তিনি বলেন, কমিউনিটি ব্যাংক শুধু পুলিশের ব্যাংক নয়, এটি সাধারণ জনগণের ব্যাংক। কমিউনিটিভিত্তিক প্রত্যেক শ্রেণি-পেশার মানুষের জন্য উদ্ভাবনী ও যুগোপযোগী স্মার্ট ব্যাংকিং সেবা চালুর মাধ্যমে কমিউনিটি ব্যাংকের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
তিনি আরও বলেন, কমিউনিটি ব্যাংক শুধু মুনাফাই করে না, সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে দেশের দুর্গম ও উপকূলীয় এলাকার মানুষের জন্য সুপেয় পানির ব্যবস্থা, দুস্থ রোগীদের চিকিৎসা সেবা দেয়া, দরিদ্র শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় সহযোগিতা এবং মেধাবৃত্তি প্রদানসহ প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কল্যাণেও কাজ করে আসছে।
এ সময় ব্যাংকটির শেয়ারহোল্ডার বাংলাদেশ পুলিশের অ্যাডিশনাল আইজি মোঃ কামরুল আহসান; র্যাবের মহাপরিচালক এম. খুরশীদ হোসেন; বাংলাদেশ পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের অ্যাডিশনাল আইজি মোঃ মনিরুল ইসলাম; অ্যান্টি টেররিজম ইউনিটের অ্যাডিশনাল আইজি এস এম রুহুল আমীন; ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন্সের অ্যাডিশনাল আইজি মোঃ আতিকুল ইসলাম; ফাইন্যান্স বিভাগের অ্যাডিশনাল আইজি আবু হাসান মুহম্মদ তারিক; ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের অ্যাডিশনাল আইজি মাহাবুবর রহমান; ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার হাবিবুর রহমান; ডিআইজি আমিনুল ইসলাম; ডিআইজি কাজী জিয়া উদ্দিন; ডেভেলপমেন্ট রেভিনিউ-১ এর অ্যাডিশনাল ডিআইজি ড. শোয়েব রিয়াজ আলম; বাংলাদেশ পুলিশ কল্যাণ ট্রাস্টের অ্যাডিশনাল ডিআইজি মুনতাসিরুল ইসলাম; পুলিশ স্টাফ কলেজের পরিচালক সুফিয়ান আহমেদ; বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বি এম ফরমান আলী উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া ব্যাংকটির স্বতন্ত্র পরিচালক মাসুদ খান, কাজী মসিহুর রহমান; ব্যবস্থাপনা পরিচালক মসিউল হক চৌধুরী এবং ব্যাংকের কোম্পানি সচিব সাইফুল আলম সভায় উপস্থিত ছিলেন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
ইসলামী ব্যাংক-ট্রান্সফাস্ট রেমিট্যান্স ক্যাম্পেইনের বিজয়ীদের পুরুস্কার বিতরণ
ইসলামী ব্যাংক-ট্রান্সফাস্ট রেমিট্যান্স ক্যাম্পেইনের বিজয়ীদের মাঝে আনুষ্ঠানিকভাবে পুরুস্কার হস্তান্তর করা হয়েছে। গত ১২ মে ঢাকার প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
কাপাসিয়া শাখার এজেন্ট আউটলেটের গ্রাহক মঞ্জিল মেগা পুরস্কার হিসেবে ১৫০০ সিসির একটি প্রাইভেট কার পেয়েছেন। এছাড়া ১২ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত এ ক্যাম্পেইনে প্রতি ব্যাংকিং দিবসে ডিজিটাল ড্রর মাধ্যমে ঘোষিত মোট ৩০ জন বিজয়ীকে এক লাখ টাকা করে মোট ত্রিশ লক্ষ টাকা পুরুস্কার প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ইসলামী ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা আর গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাস্টারকার্ডের অ্যাসিস্ট্যান্ট কর্পোরেট ট্রেজারার ইন্দ্রনীল গাঙ্গুলি।
ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মিফতাহ উদ্দীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্যাংকের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ কায়সার আলী, জে কিউ এম হাবিবুল্লাহ, মো. আলতাফ হুসাইন ও মাস্টারকার্ড বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল।
মাস্টাকার্ডের পক্ষে বক্তব্য দেন মাস্টারকার্ড এশিয়া প্যাসিফিকের পরিচালক সুদীপ্ত ঘোষ। স্বাগত বক্তব্য দেন ব্যাংকের ইন্টারন্যাশনাল সার্ভিসেস উইং প্রধান মোহাম্মদ ইহসানুল ইসলাম। এছাড়া ট্রান্সফাস্ট বাংলাদেশ কন্টাক্ট সেন্টারের ম্যানেজার ফারজানা আলম সহ ইসলামী ব্যাংক প্রধান কার্যালয়ের নির্বাহীবৃন্দ ও ট্রান্সফাস্টের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
ইসলামী ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা বলেন, ক্যাম্পেইনের ইতিবাচক প্রভাব দেখে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। দুই মাসব্যাপী চলা এ ক্যাম্পেইনের ফলে প্রবাসীদের মাঝে বৈধ পথে রেমিট্যান্স প্রেরণে বিপুল উৎসাহ সৃষ্টি করেছে। ধন্যবাদ জানাচ্ছি ট্রান্সফাস্টের এমন উদ্যোগের জন্য। ক্যাম্পেইনে সকল বিজয়ীদের বিশেষ করে মেগা বিজয়ী মঞ্জিলকে অভিনন্দন জানাচ্ছি।
মাস্টারকার্ড বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল বলেন, প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং এই ক্যাম্পেইনটি বাংলাদেশে আরও বেশি রেমিট্যান্স আনার ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ। এটি প্রবাসীদের কষ্টার্জিত অর্থ ট্রান্সফাস্টের মতো বৈধ এবং সুরক্ষিত চ্যানেলের মাধ্যমে দেশে পাঠাতে উৎসাহিত করবে। ইসলামী ব্যাংকের সাথে এই ক্যাম্পেইনের অংশ হতে পেরে মাস্টারকার্ড আনন্দিত।
কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে গিয়ে মঞ্জিল বলেন, এটি আমার জন্য একটি জীবন পরিবর্তনকারী মুহুর্ত। এই অবিশ্বাস্য উপহারের জন্য ইসলামী ব্যাংক এবং ট্রান্সফাস্টের কাছে কৃতজ্ঞ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
ইসলামী ব্যাংকের মাসব্যাপী ক্যাম্পেইন শুরু
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি ‘টুয়ার্ডস এক্সিলেন্স অ্যান্ড বেটার গ্রোথ ইন এফসি অ্যাকাউন্টস্, খিদমাহ কার্ডস্ অ্যান্ড ডেবিট কার্ডস্’এই স্লোগান নিয়ে মাসব্যাপী বিশেষ ক্যাম্পেইন চালু করেছে। মঙ্গলবার (১৪ মে) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে প্রধান অতিথি হিসেবে এ ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন করেন ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ কায়সার আলী, জে.কিউ.এম. হাবিবুল্লাহ ও ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মিফতাহ উদ্দীন। ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর কাজী মো. রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. রফিকুল ইসলাম ও এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট আহমেদ জুবায়েরুল হক।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ড. মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন, ক্যামেলকো তাহের আহমেদ চৌধুরীসহ প্রধান কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন নির্বাহী ও কর্মকর্তাবৃন্দ। এছাড়া ব্যাংকের সকল জোনপ্রধান, শাখাপ্রধান ও উপশাখা ইনচার্জগণ ভার্চুয়াল প্লাটফর্মের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে সংযুক্ত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা বলেন, ইসলামী ব্যাংকের মুদারাবা ফরেন কারেন্সি ডিপোজিট অ্যাকাউন্ট, মুদারাবা রেসিডেন্ট ফরেন কারেন্সি ডিপোজিট অ্যাকাউন্ট (আরএফসিডি) ও মুদারাবা ইন্টারন্যাশনাল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট (আইবি) ইতোমধ্যে গ্রাহকদের নিকট জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। এর মাধ্যমে গ্রাহকগণ বৈদেশিক মুদ্রা জমা ও লেনদেন করতে পারছেন। ব্যাংকের এডি শাখা ও অফশোর ব্যাংকিং ইউনিটে এসব অ্যাকাউন্ট খোলা যায় এবং ইসলামী শরী’আহ মুদারাবা নীতির ভিত্তিতে এসব অ্যাকাউন্টে আকর্ষণীয় মুনাফা প্রদান করা হয়।
তিনি আরও বলেন, আমরা চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে পদার্পন করেছি। বর্তমানে ডিজিটাল প্রোডাক্টগুলোর ব্যাপক সম্প্রসারণ হয়েছে। পেমেন্ট সিস্টেমে এসেছে বৈপ্লবিক পরিবর্তন। স্মার্ট ব্যাংকিংকে সর্বোন্নত পর্যায়ে নিয়ে যেতে ইসলামী ব্যাংক কাজ করে যাচ্ছে। আধুনিক ও বৈচিত্র্যময় কার্ডসেবার মাধ্যমে গ্রাহক সেবা উন্নতকরণ এবং দেশে-বিদেশে ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশনে অবদান রেখে চলেছে এ ব্যাংক। ইসলামী ব্যাংকের খিদমাহ ক্রেডিট কার্ড ও ডেবিট কার্ড ব্যবহার করে গ্রাহকগণ বিভিন্ন হোটেল-রেস্টুরেন্ট, হাসপাতাল ও এয়ারপোর্ট লাউঞ্জে ডিসকাউন্ট সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন। তিনি ব্যাংকের আধুনিক সেবাসমূহ সকল স্তরের মানুষের কাছে পৌঁছাতে কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান।