ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
রিকশাচিত্রে জবিতে বৈশাখের প্রস্তুতি, উদযাপন ১৮ এপ্রিল
ইউনেস্কোর অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়া রিকশাচিত্রকে মূল প্রতিপাদ্য করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে এবার পহেলা বৈশাখ উদযাপন করা হবে। এরই মধ্যে উৎসব উদযাপনের প্রস্তুতি উপলক্ষে রিকশাচিত্র অংকন করেছেন চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থীরা। এবার ঈদের ছুটি থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৮ এপ্রিল বাংলা নববর্ষ উদযাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বিশ্ববিদ্যালয়ে এবারের বৈশাখ উদযাপনের মূল অংশ জুড়েই থাকবে রিকশাচিত্র। বাংলা নববর্ষ ১৪৩১ কে বরণ করে নিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ও দ্বিতীয় ফটকের পাশের দেয়ালে পেইন্টিং করা হয়েছে। রিকশা পেইন্টিংয়ের আদলে দেয়ালে ফুটে উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটক, বুড়িগঙ্গার নৌকা, মা ও প্রকৃতির বিভিন্ন চিত্র। শিক্ষার্থীদের আঁকা দেয়ালচিত্রতে রয়েছে ফুল, মাছ, নৌকা, বাঘ, ময়ূরসহ নানা ধরনের চিত্র। দেশের রিকশায় আঁকা নানা ধরনের চিত্রের মধ্য থেকে আকর্ষনীয় ও দৃষ্টিনন্দন চিত্রগুলোকে উজ্জ্বল রঙে দেয়ালে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। এছাড়া বৈশাখ উপলক্ষে মঙ্গল শোভাযাত্রাতেও থাকবে বড় আকৃতির রিকশা পেইন্টিং। এরই মধ্যে দেয়ালগুলোতে রিকশা পেইন্টের মাধ্যমে নান্দনিক ছোঁয়া দিয়েছে চারুকলার শিক্ষার্থীরা। এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা এ কাজের জন্য প্রশংসিত হয়েছেন।
‘বৈশাখে নুতন করিনু সৃজন/মঙ্গলময় যত তনু-মন’ স্লোগানে পহেলা বৈশাখ উদযাপন উপলক্ষে শিক্ষার্থীদের সব প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে। কেউ কেউ পুতুল, পাখি, বাঘের মুখোশ, পেঁচার মুখোশ, পাখির মুখোশ, রাজা-রানির মুখোশ, নানা রকমের মাটির জিনিসপত্র তৈরি করেছেন। এছাড়াও বিভিন্ন আকার ও রকমের চিত্রকর্ম এবং মুখোশে রঙ করছেন তারা। শিক্ষার্থীদের রং তুলিতে ফুটে উঠছে আবহমান বাংলার রূপ।
এদিকে বাংলা নববর্ষ উদযাপনের জন্য প্রস্তুত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। বর্ষবরণের প্রস্তুতি নিয়ে ব্যস্ত চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থী। দিন-রাত পরিশ্রম করে কাজ করে যাচ্ছেন তারা। এবারের আয়োজনে থাকছে মঙ্গল শোভাযাত্রা, থাকবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও বাংলা বর্ষবরণের নানা আয়োজন। পাশাপাশি থাকবে পাখি, ফুল ও বিভিন্ন প্রাকৃতিক বস্তু। প্রকৃতিকে ফুটিয়ে তুলার জন্য বিভিন্ন বিষয় নিয়ে এবার কাজ হচ্ছে। শোভাযাত্রার জন্য বড় আকারের ফুল, মৌমাছি, পাতা ছাড়াও বাঘ ও পেঁচার মুখোশ তৈরি করা হয়েছে।
আয়োজনের দায়িত্বে থাকা চারুকলা অনুষদের পঞ্চম ব্যাচের শিক্ষার্থী নাঈম মৃধা বলেন, দেয়াল চিত্র, মুখোশ, স্টাকচার সবকিছুতেই রিকশা পেইন্টিংকে উপস্থাপন করা হয়েছে। দেয়াল পেইন্টিংয়ের ক্ষেত্রে রিকশা পেইন্টিংয়ের বিভিন্ন মুটিভ এবং উজ্জ্বল রঙগুলো ব্যবহার করা হয়েছে। রিকশাচিত্রে সাধারণত নায়ক-নায়িকা, কুমির, বাঘ, মাছ, ময়ূর, ফুল, লতাপাতার ও বিভিন্ন পশুপাখির ছবি দেখতে পাই। এগুলোর মধ্য থেকে দৃষ্টিনন্দন চিত্রগুলোকেই ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করা হয়েছে।
একই ব্যাচের আরেক শিক্ষার্থী হৃদয় হোসাইন বলেন, এবারের মঙ্গল শোভাযাত্রার থিম হচ্ছে ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ স্বীকৃত বাংলাদেশের রিকশা চিত্র। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে চারুকলা অনুষদ হওয়ার পর এটি প্রথম বৈশাখ। এজন্য মঙ্গল শোভাযাত্রার প্রস্তুতি আগের বারের থেকে আমাদের জন্যে একটু বেশি চ্যালেঞ্জিং ছিল। চারুকলা অনুষদের শিক্ষকবৃন্দ ও শিক্ষার্থীদের হাতে খুব সুন্দরভাবে এই আয়োজনের প্রস্তুতি সফলভাবে সম্পন্ন করতে পারে আমরা খুব এ আনন্দিত। এছাড়াও প্রথমবারের মত এবার বৈশাখী চারু শিল্পমেলার আয়োজন করা হয়েছে। এজন্য জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম আপার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
দেয়ালচিত্র অংকন করা শিক্ষার্থী পরমা দাস বলেন, এবারে বৈশাখ উপলক্ষে মঙ্গল শোভাযাত্রায়ও রিকশা পেইন্টিংয়ের বিভিন্ন দিক ফুটিয়ে তোলা হবে। শোভাযাত্রা জন্য আমরা মুখোশ তৈরি করছি। বাঘ পেঁচার পাশাপাশি রিকশা পেইন্টিংয়ের বিভিন্ন ফর্ম দিয়ে মুখোশ তৈরি করেছি এবং সবগুলো মুখোশে রিকশা পেইন্টিংয়ের মত উজ্জ্বল রং ব্যবহার করছি। রিকশা পেইন্টিংকে সবার মাঝে ছড়িয়ে দেয়াই আমাদের প্রধান লক্ষ্য।
কাজের ফাঁকে আরেক শিক্ষার্থী তৃষ্ণা দেবনাথ বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দেয়ালগুলো আরও দৃষ্টিনন্দন করে তোলার মহৎ উদ্দেশ্য নিয়েই রিকশাচিত্র অংকন করা হয়েছে। দেয়াল পেইন্টিংয়ের পাশাপাশি মুখোশ ও বিভিন্ন রিকশার মোটিভ ফেস্টুনও করা হচ্ছে। ক্যাম্পাস বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এবার অনেক মানুষ কম। তাই আমাদের উপর চাপ পরে যাচ্ছে। তবুও আমরা সবাই মিলে ভালো কিছু করার চেষ্টা করছি।
দেয়াল চিত্রের পাশাপাশি আরও আয়োজন রয়েছে বলে জানান পায়েল দাস অনিক। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্ত চত্বরে বড় একটি কুমিরের স্ট্রাকচার তৈরি করা হচ্ছে। কুমিরটির দৈর্ঘ্যে ১৬ ফুট ও প্রস্থ্যে ৯ ফুট। এছাড়াও সাধারণ রিকশার দ্বিগুণ মাপের একটি রিকশার স্টাকচারও তৈরি করা হচ্ছে। রিকশা উচ্চতা ৯ ফুট ও প্রস্থ ৬ ফুট। ঈদের ছুটির আগে কাজগুলো সম্পূর্ণ করা হবে। ঈদের পর অনুষ্ঠিত হবে আমাদের উৎসব।
সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক মোহা. আলপ্তগীন বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে ইউনেস্কোর অধরা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে রিকশাচিত্র স্বীকৃতি পেয়েছে। এজন্যই বাংলা নববর্ষ ১৪৩১ উপলক্ষে আমরা রিকশাচিত্রের যত রকমের অঙ্কন, মোটিভ এবং চিত্রায়ণের যতগুলো অলংকরণ রয়েছে সেগুলো সব নিয়েই রিকশাকে কেন্দ্র করে দেয়াল পেইন্টিং করেছি। মূলত এবারে আমাদের থিম হচ্ছে রিকশা চিত্র। মঙ্গল শোভাযাত্রাতেও বড় আকৃতির রিকশা পেইন্টিং থাকবে।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম বলেন, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের স্বতস্ফুর্ত অংশগ্রহণে আমরা বাংলা নববর্ষকে বরণ করে নিতে চাই। সেজন্য ১৮ এপ্রিল আমরা বাংলা নববর্ষের অনুষ্ঠান করবো। মঙ্গল শোভাযাত্রা, সাংস্কৃতিক পরিবেশনা সহ বিগত দিনে চলে আসা সকল আয়োজন থাকবে। পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের দেয়ালগুলোতে চারুকলার শিক্ষার্থীরা নান্দনিক রিকশাচিত্র ফুটিয়ে তুলার কাজ করছে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিবছর বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রাসহ দিনব্যাপী নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে পহেলা বৈশাখ উদযাপন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের মঙ্গল শোভাযাত্রাটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৮টি বিভাগ ও ২টি ইন্সটিটিউট বিভিন্ন ব্যানারে অংশগ্রহণ করে এবং এর পাশাপাশি পুরান ঢাকার ঐতিহ্য ধরে রাখতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংগঠনসমূহ এতে অংশগ্রহণ করে থাকে। এর আগে বিগত বছরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউটিলিটি ভবনের বাইরের ও ভিতরের দেয়ালে পটচিত্রসহ বিভিন্ন উপদেশমূলক দেয়াল লিখন করা হয়।
অর্থসংবাদ/সৌদিপ/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
পরীক্ষায় অসদুপায়ে ঢাবি ও অধিভুক্ত কলেজের ৯৯ জনকে শাস্তি
পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন করায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও এর অধিভুক্ত কলেজগুলোর ৯৯ জন শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দেয়া হয়েছে। গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সর্বশেষ অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেটের সভায় এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
শাস্তি পাওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও ইনস্টিটিউটের ৪৮ জন, উপাদানকল্প কলেজের দুইজন ও অধিভুক্ত কলেজগুলোর ৪৯ জন শিক্ষার্থী রয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শাস্তি পাওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে অধিভুক্ত রাজধানীর সরকারি সাত কলেজের ১৮ শিক্ষার্থী রয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকা কলেজের ৩ জন, ইডেন মহিলা কলেজের ৩ জন, সরকারি তিতুমীর কলেজের ১ জন, সরকারি বাঙলা কলেজের ৪ জন, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের ২ জন ও কবি নজরুল সরকারি কলেজের ২ জন এবং বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজের ৩ জন শিক্ষার্থী রয়েছেন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ফের ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ
রাজধানীর সায়েন্সল্যাব মোড় এলাকায় ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এখনো থেমে থেমে চলছে সংঘর্ষ।
সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের তাদের কলেজের প্রধান ফটকের সামনে এবং ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা সায়েন্সল্যাব মোড় এলাকায় অবস্থান নিয়েছেন। কিছুক্ষণ পরপরই একপক্ষ আরেকপক্ষকে ধাওয়া করছেন, ইট-পাটকেল ছুড়ছেন। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
ধানমন্ডি জোনের পুলিশের সহকারী কমিশনার তারিক মোস্তফা জানিয়েছেন, সংঘর্ষের ঘটনায় চারজন আহত হয়েছে। তাদের ঢাকা মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে চলতি বছরের ২৫ জানুয়ারি দুই কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া, মারামারি ও বাস ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি মওকুফের নির্দেশ
জুলাই-আগস্টে ছাত্র ও জনতার আন্দোলনে আহত বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের সব শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি মওকুফের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে নির্দেশনা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। সব সরকারি এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে এ নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) ইউজিসির এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গত ২৯ অক্টোবরের প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সরকার কর্তৃক জুলাই-আগস্ট ২০২৪ এ ছাত্র জনতার গণ-অভ্যুত্থানে আহত মাধ্যমিক থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে (সব সরকারি-বেসরকারি স্কুল, কলেজ, মাদরাসা, কারিগরি ও বিশ্ববিদ্যালয়) শিক্ষার্থীদের বেতন বা টিউশন ফি মওকুফের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এই অবস্থায় এই প্রজ্ঞাপনের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের করার জন্য নির্দেশ জানানো হলো।
উল্লেখ্য, গত ২৯ অক্টোবর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আহত শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি মওকুফের সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। বর্তমানে এই শিক্ষার্থীরা যে শ্রেণিতে আছেন, সেখান থেকে বিশ্ববিদ্যালয়জীবন পর্যন্ত তারা এ সুবিধা পাবেন।
এতে বলা হয়, আহত শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানের কাছে চিকিৎসার ব্যবস্থাপত্র দেখিয়ে আবেদন করবেন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ অবিলম্বে আবেদনগুলো যাচাই করে শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি মওকুফের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
লাঞ্ছনার শিকার ইবি শিক্ষার্থী, স্থায়ী সমাধানে বাস আটক
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কুষ্টিয়া শহরে যাওয়ার পথে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) এক শিক্ষার্থী বাস ভাড়া নিয়ে লাঞ্ছিত হওয়ার অভিযোগ ওঠেছে। পরে সহপাঠীরা কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করলে বাসটি (গড়াই) আটকে হেফাজতে রাখেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) দুপুর ১২টায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, গতকাল (সোমবার) ১২ টার দিকে ভুক্তভোগী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের ১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী নুরেখা ইয়াসমিন নূপুর ক্যাম্পাস থেকে কুষ্টিয়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিলেন। বাসের হেলপার আলম মোল্লা ৪০ টাকা ভাড়া রাখলে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা হাফ ভাড়ার কথা বলেন। কিন্তু তাতে কর্ণপাত করেননি বাসটির হেলপার। ভুক্তভোগীর দিকে টাকা ছুড়ে মারে বাসের হেলপার আলম। পরে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা বন্ধুদের জানালে তারা মহাসড়ক অবরোধ করে বাসটি আটক করে। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ঘটনাস্থলে গিয়ে বাসটি তাদের হেফাজতে রাখেন।
এ সময় সপ্তাহে সাত দিনই হাফ ভাড়ার সুযোগ প্রদান, বাসের গতিসীমা নিয়ন্ত্রণ, কটু ব্যবহার না করা, কুষ্টিয়া ঝিনাইদহ বাস কাউন্টারেও হাফ ভাড়া প্রদান ও অসদাচরণে নির্দিষ্ট শাস্তির আওতার দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী নূপুর বলেন, আমি কুষ্টিয়া যাওয়ার পথে ১০০ টাকা দিয়েছিলাম, পরে হেলপার ৬০ টাকা ফেরত দিতে চাইলে হাফ ভাড়ার কথা স্মরণ করিয়ে দিই এবং শিক্ষার্থী হিসেবে পরিচয় দিই। কিন্তু তিনি কোনো মতে মানছিল না। এক পর্যায়ে ৭০ টাকা আমার শরীরের দিকে ছুড়ে মেরে বিদায় করে দিছে। বিভিন্নভাবে খারাপ ব্যবহারও করছে।
অভিযুক্ত বাস হেলপার আলম জানান, আমি হাফ ভাড়া সম্পর্কে অবগত না। অনেক দিন পর এখানে আসলাম। আমার ভুল হয়েছে। আমি ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান বলেন, শিক্ষার্থী হেনস্তায় মহাসড়ক অবরোধ করার চেষ্টা করছিল, তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়ে বাসটা বিশ্ববিদ্যালয় হেফাজতে রাখ হয়েছে। বাস মালিক ও ঝিনাইদহ বাস মালিক সমিতির একজন প্রতিনিধি আসবে। তখন বসে আলাপ করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ব্যাটারিচালিত রিকশার ধাক্কায় জাবি শিক্ষার্থী নিহত
বেপরোয়া অটোরিকশার ধাক্কায় প্রাণ হারিয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) এক নারী শিক্ষার্থী। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের ৫৩ ব্যাচের শিক্ষার্থী।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন কলা ভবনের সামনে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় এক্সিডেন্ট করলে তিনি গুরুতরভাবে আহত হন। পরে তাকে উদ্ধার করে জাবি মেডিকেলে নিয়ে গেলে মেডিকেল সেন্টারের চিকিৎসক তাকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মেয়েটি রাস্তা পার হচ্ছিল। এ অবস্থায় একটি দ্রুতগামী রিকশা তাকে ধাক্কা মারে এবং সে গাছের উপর আছড়ে পড়ে।
শিক্ষার্থীর নাম আফসানা করিম রাচি। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম খালেদা জিয়া হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ছিলেন। তার পিতার নাম মো. রেজাউল করিম। তার গ্রামের বাড়ি শেরপুর জেলায়। তবে তার পরিবার রাজধানীর গ্রীণ রোডে থাকে বলে জানা গেছে।
এ ঘটনায় এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. সাব্বির বলেন, আমরা যখন পেয়েছি তখন চোখের মনি ফিক্সড ছিল। তার হার্টবিট পাইনি, আমরা সঙ্গে সঙ্গে ইসিজি করি। তার বুকের উপর ভারী আঘাতের কালচে চিহ্ন ছিল।
এমআই